আসমানী পর্ব-১৪

0
198

#আসমানী
#পর্ব_১৪
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

নাবিল আজ ভীষণ খুশি।দিশা নামক মেয়েটা নাকি তাদের আত্মীয় হতে চলেছে।ভেবেই কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে।যে নাবিল তার বড় চাচার বাসায় কোনো বিশেষ দরকার ছাড়া আসে না,সেই নাবিল আজ সকাল থেকেই এই বাসায় এসে বসে আছে।যদিও কেউ তাকে কোনো সন্দেহ করছে না।কারণ আজ তার রোজিনা আপুর বিয়ে।না হলে যে কেউই বলে বসতো,”তুই এইখানে কি করছিস নাবিল?সূর্য কি আজ পশ্চিমে উঠেছে নাকি?”

সবাই আজ ভীষণ খুশি।আজ রোজিনার বিয়ে।রোজিনার বাবা যে এতো সহজে সবকিছু মেনে নিবে সেটা কেউই ভাবতে পারেনি।রোজিনা অবশ্য তার মেনে নেওয়া বা মেনে না নেওয়ার ধার ধারে নি।শুধু বলেছে বিয়ের তারিখ ঠিক করতে।যে লোকটা কোনো কারণ ছাড়াই বাজখাই গলায় চিল্লাপাল্লা করে,সেই লোকের মেয়ে নিজের বিয়ে নিজে ঠিক করে রেখে এসেছে তাও সে কিছুই বলছে না।এটা আসলে কেউই হজম করতে পারছে না।

বিয়েটা হচ্ছে ভীষণ ঘরোয়া ভাবে।গতকাল গায়ে হলুদ হয়েছে শুধুমাত্র বাড়ির লোকেরা মিলে।নাবিল আর তার কাজিনরা গিয়েছিল ছেলের বাড়িতে হলুদ দিতে।সেখানে গিয়েই দেখেছিল দিশা একটা হলুদ শাড়ি পড়ে বসে আছে।প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরে অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় দিশার বাবা নাকি মুহিত ভাইয়ের শিক্ষক।সেই নাকি এখন তার অভিভাবক।সেই সুবাদে দিশাও বিয়েতে এসেছে।নাবিলকে দিশার সাথে এতো কথা বলতে দেখে আর কেউ সন্দেহ না করলেও নাতাশা বেশ সন্দেহ করেছে।আসার সময় সবার সামনে বলেই ফেলে,”ঐ মেয়ে তোর কি হয় রে ভাইয়া?এতো যে কথা বললি?”

সবার সামনে এভাবে বলায় নাবিল আমতা-আমতা করে বলে,”আমরা একই কলেজে পড়ি।একই ক্লাসে।তাই চিনি।তাই তো কথা বললাম।আমি কি আগে কথা বলতে গেছি নাকি?ঐ মেয়েই তো এসেছে আমার সাথে কথা বলতে।”

নাবিলের কথা শুনে কাজিন মহলের সবাই হাহা করে হেসে উঠেছিল।নাবিলও অবশ্য ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল।এভাবে বলা বোধহয় উচিত হয়নি তার।কিন্তু এখন হিসেব আলাদা।সে সকাল হতেই এই বাড়িতে বসে আছে কখন বরযাত্রী আসবে সেই আশায়।বরযাত্রী তো তার কাছে একটা উছিলা মাত্র।আসল হচ্ছে দিশা।সেও আসবে।সে তার জন্যই অপেক্ষা করে আসছে।রোজিনার ছোট ভাই রাব্বি এসে বলে,”কি ব্যাপার নাবিল এখনও বসে আছিস যে এইখানে?তোকে কি কেউ সাহায্য করার জন্য ডেকেছে নাকি?”
নাবিল বলে,”নাহ।সবাই এইখানে আছে।আমাদের বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। তাই এখানে এসে বসে আছি।অবশ্য কাজও করছি।”
“কি এমন কাজ করছিস শুনি?”
নাবিল বেশ আস্তেআস্তে বলে,”একটু পরপর মহিলা গোষ্ঠী আমাকে এটা সেটা আনতে পাঠাচ্ছে।সেই সুবাদে অবশ্য আমার লাভও হচ্ছে।”
রাব্বি কি বলবে ভেবে পায় না।এই ছোট ছেলের মাথায় যে কিছু একটা চলছে সেটা সে ভালোভাবেই বুঝতে পারছে।কিন্তু কি চলছে সেটা বুঝতে পারছে না।কিন্তু নাবিলের কথার সত্যতা প্রমান করতেই যেন ছোট চাচার মেয়ে আফিয়া বলে,”নাবিল ভাইয়া,আমাদের বাসায় গিয়ে মা কে একবার তাড়াতাড়ি আসতে বলবে?বলবে খুব দরকার।”
নাবিল রাব্বির দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলে,”ডাক পড়ে গেছে।যাচ্ছি আমি।”
নাবিল বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওর মায়ের সাথে দেখা হলে ওর মা বলে,”তুই কি মেয়ে মানুষ?তুই এইখানে এসে বসে আছিস কেন সকাল থেকে?আজকে বোনের বিয়ে আর উনি এখানে এসে বসে আছেন।যা,বাসায় যেয়ে গোসল করে নে তাড়াতাড়ি।সবসময় এইরকম দেরি করলে চলবে।কেমন গন্ধ বের হচ্ছে তোর শরীর দিয়ে।মেহমানদের সামনে এইভাবে যাবি নাকি?”

