শিরোনাম পর্ব-০৬

0
78

#শিরোনাম
#পর্বসংখ্যা_০৬
#মুসফিরাত_জান্নাত

নিত্যদিনকার নিয়মে ধরনীর বুকে নতুন দিনের আবির্ভাব হলো।তবে অতি সাধারণ সকাল নিয়ে নয়। অন্যরকম এক বিষাদের গন্ধ নিয়ে।আরও একটি তিক্ততার দাগ এঁকে দিয়ে।বাহির বাড়িতে আজ বৈঠক বসেছে।গ্রামেয় ময় মুরুব্বি, চেয়ারম্যান, জেরিনের পরিবার,কনার পরিবার,গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গ্রামের ছোট বড় অনেকেই উপস্থিত আছে এই বৈঠকে।স্বয়ং উপস্থিত আছে নিকটস্থ থানার ওসি জাফরুল্লাহ চৌধুরীও।বৈঠকের আয়োজনে এই জোয়ান ভদ্রলোকই সাহায্য করেছেন।কাল রাতে জুবায়ের, মনোয়ারা ও জেরিনের ঘটনায় তার মনে খটকা লেগেছিলো।পরবর্তীতে সবকিছু শুনে ও জেরিনের মনোভাব জেনেছেন তিনি।জেরিন আইনী ব্যবস্থা নিলে কাবিনের সব টাকা বুঝে নিয়ে ডিভোর্স দিতে পারবে জুবায়েরকে।এছাড়া অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে জুবায়েরকে।কি করতে হবে না হবে সবটা তিনিই বলেছেন জেরিনকে।জেরিন ওনাকে ভালোমতোই চিনতো।বছর তিনেক হলো তাদের থানায় ওসি হিসেবে নিযুক্ত আছেন জাফরুল্লাহ।সৎ পুলিশ অফিসার হিসেবে নামডাক আছে ওনার।জুবায়ের এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে এই লোকের নিকট দ্বারস্থ হতে হতো তার।কাল রাতের বেলায় উপস্থিত তাকে দেখে আনন্দিতই হয়েছিলো জেরিন।জুবায়েরদের শুনিয়ে শুনিয়ে এসব নিয়ে আলোচনা করছিলো জাফরুল্লাহর সাথে।জুবায়ের পা ভাঙার চিন্তা ভুলে জেরিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে তটস্থ হয়েছিলো তখন।মনেয়ারা ও জিনাতও ঘাবড়ে গিয়েছিলো কারাদন্ডের কথা শুনে।অর্থদন্ড নিয়ে মনের মাঝে যতটা না যন্ত্রণা হচ্ছিলো, এই ভাঙা পা নিয়ে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে ভাবতেই শিউরে উঠছিলো তারা।মনে মনে প্রমাদ গুনছিলো তিনজন।এ কেমন নিষ্ঠুর মেয়ে?জুবায়ের তো তার স্বামী।এতদিন ঘর করলো একসাথে।তারপরও কি তার এই করুন দশা দেখে মায়া হচ্ছে না?জুবায়ের এর এই হাল দেখার পরও কি করে জেরিন তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার পায়তারা করছে? কোনোভাবেই ভেবে পাচ্ছিলো না তারা।এদিকে জেরিন তার সিদ্ধান্তে অনড়।জুবায়ের এর সাথে যত খারাপ ঘটনাই ঘটুক না কেনো জুবায়ের এর দেহে যদি এতটুকু শ্বাসও সচল থাকে তবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কার্পণ্য করবে না সে।লোকটা তার সাথে প্রতারণা করেছে।তার মন ভেঙেছে।তার পুরো জীবন খুব খেয়ালে এলোমেলো করে দিয়েছে।একত্রে একটা সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে মাঝ সমুদ্রে তাকে আছড়ে ফেলেছে।এই লোককে সে কি করে ক্ষমা করবে?তার মনে যে ঝড় বয়ে চলেছে তা সে কি করে থামিয়ে রাখবে?এই লোককে শাস্তি না দিলে কি আদৌ তা কমবে?তাছাড়া এই পা ভাঙার উছিলায় তাকে ক্ষমা করা মানে অহেতুক মায়ায় জড়িয়ে তার করা অন্যায়ের পক্ষে চলা। তার বিরাট অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া।অন্যায়ের প্রশ্রয় দেওয়াও অন্যায়।প্রতারকের শাস্তিতে ঢিলেমি করা অর্থ অন্য প্রতারকের পথ প্রশস্ত করা।জেরিন তা করতে দিতে পারে না।তাকে এত সংগ্রামে বড় করা মায়ের আদর্শকে সে ঠুনকো মায়ার দোহাই দিয়ে এভাবে ধুলিস্যাৎ করতে পারে না।জুবায়ের এর ভাঙা পা নিয়ে যতটুকু খারাপ লাগা তার অন্তরে আছে তা লুকিয়েই রাখবে সে।খারাপ অবশয় তার লাগছে না এখন।কেননা জুবায়ের এর কর্মে যতটুকু ঘা তার হৃদয়ে লেগেছে তা তার ভাঙা পা দিয়ে বদলে দেওয়া সম্ভব নয়।বরং তার পরিণতিতে বুকের দহন একটু কমানো সম্ভব।আল্লাহ তায়ালা হয়তো তাই করেছেন।এজন্য কঠোর থাকবে সে।অন্যায়ের শাস্তি ষোলো আনা আদায় করে নিবে।এমনটাই সিদ্ধান্ত নেয় মনে মনে।কর্মেও তা পুরোপুরি ফুটিয়ে তোলে।তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে জাফরুল্লাহ।জুবায়ের এর সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়ে যায়।যা মা, মেয়ে ও ছেলের অন্তরে ভ’য় ধরিয়ে দেয়।জেরিনের আশেপাশে ঘেঁষে মন গলানোর চেষ্টা করতে থাকে তখন থেকেই।কিন্তু কাজ হয় না।রাত গড়াতেই বৈঠক বসায় জেরিন।উপরন্তু রাতে আরও একটু বাড়াবাড়ি করেছে সে।জুবায়ের যখন ঘরে গিয়ে জেরিনের খাটে শুতে যাচ্ছিলো তখনই হৈ হৈ করে বলে উঠেছে,

