#প্রীতিলতা ❤️
#লেখিকা:- Nowshin Nishi Chowdhury
#১২_তম_পর্ব🍂
গুপ্তধন..!
হ্যাঁ গুপ্তধন। দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি।
বলে মাঝারি সাইজের কাঠের বাক্সটা খুললেন। আমি একগাদা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছি বাক্সটার দিকে। তিনি প্রথমে বাক্সের উপরে থাকা বাচ্চাদের চার-পাঁচটা জামা কাপড় বিছানার উপর রাখলেন। বোঝা যাচ্ছে অনেক আগের জামাকাপড় কিন্তু খুব যত্ন করে গুছিয়ে রাখা হয়েছে।
জামা কাপড় গুলোর উপর হাত বুলিয়ে ভাবতে লাগলাম কত ভালোবাসা জড়িয়ে আছে এগুলোতে। খুটুর খুটুর শব্দ তুলে একটা ঝনঝনি দুটো ছোট খেলনা গাড়ি ছোট একটি বল বিছানার উপরে রাখলেন। আমি খালামণির মুখের দিকে তাকালাম দেখলাম এক চিলতে বাচ্চা সুলভ হাসিমুখে লেগে আছে।।
মনে মনে হয়তো এগুলোরই স্মৃতিচারণ করছেন শেষে একটা খাম বের করে বিছানার উপরে রেখে বাক্সটা একপাশে সরিয়ে রাখলেন। তারপর আমার কাছে এগিয়ে এসে বসলেন। জামা কাপড়গুলো হাতে তুলে নিয়ে বললেন,
— এই পোশাক খেলনা যা যা দেখছিস সবকিছু আমার সাফু বাবুর। আমি সবকিছু খুব যত্ন করে তুলে রেখেছি তার বউয়ের জন্য।
বলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। জিনিসগুলো সব আমার হাতে তুলে দিয়ে বললেন,
— জানিস ও একদম আমার ছেলের মত এক কথায় বলতে গেলে ও আমার বড় ছেলে।
কথাগুলো বলে কিছুটা দম নিলেন আমি মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনছি। হাফ ছেলে বললেন,
— বুড়ো হয়ে গেছি বুঝলি? একসাথে অনেক কথা বলতে পারিনা। তোকে তুই করেই বলছি কিছু আবার মনে করিস না।
আমি মুচকি হেসে কোলের উপরে রাখা তার হাত জোড়া আঁকড়ে ধরে বললাম,
— এতক্ষণে মনে হচ্ছে আপন কারোর কাছে এসেছি তোমারিতো মেয়ে তোমার যা মন চায় তাই বলে ডাকো। শুনতে ভালো লাগছে আমার।
বিনিময় তিনিও হেসে বলতে শুরু করলেন,
— সাফু যখন মেজ আপার গর্ভে ছিল প্রথম ছয় মাস মেজ আপা সুস্থ থাকলেও ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। অতিরিক্ত বমি মাথা ঘোরা ইত্যাদি তীব্র আকার ধারণ করে। ওয়াশরুমে যাওয়া আসা ছাড়া পুরোটা সময় বিছানায় শুয়ে বসে দিন পার করতে হতো তাকে।
দুলাভাই আপাকে নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। উনার তো ব্যবসা ছিল। উনার পক্ষে আপাকে সর্বক্ষণ খেয়াল রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। আর পাশাপাশি আবার সাকলাইনও তখন ছোট ছিল মাত্র ছয় কি সাত বছরের হবে সে। দুজনকে নিয়ে দুলাভাই একেবারে অথৈ সাগরে পড়েছিল।
কাজের লোকের ভরসায় আপাকে আর সাকলাইনকে রাখতে চাইছিলেন না। আপন কারোর কাছে রাখলে তিনি চিন্তামুক্ত থাকবেন। দুলাভাইয়ের পরিবারেও তেমন কেউ ছিলনা যে তাদের এখানে এসে আপাকে দেখাশোনা করবে। আমাদের বড় আপা তখন ঢাকায় ছিলেন। পক্ষেও সংসার রেখে আসা সম্ভব ছিল না।
কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় তখন তোর খালুর পোস্টিং হয় খুলনায়। আমার সামিরার বয়স তখন মাত্র তিন বছর। খুলনায় বদলি হয়ে এসে আবার কথা শুনে আর আমি এক মুহূর্ত দেরি করিনি। ওই বাড়িতে চলে যাই।
কাজের লোকের কাজ বুঝলি। রান্নাবান্নাও ভালো করে করে না। সাকলাইনের শারীরিক অবস্থাও তখন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সারাদিন দেখতো মা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে ও ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করত না। আমি যাওয়াতে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে বলে,
