#সেই মেয়েটার উপাখ্যান
#পর্ব ৫৪
সুকান্ত যখন গাড়ি থেকে বাড়ির সামনে নামলেন তখনও পূব আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। এতো সকালে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজে প্রতাপ সান্যাল দোতলার বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। তাঁর পাশ দিয়েই কোনো কথা না বলেই সুকান্ত নিজের ঘরের দিকে চলে যাচ্ছিলেন, এমন সময় সরযূ ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন, ছেলেকে সামনে দেখে চোখের জল মুছতে মুছতে বললেন,
দুদিন ধরে সত্যিই বাড়ি ফিরলি না! এতদিনের সম্পর্ক ওই মেয়েটার জন্যে শেষ করে দিলি!
সুকান্ত হাসলেন,
ওই মেয়েটা! সে তোমাদের কাছে এখন ওই মেয়েটা হতে পারে কিন্তু আমার কাছে সে আমার মেয়েই, আর যে বাড়িতে তার জায়গা নেই সেখানে আমিও থাকতে পারি না। আমি আমার জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি, আজকের পরে আমার এ বাড়িতে আসার আর কোনো প্রয়োজন পড়বে না! তবে তোমাদের প্রয়োজন হলে ডেকো, নিশ্চয়ই আসবো!
প্রতাপ সান্যাল এতক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে মা ছেলের কথোপকথন শুনছিলেন, এবার সুকান্তর দিকে তাকিয়ে বললেন,
আমার তোমার সঙ্গে কিছু কথা আছে, তোমার নিজের কাজ হয়ে গেলে যাবার আগে দেখা করে যেও!
সুকান্ত ঘাড় নেড়ে নিজের ঘরে ঢুকে গেলেন, দেওর কে ঢুকতে দেখেই সরলা চা বসিয়েছিল, এতক্ষনে চায়ের কাপ হাতে সে সুকান্তর ঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো।
ছোড়দা! আসবো?
সুকান্ত ফিরে তাকালেন,
হ্যাঁ, হ্যাঁ, আসুন না!
সরলা চায়ের কাপ রেখে হাসলো,
পিয়া কেমন আছে? বিয়ের জোগাড় চলছে তো? আমি পরশু সকাল সকাল পৌঁছে যাবো!
সুকান্ত হাসলেন,
হ্যাঁ, সব ঠিকঠাক চলছে বৌদি! জানি সকাল বেলা আপনি ব্যস্ত থাকেন তবু যদি অসুবিধা না হয় তাহলে আমার আপনার সঙ্গে কিছু কথা ছিলো!
সরলা পাশের চেয়ারে বসে পড়লো,
কোনো অসুবিধা নেই, নিচে ঠাকুর আছে তো! আপনি বলুন ছোড়দা!
সুকান্ত গলা নামালেন,
বৌদি! আমার ওপরে একটুও ভরসা রাখতে পারলেন না! নিজেকে এতো বড়ো বিপদের মুখে ঠেলে দিলেন! আপনার কাছ থেকে এতো হঠকারিতার কাজ আশা করি নি!
সরলার মুখে অস্বস্তির ছায়া পড়লো,
কি বলছেন আমি বুঝতে পারছি না ছোড়দা!
সুকান্ত হাসলেন,
রমার হাতের লেখা আমি চিনি বৌদি! সে আমার কাছে সব স্বীকার করেছে বাধ্য হয়ে! আপনি আর মিছিমিছি লুকিয়ে রাখবেন না!
সরলা কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থাকলো, তারপরে বললো,
সত্যি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ছোড়দা! আপনি বলেছিলেন রথীন দার সাহায্য বাবা নেবেন না! কিন্তু রথীন দার সঙ্গে বাবার আলোচনা শুনে আর আপনার কথার ওপরে আস্থা রাখতে পারছিলাম না! রথীন দা কে আমি একটুও বিশ্বাস করি না, উনি সত্যি সাংঘাতিক মানুষ! সুমনকে বাঁচানোর আর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না ছোড়দা, একমাত্র পিয়া নিজের কেউ নয় এটা জানলেই সুমন বাঁচতে পারবে, এই কথাটাই শুধু মনে হচ্ছিলো!
