#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়২
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ১১
,
,
,
,
ভালোবাসা ঘৃণা রাগ অভিমান সব কিছুতে কেটে গেলো ২ টা দিন। আদ্রির কাছে দিন গুলো অনেক স্পেশাল ছিলো।বলা চলে কেউ নিজ হাতে দিন গুলোকে স্পেশাল করেছে।আজকে সিপে একটা পার্টি আয়োজন করা হয়েছে নির এর কোম্পানি ৫০ কোটির প্রজেক্ট কোম্পিলিট করেছে আর মুনাফাও হয়েছে আশা অনুসারে বেশি।সে খুশিতে এইখানেই হবে বিরাট জলসা। সকাল থেকে ডিজাইনার রা ছাদ সাজাতে ব্যাস্ত হয়ে গেছে।
সূর্যের কিরণ পড়তেই ঘুম ভেংগে যায় আদ্রির। কিন্তু প্রতিদিনের মতো অজনা এক শূন্যতায় বুক ভারি হয়ে ঘুম ভাংগে না আর না আগের রাতের মতো সে শব্দ আর সে না সে স্বপ্ন তাকে পিড়া দেয়।
—যাদুর মতো কেন আসলেন নির আপনি আমার জীবনে কেন আমার ধ্বংস লিলায় আপনি জড়িয়ে গেলেন কেন এলেন আপনি। এর আগে ভেবে রেখেছিলাম শত্রুদের তার জায়গা দেখায়ে আমিও চলে যাবো আমার মা আর বোনের কাছে কিন্তু এখন বাচতে মন চাচ্ছে আপনার সাথে। আমি জানি সেটা সম্ভব নই কিন্তু মন টা কি মানতে চায় আমার কথা আজকাল যে তারা আমার বড্ড অবাধ্য হয়ে গেছে।
(মনে মনে)
—এই ভাবে কি দেখছেন মিস অসভ্য
হঠাৎ নিরের ঘুমন্ত কন্ঠ শুনে ধরফরায়ে উঠে বসে আদ্রি। এতোক্ষন খেয়াল ই করে নি সে নির এর উমুক্ত বুকে মাথা রেখে ছিলো।
—আপনি এখানে কি করে। আপনি আমার রুমে করছেন না টা কি হ্যা (রেগে চিৎকার করে)
—উফ আমার কান টা গেলো রে (কান চেপে ধরে)
—আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিন
হুট করে আদ্রির হাত ধরে নির টান দিয়ে নিজের বুক ফেলে দেয় নির। এক হাত দিয়ে চুল গুলো আলতো করে কানের পাশে গুজে দেয়।
—বেবিগার্ল আমার কোন ইন্টেসান নাই এই মহূর্তে তোমাকে গভির ভাবে ছুয়ে দিয়ে তোমার মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি করার বাট ইউ নো হোয়াট তোমার ঘুমক্ত চেহারা ফোলা অধর জোড়া এই সে**** গলা সব কিছু তোমাতে বিভোর হতে বাধ্য করছে আমাকে ভিষণ ভাবে।
—ছিঃ কি অসভ্য রকম কথা বার্তা ছাড়ুন আমাকে।আমাকে আপনার সো কোল্ড গার্লফ্রেন্ড দের মতো ভাববেন না একদম
—উহু গার্লফ্রেন্ড ভাবলে এতোক্ষন আমার উমুক্ত বুকে তোমার উমুক্ত শরীর থাকতো কিন্তু দেখো ইউ আর ফাইন দেটস মিন ইউ আর স্পেশাল বিকজ ইউ আর মাই বেড পার্টনার বেবি গার্ল(চোখ টিপ দিয়ে)
আদ্রি কিছু না বলে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টাই মেতে উঠে।
