#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_১৩
-‘সামিয়া আবারো আতিক কে জড়িয়ে ধরতে লাগলো,আতিকও আর মানা করলো না,তবে আতিক এর কাছে সামিয়াকে এখন বিরক্তিকর লাগছে। সামিয়া আবারো আতিক এর ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট নিয়ে যেতে চাইলে আতিক আর কোন বাধা দেয়না। সামিয়া মনে মনে নারগিস বেগমের কথা অনুযায়ী কাজ শুরু করে। সামিয়া আতিককে অনবরত কিস করতে থাকে। হঠাৎ আতিকের মাথা আবারো ফারিয়া নামক রমনীর কথা ভেসে ওঠে।
“তখুনি আতিক সামিয়াকে ধাক্কা মেরে একটু দূরে ফেলে দেয়। সামিয়া কোমড়ে অনেক লাগে,মা বলে উঠে। আতিক নিজেও বুঝতে পারছে না তার সাথে বারবার কেনো এমনটা হচ্ছে। সামিয়ার উপর সে কেনো বিরক্তিকর হচ্ছে নিজের মনের অজান্তেই। আতিকের মাথায় শুধু ফারিয়ার স্মৃতিগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। এদিকে সামিয়া কান্না করতে থাকে কোমড়ের ব্যাথায়,কিন্তুু সে দিকে আতিকের বিন্দু মাত্র ভ্রু ক্ষেপ নেয়। সে বিভোর হয়ে আছে ফারিয়ার স্মৃতিগুলো নিয়ে,তা তাকে প্রতিনিয়ত একটুও ভালো থাকতে দিচ্ছে না। হয়তো এটা প্রকৃতির বিচার। যা থেকে কেউ রক্ষা পায়না।
‘সামিয়ার কান্না শুনে আতির এর ঘোর কাটলো। আতিক অবাক হয়ে তাকিয়া আছে সামিয়ার দিকে। সামিয়া দু চোখ বেয়ে টপটপ করে অঝোরে নোনাজল গড়িয়ে পরছে। আতিক নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে সামিয়ার দিকে এগিয়ে এসে বলে,আই এম সরি। আসলে আমি বুঝতে পারিনি ঘুমের ঘোরে তোমাকে ধাক্কা মারা হয়ে গেছে।সামিয়া বুঝতে পারছে না তার সাথে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে,যা সামিয়া আর আতিক কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘সামিয়া অনেকটা ব্যাথা পেয়েছে,তাই আতিক কোমড়ে মলম লাগিয়ে দেয় আপাতত।তারপর আতিক বেলকনিতে চলে যায় গভীর রাতে। কারন আতিকের মনের মাঝে অশান্তি নামক মরনব্যধির আগমন ঘটেছে যা হয়তো ফারিয়ার সাথে করা অন্যায়,আর অত্যাচার আতিকের জীবনে একে একে ফেরতে আসতে চলেছে। আতিক চেয়ারে হেলান দিয়ে একের পর এক জলন্ত সিগারেট শেষ করেই চলেছে। ফারিয়াকে পাওয়ার তিব্র অনুভূতি তার মাঝে বিরাজ করছে প্রতিনিয়ত,আর সামিয়ার প্রতি দিনে দিনে সে বিরক্তিকর হচ্ছে। জলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে সে ভাবতে থাকে আগামীকাল আবার সে ভার্সিটিতে যাবে,যদি ফারিয়াকে চোখের দেখা দেখতে পায়,তাও আতিকের মনে একরাশ প্রশান্তি হবে। আতিক সিদ্ধান্ত নেয় আগামীকাল সে যে করেই হোক ফারিয়াকে বলবে, তার মনের ভেতরে জমে থাকা কথাগুলো। এদিকে সামিয়া অঝোরে কান্না করে বালিশ ভেজায়,কারন তার প্রতিটা প্লান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নারগিস বেগমের বলা কথা অনুযায়ী, সে একটা কাজও ঠিক মতো করতে পারছে না। পারবেই বা কেমন করে,আতিক তো তাকে কোন সুযোগ দিচ্ছে না,রবং তার প্রতি সবসময় বিরক্তিকর হচ্ছে।
