#রাজনীতির_রংমহল
#সিমরান_মিমি
#পর্বসংখ্যা_১৬
সন্ধ্যা ছয়টা।চারদিকে প্রায় অন্ধকার নেমে এসেছে।গেটের সামনে যেতেই দারোয়ান চেচিয়ে উঠে বললো-
আম্মা,আফনে কই আছেলেন?সবাই তো খোজতে খোজতে পাগল হইয়া গেছে।আমরা তো ভাপছি, আফনে আরাইয়া গেছেন।তাড়তাড়ি ভিত্রে যান আফনে,সোভাম বাবায় খুব রাইগা গেছে।
স্পর্শী চুপচাপ দারোয়ানের কথাগুলো শুনলো।তারপর কিছু না বলেই গেটের ভেতর চলে গেল।দ্বিধা-দ্বন্দ নিয়ে সদর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আর্শি চেচিয়ে উঠলো-
ওইতো আপু।
আর্শির কথা শোনামাত্রই সোফায় চিন্তিত অবস্থায় বসে থাকা সকল মানুষ গুলো দরজার দিকে তাকালো। অসস্তিতে পড়ে গেল স্পর্শী।বাড়ি আসতে আসতে যে সন্ধ্যার আযান দিয়ে দিবে তা মোটেও বোঝে নি সে।
কোথায় ছিলে তুমি?
শামসুল সরদার শান্ত কন্ঠে বললেন।স্পর্শী নিজেকে ধাতস্থ করে বললো-
বাইরে ঘুরতে গেছিলাম।হাটতে হাটতে অনেকটা দূরে চলে গেছিলাম,খেয়ালে ছিলো না।আর আমি তো বলেই গেছিলাম।এতো চিন্তার কি আছে?
শামসুল সরদার ফোন হাতে নিয়ে সোভাম কে কল করলেন।সাথে সাথেই ওপাশ থেকে রিসিভড হলো।
স্পর্শীয়া বাড়িতে এসেছে।চিন্তার কিছু নেই।আর খুজতে হবে না।
সোভাম কি বললো তা শোনা গেল না।স্পর্শী সবাইকে পাশ কাটিয়ে রুমের মধ্যে ঢুকে গেল।
********
শিকদার বাড়ির বসার রুমে সোফায় উলটো হয়ে পা ঝুলিয়ে শুয়ে আছে পাভেল।পাশের সোফাতেই পরশ ফোন স্ক্রল করছে মনোযোগ সহকারে।পাভেল কতক্ষণ পর পর অসহায়ের মতো ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে খোচাচ্ছে।আর পরশ চোখ রাঙিয়ে থামতে বলছে।মহীউদ্দীন শিকদার উপর থেকে নিচে নেমে সোফায় বসলেন।হাক ছাড়লেন পিয়াশার উদ্দেশ্যে –
চা দিয়ে যাও আমার।
এরইমধ্যে গুটিগুটি পায়ে প্রেমাও নেমে এলো।মায়ের উদ্দেশ্যে সিড়িতে দাড়িয়েই বললো-
আমার চা টাও দিয়ে যেও।
পাভেল নিজেকে আর সামলাতে পারলো না।দ্রুতবেগে শোয়া থেকে উঠে বসলো।পরশের পাশে গিয়ে নিচু স্বরে বললো-
তুই ভাবতে পারছিস টানা এক ঘন্টা ধরে চুপ আছি আমি।একবার ভাবতো কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার।প্লিজ এমন করিস না।আমি আর লুকাতে পারবো না।আচ্ছা,আমি তো বাইরের কাউকে বলছি না,ব্যস ঘরে আব্বু আম্মুকে বলবো।ওরা তো আর ঢাক ঢোল পিটিয়ে তোর ক্ষতি চাইবে না।প্লিজ বলি,নইলে আর পাচ মিনিট চুপ থাকল আমার পেট ফেটে যাবে।
পরশ পুনরায় চোখ রাঙালো।পাভেলের করুন চাহনি দেখে হতাশার শ্বাস ফেললো।কোন কুক্ষণে যে এই পেট পাতলা টা কে নিয়ে বিয়ে করতে গেছিলো কে জানে?
এই তোরা কি ফুসুরফুসুর করছিস?
পেছন থেকে চায়ের ট্রে নিয়ে আসতে আসতে পিয়াশা বললো।পাভেল নিজেকে সাজিয়ে কথা গুলো বলার জন্য উঠে দাড়ালো।এরইমধ্যে পরশ টেনে বসালো।নিজেকে ধাতস্থ করে বললো-
তোর বলতে হবে না,আমিই বলছি।
পাভেল সম্মতি দিয়ে চুপচাপ বসলো।পিয়াশা ছেলে দুটোর দিকে তাকিয়ে বললো-
কিরে কি বলবি?