“খবরদার আমার বাবার বাড়ি থেকে আনা কোনো সামগ্রী ব্যবহার করবে না।এই খাট আমার বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া।এই খাটে ঘুমানোর কোনো অধিকার আর তোমার নেই।অন্য ঘরে যাও।”

জেরিনের এমন কথায় হতভম্ব হয়ে জুবায়ের জবাবে বলেছিলো,

“এসব কি বলছো তুমি?তোমার বাবার বাড়ি থেকে এনেছো বলে এসব ব্যবহার করার অধিকার আমাদের থেকে কেড়ে নিবে?তা হয় নাকি?”

“হ্যাঁ হয়।পুরো তোমার উপর থেকে যদি আমার অধিকার কেড়ে নিতে পারো, তবে আমার এতটুকু থেকে অধিকার কেড়ে নিতে এতটুকু কুণ্ঠিত হবো না।”

কাঠ হয়ে জবাব দিয়েছিলো জেরিন।জুবায়ের নরম স্বরে তাকে ভোলাতে যেই না বলতে নিলো,

“কিন্তু আমার উপর থেকে তোমার অধিকার তো আমি তুলে নেই নি।দ্বিতীয় বিয়ে করেছি মানেই তো আমার উপর থেকে তোমার অধিকার তুলে নেওয়া নয়?বউকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা ইসলামে পাপ নয়।”

ঠিক তখনই অগ্নিচোখে তাকায় জেরিন।ক্রুদ্ধ হয়ে বলে,

“খবরদার কথায় কথায় ইসলাম টানতে আসবে না।দেশের আইন মোতাবেক দ্বিতীয় বিয়ের আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন।আর একজন মুসলিম হিসেবে দেশের আইন মানা সুন্নাত।তাছাড়া তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছো।তুমি আমাকে বিয়ের সময় কথা দিয়েছিলে তোমার সন্তান প্রয়োজন নেই।তুমি সন্তানের জন্য আমার মনে দাগ কাটবে না।অথচ তুমি সবচেয়ে জঘন্য দাগটা আমার মনে কাটলে।আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করলে।ইসলাম এসব সমর্থন করে?ইসলামে ওয়াদা ভঙ্গকারীদের শাস্তি জানো?ওয়াদা ভঙ্গ করেছো তুমি।এটার শাস্তিই হয়তো পাওয়া শুরু করেছো।ভবিষ্যতে আরও পতন হবে তোমার।আলহামদুলিল্লাহ পড়ো যে দুনিয়ার বুকে আল্লাহ তোমাকে শাস্তি দিচ্ছেন।ম’রনের পরে দেওয়ার জন্য তুলে রাখলে তা সইতে পারতে না।এখন ঘর থেকে বের হও।তোমার মুখ দেখতে চাই না আমি।আগামী কাল ডিভোর্স দেওয়ার পর থেকে চিরতরে দেখার পাঠ চুকিয়ে ফেলবো।বের হও এখন।”

