প্রেমনোঙর ফেলে পর্ব-১৪

0
391

#প্রেমনোঙর_ফেলে
#লেখনীতে: মিথিলা মাশরেকা

১৪.

প্রাপ্তর দেওয়া নতুন গিটারটা সাথে না নিয়ে বাসায় ফিরলো ইচ্ছে। কনসার্ট শেষ করে ওখানে আসা মিষ্টিঘরের বাচ্চাগুলোর সাথে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছে ও। তখন প্রাপ্ত ছিলো না সেখানে। আড়চোখে ওকে কয়েকবার খুজেছে ইচ্ছে। মনেমনে রাগ হলো ওর প্রাপ্তর উপর। সরি বলাটাও জানে না ওই লোকটা। সরি বলে এভাবে গায়েব হয়ে গিয়ে আবারো প্রমান করে দিলো,মন থেকে সরি বলে নি ও। তাতে ওরই বা কি? একজনের বলা সরি মন থেকে বলা নাকি শুধুই ফর্মালিটি,ইয়ানাত নিক্কন কেনো তা নিয়ে বারবার ভাবতে যাবে? ওর দেওয়া গিটারটা ফেলে এসেছে। যদিও ইচ্ছে করছিলো না। অনেক খুজেছে মায়ের সেই পুরোনো ডিজাইনের গিটারটা। পায়নি। প্রাপ্তর গিটারটা দেখে,সময় অসময়ে অবয়বটাকে অন্তত মনে করতে পারতো!

ইচ্ছে বাসায় ঢুকলো হুইস্টলিং করতে করতে। নাফিজা বেগম যে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে ম্যাগাজিন পরছে সেটা টের পেলো ও। গিটারের কাটা তারটার কথা মনে পরে গেলো ইচ্ছের। কাধের ব্যাগেই সে গিটার। কোনোরকম হেয়ালি না করে সোজা নাফিজা বেগমের সামনে গিয়ে দাড়ালো ও। ম্যাগাজিনটা কেড়ে নিলো তার হাত থেকে। বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে চোখ তুলে তাকালেন নাফিজা বেগম। যেনো তিনি জানতেন,ইচ্ছের এই রুপটাই দেখতে হবে তাকে। স্বাভাবিক স্বরে বললেন,

-এসেই অভদ্রতা শুরু করে দিলে?

-আমি কোনোদিন তোমাকে ভদ্রতা দেখাইনি এস এম।

-হ্যাঁ! তাইতো আফসোস! তোমার বাবা এটা বুঝলো না কোনোদিনও। তার মেয়ে…

-তার মেয়ে কি,কেমন সেটা সে জানে এস এম। যাইহোক! তুমিও ভালোমতোই চেনো আমাকে। তারপরও বোকামো কেনো করো বলোতো?

নাফিজা বেগম ভ্রুকুচকে তাকালেন। ইচ্ছে তাচ্ছিল্যে হেসে বললো,

-তুমি জানো আমি আমার মিউজিক‌ নিয়ে কতোটা পসেসিভ। ইনস্ট্রুমেন্টগুলো আমার প্রান,এটাও জানো তুমি। ওগুলোর সাথে কখনো আপোষে যাইনি আমি। ওগুলোর একটুখানি এদিকওদিক হলেই ইচ্ছে পাগলামি করে। ঠিক সেভাবেই পাব্লিক প্লেসে সিন ক্রিয়েট করবো,এটা ভেবে তুমি আমার গিটারের তার কেটেছো দিয়েছো। রাইট?

