“সোনালী আলোর ঘ্রাণ”
পর্ব- ৮
(নূর নাফিসা)
.
.
পরপর দুইদিন ধান কাটা হলো বাড়িতে। হালিমা খাতুন প্রথমদিনের ধানগুলো সিদ্ধ করে প্রতিদিন মেলে দিয়েছে বাড়ির বাইরে তাদেরই উঁচু জমিতে। ধান শুকানোর জন্য লেপ দিয়ে প্রস্তুত করে নিয়েছে জায়গাটি। আশেপাশের অনেকেই ব্যবহার করে থাকে এই জায়গা। এখানে সারাদিন রোদ পড়ে থাকে। ধান নেড়ে দিয়ে কাকপক্ষী তাড়ানোর জন্য একটু দূরে গাছের ছায়ায় বসে থাকে দু-একজন। ধান মাড়াইয়ের পর প্রতি রাতভোর কাটে তাদের ধান সিদ্ধ করে। পাড়ায় পাড়ায় এখন এই সিদ্ধ ধানের ঘ্রাণের ছড়াছড়ি। বুক ভরে নিশ্বাস নিতে গেলেই মনে হয় পেট ভরে গেছে। ঋতুভেদে একটা আমেজ চলতে থাকে তাদের এদিকে। ওদিকে মরিয়মও ধান নিয়ে ব্যস্ত। তবে লোক রাখায় তার পরিশ্রম কম।
সপ্তাহের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলো মাহতাব। দুদিন বাকি ছুটি শেষ হতে। আজ সকালে মরিয়মের কাছে কল করে জরুরী দেখা করার জন্য ডাকলেন আহমদ আলী। সকালে সম্ভব নয় তাই বিকেলে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেন মরিয়ম। বাবার সাথে দেখাসাক্ষাৎ করে বাড়ি ফিরে ঘরেই পেলো মাহতাবকে।
“তুই তোর নানাজানের কাছে মতামত দিয়া আইছোস, না?”
“কিসের মতামত?”
“আফরোজার সাথে বিয়ার।”
“হুম, দিলাম তো। আমার সমস্যা নেই। তুমি মানলেই হয়ে যায় বিয়েটা। নানাজান মতামতের জন্য ডেকেছে তোমাকে?”
“ঢং কইরা জিগাস আবার? আমার মনমতো বউ পাইতাম না তো। জানি সেইটা। জানি, জানি। আগে থেকেই জানি।”
রাগ করে নিজের ঘরে চলে গেলেন মরিয়ম। বোরকা ছাড়াতে লাগলেন রেগেমেগে। বাবার কাছে ধমক খেয়ে মাথা গরম হয়ে আছে তার। মাহতাব একটু বাইরে যাওয়ার জন্য বের হতে যাচ্ছিলো, তা আর হলো না। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের রাগটা পরিমাপ করতে লাগলো। পরক্ষণে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
“মা, রোজাকে নিয়ে সমস্যাটা কি?”
রাগের কারণে কথা বললেন না মরিয়ম। পা ঝুলিয়ে চুপচাপ বসে আছেন খাটে। মাহতাব ধীর নিশ্বাস ফেলে রুমে প্রবেশ করে মায়ের পাশে বসলো।
“রাগ করছো আমার উপর? আচ্ছা, ঠিক আছে। তুমি মেয়ে খুঁজে দেখো।”
“না, দেখতাম না। তোর নানাজানরে বল গিয়া বিয়া করায় দিতো।”
“আচ্ছা, থাক। বিয়ে নিয়ে যখন ঝামেলা, তবে বিয়েই করবো না। ঠিক আছে?”
“না কর। আমার কি?”
