বাবার ভালোবাসা পর্ব-২৮+২৯

0
277

বাবার_ভালোবাসা।

পর্বঃ২৮
লেখাঃরাইসার_আব্বু।

-কথা হসপিটাল থেকে ঠিকানা নিয়ে যখন কণাদের বাসায় চলে যায়। কথা যখন কণাদের বাসায় ঢুকবে এমন সময় রাজ আর রাইসাকে বাসা থেকে বের হতে দেখেই দৌড়ে রাজের সামনে গিয়ে বললো’ রাজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ‘
– ম্যাডাম ছোটলোকের কাছে ক্ষমা চাইতে নেই।
– রাজ প্লিজ আমি বুঝতে পারিনি। আমি না বুঝেই এসব করছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও।
– এই রিক্সা নিউমার্কেট যাবে?
– আমি যখন গাড়িতে উঠবো, এমন সময় কথা পিছন থেকে হাতটা ধরে ফেলল। আমি কথার হাতটা ছাড়িয়ে দিয়ে কথার গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলাম। কথা কাঁদছে। হ্যাঁ কাদুক।
– কি হলো আরো মারো? তবুও ছেড়ে যেয়ো না।
– আশ্চর্য আপনি রাস্তায় এমন করছেন কেন?
– রাজ আমি অন্যায় করেছি, জানি না এ অন্যায়ের ক্ষমা আছে কি না? তবু যে শাস্তি দিবে সেটাই মেনে নিবো। আমি তোমাকে ভালোবাসি রাজ।
– ভালোবাসা? যখন সবাই মারতেছিল তখন কোথায় ছিলো? ওহ্ কাকে কি বলছি? আপনি নিজেই তো হুকুম দিয়েছিলেন।
– রাজ আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি। ওই ভিডিও দেখার পর আমি সত্যিই নিজের মনকে শান্ত করতে পারিনি।
– ম্যাডাম প্লিজ আপনি চলে যান। আপনাকে দেখতে মন চাচ্ছে না।

– রাজ ওভাবে বলো না, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। বাকি জীবন তোমার পায়ের নিচে কাঁটিয়ে দিবো।
-আপনি সামনে থেকে সরেন।
– আমি তোমাকে ছাড়া যাবো না।
– মামনি চলো তো।
– হুম বাবাই চলো।
-রাইসাকে নিয়ে যখন রওনা দিবো এমন সময় বুঝতে পারলাম পা দু’টো কেউ জড়িয়ে ধরেছে।
– চেয়েই দেখি কথা। কি হলো এভাবে পা ধরলেন কেন?দেখেন রাস্তার মানুষ দেখছে। প্লিজ আপনি চলে যান।
– রাজ আমি অনেক অন্যায় করেছি। তুমি আমাকে মেরে ফেলো তবুও ছেড়ে যেয়ো না। কথা পা ধরে কান্না করছে।
– বাবাই তুমি ক্ষমা করো না। আমি পা ধরে তোমার জীবন ভিক্ষা চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা তোমাকে মেরে রক্তাত করে দিয়েছে।
– কি হলো ম্যাডাম পা ছাড়েন।
– আমি পা ছাড়বো না।
– কথাকে পা থেকে তুলে সবার সামনে কষে থাপ্পর লাগিয়ে দিলাম। কথার গালটা লাল হয়ে গেছে। মনে মনে স্থির করে নিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহর ছেড়ে চলে যাবো। আমি চাইনা আর কষ্ট পেতে।
– রাজ কি হলো, একটা থাপ্পর মাত্র দিলে? আরো দাও! নাকি আমি পাপীকে তোমার থাপ্পর দিতেও কষ্ট হচ্ছে।
– আপনি যান তো ম্যাডাম।
– রাইসাকে নিয়ে একটা রিক্সা করে চলে আসলাম।
– বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।
– বাসায় এসে শুয়ে আছি, রাইসা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। বুঝতে পারছি না নিয়তী আমাকে নিয়ে এমন খেলা খেলছে কেন।

– হঠাৎ দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ শুনলাম। দরজা খুলে দিতেই দেখি কথা ম্যাডাম।
– ম্যাডাম আপনি? রাতে কেন?
– আমি বাসায় যায়নি রাজ। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমাকে ক্ষমা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না।
-ম্যাডাম এসব পাগলামি। প্লিজ পাগলামী করবেন না। আপনার বাবা এসব দেখলে কষ্ট পাবে।

– রাজ আমি তোমাকে ছাড়া যাবো না। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। রাইসার মা হতে চাই।
– তাই বুঝি, রাইসার মা হবেন?
– হ্যাঁ সত্যি বলছি।

