প্রেমের রঙ পর্ব-১২+১৩

0
546

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_১২
#মোহনা_হক

‘ইজহান পদ্মের এই সুন্দর মুহুর্ত ভুলবার নয়। পদ্ম বেচারি তো দম খিঁচে দাঁড়িয়ে আছে। ইজহান পদ্মের থেকে তেমন কোনো সাড়া পেলো না। ইজহান সরে এলো পদ্মের কাছ থেকে। বেশ দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়েছে। পদ্ম বে’ক্ক’লের মতো তাকিয়ে আছে। বুকে দু’হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে ইজহান। পদ্ম ভ্যা’ব’লার মতো ইজহানকে দেখছে।’

‘ইজহান গম্ভীর কণ্ঠে বললো-‘
“তুমি এভাবে সেজেছো কেনো?”

‘পদ্ম অবাক হলো।’
“আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই আমি সেজেছি।”

‘ইজহান বিরবির করে বললো-‘
“নিজে তো নিজ ইচ্ছায় সেজেছে। আর এইদিকে আমি ম’রে যাচ্ছি।”

‘পদ্ম বুঝলো না ইজহানের কথা। ভ্রু কুচকে ইজহানের দিকে তাকিয়ে বললো-‘
“কিছু বলেছেন?”

‘ইজহান মাথা নাড়লো।’
“না। ”

‘পদ্ম শাড়ির আচঁল মোচড়াতে মোচড়াতে বললো-‘
“আমাকে কেমন লাগছে বলেন নি তো।”

‘ইজহান আবারও গম্ভীর কণ্ঠে বললো-‘
“ভালো লাগছে।”

‘কথাটা পদ্মের হজম হলো না।’
“শুধু কি ভালো লাগছে?”

‘ইজহান চোখ বন্ধ করে আবার খুললো।’
“তুমি কি চাও আমি কিছু করি?”

‘পদ্ম কিছু বলতে যাবে তার আগে ইজহানের ফোনে কল আসলো। পদ্মের দিকে তাকিয়েই কল টা রিসিভ করলো। মেধা কল দিয়েছে।’

‘কল রিসিভ করতেই মেধা বললো-‘
“কি রে তোর পেয়ারি বউয়ের তো আজ জন্মদিন।”

‘ইজহান বিরক্ত কন্ঠে বললো-‘
“কি জন্যে কল করেছিস বল।”

‘মেধার মনক্ষুন্ন হলো।’
“কি হয়েছে বল তো?”

“কিছু হয়নি আমি ফোনটা এখন রাখছি পরে কথা বলবো। আমি সময় করে ফোন দিবো। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিয়েছিস।”

‘ইজহান ফোন টা কেটে দিলো। তারপর আবার পদ্মকে জিগ্যেস করলো।’

“হ্যাঁ বলো কি বলতে নিয়েছিলে।”

‘পদ্ম মাথা নাড়লো দু’দিকে।’
“না।”

‘ইজহান পদ্মের সামনে এসে দাঁড়ালো। পদ্ম সাথে সাথে মাথা নিচু করে ফেলেছে। ইজহান পদ্মের মাথা উঠিয়ে বললো-‘

“বলতে বলেছি।”

“আমাকে একটু হাঁটতে নিয়ে যাবেন বাহিরে?”

‘ইজহান ভ্রু কুচকে তাকায় পদ্মের দিকে।’
“কেনো হাঁটতে যাবে?”

‘পদ্ম অন্য দিকে ঘুরে বললো-‘
“আপনি তো আমাকে আমার জন্মদিনের উপহার দিবেন না জানি। তাই হাঁটতে চেয়েছি।”

‘ইজহান তার ওয়ালেট প্যান্টের পকেটে ঢুকালো। তারপর পদ্মের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ওর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে বাহিরে।’

‘রুম চাবি দিয়ে লক করতে করতে ইজহান বললো-‘
“তোমাকে সব গিফট একসাথে দিবো।”

‘পদ্ম চোখ তুলে তাকায় ইজহানের দিকে।’
‘পদ্ম আর ইজহান হাঁটতে থাকে। দু’জন মিলে হাজার কথা বলছে। আর সময় হলে শুধু পদ্ম কথা বলতো আজ ইজহান ও বলছে। পদ্ম মুচকি মুচকি হাসছে কারণ ইজহানের উন্নতি দেখে। ইজহান পদ্মের কাঁধ জড়িয়ে হাঁটতে লাগলো। জিনিস টা ইজহানের ভালো লাগে। পদ্ম শাড়ি পড়ে হাঁটছে তাই ইজহান সেই ভাবেই পদ্মে সাথে তাল মিলালো। ইজহান আর পদ্মের এসব কাহিনী শানায়া খুব খেয়াল করেছে। রাগে ক্ষোভে তার যেনো বিষের মতো লাগছে। একটু আগেই তো ইজহান তাকে অপমান করেছে আর এখন ঠিকই বউয়ের সাথে পিরিত দেখাচ্ছে যতোসব ঢং মনে হচ্ছে তার কাছে।মনটা চাচ্ছে দু’জন গিয়ে অনেক কথা শোনাতে। শানায়া এর প্রতিশোধ কালই তুলবে। রাগে ফোসফাস করতে করতে রুমে চলে আসলো।’

