#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_১৫
-সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়,সামিয়া তো তার কথামতো কোন কাজেই সফলতা পায়নি,তাহলে সে এখন কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না সামিয়া। তার মনের মধ্যে একরাশ ভয় গ্রাস করতে থাকে। সামিয়া বললো,আমি চেষ্টা করছি তবে ইদানীং আতিক আমার সাথে খুব বেশি খারাপ আচারন করছে।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘হঠাৎ নারগিস বেগম বলে উঠে,কেমন স্ত্রী তুমি নিজের স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারোনা।তোমাকে কি সবকিছু বলে দিতে হবে.?তোমার দ্বারাই একটাও কাজি হয়না ঠিকঠাক ,বরং সবকিছু দিনদিন বিপরীতে চলে যাচ্ছে। এমন হলে তো আর কিছুদিন পর আতিক আমাদের সবার প্রতি বিরক্তিকর হয়ে যাবে। তখন হাজার চেষ্টা করলেও আমরা তাকে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবো না। নারগিস বেগম কোন সংকোচ না করে সামিয়ার হাত ধরে। তারপর বলতে থাকে বউমা প্লিজ তুমিই পারবে আতিককে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। আমার বলা কাজগুলো তারাতাড়ি করো। তারপর সামিয়া চলে গেলো রুমের দিকে। নারগিস বেগম নিজের ছেলের করুন অবস্থার কথা ভেবে শেষ মেষ সামিয়ার হাত ধরতে বাধ্য হলো। এছাড়া যে তার আর কোন উপায় নেই।
-‘সামিয়া রুমে গিয়ে আপ্রান চেষ্টা করছে আতিকের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তুু আতিক অনবরত ভুল বকতে থাকে। তার পুরো মস্তিষ্কে মনে হচ্ছে ফারিয়া গ্রাস করে ফেলেছে। আতিক এর মুখ থেকে একটা নামি উচ্চারিত হচ্ছে, ফারিয়া।আর সামিয়া একটু একটু করে আতিক এর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এছাড়া যে তার আর কোন উপায় নেই। আজ সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে,যা হয় হবে তাকে তার কাজগুলো করতেই হবে,না হলে যে আতিককে দিনেদিনে সে চিরতরে হারিয়ে ফেলবে।যা কখনো সামিয়া নামক রমনী চায়না। সে তো চাই আতিক এর ভালোবাসার মাঝে বাকিটা জীবন ডুবে থাকতে।
‘আদেও কি জোরপূর্বক ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব, যা সামিয়া করতে চলেছে। আতিক এর শার্টের বোতামগুলো খুলতে থাকে সামিয়া একে একে। তারপর আতিক উপর একটা সময় ঝাপিয়ে পড়ে। এছাড়া যে তার আর কোন উপায় নেই।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) নিজের কাজটা হাসিল করে সামিয়া হাসতে হাসতে বলে,সোজা আঙুলে কোনকিছু না উঠলে,আঙুলটা বাকা করতে হয়,তা সামিয়ার খুব ভালো করে জানা আছে। আতিক ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। নিজের শরীর বিলিয়ে সামিয়া যেইটা করলো আদেও কি এটাকে ভালোবাসা বলে.?যেখানে মনের আন্তরিকতা নেই,সেখানে ভালোবাসার কথাটা ভাবাও পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না।
