#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_১১
-‘হঠাৎ সামিয়া নামক রমনী আতিক এর এমন হাল দেখে নিজেকে অপরাধী ভাবতে থাকে।আজকে সে যদি আতিক এর সাথে খারাপ ব্যবহার না করতো তাহলে হয়তো আতিক এর এমন হাল হতো না৷ সামিয়া আতিক কে বুকে জড়িয়ে নেয়,কিন্তুু আতিক একের পর এক ভুল বকতে থাকে ঘুমের ঘোরে । তার মুখ থেকে বারবার ফারিয়ার নামটা উচ্চারিত হচ্ছিল। অনেকক্ষণ পর আতিক ফারিয়ার বুকে ঘুমিয়ে পড়ে তা বুঝতে পেরে সামিয়া বেডে শুইয়ে দেয়,রাত অনেক হয়েছে সামিয়ার কিছুতেই ঘুম আসছে না। তার মনের মাঝে এক অজানা ভয় কাজ করছে। সামিয়া আতিক এর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়,সামিয়া অনেকবার চেষ্টা করার পর আতিক এর পাশে ঘুমিয়ে পড়ে।
-“সকাল হয়ে গেছে সামিয়া উঠে আতিক এর দিকে তাকিয়ে চলে যায় ব্রেকফাস্ট রেডি করতে। সকালের নাস্তা রেডি করে আতিক এর জন্য রুমে নিয়ে যায়। একটু পর আতিক কে ডাকতে থাকে। আতিক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। অনেকবার ডাকার পর আতিক উঠতে চেষ্টা করলেও তার অনেক ব্যাথা পায় মাথায়। মনে হচ্ছে তার মাথাটা ভার হয়ে আছে। কয়েকবার ওঠার চেষ্টা করলেও সে ব্যর্থ হয়,তা দেখে সামিয়া আতিককে উঠতে না করে। সামিয়া আতিক কে টেনে হেচড়ে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে আতিককে কোনরকমে ফ্রেশ করে নিয়ে আসে রুমে। তারপর আতিক বেডে হেলান দিয়ে বসে থাকে আর সামিয়া তাকে খেতে দেয়। সামান্য একটু খেয়ে সে আর খায়না। সামিয়া বারবার আতিক এর দিকে তাকায় আর তার চোখ বেয়ে টপটপ করে জল পড়তে থাকে। আতিক বুঝতে পারে সামিয়া তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আতিক আর কোন রকম দেরি না করে সামিয়াকে বুকে টেনে নেয়। সামিয়া অনেক কান্না করতে থাকে আতিক এর বুকে মাথা রেখে।
‘নারগিস বেগমেকে দরজার টোকা মারতে দেখে সামিয়া আতিক এর কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে চোখের অশ্রুগুলো ওড়না দিয়ে মুছে নিলো। তারপর দরজা খুলে দিলে,নারগিস বেগম ভেতরে এসে ছেলের পাশে বসলো।এদিকে সামিয়া নারগিস বেগমের জন্য নাস্তা আনতে চলে গেলো। ছেলের এমন হাল দেখে নারগিস বেগম হতভম্ব হয়ে যায়। আর ছেলেকে অনেক বুঝাতে লাগে।আতিক মায়ের সামনে বুঝতে পারলে তার মনের ভেতরে যে ফারিয়ার শূন্যে তাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আতিক তো আর ইচ্ছে করে এমনটা করছে না। একটু পর সামিয়া শ্বশুরির জন্য নাস্তা নিয়ে আসলো। আর সামিয়া বসলো আতিক এর পাশে। নারগিস বেগম ছেলেকে বুঝাতে লাগলো,দেখো আতিক বাবা, তুমি একটা মেয়েকে বিয়ে করেছো,তাকে সুখে রাখা তোমার দায়িত্ব। তুমি এখন যেগুলো করছো একদম ভুল করছো। কথাটা বলেই নারগিস বেগম রুম থেকে হনহন করে চলে যেতে থাকে।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