-এই বিষন্ন ভরা জীবন সামিয়ার আর ভালো লাগছে না।সবকিছু জেনেও কেনো সে আতিককেই বিয়ে করলো,কত ভালো ভালো পাত্র তার কাছ থেকে রিজেক্ট হয়ে ফিরে গেছে। আর শেষে আতিককেই বিয়ে করে নিলো,তাও আবার রিলেশন করে। সামিয়া জানতো আতিক বিবাহিত, প্রথমে তাদের পরিচয় হয় ফেসবুকে। সবকিছু জেনে শুনেও সামিয়া ছয় মাস রিলেশন করার পর সিদ্ধান্ত নেয় আতিককে বিয়ে করবে,সে যদি ফারিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে সারাজীবন এর মতো বাড়িয়ে থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে। সামিয়ার বলা কথা অনুযায়ী আতিক ফারিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে সামিয়াকে বিয়ে করে আনে। সামিয়া আর আতিক ভেবেছিলো তারা দুজন দুজনকে আপন করে নিতে পারবে। আদেও কি একটা নিষ্পাপ মানুষের মন ভেঙে, একটা সুন্দর সাজানো গোছানো সংসার ভেঙে আদেও কি যায় নতুন করে সুখে শান্তিতে সংসার গড়া.? হয়তো না।
‘রাত ঘুনিয়ে ভোর হবে হবে ভাব তখন আতিক রুমে এসে দেখে সামিয়া ঘুমিয়ে রয়েছে। চোখগুলো ফোলা ফোলা, আতিকের বুঝতে অসুবিধা হলোনা সামিয়া অনেক কান্নাকাটি করেছে সারারা । তবে আতিকের কিছু করার নেই। সে সামিয়ার পাশে শুয়ে পড়ে কিছুক্ষণের জন্য। আতিক এর করা একটা ভুলের জন্য তিনটা জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। আতিক যদি সামিয়ার সাথে সম্পর্কে না জড়াতো তাহলে আতিককে হয়তো আজকের এর অশান্তি ভরা জীবনকে ভোগ করতে হতো না। ভোরের আযান সামিয়ার কানে আসতেই সে উঠে পড়ে।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) আতিক এর ঘুমন্ত নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ ভাবতে লাগলো,এই নিষ্পাপ মুখটা কেমনে করে পারে আমার সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করতে,বিয়ের পরেও তো কখনো এমন ব্যবহার করতো না,বরং আমাকে সবসময় আগলে রাখতো। বিয়ের পরে আতিক এর কেয়ারিং গুলো আমার কাছে একটু বিরক্তিকর লাগতো,মনে হতো আমি ছোট্ট বাচ্চা। আর ছোট্ট বাচ্চাদের মতো খেয়াল রাখতো। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,নিয়তি আজ সবকিছু বিপরীত করে দিয়েছে। এখন আমি আতিকের কাছ থেকে আগের সেই একটু কেয়ারিং আর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত পাগল হয়ে যাচ্ছি।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
“তবে আমি হাজারো চেষ্টা করে তাও পাচ্ছিনা। যত সময় যাচ্ছে আমার মনে হচ্ছে, সবকিছু কেমন যেনো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সামিয়ার দু নয়ন বেয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়তে লাগে। ওড়না দিয়ে চোখগুলো মুছে সে চলে যায় ওয়াশরুমে।তারপর ফ্রেশ হয়ে আবার রুমে চলে আসে। রুমে গেলেও সামিয়ার একটু ভালো লাগেনা,তাই সে বেলকনিতে এসে ভোরের সকালটা উপভোগ করতে থাকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর ভাবতে থাকে,আমার আশাকটাতেও কিছুদিন আগেও এমন নীল সুন্দর ছিলো। কিন্তুু এখন পুরো আকাশটাতে ঘুটঘুটে কালো মেঘে পুরো আকাশটাকে গ্রাস করে নিয়েছে। যদি তার মনের আকাশের কালো মেঘগুলো সড়ে গিয়ে আবারো আগের মতো নীল হয়ে যেতো হয়তো ভালো হতো সামিয়ার। আকাশের দিকে তাকিয়ে সে সৃষ্টিকর্তাকে বলতে থাকে,সবকিছু আবার আগের মতো করে দিতে এবং আতিককে আগের মতো স্বাভাবিক করে দিতে। আদেও কি সামিয়ার জীবনটা আবার আগের মতো করে পাবে.?