সুকান্ত অবাক হলেন,
রথীন দা সব জেনেও এই বিয়েতে রাজি ছিলেন! অদ্ভুত তো! এতো টা ভালো তো রথীন দা নন, এর পেছনে নিশ্চয়ই তাঁর কোনো উদ্দেশ্য ছিলো! সম্ভবত সুমন কে সরিয়ে এই বিয়েটা দিয়ে তিনি সারাজীবনের মতো বাবা কে চাপে রাখার চেষ্টা করতেন! তাঁর পছন্দ মতো না চললেই সুমনের কথা পিয়ার শ্বশুর বাড়িতে জানিয়ে দেবার হুমকি থাকতো! মেয়েটার জীবন একেবারে নরক হয়ে যেতো বৌদি!
সরলা সহমত হলো,
উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনি ছোড়দা, তবে জানতাম ওনার কোনো ভালো উদ্দেশ্য কখনই থাকতে পারে না! তাই মন্দিরে পুজো দিতে যাবার নাম করে রমা আর সুমনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। যদিও সুমনের যে এই খবরে কোনো পরিবর্তন হবে না জানতাম, তবুও মনে হয়েছিলো ওর সঙ্গে একবার কথা বলি!
সুকান্ত মুচকি হাসলেন,
এতো কিছু ভেবেছেন, কিন্তু রমার হাতের লেখা আমি চিনতে পারি এটা ভাবেন নি!
সরলা মাথা নামালো,
আমি লেখা পড়া জানিনা, রমা বাদে অন্য কাউকে চিনিও না, তাই আর কার কাছে যেতাম বলুন! একমাত্র সুমন কে বলতে পারতাম, কিন্তু সেটা ঠিক হতো না! বাবার সন্দেহ তো প্রথমে তার ওপরেই পড়ার কথা ছিলো তাই না? নেহাৎ আপনার দাদা ওই মহিলার কথা নিজে থেকে বাবাকে বললেন তাই! এটা জানতাম আপনি জানলেও কাউকে জানতে দেবেন না!
কিন্তু আপনার মেয়েও তো জেনে গেছে বৌদি, সুমন তাকে মুখ ফস্কে বলে ফেলেছে! সেতো আপনার ওপরে খুব রেগে আছে, নিজেকে বিপদে ফেলার জন্যে! দেখুন কি করে তার মান ভাঙাতে পারেন!
সরলা হেসে ফেললো,
সুমন বড্ড বেশি কথা বলে! যাকগে! আমার কপালে মেয়ের বকুনি খাওয়া আছে, তাই হবে!
সুকান্ত নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বাবার ঘরে পা দিলেন,
আমার হয়ে গেছে,এবার বেরিয়ে যাবো, বলো কি বলবে?
প্রতাপ সান্যাল দু হাতে মুখ ঢেকে খাটে পা তুলে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন, ছেলের ডাকে মুখ তুলে তাকালেন, ভাঙা গলায় বললেন,
তোমাকে কি যেতেই হবে? এই বাড়িতে কিছুতেই থাকতে পারবে না!
সুকান্ত হাসলেন,
ছেড়ে যাচ্ছি না তো, তোমার প্রয়োজনে ডাকলে নিশ্চয়ই আসবো! তবে আমাকে এখানে রেখে তোমার কোনো লাভ নেই বাবা! আমার তোমার সম্পত্তির প্রতি কোনো আকর্ষণ নেই তা আগেই বলেছি! তুমি রথীন দা কে বিয়ে বন্ধের কারণ হিসেবে কি বলেছো?
সত্যি কথাই বলেছি, সেটা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না! কিন্তু রথীন আমাকে চাপ দিচ্ছে, ওর ছেলের নামে সব সম্পত্তি লিখে না দিলে সব কথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে বলছে!
হতাশ গলায় বললেন সান্যাল মশাই, সুকান্ত বিদ্রুপের হাসি হাসলেন,
তাহলে! এই তোমার বনেদী বংশ! নিজের জ্যেঠু কে ভাইপো ব্ল্যাকমেল করছে! আর তারই বা দোষ কি, এসব তো তোমরা বংশ পরম্পরায় করে এসেছো! এমনকি আমাকেও দেখো, একই কাজ আমিও করতে যাচ্ছিলাম, রতন দা কে খুন হওয়া থেকে বাঁচাতে তোমার বিরুদ্ধে বয়ান লিখিয়ে রেখেছিলাম! এই ঘটনা প্রকাশ্যে না এলে তো আরো এরকম কিছু পথই নিতাম হয়ত!
রথীন এর কাছে আমাকে হেরে যেতে হবে সুকান্ত, সেদিনের ছেলেও আমাকে ব্ল্যাকমেল করছে!