– আপনি না বলেছেন রাইসা একটা পতিতার মেয়ে। আর আমি নাকি ছোটলোক, কুত্তা। তো আপনি কেন আসছেন কুত্তাকে বিয়ে করতে। আপনি কেন আসছেন পতিতা হতে। সত্যি বলতে কি জানেন? আপনার এই মুখটা আমার দেখতে ইচ্ছে করছে না। আমি শুধু আপনাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম রাইসার জন্য। আর সেই আপনিই রাইসাকে পতিতার মেয়ে বানিয়ে দিলেন। আপনি প্লিজ চলে যান। আপনার বাবার টাকা আছে, আপনার চেহারা সুন্দর। এমন একাটা ল্যাংড়ার বউ হওয়ার সখ থাকা ভালো না।

-রাজ আমি তোমার দু’টি পা ধরে বলছি, এই পা থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়ো না আমি তোমার পায়ের নিচেই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।
– বাহ্ আপনাদের অভিনয়ের তারিফ করতে হয়।
– রাজ আমি অভিনয় করছি না।

– আপনি চলে যান এখান থেকে। আর পা ছাড়েন।
– আমি পা ছাড়বো না।
– আপনি যদি পা না ছাড়েন, তাহলে আমার মরা মুখ দেখবেন।
– প্লিজ রাজ, এমন বলো না, আমি তোমার পা ছেড়ে দিচ্ছি। তবে মনে রেখো আমাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমার পায়ের নিচে জায়গা দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোথাও যাবো না আমি।

– হুম আপনার ইচ্চা। এই বলেই দরজা লাগিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। মাঝ রাতে, আকাশে মেঘের গর্জনে ঘুম ভাঙল। খুব শীত লাগছে। এদিকে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গেছে। বৃষ্টি পানি জানালি দিয়ে ভেতরে আসছে। তাড়াহুড়া করে জানালা লাগিয়ে দিচ্ছি এমন সময় বিদ্যু চমকালে। বিদ্যু চমকানোর সাথে সাথেই বাহিরে স্পষ্ট দেখতে পেলাম। কথা বৃষ্টির মাঝে একটা গাছের নিচে বসে আছে।
– এদিকে বৃষ্টি বেড়েই চলছে। কি করবো কিছু ভেবে পাচ্ছি না। ফোন দিলাম কথার বাবাকে, ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই ফোনটা রিসিভ করেই বলল’ কিরে, কেন ফোন দিয়েছিস আমাকে? আর কি চাস?
– কিছু না।
– তাহলে কেন ফোন দিয়েছিস। এমনিই কথাকে বাসায় আসছে না।
– ওহ্ তাই। আপনার মেয়ে আমার বাড়িতে নিয়ে যান।
-আমার মেয়ের কিছু হলে তোকে ছাড়বো না।
-আচ্ছা। বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। খুব শীত লাগছে। ঘর থেকে ছাতা নিয়ে কথার পাশে দাঁড়ালাম। কথা কাঁপছে শীতে। আমার দিকে কোন খেয়াল নেই। গুটিসুটি মেরে বসে আছে।
– আমি ছাতা নিয়ে কথার মাথার উপরে ধরতেই আমার দিকে ফিরে তাকালো।
– কোন কথা বলছে না, শীতে কাঁপছে। ম্যাডাম কেন করছেন এসব পাগলামি?অসুস্থ হয়ে যাবেন তো ।
– তুমি কেন এসেছো? আমি মরলেই কি তোমার? আমার মরার উচিত। আমার জীবনকে আমি কষ্ট দিয়েছি। তুমি চলে যাও। আমাকে কষ্ট পেতে দাও।
– আপনি আমার বাসার সামনে থেকে সরে গিয়ে যা ইচ্ছা তাই করেন।
– রাজ আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না।
– প্লিজ বাসায় যান।
– আমি যাবো না। রাজ আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে। আমাকে বুকে নিবা?কথাটা বলেই মাটিতে পড়ে গেল কথা।
– আমি কথার শরীরে হাত দিয়ে দেখি, শরীর ঠান্ডা বরফ হয়ে গেছে। তাড়াহুড়া করে রুমে নিয়ে গিয়ে শরীর মুছে দিয়ে,হাতে পায়ে তেল দিচ্ছি এমন সময় কলিং বেলটা বেজে ওঠলো। দরজা খুলতেই দেখি কথার বাবা। সাথে পুলিশ।
– স্যার, এই ছোটলোকটাই আমার মেয়েকে কিডন্যাপ করেছে। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
– মিঃ রাজ আমাদের সাথে থানায় চলেন। তার আগে বলেন করিম সাহেবের মেয়ে কোথায়।
– এমন সময় রাইসা দৌড়ে এসে বলে, এই যে পুলিশ আঙ্কেল আমার বাবাইকে কোথায় নেন?
– কি হলো বলছিস না কেন, মেয়েটা কোথায়।
– আমি ইশারায় রুমের কথা বললাম।
– করিম সাহেব দৌড়ে চলে গেলেন রুমে। রুমে গিয়েই দেখে কথা শুয়ে আছে। কথা সেন্সলেন্স হয়ে গেছে।
– কি হলো, আপনারা কি দেখছেন? হারামিটাকে নিয়ে যান। আমার মেয়েটাকে টর্চার করে, সেন্সলেন্স করে ফেলেছে।
– স্যার আমি কিছু করিনি।
– হুম তাতো দেখতেই পারছি। থানাই নিয়ে কয়েকটা বারি দিলেই সব কথা বের হবে ।
– আঙ্কেল আমার বাবা কিছু করেনি। এই বলে রাইসা কান্না শুরু করে দিল।
– মামনি কান্না করে, না। আমি যাবো আর আসবো।
-এমন সময় কথা মিটিমিটি করে চোখ খুলে। চোখ খুলতেই তার বাবাকে দেখে চমকে যায়! বাবা তুমি?
– হ্যাঁ মা, আমি তোকে হারামিটার হাত থেকে বাঁচাতে খবর পেয়েই পুলিশ নিয়ে এসেছি। আর হাতেনাতেও ধরেছি।
– বাবা রাজের কোন দোষ নেই। আমি নিজেই এসেছি। আর এই যে আপনারা আসতে পারেন। রাজের কোন দোষ নেই। রাজ আর আমি স্বামি -স্ত্রী। বাবা এটা মানতে পারেনি। তাই আপনাদের মিথ্যা বলে এনেছে। আপনারা গেলে খুশি হবো।
– কি বলছেন এসব মা?
– হ্যাঁ বাবা সত্যিই বলছি।

