#তোমার_আসক্তিতে_আসক্ত
#সুবহী_ইসলাম_প্রভা
#পর্ব-১৩ (বিষাক্ত অতীত)
“জয়া কি হয়েছে আজকে?আজ এমন কি দিন?আমাকে খুলে বলো?নিজের ভাই মনে করে আমাকে বলো।”
“স্যার আজ আর্শিকার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী।”
কথাটা শোনা মাত্রই রাদাফ প্রচন্ড মাত্রার অবাক হয়।আর্শিকা যে মাতৃহীন এটা রাদাফের অজানা কারণ আজমল চৌধুরীর স্ত্রী তো বেঁচে আছে।রাদাফ কৌতুহল নিভাতে না পেরে বলে,
“এসব কি বলছো জয়া?আজমন চৌধুরীর স্ত্রী তো বেঁচে আছে।”
“ওটা ওর সৎ মা।আর্শিকার নিজের মা ছয় বছর আগে মারা গেছে।”
“কিইই?কিন্তু কিভাবে?”
জয়ার আর্শিকার ছয় বছরের বিষাক্ত ইতিহাস বলতে শুরু করে।
ছয় বছর আগে,
আর্শিকা সবে মাত্র ১৩ বছরে পা দিয়েছে তার কিশোরী জীবনের সূচনা হয়েছে।কিন্তু কিশোরী জীবনের সূচনা যে এতোটা ভয়াবহ তা আর্শিকার অজানা ছিলো।আর্শিকার জন্মের পর বহুবার চেষ্টার ফলেও তার মা গর্ভবর্তী হতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আর্শিকার ১৩ বছরের জন্মদিনের উপহার স্বরুপ তার মা তাকে নতুন অতিথির আগমনের সুসংবাদ দেয়।
আর্শিকা বরাবরই চাইতো তার একটা ভাই বাহ বোন থাকুক।আর আজ সে পৃথিবীর সব থেকে বেশি খুশি।মেয়েরা সাধারণত বাবার কাছে বেশি প্রাধান্য পায় কিন্তু আর্শিকার ক্ষেত্রে পুরো উল্টো আর্শিকা তার মায়ের কাছে বেশি প্রাধান্য পেঁতো।এমনকি দিন শেষে আর্শিকা বাবা আজমল চৌধুরী আর্শিকার খোঁজও নিতো না যা আর্শিকার ছোট মনে গভীর প্রভাব ফেলতো কিন্তু নিরবে সয়ে যেতো।
ছোট বেলা থেকেই আর্শিকা খুবই শান্তশিষ্ট ছিলো, বাবা মায়ের মুখের উপর কোন কথাই বলতো না।সারাদিন মা আর স্কুলেই তার জীবন কাটতো আর আজমল চৌধুরীর জীবন কাটতো টাকা উপার্জন করতে।আর্শিকার মা আজমল চৌধুরীকে যখনই আর্শিকাকে সময় দেওয়ার কথা বলতো তখনই আজমল।চৌধুরী একটা কথাই বলতো,
“মেহুর মা,এ জীবনে টাকাটাই সব।যার টাকা আছে সে সবার কাছে প্রাধান্য পায় আর টাকা নেই তার কোন মূল্য নেই।তাই এসব ফালতু সময় দেওয়ার চেয়ে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য কিছু উপার্জন করে রাখি।”
“তোমার যা আছে তাতে মেহুসহ আরও ওর সন্তানরাও খেতে পারবে। এখন তো একটু মেয়েকে সময় দেও।”
“দেখো মেহুর মা,সারাদিন কাজ করে কানের কাছে এমন ঘ্যান ঘ্যান করো না তো।ধুর আর খাবোই না।”
বলেই খাবার টেবিল থেকে আজমল চৌধুরী উঠে যায়।এদিকে আড়াল থেকে ছোট কিশোরী মেহেরজান অরুপে আর্শিকা সবই শুনে ফেলে।এভাবে একপাক্ষিক মায়ের ভালোবাসায় আর্শিকার দিন কাটে কিন্তু বিপত্তি হয় তখনই যখন আর্শিকার মা গর্ভবস্থার আট মাস পার হয়।
ইতিমধ্যে আর্শিকার মায়ের শরীর ভারি হয়ে গেছে।আর্শিকাই মায়ের সমস্ত খেয়াল রাখে।একদিন আর্শিকার ঘরে বসে কার্টুন দেখছিলো তখনই তার মা তার ঘরে আসে।আর্শিকা মা’কে দেখেই বলে,
“আম্মু তুমি এই ভারি শরীরে দোতলা কেনো উঠতে গেলে?আমাকে ডাকলেই তো পারতে।”
“আরে না কোন সমস্যা হয় নাই। এমনিতেই বসে থাকতে থাকতে কোমর ধরে আসছিলো।”
“দেখো আম্মু এই সময়ে বেশি হাটা চলা ঠিক না।তুমি একটু রেস্ট নেও।”
“বাব্বাহ আমার মেয়েটা দেখি পাক্কা বুড়ি হয়ে গেছে।”
“হুম হয়েছিই তো। এই পাক্কা বুড়িটা রাগ করলে কিন্তু রাগ ভাঙাতে পারবে না।”
আর্শিকার মা বিনিময়ে মুচকি হেসে আর্শিকার পাশে এসে বসে।তারপর আর্শিকার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
“হে রে মামনি,আচ্ছা ডেলিভারির সময় যদি আমার কিছু হয়ে যায়?”