“সামিয়া আতিক এর পা জড়িয়ে ধরে মাপ চাইতে থাকে,কালকের করা ভুলের জন্য।আতিক মুচকি হেসে বললো,ওকে বেবি আমি তোমাকে মাপ করে দিয়েছি।সামিয়া অনেক খুশি হতে থাকে। কিন্তু সামিয়ার মাথার ভেতরে নারগিস বেগমের বলা প্রতিটা কথা ঘুরপাক খেতে থাকে। সামিয়া একটু আতিককে রেখে চলে যায় নারগিস বেগমের রুমে। নারগিস বেগমের রুমে সামনে এসে সামিয়া বললো,মা আসতে পারি। নারগিস বেগম গল্পের বই পড়ছিলো। বইটা বন্ধ করে ভেতরে আসার জন্য অনুমতি দিয়ে বললো,বউমা আমার রুমে আসার জন্য তোমার কোন অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপর সামিয়াকে বসতে বললো। সামিয়া নারগিস বেগমকে বললো,মা এখন তো আতিককে একটু নরমাল লাগছে। মনে হচ্ছে স্বাভাবিক আছে। তবে আমার খুব ভয় করছে,কালকে সারারাত আপনার ছেলে ফারিয়া ফারিয়া বলে গেছে।
-‘আর কিছুদিন দেখি আতিক নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কিনা। না হলে অন্য ব্যবস্থা নিবো তুমি একদম চিন্তা করোনা। অন্য ব্যবস্থা বলতে বুঝলাম না কথাগুলো সামিয়া নারগিস বেগমের উদ্দেশ্য বললো।নারগিস বেগম মনে মনে বলতে থাকে, সোজা আঙুলে কোনকিছু না উঠলে আঙুল বাকা করতে হয়,দরকার পড়লে ফারিয়া নামক অভিশপ্ত মেয়েকে সারাজীবনের জন্য শেষ করে দিবো,আমার একটু হাত কাপবে না। নারগিস বেগম পারেনা এমন কোন কাজ নেই। যেভাবে তাড়িয়েছি ফারিয়াকে আতিক এর জীবন থেকে।নিজের সকল ভাবনার ঘোর কাটিয়ে নারগিস বেগম সামিয়ার বললো, তুমি বুঝবে না,সময় হলে সবকিছু বলবো তোমাকে।
-“আপাতত তোমাকে যে কাজগুলো দিয়েছি তা শুরু করে দাও। মনে রাখবে যদি কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারো তাহলে আতিক কে নিয়ে কোন ভয় নেই৷ আর যদি না পারো তাহলে কিন্তুু সবকিছু বিপরীতে যাবে কথাটা মনে রেখো। বলে নারগিস বেগম অট্ট হাসি দেয় সামিয়ার অজান্তেই। একটু পর সামিয়া চলে যায়। শুরু করে নারগিস বেগমের বলা অনুযায়ী প্রতিটা কাজ একে একে করার জন্য। আতিক এর কাছে গিয়ে নিজের কোলের উপর আতিক এর মাথা রাখে,তারপর আতিক এর কপালে একটা চুমু দেয়। আতিক এর মনে পড়ে যেতে লাগে ফারিয়ার কথা। ফারিয়ার আতিক এর কোলো মাথা রাখতো আর আতিক আলতো করে তার কপালে চুমু একে দিতো। আতিক বিরুক্ত হয়ে সামিয়া কোল থেকে মাথা সড়িয়ে নিয়ে বলতে থাকে,আমার এসব একদম ভালো লাগেনা। প্লিজ তুমি আমার থেকে একটু দূর সরে বসো। সামিয়ার প্রথম প্লানটা জলে গেলো। সামিয়া কি করলো আর কি হয়ে গেলো। সামিয়া যদি জানতো ফারিয়া তার কোলে মাথা রাখতো,তাহলে সেও নিশ্চয়ই আতিক এর কোলে নিজের মাথা রাখতো। কিন্তুু সামিয়া যা করলো,এতে করে আতিক এর মনে পড়ে যায়,ফারিয়ার স্মৃতিগুলো।
