#দ্বিধা_চক্র
পর্ব ১৪ ( শেষ পর্ব)
হা করে আছিস কেন? এখন নিশ্চয়ই তুই বেঁকে বসবি না? খুব তো চিল্লালি কেন মানা করলো, এখন মেয়েটা হ্যাঁ করেছে বলে ভাব নিচ্ছিস?
– না না, এমন কিছুই নয় বাবা। আমি এখনো বুঝতে পারছি না আমার এক্সিডেন্টে ওর……
– ঠিক আছে, তুই চিন্তা কর, আমরা না হয় সময় নিয়েই জানাবো।
– না না, তুমি এখনই জানিয়ে দাও। আমরা কালই আংটি পরাতে যাবো।
অবাক হন রাশেদ সাহেব। এটা কেমন কথা? কালই কেন যাবো? তারা কি ভাববে?
-কিছু ভাববে না। পারলে আজই চলো।
-গাধা নাকি? মনে হচ্ছে যেন আমরা তাদের মেয়েকে বউ করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে এক লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তারা বাঁশি ফু দিতেই দুইশো মিটার ঝড়ের গতিতে আমরা সব একসাথে ছুট দিলাম।
– বাবা, দেরী করলে অবনি যদি মত পাল্টে দেয়?
– তাহলে এমন পল্টিবাজ মেয়ে এ পরিবারে আসবেই কেন?
তড়িঘড়ি নিলয় বলল , না না, ও মত পাল্টাবে না। আমি ভুল বলেছি।
– হুম, সামনের সপ্তাহে যাবো জানিয়ে দেই।
– না না, অবনির পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
– তুই জানলি কি করে?
– ইয়ে আমি…. আমাকে… আমাকে নদী বলেছে।
-আমি কখন বললাম? নদী অবাক হয়ে নিলয়ের দিকে তাকালো। নিলয়ের চোখের ইশারা বুঝে বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, অবনি আপুর পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আমরা একই কলেজে পড়ি তো।
– তাহলে পরীক্ষার পর না হয়…
– বাবা প্লিজ এই শুক্রবার, আর দেরী করো না প্লিজ, প্লিজ।
রাশেদ সাহেব শিউলির দিকে তাকালে তিনিও আশ্বস্ত করলেন। বিড়বিড় করলেন রাশেদ সাহেব , নির্লজ্জ ভেড়া।
ধার্য্য হলো শুক্রবার সন্ধ্যার পরে পারিবারিকভাবে আংটি পরানো হবে।
শুক্রবার সকাল থেকে নিলয়ের সকল হম্বিতম্বি আবার ফিরে এলো।
প্রথমেই অবনির জন্য কিনে আনা আংটি তার পছন্দ হলো না।
নদী বিরক্ত সুরে বলল, কে বলেছিল বিয়ের সময় এমন লুলা-লেংড়া হতে? সারাজীবন নাক উঁচু মহারাজ ছিলি তাই আসল সময়ে ধরা খেয়ে এখন ঘরে বসে তবলা বাজাচ্ছিস।
-তাই বলে এরচেয়ে ভালো কিছু পেলি না? এতো রুচি খারাপ!
শিউলি বললেন, তোর অবনিই পছন্দ করেছে। কল করে জিজ্ঞেস কর।
নিলয় নিরব হয়ে গেল।
এই সুযোগে নদী বলল, ভাইয়া আরেকটা কথা, তোর বউ পছন্দ করে ছাই রংয়ের শাড়ি কিনেছে।
– ছাই রং? বলিস নি আমি এসব মরা রং পছন্দ করি না।
– আমরা কেন বলবো? তুই বল।
নিলয় ঢোঁক গিললো। কণ্ঠও নেমে এলো। বলল, থাক শখ করে কিনেছে যখন পরুক।
মিষ্টি কেনার লিস্ট রাশেদ সাহেবকে দিলে তিনি বললেন, এতো দোকান ঘুরে ঘুরে আমি মিষ্টি কিনতে পারবো না।
-কিন্তু বাবা এক দোকানের সব মিষ্টি তো মজার নয়। আমার বেস্টগুলো চাই।
তাহলে তোর কোনো বন্ধুকে ডেকে কাজে লাগা। একটা আংটি পরাতে যাচ্ছি মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘোড়া লাগবে, হাতি লাগবে, তলোয়ার, বর্ম, সেনাপতি, উজির, তুই এতো নাচাচ্ছিস কেন আমাদের?