“আম্মু এসব তুমি কি বলছো?এসব কথা একদম বলবে না তুমি?তুমি জানো না এসব কথা শুনতে একদম ভালো লাগে না।”
বলেই আর্শিকা মা’কে জড়িয়ে ধরলো।আর্শিকা মা মুচকি হেসে বলে,
“পাগলী মেয়ে।শোন এই পৃথিবীতে কখনো কারোর উপর নির্ভরশীল হবি না।যদি কখনো কারোর উপর নির্ভরশীল হস তাহলে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করবি।কারণ এই পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ বড্ড স্বার্থপর রে।এই স্বার্থপর পৃথিবীতে বেঁচে থাকা খুব কঠিন। তবুও আমাদের বেঁচে থাকতে হয়।যে যেমন তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হয়।”
“হুম”
আর্শিকার মন খারাপ দেখে প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলে,”চল খেতে চল।”
আর্শিকা মা চলে যায়। কিচ্ছুক্ষণ পরই আর্শিকা তার মায়ের আর্তনাদ শুনতে পায়।আর্শিকা দৌড়ে গেলে উপর থেকে দেখতে পায় তার মা মেঝেতে পড়ে আছে।সারা মেঝে রক্তে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। সিড়িতে পানি থাকার ফলে পানিতে স্লিপ কেঁটে আর্শিকার মা পড়ে যায়।আর্শিকা দৌড়ে কাঁদতে কাঁদতে তার মায়ের কাছে গিয়ে বলে,
“আম্মু তোমার কি হয়েছে?আম্মু চোখ খুলে রাখো আম্মুউউ।”
“মে….হহুউউউউ তোর ভা…..ই।”
“আম্মু তোমার কিচ্ছু হবে না আম্মু আম্মু চোখ খুলে রাখো।”
কোনো মতে ড্রাইভারের সাহায্যে আর্শিকা তার মা’কে হসপিটালে নিয়ে যায়।হসপিটালে নিয়ে যেতে যেতে আর্শিকার মা বলে,
“মে….হু আজ যদি আ…মার কি…ছু হয়ে যায় কথা দে তুই ভা…লো থাকবি।নিজে….কে শক্ত কর…বি।”
“আম্মু তুমি চুপ থাকো প্লিজ।”
“এই পৃথিবী….তে ভালো মানুষে..র কো..নো মু…ল্য নে…ই রে।তাই নিজে…কে শ…ক্ত কর।”
আর্শিকার মা’কে অপারেশন থিয়েটরে নিয়ে যাওয়া হয়।ভয়ে আর্শিকার হাত পা কাঁপতে শুরু করেছে।অবিরাম কান্নার ফলে চোখ দু’টো ইতিমধ্যেই ফুলে উঠেছে।ড্রাইভার কাকা আর্শিকার পাশে এসে দাঁড়ালেই আর্শিকা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
“কাকা আম্মু সুস্থ হয়ে যাবে তো?আমার যে আম্মুর এই কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।”
“আম্মাজান আল্লাহরে ডাকো তিনিই সব ঠিক করবো।বড় সাহেবরে কিছু জানাইছিলা?”
“না কাকা সেই সময় করে উঠতে পারি নি।”
“আচ্ছা মুই দেহতাছি।”
ড্রাইভার কাকা আর্শিকাকে রেখে আজমল চৌধুরীকে ফোন দেয় কিন্তু আজমল চৌধুরীর ফোন ব্যস্ত।আর্শিকা একনাগাড়ে কান্না করতেই আসে। ড্রাইভার কাকা আর্শিকাকে বলে,
“আম্মাজান বড় সাহেব তো ফোন ধরতাছে না।”
এরই মধ্যে একজন নার্স এসে উপস্থিত হয়। নার্স সবা উদ্দেশ্যই বলে,
“পেশেন্টের বাড়ির লোক কে আছে?”