‘নিজের স্বামীর মুখ থেকে দূরে সরে বসো কথাটা শুনে সামিয়ার মনটা বিষন্নতায় ভরে ওঠে। কষ্টের তার ভেতরে পুড়ে ছাড়খাড় হতে থাকে। সামিয়া খুজতে থাকে আতিক কেনো বিরক্তকর হলো। কিন্তুু সে কোন কারন খুজে পায়না। পাবেই বা কি করে,একজনের মনের ভেতরের অবস্থা শুধু সে নিজেই জানে। বাকিরা হাজার চেষ্টা করলে তা জানতে পারেনা,যতক্ষণ পর্যন্ত সে প্রকাশ না করে। (লেখক_আহম্মেদ_নীল) সামিয়া রুম থেকে টানা পায়ে বেড়িয়ে গেলো,তা দেখে আতিক বুঝতে পারলো সামিয়ার তার ভালোবাসার চাদরে আতিককে জড়াতে চাচ্ছিল। আতিক বুঝতে পারে সে সামিয়ার সাথে কাজটা ঠিক করি মোটেও। সামিয়ার জন্য তার কষ্ট অনুভব হতে থাকে। আতিক নিজেও বুঝতে পারছে না,কেনো বারবার তার ফারিয়ার কথা মনে পড়ে গিয়ে তাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি আর ঝগড়া সৃষ্টি হচ্ছে.? হয়তো এটা প্রকৃতির বিচার। আতিক তাকে মনে না করতে চাইলেও মনে পড়ে যাচ্ছে। আতিক নিজেও বুঝতে পারছে না এখন তার কি করনীয়।
“এদিকে সামিয়া দৌড়ে চলে যায় নারগিস বেগমের রুমে। কান্নায় ভেঙে পড়ে সামিয়া। নারগিস বেগম সামিয়া একটু শান্ত করে বললো কি হয়েছে.? সামিয়া সবকিছু বললো,নারগিস বেগম চমকে উঠলো,বুঝতে পারলো তার ছেলের পরিনতী কি হতে চলেছে। তার ভেতরেও একরাশ ভয়ের ছাপ জন্ম নিলো। তবে বিষয়টা কাউকে বুঝতে দিলো। নারগিস বেগম নিজে যানে,সে নিজে এখন ভেঙে পড়লে বিষয়টা কতটা বিপদজনক হয়ে যাবে। সামিয়াকে ধৈর্য সহকারে থাকতে বলে,আতিক যতই অপমান বা কষ্ট দিলে সামিয়া যেনো তা মুখ বুঝে সহ্য করে। সামিয়া নারগিস বেগমকে বলে সমস্যা নেই আমি সবকিছু করতে পারবো বলেই আতিক এর রুমের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো। সামিয়া আদেও কি পারবে আতিককে তার মায়ার জালে জড়িয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করতে.? নাকি তার জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে.?
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘সামিয়া আতিক এর কাছে গিয়ে বসলো। মনের ভেতরে তার রাগে অভিমানে পুড়ে ছায় হয়ে যাচ্ছে, কিন্তুু নারগিস বেগমের কথামতো সে আতিককে নিজের জালে ফেলতে চাচ্ছে। আতিক সামিয়াকে দেখে অনেকটা অবাক হয়ে যায়। কারন সামান্য একটু বকা দিলেই সে অভিমান করে রাত-দিন পার করে দেয়। আর আজ কিনা সে আমাকে কিছু বললো না। আতিক একপ্রকার সস্তি পেলো। সামিয়ার কাছে সরি বললো,সামিয়া হাসি মুখে বলতে লাগলো,আমি তোমার স্ত্রী এতটুকু যদি না সহ্য করতে পারি তাহলে আমি কেমন স্ত্রী.? সামিয়ার ভেতরটা আতিক এর উপর অভিমান করলেও উপরটা সামিয়া স্বাভাবিক করে রেখেছে। তাকে যে এই কঠিন পরিক্ষায় জিততেই হবে। আদেও কি পারবে এই কঠিন পরিক্ষায় জিততে.?
