#মাশুল (পঞ্চম পর্ব)।
শিলা হৃদয়ে বড় একটা ঝড় তুলেই আমার সামনে এসে থামলো। এক পলক চোখাচোখি, মুহূর্তটাকে মনে হল যেন মহাকাল! দুজনই দুজনকে পড়ে নিলাম, বুঝে নিলাম কেউই ভালো নেই।
মৌনতা ভাঙ্গতেই আমার জিজ্ঞেস “কেমন আছো শিলা?”
এর পরপরই আবেগে দুজনের অশ্রুসিক্ত হওয়া, হঠাৎ করেই উৎসবের পরিবেশটাকে ভারী করে তুলে। ধাতস্হ হতেই দুজনের একসঙ্গে হাটতে হাটতে মুক্ত মঞ্চের নিরিবিলি একটা জায়গায় গিয়ে বসলাম। দুজনের বুকের মধ্যে জমে থাকা অনেক দিনের না বলা কথা নিয়ে।
শিলাকে দেখার পর থেকেই আবেগে থরথর করে কাঁপছি। উত্তেজনায় তাইতো মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কথাটা বলার জন্য আর সময় নিলাম না!
“শিলু, তোমাকে বিয়ে করতে চাই?”
ওর হাত ধরেই কাতর আমার এই অনুরোধটা কিভাবে যে করে ফেললাম বুঝিনি। দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করতে থাকলাম, ওর উত্তরের জন্য। পজিটিভ কিছু শুনবো এই আশা নিয়েই।
প্রচন্ড আশাহত হলাম, প্রত্যুত্তরে ওর অবাক চাহনীটাকে দেখে! শিলা সম্ভবত আমার কাছ থেকে এ ধরনের কথা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। দ্রুতই ওর হাতটা সরিয়ে নেয়।
ঘটনায় আকস্মিকতায় ভ্যাবাচেকা খেলাম। আশাহত এই আমি সাথে সাথে ভদ্রতাপূর্ন দুরত্বে চলে আসি, দুঃখিত ভঙ্গিতে। শিলার ভাবনায় যে আমি এখন আর নেই তা বুঝে গেলাম। অভিব্যক্তিটা স্পষ্ট, ভীষণ কষ্ট পেলাম।
“নেহাল, তোমাকে যে কি পরিমান ভালোবাসতাম তা তুমি না বুঝলেও বিয়ের পর আমার স্বামী কিন্তু ঠিকই বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তারপরও শিহাব ধৈর্য ধরে থাকলো, ওর জীবদ্দশায় একদিনের জন্যও তোমার আমার রিলেশন নিয়ে কোন রকম উচ্চবাচ্য করেনি!” মনে হল অনেকদিনের জমে থাকা কষ্টের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য শিলা এ দিনটার জন্যই অপেক্ষায় ছিল। অপরাধীর মতো মাথা নীচু করে কথাগুলো শুনে গেলাম।
“তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো, এ কথা কখনোই চিন্তা করিনি! তাইতো শিহাবের সাথে বিয়ে ভন্ডুল করার জন্য কি পরিমান পাগলামিটাই না করেছিলাম। তা চিন্তাও করতে পারবে না, নেহাল।
বাড়িতে বিয়ের তোরজোর চলছে, এদিকে তোমার ফোন বন্ধ। অন্যদের মারফতও কোনভাবেই তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমি শিলা সম্পূর্ণ একা একজন। কি পরিমান অসহায় পরিস্হিতিতে যে ছিলাম, তা বলে বোঝানো যাবে না।” শিলার অনেকদিনের জমে থাকা তীব্র ক্ষোভটাকে বেশ ভালোভাবেই অনুভব করলাম।
“জানো নেহাল, বাসা থেকে পালানোর চেষ্টাও করেছিলাম। অবশ্য ব্যাগ সহ বাসার গেটে ভাইয়ার কাছে ধরা খেয়ে যাই! এরপর বাসা থেকে শত চেষ্টা করেও আর বের হতে পারিনি। তাইতো বাধ্য হয়ে তোমাকে খুলনায় আসতে বললাম, সামিনার মাধ্যমে। আমি জানি খবরটা তুমি পেয়েছিলে।
আসোনি! অনেক অপেক্ষা করলাম!! শেষ পযর্ন্তও তুমি আসোনি!!!