বাবার হতাশ গলা সুকান্ত কে দুঃখিত করলো, তিনি নিজেকে সামলে নিলেন, নরম গলায় বললেন,
সব কিছুকে তো সারাজীবন জেতাহারার মানসিকতায় নিয়েছো বাবা! যেকোনো ব্যাপারেই তোমার ইগো সামনে এসেছে! আমি অবশ্য এতে বিশ্বাসী নই, তবে রথীন দার ব্ল্যাকমেল করাতে আমার আপত্তি আছে! সবটাই তোমার ওপরে বাবা! যদি তুমি সত্যিটা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে চাও তাহলে ওর চাপের কাছে মাথা নুইয়ে সম্পত্তি ওকে দিয়ে দাও বাবা, এমনিতেই দাদা উড়িয়ে দেবে, আর আমার হাতে থাকলে আশ্রমের হাতে যাবে! আর যদি না লুকিয়ে রাখতে চাও, তাহলে ওকে সোজাসুজি বলে দাও ও যা পারে করে নিক! জেনে হোক বা অজান্তে তুমি একটি অনাথ শিশু কে মানুষ করে বিয়ে দিয়ে তাকে অর্ধেক সম্পত্তি দিতে চেয়েছো এতো তোমার ভালোবাসারই প্রকাশ! সেটা প্রকাশ্যে এলে তোমার গৌরব বাড়বে বই কমবে না!
যেভাবে তুমি বললে ব্যাপারটা যে ঠিক তাই নয় সেটা তুমি নিজেও জানো সুকান্ত! নিজের রক্ত ভেবে মানুষ করেছিলাম, যদি জানতাম নিজের নয় তাহলে হয়ত অতো উদারতা দেখাতে পারতাম না! আমি অতো মহান নই সুকান্ত, তুমি আমাকে মহান দেখানোর চেষ্টা করছো! বৌমা আমাকে একটা কথা বলেছেন যে আমি অন্যায়কারী কে কখনো শাস্তি দিই নি, নিজের রক্ত বলে মাফ করে দিয়েছি সব সময়, আর সেই করতে গিয়ে আমিই অপরাধী হয়ে গিয়েছি! আমি ভেবে দেখেছি তিনি খুব সত্যি কথা বলেছেন, তাই এবার আমি নিজেকেই শাস্তি দিতে চাই। তুমি ঠিক বলেছো রথীন এর চাপের কাছে মাথা নত করবো না, আমি তোমাকে দায়িত্ব দিলাম, তুমি এই ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে এসো এবার!
সুকান্ত হাসলেন,
এই প্রথম বার তোমার সঙ্গে আমার মতের মিল হলো বাবা! জীবনে স্বচ্ছতা খুব জরুরী, একটা মিথ্যে লুকিয়ে রাখতে গিয়ে হাজার মিথ্যে বলতে হয়। আমি বলছি, এই সত্য প্রকাশ পেলে তোমার সম্মান, মর্যাদা একটুও ক্ষুন্ন হবে না! সম্মান এতো ঠুনকো নয় বাবা যে সামান্য কথায় নষ্ট হয়ে যায়! আমি আসি, জানিও রথীন দা কি বললেন!
সুকান্ত উঠে দাঁড়ালেন, তিনি যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন প্রতাপ সান্যাল পেছন থেকে ডাকলেন,
সুকান্ত! আর একটা কথা বলার ছিলো! মুখে যাই বলি সম্পত্তি তোমাদেরই, আমি সঙ্গে করে ওপরে নিয়ে যাবো না! রথীন কেও হয়ত ভালোবেসেই আরও কিছু দিতাম, যদি না সে আমাকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করতো! তাই সেই সম্পত্তির অর্ধেক তুমি নাও বা না নাও, বিলি ব্যবস্থা করার দায়িত্ব তোমারই! আর বাকি অর্ধেক আমি বৌমার নামে লিখে দেবো কারণ তুমি ঠিকই বলেছো রতির নামে থাকলে সে সব উড়িয়ে দেবে, বৌমা কে শেষ জীবনে পথে বসতে হবে!
সুকান্ত ফিরে তাকালেন,
আমার বিলি ব্যবস্থা মানে আশ্রম আর পিয়া, তুমি কি সেটা মেনে নেবে?
আমি মৃত্যুর পরে জানতে আসবো না তুমি কাকে দিলে!
সুকান্ত হাসলেন,
আসি বাবা!
একটু বেলার দিকে সুকান্ত যখন নিজের ঘরে বসে দত্তক এর আইনি কাগজপত্র তৈরি করছিলেন, অদ্বিতীয়া সেখানে ঢুকে এলো,
ছোটো মা কেমন আছে ছোট কা?