‘হঠাৎ ইজহান পদ্মের সাথে রায়হান আহমেদের দেখা হয়ে গেলো। তিনি ইজহানকে দেখে বললেন-‘

“কি ইজহান তোমরা এখানে কি করছো?”

‘ইজহানের যেনো কারেন্টের শক্ লাগলো।’
“ম্যাডামের ইচ্ছে হয়েছে তাই বাহিরে হাঁটছি একটু।”

‘রায়হান আহমেদ একটু মজা নেওয়ার জন্য বললেম-‘

“ওহ বুঝেছি এখন যদি আমরা একটু ডাকতাম ইজহান আসো আড্ডা দিই তখন তো আসতে না।”

‘ইজহান মনে মনে বিরবির করলো-‘
“তোমরা আর বউ কি এক হলো নাকি আশ্চর্য।”

‘তবে মুখে প্রকাশ করলো।’
“ওইযে তখন বলেছিলেন এসেছিলাম তো।”

‘রায়হান আহমেদ ইজহানের কাঁধে হাত চেপে বললো-‘
“আচ্ছা তোমরা থাকো আমি আসছি।”

‘ইজহান হাসলো। আর মনে মনে বললো ‘তুমি গেলেই বাঁচি।’ সব সময়ই পিছনে পড়ে থাকে দু মিনিট ও শান্তি দেয় না আর হসপিটালে থাকলে তো কথাই নেই। ইজহান বিরক্তিকর নিঃশ্বাস ফেললো।’

‘পদ্ম ইজহানের সোজাসুজি দাঁড়িয়ে বললো-‘
“ওনি এমন বললেন কেনো?”

“এমনি করেন সব সময় মেইবি আমি বিয়ে করেছি সহ্য হচ্ছে না তার। ”

‘ইজহান আর পদ্ম আবারও হাঁটা শুরু করলো। এক জায়গায় মনে হয় একশো বার হাঁটা শেষ তাদের। এক গন্ডিই বারবার হাঁটছে। শেষে ইজহান বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল তাই পদ্ম কে নিয়ে রুমে চলে এসেছে। পদ্ম চাচ্ছিলো না আসার জন্য জোর করে নিয়ে এসেছে।’

‘রুমে এসে এখন পদ্ম ঘাপটি মেরে বসে আছে। ইজহান পদ্মকে দেখলো। ইজহান কিন্তু পদ্মের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু তাতে পদ্মের কোনো হেলদোল নেই।’

‘ইজহান পদ্মের হাতটা টেনে দাঁড় করালো।’
“কি হয়েছে তোমার?”

‘পদ্ম ইজহানের হাত ছেড়ে দিলো।’
“কিছু হয়নি।”

‘এবার ইজহান পদ্মের কোমড় জড়িয়ে ধরলো। পদ্মকে একটু কাছে টেনে বললো-‘

“কি হয়েছে পদ্মফুলের?”

‘পদ্ম মুখটা ফিরিয়ে নিয়েছে।’
“কিছু হয়নি।”

‘পদ্মকে ইজহান আরেকটু কাছে টেনে বললো-‘
“কি হয়েছে বলবে তো।”

‘পদ্ম আর সহ্য করতে না পেরে চোখ বন্ধ করে ফেললো-‘
” আমি কি সব সময় বাহিরে যাওয়ার জন্য বায়না করি বলুন? আপনি চলে আসলেন কেনো?আমার এখন ভালো লাগছে না।”

‘ইজহানের গাল এবার পদ্মের গাল স্পর্শ করলো।’
“ঘড়িতে প্রায় সাড়ে ১১টা বাজতে চললো। তুমি একটা মেয়ে মানুষ যদিও আমি ছিলাম তাই বলে তো আর রিস্ক নেওয়া যাবে না তাইনা! আর পাহাড়ি এলাকায় এতো রাতে বাহিরে থাকে ঠিক নয় পদ্মফুল।”

‘পদ্ম নুয়ে গেলো ইজহানের কথায়। ইজহানের থেকে নিজের গালটা সরিয়ে আনে।’