ঐদিন তোমার না আসার কারণটা জানার ইচ্ছা ছিল অনেকদিন। যদিও ঐ ইচ্ছার মৃত্যু হয়েছে অনেক দিন হতে চললো। আমার বিশ্বাস ঐ সময় তুমি আমাদের বাসায় চলে এলে, আমার পরিবার সম্পর্কটাকে মেনে নিতে বাধ্য হত!” মৃদু হেসে বলা এ কথাটা যে শিলা বেশ মজাচ্ছলে কোনরকম দুঃখবোধ ছাড়াই বলল, বুঝে নিলাম।
শিলার কথায় হঠাৎ করেই আজ আমার মধ্যে প্রায় ভুলে যাওয়া পুরনো অপরাধবোধটা ফিরে এল, তীব্রভাবেই।
“তোমাকে বিয়ে করার জন্যই হোক বা শিহাবের সাথে বিয়ে ভন্ডুল করা। কারণ যেটাই হোক, আমার শেষ অস্ত্রটাকেও ব্যবহার করলাম, দ্বিধাহীনভাবে।” ছেলেমানুষী অভিব্যাক্তি এখন শিলার চোখে মুখে স্পষ্ট।
“বিয়ের ঠিক দুইদিন আগে হবু বর শিহাবকে ফোন করলাম। ওর সাথে দেখা করার অনুরোধ নিয়ে। জরুরী কিছু কথা বলতে চাই। বাসায় তখন রেড এলার্ট, আমি কড়া নজরদারিতে আছি।” শিলা এবার হেসেই দিল, সম্ভবত সিরিয়াস হয়ে উঠা এ পরিবেশটাকে একটু হালকা করতেই।
“শিহাব কথা বলার সুযোগ তৈরীতে ইনিশিয়েট নিল। আমার বাবার সাথে নেগোশিয়েট করে ওর ছোটবোন কেয়াকে আমাদের বাসায় পাঠায়। বিয়ের শাড়ি আমার পছন্দে কেনা হবে, এ উদ্দেশ্য দেখিয়ে। এরপর হন্তদন্ত হয়ে নিউমার্কেটে গিয়ে একান্তে ওর সাথে কথাও বললাম।” শিলার মুখে চিরচেনা সেই স্মিত হাসিটা দেখে শোনার আগ্রহ এখন তুঙ্গে।
“জানো নেহাল, শিহাবকে কিন্তু বেশিক্ষণ কিছু বলতে হয়নি। অবাক হলাম, তোমার আমার সম্পর্কের কথাটা ও খুব ভালো করে জানে। সব জেনেশুনে কেনই বা আমাকে বিয়ে করতে আগ্রহী, জানতেও চাইলাম। উত্তরটা শুনে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম।” শিলা এবার একটু থামলো, সম্ভবত স্মৃতিগুলো ভালোভাবে হাতড়িয়ে নিতেই।
“শিহাবদের বাসা আমাদের টুটপাড়াতেই, তবে একদম পাশাপাশি নয়। সেদিনই প্রথম জানলাম, ছেলেটা আমাকে অনেকদিন ধরে পছন্দ করে, কৈশোর থেকে! আমার দুবছরের বড় শিহাব ভাইয়ার সেন্ট যোসেফ স্কুলের ক্লাসমেট। এক সাথে ওরা খেলাধুলা করতো। আমাদের বাসায়ও ও এসেছে অনেকবার, যদিও এগুলো আমার কিছুই মনে নেই।” শিলার চোখমুখে একটা খুশির দীপ্তি, সম্ভবত ওর স্বামীর গল্পটা শুরু হতেই।
“শিহাব বরাবর লাজুক প্রকৃতির, ওর পছন্দের কথা ওর মনেই রেখে দিয়েছে, বলার সাহস পায়নি। তবে দূর থেকে নাকি আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে যেতো!” প্রথমবারের মতো আজ শিলার পরিচিত সেই প্রানখোলা হাসিটা দেখলাম, আপ্লুত হলাম।
“শিহাবকে অবশ্য দোষ দিয়ে লাভ নেই, ওর সাথে আমার দেখা হওয়ার সুযোগ একপ্রকার ছিল না বললেই চলে। ওর এইচএসসি ঢাকার নটরডেম কলেজে। এরপর থেকে খুলনার সাথে ওর যোগাযোগ অনিয়মিত। আমি শুনে অবাক হলাম, বুয়েটে চান্স পাওয়ার পরও ও নাকি আর্মিতে জয়েন করলো, শুধুমাত্র আমাকে পাওয়ার জন্যই!” শিলার কথা শুনে অবিশ্বাসের চাহনী দিলাম।
“আমিও প্রথমে কথাটা বিশ্বাস করতে চাইনি, তবে বিষয়টা আসলেই সত্যি। আর্মিতে নাকি দ্রুত ক্যারিয়ার প্রগেস! বিয়েটাও আগে ভাগে করা যায়! এই ভাবনা থেকেই ওর ফৌজি হওয়া!” ওর স্বামী যে ওকে কতোটা ভালোবাসা দিয়ে গেছে, শিলার বর্ণনাতেই টের পেলাম।