নদী ধীরে ধীরে বলল, তোর বন্ধু ফারিজ ভাইকে ডেকে নিবি?
ভালো বুদ্ধি ভেবে নিলয় জলদি কল দিল ফারিজকে।
কল ধরেই নিলয়কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আনন্দিত কণ্ঠে ফারিজ বলল, আমাকে দশমিনিট সময় দে আমি এখুনি চলে আসছি। শালা বিয়ে করছিস একবারো জানানোর প্রয়োজনবোধ করলি না?
নিলয় কিছুই বুঝলো না। ফারিজ জানলো কী করে? নদীর দিকে চোখ যেতেই সব পরিষ্কার হলো, এই মেয়েই বাকুম বাকুম করে সকল খবর ফারিজকে আগেই পোঁছে দিয়েছে।
বিকালে তৈরী হতে গিয়ে বাঁধলো বিপত্তি। ব্যান্ডেজ করা পায়ে কোনোভাবেই পাজামা ঢুকছে না। ফারিজ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলো। নিলয় অগ্নি দৃষ্টিতে চেয়ে আছে ফারিজের দিকে।
বিরক্ত হয়ে ফারিজ বলল, কী করবো আমি? আমার টা খুলে দেবো? বল, এখনি খুলে দেই? আমি না হয় পাজামা ছাড়াই আজ তোর অনুষ্ঠানে গেলাম। আসার পর থেকেই গরুর মতো হাম্বা হাম্বা করছিস। শালা তোর ব্যবস্থা তুই কর গিয়ে বলে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো।
সকল সমাধান পাওয়া যায় মায়ের কাছে। নিলয় উচ্চস্বরে মা মা বলে চেঁচালো।
শিউলি সহজ সমাধান দিলেন, তোর বাবারটা পর।
নিলয়ের চোখ বেরিয়ে এলো। আমার এনগেজমেন্টে বাবার ঢিলা পাজামা পরে যাবো? এটা তুমি কি বললে?
-তাহলে কি করবি?
-জানি না, কিছু একটা করো। ধূর, ব্যান্ডেজটাই খুলে ফেলো।
– না না, ব্যবস্থা করছি। শেষে পাজামার একপায়ের সেলাই খুলে নিলয়কে পরিয়ে তা আবার সেলাই করে দিলেন শিউলি।
মাথা ঠান্ডা হলে ফারিজকে কয়েকবার ডেকেও পাওয়া গেল না।
রুম থেকে বেরিয়ে দেখে নদীর সাথে ড্রইংরুমে বসে ডালা সাজাচ্ছে ফারিজ সাথে গল্প হাসি-ঠাট্টা চলছে। মেজাজ চড়ে গেল আবার। আজ কিছুই মন মতো হচ্ছে না অথচ বন্ধু এসে সাহস না যুগিয়ে মেয়েলী কাজে ব্যস্ত।
-এই নদী, তুই এতো সেজেছিস কেন? মনে হচ্ছে যেন তোর বিয়ে হচ্ছে!
-ভাইয়ের বিয়েতে সাজবো না? মুখ কালা করে বসে থাকবো?