-তোমাকে একটা সাজেশন দেই এস এম। আমাকে নিয়ে তোমার ধারনাটা বরং তুমি একটুখানি এডিট করে নাও। এখন সবার আগে আমার কাছে আমার ভিউয়ার্স। সবার আগে ওদের চাওয়া। ওরা আমাকে যেভাবে চাইবে,আমি সেভাবেই নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারবো। পারি। ইচ্ছে নিজেকে বদলে নিয়েছে এস এম। একের পর এক আঘাতগুলো এতো বেশি কঠোর ছিলো যে,এখন ওকে শত আঘাতেও আর ভাঙতে পারবে না তুমি। সো লেট ইট বি। ট্রাই করা বাদ দাও এখন।

কথা শেষ করে ইচ্ছে সিড়ি বেয়ে চলে আসছিলো। পেছন থেকে নাফিজা বেগম শক্তগলায় বললেন,

-তুমি তো নিজের সাথে নিজের লাইফকে বেশ ভালোভাবেই গুছিয়ে নিয়েছো ইচ্ছে। অনেক ভালো চাল চেলেছো। তোমার মাস্টারপ্লানে নওশাদের সবটায় তুমি,সিঙিং ক্যারিয়ারে এস্টাব্লিশড্ তুমি,হাজারহাজার ফ্যানফলোয়ার তোমার। আর তারসাথে,রাকীন শাফায়াতও!

ইচ্ছে থামলো। তবে পেছন ফিরলো না। নাফিজা বেগমের চোখে ওর জন্য একরাশ ক্ষোভ,রাগ আর ঘৃনা। ছলছল করছে তার চোখ। ইচ্ছেকে থামতে দেখে সে‌ আরেকপা এগিয়ে বললো,

-অস্বীকার করতে পারো ইচ্ছে? এ সবকিছু শুধু তোমার না,আরো কেউ‌ অংশীদার ছিলো এর। অস্বীকার করতে পারো? নওশাদের কাছ থেকে বাবার ভালোবাসা আরো একজনের পাওয়ার কথা ছিলো। অস্বীকার করতে পারো? আরেকজনের তোমার চেয়ে ভালো ক্যারিয়ার নিয়ে বাচার কথা ছিলো। অস্বীকার করতে পারো ইচ্ছে? রাকীন শাফায়াতের “হবু বউ” সমেত “বউ” নামটা তোমার জন্য না,অন্যকারো জন্য বরাদ্দ ছিলো। অস্বীকার করতে পারো? বলো ইচ্ছে? অস্বীকার করতে পারো তুমি?

চেচিয়ে বললেন নাফিজা বেগম। চোখভরা জল তার। তবু তার আগে টুপটাপ জল গরালো ইচ্ছের চোখ থেকে। সিড়ি শক্তমুঠো করে ধরলো ও। এই চোখের জল নামক দুর্বলতাকে কারো সামনে আসতে দেওয়া যাবে না। একটা শুকনো ঢোক গিলে বললো,

-খেয়া ফিরে আসবে এস এম।

-আসবে না! আসবে না খেয়া! কোনোদিনও আসবে না! তুমি ওর ফেরার কোনো পথ খোলাই রাখোনি ইচ্ছে! আমার মেয়েটার অভিমান কোনোদিনও ভাঙবে না! ফিরবে না ও!

নাফিজা বেগমের চিৎকারে টমি ছুটে এসে শোড়গোল শুরু করে দিলো। ইচ্ছে শান্তভাবে বললো,

-স্টপ ইট টমি।

টমি থামলো না। ওর মতো চেচিয়ে ভয় দেখাচ্ছে নাফিজা বেগমকে। নাফিজা বেগম ঘৃনাদৃষ্টি ছুড়ে চলে গেলেন ওখান থেকে। ইচ্ছে থমথমে পায়ে নিজের ঘরে চলে আসলো। টমিও আসলো ওর পেছন পেছন। কাধের ব্যাগটা মেঝেতে রেখে বিছানায় পিঠ ঠেকিয়ে মেঝেতেই বসে পরলো ইচ্ছে। চোখ থেকে অনবরত পানি পরছে ওর। ঘাড় ঘুরিয়ে আস্তেধীরে ব্যালকনির সামনের দেওয়ালে সেই ভাঙা গিটারের কাঠে লেখা মা শব্দটার দিকে তাকালো ও। অস্ফুটস্বরে বললো,