‘পদ্ম ইজহানের সেই খোঁচা খোঁচা দাড়িতে হাত দিলো।’
“আপনার এই দাড়ি গুলো খুব পঁচা আমার গালে একদম ঢুকে যায়।”

‘ইজহান হাসলো মেয়েটার কথা শুনে।’
“ওরাও আমার মতো তোমাকে আদর করতে চায়।”

‘পদ্ম বুঝলো না।’
“বুঝিনি আমি।”

‘ইজহান পদ্মের সামনে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুঁজে দিতে দিতে বললো-‘
“আমি যেমন তোমাকে আদর করি ওরা ঠিক তেমন আদর করতে চায় তোমাকে।”

‘পদ্ম বোঁকা ভাবে বললো-‘
“এ দাড়ি গুলো তো গালে ঢুকে যায়। আর আমারও সুরসুরী লাগে।”

‘ইজহান হেসে দিলো।’
“তাই!”

“হু।”

‘ইজহান পদ্মের হাতটা পিছন দিকে নিয়ে তার একটা হাত দ্বারা আবব্ধ করে ফেললো। আর এক হাত দিয়ে পদ্মের মুখে হাত বুলাতে লাগলো।’

“আমার একটা অনুমতি চাই পদ্ম।”

‘পদ্ম অবাক হলো। হঠাৎ ইজহান কি বলছে এসব? সে বুঝে উঠতে পারলো না।’

‘পদ্ম ইজহান কে বললো-‘
“কিসের অনুমতি?”

‘ইজহান কথা ঘুরানোর জন্য বললো-‘
“আগে অনুমতি দাও।”

‘পদ্ম হেসে বললো-‘
“দিলাম অনুমতি।”

‘ইজহান ভ্রু কুচকে তাকায় পদ্মের দিকে।’
“সত্যি তো? পরে কিন্তু আবার রাগ করা বা লজ্জা পাওয়া যাবে না।”

‘পদ্ম না বুঝে মাথা নাড়লো। ইজহান হাসলো পদ্মের কান্ড দেখে।’

‘পরক্ষণেই ইজহান পদ্মের ওষ্ঠ তার ওষ্ঠের সাথে মিলিয়ে দিলো। সাথে পদ্মের শরীর কেঁপে উঠলো। ইজহানের সেই অসহায় চুল গুলো কে চেপে ধরলো। তাও ইজহানের কোনো হেলদোল নেই। আবার কিছু মুহুর্ত বাদেই ইজহান পদ্ম কে ছেড়ে দিলো। পদ্ম তো তখন না বুঝে মাথা নাড়িয়েছিলো এখন তো সে লজ্জা ম’রে যাচ্ছে এমন অবস্থা। মাথা তুলে তাকাতে পারছে না ইজহানের দিকে। মুখ টা খিঁচে রাখলো। মনে হচ্ছে সে এখনই শেষ হয়ে যাবে। পদ্ম এদিক ও যেতে পারছে না ওদিক ও না। ইশ একবার যদি ইজহানের মুখটা দেখা যেতো। সেও কি পদ্মের মতো লজ্জা পাচ্ছে?

‘ইজহান পদ্মকে স্বাভাবিক করতে বললো-‘
“পদ্ম তাড়াতাড়ি জড়িয়ে ধরো আমাকে। তুমি তো লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছো।”

‘পদ্ম তার সব লজ্জা বিসর্জন দিতে ইজহানকে শক্তপোক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরলো। ইজহান হাসছে। পদ্মের মাথায় চুমু একে দিলো। আর পদ্ম যেভাবে ইজহানকে জড়িয়ে ধরেছে যেনো শত কোটি বছর পার হয়ে গেলেও ইজহান পদ্মকে ছাড়বে না। পদ্মের প্রতি হাজার হাজার অনুভূতি এসে ইজহানের মনে হানা দিলো। কেনো এই বাচ্চা মেয়ে কেই তার এতো পছন্দ। উফ ইজহান এবার তুই শেষ,এই বাচ্চা মেয়ের প্রেমে পড়ে। তখন যদি পদ্মকে না বিয়ে করতো তাহলে আজ এই সুন্দর একটা মোমেন্ট তার কি দেখা হতো? কি যে শান্তি লাগছে।’