পরশ নড়েচড়ে বসলো।সে নিশ্চিত এই কথা শোনার পরে শিকদার বাড়িতে ছোট খাটো একটা ভুমিকম্প হয়ে যাবে।চায়ের কাপ হাতে নিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে বললো-
তুমি একটু বসো,আমি বলছি সব।
পিয়াশা ভ্রু কুচকে তাকালেন।কি বলবে পরশ।পরক্ষণেই স্বামীর দিকে তাকিয়ে বসলেন।পরশ লম্বা দম ফেললো।বললো-
আমি বিয়ে করে নিয়েছি।
ছোটখাটো একটা বাজ পড়লো পিয়াশা,মহীউদ্দীনের মাথায়।তারা যেন কথা বলতেই ভুলে গেছে।বাবা-মাকে চুপ থাকতে দেখে পরশ আবারো বললো-
বলেছিলাম না একটা মেয়েকে পছন্দ হয়েছে।স্পর্শীয়া ওর নাম।জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ে।সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল আংকেলের মেয়ে ও।সোভামের বোন।বুঝতেই তো পারছো,ওরা আমার সাথে কখনোই নিজেদের বাড়ির মেয়ে বিয়ে দেবে না।তার উপর সোভাম বারবার স্পর্শীর উপর বিয়ের চাপ দিচ্ছিলো।তাই,আজ বিকালেই কোর্ট কাবিন করে রেখেছি।বিশ্বাস করো,এতো ঝামেলা না হলে কখনোই তোমাদের লুকিয়ে-চুরিয়ে বিয়ে করতাম না।আর তাছাড়াও শুধু মাত্র বিয়েটাই তো করেছি,তোমাদের ইচ্ছে থাকলে পরে আনুষ্ঠানিক ভাবেও বিয়ে করাতে পারো,আমার কোনো আপত্তি নেই।
পরশ প্রত্যেকটা কথার ফাকে ফাকে বাবা মায়ের দিকে তাকাচ্ছে।কিন্তু তারা নির্বাক। পিয়াশার চোখ টলমল করছে পানিতে।কতক্ষণ পরপর নাক টানছে।পরশ আবারো বললো-
আব্বু,তোমরা কিছু বলছো না যে।
মহীউদ্দীন দীর্ঘ শাস ছাড়লেন।ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন-
তোমার উপর ছোটবেলা থেকেই কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় নি আমরা।যা মনে হয়েছে তাই করেছো,বাধাও দেই নি।কারন, তুমি বুদ্ধিমান।নিজের বা আমাদের পরিবারের উপর আঙুল উঠুক এমন কাজ করো নি।তাই তোমার কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনা চিন্তাও করতে হয়নি আমাদের।চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেছি।বিসিএস দেওয়ার পর কোথায় চাকরি করবে তা না রাজনীতি নিয়ে মেতে আছো,নির্বাচনে দাড়াচ্ছো,জয়ীও হচ্ছো।ভালো কথা।এখন আবার বিয়েও করেছো তাও বিরোধী দলের নেতার বোনকে।ভেবেচিন্তে করেছো তো?
থেমে,
পরশ?বাবা যাই করো না কেন আমার শিক্ষা নিয়ে যেন কেউ কোনো আঙুল না তোলে।আর না তো আমার পরিবারের উপর কোনো বিপদ আসে।মনে রেখো?
গটগট পায়ে হেটে রুমে চলে গেলেন মহীউদ্দীন। পরশ নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে সে দিকে।পিয়াশা এখনো সোফায় বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।পরশ তার উদ্দেশ্যে কিছু বলতেই তিনি অভিমানী কন্ঠে বললেন-
ভালো করেছিস বিয়ে করে।এখন বড় হয়েছিস,এমপি হয়েছিস।আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কে?
বলেই তিনিও চলে গেলেন রুমের দিকে।প্রেমাও নিরব দর্শকের মতো কোনো কথা না বলেই চলে গেল।তার মধ্যে না দেখা গেল কোনো রাগ,আর নাতো কোনো উত্তেজনা।পরশ হতাশ হয়ে পাভেলের দিকে চাইলো। পাভেল আমতাআমতা করে বললো-
আমার দোষ দিবি না।আমি তো ভালোই করেছি।এখন বলেছিস, একটু রাগ করেছে,আবার ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু পরে যদি অন্য কারো থেকে শুনতো তখন কতটা কষ্ট পেতো ভাবতে পারছিস?
