#Mental_Lover
পর্ব:৩০(বোনাস পর্ব)
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
____________________________
সোফায় বসে বসে টিভি দেখতে দেখতে চানাচুর খাচ্ছে, ইশিতা। অনেক রিলেক্স মুডে বসে আছে, কিন্তু হঠাৎ ড্রয়িং রুমের দরজা খুলার সাথে সাথে, ইশিতা পিছনে তাকিয়ে, অবাক।
ইশিতা: আপনারা ,,,।
ইশিতার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,নেত্রা, ইকবাল হোসেন,আরো কয়েকটি লোক।
ইকবাল হোসেন: অবাক হলে নাকি।
ইশিতা: আপনি,,নেত্রার সাথে,,,,।
নেত্রা: হ্যা, আমরা একসাথে,।
ইশিতা:মামা, আপনি এসব করেছেন।
ইকবাল হোসেন: হ্যা, আমি এসব করেছি,,এত দিন যা যা ঘটেছে সব কিছু আমি আর নেত্রা করেছি,,।
ইশিতা: ছিঃ,, আপনার ল”জ্জা করে না, এসব করছেন
ইকবাল হোসেন: তুমিও কোনো ধোঁ”য়া তু’ল’সী পাতা না ।তুমি তো আরিয়ান কে মে’রে দিয়েছ,কি ভাব আমরা কিছু জানি না।
নেত্রা:আসলে এক প্রকার, হেল্প করেছ, আসলে অনেক দিন ধরে আরিয়ান কে সরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু কোনো না কোনো কারণে ফে’ল করি, কিন্তু তুমি আমাদের কাজ সহজ করে দিলে,।
ইকবাল হোসেন: তুমি স’রা’লে, আরিয়ান কে, আমরা স’রা’ব, তোমাকে,।
ইশিতা: মানে?
নেত্রা: তৈরি হও, তোমার সময় শে’ষ ।
ইশিতা হঠাৎ খুব জো’রে জো’রে হাসতে লাগলো।
নেত্রা: তুমি কী পা’গ’ল হয়ে গেছ,যে এভাবে হাসছ।
ইশিতা:তো,,, তোমাদের বো’কা’মি দেখে সত্যি নিজেকে সামলাতে পারছি না,,,(হাসতে হাসতে)।
ইকবাল হোসেন: মানে?কী বলতে চাইছ তুমি।
ইশিতা: আপনার কী মনে হয়,,,, আরিয়ান সত্যি ম’রে গেছে।
ইকবাল হোসেন:কী বলতে চাইছ।
ইশিতা: তাহলে আমি বলি, আপনারা শুনোন,।
____________________________
ইশিতা, ইকবাল হোসেন কে ওইসব কথা বলতে শুনে,স্তম্ভিত হয়ে যায়,কী করবে বুঝতে না পেরে, তাড়াতাড়ি আরিয়ানের কাছে ছুটে যায় ,
ইশিতা: আরিয়ান,,( হাঁ’পা’তে হাঁ’পা’তে)
আরিয়ান: এভাবে হাঁপাচ্ছ কেন।
ইশিতা আরিয়ান কে সব কিছু খুলে বলে, কিন্তু আরিয়ান ইশিতার উপর রে’গে যায়।
আরিয়ান: পা’গ’ল হয়ে গেছ, শেষ পর্যন্ত, এসব।
ইশিতা: মানে?
আরিয়ান: আমি জানি না, তুমি কেন আমাকে উপর রা*গ করে আছ, সত্যি কিন্তু আমি ভাবতে পারছি না, তুমি এখন ছিঃ।
ইশিতা: আরিয়ান বিশ্বাস করুন, আমি যা বলছি সব সত্যি ।
আরিয়ান:এই যে তুমি যা যা বলছ, এসব সত্যি,,। তাহলে এখন যদি, আমি বলি এত দিন ধরে তুমি যা যা করেছ,সব মিথ্যে ছিল,,আসলে তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসই নি। তুমি আমাকে ঠকিয়েছ ।
ইশিতা: না,,, আমি এত দিন যা করেছি সব,ভুল করেছি, আমি ভেবেছিলাম, আপনি আমার বাবার খু’নি।
আরিয়ান:কী,, are you crazy, আমি তোমার বাবার খু’নি।
ইশিতা: হ্যা, আমি ভেবেছিলাম, আপনি আমার বাবা কে মে’রে ফেলেছেন, কিন্তু সেটা ভুল। আমি নিজের কানে শুনেছি, ইকবাল হোসেন সব কিছু করেছে আর দোষ আপনার উপর কিন্তু উনি এসব কেনো করছেন সত্যি আমি জানি না।
আরিয়ান: আমি বিশ্বাস করি না।
ইশিতা: আরিয়ান প্লীজ বিশ্বাস করুন।
আরিয়ান: তুমি আমাকে নিজের বাবার হ’ত্যা’কা’রী ভাবে এসব যখন করতে পার, তাহলে, আমি কেন বিশ্বাস করব যে তুমি এখন অন্য কোনো কারণে এসব করছ না।
