বিয়ে পর্ব-১৭

0
823

#বিয়ে
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব- ১৭

অদ্রি গাড়ির জানালায় মাথা রাখে। গালে হাত দিয়ে ভাবে, আচ্ছা ধ্রুব কি ওকে যেতে দেবে? আটকাবে না?
সারাক্ষণ গম্ভীর এবং কঠিন কথা বলা মেয়েটা মা মারা যাওয়ার পর এতদিন অবধি যা করেনি, গাড়ির ভেতরে বসে তা-ই করে ফেললো। অদ্রি দু’হাতে মুখ ঢেকে হঠাৎ নিঃশব্দে কেঁদে ওঠলো। এরপর! অশ্রুবিন্দু যখন ওর গাল বেয়ে পড়তে থাকলো, বাতাসের ঝাপটা যখন ওকে ছুঁয়ে গেলো মুহূর্তের মধ্যেই ও নিজের হুঁশে ফিরে এলো। এই পৃথিবীতে একটি বিন্দুর মতোই সে একা। যাঁদের দায়িত্বে এখন আছে তাদের সে ভালোবাসে, কিন্তু দিনশেষে ওর নিজের বলতে তো কেউ নেই। আচ্ছা, অদ্রি কি এক মুহূর্তের জন্য ধ্রুব’র কাছ থেকে কিছু আশা করে বসেছিলো? ছিহ অদ্রি! তোমার এতো লোভ জন্মে গেছে মানুষটার প্রতি? নিজের ভাবমূর্তির প্রতি অদ্রির অদৃশ্য রাগ জন্মালো। কেন কাঁদছে ও? কাঁদার মতো কিছু তো হয়নি। অদ্রি চোখ মুছে নেয়। মাথার ভেতর ভোঁতা যন্ত্রণা হচ্ছে। জানালার কাঁচটা ও ওঠিয়ে দেয়৷ এত দুর্বল সে? এত? এত দুর্বলতা নিয়ে সে বাকি পথ কি করে পাড়ি দেবে?