মাহতাব মৃদু হেসে বললো,
“তোমারই তো সব। এই বলছো বিয়ে কর, আবার এই বলছো না করলেও তোমার কিছু না। আর যাইহোক, রাগ করলে তো তোমায় ভালো দেখায় না। তুমি আমার একটাই মা, একটাই ভরসা। তুমি সবসময় হাসবে, খুশি থাকবে। তবেই না আমি খুশি।”
মরিয়ম তার দিকে ঘুরে বললো,
“আচ্ছা, তুই আমারে বুঝা আগে সুন্দরী মাইয়া বিয়া করা পাপ কি না।”
“পাপ কেন হতে যাবে? বিয়ে একটা ইবাদত।”
“তবে তোর সুন্দরের প্রতি অনীহা থাকবো ক্যা?”
“মা, তুমি রোজার মাঝে ফুটে উঠা সৌন্দর্য কেন দেখতে পাচ্ছো না? রোজার চেহারাটা কত মায়াবী, দেখেছো একবার তুমি? শিক্ষা, গুণেই বা কম কিসে? আমার তো এমন সৌন্দর্যই পছন্দের। তুমি কি আমার পছন্দকে একটু গুরুত্ব দিতে পারবে না? তার গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ বলে তোমার মন খারাপ হচ্ছে? একটু যত্নআত্তি পেলে মানুষ এমনিতেই সুন্দর হয়ে উঠে। শহরের মেয়েরা তো চার দেয়ালে বন্দী থাকে, তাই তাদের দেহের উজ্জ্বলতা অন্যরকম হয়। গ্রামের মেয়েরা কি সেভাবে থাকে? রোদে বাতাসে মাটির ছোঁয়ায় তাদের রংও মেটে হয়ে থাকে। শহরের মেয়ে বিয়ে করে গ্রামে আনলে ক’দিন পর দেখবে এমনিতেই পরিবর্তন হয়ে গেছে। তখন তাকেও তোমার ভালো লাগবে না। সাইদুর বিয়ে করে এনেছে না সুন্দরী বউ, দেখো তার বউয়ের রূপও পাল্টে যাবে। তাছাড়া এমন সুন্দরী তো ক্রীম মেখে মেখে যে কেউই হয়ে যায় দেখি। চেহারা এতো ফকফকে হয়ে থাকে যে, বুঝাই যায় কৃত্রিম কিছু মেখেছে। প্রকৃত সুন্দরীদের রঙ এতোটা উজ্জ্বল হয় না। সাইদুরের বউ হয়তো ক্রিম মেখেই ফরসা হয়েছে।”
মরিয়মের রাগ কমে আসায় কণ্ঠও নরম হয়েছে কিছুটা। রাগ মূলত তার বাবা ধমক দেওয়াতেই হয়েছে। বারবার কথা ঘোরানোর চেষ্টা করায় ধমক দিয়েছেন আহমদ আলী। গিয়ে ধমক খেতে হবে জানলে হয়তো যেতোই না সেখানে। সে মাহতাবের প্রত্যুত্তর করলো,
“তুই কস এইটা। আমার মনটা তো চায় অন্যকিছু। পাড়াপড়শি সবাই জিগায় পোলা বিয়া করামু কবে? সবাই পোলার বউ দেখার জন্যে খুব আগ্রহ নিয়া বইসা আছে। সাইদুরের বউ দেইখা খুব প্রশংসা করে। সবারই নজর কাড়ে শহরের সুন্দরী বউ দেইখা। প্রশংসা শুনতেও ভাল্লাগে।”
মাহতাব হতাশাযুক্ত হাসি টেনে মাথা দুদিকে নাড়ালো। তারপর বললো,