ফারিজ ধমকে বলল, শালা আর কত খেচর খেচর করবি? তোকে তো ফেচকুন্দার মতো দেখাচ্ছে। এমন খ্যাচখ্যাচালে ভাবী তোকে ছাদে তুলে টুপ করে নিচে ফেলে দেবে।
ফারিজ আজ যেন একটু বেশিই শালা শালা বলছে! উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! পরে শোধ নেয়া যাবে। আজকের দিনটা নিলয়ের। অথচ কেউ তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। এটা কেমন কথা?
রাশেদ সাহেব বললেন, তুই উত্তেজিত হয়ে আছিস কেন? অস্থিরতা কমা, নিরব হয়ে বস।
নিলয় সাথে সাথে বাবার পাশে বসে পড়লো। ইতস্তত করে থেমে থেমে বলল বাবা, আমার কেমন জানি লাগছে। ভয় ভয় করছে।
-কিসের ভয়?
-বুঝছি না।
নদী ফিক করে হেসে বলল, প্রথম বিয়ে তো, তাই। আরো কয়েকটা করলে ঠিক হয়ে যাবে নিলয় সোনা।
ফারিজ ঠোঁট টিপে হাসতে লাগলো। নিলয় ফারিজের মাথায় চাপড় দিয়ে বলল, তোর এতো ফূর্তি লেগেছে কেন?
-ভাইয়া, গাড়ি ডেকেছিস?
– না, গাড়ি কেন নিবো। এখান থেকে এখানে…
নদী অবাক হয়ে তাকালো। মোবাইল হাতে নিয়ে বলল, একটা ফোনকল, সারাজীবনের কান্না।
– মানে?
– ভাবীকে বলব সপ্তর্ষীকে দেখতে তুই গাড়ি ভাড়া করেছিলে? আর এখন কিপ্টামি করছিস।
– আচ্ছা ডাকছি, এতো বলাবলির কি আছে।
যাত্রাকালে গাড়িতে উঠতে গিয়ে নিলয় হতবাক হয়ে গেল। সামনের সিটে ফারিজ বসে আছে। পেছনে নদী, শিউলি এবং রাশেদ সাহেব।
– আরে! আমি কই বসবো? এই বেটা, তুই সামনে বসেছিস কেন?
-কই বসবো তাহলে?
-কই বসবি মানে, আমি কই বসবো, তোর কোলে? পায়ের চোট নিয়ে চারজন গাদাগাদি করে পেছনে বসবো ভাবলি কী করে?
রাশেদ সাহেব বললেন, দশমিনিটের রাস্তা, বসে পর তো বাপ।
-অসম্ভব, আমার পাঞ্জাবীর ইস্ত্রি নষ্ট হয়ে যাবে।
ফারিজ গাড়ি থেকে বের হতে হতে বলল, আয়, সামনে বস। আমি অটোতে চলে যাচ্ছি।
-না থাক, তুই একা যাবি কেন। দেখি কি করা যায়।
ফারিজ মুখ বাঁকিয়ে বলল, আহ্লাদ দেখাতে হবে না আর, আয় বস।
নদী নাক ফুলিয়ে বলল, আরেকটা গাড়ি নিলি না কেন?
নিলয় চেঁচালো, আহা! জনে জনে একটা করে গাড়ি নেয়া উচিত ছিল। আমি তো রাজশাহী সাম্রাজ্যের অধিপতি।
রাশেদ সাহেব বললেন, ফারিজ, তুমি আমার পাশে পেছনে বসো।
নদী বলল, প্রশ্নই আসে না। আমি গাদাগাদি করে বসবোই না। আমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
শিউলি বললেন, শুভ কাজে যাচ্ছি, তোরা সব কি শুরু করলি?
নিলয় নদীর উদ্দেশ্যে বলল, ফারিজের সাথে অটোতে করে আসতে পারবি? নাকি সেখানেও সমস্যা আছে তোর?
আঙ্গুলে ওড়না পেচিয়ে পেচিয়ে নদী বলল, আমি কি তোর কখনো অবাধ্য হয়েছি? তুই বললে যাবো।
গাড়ি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হলে নদী ও ফারিজ অটো রিকশায় বসে। দুজনার হাত কিছু না বলেই এক হয়ে যায়।
_________________
ড্রইংরুমে কিছু মুরব্বিদের সাথে বসে আছে নিলয়। ভাগ্যিস ফারিজ সাথে ছিল নইলে কেমন বোকা বোকা লাগতো।
অবনির ছোট বোন অধরা কিছুক্ষণ পর পর এসে নিলয়ের সাথে দুষ্ট দুষ্ট কথা বলছে। নিলয় চাইলে এর জবাব দিতে পারে কিন্তু দিচ্ছে না, কেবল মুখ নামিয়ে হাসছে। বলা যায় না অবনির মতো যদি ঘাড়ত্যাড়া হয় তবে বিপদ নিলয়েরই বাড়বে।
অবনির বাবা গর্ব করে উপস্থিত মুরব্বিদের বলছেন, নিজের জীবন তোয়াক্কা না করে নিলয় কি করে অবনিকে বাঁচিয়েছে। হীরের মতো জামাই পেয়েছে অবনি।
হীরের মতো জামাই শুনে খুশিতে গদগদ হয়ে যায় নিলয়।
অধরা ফিসফিস করে বলে, দুলাভাই, আপনি নাকি অবনি আপুর জন্য এক্সিডেন্ট করেন নি?
নিলয় ঢোঁক গিলে। কে বলেছে, তোমার আপু ?
-হুম, বলেছে কুত্তার দৌড়ানী খেয়ে রাস্তায় চিৎপটাং হয়ে ব্যথা পেয়েছেন। হি হি হি….
নিলয় দাঁতে দাঁত চিপে। ফারিজ মিটমিট করে হাসে।
অধরা ফারিজের দিকে চেয়ে বলে, আপনার হাসি অনেক সুন্দর। নাম কি আপনার?
নদী হেসে বলে, উনার নাম জেনে তোমার কাজ নেই। তুমি ভেতরে গিয়ে দেখো তোমার আপু তৈরি হয়েছে কিনা।
অবনিকে মেসেজ পাঠায় নিলয়, কখন দেখা হবে?
উত্তর আসে, যখন মুরব্বিরা চাইবে।
-তোমার ছোট বোনটা এতো ফাজিল কেন?
– আমার বোন বলে।
-কেমন সেজেছো?
– পেত্নীর মতো।
– সমস্যা নেই। আমিও ভূত সেজে এসেছি।
আংটি পরানো শেষে পাত্র-পাত্রী ছাদে দেখা করার সুযোগ পায়।
কথা ছিল নিলয়কে সাথে নিয়ে ফারিজ ও নদী ছাদে যাবে, অন্যদিকে অবনির সাথে যাবে অধরা।
পেছন থেকে নিলয়ের ডাক পড়ায় নদী ও ফারিজ আগে পৌঁছায় ছাদে। দুজনার মৃদুলয়ে কথপোকথন দেখে পেছনে এসে দাঁড়ানো অবনি কিছুটা আঁচ করতে পারে।
দুষ্টু অধরা ধীর পায়ে হেঁটে দুজানার কাছে গিয়ে সজোরে ভাউ করে ওঠে।
ফারিজ নদী দুজনেই চমকে ওঠে বোকার মতো তাকায়।
অধরার মাথায় চাপড় দিয়ে অবনি বলল, বান্দরগিরি কম কর। যা নিচে!
বাপ… রে… বাপ বলে অবনির দিকে তাকায় ফারিজ। নিলয়ের তো খবরই আছে ভাবী , এমন শালী কপালে জুটেছে!
অবনি হেসে নদীর দিকে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করে দুজনার মধ্যে কী চলছে?