আর রাহাতের ব্যাপারটাকেই বা ও কেন এত সিরিয়াসলি নিচ্ছে? স্রেফ মজা হিসেবে কেন নিচ্ছে না? নাহ! প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে ও আর এক মুহূর্ত চিন্তা করবে না, কখনো না। অদ্রি যখন নিজের মনকে এসব বলে বোঝাচ্ছিলো ঠিক সে-সময় ওর ব্যাগে থাকা ওর মোবাইলটা বেজে ওঠলো। অদ্রি ব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখে স্ক্রিনে ধ্রুব’র নাম। কোচিং শেষে যতীন ওকে নিতে এসেছে কিনা সেটা জানার জন্য প্রতিদিন ফোন করে ধ্রুব। অদ্রি ফোন রিসিভ করে। ওপাশ থেকে ধ্রুব ব্যস্ত গলায় বলে,
— যতীন পৌঁছেছে?
অদ্রি বিরক্ত গলায় বলল,
— প্রতিদিনই আসে। সামান্য ব্যাপারটার জন্য
আপনাকে ফোন দিতে বারণ করেছি আমি।
ধ্রুব ফাইলে সাইন করছিলো। কিন্তু অদ্রির গলা শুনে ওর হাত থেমে যায়। রোদ্দুরে ঝলমল করা প্রকৃতিতে হঠাৎই যেন কাল-বৈশাখ দাপট নিয়ে চড়ে বসেছে ওর এমন মনে হয়। সন্দেহ নিয়ে জিজ্ঞেস করে,
— কিছু হয়েছে?
অদ্রি বুঝতে পারে না কি বলবে। ওর পৃথিবী দিনদিন কেমন অচেনা হয়ে ওঠছে। তবুও স্বাভাবিক স্বরে বলে,
— কি হবে?
ধ্রুব নির্লিপ্ত কন্ঠে বলল,
— না মানে, তোমার গলাটা অন্যরকম লাগলো…
অদ্রি বলল,
— কিছু হয়নি, ঠিক আছি।
ধ্রুব মানতে পারলো না। এতদিনে একটু হলেও মেয়েটাকে সে চিনেছে। নিজের মনের কথা কখনোই প্রকাশ করে না। ও দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
— তুমি কাঁদছিলে অদ্রি।
ধ্রুব ব্যাপারটা বুঝে গেছে দেখে অদ্রি অস্বস্তিবোধ করে৷ মিথ্যে বলায় অভ্যস্ত নয় তবুও বলে,
— আমি কাঁদিনি।
অদ্রির ককন্ঠস্বর কেঁপে যা। ওর কম্পিত কন্ঠে বলা কথাটা ধ্রুব’র বুকে চিনচিনে ব্যথা ধরিয়ে দেয়। যে মেয়েটার প্রতি দিনদিন আসক্ত হচ্ছে তার কিছু হলে ও কিছু বুঝতে পারবে না এটা কি করে ভাবে অদ্রি? ধ্রুব নির্লিপ্ত কন্ঠে প্রশ্ন করে,
— আর কতদিন অদ্রি?
অদ্রি থমকে যায়। চুপ থাকে। ওর উত্তর দেওয়ার ইচ্ছে জাগে না। ধ্রুব ওর সাড়া না পেয়ে শান্ত স্বরে বলে,
— তোমার ক্লান্ত লাগে না সবকিছু মনের মধ্যে চেপে রাখতে? কেন শেয়ার করো না কথাগুলো কারো সাথে?
অদ্রি হেসে বলল,
— আমার কথা শেয়ার করার একমাত্র মানুষটা আমার মা। সে তো আর আমার কাছে নেই!
ধ্রুব চুপ থাকে কিয়ৎক্ষণ। কি বলবে বুঝতে পারে না। অদ্রি কান্না করেছে ব্যাপারটা বুঝে ফেলার পর থেকে পৃথিবী কেমন অন্ধকার লাগছে। ও জোরে নিঃশ্বাস নেয়। মনের ভেতর বহুদিন থেকে জেগে ওঠা একটি প্রশ্ন সে এবার করেই বসে,
— আমি কি তোমার কেউ না?
অদ্রি ভীষণ চমকায়। প্রথমদিকের ধ্রুব’র সাথে এই ধ্রুব’র মিল নেই। ওর মনে তখন অনেক প্রশ্ন, বহু দ্বিধা!
অনেকটা সময় কেটে যায়। ফোনের ওপাশ থেকে সাড়া না পেয়ে ধ্রুব কান থেকে ফোন সরায়, দেখে এখনো কল কাটেনি অদ্রি। তবে সাড়াও নেই। ধ্রুব দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সে-ও ফোনটা না কেটে ডেস্কে রেখে দেয়।