-আর কতোদিন এই এতোবড় দায় বয়ে বেরাবো মা? আর কতোদিন? তোমার মেয়েকে কেউই বুঝলো না যে! তুমি চলে যাবার পর খেয়াই তো আমার সব ছিলো মা। ওউ কেনো ছেড়ে চলে গেলো আমাকে বলতে পারো? এতোভাবে নিঃস্ব করে দিয়ে কেনো উপরওয়ালা আমাকে বাচিয়ে রাখলো মা? শুধু এই দায়ের বোঝা বয়ে বেরোনোর জন্য? কোনোদিনও কি শেষ হবার নয় এ যন্ত্রনা? এভাবেই বাচতে হবে আমাকে? এভাবেই?

কথাগুলো বলে ইচ্ছে হাটু জরিয়ে নিলো নিজের। হুহু করে কাদতে কাদতে বললো,

-ফিরে আয় খেয়া! প্লিজ ফিরে আয়! আর পারছি না আমি! আর পারছি না!

টমি আবারো চেচাতে শুরু করেছে। ইচ্ছের কান্না সহ্য হচ্ছে না ওর। ইচ্ছে বললো,

-কাম ডাউন টমি।

টমি চেচাচ্ছেই। এবার ওর চেচানোটা সহ্য হচ্ছে না ইচ্ছের। নিজেও সর্বোচ্চস্বরে বললো,

-স্টপ বার্কিং এন্ড গেট লস্ট টমি! এখান থেকে চলে যা প্লিজ! একা থাকতে চাই আমি! একা থাকতে দে আমাকে!

টমি গুটিয়ে গেলো। লেজ নেড়ে ইচ্ছের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করলো বারকয়েক। ইচ্ছে প্রতিক্রিয়া দেখালো না বলে কিছুক্ষন পর চুপচাপ বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে।
অনেকটাসময় কান্নার পর হুশ ফিরলো ইচ্ছের। নিজেকে সামলাতে শাওয়ার নিলো ঘন্টাভর। তারপর ভেজা চুলগুলো ছেড়ে নিচে নেমে আসলো। মাথা ভারি হয়ে আছে একদম। নিচে ততোক্ষনে আবারো এসে বসেছেন নাফিজা বেগম। ইচ্ছে শক্ত রাখলো নিজেকে। একজন সার্ভবয়কে ডেকে দিয়ে বললো,

-কফি।

দুদন্ড পরই কফি হাজির। ইচ্ছে কফিমগে দুবার চুমুক দিয়ে একুরিয়ামের মাছগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলো। হুট করেই কিছু একটা মনে পরে গেছে ওর। টমিকে ডাক লাগালো ইচ্ছে। কোনো সাড়া নেই। কয়েকবার ডাকার পর ইচ্ছে বাসার চারজন সার্ভবয়কে ডেকে বললো,

-টমি কোথায়?

ছেলেগুলো ভয়ভয়ে একজন আরেকজনের দিকে তাকালো। ইচ্ছে কিঞ্চিত উচ্চস্বরে বললো,

-কিছু জিজ্ঞাসা করলাম আমি!

