#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস
#পর্ব_১২
#মোহনা_হক
সব সময় কিভাবে রুয়াতের সাথে সম্পর্কিত সব কিছুতে আয়াজ চলে আসে। এটাই ভাবতে পারছে না সে। আগে তো এমন কখনো হয়নি যখন থেকে তার জীবনের সাথে আয়াজ নামটা জড়িয়েছে তখন থেকেই এমন হয়ে যাচ্ছে। একবার নিমির বলা কথাটা কে মিথ্যে মনে করেছে। একটু শিওর হওয়ার জন্য নিমির উদ্দেশ্যে বলে-
-‘তুই কিভাবে জানিস?’
-‘কলেজে আসার পর শুনেছি। আজ আমাদের হেডস্যার যাবেন ওনাকে দাওয়াত দিতে। যদি ওনি দাওয়াত গ্রহণ করেন তাহলে তো ওনিই থাকবেন এবার প্রধান অতিথি হিসেবে। এ নিয়ে আমাদের কলেজের ছাত্রলীগের ছেলেরা খুব মাতামাতি করছে।’
ভ্রু কুচকে এলো রুয়াতের। ছাত্রলীগের ছেলেদের সাথে আয়াজের সম্পর্ক কি? আসবেন এমপি মাতামাতির করছে ছাত্রলীগের ছেলেরা? রাজনীতি বিষয়ক তার ধারণা খুবই কম। এইনা যে আয়াজের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে বলে এরকম একটা জিনিস কে ও মানিয়ে নিবে। কোনো কালেই এই রাজনীতি শব্দ বা এর অস্তিত্ব কিছুই পছন্দ ছিলো না রুয়াতের।
-‘ছাত্রলীগের ছেলেরা কেনো মাতামাতি করছে জানিস কিছু?’
রুয়াতের কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়ালো নিমি। তার এইসব বিষয়ে ধারণা খুব বেশিই যেহেতু তার মামাতো ভাই ও রাজনীতিতে জড়িত।
-‘আরে এরকম পলিটিক্যাল লোকজন আসবে তার সাথে ছাত্রলীগের ছেলেরা থাকবে না? এইযে ভোটের সময় তাদের সব কাজ ছাত্রলীগের ছেলেদের উপর থাকে। ওটা ওদের ব্যাপার আমাদের এসব নিয়ে না কথা বললেও হবে। কিন্তু তোর হবু বর যে এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসবে তোর অনুভূতি কেমন?’
নিমির কথায় ফিক করে হেসে দেয় রুয়াত। অনুভূতি জানতে চাচ্ছে? হাস্যকর না বিষয়টা?
-‘আমার আবার কিসের অনুভূতি পাগলী মেয়ে। সে আসবে তার কাজে। আমার কোনো রকম অনুভূতি নেই।’
নিমির মুখে অন্ধকার নেমে আসে। রুয়াতের থেকে ভালো কিছু শুনতে চেয়েছিলো কিন্তু এখানে তো
রুয়াত এক কথায় কথাটির সমাপ্তি করে দিলো। আর কথা বাড়ালো না নিমি। সে খুব ভালো করেই অবগত যে রুয়াত কিছুই বলবে না। অনেক বছর তো একসাথে চলেছে রুয়াত কে খুব ভালো করেই চেনা আছে তার। রুয়াত আর নিমি হাঁটতে লাগলো। নিমির ননস্টপ বকবক চলছে। এখন আর বিরক্ত লাগে না রুয়াতের। হয়তো এটাই তাদের শেষ যাএা। রুয়াত আর নিমির পথ এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে। কারণ ভবিষ্যতে কে কোথায় থাকবে কারও জানা নেই।
-‘নিমি তুই আমায় ভুলে যাবি না তো?’
অবাক করা চাহনি নিমির। তার জীবনের সেরা বান্ধুবী হচ্ছে রুয়াত। আর সেই রুয়াত কে ভুলে যাবে সে? অসম্ভব।
-‘কেনো এ কথা বলছিস?’
বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে গেলো রুয়াত। ভিতরে থাকা চাপা কষ্ট নিমিষেই শেষ করে দিলো।
-‘পরীক্ষার পর তুই কোথায় থাকবি আর আমি কোথায় থাকবো। জানা নেই। তাই কথাটা বলেছি।’
নিমি তার চকচকে দাঁত দেখিয়ে হেসে দিলো।
-‘চাইলেই তুই আমায় তোর বরের দু নাম্বার বউ বানিয়ে নিতে পারিস। আমি একটুও মাইন্ড করবো না।’
-‘দরকার নেই।’
নিমি কথাটা দুষ্টুমি করে বলেছে রুয়াত কে। তাই রুয়াত ও সেভাবেই উত্তর দিলো। দুজন এক সঙ্গে ক্লাস রুমে আসলো। নিমির কিছু নোট লিখা বাকি ছিলো। রুয়াতের থেকে লিখবে এখন। ক্লাসরুম বা কলেজ এসব জায়গায় নিমিই একমাত্র তার সাথী। একসাথে না বসতে পারলে তাদের শান্তি হয় না। নিমির পাশে বসে রুয়াত একটা আলাদা শান্তি অনুভব করে।
(*)
-‘আশরাফ পুরো একটা দিন হয়েছে তুমি আয়াজের প্ল্যান নিয়ে কোনো রকম ইনফরমেশন দাওনি। টাকা টা কি তোমায় পায়ের উপর পা তুলে খাওয়ার জন্য দিচ্ছি?’
কলের মধ্যেই গর্জে ওঠলো ইকরামুল। আশরাফ কি ধোকা বাজি করছে তার সাথে? কাল থেকে মোবাইল বন্ধ করে রেখেছিলো। এভাবে চলতে থাকলে ইকরামুলের সব কুকীর্তির কথা বাহিরের মানুষ জেনে যাবে। আয়াজের প্ল্যান মোতাবেক চললে ইকরামুল বর্তমান সে পর্যায়ে রয়েছে সেটাও ধুলোর সাথে মিশে যাবে।
আমতাআমতা করে আশরাফল বলে-
-‘স্যার বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমি কোনো কিছুর খবর নিতে পারিনি। আমার বউ অসুস্থ ছিলো স্যার।’
ইকরামুল যেনো তেঁতে ওঠে আশরাফের কথায়। এইদিকে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তার দোকান সব বন্ধের মুখে। আর আশরাফ বউ নিয়ে আছে।
-‘শুন আশরাফ তোর আয়াজ স্যার যদি আমার সবকিছু নষ্ট করে দেয় তাহলে তোর সাথে সাথে তোর বাচ্চা, বউকে ও আমি ছাড়বো না। মনে রাখিস কথাটা।’
কল কেটে দেয় ইকরামুল। তার জীবনের এই পরিনতি আসবে ভাবতে পারেনি। শুধুমাত্র বউ আর তার বাচ্চার জন্য বেঁচে আছে নাহলে কবেই মৃত্যুটা কে নিজ ইচ্ছায় বরণ করে নিতো। আয়াজ কে বলাও যাবে না কারণ সে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তার সাথে। সব বিপদে আয়াজ সম্পুর্ণ সাহায্য করেছে। কখনো ধমক দিয়েও কথা বলেনি। ইকরামুলের হয়ে কাজ করছে অল্প কয়েকদিন এর মাঝেই খুব বা’জে ব্যবহার দেখিয়ে ফেলেছে। আর এমন ভোগান্তির কারণ আশরাফ নিজেই। যেনো তার আশপাশ ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার থেকে। শরীরটা নিথর হয়ে গিয়েছে মনেহয়।
(*)