চেয়ারে গা এলিয়ে দেয়, দু-চোখ বন্ধ হয়ে আসে।
সারাক্ষণ অদ্রি তার মাথায় ঘুরপাক খায়। ধ্রুব ওর জন্য চিন্তা করে, ভাবে। ওর কিছু হলে কষ্ট পায়। অদ্রির প্রেমে তো কবেই পড়েছিলো। কিন্তু কখনো বলেনি, এখন অদ্রিকে সে ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটা কবে স্বাভাবিক আচরণ করবে ওর সাথে? ধ্রুব তো পারছে না ওর থেকে দূরে থাকতে, সব এলোমেলো লাগছে ওর! আর কিছুদিন এমন চলতে থাকলে সত্যিই ওর মস্তিষ্ক বিগড়ে যাবে। অদ্রির প্রতি দিনদিন ওর অনুভূতি, প্রেম বাড়লেও ইদানীং ওর রাগের পারদটা কেমন বাড়ছে! ও যখন এসব নিয়ে চিন্তিত তখনই দরজায় নক হলো। ধ্রুব অনুমতি দিলে কেবিনে ঢুকলো ওর নতুন পিএ রাজু, যদিও অনেক আগেই জয়েন করেছে সে। রিমঝিম মেয়েটার মতো আর কেউ যেন এসে ধ্রুব’র প্রেমে পড়ে যায় সেজন্য আশফাক সাহেবের পরামর্শে ধ্রুব ঠিক করেছে এখন থেকে ছেলেদেরকেই ওর পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে রাখবে। রাদিফ এসেই বলল,
— বড় স্যার আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।
ধ্রুব জিজ্ঞেস করলো,
— বাবা, কেন?
— নতুন ডিলের বিষয়ে কিছু ডিসকাস করতে।
ধ্রুব বলল,
— ওহ!
রাজু আবারও বলল,
— স্যার আরো একটা কথা ছিলো।
ধ্রুব খানিকটা রেগেই বলল,
— এতো ভণিতা করছো কেন? বলে ফেলো।
— বড় স্যার বলেছেন বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিতে, আটটার দিকে একটা মিটিং আছে তো, বাড়ি ফিরতে নাকি বেশ রাত হবে।
ধ্রুব এবার বিরক্ত হলো প্রচন্ড। ভেবেছিলো আজ তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরবে। অদ্রির সাথে দু’টো কথা বলার জন্য ওর মন ছটফট করছে। কিন্তু না, সেখানেও বাধা। ধ্রুব চেঁচিয়ে ওঠলো,
— শালার জীবন…
রাজু অবাক হয়ে বলল,
— স্যার আপনি এইসব বাংলা গালি দিতেও পারেন?
রাজু ছেলেটার একাডেমিক রেজাল্ট, আচরণ বেশ ভালো। অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে আছে। মনটাও ভালো। কিন্তু রাজু বেশিরভাগই বোকার মতো কথাবার্তা বলে।
ধ্রুব ওর প্রশ্ন শুনে বলল,
— কেন আমাকে কি এলিয়েন মনে হয়? যে গালি দিতে পারবো না? গালির আবার বাংলা কি?
— তা অবশ্য ঠিক। তবে আপনি তো কানাডায় বড় হয়েছেন সেখানে তো এইসব গালি চলে না। ইংরেজিতে গালি দেয়। ধরুন লাইফলেস, বাস্টার্ড, ইডিয়ট, ফা…
শব্দটা উচ্চারণ করার আগেই ধ্রুব বিকট স শব্দে ধমকে ওঠলো,
— গেট লস্ট…
ধমক খেয়য়ে রাজুর মুখ চুপসে গেলো। দ্রুতপায়ে সে নিজের ডেস্কে ফেরত গেলো। ধ্রুব স্যারের মনোভাব সে কোনোদিনই বুঝতে পারে না। মাঝেমধ্যে মনে হয় স্যার একটা মিশুক মানুষ, আবার অনেক সময় মনে হয়
বেশ রাগী। স্যারের বউ যে কি করে ওনাকে সহ্য করে কে জানে! রাজু হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে নিজের কাজে মন দেয়।