-আ্ আমরা দেখিনি ম্যাম! ও তো আপনার সাথেই আপনার রুমে…

নাফিজা বেগম বললেন,

-যাক। একটা আপদ তো বিদেয় হলো।

একপলক তার দিকে তাকিয়ে তৎক্ষনাৎ বেরিয়ে পরলো ইচ্ছে। এই প্রানীটাই আছে একমাত্র ওকে বোঝার মতো। বোঝে বলেই হয়তো অভিমান জানে। আগেও একবার ধমক দিয়েছিলো বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলো টমি। ইচ্ছে তাড়াহুড়ো করে গাড়ি স্টার্ট দিলো। বুঝে উঠতে পারছে না ঠিক কোনদিকে যাবে ও। তবুও খুজতে তো হবেই। আপন মানুষগুলোর মতো এই প্রানীটাকেও হারিয়ে ফেলতে চায়না ও। রাস্তার জায়গায় জায়গায় গাড়ি ঠেকিয়ে টমির ছবি দেখিয়ে একে ওকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো দেখেছে কিনা। মাস্কের আড়ালে ওর চেহারাটা না দেখায় স্বাভাবিক ছিলো সবাই। কিন্তু স্বাভাবিক ছিলো না সে মানুষটা। হারানোর ভয়ে চারপাশ আবছা হয়ে আসছিলো তার।

নিজের বাইকটার উপর ভাব নিয়ে বসে থাকা প্রানীটিকে সরু চোখে দেখে চলেছে প্রাপ্ত। তার সাদা ধবধবে লোমশ শরীরটা অল্পের জন্য ছিন্নভিন্ন হওয়া থেকে বেচেছে। প্রাপ্তই‌ বাচিয়েছে। কিন্তু তাতে যেনো ও‌ সন্তুষ্ট না। ওর মতে, এই প্রানীটার চারপায়ের মিনিমাম ছয়জায়গায় ফ্র্যাকচার হওয়া উচিত ছিলো। তাহলে অনেকটা শান্তি পেতো প্রাপ্ত। কারন ওটা টমি। সেই কুকুরটা,যেটার জন্য দ্বিতল বাসার জানালার সেল্ফ থেকে পরে গিয়ে ব্যথা পেতে হয়েছিলো ওকে। আর আজ ওই কিনা এই কুকুরটাকে বাচালো। মাহীম অনেকক্ষন হলো টমির প্রতি প্রাপ্তর প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। একসময় বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো,

-আর কতোক্ষন খালি চোখেই এটাকে জুম ইন,জুম আউট করে করে পরখ করবি ভাই? বিলেতি কু’ত্তা তোর পছন্দ? আগে জানতাম না তো!

মাথায় চাটি পরলো মাহীমের। প্রাপ্তই মেরেছে। তবে তাকিয়ে আছে এখনো টমির দিকে। যেনো মারটা টমিকেই‌ লাগালো ও। কিন্তু টমি বেপাত্তায মনের সুখে নিজের গায়ে জিভ লাগিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছনের অভিযান চালাতে ব্যস্ত সে। মাহীম মাথায় হাত বুলিয়ে কাদোকাদোভাবে বললো,

-মারলি কেনো ভাই?

-এটাকে বাচালাম বলে আফসোস হচ্ছে।

-তাই বলে আমাকে মারবি? দে ওটাকে আবারো মেইনরোডে ছেড়ে দিয়ে আসি। দে!

মাহীম এগোচ্ছিলো টমির দিকে। প্রাপ্ত ওর বাইকে পকেটে দুহাত গুজে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। আর ওদের সামনে টমি একা প্রাপ্তর বাইক জুড়ে বসে ছিলো। প্রাপ্ত মাহীমকে আবারো চাটি লাগালো মাথায়। মাহীম পেছন ফিরে খ্যাক শব্দে কেদে দিয়ে বললো,

-তুই কি চাস কি প্রাপ্ত?