‘সকাল ৯টা।’
‘ইজহানের চোখে ঘুম নেই মুলত সেই ঘুম উড়ে গিয়েছে। তবে সে বিছানা ছাড়তে পারছে না। তার ম্যাডাম তাকে ছাড়ছে না। নিশ্চিন্তে তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। ইজহান এভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে প্রায় একঘন্টা সময় হয়ে গিয়েছে। সে উঠলো পদ্মকে ছেড়ে। পদ্মের অগোছালো শাড়ি ঠিক করে দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে পদ্মকে ডাকলো। কিন্তু তার উঠার নাম গন্ধ নেই। সে আরও মুখে বালিস চেপে ধরে ঘুমাচ্ছে।’

‘ইজহান এবার পদ্মের সামনে জোরে বললো-‘
“ওঠো পদ্ম বেলা ১২টা বাজতে চললো।”

‘পদ্ম তড়িঘড়ি করে উঠে। চোখ মুখ ডলতে শুরু করে। বেশ কিছু সময় পর পদ্ম স্থির হয়ে বসে। ইজহান পদ্মের হাতটা টেনে বললো-‘

“যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। নাস্তা করতে হবে আমরা এখানেই নাস্তা করবো আজ। ”

‘পদ্ম মাথা নাড়িয়ে ফ্রেশ হতে গেলো। মুখ ধুয়ে পানিও মুছেনি আবার এসে বসেছে বেডে। ইজহান নাস্তা নিয়ে আসলো রুমে। পদ্মের মুখের পানি নিজের হাত দ্বারা মুছে দিলো।’

‘তারপর দু’জনে নাস্তাটা সেরে নিলো। আজ পদ্মের মুখ বন্ধ কথা বলছে না সে মাথা টা ভার হয়ে আসছে। আজ সাজেকের ৩য় দিন। সবাই আজ ও ঘুরতে বের হবে। কিন্তু আজ নাকি পদ্মের মন চাচ্ছেনা ঘুরতে যাওয়ার জন্য। ইজহান একটু নিচে গিয়েছিলো। এই মুহুর্তে শানায়া ইজহান আর পদ্মের রুমে আসলো।’

‘দরজা খোলাই ছিলো যার কারণে শানায়া খুব সহজে ঢুকে যেতে পারলো। পদ্ম বসে ছিলো হঠাৎ তাকে দেখে অবাক হয়।’
‘শানায়া পদ্মের মুখ চেপে ধরলো।’
“বে’য়া’দ’ব মেয়ে। ”

‘পদ্ম অবাক হয়ে গিয়েছে আগাগোড়া কিছু মাথায় ঢুকছে না। কি হচ্ছে তার সাথে। পদ্ম কে শাড়ি পড়া দেখে আরও রাগ হয় শানায়ার। বেডের পাশের টেবিলটা তে একটা কাঁচের গ্লাস ছিলো সেটার পশ্চাৎ দিয়ে পদ্মের থুতনিতে বা’রি দেয়। যার কারণে পদ্মের পুরো শরীর কেঁপে উঠে। চোখগুলো বুজে আসছে। না চাইতেও চোখ দিয়ে হাজার অশ্রু ঝড়ে পড়ে।’

“এগুলো যেনো ইজহান না জানে তাহলে তোমার সাথে খুব খারাপ হবে। তোমার জন্য ইজহান আমাকে প্রতিনিয়ত অপমান করেছে। সে আমাকে পাত্তা দেয়নি। ভুলেও যদি বলেছো এসব তাহলে তুমি ভাবতেও পারছো না কি হবে তোমার সাথে ।”

‘ব্যাস এটুকু বলেই শানায়া চলে গেলো। এইদিকে ব্যাথায় পদ্ম কাতরাচ্ছে। দ্রুত ঘটে যাওয়া ঘটনা শ্রবণ করতে তার ভিষণ কষ্ট হলো। পারছে না ব্যাথা সহ্য করছে। পদ্ম দু’হাত মুখে ধরে কান্না করছে।’

‘ইজহান আসলো কিছুক্ষণ পর। পদ্মকে রুমে দেখলো না। ওয়াশরুমে পানির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ইজহান টোকা দিলো। সাথে সাথে দরজা খুলে পদ্ম বের হলো। ইজহান পদ্মকে দেখে থমকে রইলো। যে জায়গায় শানায়া গ্লাস দিয়ে বা’রি মেরেছিলো, সেই জায়গা কেমন লাল হয়ে আছে। ইজহান ও বুঝতে পারলো না পদ্মের থুতনিতে কি হয়েছে।’

‘পদ্ম ইজহান কে জড়িয়ে ধরে অজস্র অশ্রু ফেলছে। ইজহান বুঝলো না ওই ক্ষতটা কিভাবে হয়েছে, আর পদ্মের এভাবে পাগল হয়ে কান্নার কারণ।’

‘পদ্ম কান্না রত গলায় বললো-‘
“আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলুন। আমি এখানে আর থাকবো না।”

#চলবে….