-‘সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে গেলো পুরো শহরটা, নিত্যদিনের মতো যে যার কাজে ব্যস্থ হয়ে পড়লো। সামিয়া নাস্তা রেডি করতে লাগলো। তবে সামিয়ার মনে একবুক কষ্ট জমে আছে,যা সে কাউকে দেখাতে পারছে না। আতিক এর জন্য এককাফ কফি তৈরি করে রুমে দিকে অগ্রসর হলো। রুমে গিয়ে দেখলো আতিক বাচ্চাদের মতো এখনো ঘুমিয়ে আছে। কয়েকবার ডাকার পরও আতিক উঠলো না,সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়,তারপর সে গায়ে হাত দিয়ে ডাকলো। (লেখক_আহম্মেদ_নীল)তখন আতিকের একটু ঘুমের ঘোড় কাটলো। অনেক রাত অবদি জেগে থাকার কারনে হয়তো এত ঘুম হয়েছে,যা কয়েকবার ডাকার পরও বুঝতে পারিনি। তাড়াতাড়ি উঠে পড়ো কফি ঠান্ডা হয়ে যাবে তো। আর প্রায় ৯ টা বেজে গেছে কথাগুলো বলে সামিয়া কাফটা রেখে হনহন করে চলে যেতে নিলেই,আতিক সামিয়ার হাতটা টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়,সামিয়া অনেকটা ভালো লাগে,তার মনে জমে থাকা সকল অভিমান আর কষ্টগুলো ভেঙে যায় নিমিষেই।
-“একটু পর সামিয়াকে চোখ বুঝে শুয়ে আছে,কিন্তুু আতিক তাকে ছেড়ে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়। সামিয়া বুঝতে পারে আতিক তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সামিয়া হয়তো আতিক এর গভীর ভালোবাসা পেতে চেয়েছিলো,কিন্তুু তা আর হলো না। কফি খাওয়ার পর সামিয়াকে গুছিয়ে নিতে বলে আতিক। সামিয়া আতিককে বলে তার কোমড়ে এখনো অনেকটা ব্যাথা রয়েছে তাই সে আজ ভার্সিটিতে যাবে না। আতিক তো মনে মনে অনেক খুশি,কারন আজ অফিসে দেরি করে যাবে,প্রথম টাইম সে ভার্সিটিতে যাবে ফারিয়ার সাথে দেখা করতে। কিন্তুু সামিয়া গেলে তাতে বিঘ্ন ঘটিতে পারে। ব্রেকফাস্ট করে আতিককে তারাতাড়ি রেডি হতে দেখে নারগিস বেগম বললো,কিরে আজ এত তারাতাড়ি চলে যাচ্ছিস যে.? আসলে মা আজকে অফিসে গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং আছে,তাই ফাইলগুলো রেডি করতে বলেছে বস। তাই তারাতাড়ি যেতে হবে। কথাটা সামিয়া বিশ্বাস করলেও নারগিস বেগমের মনে একটা খটকা লাগে।
‘ইদানীং আতিক কে তার মা নারগিস বেগম বিশ্বাস করতে পারেনা। কারন নারগিস বেগম অনেকটা বুঝতে পারে সামিয়ার সাথে করা খারাপ ব্যবহারের কথা।নারগিস বেগম বুঝতে পারে ফারিয়ার শূন্যতা আতিককে ভেতর থেকে অস্থির করে তুলছে। আতিক সামিয়ার প্রতি বিরক্তিকর হচ্ছে তা মুখে না বললেও তার আচারনে অনেকটা বুঝতে পারে সামিয়া ও নারগিস বেগম। নারগিস বেগম আর সামিয়া কি আদেও পারবে আতিককে জীবন ফারিয়ার শূন্য দূর করে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে.? নাকি আতিক,সামিয়া আর নারগিস বেগমের করুন পরিনতি হতে চলেছে.?
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
______________
“আমাদের কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে যদি আমাদের পরিচয়ে শিশুটাকে বড় করে সুন্দর একটা জীবন দিয়.?