-এটাকে পিসপিস করতে ইচ্ছে করছে।

-ইচ্ছের জিনিস নিয়ে ইচ্ছে করার রাইট তোমার নেই মিস্টার সাদমান ইনাব প্রাপ্ত।

ইচ্ছের গলা শুনে প্রাপ্ত ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকালো। সত্যিই বুকে হাত গুজে ওদের পাশে দাড়িয়ে আছে ইচ্ছে। গায়ে হালকা গোলাপি রঙের একটা কুর্তা,ল্যাগিংস্। ছাড়া চুলগুলো আধভেজা। কোনোরকম সাজগোজ ছাড়াই মোহনীয় এক রুপের সমাহার ওই উজ্জ্বল চেহারা। প্রাপ্তকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ওর সামনে তুড়ি বাজালো ইচ্ছে। টমির খোজে গাড়ি নিয়ে অনেকক্ষন ওভাবে ছুটছিলো ও। একসময় এক চেইকপোস্টের এক পুলিশকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে কারো গাড়ির সামনে পরতে গিয়ে কোনোমতে বেচে গেছে টমি। এক বাইকার নিয়ে গেছে টমিকে। সেদিক অনুসরন করেই এসেছে ইচ্ছে। এখানে এসে প্রাপ্তকে দেখবে,ধারনাতেও‌ ছিলো না ওর। প্রাপ্ত নিজেও এক আকাশ বিস্ময়ে আটকে আছে। মাহীম মোটামুটি ভয় পায় ইচ্ছের তীক্ষ্মদৃষ্টিকে। তাছাড়া প্রাপ্ত যেহেতু ইচ্ছেকে দেখতে পারে না,এখানে কিছু অঘটন ঘটবেই এমনটা ভেবে আস্তেধীরে কেটে পরলো ও। ইচ্ছে প্রাপ্তকে লক্ষ্য করে বললো,

-টমির প্রতি এতো রাগ কেনো তোমার মিস্টার গ্যাংস্টার?

প্রাপ্ত শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ওর দিকে। কিছু বললো না। উত্তর না পেয়ে ইচ্ছে টমির দিকে তাকালো। টমি প্রাপ্তর বাইকে থাকা সেই গিটারটার উপরেই বসে। কি হলো,নিশব্দে হেসে দিলো ইচ্ছে। ওর শব্দহীন হাসিতে প্রাপ্তর আশেপাশে একদফা দমকা হাওয়া বয়ে গেলো যেনো। কি ভেবে তখনতখনই চোখ সরিয়ে নিলো ও ইচ্ছের দিক থেকে। হনহনিয়ে গিয়ে টমিকে নামিয়ে দিলো বাইক থেকে। ইচ্ছের কাছে ছুটে আসলো টমি। আর ইচ্ছে কপাল কুচকে তাকালো প্রাপ্তর দিকে। প্রাপ্ত বাইকে বসে বাইকটা স্টার্ট দিয়ে বললো,

-আমার রাগের কারন জানার না তোমার দরকার আছে,না অধিকার। মাইন্ড ইউর‌ ওন বিজনেস মিস রকস্টার।

প্রাপ্ত বাইক ছুটাবে,টমি একদম সামনে এসে দাড়িয়েছে ওর বাইকের। বাইকটা থামাতে বাধ্য হলো ও। ইচ্ছে মুচকি হেসে ওর‌ বাইকের ব্যাকসিট থেকে গিটারটা খুললো। ওটা নিজের কাধে ঝুলিয়ে বললো,

-সরি এক্সেপ্টেড।‌ এখন এটলিস্ট রাগ কমাও মিস্টার গ্যাংস্টার? আর হ্যাঁ! এতো রাগ পুষতে নেই। তোমার এই রাগে তোমাকে আর যেই‌ হোক,ইচ্ছে ভয় পায় না। মাইন্ড ইট! বাই।

ইচ্ছে গিটার কাধে নিয়ে টমিকে কোলে রেখে আদর করতে করতে চলে গেলো। স্তব্ধ হয়ে বাইকে বসে রইলো প্রাপ্ত। ও তো ইচ্ছেকে ইগ্নোর করতে চাইছিলো। আর এই‌ মেয়ে ওর সরি,গিটার নিয়ে রাগের উল্টো মানে বের করে গেলো? ইচ্ছের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে ওর জীবনের সবটা এভাবে উল্টে যাচ্ছে কেনো? এ কোন অসীমকরনে আটকে যাচ্ছে ও? এ কোন বাধন? কোন নোঙর?

#চলবে…