– শেষ পর্যন্ত চরিত্রহীন, ছোটলোকটাকে?
– বাবা রাজ চরিত্রহীন না। আর আপনারা যাচ্ছেন না কেন?
– জ্বি ম্যাডাম যাচ্ছি। সরি মিঃ রাজ। আপনাকে বিরক্ত করলাম।
– পুলিশ চলে গেলে, কথাকে আর তার বাবাকে বললাম’ আঙ্কেল আপনার মেয়েকে কিডন্যাপ করলে আপনাকে ফোন দিয়ে বলতাম না। আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। আর হ্যাঁ শুনে রাখেন আপনার সম্পত্তি যদি আমার পায়ের নিচে লুঠিয়ে দেন তবুও আপনার মেয়েকে বিয়ে তো দূরের কথা একটা বার বুকে টেনেও নিবো না। আপনারা যতটা না কষ্ট দিয়েছেন তার চেয়ে হাজারগুণ কষ্ট পাবেন।
-আপনারা আসতে পারেন।

– রাজ আমাকে তাড়িয়ে দিয়ো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি তোমার পায়ের নিচে জায়গা না দিলে আমি এখান থেকে কোথাও যাবো না । বাড়ির বাহিরেই দাঁড়িয়ে থাকবো।

– তাই বুঝি, আন্টি। আচ্ছা আন্টি আপনার কি মনে আছে? আপনাকে বলেছিলাম না আমার বাবা খারাপ হতে পারে না। তবুও বাবাইকে মেরেছিলেন। আর আপনার বাবা, তাকে তো আমি নানু ভাই ডাকতাম। তিনি চড় মেরে আমার ঠোঁট ফাটিয়ে দিয়েছিল। দেখছেন আজ আপনারাই আমার বাবার কাছে এসেছেন। আর এই যে কথা আন্টি বলেছিলাম না আমার বাবার পা ধরে কাঁদতে হবে। আল্লাহ ঠিকই শুনেছে। আপনারা যাচ্ছেন না কেন? আর এই যে আপনাকে বলছি, আমরা গরিব। আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিবেন। দৃষ্টাব করবেন না বাবাই চলো ঘুমাবো।

– কথা তার বাবাইকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো ‘ বাবাই আমি রাজকে ছাঁড়া বাঁচবো না। বাবাই রাজ বলো না আমাকে ক্ষমা করে দিতে।
– কথার বাবা কিছু না বলে কথাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