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_১৩
#মোহনা_হক

‘পদ্ম বেঘোরে কান্না করছে। ইজহান চেয়েও থামাতে পারছে না। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে ইজহানের বুক ভাসিয়ে দিয়েছে। ইজহান পদ্মের এসব পাগলামোর মানে বুঝছে না। যেনো তার প্রিয় জিনিস হারিয়ে গিয়েছে তাই সেই জন্য সে কান্না করছে। ইজহান পদ্মের মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। আর কতোক্ষণ এভাবে ধরে কাঁদবে। অবশেষে পদ্ম নিজ থেকেই ইজহান কে ছেড়ে দিলো।’

‘ইজহান পদ্মের চুলে হাত দিয়ে বললো-‘
“কেনো কেঁদেছো?”

‘পদ্মের আবার সেসব কথা মনে পড়ে গেলো। আবারও ডুকরে কেঁদে উঠলো।’

‘ইজহান শান্ত কন্ঠে বললো-‘
“আবার কাঁদছো কেনো?”

“কখন বাসায় যাবেন?”

“এখানে থাকলে কি সমস্যা?”

‘পদ্ম অসহায় দৃষ্টিতে ইজহানের দিকে তাকিয়ে বললো-‘
“প্লিজ বাসায় নিয়ে চলুন না।”

‘ইজহান পদ্মের থুতনিতে হাত দিলো, সাথে সাথে পদ্ম ব্যাথায় উফ করে উঠলো।’

“এখানে কি হয়েছে? এমন লাল হয়ে আছে কেনো?”

‘পদ্ম ঘাবড়ে গেলো।’
“কিছু হয়নি আমি ব্যাথা পেয়েছি।”

‘ইজহান বিশ্বাস করলো না।’
“কিভাবে ব্যাথা পেয়েছো?”

‘ইজহানের কথায় পদ্ম আমতা আমতা করে বললো-‘
“এতো কথা জিগ্যেস করছেন কেনো?”

‘ইজহান পদ্মের গালে হাত দিয়ে বললো-‘
“মিথ্যে কথা বলতে পারো না জানি, তাও কেনো বলার চেষ্টা করছো? কি হয়েছে সত্যি করে বলো।”

‘ইজহানের কথা শুনে পদ্মের মনে হলো ইজহান হালকার উপর ঝাপসা হুমকি দিয়েছে।’

“কিছু হয়নি বললাম তো।”

‘ইজহান ইচ্ছে করেই পদ্মের সেই আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ব্যাথা দিলো।’

“বলতে বলেছি বলো নাহলে তুমি আমার সবচেয়ে খারাপ রুপ দেখবে।”

‘পদ্ম ব্যাথায় মুখ খিঁচে রইলো একদম। এই ইজহানের কি মায়া দয়া নেই। চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি পড়ে গেলো।’

“বলছি।”

‘ইজহান বেডে বেশ আরাম আয়েশ করে বসলো।’

“বলো। ”

‘পদ্ম ভয়ে ভয়ে মুখ খুলছে তো আবার খুলছে না। এই অবস্থা। তার ভয় লাগছে যদি ইজহান ওই মেয়ে কে ধরে সে যদি আবারও পদ্মের সাথে এমন করে।’

‘পদ্মকে চুপ থাকতে দেখে ইজহান জোড়েসোড়ে ধমক দিলো।
“অভদ্রতা বেশিই হচ্ছে বোধহয়। ”

‘পদ্মের ইষৎ কেঁপে উঠলো।’

“বলছি বলছি।”

“আমি যদি উঠি তাহলে খারাপ হয়ে যাবে খুব।”

‘পদ্মের মুখ মলিন হয়ে গিয়েছে।’
“ওইদিন আপনার পাশে একটা মেয়ে বসতে চেয়েছিলো না? আরে প্রথম আমি যখন আপনার বাসায় গেলাম তখন একটা মেয়ে এসেছিলো। আমি আসলে নামটা জানি না।”

‘ইজহান বুঝলো পদ্ম শানায়ার কথা বলছে।’

“হ্যাঁ কি হয়েছে? ও কিছু বলেছে তোমাকে?”

