#তবুও ভালোবাসি
#পর্ব_২২
#রেজওয়ানা_রমা
(রহস্যভেদের প্রথম ধাপ)
ফার্ম হাউজের ভেতরে ঢুকতেই একটা বাচ্চা মেয়ে দৌড়ে এসে রিয়ান কে জড়িয়ে ধরে। বয়স হয়তো ৩/৪ বছর হবে। আচমকা এমন হওয়ার কারনে রিয়ান রিক দাড়িয়ে পড়ে। রিয়ান একটু নিচে হয়ে মেয়ে টা কোলে তুলে নিয়ে বলে,
-কে তুমি?
-আমাল নাম তুনি
-তুনি?
-না না তুনি
-ওর নাম তুলি। আমার মেয়ে।
আদনানের এ কথায় পেছনে ঘুরে তাকায় রিক আর রিয়ান। মেয়ে টা ভারি মিষ্টি। রিয়ান মেয়ে টা কে কোলে নিয়ে সোফায় গিয়ে বসে। সাথে রিক ও। রিয়ান আকাশ কে কিছু একটা ইশারা করে। আকাশ চলে যায়। রিয়ান মেয়ে টার সাথে গল্প করছে
তুলি: আনতেল তুমি অনেক ভালো
রিয়ান:তাই বুঝি?
রিক: আমি ভালো নই তুলি মামনি?
তুলি: তুমিও ভালো আনতেল।
রিক:ওরে তাই বুঝি? চকলেট খাবে?
তুলি: না না আমাকে ঘুলতে নিয়ে দাবে?
রিয়ান: তুমি ঘুরতে যাবে? কোথায় যাবে?
এর মধ্যেই আকাশ এসে বলে,
-স্যার সব রেডি
-ওকে
তুলি কে নামিয়ে দিয়ে বলে,
-মামনি তুমি এখানে খেলা করো আমি আসছি এক্ষুনি
-তিক আতে আনতেল
রিক আর রিয়ান চলে যায় আকাশের সাথে।
ঈশান আর মিরা কে এখনো আগের অবস্থায় রেখেছে। ঈশান কে মারলেও মিরার গায়ে একটা আচড় ও দেওয়া হয় নি। মিরা কে শুধু মাত্র আটকে রাখা হয়েছে। রিয়ান কে দেখে মিরা কান্না করতে করতে বলে,
মিরা: আমাকে ছেড়ে দাও রিয়ান। আমার ভুল হয়ে গেছে। প্লিজ রিয়ান আমাকে ছেড়ে দাও। মাফ করে দাও আমায়
রিয়ান: অপরাধ করার আগে মনে ছিল না? এখন এসব কান্নাকাটি বন্ধ করো। ( ধমক দিয়ে)
রিক: ছেড়ে দে না ভাই অনেক তো হলো
রিয়ান: তুই চুপ থাক।
রিক: আচ্ছা মিরা কে ছেড়ে দে। কিন্তু এই বাড়ি থেকে বের হতে দিস না। মানে ওর পানিশমেন্ট হবে এই বাড়ির সব কাজ ও একাই করবে। 😁
রিয়ান : বুদ্ধি টা মন্দ নয় 😅
সবাই রিকের এমন দুষ্টু বুদ্ধি তে হেসে দেয়।
রিয়ানের ইশারায় মিরা কে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ির সব কাজ মিরা কে করতে হবে। বাড়ির খেয়াল যারা রাখত সবাই কে কাজ করতে নিষেধ করা হয়। কারণ এখন থেকে সব কাজ মিরা কে করতে হবে।
কথা মত মিরা বাড়ির সব কাজ করছে। রান্না করছে, বাড়ি পরিষ্কার করছে, ফার্নিচারের ধুলো ঝাড়ছে। বাড়ির কাজ করতে করতে মিরার নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা। যা দেখে রিয়ান আর রিক হাসতে হাসতে শেষ।
এবার রিয়ান চলে যায় আদির কাছে। আদি কে ঝুলিয়ে রেখেছে ফুটন্ত গরম পানির ওপর। আদির নিচে গরম পানি। যদি তার হাতের বাধন ছিড়ে যায় তাহলে সে এই গরম পানি তে পড়ে মারা যাবে।
রিয়ান: কিরে আরো কিছু পার্সেল দিবি?
আদি: হাতের বাধন খুলে দিয়ে কথা বল দেখি তোর বুকের পাটা কত বড়
রিয়ান: হাতের বাধন খুলে দিতে পারি। এক বার নিচে দেখ।তা পর বল বাধন খুলে দিতে কি রে দেবো খুলে?
আদি আর কোনো কথা বলে না। রিয়ান একটা বাকা হাসি দিয়ে আবারও বলে,
রিয়ান: আব্বু কে কেন মারলি?
আদি: আমি উনাকে মারতে চাই নি।
আদি:আমি তো তোকে মারতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু তোর বাপ টা এসে তোকে বাচিয়ে দিলো।
রিয়ান: তাই বলে আব্বু কে আঘাত করলি?
আদি: না। আমি নই।
রিক: তাহলে কে?
আদি:বনি। আমি আর বনি ছিলাম সেদিন। আমি রিয়ান কে মারতে যাবো সেই মুহুর্তে উনি আমার হাত ধরে ফেলে। আর বনি তখন উনার মুখ চেপে ধরে রাখে। উনি আমার মুখ দেখেছিল তাই আমি উনাকে ক্লোরোফম দিয়ে দিছিলাম। আর বনি কে বলেছিলাম চলে আসতে আর আমিও চলে আসি।
রিয়ান: তারপর?
আদি: তারপর বনি এসে বলে যে উনাকে খতম করে দিয়েছে। আমি বলেছিলাম যেন উনার কিছু না হয়। কারন চাই নি উনাকে মারতে। তবুও বনি মেরেছে তাই আমি বনি কে মেরে ফেলেছি।
রিয়ান: মেরে ফেলেছিস? (অবাক হয়)
আদি: হ্যাঁ। কারন রাইয়ান চৌধুরী তোর একার বাবা নয়। আমারও বাবা,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
#চলবে