– কথা আর সারারাত ঘুমাতে পারে না। কথা তার বাবাকে সব ঘটনা খুলে বলে। কথার বাবা নিজেই অনুতপ্ত । এ মুখ নিয়ে রাজের কাছে কিভাবে গিয়ে দাঁড়াবে।

.এদিকে, পরের দিন সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসতেই দেখি ডাক্তার কণা আর রাইসা বসে আছে।
– রাইসা কনার সাথে মোবাইলে লুডু খেলছে। কণা আমাকে দেখেই বললো’ আপনার শরীর কেমন? আর মেডিসিনগুলো ঠিকমতো নিচ্ছেন তো?
– হ্যাঁ নিচ্ছি। হঠাৎ কি মনে করে?
-কিছু মনে না করলে, আজ সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় আপনাদের দাওয়াত। আমার বার্থডে। তাই ভাবলাম আপনারা গেলে মুহূর্তটা সুন্দর হতো। আমি এখন আসি। আর হ্যাঁ অবশ্যই যাবেন।
– অাচ্ছা , কিছু খেয়ে যান?
– না অন্যদিন।
– কণা চলে যেতেই রাইসাকে বললাম’ মামনি কি গিফট দেওয়া যায়?
– হাতে তো টাকাও নেই? যে কিছু টাকা আছে এগুলোতো কয়েকদিন বাজার লাগবে ।
– এমন সময় রাইসা তার মাটির ব্যাংকটা আমার হাতে দিয়ে বললো’ বাবাই এখানে মনে হয় অনেকটাকা জমেছে। ‘ ভাবছিলাম তোমার সামনে বার্থডেতে একটা গির্ফট কিনে দিবো। কিন্তু এখন কণা মামনিকেই দিতে হচ্ছে। উনি না থাকলে তোমার চিকিৎসা হতো না।
– আমার চোখ দিয়ে কেন যেন পানি পড়ছে।
– বাবাই তুমি কাঁদছো?
– না মা। আমার ছোট্ট মা টা যে আমার জন্য এতোকিছু চিন্তা করে রেখেছে তা ভাবতে পারিনি।
– এই জন্য কেউ কাঁদে?
– এমন সময় বাসার কলিং বেলটা বেজে ওঠলো । দরজা খুলতেই দেখি, মৌ দাঁড়িয়ে আছে। নীল রঙের একটা শাড়ি পড়েছে।
– কি হলো ভেতরে আসতে বলবে না?
– আপনি কিছু বলবেন?
– রাজ তুমি তো জানোই আমি কি চায়। আমি কতবার বলবো আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে পাওয়ার জন্য নিজের জীবনও দিতে পারি। তুমি শুধু একটাবার সুযোগ দাও। আমাকে রাইসার মায়ের অধিকারটা দাও।
– কি বললি তুই? রাইসার মা? তোর ওই পাপ মুখে আমার মেয়ের নাম নিবি না। বলেই শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে মৌ এর গালে চড় বসিয়ে দিলাম।
– তুমি আমাকে মারতে পারলো?
– আবারো চড় দিয়ে বললাম’ তোকে শুধু চড় দিয়ে অন্যায় করছি। তোর মতো, নষ্টা মেয়েকে ””

চলবে”””’

বাবার_ভালোবাসা

পর্ব:২৯
লেখাঃরাইসার_আব্বু।

মৌ দাঁড়িয়ে আছে। নীল রঙের একটা শাড়ি পড়েছে।
– কি হলো ভেতরে আসতে বলবে না?
– আপনি কিছু বলবেন?
– রাজ তুমি তো জানোই আমি কি চায়। আমি কতবার বলবো আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে পাওয়ার জন্য নিজের জীবনও দিতে পারি। তুমি শুধু একটাবার সুযোগ দাও। আমাকে রাইসার মায়ের অধিকারটা দাও।
– কি বললি তুই? রাইসার মা? তোর ওই পাপ মুখে আমার মেয়ের নাম নিবি না। বলেই শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে মৌ এর গালে চড় বসিয়ে দিলাম।
– তুমি আমাকে মারতে পারলো?
– আবারো চড় দিয়ে বললাম’ তোকে শুধু চড় দিয়ে অন্যায় করছি। তোর মতো, নষ্টা মেয়েকে যদি নিজ হাতে খুন করতে পারতাম তাহলেও কম হয়ে যেত।

