#দেওয়া_নেওয়া_সানাই
পর্ব:18
#লেখিকা_নুসরাত_শেখ
ইফরাজ শোন না।(ঐশানী ইফরাজ এর হাত ধরেই)
হুম বলো সোনাপাখি।(ইফরাজ ঐশানীর দিকে তাকিয়েই)
আর তিনদিন পরতো হুযাইফার বার্থডে।ছোট্ট করে একটু অনুষ্ঠান করলে কেমন হয়?(ঐশানী)
তোমার এই সময় এত্ত চাপ নিতে চাইনা।একটা কেক নিয়ে আসব আর রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু কিনে আনব তাহলেই হবে।(ইফরাজ)
কি অবস্থা?এমন করো কেন?ওর প্রথম বার্থডে একটু করব তাও মানা করে দিলা।(ঐশানী)
বেশি কথা বলোনা যাও রেস্ট নাও।(ইফরাজ)
দিনদিন খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছ আমাদের আর ভালোবাসোনা আগের মতো।(ঐশানী)
হুম ভালো।আর কিছু?(ইফরাজ)
দূর ভালো লাগেনা।
বলেই পাশের রুমে চলে আসলাম।আমার মেয়ের প্রথম বার্থডে নাকি আমি প্রেগনেন্ট বলে করবেনা।এইটা কেমন কথা?ভবিষ্যত এ যখন আমার হুযাইফা টা বড় হবে আর শুনবে ওর ছোট্ট ভাই/বোন এর কারণে ওর জন্মদিন করে নাই ওর কি খারাপ লাগবেনা।ইফরাজ টা কয়েকদিন ধরে কি যে শুরু করেছে?সারাদিন বাইরে থাকে জদিও শোরুম এর জন্য। তাও বাসায় আসলেও ঐ রুমে বসে কি জানি করে আল্লাহ আর ওই জানে।(ঐশানী)
আমি যা যা বলেছি তার এদিক ওদিক হলে তোমাদের খবর আছে।হ্যা বুঝলাম তাও আমার সব কিছু পারফেক্ট চাই।আচ্ছা রাখছি পড়ে কথা হবে।আর কালকে ভেনু তে আমি আসব ঠিক আছে।আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ।(ইফরাজ)
_________
জেবা দেখ যা হয়েছে তার জন্য আম্মু একটু নাহয় তোর সাথে রাগ করেছে।তাই বলে তুই সাড়ে তিন বছর এভাবে দূরে থাকবি?আর তুইতো জানিস আম্মু তোকে কত্তটা ভালোবাসে।প্লিজ তোর ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চল।(নাজমুল হাসান)
নাজমুল ভাই দেখো মামির রাগ টা স্বাভাবিক এই।ও নিয়ে আমি ভাবছিনা।তবে আমি আমার ছেলে নিয়ে তোমাদের বাড়ি গেলে আজ নাহয় কাল সমাজের কথা শুনতে হবে তোমাদের এই।সব কিছু ভেবেই আমি চাইনা তোমাদের আবার সমস্যায় ফেলতে।আর কিছুদিন পর নিতুর বিয়েতে আমি অবশ্যই যাবো তুমি চিন্তা করোনা।(জেবা)
বড্ড বড় হয়ে গেছেন দেখছি?আমার কথা অমান্য করতে ও শিখে গেছেন।ভালো এই হলো এমনেও কোন জন্মে আমিতো আপনার কিছু ছিলামনা।অশিক্ষিত মানুষ এর আবার সবার থেকে দাম পাওয়া ঐ চাঁদ পাওয়ার সমান।(নাজমুল মাথা নিচু করে)