— খালামণি আমার মা সুস্থ হয়ে যাবে তো। ওরা সবাই বলছে আমার মা নাকি মরে যাবে।
খালামণি আচল দিয়ে চোখ মুছলেন। আমার চোখের কোনায় পানি জমা হলো। তুমি আবার বলতে শুরু করলেন,
— আমার সারাদিন কাটতো আপার পিছনে। তাকে সময় মত খাওয়ানো দাওয়ান। ওষুধ দেওয়া। ডাক্তারের দেখানো অনুসারে ব্যায়াম করানো। সবগুলো আমিই করাতাম।
সাকলাইন ছিল একদম শান্ত একটা ছেলে। ওর পেছনে আমার কিছুই করা লাগত না। আরো চোখের সামনে দেখতো মা অসুস্থ সে নিজের সব কাজ নিজে করতো। আমি শুধু ওকে একটু খাবার বেড়ে দিতাম।
আর আমার সামিরা মানে তোর বড় ভাবি ছিল সাকলাইনের একদম বিপরীত। বদমাইশের হাড্ডি ছিল একেবারে। কিন্তু সাকলাইনের বিশাল বড় ভক্ত ছিল। সাকলাইন যা বলতো তাই শুনত।
এমনকি সাকলাইনের হাতে খেতে পর্যন্ত। ওর সব সময় লক্ষ্য ছিল সাকলাইনকে ফলো করা। তারপর দুজনের ডাক্তারি পাশ করার পরে গত ডিসেম্বর ওদের বিয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে সাফওয়ানের ও বি…
কথা বলতে বলতে হঠাৎ থেমে গেলেন খালামণী। চমকে তার দিকে তাকিয়ে বললাম
— সাফওয়ানের বিয়ে নিয়ে কিছু বলছিলেন। থেমে গেলেন কেন?
— আরে না কিছু না। তারপরে সাফওয়ান যখন পৃথিবীতে আসে। সি সেকশনের মাধ্যমে ডেলিভারি হয়। আপা জরায়ুতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই তার পক্ষে বাচ্চা সামলানো মোটেও সম্ভব ছিল না। সাফওয়ান বলতে গেলে সে শুরু থেকে এক বছর আমার কাছেই ছিল।
আমি ওর দেখাশোনা করেছি। আমার কোলেই ওর বেড়ে ওঠা। সাফু বাবু বলে ডাক দিলে হু হু করে শব্দ করতো। খুব দুষ্টু ছিল জানিস। আমার কোলে কাউকে দেখতে পেত না। উনি ঠোঁট ফুলিয়ে হাউ মাউ করে কান্না জুড়ে দিত। বলে হেসে দিলেন তিনি।
আমার ছেলে বাবুর বড্ড শখ ছিল জানিস যা ওই প্রথম মিটিয়ে ছিল আমাকে। মনে প্রানে ওকে আমার বড় ছেলে মনে করি।
তারপর সাফওয়ানের যখন ছয় মাস বয়স তখন জানতে পারি সায়েম আমার গর্ভে। আপাও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে গেল এক বছর পরে আমিও বাড়ি চলে আসলাম। স্মৃতি হিসেবে এগুলো সব আমি আমার সাথে নিয়ে এসেছিলাম। চিন্তা করেছিলাম এগুলো যখন ওর বউ আসবে তখন তার হাতে দিয়ে তার ছোটবেলার সব ঘটনা বলব। আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে।
তারপর বিছানা হাতে খামটা আমার কাছে নিয়ে এসে বলল,
— খুলে দেখে এতে ওর ছোটবেলার অনেক ছবি আছে।
আমিও খামটা খুলে একে একে ছবিগুলো বের করলাম। কোনটাই দোলনায় বসে আছে। আবার কোনটাই ক্যাপ মাথায় দিয়ে স্টাইল দিয়ে ভ্রু কুঁচকে বসে আছে। আবার কোনটা পাঞ্জাবি পড়ে আছে। মাথায় একটা খানদানি টুপি। আমি হেসে দিলাম।
জিব বের করে ভেঙাচ্ছে কাউকে। দাঁতবিহীন কি সুন্দর হাসি। সবগুলো ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তুলেছে। বাব্বাহ। ছোটবেলা থেকেই আমার বর বেশ স্টাইলিশ ছিল।
সেকালে তো আর অত ক্যামেরা ছিল না। যে ভিডিও টিডিও করে রাখবো। যা ছিল তাই দিয়ে যতটুকু স্মৃতি সংরক্ষণ করা গেছে আর কি। আমি খালার দিকে শ্রদ্ধা ভরে তাকিয়ে বললাম,
— অসংখ্য ধন্যবাদ খালামণী এতো সুন্দর সুন্দর স্মৃতি গুলো সংরক্ষণ করে রাখার জন্য।
এরপরে খালামনির সাথে আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনেক কথা হলো। পরিবার-পরিজন সম্পর্কে সবকিছু জানলেন তিনি। এছাড়াও সাফওয়ানের সম্পর্কে আরো অনেক কথা হলো।
একটা প্রশ্ন রয়েই গেল বিয়েতে উনাকে দেখিনি কেন? যদিও বিয়েটা ছোট পরিসরে হয়েছিল। তারপরেও সাফওয়ানের জীবনে উনার অবদান অনেক। উনি বিয়েতে আসেননি কেন?