– রাজ এমন করছো কেন? কি হয়েছে বলো?আমি কি এতটাই খারাপ? আর কত কষ্টে দিবে?
– কষ্ট! আমি তোমাকে দিয়েছি? আমি তোমাকে কোন কষ্ট দেয়নি। বরং এক পৃথিবী কষ্ট আমি পেয়েছি।

– আর কোন কষ্ট দিবো না। চলো না নতুন করে সব কিছু শুরু করি? আমি তোমাকে ছাড়া যে কিছু ভাবতে পারি না। শুধু একবার টাস্ট করো আমায়।
– সরি, আপনি চলে যান। রাইসা আপনাকে দেখলে কষ্ট পাবে।
– আমি কোথায় যাবো বলো? না -আছে বাবা না আছে মা। আমার যে তুমি ছাড়া কেউ নেই। আমি রাইসার মা হয়ে বাকিটা জীবন তোমার বুকে পার করে দিতে চাই।

– আপনার মুখে এসব শোভা পায় না।
– রাজ আমি তোমার পায়ে পড়ি। আমাকে এভাবে তাড়িয়ে দিয়ো না।
– আশ্চর্য পা ধরছেন কেন?
– তুমি আমাকে বুকে টেনে নিবে বলো?
– আগে পা ছাড়েন। আর প্লিজ এখান থেকে চলে যান। আমি এখান থেকে যাবো না। তোমাকে আর রাইসাকে ছেড়ে কোথায় যাবো বলো? আমি যে তোমাকে আর রাইসাকে ছাড়া বাঁচবো না। তোমরা দু’জনই আমার পৃথিবী।
– পা ছাড়ো বলছি।
– না পা ছাড়বো না।
– মৌ পা ধরে কান্না করছে, আজ কেন জানি মৌ এর কান্না দেখে একবিন্দু কষ্ট লাগছে না। চোখের সামনে নিলয় আর মৌ এর বিবস্ত্র চেহারাটা ভেসে ওঠছে। এমন সময় রাইসা কোথায় থেকে এসে বললো’ বাবা উনি এখানে কি করে?
– মামনি আমি তোমার কাছে থাকতে এসেছি।
– ছি! কে আপনার মামনি? আমি আপনার মামনি নয়। আপনার জন্য তারা বাবাইকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আপনি একটা পঁচা। আমরা গত পরশু দিন আপনার বাসায় গিয়েছিলাম। আপনাকে নিয়ে আসতে। কিন্তু, আপনি অন্য লোকের সাথে।

– বাবাই উনাকে চলে যেতে বলো। আমার মম মরে গেছে। সেই দু’বছর আগেই। বাবাই তুমি যেতো বলো।
– কি হলো মৌ, আরো কিছু জানতে চাও?
– কি বলছো এসব?
– রাইসা মামনি তুমি একটু রুমে যাও তো।
– আচ্ছা বাবাই।

– রাইসা চলে গেলে, মৌকে পা থেকে উঠিয়ে বললাম’ জানেন আপনাকে কতটা ভালোবাসতাম? জানেন না? আজ বলছি শুনেন, এমন একটা রাত নেই আপনার ছবি বুকে নিয়ে না ঘুমাতাম। আপনার ছবি বুকে নিয়ে কাঁদতাম। বড্ডবেশি ভালোবাসতাম আপনাকে। তাই তো সবকিছু ভুলে, আপনার সকল ভুল মাফ করে দিয়ে কাছে টেনে নিতে যখন আপনার বাসায় যায় তখন দেখি আপনি আর নিলয় একে অপরের বুকে শুয়ে আছেন। বলেনতো কি করতে পারি?জানেন মৃত্যু যতটা যন্ত্রণায় না তার চেয়ে বেশি যন্ত্রণা পেয়েছিলাম আপনাকে সে অবস্থায় দেখে। তার পরেও কি বলতে চান আপনাকে বুকে টেনে নিবো? জানেন ভালোবাসায় বিশ্বাসটা সব চেয়ে বড়। আপনি সে বিশ্বাস কাচের টুকরোর মতো ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসা কি পাপ না অন্যায়? আপনাকে তো কোন স্বার্থ ছাড়াই ভালোবেসে ছিলাম। বিনিময় পেয়েছি, শুধু দুঃখ কষ্ট লাঞ্ছনা। একটা মানুষের সাথে কতবার প্রতারণা করা যায়? কতোবার বিশ্বাস ভাঙা যায় বলবেন?