পরশ আর কিচ্ছু বললো না।হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সাড়ে সাতটা বাজে।পার্টি অফিসে যেতে হবে তাকে।গটগট পায়ে নেমে এলো বাড়ির বাইরে।পাভেল ও ছুটে গেলো ভাইয়ের পিছু পিছু।
********
পিঠাপুলির আয়োজনে মেতে উঠেছে সরদার বাড়ি।নানান ডিজাইনের নানান রকমের নকশি পিঠা বানাচ্ছে বাড়ির গৃহিনীরা।স্পর্শীও তাদের সাথে বসে হাতে হাত লাগাচ্ছে।খুশীতে উপচে পড়ছে মুখের লাবণ্যতা।কখনো এসব না বানানো হলেও সবার সাথে হাতে হাত লাগাতে বেশ ভালো লাগছে তার।কেউ বানাচ্ছে, কেউ ভাজছে।আর আর্শি সে তো ভাজা পিঠা ঠান্ডা করে করে বোনের মুখে দিচ্ছে আবার নিজেও খাচ্ছে। এমনই উৎসব মুখর রাতের পুরো আনন্দ কেই ভেস্তে দিয়ে বসার ঘরে ঢুকলো সোভাম সহ আরো তিনটা ছেলে।গর্জন ছাড়লো স্পর্শী নাম ধরে।চমকে রান্নাঘর থেকে বের হলো স্পর্শী।সাথে অন্যান্য মহিলারাও উকি দিলো। শামসুল সরদার ঘরে বসে ছিলেন।ছেলের গর্জন শুনতেই তিনিও বের হলেন রুম থেকে।
সোভাম সোফার সামনে আসতেই রেগে কাচের টেবিল টাকে দু হাত দিয়ে ছুড়ে ফেললেন।হাত ভীষণ নিশপিশ করছে।পারছে না ঠাস ঠাস করে স্পর্শীর গালে থাপ্পড় লাগাতে।তাকে বাইরে আসতে দেখেই সোভাম চেচিয়ে বললো-
বিকেলে কোথায় গেছিলে?
চমকালো স্পর্শী।আশেপাশে চোরা চোখে তাকিয়ে বললো-
কতবার বলবো আপনাদের?বললাম তো ঘুরতে বেরিয়েছিলাম।
তেড়ে আসলো সোভাম স্পর্শীর দিকে। এরইমধ্যে শামসুল সরদার হাক ছাড়লেন-
কি সমস্যা টা কি তোমার?এভাবে ত্যাড়ামি করছো কেন বাড়ির মধ্যে?
সোভাম বাবার দিকে তাকালো। রেগে চেচিয়ে বলল-
আব্বু,আপনার মেয়ে ঘুরতে ঠিকিই গিয়েছিলো।তবে সেটা পরশের সাথে।ওর বাইকে করে পিরোজপুর সদর পর্যন্ত ঘুরে এসেছে।এরকম অসভ্য মেয়েকে কি করা উচিত আপনিই বলুন।মাথা তুলতে পারছিলাম না আমি বাজারে।সবাই টিটকারি মারছিলো আমায়।বলছিলো”হেরে গিয়ে এখন বোনকে লেলিয়ে দিয়ে এমপির সাথে সম্পর্ক করতে চাইছি আমি”।আপনার এই বেয়াদপ মেয়ের জন্য আমায় কথা শুনতে হবে কেন?জিজ্ঞেস করুন ওকে,বারন করার পরেও কেন ও পরশের সাথে গেছিলো।বেহায়াপনা করতে লজ্জা করে না।এতো বড় মেয়ে অথচ অন্য পুরুষের সাথে সারা দিন রাত চিপকে বসে থাকে।চরিত্র ঠিক করতে বলুন আপনার মেয়েকে।
অপমানে নীল হয়ে গেল স্পর্শী।এই লোক তার চরিত্র তুলে কথা বলছে।রাগে জেদে এগিয়ে এলো সোভামের দিকে।চেচিয়ে বলে উঠলো-
কে আপনি?আমার চরিত্র তুলে কথা বলার সাহস হয় কি করে আপনার?কোন অধিকারে আমাকে এতোগুলো কথা বলছেন?খবরদার!আমাকে এই বাড়ির মেয়ে বউদের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না যে যখন যা ইচ্ছা করবেন আর মুখ বুঝে সহ্য করবো। জিভ টেনে ছিড়ে ফেলবো।নিজে ধোয়া তুলশি পাতা নাকি?