‘পদ্মের চোখে আবার পানি চলে আসলো।’
“ওনি আমাকে এমন করেছেন। সকালে নাস্তা করার পর আপনি যখন বাহিরে গিয়েছিলেন তখন আপু টা রুমে আসে। আমি বুঝতে পারি নি। ওনি এসেই আমার মুখ টা চেপে ধরে। দ্রুত ঘটে যাওয়া ঘটনা আমি বুঝতে পারছিলাম না। তারপর আপু টা কাঁচের গ্লাস দিয়ে আমাকে আঘাত করে। আমি তো কিছুই বুঝছিলাম না কেনো ওনি এমন করছেন। তারপর আবার কি কি যেনো বললেন আমার জন্য নাকি আপনি আপুকে পাত্তা দেননি। আবার এটাও বলেছেন আমি যেনো আপনাকে কিছু না বলি। এরপর ওনি চলে যায়। আপনি দয়া করে ওনাকে কিছু বলবেন না। আমাকে আপনি আমাদের গ্রামে দিয়ে আসুন ওখানে আমি খুব ভালো থাকবো।”

‘বলে পদ্ম কাঁদতে শুরু করলো। ইজহানের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। এই শানায়াকে আজ মেরেই ফেলবে। তার উপর রাগ পদ্মের উপর ঢালবে কেনো। ইজহান নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না। দ্রুত পায়ে রুম ত্যাগ করলো। আসার সময় রুমের দরজা লক করে দিয়েছে যেনো পদ্ম রেরুতে না পারে।’

‘শানায়া হেসে হেসে কথা বলছে কার সাথে জানি হঠাৎ তার ফোন যেনো কেউ নিয়ে গেলো। শানায়া পিছনে ঘুরে দেখে ইজহান দাঁড়িয়ে আছে। ইজহানের চোখে মুখে খুব রাগ সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে। কেনো জানি শানায়ার মনে এক অজানা ভয় হানা দিলো।’

“পদ্মকে কেনো এমন করেছেন! ও আপনার কি ক্ষতি করেছে? আপনি কি আসলেই ডাক্তার! আমি আশ্চর্য একজন ডাক্তার হয়ে আপনি পিচ্চি একটা মেয়ের সাথে এমন করেছেন? বিবেক বুদ্ধি কি লোপ পেয়েছে? আর আমি কাকে বিয়ে করি, ভালোবাসি, আর কাকে পাত্তা দেই সেটা একান্তই আমার ব্যাপার। আপনি জানেন আপনি কতো বড় ভুল করেছেন। একটা অবুঝ মেয়ের আপনার এমন করা উচিৎ হয়নি। কতোটা পাগল হলে আপনি এভাবে পদ্ম কে আঘাত করেছেন। প্র’তি’ব’ন্ধী নাকি আপনি?”

‘শানায়ার রাগে শরীর জ্বলে উঠলো। ইজহানের কলার চেপে বললো-‘

“আমি কি কম সুন্দর নাকি? কেনো তুমি ওই মেয়েকে বিয়ে করেছো। প্রতিনিয়ত তুমি আমাকে অপমান করেছো। আমি কি বেশি কিছু চেয়েছি। আমি তো ওর আগে তোমায় ভালোবাসতাম। এতো অপমানের পর ও তো তোমার কাছে ছুটে গিয়েছি ইজহান। আচ্ছা এমন করলে হয় না, তুমি ওই মেয়েকে ছেড়ে আমাকে বিয়ে করে আমার সাথে সংসার করবে। আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করবো। প্লিজ ইজহান তুমি ওই মেয়েকে ছেড়ে দাও। আমি সত্যিই কষ্ট পাচ্ছি ইজহান।”

‘ইজহান এতোক্ষণ তার রাগটা কন্ট্রোল করেছিলো। আর শানায়া ইজহানের রাগ আবার বিগড়ে দিয়েছে। একে তো কলারে হাত দিয়েছে, আবার এসব বাজে কথা বলছে। ইজহান রাগে চোখ টা বন্ধ করছে আবার খুলছে। একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে একটা ছেলের কলারে হাত দিতে পারে।’

‘ইজহান শানায়াকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে।’
“এতো বড় সাহস আমার কলারে হাত দিয়েছিস। খুব সম্মান দিয়েছিলাম কিন্তু তুই সম্মানের যোগ্য না। আর আমার পদ্মফুলের নামে এসব কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে?”

‘ইজহান চারপাশে তাকিয়ে একটা কাঁচের গ্লাস পেলো। যেভাবে শানায়া পদ্মকে আঘাত করেছে ঠিক সেভাবেই ইজহান শানায়া কে আঘাত করলো একই জায়গায়। শানায়ার যেনো কলিজা ছ্যা’ৎ করে উঠেছে।’