নাজমুল ভাই প্লিজ অমন করে বলোনা।আমাদের তিন ভাই-বোন কে পড়াতেই তো তুমি পড়ালেখা ছেড়ে দিলে ক্লাস নাইন এই।তোমাকে আমি কোনদিন অসম্মান করিনাই।তবে আমি তোমাকে দাম দেইনা এটা একেবারে ভুল কথা।আমার বাবার আর মামুর মৃত্যুর পর তুমি এই ছিলে আমাকে সামলানোর জন্য।আচ্ছা রাগ করে আছো আমার উপর তাইতো?তাই আমাকে আপনি করে কথা বলছো?(জেবা নাজমুল এর হাত ধরেই)
দেখ জেবু তোকে আমি বোনের চোখে কোনদিন দেখিনি আর এটা সত্যি।আম্মু চাইছিল তোকে তার ঘরের বউ করবে।তার বড় ছেলের বউ। আর এটা তুই জেনেছিস নিশ্চিত কোন না কোন দিন।তুই এটা ও জানিস তোকে এই পৃথিবীর কেউ গ্রহন না করলেও এই নাজমুল হাসান কোনদিন ছেড়ে দিবেনা।তোর হঠাৎই না বলে বিয়ের কারণে আমার প্রচন্ড রাগ জমে তোর প্রতি।আর আম্মুর ও।তাই কোন খোঁজ নেইনি।তবে এখন যখন আমি জানি তোর ডিভোর্স হয়েছে আমি তোকে এখানে রাখতে পারবোনা।তোর ছেলের দ্বায়িত্ব আমার।আর তোর দ্বায়িত্ব তুই চাইলে আমি নিতে পারি।(নাজমুল জেবার হাত ধরেই)
পাগল হলে নাজমুল ভাই। তোমার এত্ত সুন্দর ভবিষ্যত পড়ে আছে।তা আমি নষ্ট করবনা কোনদিনো।তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করে নিও।(জেবা হাত ছাড়িয়ে)
আমার কথা না ভাবলেও চলবে।চল রেডি হয়েনে বের হতে হবে।এমনেও বিয়ের জন্য দৌড়ের উপর আছি।(নাজমুল)
আমি হলুদ এর দিন এই যাবো নাজমুল ভাই। এখন রান্না করব দুপুরে খেয়ে তারপর যাবে।(জেবা)
জেবু আবার আমার কথার উপর কথা বললি তুই?(নাজমুল চিৎকার করে)
আমার চাকরি করতে হয় নাজমুল ভাই।ঐ বাড়ির থেকে অনেক দূর হয়ে যায়।(জেবা)
জেবু আমরা নতুন ফ্লাট কিনেছি বনানীর ঐদিকে।আর আমার জানা মতে তোর অফিস ও বনানীতে।তাইনা?(নাজমুল)
কবে কিনলে?(জেবা)
দেড় বছরের এর বেশি সময়।আচ্ছা এখন রেডি হো।রান্না করার কোন দরকার নেই।আম্মু তোর পছন্দের সব রান্না করছে।(নাজমুল)
নাজমুল ভাই প্লিজ।সবাই কি বলবে?স্বামী ছাড়া কেন তোমাদের বাড়ি পড়ে আছি,বাচ্চার বাবার কথা আরও কত্ত কি?আমি চাইনা তোমরা আমার জন্য সমস্যার সম্মুখীন হোও।(জেবা)
এখন একটা থাপ্পড় মেরে তোর এই ফালতু ফাজলামির উত্তর দিতে পারি আমি।কিন্ত করতে পারবনা।তুই সেই অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছিস।তুই নিজের থেকে বেগ গুছাবি নাকি আমি যাবো তোর বেগ গুছাতে।(নাজমুল চিৎকার করে)
তুমি প্রচন্ড ঘাড় ত্যারা হয়ে গেছো।আগে তো এমন ছিলেনা।এমন কেন হলে?(জেবা)