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
____________
“এদিকে নীলের বাবা-মা দেশে ফিরবে। একটু আগে নীলের বাবা ইমতিয়াজ চৌধুরি ফোন করে নীলকে এয়ারপোর্টে থেকে নিয়ে আসতে বলে। নীল ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখলো তারা অপেক্ষা করছে। একটু পর গাড়িতে করে তারা সকলে বাসায় পৌঁছে যায়।ফ্রেশ হয়ে যে তার রুমে চলে গেলো। নীল রুমে বসে বসে ল্যাপটপ এ অফিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছিলো তখুনি তার রুমে আগমন ঘটে ইমতিয়াজ চৌধুরীর। কিরে নীল অফিসের কাজ কেমন চলছে.? বাবার কথা শুনে সে বললো,ড্যাড অনেক ভালো চলছে। বসো ড্যাড বলে ল্যাপটপটা বন্ধ করে ফেললো।
-নীল বাবা তোমার মা আর আমি ঠিক করেছি আমার বন্ধুর মেয়ে মায়সার সাথে তোমার বিয়েটা দিয়ে আত্মীয়তা আরো ভালো করে নিবো। নীল তো কিছুক্ষনের জন্য চমকে গেলো। তার ড্যাডকে এখন কি করে বলবে,সে যে আগে থেকে ফারিয়াকে বিয়ে করবে বলে সবকিছু পাকাপাকি করে ফেলেছে। নীল ছোট থেকে আজ পর্যন্ত তার বাবার মুখের উপর কোন কথা বলিনি,তবে আজকে একপ্রকার বাধ্য হলো নীল। না মানে ড্যাড। তুমি কি এত মানে মানে করছো,যা বলবা ক্লিয়ার করে বলো। তোমার কি কোন মেয়ে পছন্দ আছে.?
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘হুম ড্যাড আছে। তাহলে চলো আগামীকাল তাদের বাড়ি কথাবার্তা বলে দিনখান পাকা করে ফেলি। ড্যাড একটু সমস্যা আছে, তারপর নীল তার বাবাকে পুরো ঘটনা বলতে থাকে। নীলের কথা শুনে তার বাবা কিছুক্ষনের জন্য হতভম্ব হয়ে বসে থাকলো,তারপর বলতে লাগলো,তোমার মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে.? আমার তো মনে হচ্ছে তোমার মাথা ঠিক নেই। এটা কেমন করে সম্ভব। তুমি হলে চৌধুরী পরিবারের একমাত্র আদরের ছেলে।যেদিন থেকে তুমি পৃথিবীতে আসলে সেদিন থেকে তুমি সোনার চামছে মুখে দিয়ে পৃথিবী দেখলে। আজ পর্যন্ত তুমি যা চেয়েছো,তা নিমিষেই এনে দিয়েছি। কিন্তুু আজ তুমি যেটা আমার কাছে চাইলে এটা আমি বাবা হয়ে কেমন করে এনে দিবো। তাছাড়া তুমি একজন এই শহরের টপ বিজনেস ম্যান। সবাই তোমাকে এক নামে চিনে,মিস্টার নীল চৌধুরী। তোমার বিয়ের কথা বললে এই শহরের মেয়ের ভিড় জমিয়ে দিবে। আর তুমি শেষে কিনা একটা ডিভোর্স আর প্রেগন্যান্ট মেয়েকে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নিলে। সি নীল এতদিন আমি ভাবতাম তুমি বুদ্ধিমতি।
-‘নীল বলতে লাগলো,বাবা আমি বিয়ে করলে ফারিয়াকেই করবো। আমি জানি তোমরা আমাকে ছোট থেকে কোনকিছুর ঘাটতি রাখো। চাওয়ার আগে সকল আবদার পূরণ করেছো। বাবা হিসাবে তুমি আমার কাছে অনেক সম্মানের। বাবা সত্যিকারের ভালোবাসার কাছে,জাত-বেজাত কোন কিছু না।(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