– মৌ এর বুঝতে বাকি রইল না, নিলয়ের সাথে সেদিন যা যা হইছে সব রাজ দেখেছে। মৌ কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না। গাছের গুড়া কাটলে যেমন গাছটা পড়ে যায়। তেমনি মৌ আমার পায়ে পড়ে গেল। পা দু’টো ঝাপটে ধরে বলতে লাগলো ‘ রাজ আমার মৃত মায়ের কসম আমি তোমাকে ভালোবাসি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি। আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি সেটা হয়তো বুঝাতে পারবো না। হুমম তুমি যা দেখেছো সব সত্যিই বলবো না মিথ্যা। জানো রাজ প্রথম যেদিন কথা বললো তোমাকে ভালোবাসে সেদিন মনে হয়েছিল আমার পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছিলো। তবুও বুকের কষ্ট বুকেই রেখেছিলাম। এই ভেবে তুমি তো কথাকে ভালোবাসো না। কিন্তু যেদিন শুনতে পেলাম তুমি কথাকে বিয়ে করছো, বিশ্বাস করো আমি সহ্য করতে পারিনি। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। সাপ যেমন তার মতি হারালে পাগল হয়ে যায় তেমনি আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আমার হিতাতিত জ্ঞান ছিল না। আমি যে কোন মূল্যে তোমাকে আপন করে পেতে চেয়েছিলাম। আর সে জন্য নিলয়ের পাতানো ফাঁদে পা দেয়। নিলয় বলেছিল, তোমাকে মিথ্যা কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভিডিও বানাতে। আর সে ভিডিও কথা দেখলে বিয়ে ভেঙে যাবে আর তুমি হবে আমার। প্রথমে না করলেও পরে যখন নিলয় বলে, রাজ কথাকে বিয়ে করবে, যেখানে তোমার থাকার কথা সেখানে থাকবে কথা।

তুমি সইতে পারবে? আমি সত্যি সইতে পারবো না, তাই রাজি হয়ে যায়। আর নিজের জীবনের অভিশাপ ডেকে আনি। হ্যাঁ রাজ আমি নষ্টা। তুমি পারবে না তোমার ভালোবাসা দিয়ে শুদ্ধ করে নিতে। তোমার ভালোবাসা তো পবিত্র। আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়ো না। তুমি যদি আজ নিজ হাতে আমাকে বিষ ও দাও । আমি ভালোবাসার অমীয় সুধা ভেবে পান করে নিবো। তোমার হাতে মরতে পারলেও আজ আমি সুখী। তুমি হয়তো আমাকে মেরে ফেল। নয়তো বুকে টেনে নাও। রাজ আমি যে নষ্টা। পারবে ক্ষমা করতে আমার?
– আপনি প্লিজ চলে যান।
– আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।
– আর কি চান? জানেন আমার কলিজাটা আপনি ছিন্নবিন্ন করে ফেলেছেন। কলিজাতে স্থান দিয়েছিলাম আপনাকে। আর তুমি সে কলিজাতে যত্ন সহকারে ছুরি চালিয়েছেন। ভালোবাসা শব্দটা আপনার মুখে শোভা পায় না ভালোবাসা তো ভালোবাসা দিয়েই আদায় করে নিতে হয়। কিন্তু আপনি কি করেছেন? আমাকে সকলের সামনে চরিত্রহীন বানিয়েছেন। আমাকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিয়ে এসেছেন। আপনাকে যদি বুকে টেনে নেয় তাহলে পবিত্র ভালোবাসাকে অপমান করা হবে। আমার আর কাউকে দরকার নেই বাকিটা জীবন রাইসাকে নিয়েই কাটিয়র দিবো। আর একটা কথা ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষটা যেন সুখে থাকে সেটা চাইতেন। কিন্তু আপনি?
– রাজ এসব বলো না। আমি যা করছি তোমাকে পাওয়ার জন্য করছি। আমি মানছি অন্যায় করছি, কিন্তু আমি তো তোমাকে ভালোবাসি।
– ভালোবাসা? অন্য ছেলের সাথে নিজের শরীরের চাহিদা মেটানো? নাকি নিজের স্বামীকে অফিসে রেখে রাত কাটানো? নাকি ঘুমের মানুষের সাথে অশ্লীল পিক তুলে ভাইরাল করা?
– রাজ আমি যা করছি, সেটা তোমাকে পাওয়ার জন্য।
– প্লিজ মৌ আর একবারো এ কথাটা উচ্চারণ করো না। তোমার কথাটা কলিজাতে এসে লাগে।
– রাজ আমি তো তোমাকে ভালোবাসি। প্রমিজ জীবনে কোন ছেলের দিকে তাকাবোনা পযন্ত । আর তোমার সব কথা মেনে চলবো।
– জানো মৌ তুমি যা করছো এটার কোন ক্ষমা নাই। তুমি যদি চলে যাও তাহলে খুশি হবো। আমার জন্য তোমার মনে বিন্দু পরিমাণ, ভালোবাসা যদি থাকে তাহলে তুমি আর কোনদিন আমার সামনে আসবে না ।