আচ্ছা যা এবার অনেকক্ষণ তোকে আটকে রেখেছি। ওদিকে হয়তো তোকে আর আমাকে খোঁজা শুরু করে দিয়েছে । খাওয়া দাওয়া করতে হবে তো নাকী।
আমি বিছানা ছেড়ে উঠতে নিচ্ছিলাম।সব কিছু গুছিয়ে খালামণি কাঠের বাক্সটা আমার হাতে এগিয়ে দিলেন । আমি খালামণিকে বললাম,
— আপাতত এটা তোমার কাছেই রাখো খালা মনি। যাওয়ার সময় আমি তোমার কাছ থেকে এসে নিয়ে যাব।
— আচ্ছা।
বলে খালামণি বাক্সটা বিছানার একপাশে রেখে দিলেন। তারপর হঠাৎ আমার হাত ধরে টেনে আবার বিছানায় বসিয়ে দিলেন। আর দুই হাত টেনে ধরে দুটো স্বর্ণের বালা পরিয়ে দিলেন আমাকে। আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাতে তিনি বললেন,
— এগুলো আমি আমার সাফু বাবুর বউয়ের জন্য বানিয়েছিলাম। আজ পরিয়ে দিলাম। মাশাল্লাহ তোকে খুব সুন্দর লাগছে।
মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন আর বললেন ,
— যাওয়ার সময় আরো একবার দেখা করে যাস আমার সাথে। আরো কিছু বলার আছে তোকে।
_________🌺🌺_______
খালামণির রুম থেকে বেরোতে অনেক দেরি হয়ে গেল আমার। ব্যালকনি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিচে যাচ্ছিলাম হঠাৎ একদম কর্নারের রুমটা থেকে কেমন যেন চাপা চিল্লাপাল্লার আওয়াজ পেলাম। এগিয়ে যেতে শুনতে পেলাম রুমের ভেতরেই তার সাথে যেন সাইমা চিল্লাচিল্লি করছে।
কান পেতে শুনলাম কিন্তু অপর পাশের মানুষের কোন আওয়াজ আমার কানে আসলো না। ফোনে কারো সাথে চিল্লাচ্ছে। এই মেয়েটার মাথায় সমস্যা আছে নাকি? কি জানি বাবা…!
সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নামতে নামতে দেখলাম ড্রয়িং রুমের সোফা সেটের ওপরে শ্যাম বর্ণের সেই পুরুষ বসে আছে। কি যেন একটা নাম হ্যাঁ সায়েম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে চেঞ্জ করে এসেছে। কোলে বসে আছে পুতুল। কি নিয়ে জানি কথা বলছে আর হাসাহাসি করছে।
আমি নিচে নেমে দাঁড়াতেই পুতুল তার কোল থেকে নেমে সোজা দৌড়ে এসো আমাকে জাপটে ধরল।
— তুমি কোথায় ছিলে প্রীতিলতা?