সুকান্ত মাথা নাড়লেন, হেসে বললেন,
ভালো আছেন, বিয়ের দিন তাড়াতাড়ি এসে পড়বেন বলেছেন! ওনাকে বলেছি তুই বড্ড রেগে আছিস ওঁর ওপরে!
অদ্বিতীয়া হাসলো, টেবিলে রাখা দত্তকের কাগজপত্র দেখতে দেখতে বললো,
একটা কথা বলার ছিলো, তুমি কি আমাকে দত্তক নেবেই?
সুকান্ত অবাক হলেন,
মানে! সেরকমই তো কথা ছিলো! তোর আপত্তি আছে নাকি?
অদ্বিতীয়া মাথা নাড়লো,
না, ছোট কা! তোমার মেয়ে হতে আমার কোনো আপত্তি নেই, আমি তো বরং ছোটো থেকে কতোবার ভেবেছি আমার বাবা তুমি হলেই বেশ ভালো হতো! আমার আপত্তি অন্য জায়গায়, আমি সান্যাল বংশের পরিচয়ে আর পরিচিত হতে চাই না!
সুকান্ত হাসলেন,
সে তোর ইচ্ছে, আমি তোকে দত্তক নিচ্ছি, তুই সেটা কাউকে জানতে দিবি কিনা সেটা তোর ব্যাপার!
অদ্বিতীয়া একটু চুপ করে থাকলো,
দাদুভাই কেমন আছেন ছোট কা?
সুকান্ত একটু বিস্মিত হলেন,
এখনও তুই বাবার খবর জানতে চাইছিস!
অদ্বিতীয়া ম্লান হাসলো,
জানিনা এতো কিছুর পরেও ওনার জন্যে আমার কষ্ট হচ্ছে কেনো! উনি ছোটো থেকে আমাকে কতো কড়া শাসনে রেখেছেন, কখনো নিজের ব্যক্তিগত মতামত তৈরি হতে দেন নি, তবুও ওনার ওপরে আমার কোনো ক্ষোভ নেই! সব সময় মনে হয়েছে মানুষ তো তাকেই শাসন করার অধিকার রাখে যাকে সে ভালোবাসে! উনি আমার ভবিষ্যতের জন্য চিন্তিত হন, আমাকে ওনার মতো করে ভালো পাত্রের হাতে পাত্রস্থ করতে চান, সেজন্য অর্ধেক সম্পত্তি লুকিয়ে দিয়ে দিতেও পিছপা হননা! এগুলো তো ভালবাসারই প্রকাশ, শুধু সেই আঁকড়ে ধরা ভালোবাসা যে কখনো কখনো উল্টোদিকের মানুষটার গলায় ফাঁসের মতো চেপে বসে, সেটাই হয়ত উনি বুঝতে পারেন নি। উনি আসলে টাকা, পয়সা, বংশ মর্যাদা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এসব পার্থিব বিষয় দিয়ে একজনের বিচার করেন, মনের খবর রাখেন না! সেই হিসেবেই হয়ত সুমনের থেকে শুভ ওনার কাছে বেশি ভালো পাত্রের তকমা পেয়েছে, এতে আমি ওনার কোনো দোষ দেখতে পাইনি! যেভাবেই হোক না কেনো আসলে এসব কিছু তো ওনার দিক থেকে আমাকে ভবিষ্যতে ভালো রাখার প্রচেষ্টাই ছিলো!
সুকান্ত হাসলেন,
আজ বাবার জন্যে খারাপ লাগছে, তোর মতো এতো সহানুভূতিশীল একটা মেয়ে কে সারা জীবনের মতো হারিয়ে ফেলা তাঁরও ব্যর্থতা! তবে বাবা এবার একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রথম বার, তিনি সব কিছু প্রকাশ্যে আনতে বলেছেন আমাকে!
তাই নাকি!
অদ্বিতীয়া সুকান্তর হাতটা জড়িয়ে ধরে আবদারের গলায় বললো,
ছোট কা! তুমি আজ পর্যন্ত আমার অনেক আবদার রেখেছো, অনেক বায়না মেনে নিয়েছো! আজ আর একটা শেষ বায়না মেনে নাও প্লিজ! এটা আমার জীবনের গল্প, আমাকেই প্রকাশ্যে আনতে দাও, কথা দিচ্ছি আর কখনো কোনো আবদার করবো না!
সুকান্ত হাসলেন,
তোর গল্প তুই বলতে চাস, এতে আপত্তির কি আছে! তবে কথা দিতে হবে এরকম বায়না তুই আরো করবি, এটা যেনো শেষ না হয়!
ক্রমশ