-“সামিয়া মনে মনে আজ খুব খুশি হলো। কারন আজ সে তার প্রথম একটা কাজে সফল হয়েছে। যাইহোক শেষমেশ নারগিস বেগমের কথামতো একটা কাজে সফলতা পেলো।এদিকে সকাল হলে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে মাথার চুলগুলো আচরাতে থাকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে। আর সেই চুলের পানি কয়েক ফোটা আতিকের মুখের উপর পড়তেই আতিক চোখটা মেলে দেখে সামিয়া চুল আচরাচ্ছে। আতিক অনেকটা বিরক্তিকর হয়ে উঠে পড়ে,তারপর সামিয়ার চুলের মুঠো ধরে, আর সামিয়া ব্যাথায় কুকড়াতে থাকে। আতিক এর এমন পশুর ব্যবহারে সামিয়ার রুহটা কেঁপে উঠে। এর আগের আতিক কখনো এমন নরপশুর ব্যবহার সামিয়ার সাথে করিনি।সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে বলে,আতিক আমাকে ছাড়ো। কিন্তুু আতিক কিছুতেই ছাড়েনা।অনেকক্ষণ চুলের মুঠি ধরে থাকে,আর এদিকে সামিয়া অনেক ব্যাথা পায়। আতিক কি সামিয়া ব্যাথাগুলো একটুও অনুভব করতে পারছে না। পারবেই বা কেমন করে,আতিক তো মগ্ন রয়েছে ফারিয়ার চিন্তায়।যা তাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে, ঠিকমতো কোন কাজ কিংবা ঘুমাতে দিচ্ছে না।
‘সামিয়া সজোড়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়,আর তার মাথা গিয়ে লাগে দেওয়ালের সাথে। সামিয়া ব্যাথা অনুভব করতে পেরে মাথায় হাত দিয়ে,কয়েক সেকেন্ড পর হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো তার হাতে রক্ত। সামিয়া বুঝতে পারলো সজোড়ে ধাক্কা খাওয়ার ফলে কেটে গেছে। অঝোরে তার মাথা থেকে রক্ত বের হয়। আতিকের সে দিকে বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। সে চলে যায় ওয়াশরুমের দিকে। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বসে থাকে সামিয়া,তার কপাল বেয়ে ফ্লোরে টপটপ করে চোখের জল আর রক্ত একসাথে পড়তে থাকে। নারগিস বেগমের রুমে এখনো সকালের নাস্তা যায়নি,এটা দেখে নারগিস বেগম নিজেই সামিয়ার রুমের দিকে অগ্রসর হয়। রুমের ভেতরে প্রবেশ করে যা দেখতে পেলো তা দেখার জন্য একটুও প্রস্তুত ছিলো না। সামিয়া কাছে গিয়ে বলে,এমন হাল হলো কেমন করে.? সামিয়া বোবার মতো হতভম্ব হয়ে বসে থাকে কোন কথা বলে না। অনেকক্ষণ পর বলে আতিক। নারগিস বেগম একটু পর ডাক্তারকে কল করে। নারগিস বেগম নিজের রুমে নিয়ে যায় সামিয়াকে। তারপর ডাক্তার দিয়ে ব্যান্ডেজ করিয়ে নেয়। সামিয়া নারগিস বেগমকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে,তারপর একে একে সবকিছু বলতে থাকে।