নাবিল মায়ের কথা শুনে যেন মুহুর্তেই থমকে দাঁড়ায়।নিজের শার্টের হাতা শুঁকে বুঝতে পারে আসলেই তার শরীর দিয়ে গন্ধ আসছে।নাতাশা আশেপাশে থাকলে নিশ্চয়ই বলতো,”এই তোর শরীর দিয়ে এই রকম বিটকেলে গন্ধ আসছে কেন রে?গোসল করিস নি এখনও?”

আফিয়া আরও একবার পিছন থেকে ডেকে বলে,”কি হলো নাবিল ভাইয়া?যাও নি এখনও?তাড়াতাড়ি যাও।”
নাবিল বেশ বিরক্ত হয়ে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলে,”আহা!নাবিল ভাইয়া!এমনি সময়ে তো ভাইয়া বলা দূর নাবিইল্লা বইলা ডাকো।আর এখন কামের জন্য নাবিল ভাইয়া।নিজেদের কাজ নিজে করে নাও।আমি গেলাম।”

আফিয়া অবাক হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে।হঠাৎ কি হলো তার?এতোক্ষণ তো সবকিছু ভালোই চলছিল।হঠাৎ কি হলো?।

নাবিল এক ছুটে বাড়িতে চলে যায়।আগে ঢুকে নাতাশার ঘরে।ওর কাছে সুগন্ধি সাবান আছে।সেটাই আজকে ব্যবহার করবে সে।তারপর ঢুকে আসমানীর ঘরে।সেখানে ভাইয়ের পারফিউমের বোতলটার অবস্থান দেখে নেয় সে।তারপর নিশ্চিন্ত মনে গামছা কাধে নিয়ে টিউবওয়েলের দিকে যায়।
★★★
“শাড়ি পড়ছো কেন আসমানী?আমাকে মেরে ফেলবে নাকি?”
আসমানী পিছনে না তাকিয়েই বলে,”তো আর কি পড়বো?আর তাছাড়া আমি এখনও নতুন বউ।আর আপনাদের বাড়িতে আমিই সবচেয়ে বড় বউ।শাড়িই তো পড়তে হবে।না হলে লোকে যে বাজে কথা বলবে।”
“বউ আমার,আর বাজে কথা বলবে তারা?মগের মুল্লুক নাকি?”
“ঢংয়ের কথা বাদ দিন তো।ঐ বাড়িতে যাবেন না?আপনার জ্বর কি কিছুটা কমেছে?”
“হ্যাঁ,কিছুটা কমেছে।”
“যাবেন না ঐ বাড়িতে?”
“যাব।বরযাত্রী এলে আমাকে কল দিও।তখন যাব।”
“শুনুন,একটা কথা বলি?”
আসমানীর কন্ঠে জড়তা।যেন বলি বলি করেও বলতে পারছে না।নাহিদ একটু ভয় নিয়েই বলে,”কি?কিছু কি খারাপ হয়েছে?”
আসমানী নিজের আঙ্গুলে শাড়ির আঁচল পেছাতে পেছাতে বলে,”নাহ।আসলে কথাটা রোজি আপুকে নিয়ে।”
নাহিদ একটু উদ্বেগ নিয়েই বলে,”কি হয়েছে রোজি আপুর?”
“আসলে আমার মনে হচ্ছে উনি খুশী নন।উনাকে খুব মনমরা লাগছে যদিও সবার সাথে বেশ হাসিমুখেই কথা বলছে।উনি মনে হয় উনার প্রথম স্বামীকে ভুলতে পারছে না।”
নাহিদ একটা নিশ্বাস ফেলে বলে,”এইটাই তো স্বাভাবিক আসমানী।আমরা পুরোনো কোনো কিছুর মায়া কি এতো সহজে কাটাতে পারি?সেও পারছে না।কিন্তু ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।তুমিই দেখো না,আমরা ফোনের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করলেও প্রথম কিছুদিন কিন্তু আগের পাসওয়ার্ড দিয়েই ফোনের লক খোলার চেষ্টা করি।তাহলে এতো সহজে ৭ বছরের ফেলে আসা সংসার আর স্বামীকে ভুলবে কিভাবে সে?”
আসমানী মাথা নাড়িয়ে বলে,”হ্যাঁ, আসলে সেটাই হয়েছে উনার সাথে।উনার প্রাক্তন স্বামীর কি খবর?কিছু জানেন?”