আয়াজের সামনে বসা পাইলট ইন্সটিটিউটের এর হেডস্যার। এ বছর বিদায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত দিতে এসেছে। আয়াজ ও হাসিমুখে দাওয়াত গ্রহণ করলো। কখনো স্কুল কলেজের কোনো অনুষ্ঠানে যায়নি। অনেক মানুষদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। বেশিরভাগ পলিটিক্যাল মিটিং বা সভায় যোগ দেয় সে। কিন্তু যেহেতু এই কলেজে রুয়াত পড়ে তাই আর মানা করতে পারেনি। আয়াজের পিছনে থাকা সাহেদ অবাক হয়ে আছে। কারণ আয়াজ কখনোই কোনো স্কুল কলেজের প্রোগ্রামে যায়নি। প্রত্যেকবার ফিরিয়ে দিয়েছে অনেককে। কিন্তু আজ এভাবে রাজি হয়ে যাবে তার কল্পনাতেও আসেনি। পাইলট ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক বেশ খুশি হয়েছেন যে আয়াজ তার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে। এমন একজন সুনামধন্য লোক তার কলেজে আসবে এ নিয়েই বেশ খুশি তিনি। আয়াজের সাথে কথা বলার পর স্থান ত্যাগ করেন তিনি। আয়াজ একটু আরাম আয়েশ করে মাথাটা তার চেয়ারে হেলিয়ে দেয়। হাতগুলো চুলে বুলিয়ে দেয়।
সাহেদ বেশ আগ্রহ নিয়ে বলে-
-‘স্যার আপনি তো কখনো স্কুল বা কলেজের প্রোগ্রামে যাননি। আজ হঠাৎ রাজি হয়ে গেলেন? আর স্যার ওইদিন একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে।
সাহেদের কথায় হাসি ফুটে ওঠে আয়াজের। যেখানে তার প্রেয়সী রয়েছে সেখানে এসব গুরুত্বপূর্ণ মিটিং নিতান্তই তুচ্ছ তার কাছে। প্রেয়সীর জন্য এসব হাজারটা মিটিং ক্যান্সেল করে দিতে রাজি।
-‘তোমার ম্যাডামের কলেজ। আর সেখান থেকে দাওয়াত এসেছে আমি একসেপ্ট করবো না বলো? তোমাদের ম্যাডামের কাছে যেখানে আমার জীবনটাই তুচ্ছ সেখানে আবার মিটিং। যাই হোক মিটিংয়ে টাইম পরিবর্তন করে দিও। আমি সময় জানিয়ে দিবো।’
মাথা নাড়ায় সাহেদ।
-‘স্যার আজ যাবেন ম্যাডামের কলেজে?’
একবার ঘড়ির দিকে তাকায়। এখনো ছুটি হতে বহুত সময়। আজ যেতে ইচ্ছে করছে না। আলসেমি লাগছে। কাল অনেক জ্বালিয়েছে রুয়াত কে। আজ একটু রেস্ট করুক সে। কিন্তু রুয়াতের সব খবর প্রতিনিয়ত নিচ্ছে।
-‘নাহ্। তুমি যাও বাহির থেকে কিছু খেয়ে এসো। মাঝেমধ্যে তো নাস্তা না করেই চলে আসো। আর আমার পিছনে সব সময় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা লাগবে না। তুমি আমার পাশে দাঁড়াবে পিছনে না।’
সাহেদ হেসে বেরিয়ে পড়ে কক্ষ থেকে। যথেষ্ট কেয়ার করে আয়াজ তাকে।
আয়াজ মোবাইল বের করে রুয়াত আর তার এনগেজমেন্টের ছবি দেখছে। আরহাম ছবিগুলো সুন্দর করে তুলেনি তাও এগুলোই দেখছে। সবগুলো ছবিতে রুয়াত মাথা নিচু করে রেখেছে। আয়াজ ছবিগুলো দেখছে আর হাসছে। প্রেয়সীকে দেখলেই অদ্ভুত এক শান্তি লাগে তার।
মায়া চৌধুরী কল দিয়েছে আয়াজ কে। এ সময়ে মায়ের কল আসাতে কিছুটা অবাক হয় সে। তার মা কখনো তাকে এই সময়ে কল দেয়নি। আর মায়া চৌধুরী খুব ভালো করেই জানে যে আয়াজ এই সময়ে অনেক ব্যস্ত থাকে। বেশ চিন্তাভাবনা করে কলটা রিসিভ করে সে।
-‘হ্যাঁ মা বলো।’
অপাশ থেকে মায়া চৌধুরী বলে উঠলো।
-‘বাবা এখন’ই বাসায় আসতে পারবি?’