“বেচারা লং কোর্স শেষ করে সিলেট ক্যান্টনমেন্টে পোস্টেড। আমি ততোদিনে জাহাঙ্গীরনগর, আমার পৃথিবীটা শুধু তুমিময়। তারপরও শিহাব আমার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখতো।
তোমার আমার সম্পর্কের কথাটা জেনেছিল সম্ভবত আমাদের ডিপার্টমেন্টের আরিফ ভাইয়ের কাছ থেকে। ওর সেন্ট যোসেফের ক্লাসমেট।” গল্প বলার এই পর্যায়ে এসে শিলাকে বেশ স্বাভাবিক বলেই মনে হল, সেই সাথে আনন্দেও। সম্ভবত হঠাৎ করে শিহাবের স্মৃতিচারণের সুযোগ পাওয়াটাতেই। এরপর শিলা নিজে থেকেই আমাকে কফির অফার দেয়, ক্যাফেটেরিয়াতে নাকি ভালো কফি পাওয়া যায়।
রিইউনিয়নের এই অনুষ্ঠানটায় আমি আর শিলা যেন সিনেমার প্রধান দুটো ক্যারেক্টার। সবার মধ্যেই চাঁপা চাঞ্চল্য, আজ কিছু হতে চলেছে এই টাইপের আর কি!
শিলার সাথে তখনো আমার অনেক না বলা কথা, তাইতো অন্যদের সাথে গল্প করার আগ্রহ পেলাম না। কফি নিয়ে হাটতে হাটতে টিএসসির বারান্দায় পরিচিত স্পটটায় বসলাম, শুরু হওয়া সেই গল্পটাকে চালিয়ে নিতেই।
“শিহাব তখন যশোর ক্যান্টনমেন্টে ক্যাপ্টেন পদে কর্মরত, পারিবারিক ভাবেই আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। ছেলেটা মনেপ্রানে বিশ্বাস করতো, আমার বিয়ে ওর সাথেই হবে। অন্ধ বিশ্বাসে থাকা আর কি! আসলেই ও কিন্তু আমার জন্য বদ্ধ পাগল ছিল, এটা বিয়ের পরও আমি বুঝেছি।” কথাটা বলেই শিলার আবারো চিরচেনা সেই প্রানখোলা হাসি! মুগ্ধতা নিয়েই ওর ভুবন মোহনী হাসিটাকে দেখতে লাগলাম।
“আমি অবশ্য শিহাবকে কখনো দোষ দেইনি। আমার বাবাই উঠে পড়ে লেগেছিল, তোমার সাথে সম্পর্কটাকে শেষ করে দিতে। শিহাবের আগ্রহ বাবাকে একটা সুযোগ করে দিয়েছিল, এই আর কি!
বিয়ের পর শিহাব অনেকবারই বলেছে, পারিবারিকভাবে ওর দেওয়া প্রস্তাবটাকে না করে দিলে, ও আর এগুতো না। আমাদের পরিবারের অতি আগ্রহে ওর ধারণা হল আমারও এই বিয়েতে মত আছে।” কথাগুলো বলার সময় শিলাকে এবার কেন জানি একটু বিষন্ন বলেই মনে হল।
“নিউ মার্কেটের ঐ একান্ত কথোপকথনে, বিয়েতে আমার মত নেই কথাটা শুনে শিহাব খুব কষ্ট পেল। ওর অশ্রুসজল চোখ দুটো কিন্তু আমার এড়ায়নি। শিহাব শেষবারের মতো ওকে নিয়ে চিন্তা করার কাতর অনুরোধটাও জানালো। রাতের মধ্যেই আমার চুড়ান্ত সিদ্ধান্তটা জানানোর জন্য রিকোয়েস্ট করে। শেষ পযর্ন্তও যদি রাজি না থাকি, পরদিন ও বিয়ে ভেঙ্গে দিবে, নিজে থেকেই। আমাকে বলা ঐ কথাগুলো এখনো মনে পড়লে, জামাইয়ের জন্য অনেক কষ্ট হয়।” কেমন একটা সিনেমাটিক পরিস্হিতি তৈরী করেছিলাম চিন্তা করে দেখ নিলু, এখন ভাবলেই কিন্তু হাসি পায়। কথাগুলো বলেই শিলা সত্যিই জোরে হাসতে শুরু করে দিল।
“সিনেমার নায়ক নেহাল কিন্তু তখন ফোন চোখ কান মন সবকিছু বন্ধ করেই লাপাত্তা!” বলেই শিলার উচ্চস্বরে আবারো হাসি। আমাকে উদ্দেশ্য করে করা ওর টিজটাতে এবারষবেশ কষ্টই পেলাম। যদিও প্রতিবাদ করার মতো ভাষাটা আমার কাছে নেই, নীরব শ্রোতা হয়েই থাকতে হল।