“হ্যাঁ,উনারও বিয়ে ঠিক হয়েছে।উনি একাই ঠিক করেছেন।মহিলাটি বিধবা।একটা মেয়েও আছে।উনার পরিবার সেটা মানতে চাইছে না।তারা কুমারী মেয়ে বিয়ে করাতে চায়।ভাইয়া তাই আপাতত বিয়ের কথা বন্ধ রেখেছেন।”
“আমার কি মনে হয় জানেন?”
“কি?”
“উনিও মনে হয় রোজি আপুকে সহজে ভুলতে পারছেন না।”
নাহিদ হেসে বলে,”সেটাই স্বাভাবিক।আর আমি জানতাম এমনটাই করবেন উনি।রোজি আপুর বিয়ের আগে নিজে উনি বিয়ে করবেন না।কিছুদিনের মধ্যে তিনিও অবশ্য করবেন সেই এক বাচ্চার মা কে।”
আসমানী বলে,”আল্লাহ যেন সবার ভালো করেন।মুহিত ভাই নিজের ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পাক,রোজি আপু ভালো থাকুক আর সেই অসহায় মেয়েটি তার সন্তানসহ যেন যথাযথ মর্যাদা পায়।”
“আমিন।”
“আপনি শুয়ে থাকবেন এখন?দরজা তাহলে লাগিয়ে দিন।”
“ওকে।সাবধানে থেকো তুমি।আর ঐ বাড়িতে কিছু লাগলে আমাকে কল দিও।হাজার হোক,আমি এই বাড়ির বড় ছেলে।”
আসমানী হেসে রুম থেকে বের হতেই নাহিদ দরজা লাগিয়ে নিজের রুমে এসে মোবাইলে দ্রুত হাতে টাইপ করে,”আজই উপযুক্ত সময়।এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবে না।কেউ কোনো সন্দেহও করবে না।আমি বাড়ির ভিতরেই আছি।দ্রুত আমাকে লোকেশন শেয়ার করো।আমি যথাযথভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।খবরদার কেউ যেন ধরা না পড়ে।প্রয়োজন হলে অন্য কোনোদিন আবার টার্গেট করবো আমরা তাকে।”
★★★
“তোমাকে কি মিষ্টি দেখতে লাগছে গো নতুন ভাবী।বউ সাজলে সবাইকে কত কিউট কিউট লাগে।”
দিশার কথায় আসমানী বলে,”তুমিও বিয়ে করে নাও তাহলে।বউ সাজতে পারবে তবে।তোমাকেও কিউট কিউট লাগবে।”
দিশা হেসে বলে,”আমার মাঝে মাঝে বউ সাজতে ইচ্ছে করে তবে সেটা শুধু ছবি তোলার জন্য।বিয়ে করার জন্য না।”
আসমানী অবাক হয়ে বলে,”ওমা,বিয়ে না করলে কাপল পিক তুলবে কিভাবে তুমি?কাপল পিক তোলার জন্য হলেও বিয়ে করা উচিত।বুঝলে?”
দিশা মাথা চুলকে বলে,”হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই।”
আসমানী বলে,”তুমি একটা কাজ করতে পারো।তাহলে তোমার বিয়েও করতে হবে না কিন্তু বউ সাজও হবে।”
দিশা উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করে,”কিভাবে?”
“তোমার কোনো বন্ধুকে বলবে একদিনের জন্য তার বর সেজে ছবি তুলতে।”
দিশা হেসে বলে,”কেউ রাজি হবে না গো ভাবী।”
আসমানী বলে,”হবে, হবে।আমার দেবরই দেখো গিয়ে এক পায়ে খাড়া হয়ে আছে তোমার সাথে ছবি তোলার জন্য। ঐ দেখো,ইইতোমধ্যে পর্দার নিচে দিয়ে দুই পা দেখা যাচ্ছে।”
সবাই পিছনে তাকিয়ে দেখে সত্যি সত্যিই সেখানে নাবিলের পা দেখা যাচ্ছে।

নাতাশা ছুটে গিয়ে পর্দা সরালে সেখানে নাবিলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ঘরের সবাই হাহা করে হেসে উঠে।নাতাশা পুলিশের মতো জেরা করে নাবিলকে বলে,”আপনার এইখানে কি কাজ এই মুহুর্তে?কোনো প্রয়োজন?”