“পদ্মফুল কে কখনো আমি আঘাত করি নি। রাগ হয়েছে তার প্রতি অনেক বার তাও তাকে একটা টোকা পর্যন্ত দিইনি। আর তুই আজ এতো বড় দুঃসাহস দেখিয়েছিস। মেয়েটার তো কোনো দোষ ছিলো না। কেনো ওকে কষ্ট দিয়েছিস। তুই যদি নেক্সট টাইম এসব করেছিস নিজ হাতে তোর কলিজা এনে তোর হাতে দিবো। ইজহান যতোটা ভালো আবার ততবেশিই খারাপ। আর আমার কলারে হাত দেওয়া তাইনা! ইচ্ছে করছে আরও দুটো দেই।”

‘ইজহান বেরিয়ে আসলো শানায়ার রুম থেকে আবার দরজার কাছে এসে থেমে গেলো। চোখ মুখ শক্ত করে বললো-‘

“তোর কিছু বলতে হবে না সিআই কে আমিই বলে দিলো সব। তুই থাকিস ওই হসপিটালে। আমার জন্য আরও ভালো ভালো হসপিটাল বসে আছে অন্তত চাকরির অভাব হবে না আমার। আর লাস্ট কথা আমার আর পদ্মের মাঝে যদি আসিস তাহলে আমি ভুলে যাবো তুই একটা মেয়ে। শুধু তুই মেয়ে দেখেই কিছু করছি না।”

‘বলেই ইজহান রুম থেকে চলে আসলো।’
‘ইজহান তার আর পদ্মের রুমের সামনে আসলো। জোরে জোরে কয়েক বার নিঃশ্বাস নিয়ে রুমে ঢুকলো। রুমে ঢুকা মাএই পদ্ম দৌড়ে আসলো ইজহানের কাছে।’

‘পদ্ম বিচলিত কন্ঠে বললো-‘
“আপনি কোথায় গিয়েছিলেন?”

“পদ্ম রেডি হও তাড়াতাড়ি, আমরা এখনই বাসায় ব্যাক করবো।”

‘পদ্ম অবাক হলো।’
“সত্যিই যাবেন বাসায়।”

“হু।”

‘পদ্ম এতো কষ্টের মাঝেও হেসে দিলো। ইজহান খেয়াল করেছে এটা। পদ্ম ইজহান আর তার সব জামা কাপড়, জিনিসপত্র ট্রলিতে গুছিয়ে রাখছে। সব গোছানো শেষ হয়ে পদ্ম রেডি হয়ে গেলে। ইজহান ও রেডি। ইজহান কাউকে কিছু না বলে পদ্মকে নিয়ে চলে আসলো। তারা একটা বাসে উঠে পড়লো।’

(*)

‘রাত ৯টা।’
‘ইজহান পদ্মকে নিয়ে বাসায় আসলো। আজ আর সেই ফ্ল্যাটে যায়নি তারা একদম সোজা পদ্মের শ্বশুড় বাড়িতে আসলো। ক্রলিং বাজতেই মুনিরা শেখ দরজা খুললেন। ইজহান আর পদ্মকে দেখে তিনি বেশ খুশি হলেন আবার পরক্ষণেই তার মুখটা আবার অন্ধকার হয়ে এলো।’

‘পদ্মকে তড়িঘড়ি করে বাসার ভিতরে আনলেন।’
“একি পদ্ম তোমার এমন হলো কিভাব?”

‘পদ্ম নিশ্চুপ। ইজহান পদ্মের দিকে তাকালো পদ্ম কিছু বলছে না। কোনো উত্তর না পেয়ে মুনিরা শেখ এবার ইজহান কে বললো-‘

“কি রে ইজহান কি হয়েছে ওর ওইখানে? এক মিনিট তুই কিছু করিস নি তো?”

‘ইজহান যেনো হঠাৎ করে আসমান থেকে পড়লো। ও আবার কি করেছে। এই তার মা তাকে কখনো বিশ্বাস করে না। আরও পারে উল্টো পাল্টা দোষ তার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে।’

“আশ্চর্য মা আমি ওকে কি করবো? ও হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছে পাহাড়ি রাস্তা তো।”

‘ইজহান উপরে চলে গেলো ট্রলি নিয়ে। পদ্মের গালে হাত দিয়ে মুনিরা শেখ বললেন-‘

“দেখেছো কেমন হয়ে গিয়েছে তোমার থুতনি টা। দেখে হাঁটবে না?”

‘হঠাৎ ড্রয়িং রুমে একজন মহিলা এসে বললেন-‘
“মুনিরা কে এসেছে?”

‘পদ্ম ঠিক চিনলো না মহিলা কে। মুনিরা শেখ পদ্মের হাত ধরে টেনে ওই মহিলার সামনে নিয়ে গেলেন.।’

‘মুনিরা শেখ বললেন-‘
“ইজহানের ফুপ্পি ওনি।”

‘পদ্ম মুচকি হেসে ওনাকে সালাম করতে গেলো,কিন্তু ওনি তৎক্ষনাত পদ্মকে জড়িয়ে ধরে বললো-‘

“আরে আরে সালাম করছো কেনো?”

