বর্ণহীন রংধনু পর্ব-০৩ এবং শেষ পর্ব

0
235

#বর্ণহীন_রংধনু (অন্তিম পর্ব)
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ

“আজ তোমার জায়গায় আমি, আর আমার জায়গায় যদি তুমি হলে কি করতে? একবার নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর দাও দেখি। হয়তো, তোমার উত্তরই আজ তোমার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।”

চৈতির প্রশ্নের বিপরীতে কোনো উত্তর নেই ফাহাদের মুখে। নিরবে চেয়ে আছে নিচের দিকে। উত্তরের আশায় এখনো তার দিকে চেয়ে আছে চৈতি। নিরবতায় কেটে গেলো কিছু সময়। ফাহাদকে নিরব দেখে চৈতি পূনরায় বলে,
“উত্তর খুঁজে পাচ্ছো না? নাকি পেয়েও বলতে পারছো না? একটু আগেও তো তোমার অপকর্ম ঢাকতে, তোমার ভালোবাসাকে হত্যা করতে চেয়েছিলে। যদিও আমি তোমার প্রকৃত ভালোবাসা কখনোই ছিলাম না।”

আবারও কিছু সময় নিরব রইল ফাহাদ। পরক্ষণে নিচু স্বরে বলে,
“আমি হুঁশে ছিলাম না চৈতি।”
ক্ষনিকটা তাচ্ছিল্য হাসে চৈতি। অতঃপর হাসি থামিয়ে বলে,
“কিন্তু আমি যথেষ্ট হুঁশে আছি। এখন আমার সামনে এমন দুজন মানুষ বসে আছে, একজন আমার এত বছরের ভালোবাসাকে তুচ্ছ করে প্রতারণা করতে দ্বিতীয় বার ভাবেনি। আরেকজন, যে আমার ভালোবাসার মানুষকে কেড়ে নিয়ে আমার সুখের সংসারের ইতি টেনেছে।”

বলেই শান্তার দিকে তাকায় চৈতি। কয়েক সেকেন্ড নিরবতায় পার করে পূনরায় ফাহাদের দিকে চেয়ে বলে,
“এখন তোমাদের দুজনের মাঝে যে কোনো একজন আমার ক্রোধের শিকার হবে। আর কে বাচবে, কে ম’রবে তা তোমরাই ডিসাইড করবে৷ সিদ্ধান্ত তোমাদের।”

বলেই উত্তরের অপেক্ষায় দুজনের দিকে তাকায় চৈতি। অতঃপর উঠে দাড়ায় সে। বৃত্তাকারে দুজনের চার পাশে হাটছে চৈতি। কিছু সময় নিরবতায় কাটলে ফাহাদের দিকে চেয়ে চৈতি পূনরায় বলে,
“কাকে হ’ ত্যা করা উচিৎ আমার?”
ফাহাদ আহত দৃষ্টিতে চৈতির দিকে চেয়ে বলে,
“আমায় মে’রে ফেলো। এমন লজ্জা নিয়ে বেচে থাকার চেয়ে আমার মৃ’ত্যই শ্রেয়।”

কিছু বললো না চৈতি। কয়েক কদম ফেলে শান্তার সামনে গিয়ে দাড়ায় সে। নিজের ক্রোধকে সামলে শান্ত গলায় বলে,
“আর তুমি? ফাহাদকে বাচানোর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করবে?”
শান্তা চুপচাপ দু’দিকে মাথা নাড়ে। যার অর্থ, সে বাচতে চায়। পরক্ষণে মাথা নিচু করে ফেলে সে। চৈতি ক্ষনিকটা বিরক্তি প্রকাশ করে ঝাড়ি মারার মতো চিৎকার করে উঠে। শান্তা কেঁপে উঠে কাঁপা স্বরে বলে,
“আমাকে ক্ষমা করুন আপু। বিশ্বাস করুন আমি আপনার সংসার ভাঙিনি। ফাহাদ নিজেই আমার কাছে এসেছিল। সেই আপনার সাথে প্রতারণা করেছে৷ তাছাড়া ফাহাদ নিজেই বলেছে তাকে মেরে ফেলতে। আপনি বরং তাই করুন। আপনার সাথে প্রতারণা করার মানুষকে শাস্তি দিন। তবুও আমার মারবেন না আপু, ক্ষমা করুন আমায়। প্লিজ ক্ষমা করুন আমায়। ক্ষমা করুন।”