আর্শিকা এগিয়ে গিয়ে বলে,”আমি নার্স। আমি পেশেন্টের মেয়ে।”
নার্স আড়চোখে আর্শিকার দিকে তাকিয়ে বলে,”পেশেন্টের কি কোন বড় গার্জিয়ান নেই। আই মিন পেশেন্টের স্বামী কোথায়?”
“আব্বু একটু ব্যস্ত তাই ফোন ধরছে না।”
“আজব তার স্ত্রী জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে আর সে ব্যস্ততা নিয়ে পড়ে আছে।”
আর্শিকা নার্সের কথায় মাথা নিচু করে কাঁদতে থাকে।ড্রাইভার আর্শিকাকে আগলে নার্সকে বলে,”আরে আফা,এমনে এই মাইয়াডারে বইকেন না। মোর বড় সাহেব মস্ত বড় ব্যবসায়ী তাই একটু ব্যস্ত।”
“যত বড় ব্যবসায়ী হোক নিজের গর্ভবর্তী স্ত্রীর চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে পারে না।যাই হোক এখুনি ইমার্জেন্সি ১ লাখ টাকা পেমেন্ট করতে হবে নইলে রুগির অপারেশন চালু হবে না।”
আর্শিকা একটু চিন্তিত হয়ে বলে,”এতো টাকা আমি কোথায় পাবো?”
“কেনো তোমার বাবা না মস্ত বড় ব্যবসায়ী। তার কাছে গিয়ে চাইবে।”
“কিন্তু আব্বু তো এখন ফোন ধরছে না।”
“দেখো মেয়ে এটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না।এটা কোন দানশালা না যে আমরা বিনা টাকায় রুগির চিকিৎসা করবো।তোমার বাবার সাথে যোগাযোগ করে টাকার ব্যবস্থা করো।নইলে অপারেশন শুরু হবে না।”
নার্স গুরুগম্ভীর কথা বলে চলে যায়।একেই আর্শিকা ফোনে তার বাবাকে পাচ্ছে না তার উপর তার বাবার কোন বন্ধু বাহ কলিগের নাম্বারও আর্শিকার কাছে নেই।এমতাবস্থায় আর্শিকার কি করা উচিত তা আর্শিকার ছোট মাথায় ঢুকছে না।আর্শিকা নিরুপায় হয়ে একের পর এক আজমল চৌধুরীকে ফোন করেই যাচ্ছে কিন্তু আজমল চৌধুরী ফোন তো ধরছিলোই না এখন আবার ফোন বন্ধ শোনাচ্ছে।আর্শিকা যেনো এখন আরও বেশি ছন্নছাড়া হয়ে গেছে।
রিসিপশন থেকে ডাক্তারের নাম জেনে ছুটে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে গেলো।ডাক্তার কিছু ফাইল ঘাটছিলো। আকস্মিক কেউ চেম্বারে প্রবেশ করার সেদিকে তাকাতেই আর্শিকা ডাক্তারের পা জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।
“ডাক্তার আংকেল প্লিজ আমার মা’কে বাঁচান।এই পৃথিবীতে আমার মা ছাড়া আপন কেউ নেই।আমার কাছে এক টাকাও নেই আব্বু এলে আমি আপনার সব টাকা দিয়ে দিবো।দয়া করে আমার মা’কে বাঁচান। মা ছাড়া আমি নিষ্প্রাণ জীব হয়ে যাবো।”
ডাক্তার আর্শিকার দিকে তাকিয়ে চমকে যায়।এ’কি এইটুকু একটা মেয়ের কি অবস্থা হয়েছে?চোখ নাক মুখ ফুলে ফেঁপে একাকার,কান্নার ফলে মুখ লাল হয়ে গেছে। চুলগুলো উষ্কখুষ্ক, জামায় এখনো রক্তের দাগ লেগে রয়েছে।ডাক্তার আর্শিকাকে উঠাতে চাইলে আর্শিকা আরও জোরে ডাক্তারের পা চেঁপে ধরে।
“না ডাক্তার আংকেল আপনি যতক্ষণ না আমার মায়ের চিকিৎসা করছেন আমি ততক্ষণ উঠবো না।আমার মা’কে বাঁচান ডাক্তার। আমি মা’কে ছাড়া বাঁঁচবো না।”
“আচ্ছা আগে উঠো তো শুনি?কে তোমার মা আর তার কি ই বাহ হয়েছে?”
আর্শিকা নাক টানতে টানতে বলে,”আমার মা এই হসপিটালে নতুন ভর্তি হয়েছে।আমার মা একজন গর্ভবতী বাড়িতে এক দূর্ঘটনার ফলে সে এখন জীবন-মৃত্যুর খেলায় নেমেছে।দয়া করে আমার মা’কে বাঁচান।”
“তোমার বাবা কোথায়?”