রেডি হ।আর তোর ছেলের নাম কিরে?(নাজমুল)
ফারাবি।(জেবা)
পুরো ওর আব্বুর মতো দেখতে হয়েছে তাইনা?(ফারাবির দিকে তাকিয়েই নাজমুল)
হুম। আচ্ছা শোননা।যাব ঠিক আছে তবে এখন একটু কফি বানাই প্রথম আমার বাসায় আসছ।খালি মুখে যেতে দিতেতো পারিনা।(জেবা)
আচ্ছা শুধু কফি বানা।পাকামি করে অন্ন কিছু দিবিনা।
(নাজমুল)
ওকে।(জেবা)
আমার মানিক কে কেড়ে নিয়ে এইভাবে ছুড়ে ফেলে দিলে মিস্টার ফারাজ।কত্ত অনুরোধ করেছিলাম ভুল করেছ ভুলে যাও বেপারটা।জেবুকে আমি এই ভাবেই মেনে নিবো।কিন্ত তুমি নিজের দোষ মুছতে ওকে বিয়ে করে ছুড়ে ফেলে কেন দিলে?আমার কুড়িয়ে পাওয়া মানিক টার যত্ন করেছি সেই ছোট্ট থেকে।আর সেই মানিক এর আজ একি হাল করে ছাড়ল ভালোবাসার নামে পাগলামিগুলো করে।কেন জেবু তুমি আমার হয়ে থাকতে পারলেনা?তোমাকে ভালোবেসে এই আমি নিস্ব হয়ে গেলাম আর তুমি সেইটা জানলেওনা।(নাজমুল মনে)
__________
সোনাপাখি এই সোনাপাখি?(ইফরাজ ঐশানীর মুখে হাত দিয়ে)
কি হলো?ঘুমাতে দাও না।(ঐশানী আড়মোড়া দিয়ে)
উঠো পড়ে ঘুমিও।(ইফরাজ)
কি সমস্যা?এভাবে ঘুম ভাঙ্গতে উঠে পড়ে লাগলা কেন?(ঐশানী উঠে বসে)
Happy birthday to my little princess mother।(ইফরাজ)
মজা করো।আজকে হুযাইফার বার্থডে আমার না।(ঐশানী ইফরাজ এর হাতে হালকা থাপ্পড় মেরে)
হুযাইফার মা হিসাবে আজকে তোমার ওতো বার্থডে সোনাপাখি।হুযাইফার জন্মের পর এইতো তুমি প্রথম মা হয়েছে।তাই দুইজন এর এই আজকে জন্মদিন।এখন জলদি উঠো আমাদের প্রিন্সেস অপেক্ষা করছে কেক কাটার জন্য। (ইফরাজ)
ও কোথায়?(ঐশানী)
মামমাম দের রুমে।এখন জলদি করে উঠে পড়ো।
বলেই ওর হাত ধরেই ওয়াশরুম নিয়ে মুখ ধুইয়ে দিলাম।তারপর ওকে নিয়ে বাইরে এসে লিফটে উঠলাম নিচের তালায় যাওয়ার জন্য।মামমাম দের রুমে এসেতো ও সারপ্রাইজ হয়ে গেছে।কারণ আব্বু মামমাম এর সাথে আব্বু আম্মু,দাদা-দিদা ও আছে।(ইফরাজ)
তোমরা কখন আসলে?(ঐশানী অবাক চোখে)
সন্ধ্যার সময় এই ইফরাজ গিয়ে নিয়ে আসল।তোকে সারপ্রাইজ দিবে বলে।কেমন আছিস মা?(আব্বু)
ভালো।
তারপর সবার সাথে কথা বলে হুযাইফাকে ইফরাজ কোলে নিয়ে আমার হাত ধরেই কেক কাটল।পিংক ডল কেক।এত্ত সুন্দর ও মজার কেকটা কি বলব।তারপর সবাইকে কেক খাইয়ে আমরা সাড়ে বারোটার দিকে উপরে চলে আসলাম।দাদা-দিদা এই ফ্লাট এই থাকবে।আব্বু আম্মু উপরে আমাদের সাথে।হুযাইফা ইফরাজ এর কোলেই ঘুম।ওকে নিয়ে গেছে আম্মু।নাতনিকে নিয়ে ঘুমানোর শখ জেগেছে তাদের।আমি ইফরাজ এর সাথে রুমে চলে আসলাম।আর অনেক গুলো ধন্যবাদ দিলাম।(ঐশানী)