বলতে বলতেই কেঁদে উঠে শান্তা। একটা শ্বাস নিয়ে ফাহাদের সামনে এসে দাড়ায় চৈতি। ফাহাদের খুব কাছে এসে হাটু ভাজ করে বসে তার সামনে। ছলছল চোখে ফাহাদের দিকে চেয়ে বলে,
“দেখো, তুমি এমন মানুষের জন্য আমার সাথে প্রতারণা করেছো। যে তোমার জীবনের বিনিময়ে নিজে মুক্তি পেতে চায়। অথচ আমার ক্ষেত্রে যদি এমন হতো, যদি কখনো তোমাকে বাচানোর প্রশ্ন আসতো, তোমার জন্য আমি হাসি মুখে মৃত্যুকে মেনে নিতাম। এটাই চাইতাম, আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও যেন তোমার কোনো ক্ষতি না হয়।”

বলেই চেয়ারে বাধা ফাহাদের দুই হাটুর মাঝে নিজের কপাল ঠেকিয়ে হু হু করে কেঁদে উঠে চৈতি। দীর্ঘক্ষণ চলে তার এই কান্না। ফাহাদ চুপচাপ চেয়ে আছে চৈতির দিকে। অনুসূচনায় বুকটা কেঁপে উঠছে তারও।
কিছু সময় পার হওয়ার পর কাঁন্না থামিয়ে চোখের জল মুছে নেয় চৈতি। উঠে দাড়িয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলে,
“কিছুক্ষণ আগে বলেছিলে, এই লজ্জা নিয়ে বাচতে চাওনা তুমি। যদি আজ আমার ছেলে ফাহিম ও তাকে বড়ো করার চিন্তা মাথায় না থাকতো, তাহলে তোমার কলিজা ছিঁ’ড়ে ফেলতাম আমি। একমাত্র মাছুম ছেকেটার দিকে চেয়ে এমন কিছুই করবো না। তোমার মতো একজন ঘৃন্য পাপির বিচার আমি আমার রবের কাছে দিলাম। তিনিই তোমার বিচার করবেন। একটা কথা মনে রেখো, পরকালে সেই রবের সামনে দাড়িয়েও যদি বলতে হয়, তখন আমি একটা কথাই বলবো, তোমাকে আমি কখনোই ক্ষমা করবো না।”

বলেই উঠে দাড়ায় চৈতি। এক এক মুহুর্তও অপেক্ষা না করে চোখের জল মুছতে মুছতে বেড়িয়ে যায় সে।
,
,
রাত তখন ১১ টা। দু’তিনবার কলিং বেল বাজতেই দরজা খুলে দেয় তিথি। কিছু প্রশ্ন করার আগেই বিষণ্ন মনে হনহন করে ভেতরে প্রবেশ করে চৈতি। তিথি পেছন পেছন হেটে কারণ জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দিল না চৈতি। রুষ্ঠ গলায় বলে,
“ফাহিম কোথায়?”
“সুজি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়েছি।”

রুমে গিয়েই ঘুমন্ত ছেলেকে কোলে তুলে নিল চৈতি। তিথির দিকে চেয়ে বলে,
“তোর ব্যাগ গুছিয়ে নে আপু। আমরা বের হচ্ছি।”
তিথি ক্ষনিকটা কৌতুহল নিয়ে বলে,
“এত রাতে কোথায় যাচ্ছি আমরা?”
মুহুর্তেই চৈতি রাগে চিৎকার করে বলে উঠে,
“জাহান্নামে যাচ্ছি আমরা, জাহান্নামে।”
কৌতুহল দমে গেলো তিথির। বুঝতে বাকি নেই খুব বড়সড় কিছু একটা হয়েছে।

ফাহিমকে নিয়ে এই মাঝরাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায় চৈতি। পেছন পেছন তিথি তার ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে আসে। গেট পেড়িয়ে রাস্তায় দাড়ায় চৈতি। পেছন ফিরে ঘরটার দিকে তাকিয়ে রইল এক দৃষ্টিতে। ফাহাদের হাত ধরে সারা জীবন একসাথে কাটানোর স্বপ্ন নিয়ে এই ঘরে প্রবেশ করেছিল চৈতি। অথচ আজ সারা জীবনের জন্য হাত ছেড়েই বেড়িয়ে আসলো সে।

অতিতের সুন্দর সময় গুলো যেন হৃদয়ে এসে হাতছানি দিয়ে যাচ্ছে বারংবার। যখন ফাহাদের বুকে মাথা রেখে নানান স্বপ্ন বুনতো সে।
বিয়ের আগেও তিন বছরের সম্পর্ক ছিল তাদের। এই পুরো সময়টায় মাঝে মাঝে এক অন্যরকম ভয়ে ফাহাদকে কারনে অকারনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে থাকতো চৈতি। হয়তো প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে ফেলার ভয় ছিল সেটা। কিন্তু কে জানতো, তার সেই ভয়টাই আজ সত্য হয়ে সামনে আসবে।