“নিউমার্কেটের ঐ কথোপকথন শেষে নেহালের বোন আমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে গেল। সিনেমাটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে বিয়ের শাড়িটাও পছন্দ করে এলাম। শিহাব কিন্তু শাড়িটা কিনেও ফেলে, মলিন মুখে।” শিলা কথাগুলো একটানা বলে এবার আমার দিকে তাকিয়ে কনফার্ম হতে চাইলো, গল্পটাতে আমার মনোযোগ আছে কিনা।
“বিশ্বাস কর নেহাল, ঐ দিনের বিকাল থেকে মাঝ রাত অবধি আমি তোমার সাথে কথা বলার জন্য আপ্রান চেষ্টা করলাম। শুধুমাত্র একটিবারের জন্য। তোমার ফোন বন্ধ, ক্যাম্পাসের অন্য বন্ধুরাও তোমার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারল না। সবকিছু মিলিয়ে হঠাৎ করেই তুমি আমার এতোদিনে তৈরী হওয়া বিশ্বাসটাকে হারালে। তোমার আর আমার সম্পর্কটাকে মিছে বলেই মনে হল।” কথাটা বলেই শিলা আড়চোখে আমার অপরাধী মুখটাকে পরখ করে নেয়, আমি মাথা নীচু করেই।
“আচ্ছা থাক না আজ এসব কথাবার্তা। অন্য কোন একদিন না হয় বাকি গল্পটা বলবো। তার চেয়ে বরঞ্চ চলো বন্ধুদের সাথে মজা করি। কতোদিন পর সবার সাথে দেখা হল। সামিনা ওর তিন মাসের পিচ্চিটাকে নিয়ে এসেছে। চলো ওদের সাথে গিয়ে কিছু ছবি তুলি।” শিলাকে এখন বেশ উচ্ছ্বসিত বলে মনে হল, হয়তো বুকে জমানো কষ্ট শেয়ার করেছে বলে।
কিন্তু আমার মন তখন আর রিইউনিয়নের অনুষ্ঠানে নেই। বাকি গল্পটা শোনার প্রবল তেষ্টায়। বিনয়ের সাথেই শিলাকে অনুরোধ করলাম গল্পটাকে যেন এখুনি শেষ করে ফেলে। অন্ততপক্ষে সংক্ষেপে হলেও। ততোক্ষণে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরন শুরু হয়ে গেছে, শিলাকে ফিরিয়ে দেওয়ার সেই তীব্র অপরাধবোধ থেকেই।
“জানো নেহাল, বারবারই পরিবারের কথা মনে হলো। বিয়েটা এ মুহূর্তে ভেঙ্গে দিলে সামাজিকভাবে আমাদেরকে প্রচন্ড হেয় হতে হবে। আমাকেও সম্ভবত এই পরিবার ছাড়তে হবে চিরদিনের জন্যই। শিহাবের আমাকে বিয়ে করার প্রচন্ড আগ্রহের প্রচ্ছন্ন প্রভাবটা হয়তো ছিল! তবে এসব কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়, তুমিই সবচাইতে বড় কারণ, শেষ পযর্ন্ত শিহাবকে বিয়ে করে ফেলাটাতে।
আমার জীবনের সবচাইতে কঠিন সময়টাতে তোমাকে পাশে পাইনি। তাইতো তোমার উপর আর আস্হা রাখতে পারলাম না। বিয়েটা ভেঙ্গে দিলেও যে তুমি আমাকে ভবিষ্যতে বিয়ে করবে, এই নিশ্চয়তা নিজের মধ্যে পাইনি। তাইতো কিছুটা দ্বিধা আর প্রচন্ড কষ্ট থাকলেও শেষ পযর্ন্ত বিয়েতে আর অমত দেইনি। কিছু বুঝে উঠার আগে বিয়েটাও হয়ে গেল।” শিলার বলা শেস কথাটা আমাকে আজ প্রচন্ডভাবে ছুঁয়ে গেল, নিজেকে কোনভাবেই ধরে রাখতে পারলাম না। শত চেষ্টার পরও! অঝোরে কাঁদতে লাগলাম। নিজের অজান্তেই আমার একটা হাত তখন শিলার হাতে, নিঃশব্দে ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টায়। সত্যই আমি যে ভীষণ অপরাধী।
চলবে।