মায়ের এরূপ কথায় চমকালো সে। কি কারণে হঠাৎ তার মা কল দিয়েছে বাসায় যাওয়ার জন্য?
-‘কেনো?’
-‘বিরাট সুখবর আছে। আমরা সবাই মজুমদার বাড়িতে যাচ্ছি। তুই ও আয়।’
সুখবর! তাও আবার বিরাট। খানিকটা সময় লাগলো বুঝতে। সবাই মজুমদার বাড়িতে যাচ্ছে? কিন্তু কেনো?
-‘কি সুখবর বলো। আমি এখন বাসায় যেতে পারবো না। আমার কাজ আছে।’
-‘আচ্ছা তাহলে আরহাম তোকে বলবে। আমার দেরি হচ্ছে আমি রাখছি।’
মায়া চৌধুরী কল কেটে দিয়েছে। সময় করে পরে আরহামের থেকে জেনে নিবে সে। এখন কোঁথাও যাওয়া যাবে না। কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসক আসবে এখানে। তাই সে রাজি হলো না মজুমদার বাড়িতে যেতে।
.
কলেজ থেকে এসে রুয়াত দেখে বাসায় বেশ জমকালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। চৌধুরী বাড়ি থেকে সবাই এসেছে। প্রায় একপ্রকার আশ্চর্য সে। হঠাৎ চৌধুরী বাড়ি থেকে সবাই এসেছে কিছুই বুঝলো না সে। জাফরি রুয়াত কে দেখেই দৌড়ে আসে। বাচ্চাটিকে কোলে নেয় সে। রুয়াত কে ঝাপট দিয়ে ধরে রেখেছে। ইনিমা আর জাফরি আসলে বাড়িটার যেনো প্রাণ ফিরে আসে। মায়া চৌধুরী আর ফজলুল চৌধুরীর সাথে রুয়াত দেখা করে আসে। জাফরি কে কোলে নিয়ে উপরে আসে সে। ইনিমা তার রুমে শুয়ে আছে। মুখটা শুকনো শুকনো লাগছে ইনিমার।
রুয়াত ইনিমার পাশে বসে। কারও উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খুলে। রুয়াত হেসে বলে-
-‘কেমন আছো আপু?’
-‘ভালো আছি। তুই কেমন আছিস?’
স্মিত হাসে রুয়াত।
-‘আমিও ভালো আছি। আমি আগে জানলাম না কেনো তোমরা আসবে?’