তিথির পরিচিত একজন সিএনজি চালককে ফোন দিয়েছিল সে। তিনি ইতিমধ্যেই তাদের সামনে এসে দাড়ালো। তবুও সেদিকে কোনো খেয়াল নেই চৈতির। শেষ বারের মতো এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে বাড়িটার দিকে। অতঃপর তিথির কথায় হুঁশ ফিরে তার। নিরবে চোখের জল মুছে নিয়ে উঠে যায় সিএনজিতে। রওনা দিল বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে। ডিবোর্সি মেয়েদের জীবন অনেক কঠিন হয়, তা ভালো করেই জানে চৈতি। তবুও সে তার সিদ্ধান্তে অনড়। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাবার বাড়িতে আশ্রয় নাইবা জুটে, প্রয়োজনে অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজের সন্তানকে বড়ো করবে সে। তবুও ফাহাদের ঘরে দ্বিতীয় বার পা ফেলবে না সে।
,
,
তিন বছর পর,

বছর দু’য়েক হলো একটা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করে চৈতি। ফাহিমের বয়স এখন চার বছর। খুব চঞ্চল স্বভাবের হয়েছে সে। চৈতির সাথে স্কুলে চলে আসে প্রতিদিন। শিশুশ্রেনির বাচ্চাদের সাথে ক্লাস করে সেও। আগামি বছর তারও পাঁচ বছর পূরণ হবে। তখন সে নিজেও হয়ে যাবে শিশু শ্রেণির একজন ছাত্র।
স্কুল ছুটির পর ফাহাদকে চার পাশে খুঁজছিল চৈতি। এর মাঝে একটা পলিব্যাগে কিছু চিপ্স, চকলেট, জুস এসব নিয়ে মায়ের সামনে হাজির হয় সে। তার পেছন পেছন আসে এখন শ্যামবর্নের যুবক। এই স্কুলেরই গনিত শিক্ষক সে। নাম সিয়াম। চৈতির বুঝতে অসুবিধা হলো না, এসব এই সিয়ামই কিনে দিয়েছে ফাহিমকে। কারন শুধু আজ নয়, প্রায়ই ব্যাগ ভর্তি করে এসব কিনে দেয় সে।

ফাহিম মায়ের সামনে দাড়িয়েই হাসি মুখে ব্যাগটা মায়ের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে,
“নাও, বাবা কিনে দিয়েছে আমাকে।”
চৈতি জানলেও ফাহিমের মুখে বাবা ডাকটা শুনেই যেন চোখ কপালে উঠেছে তার। অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আচমকাই বলে উঠে,
“কে?”
ফাহিম পেছনে সিয়ামের দিকে চেয়ে পূনরায় বলে,
“এই যে, এই বাবা।”
সাথে সিয়ামও ক্ষনিকটা মৃদু হেসে ফাহিমকে কোলে তুলে নিয়ে চৈতির দিকে চেয়ে বলে,
“সে কি ভুল কিছু বলেছে?”

ক্ষনিকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায় চৈতি। নিশ্চুপ অন্য দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেয় সে। কারণ ভুল কিছু বলেনি ফাহিম। এই সিয়ামের সাথেই পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছে চৈতির।
সে অনেক ঘটনা। গত দু’বছরে চৈতির সব জেনেও ধীটে ধীরে চৈতির প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেছিল সিয়াম। দু’বছর সময় নিয়ে অবশেষে চৈতির পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় তার পরিবারকে দিয়ে। পারিবারিক ভাবে সব ঠিক হলো তাদের। দু’বছর ধরে সিয়ামকে ভালো করেই চেনে চৈতি। সাথে বাবা-মা, বোন পরিবারের অনুরুধে নতুন জীবন শুরু করায় সেও সম্মতি দেয় এই বিয়েতে। আর সাপ্তাহ খানের পর তাদের বিয়ের তারিখ।
,
,
আর তিন দিন পর বিয়ে চৈতির। বিয়ের কেনাকাটা করতে সিয়ামের সাথে শপিং-এ যাওয়ার কথা তার। তাই ফাহিমকে নিয়ে রাস্তার একপাশে এসে দাড়ায় চৈতি। সিয়ামের এতক্ষণে চলে আসার কথা। চৈতি তার নাম্বারে কল দিলে জানতে পারে, সিএনজির চাকা পাঞ্চার হয়েছে। তাই লেট হয়েছে। পাঁচ মিনিট লাগবে আর।