শুধু ধন্যবাদ দিয়া কি করব বউ?একটু আদর করো।(ইফরাজ)
অসভ্য পুরুষ আবার তোমার শুরু হলো?(ঐশানী)
চুপ।অনেকদিন মন ভরে আদর করিনা।আজকে আমি আদর করেই তবে ছাড়ব।
বলেই ওকে আমার কোলে বসিয়ে কিস করে দিলাম।বেশ কিছুক্ষন ছোট ছোট আদর করে ওকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।কারণ সকালে আরো অনেক সারপ্রাইজ এর বাকি আছে।(ইফরাজ)
__________
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ঐশানীকে ফ্রেস করিয়ে ব্রেকফাস্ট করিয়ে আমি বের হলাম ভেনু চেক করতে।আমাদের হুযাইফার বার্থডে বলে কথা।আমার আর ঐশানীর ফেমেলির সবাইকে ইনভাইট করেছি ওকে লুকিয়ে।ঐশানীকে সারপ্রাইজ দিব বলেই ওকে না বলে বার্থডে প্লান করা।সারাদিন এখানেই থেকে খাবার ও অন্যান্য সব ঠিক রেখে চললাম বিকাল পাঁচটার দিকে বাসায়।যেতেই ঐশানীর রাগের সম্মুখীন হলাম ।সারাদিন কল ধরার ও টাইম পাইনি এতেই সোনাপাখির এই রাগ।
সোনাপাখি।(ইফরাজ ঐশানীর কানে ফিসফিস করে)
সরো কথা বলবানা।সারাদিন পর আসছে আদর লাগাইতে।লাগে না আমার এই পচা জামাই আর পচা আদর।(ঐশানী কান্না করবে এমন ভাব)
চলো সোনাপাখি রেডি করিয়ে দেই তোমাকে।(ইফরাজ ঐশানীর হাত ধরেই)
কেনো?(ঐশানী অবাক হয়ে)
ওমা মেয়ের জন্মদিন মা ছাড়া কেমনে হবে।(ইফরাজ)
বাসায় জন্মদিন করবা আবার রেডি হতে হবে কেন?(ঐশানী)
হুশ।আমি রেডি করাতে হেল্প করি চলো।
বলেই ওকে আর কিছু বলতে না দিয়ে গেট লক করে একটা গাউন পড়িয়ে দিলাম।প্রিন্সেস এর মামমাম কে পুরো বিউটি কুইন লাগছে।হালকা বেবি পিংক কালার ডল গাউন ওর আর হুযাইফার জন্য তৈরি করিয়েছি।আর আমার জন্য হালকা বেবি পিংক শার্ট আর এস কালার সুট সাথে ব্লাক সু।সবাই রেডি হয়ে গেছে।ওকে অনেক বলে বলে মেকাপ করিয়েছি।তারপর রাত আটটার দিকে আমরা সবাই ভেনুতে পৌঁছে গেলাম। আমার সোনাপাখি বউ পছন্দ হয়েছে?(ইফরাজ ঐশানীর হাত ধরেই)
এত্ত সব কখন করলে?(ঐশানী অবাক হয়ে)
এই গতো পনের দিন হলো প্লান করছি।সারাদিন এইসব নিয়েই দৌড়ের উপর ছিলাম তাই কল ধরিনাই।তার জন্য সরি।(ইফরাজ)
আগে বললেই হতো।ঢং এর কাথা বালিশ।(ঐশানী)
সারপ্রাইজ তো হতো না বউ টা তাইনা।এখন বলো পছন্দ হয়েছে কিনা?(ইফরাজ)