আমি ফারিয়াকে সত্যিকারের ভালোবাসি। না হলে এই শহরের এত মেয়ে থাকতে ওকেই কেনো বা ভালো লাগলো। আমি আজ পর্যন্ত কোন মেয়ের দিকে চোক তুলে তাকায় নি,এর আগে জানতাম ও না ভালোবাসা কাকে বলে। কিন্তুু আমি প্রথম একটা মেয়েকেই ভালোবেসেছি আর আমার তাকেই লাগবে,সব কিছুর বিনিময়ে হলেও ওকেই আমার লাগবে। আর কি বললে,ডিভোর্সী.?কেনো বাবা একজন ডিভোর্স মেয়ে কি মানুষ না। জানো বাবা একজন ডিভোর্স মেয়ে কতটা অসহায়।
“একজন ডিভোর্সী মেয়ে, সমাজের মানুষের কাছে কতটা অবহেলিত, কতটা কুটকথা শুনতে হয়। যদি মেয়েটাকে কোন কারন ছাড়া তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দেয়,তখন সমাজের মানুষ কি বলে জানো.? বলবে মেয়েটার স্বভাব চরিত্র হয়তো ভালো না,বিয়ের পরেও হয়তো অবৈধ সম্পর্ক ছিলো,না হলে এমনি এমনি কেউ কাউকে ডিভোর্স দেয় নাকি। সমাজের মানুষ একটুও সত্যি মিথ্যা যাচায় করতে চায়না। আমি একজন অসহায় মেয়ের পাশে দাড়াতে চাই সারাজীবন। এবার আসি তার পেটে থাকা বাচ্চার কথা। মানলাম ওটা আমার সন্তান না,অন্য কারোর সন্তান। যদি আমি বা আমরা তাকে আমাদের পরিচয় দিয়ে বড় করে তুলি,তাকে একটা পরিচয় দিয়,এতে কি আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে.?আমি আশা করি কোন ক্ষতি হবেনা,বরং একটা শিশুটা তার বাবার পরিচয় পাবে,তাকে এতিম এর পরিচয়ে বড় হওয়া লাগবে না। সেও অন্য সকল শিশুদের মতো স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারবে। তাকে কেউ কুটকথা কিলবা জারজ সন্তান বলতে পারবে না।
-‘নীলের কথা শুনে ইমতিয়াজ চৌধুরীর চোখের কোনে অশ্রু কনাগুলো টলমল করতে থাকে। সে উপলব্ধি করতে পারে একটা ডিভোর্স মেয়ের অসহায়ত্ব, অবহেলার জীবনাকে। আর একটা পরিচয়হীন শিশুর জীবন-যাপন সম্পর্ক সে বুঝতে পারে। সে তো এর আগে এই সব বিষয় কখনো এতটা গভীর ভাবে ভাবিনি। ইমতিয়াজ চৌধুরী তার সকল ভুলগুলো বুঝতে পারে। নীল এর আগে তার বাবার মুখোমুখি কখনো এমনভাবে কথা বলিনি। নীলের অনেক খারাপ লাগে তার বাবার সামনে এমনভাবে কথাগুলো বলতে। তবুও একপ্রকার বাধ্য হয় বলতে। হয়তো ভালোবাসার টানে না হয় একজন সৎপুরুষ হিসাবে। ড্যাড পারলে আমাকে মাফ করে দিবে। আমি চাইনি কথাগুলো এভাবে বলতে বিশ্বাস করো বলেই,
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘রুম থেকে চলে যেতে নিলে,ইমতিয়াজ চৌধুরী নীলকে বলে দাড়াও। নীল পিছনে ফিরে মাথাটা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে।
নীল তুমি যে আমার ছেলে তার পরিচয় আজকে দিলে। ছেলে হয়ে বাবার চোখকে নতুন করে আলোকিত করে দিলে।
আমি তোমাকে ওই মেয়ের সাথেই বিয়ে দিবো। আগামীকাল আমরা তাদের বাসায় যাবো,কিংবা তারা আসবে। নীল বললো,ড্যাড আই লাভ ইউ সো মাচ। ওড়া আমাদের বাসায় আসতে চাই। ওকে মাই সন। কিন্তুু একটা সমস্যা রয়ে গেছে।
-নীল বল,,,,
চলবে কী.?