ইশিতা: না, এবার যা বলছি সব সত্যি, একবার আমার কথা বিশ্বাস করুন।
আরিয়ান: না, মানে না ।
বলে আরিয়ান চলে যেতে চায়। ইশিতা আরিয়ানের কলার ধরে বলল।
ইশিতা: আমি জানি না, আপনাকে আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে।
আরিয়ান:পারব না,,,।
ইশিতা কোনো কিছু না ভেবেই আরিয়ানের ঠোঁ’টে ঠোঁ’ট ছুঁই’য়ে দেয়। আরিয়ান ইশিতার চু’ল মু’ঠি করে ধরে,,,। অনেক সময় ধরে ইশিতা আরিয়ান কে নিজের সাথে মিশিয়ে রেখেছিল। কিছুক্ষণ পর ইশিতা আরিয়ান কে ছেড়ে দিয়ে বলল।
ইশিতা:প্লীজ লাস্ট বার আমার কথা শুনোন।
আরিয়ান: তুমি,,,।
ইশিতা: আমি যা বলছি শুধু তাই করুন এরপর সব কিছু জানতে পারবেন।
আরিয়ান: ঠিক আছে,, কিন্তু কী করতে হবে।
ইশিতা তার পর আরিয়ান কে সব কিছু বলে যে কি কি করতে হবে। এবং ইশিতার বলার কারণেই আরিয়ান মৃ’ত্যু’র নাটক করে।
ইশিতা: এবার বুঝতে পারলাম, ঠিক কী হয়েছিল।
ইকবাল হোসেন: তুমি আমাদের বো’কা বানালে।
নেত্রা: তোমাকে তো,,,।
ইশিতা: আমি তোমাদের বো’কা বানাইনি তোমরা তো প্রথম থেকেই বো’কা। আমি জানতাম,যে তোমরা যদি জানতে পার, আরিয়ান বেঁচে নেই, তাহলে নিজদের আসল রূ’পে আসবে, ঠিক তাই হল।
পিছন থেকে তখন আরিয়ান হাতে তালি দিতে দিতে ভেতরে ঢুকে।
আরিয়ান: বাহ্,,,,,।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে……………..।
#Mental_Lover
পর্ব: ৩১
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
________________________________
আরিয়ান: ছিঃ,,মামা, আমি সত্যি বিশ্বাস করতে পারছি না, তুমি,,, তুমি এসব করেছ। তুমি জানো, ইশিতা যখন এসব বলেছিল,আমি একদম বি’শ্বা’স করি নি,, কিন্তু এখন তোমার কথা গুলো তো ইশিতার কথা গুলো কে স’ত্যি প্রমাণ করে দিচ্ছে । কেনো,,,, কেনো তুমি এসব করেছিলে,বল না।
ইকবাল হোসেন:কারণ আমার তোর থেকে সব সম্পত্তি চাই,সব কিছু,।
আরিয়ান:কী?
ইকবাল হোসেন: হ্যা,,, আমার সব কিছু চাই।তাই তো, আমি প্রথমে তোর মা বাবা কে শেষ করলাম,ওরা যখন, আমেরিকা থেকে দেশে এসেছিল তখনি আমি ভাবলাম ওদের শেষ করে দেব,,,তাই ওদের গাড়ির ব্রে’ক ফে’ল করিয়ে দেই , কিন্তু তুই বেঁচে গেলি, এরপর আমি তো তোকেও শেষ করে দেব, ভেবেছিলাম, কিন্তু পরে জানতে পারলাম, এখন সব কিছু তোর নামে,আর তোর ১৮ বছর হওয়ার আগে যদি, কিছু হয়, তাহলে সব কিছু, ট্রাস্টে চলে যাবে তাই তোকে এত দিন বড় করেছি , কিন্তু শেষে তুই কী করলি, ইশিতা কে পেয়ে ওর নামে সব কিছু দিয়ে দিতে চাইলি তাই আমি ওকেও সেদিন মারতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ও বেঁচে গেল, হসপিটালে, নিয়ে গেল নিরব, তোদের দুইজনকে আর সেখান থেকে নেত্রা ইশিতা কে, কিডন্যাপ করে, কিন্তু আফসোস, ইশিতা কি করে জানি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
আর এই মেয়েটা এত চা’লা’ক, এখন আমাদের কেও বো’কা বানাল।
আরিয়ান:কী? তুমি সম্পত্তি এর জন্য এসব করেছ,আর মা বাবা,,,মা তো তোমার নিজের বোন ছিলো।
ইকবাল হোসেন: না,,তোর মা আমার আপন বোন ছিল না,, আমি। এখন যখন তুই সব কিছু জেনেই,ফেলেছিস তাহলে এখন তোকে শেষ করার সময় চলে এসেছে।
আরিয়ান মুচকি হেসে বলল।