আমি ভারী অভিমানের সুরে বললাম,
— এখানে কারোর প্রীতিলতা থাকে না। ম্যাডাম আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
ছেড়ে দিয়ে পুতুল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ঠোট ফুলিয়ে কান ধরে বলল,
— সরি প্রীতিলতা। আমার ভুল হয়ে গেছে। তোমাকে ছেড়ে আর কোথাও যাবো না। আমি খেলে এসে দেখি তুমি এখানে ছিলে না। তারপর সায়েম ভাইয়া বলল তুমি নাকি উপরে গেছো। আমি যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ও আমাকে ধরে এখানে বসিয়ে রেখেছে। তুমি নাকি কিছুক্ষণ পরে নেমে আসবে।
পুতুলের কথা শুনে আমি চোখ ফিরিয়ে সায়েমের দিকে তাকালাম। তাকাতেই তার সাথে আমার দৃষ্টি বিনিময় হল। এখন তিনি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। চোখ সরিয়ে নিয়ে সাফওয়ান কে খুঁজলাম। কোথায় তিনি?
ভাবি এসে তাড়া দিতে লাগলো ডাইনিং এ খাবার দেওয়া হয়েছে। আমি পুতুলের হাত ধরে ডাইনিং রুমে গিয়ে বসলাম। সায়েম এসে আমাদের অপজিটে বসলেন।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম সাফওয়ান এসে দাঁড়ালেন ডাইনিং রুমে। উনাকে দেখে মনে হচ্ছে একপ্রকার ঝড় বয়ে গেছে ওনার উপর দিয়ে। পরনের কোটটা খুলে বাম হাতে ঝোলানো। আমি ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকালাম। আমার দিকে তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিয়ে সায়েমের পাশে বসে পড়লেন। সায়েম টেবিলের উপরে দুই হাত ভাঁজ করে টেবিলের উপরে ভর দিয়ে সাফওয়ানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
— কি ব্র? রেসলিং খেলে এসেছো নাকি? চেহারার এ অবস্থা কেন?
তিনি বিড়বিড় করে বলল,
— সে রকম কিছুই
আমি কৌতূহল দমন করতে না পেরে বলেই ফেললাম,
— মানে..!
হঠাৎ প্রশ্ন করায় সামনে দুইজনই আমার দিকে তাকিয়ে পরলো। সাফওয়ান কিছু বললেন না। চুপচাপ খেতে শুরু করলো।আমিও আর কথা বাড়ালাম না। পুতুল খেতে খেতে বলল,
— আমি আর খাব না। এগুলো তোমার রান্নার মত মজা হয়নি।
সায়েম খাওয়া থামিয়ে পুতুলের উদ্দেশ্যে বলল,
— কেন তোমার প্রীতিলতা কি খুব সুন্দর রান্না করে।
পুতুল অতি উৎসাহের সাথে বলল,
— হ্যাঁ তো। ও খুব ভালো রান্না করে।
— তাহলে তো খেতেই হচ্ছে তোমার প্রীতিলতার হাতের রান্না।
সবাই প্রায় টুকটাক কথা বলছে আর খাওয়া দাওয়া করছে। কিন্তু সাফওয়ান একদম নিশ্চুপ হয়ে প্লেটের দিকে তাকিয়ে এক মনে খেয়ে যাচ্ছে। আরেকটা জিনিস খেয়াল করলাম সাইমা ডাইনিং রুমে অনুপস্থিত। আমাদের সাথে খেতে বসেনি।
_____🌺🌺_______
খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই সোফায় গায়ে দিয়ে দিল। অনেকদিন পরে ভাইয়েরা সব এক জায়গায় হয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ জুড়ে দিয়েছে। ভাবি সবার জন্য মিষ্টি দই আর কোল্ডড্রিংস নিয়ে এসেছে। খেতে খেতেই সবার কথা শুনছিলাম। হঠাৎ পুতুল দৌড়ে আমার কাছে এসে বলল,
— খালামণি তোমাকে ডাকছে প্রীতিলতা।
আমি উঠে গেলাম। আমার জায়গায় বসে সাফয়ানের ফোন নিয়ে গেমস খেলতে শুরু করব। সিঁড়ি ভেঙ্গে দোতালায় উঠে গেলাম। হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ বাম হাতের কব্জিতে খুব জোরে টান পরল। ছিটকে পড়লাম আমি। পড়ে না গেলেও হাতে বেশ টান লেগেছে আমার। পেছনে হঠাৎ দরজা আটকানোর শব্দ পেলাম। আমি আতঙ্কিত হয়ে প্রশ্ন করলাম,
— এ্যাই ক্ কে?
ধমকের স্বরে কেউ বলে উঠলো,
— হুসসসস! একদম চুপ । জোরে আওয়াজ করবে না।
#চলবে…..❣️