– রাজ এমন কথা বলো না। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। আমার মায়ের কসম তোমাকে ছাড়া নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। আমি তো তোমাকে ভালোবাসি। শেষ একটা সুযোগ তো দাও। শুধু একবার ভালোবাসি বলে বুকে টেনে নাও।

– ঠাস! করে মৌ এর গালে চড় বসিয়ে দিলাম। এবার নিজেকে পারলাম না শান্ত রাখতে। মৌ আর নিলয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তটা চোখের সামনে ভাসছে। মনে হচ্ছে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কি হলো দাঁড়িয়ে আছো কেন? থাপ্পর খাওয়ার পরও কুকুরের মতো পড়ে আছো কেন? ওহ্ কুকুরো তোমার চেয়ে ভালো আছে। আমি মানলাম তুমি আমাকে পাওয়ার জন্য এসব করেছো। কিন্তু সেদিন যখন রাইসাকে নিয়ে তোমার বাড়িতে যাই তখন তুমি নিলয়ের সাথে যা করেছো তা ইচ্ছাকৃত। যা আমাকে মৃত্যুর যন্ত্রণা দিয়েছে। আমার মেয়েটা তার জন্মদাত্রী মায়ের সম্পর্কে এক তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। জানো আমার মেয়েটা সে বাজে দৃশ্য দেখার পর, বলেছে তার মা মারা গেছে। একটা ছোট্ট মেয়ে কতটা কষ্ট পেলে এ কথাটা বলে বলতে পারো? আমি তোমার এ নষ্টা মুখটা আর দেখতে চাই না। তুমি আমার সামনে আসলে আমার মরা মুখ দেখবে।

– মৌ কিছু বলতে পারে না। দু’চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
– আচ্ছা রাজ আমি আসি। আর আসবো না। তবে তোমাকে ভালোবাসব। হয়তো তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না। যদি মরে যায় তাহলে একটু বুকে নিয়ো। মাথায় তোমার হাতটা রেখো। আমি আসি।

– মৌ চলে যাচ্ছে, রেখে যাচ্ছে অজস্র স্মৃতি! চোখের সামনে ভেসে ওঠছে, মৌকে প্রোপজ করার সে দৃশ্যটা, কানে বাজছে সে কথাগুলো ‘ মৌকে ক্যাম্পাসে হাটুগেড়ে বসে বলেছিলাম’
যদি কখনো পরন্ত বেলায় তোমাকে একগুচ্ছ গোলাপ দিয়ে বলি, আমার তোমাকে চাই,তুমি হেসে কহিবে কি আমি যে শুধু তোমায়?
যদি কুয়াশার চাদর জড়ানো
শিশিরের ভেজানো সিগ্ধ রজনীগন্ধা নিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে বলি,তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করতে দিবে!আমায় ভালবেসে!তুমি হৃদয় কর্পাট খুলে দিবে কী,আমায় আখি বন্ধনে বন্ধি করে!
যদি কোন এক গ্রাম্য মেলা থেকে,
এক ডজন কাচেঁর চুরি নিয়ে বলি, তুমি হবে কী আমার হৃদয় রাঙ্গনী!যদিও বা ভেঙ্গে যায় চুরি টুকরোগুলো কি রাখবে, তুলি ভালবাসার স্মৃতি মনে করে!
কোন এক শরতের বিকেলে তোমায় যদি একগুচ্ছ কাশফুল এনে বলি তুমি কি হবে আমায় শুভ্র রাণী। তুমি কি বলবে?
যদি রিমঝিম বৃষ্টির দিনে,
তোমার পায়ে নুপুর পড়িয়ে দেয়, তুমি হাঁটবে কি বৃষ্টির নিক্কন আওয়াজ তুলে আমারি প্রাণে?
যদি কোন বষাস্নার্ত দিনে,
একগুচ্ছ কদম ফুল নিয়ে বলি, হবে কি আমার হৃদয় রাণী????? ওগো মোর প্রিয়সী!
.
যদি কোন অম্যাবস্যা রাতে বলি চাঁদ হয়ে থেকে মোর হৃদয়ে আকাশে, ছেড়ে যেয়ো না কভু অন্ধকারে।
– হ্যাঁ মৌ আমাকে অন্ধকারেই রেখে গিয়েছে। এসব ভাবতে ভাবতে বুঝতে পারলাম রাইসা কাঁদছে।
– আমার মা টা কাঁদছে কেন?
– বাবাই চলো না আমরা এ দেশ ছেড়ে চলে যায়? জানো বাবাই আমার মা লাগবে না। আমার তোমাকে লাগবে। তুমি কাল সারারাত কেঁদেছো। আজও কাঁদছো। তুমি মনে করো আমি কিছু বুঝিনা?