হুংকার দিয়ে জুবায়েরকে ঘর থেকে রাতে বের করেছিলো সে।জুবায়ের অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে তাকিয়ে দেখছিলো এসব।মনোয়ারা ও জিনাত হৈ হৈ করে এগিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় জেরিন নিজেই।অতপর সবার মুখের উপর খট করে দরজা লাগিয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।ওদিকে কনার অবস্থা তখন অন্যরকম।রাতের বেলায় সে ছিলো নিথর নিস্তব্ধ।সবচেয়ে কাছের মানুষদের করা জঘন্যতম কাজের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো সে।সে যেনো ভাবতেই পারেনি যাদের অন্ধবিশ্বাস করে বিয়েতে মত দিয়েছিলো তারাই তার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাকে অন্ধ প্রমাণ করে দিবে।সেই বা কিভাবে জানতো?তার আপন বাবা তাকে ছাপিয়ে একটা বিবাহিত লোকের গলায় তার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ব্যতিরেকে ঝুলিয়ে দিবে?তাও বা অপারেশন বাবদ কিছু টাকা পাওয়ার লোভে ও দেনা টাকা মওকুফ যাওয়ার সুযোগ পেয়ে?তাকে দেখে নাকি জুবায়ের এই প্রস্তাবই দিয়েছিলো মোকছেদ এর কাছে।দীর্ঘ দিন অর্থ সংকটে থাকা মোকছেদ শেষ সময়ে নিজের জীবন বাঁচানোর এই সুযোগটুকু ছাড়তে চায়নি।কনা জানতে পারলে বিয়েতে মত দিতো না জানতেন মোকছেদ। বিবাহিত পুরুষ বিয়ে করার জন্য নয়, অন্য রমনীর সাথে প্রতারণা করার জন্য মত দিতো না।কনা শিক্ষিতা ও আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন মেয়ে।অশিতিপর বৃদ্ধা মায়ের যুক্তিতে মাঝ বয়সী মোকছেদ তাই কনাকে না জানিয়ে বিয়েটা দেয়।এতে যে তার মেয়ে অসুখী হবে না তা তিনি জানতেন।পুরুষের ছোট বউ থাকে সবচেয়ে আদরে।শ্বশুর বাড়িতে রানীর হালতে কেবল দ্বিতীয় বউই থাকতে পারে।কনাও পারবে।প্রথম কিছু দিন হয়তো রাগ দেখাবে এজন্য কিন্তু পরে ঠিকই সব ভুলে সংসারে মন দিবে।বাবার উপর মান ভেঙে যাবে।হাজার হোক মেয়ে তো!এসব ভেবেই বিয়েটা দিয়েছিলেন তিনি।

দাদীর মুখে মোকছেদের এই ধ্যান জ্ঞান শুনে কতক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে থাকে কনা।তার আপন বাবাও যে এমনটা করে বসবে তা কি কখনো সে জানতো?সারারাত কেমন ঘোরের মধ্যে কাটে তার।বিশ্বাস হতে চায় না নিজের কানকে।কিন্তু সত্যি এটাই এই প্রতারণায় জুবায়ের এর সাথে তার বাবাও সামিল।যা নিরুপায় করে দিয়েছে তাকে।তথ্য প্রমাণ গোপন রেখে বিয়ে করার দায়ে জুবায়ের এর বিপরীতে যেই পদক্ষেপ সে নিতে পারতো তা ভন্ডুল করে দিয়েছে তার বাবা।তবুও পদক্ষেপ নিলে তার বাবার বিরুদ্ধেও তা বর্তাবে হয়তো।তাও কার্যকর কোনো আইন এর বিপরীতে আছে কিনা তা সে জানে না।এজন্য কি আবার তাকে আইনজীবীর কাছে যেতে হবে তাকে?আদৌ কাজ হবে কি এতে?তার মনের দহন কি কিছু কমবে?নাকি বাবার শারীরিক অবস্থা ও রক্তের টানের জন্য সে নিরুপায় হয়ে সবটা মেনে নিবে?এতে কি জেরিনের সাথে অন্যায় করা হবে না?তার বড় মুখ করে বলা কথাগুলোর মান থাকবে?সারারাত ভেবেও এসব প্রশ্নের উত্তর পায়নি সে।তার মাথায় একটা বিষয়ই চক্কর খেয়েছে কেবল।যার দেহের অংশ পেয়ে তার জন্ম হলো সেই লোকটাই তাকে চরম ভাবে ঠকালো।জুবায়ের তো পর কেও।তাকে আর কিভাবে দোষ দিবে সে?সে তো তার পরিবারকে সত্যিটা জানিয়েছিলোই।