নাবিল বেশ ঘাবড়ে গিয়ে আমতাআমতা করে বলে,”নাহিদ ভাই আসমানী ভাবীকে ডাকছে।তাই জানাতে এসেছিলাম।” এইটুকু বলেই আর কাউকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সে ছুটে যায় সেখান থেকে যাওয়ার আগে একবার দিশার দিকে তাকিয়ে দেখে সে সবার মতো হাহা করে না হাসলেও মুখ টিপেটিপে হাসছে।ইশশ!কি লজ্জা।লজ্জায় যেন তার মাথা কাটা যাচ্ছে।
★★★
রোজিনা তার বাবার গলা ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে।বাবার উপর রাগ আর অভিমান জমে থাকলেও এই বিদায় বেলায় এসে সে আর নিজেকে পাষান বানিয়ে রাখতে পারছে না।তাই তো বাবাকে জড়িয়ে ধরেই কাঁদছে।রোজির বাবাও বারবার চোখ মুছছে।
একসময় সে রোজির হাত টা মুহিতের হাতে তুলে দিয়ে বলে,”আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো বাবা।আমার মেয়েটা বড্ড দুঃখী।আগের কোনো কথা মনে রেখে আমার মেয়েটাকে কষ্ট দিও না বাবা।কখনো যদি আমার মেয়েকে তোমার অসহ্য মনে হয়, তবে নির্দ্বিধায় আমার মেয়েকে আমার কাছে দিয়ে যেও।আমার বাড়ির দরজা ওর জন্য সারা জীবনই খোলা আছে।”

মুহিত রোজির বাবাকে আশ্বস্ত করে।এরপর একে একে সবার থেকে দোয়া আর বিদায় নিয়ে নবদম্পতি রওনা দেয় তাদের নতুন জীবনের উদ্দেশ্যে।রোজির মা কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়ে যাচ্ছেন বারবার।সবাই আবার ওদের বাড়িতে যায়।নাহিদও চাচার সাথে সেখানেই যায়।

আসমানীর মাথা ব্যথা করায় সে তাদের বাড়িতে চলে আসে।খাটের উপর নাহিদের মোবাইল রাখা দেখে সে সময় দেখার জন্য মোবাইল হাতে নিতেই সেখানে একটা মেসেজ দেখে থমকে যায়।সেখানে লিখা ছিল,”কাজ হয়ে গেছে বস।আপনি শুধু শুধুই টেনশন করছিলেন।একদিনের কাজ তো না আমাদের এইসব।বহু বছরের।”

আসমানীর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।এইসবের মানে কি?আসমানী আগের মেসেজগুলো চেক করে দেখে ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়ে।
হঠাৎ রুমের দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে সেখানে নাহিদ দাঁড়িয়ে আছে।আসমানীকে তার ফোন হাতে বিধ্বস্ত হয়ে বসে থাকতে দেখে নাহিদ বুঝে যায় আসমানী সব জেনে গেছে।নাহিদকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আসমানী হিংস্র বাঘিনীর মতো এগিয়ে গিয়ে তার কলার ধরে বলে,”কি করেন আপনি?বলেন আপনি বাইরে কি কাজ করেন?কেউ আপনাকে কেন বস বলে ডাকবে?কি করেছেন আপনি?কিসের কাজ শেষ করেছেন আপনি?”

নাহিদ আসমানীকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করতে করতে বলে,”শান্ত হও আসমানী।আমার কথা শুনো।আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।আমি….”
নাহিদ আর কিছু বলার আগেই তাদের বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতে শাহেদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলে,”নুসাইবা কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।ওর মা কল করে কেঁদেকেটে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।ও নাহিদ,আমাকে নিয়ে তোর খালার বাড়ি চল।এখনই চল।”
আসমানী শাশুড়ীর কথা শুনে নাহিদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।তার চোখেমুখে অবিশ্বাস।নাহিদ শুধু মাথা নাড়িয়ে ফিসফিস করে বলে,”নাহ,আসমানী।আমি নই।”
চলবে…….