আরিয়ান: তুমি জানো তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি, একবার, শুধু একবার বলতে তাহলে আমি সব কিছু এমনিতেই তোমাকে দিয়ে দিতাম কিন্তু এখন, তোমার কী হবে ভাবতে পারছ।
ইকবাল হোসেন: কিছু করতে পারবি না তুই।
নেত্রা:সব কিছু হাতের বাইরে চলে গেছে, এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো।
__________________________
অন্ধকার রুমে, ভেতরে ইকবাল হোসেন আর নেত্রা চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় আছে,। নিজেদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু, বাঁধন টা খুব বেশি মজবুত হওয়ার কারণে, ওঁরা খুলতে পারছেন না।
নিরব দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ানের পিছনে, আরিয়ান খুব রাগী দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
ইকবাল হোসেন: তুই আমাদের এখানে কেনো নিয়ে এসেছিস ।
আরিয়ান: তোমাদের শা’স্তি দিতে আরিয়ান একটা র’ড আ’গু’নের মধ্যে গ’র’,ম করতেছে।
ইকবাল হোসেন: আরিয়ান,দেখ, তুই এমন কিছু করবি না, আমি তো তোর মামা হই।
আরিয়ান খুব জো’রে জো’রে হাসতে হাসতে বলল
আরিয়ান: তুমি নিজে বলেছিলে তুমি আমার, মায়ের আপন ভাই না, তাহলে তুমি কী করে আমার মামা হও।
নেত্রা: আরিয়ান,প্লীজ আমাকে ছে’ড়ে দাও দেখ আমি যা করেছি সব ওনার কথায় আমার কোনো দো’ষ নেই।
আরিয়ান: ছেড়ে দিতাম সত্যি ছেড়ে দিতাম, কিন্তু তুই আমার ইশিতার পেটে ছুরি মেরেছিলি ও কতটা কষ্ট পেয়েছিল, তার জন্য এখন তুই ।
নেত্রা:প্লীজ আরিয়ান ।
এরপর শুধু ইকবাল হোসেন আর নেত্রা এর চি’ৎ’কা’র শুনা যায় ।
আরিয়ান: ওদের যাতে কেউ খুঁজে না পায়,কারো যেন মনেই না থাকে ইকবাল হোসেন আর নেত্রা নামে কেউ ছিল।
নিরব: তুই চিন্তা করিস না।
_________________________________
বাড়িতে পৌঁছে দেখে ইশিতা সোফায় বসে আছে।
ইশিতা আরিয়ান দেখে ওর কাছে গেল।
ইশিতা: আরিয়ান,,।
আরিয়ান:হুস, আজকে আমি বলব তুমি শুনবে।
ইশিতা: কি?
আরিয়ান: আমি জানতাম যে তুমি তোমার বাবার মৃ’ত্যু’র জন্য আমাকে দায়ী কর সত্যি। আমি ভেবেছিলাম ওইটা দু’র্ঘ’ট’না। আমি আজকে বুঝতে পারলাম যে, আমি ঠিক কতটা খা’রা’প ।যে তোমার বিশ্বাস অ’জ’র্ন করতে পারি নি।
ইশিতা: আরিয়ান, ভু’ল আমার ছিল।
আরিয়ান: না ভুল আমারই, আসলে আমি তোমাকে জোর করে বিয়ে করেছি জো’র করে তোমার সাথে সম্পর্ক করেছি,সব কিছু তেই তো আমি জো’র করেছি, কোন টা তুমি নিজের ইচ্ছায় করেছ ।
ইশিতা: আরিয়ান এমন করে বলবেন না প্লিজ।
আরিয়ান: আমি ক্লিয়ার করে বলে দিচ্ছি।
ইশিতা:কী?
আরিয়ান:চলে যাও তুমি, আমি তো তোমাকে এমনিতেই জো’র করে এখানে রেখেছিলাম বিয়ে করেছিলাম,তাই এখন আমি তোমাকে বলছি যাও।
ইশিতা: এটা কী বলছেন।
আরিয়ান: হ্যা, আমি বলছি চলে যাও,প্লীজ।
বলে আরিয়ান উপরে চলে যায়। ইশিতা আরিয়ান এর কথা শুনে কী বলবে বুঝতে পারছে না, আরিয়ানের কথা ভাবতে ভাবতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়,
হঠাৎ বেল বেজে উঠল। মহিনি গিয়ে দরজা খুলে দেয়, দেখে ইশিতা
মহিনি: ইশিতা তুই এখানে এত রাতে।
ইশিতা মহিনি কে জ’ড়ি’য়ে ধরে কা”ন্না দেয় ।
,,,,,,,,,,,,,
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,
চলবে…………।