বাস্তবতা এবার উত্থাল নদীতে ফেলে দেয় কনাকে।এ মুহুর্তে এসে মাকে ভী মনে পড়ে তার।তার মা জীবিত থাকলে হয়তো এমন দিন তার দেখতে হতো না।এভাবে সিদ্ধান্তহীনতায়ও ভুগতে হতো না।ঠিকই এসব থেকে তাকে আগলে রাখতো তার মা।গায়ে যত চড়া রোদই লাগুক তাকে ছায়া ঠিকই দিতো।কে বলে মায়েরা সন্তানকে ছায়া দিতে পারে না?এ মুহুর্তে এসে কনার মনে হয় মায়েরাই সবচেয়ে ঘন ছায়া সন্তানকে দেয়।বাবা ব্যতীত সংসারে মায়ের আশ্রয়ে নিশ্চিন্তে বাঁচা যায়।কিন্তু মা বিহীন সংসারে বাবার কাঁধে নিশ্চিন্ত মনে বাঁচা যায় না।এজন্যই হয়তো প্রচলিত আছে, মা ম’রলে বাবা হয় তালই।

ভাবতে ভাবতে সারারাত দুচোখের পাতা এক করে নি কনা।আজ ওমন রাত জাগা চোখেই বৈঠকে বসেছে।ঘোর কাটিয়ে একটা ভ’য়ংক’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।বৈঠক শেষ হলেই তা ফলাবে ভেবে চুপ থেকে বৈঠকের বিচার দেখে চায়।জেরিন এক এক করে বিস্তারিত সব বলে।সব শুনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রে’গে আগুন হয়ে যান।জুবায়ের এর থেকে জবাব দিহি চান তিনি,

“এই দেশের আইন কি আপনি জানেন না জুবায়ের?সালিসি পরিষদের কাছে অনুমতি ব্যতিরেকে, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিরেকে গোপনে কোন সাহসে আপনি বিয়ে করলেন?প্রথম বিয়ের সময় আপনার প্রথম স্ত্রীকে দেওয়া কথানুযায়ী রাজি হবে না বলে?এর পরিণতি কতটা ভ’য়া’ব’হ হবে তা জানেন?এই ভা’ঙা পা নিয়ে আপনার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে পারবেন তো?”

জুবায়ের এর জবাবে নির্বাক থাকে।অনেকগুলো কটুক্তির আঘাত মুখ বুঁজে সয়ে ভেজা বেড়ালের মতো মিনমিন করে বলে,

“আমি জেরিনকে আমার স্ত্রী রুপেই রাখতে চাই।ও চাইলে এই বাইরে ওর নামে লিখে দিবো।আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আলাদা বাড়িতে থাকবে।দু পক্ষের হক যথাযথ আদায় করবো আমি।আর বর্তমানে যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চাইছি আপনাদের কাছে।”

উপজেলা চেয়ারম্যান যিনি তিনি এবার বলেন,

“আমাদের ক্ষমা করা না করায় এখানে কিছু যায় আসে না।সব কিছু এখন আপনার বউয়ের উপর নির্ভর করছে।তিনি ক্ষমা করলে, আপনার বিরুদ্ধে কোনো আইনী পদক্ষেপ না নিলে আপনি ক্ষমা পাবেন।অন্যথায় আপনার কৃতকর্মের ফল আপনি ভোগ করবেন।”

চেয়ারম্যান এর কথায় করুন চোখে জেরিনের দিকে তাকিয়ে ভরা মজলিসে ক্ষমা চাইতে উদ্যত হয় জুবায়ের।জেরিন তার আগেই কাঠ হয়ে বলে,

“আমি আইনী ব্যবস্থা নিবো।আপনারা বিচার করে এ বাড়িতে আমার পাওনাটুকু আজ বুঝে নিয়ে যেতে না দিলেও আইন ঠিকই দিবে।হয়তো দুইদিন আগে আর পরে।আইনী ব্যবস্থা নিয়ে জেলের ভাত ওকে আমি খাওয়াবই।আমার মন ভাঙার মানুষের সাথে কোনো আপোষ আমি করবো না।”

চলবে