#এরই_মাঝে
#পর্ব-১১
জাকিয়া সন্দিহান নজরে দু’জনকে দেখছে। ছেলের কাছে জানতে চাইলো-“ওকে চিনিস তুই? তোরা দু’জন দু’জনকে চিনিস? তাহলে বিয়ে করে সেই রাতে চলে এলি কেন?”
রিদওয়ান অবাক হলো মায়ের কথায়-“কি বলছো মা? বিয়ে করে চলে আসার সাথে ওনাকে চেনার সম্পর্কটা কি?”
জাকিয়া রেগে গেলো-“কারণ ও তোর বিয়ে করা বউ। সে রাতে তো ওর চেহারা ঠিক মতো দেখিসনি মানে দেখতে চাসনি। আর এখন দেখছি দু’জনই একে অপরকে চিনিস। এসবের মানে কি বলবি?”
মায়ের কথা শুনে রিদওয়ানের চোখ দুটো গোল আলুর ন্যায় হয়ে গেলো। এই মেয়ে তার বিয়ে করা বউ? কোন দিক দিয়ে? মায়ের কথার কি জবাব দেবে বুঝে না পেয়ে রিদওয়ান বোবা বনে গেলো। পরিস্থিতি সামলাতে ওয়াহেদ বললো-“দু’জন কাছাকাছি ক্যাম্পাসে থাকে। হয়তো কোথাও দেখা হয়েছে। বাদ দাও তো এসব কথা। পরে জানা যাবে ওদের ব্যাপারে। আপাতত রোদেলার কেক কাটা হোক। মেয়েটা অপেক্ষা করছে কখন থেকে আর আমাদের খিদে পেয়ে গেছে।”
জাকিয়া কথা বাড়ালো না তবে সন্দেহ গেলো না তার মন থেকে। রিদওয়ান কি কোনভাবে শায়লা মেয়েটাকে আগে থেকে চেনে? এইজন্যই বুঝি দাদুর কথা ফেলতে পারেনি। জাকিয়া মাঝে মাঝে শায়লাকে দেখছে। এদিকে পল্লবী আর মালিহা মিলে কেক সাজিয়ে ফেললো। তারপর রোদেলার সাথে দাