#একটা_বসন্ত_বিকেলে
#অরনিশা_সাথী
|১৫|
–“তুই ভালো আছিস আয়ু?”
আয়াশের প্রশ্নে একগাল হাসলো আয়াত৷ আয়াশের পাশে বসে হাতদুটো ধরে মৃদু হেসে বললো,
–“হ্যাঁ ভাইয়া, ভালো আছি আমি।”
প্রত্যুত্তরে আয়াশ কিছু না বলে আয়াতের মাথায় হাত রাখলো। সেসময়ে আশা চৌধুরী সকলকে বললো ডাইনিংয়ে যেতে, লাঞ্চ রেডি। আয়াশ মৃদু হেসে বললো,
–“শ্রাবণকে নিয়ে খেতে আয়।”
আয়াত সম্মতি জানাতেই আয়াশ উঠে চলে গেলো। আয়াতও উঠে নিজের ঘরে চলে গেলো। শ্রাবণ তখন ভিডিও কলে একটা মিটিং এটেন্ড করছিলো। আয়াত গিয়ে বসলো শ্রাবণের পাশে। মিনিট পাঁচেক বাদে শ্রাবণ ল্যাপটপ অফ করে এক সাইডে রেখে আয়াতের দিকে ঘুরে বসে বললো,
–“ভাইয়ের সাথে আড্ডা দেওয়া শেষ?”
–“হ্যাঁ, এখন চলুন আম্মু খেতে ডাকছে।”
–
শ্রাবণ আয়াশের সাথে বাইরে গেছে। আয়াত আর ইরা ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আজকে ফারাবীর সাথে দেখা হওয়া কথা বলা সবই বললো ইরাকে। সবশুনে ইরা ক্ষানিকটা সময় চুপ থেকে বললো,
–“এসব নিয়ে ভাবিস না আয়ু, তোরা দুজনেই এখন ভিন্ন ভিন্ন মানুষের। তাই আমি বলবো অতীত না ভেবে বর্তমান নিয়ে ভাব। বর্তমান আর ভবিষ্যৎ কি করে সুন্দর করা যায় সেটা ভাব। অতীত ভাবলে শুধুই কষ্ট পাবি৷ সাথে বর্তমানকেও নষ্ট করবি।”
আয়াত চুপ করে রইলো৷ ওর চোখে পানি। ইরাকে ধরে কান্না করেছে ভীষণ। ফারাবীকে দেখে যে ওর ভালো লাগছে না। চাপা কষ্টটা বেড়ে চলেছে। আটকে রাখা কান্নাগুলো হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ইরা আবারো বললো,
–“শ্রাবণ ভাইয়া কি এখনো আগের মতো___”
–“উঁহু, এখন উনি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। আগের মতো ব্যবহার করে না। বন্ধুর মতোই মিশে।”
–“ভালোও বাসবে খুব শীঘ্রই দেখে নিস।”
আয়াত তুশির কথাও জানালো ইরাকে৷ সে কথা শুনে ইরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায় এমন অবস্থা। আয়াত চোখ রাঙিয়ে তাকালো ইরার দিকে৷ ইরা বহু কষ্টে হাসি থামিয়ে বললো,
–“বাব্বাহ! আয়ু দেখি জেলাস, নিজের বরের পাশে অন্য কাউকে একদমই সহ্য করতে পারে না।”
–“তুই হাসছিস?”
ইরা হাসি থামিয়ে আয়াতের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো,
–“ভালোবাসিস শ্রাবণ ভাইকে?”
–“ধুর! এত তাড়াতাড়ি ভালোবাসা হয় নাকি? আমার জীবনে ফারাবী না থাকতো তাহলে একটা কথা ছিলো৷ কিন্তু একসময় একজন ছিলো আমার লাইফে, তাকে ভুলে এত সহজেই___”
–“তাহলে শ্রাবণ ভাইকে তুশি ভালোবাসুক নয়তো বিয়ে করুক, তাতে তোর কি?”
–“উনি আমার স্বামী। আর আমার স্বামীকে অন্য মেয়ে কেন ভালোবাসবে?”
–“কারণ তার বউ তো আর তাকে ভালোবাসছে না।”
আয়াত চুপ করে রইলো অনেকটা সময়। তারপর নিজেই নিরবতা ভেঙে বললো,
–“উনাকে আমি ভালোবাসি কিনা জানি না, কিন্তু সত্যিই তুশি মেয়েটার উপর ভীষণ রাগ হচ্ছিলো আমার। উনার উপর একটা টান আছে আমার। মায়া কাজ করে আমার।”
–“সেটাই তো ভালোবাসা রে। নিজের স্বামীর পাশে অন্যকোনো মেয়েকে সহ্য করা যায় না। বিয়েটা তো পবিত্র সম্পর্ক। একবার বিয়ে হয়ে গেলে উপরওয়ালা নিজেই দুজন মানুষের প্রতি টান ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেয়৷ নয়তো যারা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে তাদের মাঝে এত ভালোবাসা আসে কোত্থেকে বল? এত টান এত মায়া রাতারাতি কিভাবে চলে আসে? উপরওয়ালা আগে থেকেই সব ঠিক করে রাখে, তোর আর শ্রাবণ ভাইয়ার সম্পর্কও উনি আগে থেকেই লিখে রেখেছিলেন৷”
আয়াত এবারেও কিছু বললো না। ইরা দুষ্টু হেসে বললো,
–“আচ্ছা জানু শোন না।”
আয়াত জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো ইরার দিকে। ইরা বললো,
–“শ্রাবণ ভাইয়া কখনো তোর কাছে আসেনি?”
–“কাছে আসবে না কেন? একই ঘরে একই বিছানায় থাকি___”
–“কথার অন্য মানে বের করিস না, আমি কি বোঝাতে চেয়েছি তুই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিস।”
আয়াত তপ্ত শ্বাস ফেলে বললো,
–“এতক্ষণ কি বললাম তোকে? সেসবে কিছু বুঝিসনি?”
–“তোর কথা শুনে যা মনে হয় ভাইয়া সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাচ্ছে। তুইও তো ভাইয়ার জন্য ফিল করিস। তাহলে একে অপরের কাছে কেন যাচ্ছিস না? আয়ু কখনো কখনো শারীরিক দূরত্বটাও ম্যাটার করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ঘুঁচালেও মনের কাছে আসা যায়। তোদের মাঝে অনেকটা দূরত্ব এখন, সেভাবে একে অপরের প্রতি ফিল আসতে ক্ষানিকটা সময় লাগবে, একবার দূরত্ব ঘুঁচিয়ে কেউ একজন কাছে টেনে নে দেখবি অপর মানুষটাকে একদমই মাথা থেকে সরাতে পারবি না। না চাইতেও ভাববি মানুষটাকে নিয়ে। আর খুব দ্রুতই ভালোবাসাটাও হয়ে যাবে। আর দূরত্ব বাড়াস না নিজেদের মধ্যে।”
আয়াত চুপচাপ ইরার কথাগুলো শুনলো। তারপর বললো,
–“বাদ দে তো এখন এসব। শারীরিক সম্পর্কটাই সব না। ফিজিক্যালি না মিশে কি ভালোবাসা হয় না? আমার আর ফারাবীর ভালোবাসা কি হয়নি?”
–“বুঝছিস না তুই, দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার।”
–“আচ্ছা হয়েছে, এখন এসব কথা না বলি? তুই আর ভাইয়া বিয়ে করছিস কবে সেটা বল।”
–“তা তোর ভাইয়া-ই ভালো জানে।”
এভাবেই আরো বেশ কিছুক্ষণ ছাদে বসে আড্ডা চলতে থাকে দুই বান্ধবীর। অনেকদিন পর একসাথে হয়েছে বলে কথা।
–
চট্টগ্রামে দুদিন থেকে গত কালই ঢাকায় ফিরেছে শ্রাবণ আর আয়াত। এই নিয়ে আয়াতের ভীষণ মন খারাপ। এতদিন পর বাসায় গিয়েছিলো অথচ দুদিনের বেশি থাকতে পারলো না। আয়াত ইচ্ছে করেই থাকার কথা বলেনি শ্রাবণের অফিস আছে বলে। কিন্তু শ্রাবণ কি পারতো না আয়াতকে থেকে আসার কথা বলতে? সেই নিয়েই আয়াতের মন খারাপ আরো বেশি। শ্রাবণের নামে অভিযোগ জমা হয়েছে অনেকটা। সেটা অবশ্য শ্রাবণও খেয়াল করেছে কিন্তু তেমন একটা পাত্তা দেয়নি। সকাল হতেই অফিস চলে গেছে। শ্রাবণের এই ইগনোর করাটা আয়াতের অভিমানের পাল্লা আরো ভারী করেছে।
সানিয়া মেহরাব এবং শান সোফায় বসে আছে। টুকটাক কথা বলছে৷ আর আয়াত কিচেনে চা/কফি বানাচ্ছে। সানিয়া মেহরাব ভীষণ বারণ করেছে আয়াত শুনেনি। সামান্য চা/কফিই তো, ঠিক পারবে। তাছাড়া আয়াত মোটামুটি সব ধরনের রান্নাই জানে। আয়াত ট্রে তে করে সানিয়া মেহরাবের জন্য চা আর শানের জন্য কফি নিয়ে সবেই কিচেন থেকে বেরিয়েছে এমন সময় শ্রাবণের আগমন ঘটে। শ্রাবণকে এসময়ে বাসায় দেখে সবাই অবাক হয়। শ্রাবণ সিড়ি অব্দি গিয়ে পেছন ফিরে আয়াতের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“ওগুলো দিয়ে ঘরে আসো।”
কথাটা বলে শ্রাবণ চুপচাপ সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে নিজের ঘরে চলে গেলো। আয়াত সানিয়া মেহরাব আর শানকে চা/কফি দিয়ে সোফায় বসলো। শান দুষ্টু হেসে বললো,
–“এখানে বসলে যে? তোমার বর তোমাকে ঘরে ডাকছে ভাবী, ঘরে যাও দ্রুত।”
আয়াত কটমটে চোখে তাকালো। শান হেসে কফির মগটা হাতে তুলে নিলো। সানিয়া মেহরাব চায়ে চুমুক দিয়ে বললো,
–“চা টা তুই দারুন বানিয়েছিস তো, এখন থেকে নিয়ম করে দুই বেলা তোর হাতের চা চাই আমার।”
সানিয়া মেহরাবের কথায় শান সায় জানিয়ে বললো,
–“আমার জন্যও কফিটা তুমি বানাবে আয়ু ভাবী। প্রতিদিন সার্ভেন্টের হাতের কফি খেতে খেতে বোর হয়ে গেছি। আমি কিন্তু আম্মুর মতো সময় বেঁধে দিতে পারবো না। আমার যখন ইচ্ছে হবে বলবো, তুমি বানিয়ে দিবে।”
আয়াত হেসে সম্মতি জানালো। শান আরো কিছু বলার আগেই উপর থেকে শ্রাবণ বললো,
–“আয়ু???”
সানিয়া মেহরাব আলতো হাসলো। আয়াতকে বললো,
–“ঘরে যা শ্রাবণের কিছু দরকার হতে পারে, ডাকছে তো তোকে।”
আয়াত তপ্ত শ্বাস ফেলে ঘরের দিকে পা বাড়ালো। ওর এই মূহুর্তে ঘরে যাওয়ার একদমই ইচ্ছে ছিলো না। কাল থেকে সমানে ইগনোর করে এখন আসছে “আয়ু আয়ু” করতে। হুহ! আয়াত রুমে যেতেই শ্রাবণ বললো,
–“পানি দিও তো।”
আয়াত এক পলক তাকালো শ্রাবণের দিকে। ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছে ও। পরনে শুধু ধূসর রঙের জিন্স আর গলায় টাওয়াল ঝুলানো। আয়াত চোখ সরিয়ে নিয়ে বললো,
–“এইটা তো আপনি নিজেও নিয়ে নিতে পারতেন, এর জন্য ডাকার কি আছে?”
শ্রাবণ আচমকাই আয়াতের অনেকটা কাছে চলে আসে। একহাতে আয়াতের কোমড় জড়িয়ে ধরে বললো,
–“কি করবো বলো তো? আমার বিয়ে করা বউটা যে আমার সব অভ্যাস পালটে ফেলেছে। চাওয়ার আগেই সবকিছু হাতের কাছে এনে দেয়। হুট করেই তাতে ব্যতিক্রম হলে বিয়ে করা বউকে ডাকবো না?”
আয়াত নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একগ্লাস পানি শ্রাবণের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
–“এরপর থেকে নিজের টা নিজেই করবেন।”
বলেই সরে গেলো আয়াত৷ শ্রাবণ মুচকি হেসে পানিটা শেষ করে বেড সাইড টেবিলের উপর রেখে দিলো। আয়াত আলমারি খুলে শ্রাবণের জন্য টি-শার্ট বের করছিলো। হুট করেই শ্রাবণ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আয়াতকে। আচমকা এমন করাতে আয়াত চমকে যায়। লোকটার হয়েছে কি আজ? হুটহাট কাছে চলে আসছে কেন? এখন তো সরাসরি জড়িয়ে ধরেছে। এসবই ভাবছে আয়াত। বিয়ের এই একমাসে মনে হয় এই প্রথম শ্রাবণ ওর কাছে এসেছে। আয়াতকে চুপ থাকতে দেখে শ্রাবণ আয়াতের কাঁধে থুতনি রেখে বললো,
–“আমার বিয়ে করা বউ ছটফটানি বন্ধ করে দিলো যে?”
মৃদু কাঁপছে আয়াত, যা শ্রাবণ স্পষ্ট বুঝতে পারছে। আয়াতও হুট করেই শ্রাবণের দিকে ঘুরে দুহাতে শ্রাবণের গলা জড়িয়ে ধরলো। যা দেখে শ্রাবণ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। শ্রাবণ ভেবেছিলো আয়াত হয়তো বা লজ্জা পাবে। কিন্তু আয়াত শ্রাবণের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত করে। শ্রাবণের চোখে চোখ রেখে বললো,
–“কি ব্যাপার? আমার বিয়ে করা বরটা এত অবাক হচ্ছে কেন? বউ কি তার বরের গলা জড়িয়ে ধরতে পারে না?”
শ্রাবণ বাঁকা হেসে আয়াতের কোমড় জড়িয়ে ধরলো। আয়াতের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,
–“অবশ্যই পারে। তবে সাথে আরো অনেক কিছুই করতে পারে বুঝলে?”
শ্রাবণের এহেন কথায় আয়াত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। আজ নির্ঘাত লোকটার মাথার তার কেটে গেছে। নয়তো আজ এরকম ব্যবহার করছে কেন? আয়াত নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলো। শ্রাবণ একহাতে আয়াতের কোমড় জড়িয়ে রেখে অন্যহাত দিয়ে আলমারি থেকে একটা প্যাকেট বের করে আয়াতের হাতে দিয়ে বললো,
–“দ্রুত রেডি হয়ে নাও।”
আয়াত জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
–“কি আছে এতে?”
–“শাড়ি।”
–“কিন্তু কোথায় যাবো আমরা?”
–“সেটা গেলেই দেখতে পাবে, বিশ মিনিট সময় দিলাম এর মাঝেই রেডি হয়ে নিবে।”
–“আপনি আমাকে ছাড়লে তো আমি রেডি হতে যাবো।”
শ্রাবণ ছেড়ে দিলো আয়াতকে। আয়াত প্যাকেট হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। শ্রাবণ হাসলো ক্ষানিকটা। আজকাল মেয়েটাকে চোখে হারায় ও। ওর আশেপাশে থাকতে ভালো লাগে। আয়াতের মন খারাপ থাকলে যেন শ্রাবণের চারিপাশ অন্ধকারে ছেয়ে যায়৷ আয়াতকে ভালো লাগে ওর ভীষণ রকমের ভালো লাগে। ভালোবাসে কিনা এর উত্তরও খুঁজে পেয়েছে ও। সেই উত্তরটা জানানোরই এত তোরজোর চলছে। শ্রাবণ মৃদু হেসে নিজে রেডি হতে লাগলো।
আয়াত শাড়ি হাতে নিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। গোলাপি রঙের টিস্যু শাড়ি। যে শাড়িটা আয়াতের ভীষণ পছন্দের ছিলো। কিন্তু শ্রাবণ পুড়িয়ে ফেলে শাড়িটা। সেইম আরেকটা শাড়ি এখন আয়াতের হাতে৷ একরাশ ভালো লাগা এসে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে আয়াতের মনে। ও কখনো ভাবেনি শ্রাবণ সেইম আরেকটা শাড়ি ওকে এনে দিবে। শাড়িটা পড়ার সময় মনে হলো এইটা পড়লে পেট বোঝা যাবে। যার কারনে সেদিন শ্রাবণ শাড়ি পুড়িয়ে ফেলেছিলো। তাহলে আজ কেন এই শাড়িটা পড়ে রেডি হতে বললো? আবারো কি ওরকম কিছু করবে? এসব ভেবে ওয়াশরুমের দরজা খুললো আয়াত৷ শ্রাবণ ততক্ষণে কালো রঙের একটা শার্ট পড়ে ফেলেছে। আয়াতকে শাড়ি হাতে দেখে শ্রাবণ ভ্রু কুঁচকে বললো,
–“রেডি হওনি কেন এখনো?”
–“এই শাড়িটা পড়বো?”
শ্রাবণ ছোট ছোট চোখ করে বললো,
–“প্যাকেটে যেহেতু এই শাড়িটা ছিলো তাহলে অবশ্যই এটা পড়বে।”
আয়াত সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
–“আর ইউ সিয়র? আবার পুড়িয়ে ফেলবেন না তো ওদিনের মতো?”
এতক্ষণে শ্রাবণ বুঝতে পারলো আয়াত বারবার এই কথা কেন বলছিলো। শ্রাবণ মৃদু হেসে বললো,
–“পড়ো সমস্যা নেই। আবার পুড়াবো না খুলবো সেটা পরের বিষয়।”
শ্রাবণের লাস্ট কথাটা বুঝতে আয়াতের ক্ষানিকটা সময় লাগলো। ভেংচি কেটে বললো,
–“অসভ্য লোক।”
শব্দ করে দরজা আটকে দিলো আয়াত। আয়াতের কথা আর মুখ এক্সপ্রেশন দেখে শ্রাবণ শব্দ করে হেসে দিলো৷ হাসি থামিয়ে বললো,
–“এই আয়ু? আমি কিন্তু এখনো অসভ্যতামির কিছু করিনি। তোমার অনুমতি পেলে করতে পারি।”
চলবে~