ইনিমা তার খোলা চুল খোঁপায় বাঁধে।
-‘তুই আবারও মিম্মিম হবি। ডাক্তার দেখিয়ে সোজা এখানে এসেছি। আসার পর মা বাবা জেনেছে।’
চোখ ঝলমলে উঠলো রুয়াতের। আবারও মিম্মিম হবে মানে জাফরির নতুন কোনো ভাই বা বোন আসতে চলেছে। আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে সে। ইনিমা কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। ইনিমা ও অনেক খুশি। আজ মজুমদার বাড়িতে উৎসবের মতো হয়ে ওঠেছে এই কারণে। বোনের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে সে ফ্রেশ হতে চলে যায়।
সন্ধ্যায় সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে। রুয়াত ও এসে বসেছে এখানে। আজ একটুও পড়তে মন চাচ্ছে না। শত চেষ্টা করার ও পর পড়ায় মন বসেনি। সন্ধ্যা হওয়ার আগ মুহূর্তে আরহাম আসে বাসায়। সে ও আড্ডায় শামিল হয়েছে৷ রুয়াতের ফুপি, ফুপাতো ভাই আদিব তুলি সবাই এখানে বসে আড্ডা দিচ্ছে৷ যেনো এক উৎসবমুখোর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফজলুল চৌধুরী আজও বেশ হাসাচ্ছে সবাইকে। এ মানুষটা থাকলে আর কিছু লাগবে না। রুয়াত চুপটি করে বসে সবার কথা শুনছে। মায়া চৌধুরী রুয়াতের হাত মুঠোয় পুড়ে বসেছে।
আয়াজ আরহামের কাছে কল দেয়। বিকেলে আয়াজ কে সুখবর দেয়। ভিডিও কল দিয়েছে। যাক এই সুযোগে আয়াজ কে একটু জ্বালাতে পারবে। কারণ সে আজ এখানে নেই। রুয়াত কে দেখিয়ে আয়াজ কে জ্বালাবে। কিন্তু সবার মাঝে কল ধরাও দুষ্কর। আস্তে করে উঠে রুয়াতের পাশে গিয়ে বসেছে। তখনই কলটা রিসিভ করে। রুয়াত একবার আরহামের দিকে তাকিয়ে আবার কথায় মনযোগ দিয়েছে। কল রিসিভ করার পর ভ্রু কুচকে চেয়ে আছে আয়াজ। দাঁত দেখিয়ে ভেটকি মাছের মতো হাসছে আরহাম। আয়াজের কাছে এর থেকে কষ্ট আর কিছুই হতে পারে না।
-‘তুমি ওর পাশে বসেছো কেনো?’
আরহাম আগেই সাউন্ড কমিয়ে দিয়েছে যার কারণে কথা শুনতে হলে কানের কাছে মোবাইলটা নিতে হয়। আর সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করছে আরহাম। ভাইয়ের এমন কথা শুনে মিটমিট করে হাসছে। খুব জ্বলছে তার আদরের ভাইটার।
-‘ও আমার শালীকা আমি ওর পাশে বসতেই পারি। তুমি এখনো ওর স্বামী হয়ে যাওনি যে তোমার কথা আমার শুনতে হবে।’
ফিসফিস করে আরহাম কথাটা বলে। সবার গলার আওয়াজে কথাটি কারই কান পর্যন্ত পৌঁছালো না। এমনকি পাশে থাকা রুয়াত ও শুনলো না কথাটি।
-‘হতে কতক্ষণ বলো? তুমি একটু দূরে গিয়ে বসো।’
আরহাম আরও চেপে বসে রুয়াতের দিকে। শুধুমাত্র ভাইকে জ্বালাতে এমন করছে। আর আয়াজ এতো বোকা না যে এসব বিষয়ে রাগ করবে। সে ভালো করেই বুঝেছে আরহাম ইচ্ছে করে এমন করছে।
-‘তোর কথা শুনতে বাধ্য নই আমি।’
ফোস করে নিঃশ্বাস ছাড়ে। ক্যামেরা রুয়াতের দিকে তাই তার প্রেয়সীকে ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে। রুয়াতের মাথায় কাপড় নেই। মাএই সড়ে গিয়েছে তা।
-‘ভাইয়া ফোনটা তোমার শালীকার কানে দাও তো। একটু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।’
আরহাম রুয়াতের কানে ফোন ধরিয়ে দিলো। রুয়াত কে আস্তে করে বললো আয়াজ কথা বলবে। ফোনটা রুয়াতের কানে ধরার পর গম্ভীর কন্ঠে আয়াজ বলে উঠলো-
-‘মাথার কাপড় সরে যায় কেনো তোমার? ঠিক করে মাথায় কাপড় দিয়ে বসো।’
#চলবে