‘মুনিরা শেখ পদ্মের কাঁধে হাত দিয়ে বললো-‘
“ও তোমার ভাইয়ের পুএবধু।”

‘মহিলা পদ্মকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় বললো-‘
“ও আমার ইজহানের বউ?”

‘পদ্ম মাথা তুলে তাকালো ওনার দিকে। মুনিরা শেখ পদ্মের উদ্দেশ্যে বললেন-‘

“ওনার নাম হায়াৎ শেখ। তোমার ও ফুপ্পি হবে বুঝছো।”

‘পদ্ম মাথা নাড়লো। হায়াৎ শেখ ও পদ্মের থুতনি ধরে বললো-‘

“কি গো তোমার এখানে এমন লাল হয়ে আছে কেনো?”

‘পদ্মের খারাপ লাগছে আবার লজ্জা লাগছে আজ যদি এটা না থাকতো তাহলে তো এমন প্রশ্ন কেউ করতো না। পদ্ম মনমরা হয়ে রইলো। মুনিরা শেখ বললেন-‘

“ও ব্যাথা পেয়েছে আপা।”

‘হায়াৎ শেখ বললেন-‘
“দেখছো মনিরা কেমন লাল হয়ে আছে।”

“আচ্ছা আপা ওকে নিয়ে যাই ফ্রেশ হতে হবে তো, তারপর নাহয় কথা বলো।”

“যাও যাও।”

‘পদ্ম মুনিরা শেখের ওয়াশরুমে গেলো কারণ সে জানে ইজহান তার ওয়াশরুমে হয়তো ফ্রেশ হচ্ছে। তাই সে আর রুমে গেলো না, ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো। হায়াৎ শেখ আর মুনিরা শেখ রান্নাঘরে। কারণ তাদের কথা শোনা যাচ্ছে।’
‘পদ্ম তাদের সাথে যোগ হলো। মুনিরা শেখ রান্না করছেন। পদ্ম আর হায়াৎ শেখ কথা বলছে।’

‘ইজহান দেখলো পদ্ম রুমে আসছে না তাই নিচে আসলো। সোজা রান্নাঘরে এসে বললো-‘
“কি ব্যাপার পদ্ম রুমে আসো নি কেনো?”

‘পদ্ম হকচকিয়ে গেলো। ইজহান একেবারে রান্নাঘরের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ইজহান কে হায়াৎ শেখ বলে উঠলেন-‘

“শুধু বউয়ের খবর নিলে হবে? এই যে বুড়ী ফুপ্পিটা দাঁড়িয়ে আছে তার খবর তো একবারও নিলে না। বুঝলে মুনিরা তোমার ছেলে বিয়ের পর পাল্টে গিয়েছে। এখন আর তার একমাত্র ফুপ্পির খবর নেয় না।”

‘ইজহান হায়াৎ শেখকে জড়িয়ে ধরে বললো-‘
“তুমি তো ভালোই আছো দেখছি। কিন্তু আমার বউ তো ভালো নেই দেখছো না ব্যাথা পেয়েছে। একটু ট্রিটমেন্ট করতে নিয়ে যাই?”

‘ইজহানের কথায় মুনিরা শেখ আর হায়াৎ শেখ একসাথে হেসে উঠলো-‘

“যাও বউয়ের সেবা করে আবার নিচে পাঠিয়ে দিও।”

‘ইজহান পদ্মের হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে আসলো। পদ্ম তো লজ্জায় শেষ। ছিহ এই ইজহান ভালোই পারে লজ্জা দিতে।’

‘রুমে আসার সাথে সাথে পদ্ম ইজহানের হাত ছেড়ে দিলো। ইজহান ড্রয়ার থেকে একটা মলম নিলো।’

‘পদ্ম কোমড়ে হাত দিয়ে বললো-‘
“আপনি এতো বাজে কথা বলেন কেনো? মা আর ফুপ্পি কি ভাবছে বলুন তো। নির্লজ্জ কোথাকার।”

‘ইজহান পদ্মের থুতনিতে মলম লাগাতে লাগাতে বললো-‘
“কে কি ভাবছে বা ভাববে সেটা নিয়ে ইজহানের মোটেও আপত্তি নেই। ভাবলে সমস্যা কোথায়। আর আমি তো এখনো কিছুই করিই নি যখন করবো তখন নির্লজ্জ বলবে এর আগে এসব কথা কিন্তু সহ্য করবো না পদ্মফুল।”

#চলবে….