—লাভ নেই বেবিগার্ল এই বাধন ততোক্ষন খুলবেনা যতোক্ষন না আমি চাইবো তুমি নির এর বাধন থেকে কোন দিন ও আমার অনুমতি ছাড়া রেহাই পাবেনা (কানে আলতো করে অধর ছুয়ে দিয়ে ছেড়ে দেয়)
আদ্রি দৌড়ে ওয়াসরুমের দিকে দৌড় দেয় সেটা দেখে নির পিছন থেকে চিৎকার দিয়ে বলে উঠে
—যাস্ট ফ্রেশ হবা গোসল করবে না ভুলেও কালকে সারারাত জ্বর ছিলো এখনো হালকা গরম আছে শরীর
ওয়াসরুমের দরজায় পা রাখতে যেয়েও থমকে যায় আদ্রি পিছনে ফিরে নির এর উদ্বিগ্ন চেহারা আখি কৌটরে ভেসে উঠে।ওয়াসরুমের দরজা ভিড়িয়ে দরজার সাথে মাথা হেলিয়ে দাঁড়ায় পরে আখিজোড়া বন্ধ করে ফেলে। হঠাৎ মানস পটে ভেসে উঠে কালকে রাতের ঘটা ঘটনা
হঠাৎ করেই আদ্রির জ্বর আসাই ভয় অএয়ে যায় মেহের দৌড়ে যেতে ডেকে আনে নির কে। নির সারারাত আদ্রির সিওরে বসেই তার যত্ন করে মাঝ রাতের দিকে চলে যেতে নিলেই আদ্রি ওর কোলে শুয়ে পড়ে নির সড়াতে চেয়েও পারেনা আদ্রির জেদ ধরে বসে তাকে ছাড়বে না। না পেরে নির আদ্রিকে নিয়ে ভারি কম্বলের নিচে ঢুকে পরে আদ্রিও সময় ব্যায় না করে নির এর বুকের বামপাশ টা দখল করে নেয়। একে আদ্রির শরীরের উষ্ণতা আবার এতো গরমে ২ ২ টা কম্বলে নির এর গরমে বেহাল দশা তবুও কিছুনা বলে চুপচাপ শুয়ে থাকে এদিকে জ্বরের ঘোড়েই আদ্রি উলটা পালটা বকতে বকতে ঘুমিয়ে পড়ে আর নির ও আদ্রিকে দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে পরে টের পায়না।
সব কিছু এক এক করে মনে পড়তেই আদ্রির নিশ্বাস ভারি হতে শুরু করে । বুকের বাম পাশটাই শক্ত করে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। যেনো হাত সরালেই হৃদপিণ্ড বেরিয়ে আসবে।
——-
দেখতে দেখতে বিকেল হয়ে গেলো এখন থেকে মেহমান আসা শুরু করে দিয়েছে পার্টি স্টার্ট হবে রাতের দিকে।আদ্রি রুমে বসে থেকে কিছু একটা নিয়ে গভীর চিন্তা করছিলো এমন সময় দরজার কড়া নাড়তেই আদ্রি যেয়ে দরজা খুলে দেয় মেহের একটা ডালা হাতে দাড়িয়ে আছে।
—আদ্রি তাড়াতাড়ি এটা পড়ে তৈরি হয়ে নেও হাতে সময় খুব কম আমিও যায় আচ্ছা।
আদ্রিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মেহের দৌড় দিলো সেখান থেকে আদ্রি ভেবে পায়না এই মেয়েটা কি এক দন্ড স্থির থাকতে পারেনা একদম চটপটা ঠিক ছোট বেলায় সে যেমন টা ছিলো।আদ্রি আয়নার সামনে যেয়ে দাঁড়ায় খুটিয়ে খুটিয়ে নিজেকে দেখতে শুরু করে।নিজের মধ্যে হাজারো খুযে কোন কমতি পাই না।
—এইরকম সুন্দর নাহয়ে যদি জীবনটা এমন সুন্দর হতো কতোই না ভালো হতো।হয়তো জীবন টা অন্যরকম হতো হয়তো এই মসৃণ হাতে কারো খুনে মেখে থাকতোনা ভালোবাসা কে নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখতে হতোনা