বাড়িতে ফিরে অদ্রি খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় লিভিংরুমে বসা কিছু নতুন মুখ দেখে। সোফায় বসে আছে একজন ভদ্রলোক, ভদ্রমহিলা। সম্ভবত তারা স্বামী-স্ত্রী হবে। উল্টোদিকের সোফায় বসে আছে তাদের সন্তান।।ছাব্বিশ-সাতাশ বছরের সুর্দশন এক যুবক আর অদ্রির বয়সী একটা মেয়ে। মেয়েটার পরণে ওয়েস্টার্ন ড্রেস। গায়ের রঙ ধবধবে ফর্সা। ভাইবোন দু’জনেই দেখতে খুব সুন্দর। তবে অচেনা মেহমানদের সামনে দিয়ে ঘরে ওপরে ওঠা ভালো দেখায় না, সেজন্য অদ্রি তাদের চোখ এড়িয়ে রান্নাঘরে চলে গেলো। গিয়ে দেখে সেখানে বেশ তোড়জোড় করে রান্না চলছে। অদ্রি জরিনাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,
— কি ব্যাপার? কারা এসেছে?
জরিনা সবজি কাটতে কাটতে উত্তর দেয়,
— ক্যানাডা থেইকা মেহমান আইছে গো ভাবিজান। খালাম্মাগো প্রতিবেশীরা ওগো পোলা-মাইয়া লইয়া আইছে। একেকজন দেখতে যে কি সুন্দর!
অদ্রি বিস্ময় নিয়ে বলে,
— এমন কিছু তো জানতাম না। সকালে যাওয়ার সময় ও তো আন্টি এমন কিছু বলেনি।
জরিনা হেসে বলে,
— সেরপ্রাইজ কর‍তো আইছে গো। বাড়ির কেউই জানতো না।
তখনই শায়লা রান্নাঘরে ঢুকলেন৷ তাকে ভীষণ ব্যস্ত মনে হচ্ছে। অদ্রিকে দেখে তিনি এগিয়ে এলেন। জগ থেকে পানি ঢেলে ওর দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বললেন,
— জানিস না কি কান্ড হয়েছে। আমার বান্ধবী তার পুরো ফ্যামিলি নিয়ে সারপ্রাইজ দিতে চলে এসেছে।
অদ্রি হেসে বলল,
— শুনলাম জরির কাছ থেকে। তো? সারপ্রাইজড হয়েছো?
শায়লা হেসে বললেন,
— ভীষণ। তবে আমি কিন্তু ওদেরকে আরও বড় একটা সারপ্রাইজ দেব। ওরা আরো বেশি চমকাবে।
অদ্রি কৌতূহল নিয়ে শুধায়,
— কিভাবে?
— ধ্রুব’র বিয়ের খবর দিয়ে।
অদ্রি অবাক হয়ে বলল,
— তোমার ফ্রেন্ডকে তুমি এখনো নিজের ছেলের বিয়ের খবর জানাওনি?
— না। তবে এখনই বলবো না। দু’দিন যাক তারপর বলবো। এখন চল তোকে ফর্মালি পরিচয় করিয়ে দিই।
— আংকেলরা জানে?
— না, ওদের মিটিং আছে। ফিরতে দেরি হবে। তবে আমিও চাই ওরা এসে সারপ্রাইজড হোক।
বলতে বলতে শায়লা লিভিংরুমে অদ্রিকে নিয়ে এলো। অদ্রি একগাদা অচেনা মানুষের সামনে কেমন অস্বস্তিতে পড়ে গেলো। সুন্দরী ভদ্রমহিলা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলেন অদ্রির দিকে। শায়লা হেসে জিজ্ঞেস করলেন,
— বল তো রুখসাত, ও কে?
ভদ্রমহিলা বললেন,
— গেস করতে পারছি না…
— তোকে আমার বান্ধবী রুবিনার কথা বলেছিলাম না? ও হলো অদ্রি, রুবিনার মেয়ে।
ভদ্রমহিলা ভ্রু কুঁচকে ফেললেন। অদ্রিকে আপাদমস্তক লক্ষ্য করে ওর কাছে ওঠে এলেন। বললেন,
— ওই যে তোর ছোটবেলার বন্ধবী? তার মেয়ে ও?
ঠিক বললাম নাকি?
শায়লা মাথা ঝাঁকালেন,
— হ্যাঁ।
ভদ্রমহিলা অদ্রিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— বাহ! খুব মিষ্টি দেখতে তো!
অদ্রি লজ্জা পেয়ে বলল,
— থ্যাঙ্কিউ।
ওয়েস্টার্ন পরিহিত মেয়েটি খানিকটা অভিমানী সুরে বলে ওঠলো,
— মম.. ইট’স ভেরি আনফেয়ার। ডু ইউ প্রেইস আদারস ইন ফ্রন্ট অফ মি? আ’ম জেলাস!
পাশে বসা ছেলেটা এতক্ষণ একদৃষ্টে অদ্রিকে দেখে যাচ্ছিলো। তার নাম রাদিফ। বোনের কথা শুনে এবার শক্ত গলায় বলল,
— ফ্লোরা, ভুলে যেওনা তুমি এখন বাংলাদেশে আছো। এখানে ইংরেজি চলবে না।
ফ্লোরা উত্তরে বলল,
— স্যরি ব্রো।
সুন্দরী ভদ্রমহিলার নাম রুখসাত জাহান। তার আদরের মেয়ে ফ্লোরা। একমাত্র মেয়ের মিষ্টিমধুর অভিমান দেখে তিনি বললেন,
— তুমিও প্রিটি ফ্লোরা। আর ও তো তোমার বোনেরই মতো। তাইনা?
মায়ের প্রশংসা শুনে ফ্লোরা হাসলো। এরপর ওঠে এলো অদ্রির কাছে। এসে ওর সাথে পরিচিতি হলো। অদ্রি ফ্লোরার হাসি লক্ষ্য করলো। স্বভাবে বাচ্চা মেয়েটিকে হাসলে সত্যিই বেশ প্রিটি লাগে। এভাবেই পরিচিত হওয়ার মাধ্যমে দুপুরের খাওয়াদাওয়া শেষ হলো, সন্ধ্যায় জমিয়ে চা-কফির আয়োজন হলো। রাদিফ, ফ্লোরা অদ্রির সাথে বেশ মিশে গেলো। বাড়িতে পুরোপুরি জমজমাট একটা পরিবেশ। না চাইতেও সবার সাথে হেসে হেসে গল্প করছিলো অদ্রি। সবার সাথে আড্ডা দিয়ে অদ্রি ভুলেই বসেছিলো তার দুঃখ-যন্ত্রণার কথা। আশফাক সাহেব আর ধ্রুব মিটিং শেষ করে বাড়ি ফিরলো রাত দশটায়। ক্লান্ত ভঙ্গিতে বাবা-ছেলে যখন লিভিংরুমে পা রাখলো তখন রুখসাত জাহানের পরিবারকে দেখতে পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। আশফাক সাহেব ঘোর থেকে বেরিয়ে সহাস্যে এগিয়ে গেলেন বন্ধু নাজমুল সাহেবের দিকে। আর ধ্রুব হাত মুঠো করে দেখছিলো রাদিফের সাথে হেসে হেসে গল্প কর‍তে থাকা অদ্রিকে।
কই, ওর সাথে তো অদ্রি এভাবে কখনো কথা বলে
নি!

[ ব্যাপারটা ফোর্থ পার্সনজনিত না। গল্পের কাহিনী আগাতে এবং শুধুমাত্র গল্পের প্রয়োজনে নতুন কিছু চরিত্রের আগমন ঘটালাম।]

চলবে…