অনেক বেশিই পছন্দ হয়েছে।(ঐশানী ইফরাজ এর হাত জড়িয়ে মুচকি হেসেই)
যাক বাবা আমি ও তাহলে খুশি হতে পারলাম।মেয়ের বার্থডে আর মেয়ের মাকে না বলে এসব করছিলাম আবার ভয় ও লাগছিল তোমার পছন্দ হবে কিনা এসব ভেবেই।মেয়েতো ছোট্ট ওকে সারপ্রাইজ না দিয়ে মেয়ের মাকে দিলাম ভালো করেছিনা?(ইফরাজ)
হুম একেবারে ভালো করেছ অসভ্য পুরুষ। (ঐশানী)
এখানে অসভ্যামির কি করলাম বউ?কিন্ত খুব করে তোমার লিপস্টিক ঘেটে দিতে মন চাচ্ছে।দিবো?(ইফরাজ চোখ টিপ দিয়ে)
খবরদার অসভ্য পুরুষ। (ঐশানী ইফরাজ এর মুখে হাত দিয়ে)
আচ্ছা এখন চলো সবাই আছে এখানে।আদর গুলো রাতের জন্য জমিয়ে রাখলাম।(ইফরাজ মুচকি হেসে)
সারাদিন আদর ছাড়া কোন কথা নাই তোমার?(ঐশানী)
এটা আমার ব্যক্তিগত সম্পদ।এ ছাড়া কথা বললে এটা হাত ছাড়া হয়ে যাবে।তাই সর্বদা সব সময়ই বউ কে আদরে আদরে রাখা আমার একান্ত দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য।এখন চলো নাহলে তোমাকে দেখে ভেতর থেকে আদর উতলে পরতে চাইছে।(ইফরাজ ঐশানীর হাত ধরেই)
চলো।(ঐশানী)
তারপর সবার সাথে মিলে বার্থডে পার্টি ইনজয় করে খাবার এর পর সব ঠিকঠাক করে আমরা বাড়ি ফিরে আসলাম।হুযাইফা সোনা গাড়িতেই ঘুম।বাড়ি ফিরে সবাই ফ্রেস হয়ে যে যার রুমে ঘুমাতে চলে গেল।ইফরাজ ভেনুর সব ঠিকঠাক করে একটু আগে আসল।আমরা আগেই চলে আসছিলাম।ও এসে ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্রেস হতে গেল।ফ্রেস হয়ে এসেই বেডের উপর বসল।আমি গিয়ে ওর কোলে বসে টাওয়াল দিয়ে ওর চুল মুছে দিচ্ছি। ও মিষ্টি হেসে আমার দিকে তাকিয়েই আছে।
কি মহাশয় এভাবে কি দেখো?(ঐশানী)
তুমি দিনদিন যে কেকের ক্রিম হয়ে যাচ্ছো আর তোমাকে যে আমার দিনদিন চেটেপুটে খাওয়ার ইচ্ছে জাগছে এখন বলো আমি কি করব?(ইফরাজ ঐশানীর ঠোঁটে হাত রেখেই)
অসভ্য মার্কা কথাবার্তা না বললে পেটের ভাত হজম হয়না তোমার?(ঐশানী রাগ কর)
আজকে ভাত খাইনি তো চাইনিজ খেয়েছি।(ইফরাজ)
উফফফ অসহ্যকর লোক সরো।তোমার সাথে কথা বললে মাথা ঘুরায়।(ঐশানী)
মাথা ঘুরায় বেবি হওয়ার লক্ষন এতে আমার দোষ দেও কেন?(ইফরাজ)
দূর সরো ঘুমাই।
এরপর কি ইফরাজ আর থামবার নয়।তার ছোট্ট ছোট্ট আদর গুলো আদায় করে তারপর এই ঘুমিয়েছে।এই লোকের পাগলামি কবে যে শেষ হবে আল্লাহ ভালো যানে।(ঐশানী)
***********(চলবে)**********