আমার তো মনে হয়না যে কোন সমস্যা হবে। নীলের মা সাদিয়া বেগম সবটা বুঝতে পারে তারপর নীলকে বলতে থাকে,আমি তোমার প্রস্তাবে রাজি। আমি ফারিয়ার সাথে তোমাকে বিয়ে দিবো। নীল তুমি আমার মনের ভেতরের খারাপ মনোভাবগুলো তুমি আজকে দূর করে দিয়েছো।আসলে আমি বা আমাদের সমাজের মানুষ একটা ডিভোর্স মেয়ে বলতেই খারাপ মনে করি। আসলে প্রতিটা ডিভোর্স মেয়ে আসলেই যে খারাপ হয়না,কিছু কিছু মেয়ের জীবনে ডিভোর্স নামক অভিশপ্ত বিষয়টা পরিস্থিতির কারনেও হয়ে থাকে তা তুমি আমাকে বুঝালে। নীল পেরেছে তার ভালোবাসাকে জয় করতে। পেয়েছে তার মা-বাবার মনের মাঝে থাকা ভুল ধারনাগুলো দূর করে, নতুন করে তাদের মনকে আলোকিত করতে।
-‘সাদিয়া বেগম ছেলেকে উদ্দেশ্য করে আবারো বললো,নীল তুমি আরেকবার ভেবে দেখো। বিয়েটা কিন্তুু পুতুল খেলা না,যে দুদিন পর তা ভেঙে ফেললে। এটা কিন্তুু সারাজীবনের একটা বন্ধন। মম আমি আমার সিদ্ধান্তে অটুট। হাজারো প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে হলেও ফারিয়াকে আকড়ে ধরে বাঁচতে পারবো। নীলের এত মনোবল দেখে তার বাবা ও মা বললো,কালকেই আমাদের বাসায় ওদেরকে আসতে বলো।আচ্ছা বলে নীল নিজের রুম থেকে বেড়িয়ে বেলকনিতে চলে যায়।
-“একটু পর নীলের নাম্বারে কল করে, নীল কলটা রিসিভ করে বলতে লাগলো,কি করছো.?তেমন কিছু না বসে আছি।আপনি কি করছেন.?এইতো বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছি আর তোমার কথা ভাবছি। ফারিয়া ফোনের ওপাশ থেকে কিছুটা লজ্জা পায়,আর ভাবে এই মানুষ একদম আমার মনের মতো। সবসময় আমাকে নিয়ে ভাবে,না হয় চিন্তা করে। এমন মানুষকে জীবনসঙ্গী পাওয়া যে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে গিফট ছাড়া আর কিছু না। আচ্ছা শুনো আগামীকাল তোমরা সবাই আমাদের বাসায় আসবে,আর তুমি কিন্তুু একটা শাড়ি পড়ে আসবে। আ,,আমি আপনাদের বাসায় যাবো.?আবার শাড়ি পড়ে.? কিন্তুু কেনো জানতে পারি.?
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘মা-বাবা তোমাকে দেখবে এবং তোমার মা-বাবার সাথে কথা বলবে।ফারিয়া কিছুক্ষনের জন্য হতভম্ব হয়ে যায়। সত্যি বলে তাহলে আমাকে শেষমেশ আবার বিয়ে পিড়িতে বসতে হবে। কথাগুলো ভাবতেই ফারিয়া ঠোঁটের কোনে হাসির ঝলকানি দেখা দিলো ফারিয়ার অজান্তেই। এই তুমি চুপ কেনো.? নীলের কথা শুনে ফারিয়ার সকল ঘোর কাটলো। না মানে এমনি। নীল বলতে লাগলো,আর একটা কথা বলতেই তো ভুলে গেছি। কী কথা বলতে পারেন.?
“আগামীকাল সকাল ১০ টার সময় রেডি থেকো। ওপাশ থেকে বলতে লাগলো,কিন্তুু কেনো.? কেনো যেতে কোন সমস্যা.?না। তাহলে রেডি থেকো আমি নিয়ে আসবো গাড়িতে করে বলেই কলটা কেটে দিলো। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ চোখ পড়ল বিকালে ডুবন্ত সূর্যের দিকে । কত সুন্দর লাগছে ডুবন্ত লালচে সূর্যটা। হয়তো নীলের জীবনটা এমন সুন্দর মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। নীল তখুনি ভাবে,ইস আজ যদি ফারিয়া আমার সাথে থাকতো,তাহলে আমি তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে দুজন একসাথে এমন সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করতে পারতাম। তখুনি নীল বলতে থাকলো,
(লেখনিতে_নীল)
“-তোমার নেশা ধরানো চোঁখ দু’টো দেখে,
-চোঁখ নয় যেন দুটি রাতের আকাশের শুকতারা ,
-পলকে পলকে হয়ে যায় দিশেহারা,
-ভ্রু দু’টো কৃষ্ণ গোলাপের পাপড়ি,
-মন কেড়ে নেই দিবা শর্বরী!”
চলবে কী.?