থেমে,
গিয়েছিলাম আমি, পরশ শিকদারের সাথে পুরো বিকাল কাটিয়ে এসেছি।সারা সদর তার বাইকে করে ঘুরে এসেছি।তো?তাতে কি হয়েছে?আমি আমার স্বামীর সাথে সারা বিকাল কেন সারা জীবন কাটালেও আপনাদের কি?
অধিকার দেখাচ্ছেন।খুব দরদ উতলে পড়ছে না আমার প্রতি।বাড়ির মেয়ে,বাড়ির সম্মান যাবে।তো এতোদিন কোথায় ছিলো এই সম্মান।যখন ছোটো বেলা থেকে বাড়ির বাইরে ছিলাম তখন মনে পড়ে নি।যখন গত তিন টা বছর ধরে হোস্টেলে পড়ে আছি তখন মনে হয়নি বাড়ির মেয়ে হোস্টেলে থাকবে কেন?হোস্টেলে আমি কোথায় থাকি,কি করি, আদোও রাতে ফিরি কি না, নাকি বাইরের ছেলেদের সাথে আড্ডা দেই এসব কখনো খোজ নিয়ে জেনেছেন আপনারা।আজ যেই আপনাদের বিরোধী কারো সাথে সম্পর্কে জড়ালাম ওমনি বাড়ির মেয়ে হয়ে গেলাম।
থেমে শামসুল সরদারের দিকে তাকিয়ে
মাসের শেষে পনেরো হাজার টাকা দিয়েই দায়িত্ব পালন করা যায় না।যদি সামর্থ থাকতো না,তাহলে কবেই ওই টাকা ছুড়ে এ বাড়ির চৌকাঠে ফেলে যেতাম।
লম্বা দম নিলো স্পর্শী।বাড়ির সবার মুখ থমকে আছে।নিজেকে সং যত করে শান্ত গলায় বললো-
আমার লাইফে ইন্টারফেয়ার করার অধিকার আমি কাউকে দেয় নি।আমার না আছে ভাই আর না আছে বাবা।আমাকে আমার মতো থাকতে দিন।এতোদিন পর এসেছি,থাকতে বলেছেন তাই থাকছি।তার মানে এটা নয়, আমার উপর অধিকার ফলানোর চেষ্টা করবেন আপনারা।
চেচিয়ে উঠলো সোভাম।হেসে দিয়ে বললো-
তোমার কি মনে হয় ওই জানোয়ার টা তোমায় নিয়ে সংসার করার জন্য বিয়ে করেছে।আদোও বিয়ে করেছে তো নাকি কোনো এগ্রিমেন্ট পেপারস ছিলো।আরে ওকে আমি চিনি না আবার।ক’দিন পরে ভোগ শেষ হলে ছুড়ে বাইরে ফেলে দেবে।তখন গলায় দড়ি ছাড়া আর উপায় থাকবে না তোমার।নষ্টা মেয়ে কোথাকার(দাতে দাত পিষে বলল)
রাগে সারা শরীর থরথর করছে স্পর্শীর।তাকে নষ্টা বললো অথচ বাড়ির সবাই নিশ্চুপ।এই মুহুর্তে ইচ্ছে করছে এ বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে।কিন্তু অচেনা জায়গায় এতো রাতে কোথায় যাবে সে?রাগে,জেদে,হাত পা থরথর করে কাপছে।দ্রুতপায়ে ছুটে গেলো রুমের দিকে।ব্যাগ টা গোছানোই ছিলো।ট্রলি হাতে নিয়ে সদর দরজা দিয়ে সোজা বাইরে বের হয়ে এলো।পেছনে বাড়ির মহিলা রা সহ মহীউদ্দীন ও আটকানোর চেষ্টা করলো কিন্তু স্পর্শী কারো কথাই কানে নিলো না।সোভাম তেড়ে গিয়ে স্পর্শীর হাত ধরলো।টেনে হিচড়ে রুমে নিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিলো।
বাকরুদ্ধ হয়ে গেল স্পর্শী।কেউ তার উপর জোর জুলুম করছে এটা যেন মানতেই দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।হাতের ফোনটা নিয়ে কাপা হাতে কারো নাম্বারে ডায়েল করলো।ওপাশ থেকে রিসিভড হতেই দাতে দাত চেপে বললো-
খুব বেশী অধিকার ফলানোর জন্য বিয়ে করেছিলেন না।তো ফলান নিজের অধিকার।সময় মাত্র বিশ মিনিট।এক্ষুণি আমাকে এ বাড়ি থেকে আপনি নিজে এসে নিয়ে যাবেন।আর না হলে,না হলে আমি কিন্তু রাগের বশে কিছু একটা করে বসবো নেতামশাই।
চলবে?