“সবার নজর কাড়ে, না? অথচ আমার বউ হওয়া উচিত শুধুমাত্র আমার নজর কাড়া। তুমিই না বলো, নজর জিনিস ভালো না? তবে সবার নজর কেন আমার বউয়ের দিকে পড়তে হবে? সেই বউ নিয়ে তো আমি সুখী থাকবো না। কারণ তার রূপ অন্যের কাছে পছন্দের হয়ে যাবে। অথচ আমি চাইবো আমার বউয়ের রূপ শুধু আমার নজর কাড়ুক। তার সৌন্দর্য একান্তই আমার থাকুক। যারতার নজরে কেন পড়তে হবে? অদ্ভুত ব্যাপার। একটু রিলেক্সে ভাবো না, মা? এই বিয়েটা হলে অনেকের ইচ্ছেই পূরণ হয়ে যায়। তোমাদের ভাইবোনের সম্পর্কও আরও গভীর হয়। তোমার সংসারটাও সুখের হয়।”
মরিয়ম যেন চিন্তায় বসলেন। মাহতাব খানিক চুপ থেকে তার চিন্তিত ভাব দেখে বললো,
“তুমি ভাবো। ভেবে দেখো। নানাজানের প্রস্তাবটা ফিরিয়ে দিলে রোজার বিয়েটা কিন্তু ঠিকই হবে। তার একটা সংসার ঠিকই গড়ে উঠবে। শুধু তোমার ঘরে আসা হবে না। এ-ই আরকি। আশা রাখি, তোমার ভাবনার ফলাফল ভালো কিছু হবে।”
মাকে ভাবতে সময় দিয়ে মাহতাব চলে গেলো।
সন্ধ্যায় মৌসুমী দোকানে গেলো মমোকে সাথে নিয়ে। বাড়ির পাশেই রাস্তার ধারে প্রতিবেশী চাচার দোকান। বাড়ি থেকে হেটে যেতে দুই মিনিটের পথ। গিয়ে দেখলো সমবয়সী দুজন ছেলের সাথে আজমাইন দোকানের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। সাথের দুজন তাদের এলাকারই। আজমাইন এদের সাথেই চলাফেরা করে। মৌসুমী মমোর হাত ধরে দোকানের দিকে এগিয়ে যেতেই আজমাইন সেখান থেকেই ধমক দিয়ে বললো,
“এই, তুই রাস্তায় ক্যা?”
মৌসুমীও ধমকের বিপরীতে ব্যাঙ্গ করে জবাব দিলো,
“দরকারে আসছি।”
“তুই মাইয়া মানুষ, রাস্তায় তোর কি দরকার?”
“ক্যা? রাস্তা কি শুধু ছেলেদের দরকার পইড়া থাকে? রাস্তার কোনো অংশে লেখা আছে, এই রাস্তা ছেলেদের?”
আজমাইন এগিয়ে এসে মাথায় একটা থাপ্পড় মেরে বললো,
“কাল সকালে লিখে দিমু। এখন বাড়ি যা। দৌড় দে!”
“বাড়ি যামু ক্যা? আমি দোকানে আসছি।”
“দোকানের গোষ্ঠী মারি! বাড়ি যা।”
আবারও থাপ্পড় দিলো। সাথের দুজন হাসছে তাকে মারতে দেখে। ভীষণ রাগ হলো মৌসুমীর। সে কান্না ভঙ্গিতে ছোটখাটো চিৎকার মারলো,
“আ… আমি বাদাম কিনমু। তাই দোকানে আসছি।”
“কিসের বাদাম? বাদাম খাইয়া কি করবি? বাদাম খাইয়া কোন লোকে জমিদার হইছে? বাড়ি যা কইতাছি।”
আজমাইন আবারও মারলো। মারতে মারতেই বাড়ির দিকে পাঠাচ্ছে। মারার পরপর মৌসুমী একটু একটু করে পিছিয়ে এসে দাঁড়ায় এবং হুমকি দেয়।
“আমি কিন্তু বড়মার কাছে বিচার দিমু।”
“যা, দে গিয়া।”
“জেঠুর কাছেও দিমু।”
“যা, জেঠুর কাছেও দে। দাদানানার কাছে সহ দে। বাড়ি গিয়া দে। যাবি নাকি ইটা মারমু!”
