#তবুও ভালোবাসি
#পর্ব_২৭
#রেজওয়ানা_রমা
(বোনাস পার্ট)
রিক রুমে পায়চারি করছে আর ভাবছে আদি কে কিভাবে পুলিশের হাত থেকে বাচাবে। রিয়ান কে ফোনে আদির সব ঘটনা বলে রিক।
-এখন কি করবি?
-বুঝতে পারছি না। বনির ডেথ বডি কোথায় আদির কাছে শুনিস তো
-ঠিক আছ। আদি কে তাহলে এখন কি করব?
-আদি যেমন আছে ওভাবেই রেখে দে। আর মিরার দিকে খেয়ার রাখিস যেন পালিয়ে না যায়। সাথে ঈশানের দিকেও। এদের বিশ্বাস নেই
– ভাই মিরা বদলে গেছে। মিরা এখন নিজের ভুলের জন্য চোখের পানি ফেলছে।
– ফেলুক। ওর শাস্তি এখনো বাকি। আচ্ছা রাখি এখন আবার পরে কথা হবে।
-হুম
রিক ফোন কেটে দেয়। সন্ধা হয়ে গেছে। বাড়ির সবাই সবার মত ব্যস্ত। মেহুল নিজের রুম থেকে বের ই হয় না। সারাক্ষন রিয়ানের কথা ভাবছে। কোনো কিছুই যেন তার ভালো লাগছে না। রিয়ান কে ছাড়া তার চারিপাশ ফাকা ফাকা লাগছে।
আর এদিকে রিফা নিজের ঘরে বসে বসে কলেজের নোট করছে। এমন সময় রিক নিশ্চুপে রিফার ঘরে প্রবেশ করে। দেখে রিফা কাজে ব্যস্ত। রিক পিছন থেকে রিফার চোখ ধরে।
-কে? (চোখের ওপর হাত দিয়ে)
-(নিশ্চুপ)
-কে? আম্মু? নাকি ভাবি? কিন্তু এটা তো আম্মু বা ভাবির হাত নয়। কে আপনি?
– চুপ একদম চুপ। সারপ্রাইজ আছে চলো
-রিক ভাইয়া?
-হুম চলো
– কোথায়?
-বললাম না সারপ্রাইজ আছে।
-সারপ্রাইজ?
-হুম চলো
রিক রিফা কে নিয়ে ছাদে চলে যায়।
এবার রিফা কে ছেড়ে দেয়। আর বলে, আমি এক্ষুনি আসছি । রিফা চোখ খুলে কিছুই দেখলো না। কারণ চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। রিফা সামনে এগোচ্ছে আর রিক কে ডাকছে,
-রিক ভাইয়া রিক ভাইয়া আপনি কোথায়? এখানে এতো অন্ধকার কেন? আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না রিক ভাইয়া
এর মধ্যেই পুরো ছাদ আলো আলো হয়ে যায়। চারিদিকে আলো আর আলো। পুরো ছাদ লাইট দিয়ে অনেক সুন্দর করে ডেকরেশন করা। রিফা হঠাৎ করে দেখে চমকে যায়।
-এতো আলো? ওয়াও কি সুন্দর করে সাজিয়েছে। আমাদের ছাদের লুক টাই চেঞ্জ করে দিয়েছে। কিন্তু রিক ভাইয়া কোথায় গেল? রিক ভা….
এরই মধ্যে ভেসে আসে কারো কন্ঠস্বর,
মনটা দিলাম তোমার হাতে
যত্ন করে রেখো।
হ্রদয় মাঝে ছোট্ট করে
আমার ছবি একো।
স্বপ্নগুলো দিলাম তাতে
আর ও দিলাম আশা।
স্বপ্নের মতো সাজিয়ে নিও
আমার ভালবাসা।
হঠাৎ এমন কবিতা শুনে রিফা মুচকি হাসে। আবার মূহুর্তেই হাসি মিলিয়ে যায়। রিফা ভাবে এটা তো সেই কন্ঠস্বর। যে তাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করে। রিফা চারিদিকে খুজছে কিন্তু কোথাও কেউ নেই। অতঃপর আবারও ভেসে আসে সেই কন্ঠস্বর।
“তুমি কি জানো তুমি আমার কাছে কি?
তুমি আমার হৃদয়ে থাকা
এক সুপ্ত বাসনা।
এক অপূর্ন ইচ্ছে
একটি বারের জন্য
আমার অস্তিত্বকে খুব
কাছে থেকে উপলব্ধি করার।”
রিফুপাখি I love you
ভালোবাসবে আমায়?
Ł
রিফা এবার বুঝতে পারে ফোনের সেই লোক টা রিক। কিন্তু রিফা এই মুহূর্তে বুঝতে পারছে না তার কি করা উচিত। রিক তাকে প্রপোজ করছে। রিফা চুপ করে দাড়িয়ে আছে। রিক এখনো সামনে আসে নি। অতঃপর,
-সামনে আসুন
-(নিশ্চুপ)
-আমি সামনে আসতে বলেছি। সামনে আসুন।
– চোখ বন্ধ করো। আমাকে সামনে দেখতে পাবা।
রিফা চোখ বন্ধ করে নেয়। রিক সামনে আসে। রিফার সামনে হাটু ভাজ করে বসে একটা রিং এগিয়ে দিয়ে বলে,
– will you marry me?
রিফা চোখ খুলেই হা। রিক কে এভাবে দেখবে সে কখনও ভাবে নি। রিক প্রপোজ করবে এটা কল্পনার বাইরে ছিল।
– দেখুন আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না। এই সব ভালোবাসায় বিশ্বাস করি না। প্লিজ এসব বন্ধ করুন আর আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাও টাও। এটা কখনও সম্ভব না।
বলে রিফা দ্রুত পায়ে চলে যায়। রিক তখনই বলে,
– তুমিই নিজেই আমার কাছে আসবে এইবার। আর ভালোবাসা বা স্বপ্ন দেখা কোনো টাই বন্ধ হবে না।
রিফা কথা গুলো শুনেও যেন শুনলো না। নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
আর এদিকে রিকের নিজের প্রতি ই রাগ হচ্ছে। ছাদের সব কিছু নষ্ট করে দেয়। অন্ধকার করে ছাদের এক কোনে গিয়ে সিগারেট ধরিয়ে নেয়।
রাতের খাবার খেয়ে সবাই সবার রুমে চলে যায়। আর রিক যায় ছাদে। আবারও সিগারেটে ডুবে থাকে।
রিফার মুখে না কথা টা রিক মানতে পারছে। সারারাত ছাদে কাটিয়েছে।
সকাল,
#চলবে