তুমি কি জানো, আমি তোমার মুখ দেখেই বুঝতে পারি তুমি কাঁদছো।

– তাই বুঝি?
– হ্যাঁ কারণ আমি যে তোমার মা।

– আমি রাইসাকে কুলে তুলে নিলাম। রাইসার দু’গালে চুমু একেঁ দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললাম। মামনি আমরা এ মাসেই এ শহর ছেড়ে চলে যাবো।

– এদিকে মৌ বাসায় গিয়েই বিছানায় শুয়ে পড়ল। আজ তার শরীরটা তার কাছে অসহ্য লাগছে। ঘৃর্ণা লাগছে তার। বুকের ভেতরটা ফেটে কান্না আসছে। না রাজকে ছাড়া সে বাঁচবে না। ডাইরির মাঝে, সুসাইড নোট লিখে যখন, ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কাটবে এমন সময়, কে যেন বারবার কলিংবেল চাপছে। মৌ দরজা খুলেই দেখে নিলয়।

– সুইর্ট হার্ট দরজা খুলতে দেরি করলে কেন? আর শোন খুব তাড়াতাড়ি রাজকে তুমি পেয়ে যাবে। এই বলে নিলয় মৌকে টান দিয়ে কাছে টেনে নিল। মৌ কিছু বলছে না।

– নিলয় মৌকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বললো’ আজ মনটা খুব খারাপ চলো রোসাঞ্চ করি?
– মৌ তার পা থেকে জুতা খুলে টাস টাস করে নিলয়ের গালে বারি দিয়ে বললো’ তোর মতো জারজের জন্য আমি আমার ভালোবাসাকে হারালাম। ‘কুত্তার বাচ্চা তুই আমার সামনে থেকে যাবি? নাকি আরো বারি খাবি?
– মৌ কাজটা ভালো করলি না?
– কুত্তা লুচ্চা যাবি। আমি তোকে দেখতে চায় না।
– হুম যাচ্ছি, তুই ক্যামনে বাহিরে যাস দেখবো।

– নিলয় চলে গেলে, মৌ আবারো বিছানায় শুয়ে শুয়ে কান্না করে। সারাটা রাত সে ঘুমাতে পারেনি। অনুশোচনার আগুনে জ্বলছে। সকালে যখন রুম থেকে বের হয়ে বাহিরে দোকানে যাবে এমন সময় দোকানে বসে থাকা ছেলেগুলো বলতে লাগল’ দোস্ত ভিডিওটা সেই হয়েছে না?’

– মৌ কিছু বুঝতে পারছে না। একটা ছেলে কাছে এসেই বললো’ ভিজেট কত?’
– মৌ এবার ছেলেটার গালে কষে থাপ্পর বসিয়ে দেয়।
– থাপ্পর মারলেন কেন? আপনার ভিডিও দেখেই রেড জানতে চাইছি।
– হঠাৎ মৌ এর ফোনটা বেজে ওঠল ‘ ফোনটা ধরতেও ওপাশ থেকে কেউ একজন বললো’ কি থাপ্পরের জবাব পাইছো?
– মৌ ফোনটা কেটে দিয়েই বাসায় চলে গেল।

– অন্যদিকে ডাক্তার কণা রাইসার সাথে কথা বলে যখন রুম থেকে বের হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর দরজায় কে যেন বার বার নর্ক করছে। রাইসা দরজা খুলে দিয়ে দৌড়ে এসে বললো ‘ বাবাই কথা আন্টির বাবা এসেছে।

– আমি কথার বাবাকে দেখে সালাম দিয়ে বললাম’ আঙ্কেল যে তা কি মনে করে? নাকি কোন অপবাদ দেওয়ার বাকি আছে?
– রাজ বাবা আমি তোমার পায়ে পড়ি। কি করছেন আঙ্কেল আপনি আমার বাবার মতো।
– বাবা আমি ভুল করেছি। আমার মেয়েটাকে বাচাঁও। কথা সুসাইড”””

চলবে””’