“নারগিস বেগম তো চরম খুশি। আবার অন্যদিকে চরম হতাশা ছেলের নিষ্ঠুর আতারনের কারনে। কতটা নিষ্টুর হলে একটা মানুষ নিজের স্ত্রীকে দেওয়ালে ধাক্কা মারতে পারে। মারনাল ধাক্কা মারলো। তবে একটুও কি তাকাতে ইচ্ছে হলোনা,সামিয়ার কি হলো.?মেয়েটা কতটা অসহায়। নারগিস বেগম সামিয়াকে তার রুমে বসতে বলে,তারপর সে যায় আতিকের সাথে কথা বলার জন্য। রুমে গিয়ে দেখলো আতিক রেডি হচ্ছে, নারগিস বেগম কোন কথা না বলে পয়পয় করে আতিকের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। আতিক বলতে লাগলো,আমাকে এভাবে মারছো কোনো মম.? তোকে কেনো মারছি বুঝতে পারছিস না.? তুই দিনেদিনে কতটা অমানুষ হয়ে যাচ্ছিস,ভাবতেই আমার ঘৃণা করছে। তোকে পেটে ধরেই আমি ভুল করেছি।
-‘আতিক নারগিস বেগমকে চমকে দিয়ে বলতে লাগলো, ভুল তুমি করোনি মম। ভুলতো আমি করেছি তোমার মতো একটা ডাইনির মায়ের গর্ভে জন্মে। যে মা একটা মেয়ে হয়ে অন্য একটা নিরপরাধ মেয়ের সংসার ভাঙতে একটু দ্বিধা করিনি। নিজের ছেলেকে লেলিয়ে দিয়েছো দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য। দিনের পর দিন একটা নিষ্পাপ মেয়েকে অত্যাচার করেছো। তোমার লজ্জা করেনা একটা মা হয়েছে আরেকটা মেয়ের উপর এত অবিচার আর অত্যাচার করতে। মম আমি খুব বড় ভুল করেছি তোমার কথামতো চলে আর সবকিছু করে। আজ যদি নিজের সিদ্ধান্তে সবকিছু করতাম আমাকে পাপের ফল ভোগ করতে হতোনা,কথাটা বলেই আতিক হনহন করে রুম থেকে চলে যায়।
-“নারগিস বেগম ছেলের মুখ থেকে এমন মধুর বানী কখনো আশা করিনি। নাগরিস বেগমের মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠে। আর বারবার মাথার ভেতরে ঘুরপাক খায় আতিকের বলা কথাগুলো। টপটপ করে চোখ বেয়ে নেনাজল গড়িয়ে পড়তে থাকে। হয়তো নারগিস বেগমের করা পাপের ফল খুব তারাতাড়ি ফেরতে আসতে চলেছে৷ প্রকৃতি তার হিসাব একে একে বুঝে নিতে চলেছে তাদের কাছ থেকে। আর ফারিয়াকে উপহার স্বরুপ ফেরত দিচ্ছে সত্যিকারের একজন জীবনসঙ্গী আর সাথে দিতে চলেছে একরাশ ভালোবাসা আর একটি সুখের সংসার।
‘নারগিস বেগম আতিকের বেডে বসে থাকে। প্রায় ৩০ মিনিট পর সামিয়া নিজের রুমে এসে দেখে নারগিস বেগম বেডে বসে আছে। সামিয়া নারগিস বেগমের চোখে প্রথমবারের মতো জল দেখে অনেকটা অবাক হয়ে যায়। কি হয়েছে মা.? নারগিস বেগম কিছু বলছে না,শুধু তার চোখ বেয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) সামিয়া মা আমরা হয়তো আতিককে আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবো না বলেই সামিয়াকে বুকে টেনে নেয় নারগিস বেগম। তবে সামিয়াকে কিছু বলে না কি ঘটেছে তার সাথে। তবে সামিয়া অনেকটা আন্দাজ করতে পারে আতিক এর কাছ থেকে ওনি হয়তো বড়সর ধাক্কা খেয়েছে। না হলে ওনি তো এত সহজে ভেঙে পড়ার মানুষ না৷ ওনি অনেক পাশান একজন মহিলা।
না হলে কি আর একটা সুখের সংসার ভাঙতে পারতো.?