-ভাইয়া এখনই আসছে, বলে নদী ফারিজকে নিয়ে তড়িঘড়ি নিচে পালায়।
ছাদের রেলিং ঘেঁষে পেছন ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে অবনি।
নিলয় এসে নিরবে পাশে দাঁড়ায়।
– আংটিটা আঙ্গুলে মানিয়েছে বেশ।
নিজের আঙ্গুলের দিকে চেয়ে হাসে অবনি।
– গোলাপী শাড়ি পরলে যে? তোমার পছন্দে কেনা ছাই রঙের শাড়ি পরো নি কেন?
– শুনলাম মরা রং আপনার পছন্দ নয়।
– তো কি, তোমার পছন্দ হয়েছিল তো।
– নাহ, ছাই রং আমার খুব প্রিয় কিছু নয়। তবে আজকের দিনটা দুজনার প্রিয় হয়ে থাক, তাই চাই।
ছাদ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে বাগানবিলাশ। আপন মহিমায় সৌন্দর্য বিলাচ্ছে। সেদিকে চোখ রেখে নিলয় বলল, অতি সাধারণ পারিবারিক একটা বিয়ে হতো, খামাখা তুমি প্রেমের রূপ দিয়ে দিলে।
অবনি অবাক চোখে বলল, আমি করেছি?
-তাহলে কে? আমি?
-আমার পিছে পড়েছিল কে?
-কিন্তু এক্সিডেন্টের ঘটনাকে মোড় ঘোরালো কে?
– ও আচ্ছা, অন্যের সাথে বিয়ে হলে খুশি হতেন বুঝি?
হঠাৎ অবনি অনুভব করল কোমড়ে আলতো করে হাত রেখেছে নিলয়। হেঁচকা টানে নিজের কাছে নিয়ে এলো মুহূর্তে। কোমড় ছেড়ে বলল, এবার ঠিক আছে। এভাবে খুব কাছে থাকবে সারাক্ষণ । ঝগড়া করলেও আমাকে জড়িয়ে ধরে করবে।
শব্দ হারিয়ে লজ্জা রাঙা হলো অবনি।
-মিথ্যাটা না বললেও পারতে অবনি। যখন জানবে তোমাকে নয় অন্যকে বাঁচাতে ব্যথা পেয়েছি তখন তারা কষ্ট পাবে।
-মোটেও না, আরো খুশি হবে। আমাকে বাঁচানোর পেছনে আপনার উদ্দেশ্য থাকতে পারে কিন্তু অপরিচিত একজনকে বাঁচানো মানবতার বহিঃপ্রকাশ।
মৃদু হাসে নিলয়। এই প্রথম তোমার মুখে আমার সুনাম শুনলাম।
দু’জনেই নীরব দাঁড়িয়ে মেঘযুক্ত আকাশে তারা খোঁজার চেষ্টা করে।
– কি ভাবছেন?
-ভাবছি বউটা বেশি বুদ্ধিমতী হয়ে গেল কিনা।
দুষ্টু হেসে অবনি বলে,
কহে জ্ঞানীজনে, ওলো নারী…..
বুদ্ধিমানেরে খোঁজো মনে মনে
তবে সংসার করিও বোকার সনে।
অবনির দিকে ফিরে চোখে চোখ রেখে নিলয় বলল, তোমার বোকা মানুষটা আজ কিন্তু জিতে গেছে।
অবনি নত মুখে হেসে বলল, আমিও হার মেনেছি জিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
সমাপ্তি।
চমৎকার একটা জার্নি হলো আপনাদের সকলের সাথে। প্রতিটা পর্বে মজার মজার মন্তব্য পড়ে আমি এনার্জি খুঁজে পেতাম। ভালো থাকবেন সবাই। আবার নতুন কোনো গল্প নিয়ে হাজির হবো। খুব জলদি হয়তো নয়, তবে চেষ্টা করবো।
দমকা হাওয়া ইবুকটি সংগ্রহ করুন। যারা কিনেছেন কিন্তু মন্তব্য করেননি তারা দয়া করে এক দুইলাইন নিজের অনুভূতি লিখে আসুন।
ঝিনুক চৌধুরী।।