আজমাইন ইট তুলে নিলো হাতে। বাদাম খাওয়া হলো না মৌসুমীর। রাগে কাঁদতে কাঁদতে হনহন করে আবার বাড়িতে ফিরে এলো। মমো বোকার মতো একবার আজমাইনের দিকে দেখছিলো, আবার দেখছিলো বোনের দিকে। কোনো প্রতিক্রিয়াই রাখতে পারলো না কারো বিপরীতে। তবে মৌসুমীর কান্না দেখে তার মায়া হচ্ছে। আর তাই বাড়ি এসেই ছুটে গেলো বড়মার কাছে। হালিমা খাতুন রান্না করছিলেন। রোজা পাশেই বসে সবজি কেটে দিচ্ছে। মমো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
“বড় মা, আপুকে মারছে।”
“কারে মারছে?”
“আপুকে মারছে।”
“মৌসুমীকে মারছে?”
“হু।”
“কে মারছে?”
“ভাইয়া মারছে।”
“ভাইয়া মারছে? কে, সিয়াম?”
“আজাম ভাইয়া মারছে।”
“আজাম? কে আজমাইন?”
“হু।”
“মারছে ক্যা?”
মাইরের ইতিহাস আর তাকে বলতে হলো না। মৌসুমীও এসে দাঁড়িয়েছে। ক্ষেপানো কণ্ঠে বললো,
“তোমার পোলারে কিছু কইবা, বড়মা?”
“কি হইছে?”
“আমি বাদাম কিনতে দোকানে গেছি। আমারে রাস্তা থেকে মারতে মারতে বাড়িতে পাঠাইছে। আবার বলে রাস্তায় নাকি মাইয়াদের উঠা নিষেধ। কাল সকালে লিখা দিবো রাস্তা শুধু ছেলেদের। বাদামের কথা বলায় আমারে জিগায় বাদাম খাইয়া কোন লোকে জমিদার হইছে? কও, এইসব কোনো কথা?”
রোজা হালিমার উদ্দেশ্যে বললো,
“তোমার ছেলে কিন্তু দিনদিন খুব ফাজিল হচ্ছে মা।”
“এই পোলা নিয়া যে আমি কি করমু! তোর বাপেও তো কিছু কয় না। খালি কয় পোলা বড় হইছে, এখন মারধর আর বকাবকি করা যাইবো নাকি? কিন্তু আমি তো দেখতাছি না পোলা কোনোদিকে বড় হইছে! মৌসুমী, তুই কাঁদিস না মা। আজ চ্যালাকাঠ দিয়া যদি না মারছি কয়টা। যা, ঘরে যা।”
“মারার আগে কিন্তু আমারে ডাক দিয়ো। দেখে দেখে মনটারে সান্ত্বনা দিমু।”
রোজা হেসে উঠলো তার কথায়। তাই রোজাকে বললো,
“তুমি হাসো? কত্তগুলা মারছে মাথার মধ্যে, এখনো ব্যাথা পাইতাছি। আবারও ইট নিছে মারার জন্য।”
“আচ্ছা, যা। ডাকবো তোকে। মা না ডাকলেও আমি ডাকবো।”
“ঠিক আছে।”
মাথা ঘঁষতে ঘঁষতে ঘরে চলে গেলো মৌসুমী। পিছু পিছু মমোও গেলো। ঘরে এসে মমো তার মায়ের কাছেও বিচার দিলে সেলিনা বেগম বললেন,
“উচিত করছে। হাতে দুইটা টাকা আইলেই ভাঙতে হইবো ক্যা? আর রাত বিরাত মাইয়া মানুষ দোকানেই যাইবো ক্যা? বড় হোছ নাই? বিয়া দিলে শ্বশুর বাড়ি যাবি গা, এখনও সবকিছু কইয়া কইয়া বুঝান লাগে ক্যা?”
মায়ের উপরও রাগ হলো মৌসুমীর। ক্ষেপে গিয়ে প্রত্যুত্তর করলো,
“তুমি সবসময়ই আমার লগে এমন করো। যেন আমি তোমার সতীনের ঝি!”