এর মাঝেই পেছন থেকে কেউ একজন কাধে হাত রাখে চৈতির। পেছন ফিরে তাকায় সে। তিন বছর পর হটাৎ আজ ফাহাদকে দেখে চমকে উঠে সে। অতিতের স্মৃতি গুলো যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে মুহুর্তেই। তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলে,
“আপনি? হটাৎ কি মনে করে?”
কিছুক্ষণ নিশ্চুপ রইল ফাহাদ। অতঃপর নিচু স্বরে বলে,
“আমরা কোথাও একটু বসে কথা বলি? খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
উত্তরে চৈতি সোজাসাপটা ভাবে বলে,
“সম্ভব না। আমার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছি আমি। তার থেকে আর কোনো কিছুই আপাতত আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না।”
“বিয়ে করছো তাই না?”
“যেহেতু শুনতে পেয়েছেন, আশা করি দোয়া করবেন আমাদের জন্য।”

বলেই ফাহিমের হাত ধরে সামনে পা বাড়ায় চৈতি। অন্য হাত চেপে ধরে ফাহাদ। করুন গলায় বলে উঠে,
“আমি ভালো নেই চৈতি।”
চৈতি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,
“আমি কি জানতে চেয়েছি আপনি কেমন আছেন? আর আমাকে ওসব মেয়েদের মতো ভাববেন না যাদেরকে যখন তখন স্পর্শ করা যায়। লিমিট ক্রস করবেন না। নিজের সীমায় থাকুন।”

ফাহাদ তার সামনে এসে দাড়িয়ে করুণ দৃষ্টিতে চেয়ে বলে,
“প্লিজ চৈতি। এতটা বছর লজ্জায় তোমার সামনে দাড়ানোর সাহয় পাই নি। তোমার বিয়ের খবর শুনে আর থাকতে পারিনি। আজ অন্তত ফিরিয়ে দিও না আমায়। আর একটা বার সুজুগ দিয়ে দেখো, কখনো এক ফোটা পরিমানও কষ্ট দিব না তোমায়। সবকিছু আগের চেয়েও সুন্দর করে সাজিয়ে নিব।”

চৈতি ক্ষনিকটা তাচ্ছিল্য হেসে বলে,
“আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম, রংধনু আমার ভিষয় প্রিয়। নিশ্চই মনে আছে?”
“তোমার কোনো কিছুই আমি ভুলিনি।”
চৈতি ক্ষনিকটা নিশ্চুপ থেকে বলে,
“আপনাকেও আমি আমার মনের রংধনু ভাবতাম। কিন্তু রংধনু একবার তার রং হারিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেলে কৃত্রিম রং দিয়ে কি তার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব?”

চুপ করে রইল ফাহাদ। এক মাঝেই সিয়াম এসে দাড়ায় চৈতির সামনে। ক্ষনিকটা অস্থিরতা নিয়ে বলে,
“স্যরি, খুব বেশি দেড়ি করিয়ে ফেললাম কি?”
চৈতি তার দিকে চেয়ে বলে,
“না সমস্যা নেই।”
সিয়াম ক্ষনিকটা মৃদু হাসে। অতঃপর ফাহাদের দিকে তাকালে চৈতি ফাহাদকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আশা করি উত্তর পেয়ে গেছের আপনি। আর কখনো যেন আপনার এই মুখ আমার দেখতে না হয়।”
ফাহাদকে আর কিছু বলার সুজুগ না দিয়েই সিয়ামের দিকে চেয়ে বলে,
“যাই এবার?”

ফাহিমকে কোলে তুলে নিল সিয়াম। সিএনজির দিকে পা বাড়ায় দুজন। আজ প্রথমবার সিয়ামের আঙুলের ভাঁজে আঙুল দিয়ে হাত ধরে চৈতি। চমকে হাতের দিকে তাকায় সিয়াম। ক্ষনিকটা মৃদু হাসে চৈতি। হয়তো ফাহাদকে আরো কষ্ট দিতে ইচ্ছে করেই করছে এমনটা।

ফাহিমকে এক হাতে কোলে তুলে নিয়ে অন্য হাতে চৈতির হাত চেপে ধরে হেটে চলছে সিয়াম। নিশ্চুপ হয়ে চেয়ে আছে ফাহাদ। নিজের ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারো হতে দেখলে কষ্ট টা কেমন হয় তা যেন আজ ভালো করেই বুঝিয়ে দিল চৈতি।

~ সমাপ্ত…………………….