আদ্রি দীর্ঘ এক শ্বাস ফেলে ডালার উপরে রাখা চাদর টা উঠিয়ে দেয় গোল্ডেন আর নীল রঙ মিশ্রিত লং ড্রেস মেচিং ওর্না। আর ওর্নামেন্টস। জামা টা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন দেখে তৈরি হতে শুরু করলো।
,
,
,
নির দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রিয়াজ এর সাথে কথা বলছিলো এমন সময় তার চোখ যায় ছাদের এন্ট্রী গেটে। ঠোঁটের কোণে বাকা হাসি ফুটে উঠে
রিয়াজ এর হাতের গ্লাসের সাথে নিজের গ্লাস টাচ করে চিয়ার করার মতো করে এক নিশ্বাসে গ্লাস ফাকা করে সেটা রিয়াজের হাতে দিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
—ওয়েলকাম মিস্টার খান। এই গরবের পার্টিতে আপনাএ স্বাগতম
—আমাকে এখানে ডেকার পিছনে কারন কি তোমার (রাগী কন্ঠে)
—কারন না মিস্টার খান সারপ্রাইজ আছে ওই দেখেন
দুইজনার চোখ যায় সিড়ির দিকে। স্পট লাইট ও ঠিক করতে যায়ে পড়ে সিড়িতে যার কারনে গোল্ডেন নিল কালারের ভারি কাজ করা জামাটা অদ্ভুদ সৌন্দর্য তে ভরে উঠে সাথে আদ্রির উইথ আউট মেকাপ লুকটা যেনো নির এর চোখ আটকাতে বাধ্য হয়। অদ্ভুদ ভাবে নির এর বুকের বাম পাশটাই কামড় দিয়ে উঠে।সাথে আরও একজন মানুষের বুকটা চিনচিন করে উঠে চোখ জোড়াই অদ্ভুদ এক নেশা দেখা দেয়।
নাহিদ খানের চোখের কৌটায় অশ্রু কোণা ভিড় করে আড়ালে সেটা মুছে ফেলে মেয়ে তার হয়েছে একদম মায়ের মতো শুধু রাগ টা পেয়েছে তার বাবার। কিন্তু মন টা মায়ের মতোই পরিষ্কার উপর থেকে নিজেকে গম্ভির দেখাতে চেলেও নাহিদ জানে তার মেয়ে পদ্মা ফুলের ন্যায় কোমল।
—এইসব কি নির আর সো,,আদ্রিতাই বা এখানে কি করছে
—ইটস কল রিভেঞ্জ মাই ডিয়ার এনেমি।
আদ্রি ততোক্ষনে নাহিদ খান কে দেখে এগিয়ে এসেছে আরেকটু কাছে যেতেই তার কানে আসে তাদের কথোপকথন
—খুব খুজলাম আপনার দুর্বলতা প্রথমে।ভাবলাম আদ্রিয়ান কিন্তু পরে দেখলাম ন্যাহ আদ্রিয়ান হবেনা পরে দেখলাম কেউ একজন আদ্রিতা খানের আড়ালেই প্রকেট করছে খোজ নিয়ে যানতে পারলাম সেটা আর কেউ না তার বাবা। প্রথমে অবাক হয়েছিলাম অবশ্য এখনো এটার উত্তর পাই নাই যে কেনো তার এতো কেয়ার পরে যানতে পারলাম তার এতো সুরক্ষার দেওয়ার কারন দুবাইয়ের ইনায়াত শেখ । নাহিদ খান এর সবচেয়ে বড় শত্রু তখন একে একে দুই করলাম তাই ভাবলাম ইনায়াত না পাক নিজের এন্টারটেইনমেন্ট এর জন্য আমি তো আমার কাছে আমার এন্টারটেইনমেন্ট এর জন্য রেখে দি কি বলেন,,,,,
,
আদ্রি আর নাহিদ খানের কথা শুনার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলোনা তার আগেই মেহের এসে তাকে নিয়ে গেলো।
চলবে!