“আব্বু তার ব্যবসায় ব্যস্ত।ফোনও তুলছে না।”
“এতোই ব্যস্ত যে নিজের গর্ভবতী স্ত্রী আর মেয়ের কথ ভুলেই গেছে।”
ডাক্তারের আর্শিকার কান্নার বেগ বৃদ্ধি পেলো।হেচকি তুলে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“ডাক্তার আংকেল দয়া করে আমার মা’কে বাঁচান।আমি আপনার সব টাকা দিয়ে দিবো দরকার হলে সারাজীবন এই হসপিটালে কাজ করবো তবুও আমার মা’কে বাঁচান।”
আর্শিকার কথা শুনে ডাক্তারের বুকঁটা কেঁপে উঠলো।এইটুকু মেয়ের কি আর্তনাদ!মাকে বাঁচানোর আর্তনাদ। মেয়েটা তার মায়ের জন্য কত কি করছে?সত্যিই এর মা অনেক ভাগ্যবতী।ডাক্তারের ভাবনার মাঝে আর্শিকা ডাক্তারের সামনে অবচেতন হয়ে পড়ে যায়।
প্রায় ৪ ঘন্টা পরে আর্শিকার জ্ঞান ফিরে।আর্শিকা জ্ঞান ফিরা মাত্রই সেই ডাক্তার আর তার মায়ের খোঁজ করে।আর্শিকা প্রথমের ডাক্তারের চেম্বারে চলে যায়। গিয়ে দেখে ডাক্তার পূর্বের ভঙ্গিতেই চেয়ারে বসে আসে।
“ডাক্তার আংকেল আমার মা?”
ডাক্তার আংকেল বেশ গম্ভীর গলায় বলে,”আমি তোমার মায়ের চিকিৎসা করেছি।”
কথাটা শোনা মাত্রই আর্শিকার খুশির বেগ থাকে না।আর্শিকা কৃতজ্ঞতার সহিত বলে,”ডাক্তার আংকেল আমি আপবার ঋণ কখনো শোধ করতে পারবো না।আজ আপনার জন্য আমার মা…”
“শোন মেয়ে ঋণ আমি কারোর কাছে রাখি না।পরে ঠিকই তোমার কাছ থেকে আমার প্রাপ্য নিয়ে নিবো আপাতত তোমার মনবল দৃঢ় করা উচিত।”
“কেনো ডাক্তার আংকেল কি হয়েছে?”
“আমার সাথে এসো।”
ডাক্তার আর্শিকাকে নিয়ে আর্শিকার মায়ের কেবিনের সামনে যায়।তারপর আর্শিকাকে ইশারায় বলে সামনে থাকা কাপড়টা তুলতে। আর্শিকা কিছু বুঝতে না পারলেও তার মনের ভিতর তুফান চলছে।ছলছল নয়নে একবার ডাক্তার আরেকবার কাপড়টার দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে কাপড়টা তুলতেই তার মৃত মায়ের মুখ দেখে দু’কদম ছিটকে যায় আর্শিকা।দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সুখী হতে গিয়ে সুখের বস্তুটাকেই চিরজীবনের মতো হারালো আর্শিকা।ডাক্তার আর্শিকার অবস্থা বুঝতে পেরে নিরবে বলে,
“দূর্ঘটনার ফলে গর্ভবস্থায়ই তোমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তোমার মা’কে আমরা বাঁচাতে পারি নি।”
আর্শিকা নিরবে দু’ফোটা চোখের পানি ফেলে চিৎকার করে কান্না শুরু করে।আর্শিকার কান্নার আওয়াজে হসপিটালে প্রত্যেকটা ইট পাথর কাঁপছে।আর্শিকা মৃত মায়ের দেহটাকে জাপটে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে।আর্শিকার কান্না দেখে শেষে ডাক্তার আর্শিকার মাথায় হাত রেখে বলে,
“শান্ত হও মেয়ে।শক্ত হও।নিজেকে শক্ত হতে হবে।এই পৃথিবীতে কেউ কারোর জন্য নয়। একমাত্র নিজেকেই নিজের অবলম্বন বানাতে হয়।”
কিন্তু আর্শিকার কি এতে আর কান্না থামে বরং দ্বিগুন বেগে আর্শিকার কান্নার বেগ বেড়েই চলেছে।চিৎকার করে আর্শিকা হসপিটালের প্রত্যেকটা ইট পাথরকে জানান দিচ্ছে আজ এই পৃথিবীতে তার চেয়ে নিঃস্ব কেউ নেই। কারণ এই পৃথিবীর সবথেকে মূল্যবান সম্পদ সে হারিয়েছে, মা নামক মূল্যবান রত্ন সে হারিয়েছে।
#চলবে