“হো, তুই সতীনের ঝি। তোর দোকানে যাইতে হইবো ক্যা এই বয়সে? খাওয়ার জন্যে আত্মা যখন বাইর হইয়া যাইতাছে সিয়ামের কাছে টাকা দেওন গেলো না?”
“তোমার পোলারে দিলে তো বেশি অর্ধেক নিজের পেটেই ঢুকায় আইবো! পাঁচটা টাকা চাইলে তো জীবনেও দিতা না। আবার কথা কও।”
ফুসতে ফুসতে বই নিয়ে বসলো মৌসুমী। কিছুক্ষণ পরেই তাদের ঘরে আজমাইন এলো পকেট থেকে বাদাম নিয়ে খেতে খেতে। সিয়াম বললো,
“ভাই, কি খাও?”
“খাবি?”
“হু।”
“টাকা দে তবে।”
“এহ!”
মমোও খাতা-কলমে আঁকিবুঁকি করছিলো বসে বসে। আজমাইনের মুখের দিকে তাকাতেই মমোর হাতে তিনটা বাদাম দিলো সে। তারপর মৌসুমীর উদ্দেশ্যে বললো,
“তুই বাদাম খাবি? টাকা দে। বাদাম বেঁচমু।”
“খাইতাম না বাদাম। যাও খালি। বড়মা চ্যালাকাঠ নিয়া বইসা আছে।”
“খাবি না তাইলে?”
“জ্বি না।”
“দেখিস কিন্তু।”
“কি দেখতাম?”
“সিয়ামরে ক্যামনে টাকা ছাড়াই দেই।”
বলতে বলতে সিয়ামের হাতেও দিলো গনেগনে পাঁচটা। গোমড়ামুখো হয়ে মৌসুমী পকেটে নজর দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছিলো আরও আছে কি না। পরে ভাবলো না খেলেই লস! তাই বললো,
“দাও।”
“আগে টাকা।”
“ওদের টাকা ছাড়া দিছো না?”
“ওদের কাছে টাকা নাই। তোর কাছে আছে। একটু আগে দোকানে গেছোস।”
“যাও, খাইতাম না তোমার বাদাম।”
মুখ ফুলিয়ে লেখায় মনযোগ দিলো। আজমাইন সিয়ামের মাথায় ঠুসি দিয়ে বললো,
“এই, পড়!”
এরপর মমোর হাতে আরও দুইটা দিলো। দেখলো, মৌসুমী আর চাইছেই না তার কাছে। তাই কিছু না বলে মুঠ ভর্তি বাদাম তার খাতার উপর দিয়ে চলে গেলো। তার মুখও নড়ছেই। তার কাছেও আছে কিছু। খেতে খেতেই বের হচ্ছে। মৌসুমী খুশি মনে তাকালো তার যাওয়ার দিকে। মুখে লাজুক লাজুক হাসি। বাদামগুলো গুটিয়ে নিতে নিতে মনে পড়লো দাদাজান বলেছে এই ছেলেটার সাথে তার বিয়ে দিবে। দিলে মন্দ কি? দুষ্টু ছেলেটা ভারি সুন্দর। ছেলেটার জন্য এখন যে তার খুব প্রেম প্রেম পাচ্ছে! ঘরে থেকেই হঠাৎ হালিমার গলা শুনতে পেয়ে বুঝতে পারলো আজমাইনকে চ্যালাকাঠ হাতে দৌড়ানি দিয়েছে। তাই মৌসুমী বারান্দায় এলো দেখতে। আজমাইন বোধহয় দৌড়ে ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দিয়েছে। তাইতো হালিমা খাতুন চ্যালাকাঠ হাতে তার ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। এপাশ থেকে মৌসুমী বললো,
“থাক, বড় মা। মেরো না। বাদাম এনে দিছে তোমার ছেলে।”
চলবে।