-মাথায় ব্যান্ডেজ অবস্থায় সামিয়া ওয়াশরুম গেলো। অনেকটা ব্যাথা অনুভব হলেও সামিয়া নারগিস বেগমকে ডাকলো না,ডাকলে হয়তো ওনি সামিয়াকে ওয়াশরুমে নিয়ে যেতো। সামিয়া নারগিস বেগমকে ডাকলো না,কারন সামিয়া নারগিস বেগমের মনের অবস্থা একটু হলেও বুঝতে পারে। ওনার মনের মাঝে কতটা ঝড় চলছে।
“সামিয়া ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে,নাকে হাত দিতেই অঝোরে রক্ত বের হতে থাকে তার নাক থেকে। সামিয়া কালকে বিষয়টা গুরুত্ব না দিলেও আজকে সে বুঝতে পারে তার বড় ধরনের কোন সমস্যা হতে চলেছে। অনেকটা রক্তক্ষরন হওয়ার পর সামিয়া চলে গেলো তার নিজের রুমে।
সামিয়া সিদ্ধান্ত নেই বিষয়টা নারগিস বেগমকে বলে বড় কোন ডাক্তারের কাছে যাবে। কিন্তুু সে আজকে বলবে না নারগিস বেগমকে। আগামীকাল বলবে। কি এমন হতে পারে.? যায় জন্য নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে প্রতিদিন। সামিয়ার মনে একরাশ ভয় গ্রাস করতে থাকে।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
_____________________
-‘এদিকে ফারিয়া পড়ে গেলো মহা চিন্তায়। নীল শাড়ি সে এখন কোথায় পাবে.? তখুনি ফারিয়ার মনে পড়ে গেলো নীলের দেওয়া সেই শপিং প্যাকেটটার কথা। দেরি না করে ফারিয়া দেখতে লাগলো প্যাকেটের ভেতরে কি এমন কিছু দিয়েছে,যা তখন আমাকে দেখতে নিষেধ করলো। বাসায় এসে দেখতে বললো। প্যাকেটের ভেতরে হাত দিয়ে বের করতেই যা দেখলো,তা হয়তো ফারিয়ার কাছে স্বপ্নের মতো। কারন প্যাকেটের ভেতরে আছে,একটা লাল বেনারসি আর একটা নীল শাড়ি। বিয়ের পর আতিককে ফারিয়া অনেকবার শক করে বলতে চেয়েছিলো,কিন্তুু আতিক এসব শাড়ি পছন্দ করতো না,সে পছন্দ করতো মর্ডান ড্রেস। শাড়ি পড়লে নাকি ফারিয়াকে গ্রামের ক্ষেত মেয়েদের মতো লাগবে। (লেখক_আহম্মেদ_নীল) কিন্তুু আতিক বোকা,সে জানতো না শাড়িতে মেয়েদের অন্যরকম সুন্দর লাগে। ফারিয়ার নীলের দেওয়া জিনিস দুইটা বুকে জড়িয়ে ধরে, তার মনের অজান্তেই দু নয়ন বেয়ে টপটপ করে অশ্রু কনাগুলো গড়িয়ে পড়তে লাগলো। আজ সে কারোর বাধা মানবে না,তার নিজের গতিতে বেয়ে চলবে। হয়তো এটা ফারিয়ার সুখের কান্না,স্বপ্ন পূরনের হওয়ার কান্না। ফারিয়া নিজের পেটে হাত দিয়ে বলতে থাকে,সোনা তুমি চিন্তা করোনা,আমি থাকতে তোমার কোন চিন্তা নেই। তোমাকে আমার সবটুকু দিয়ে আগলে রাখবো।
-নীলের মতো এমন একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া যে ভাগ্যের বিষয়। কথাটা উপলব্ধি করতে পারে ফারিয়া। ফারিয়ার নিজের মনের ভেতর অদ্ভুত এক প্রশান্তি কাজ করতে থাকে।
আতিক চলে না গেলে ফারিয়া হয়তো একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষকে পেতো না। ফারিয়া নিজেকে স্বাভাবিক করে রুমে বসে থাকে। এমন সময় তার মা অহনা বেগমের ডাকে রিতিমতো চমকে ওঠে।
‘কিরে মা রেডি হয়ে নে,আমাদের তো যেতে হবে তাই না, কথাগুলো ফারিয়ার মা ফারিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে। ফারিয়া বুঝতে পারিনি কখন সকাল ঘুনিয়ে বিকাল হয়ে গেছে। তড়িঘড়ি করে ফারিয়া ওয়াশরুমের দিকে যাই ফ্রেশ হতে। তারপর রুমে এসে নীলের বলা সেই নীল শাড়িটা পড়তে থাকে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে নিজেকে সামান্য একটু পরিপাটি করে সাজিয়ে নিচ্ছে। ড্রেসিং টেবিলের আয়নার দিকে চোখ যেতে ফারিয়া দেখতে পেলো তার ঠোঁটের কোনে একরাশ হাসির রেখা ঝড়ে পড়ছে। হয়তো এটা ভালোলাগা আর পরম সুখের আসা। যা ফারিয়াকে এলোমেলো আর কষ্টের জীবনটা আবার নতুন করে সাজিয়ে তুলবে। ঠিক যেমন শীত মৌসুমে গাছের সমস্ত পাতা ঝড়ে গাছকে করে তুলে মহাশূন্যে, আবার বসন্ত গাছগুলো মহাশূন্যে কাটিয়ে উপহার দেয় নতুন পাতা,গাছ ফিরে প্রায় তার নতুন জীবন। হয়তো নীল ও ফারিয়ার জীবনে বসন্ত মৌসুম হয়ে এসেছে।
“কিরে মা তোর গোছাতে আর কতক্ষণ লাগবে.? এইতো মা প্রায় হয়ে গেছে। বাবার কি গোছানো হয়ে গেছে.? হ্যা আমাদের সবার গোছানো শেষ, এখন শুধু তোর গোছানোর অপেক্ষায় বসে আছি কথাগুলো অহনা বেগম ফারিয়াকে বলছে। ফারিয়ার গোছানো প্রায় রেডি হয়ে গেছে এমন সময় নীলের কল আসে ফারিয়ার ফোনে,হ্যালো। তোমরা কোথায় এখন.?এইতো রেডি হচ্ছি।
-‘বাসার সামনে গাড়ি যাচ্ছে, উঠে চলে এসো বলেই কলটা কেটে দিলো নীল।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) ফারিয়া সহ তার বাবা-মা রওনা দিবে,ফারিয়ার বাবা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে,এমন সময় ফারিয়া বললো,বাবা গাড়ির অপেক্ষা করতে হবেনা,নীল গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে একটু পর চলে আসবে। ফারিয়ার মা বলতে লাগলো,দেখোছো ছেলেটা আমাদের কতটা কেয়ার করে,আমাদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
-“হঠাৎ তাদের সামনে একটা প্রাইভেট কাড় এসে থামলো। ড্রাইভার সরি বলে বলতে লাগলো,প্লিজ নীল ভাইয়ার সাথে যেনো বলবেন না আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে,তাহলে আমার চাকুরিটা থাকবে না,আকুতি মিনতি কন্ঠে কথগুলো বলতে লাগলো ড্রাইভার। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই আর কি দেরি হয়ে গেছে। (লেখক_আহম্মেদ_নীল) আমিন সাহেব ড্রাইভার কে উদ্দেশ্য করে বললো,আচ্ছা সমস্যা নেই আমরা নীল বাবাকে কিছু বলবো না। ড্রাইভারকে মুখের মাঝে হাসি ফুটলো। মনে হচ্ছে এতক্ষণে সে প্রান ফিরে পেলো।
-অনেকক্ষন পথ পাড়ি দেওয়ার পর পৌঁছে গেলো নীলের বাসার সামনে। ড্রাইভার সবাইকে নামতে বললো,সবাই নামতেই একটা সার্ভেন্ট এসে বললো,প্লিজ আপনারা ভেতরে চলুন।
‘ফারিয়া সহ তার বাবা-মা তো হতভর হয়ে যায়। চার তলা বিশিষ্ট সুন্দর একটা বাড়ির ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ির মাঝখানে সুইমিংপুল পুকুর রয়েছে,যা বাড়ির সৌন্দর্য আরো দ্বিগুন হারে বাড়িয়ে তুলেছে। ফারিয়া সার্ভেন্টকে উদ্দেশ্য করে বললো,এটা কি নীলদের বাসা.?
-সার্ভেন্ট বলতে হাসতে হাসতে বলতে,,,,
চলবো কী.?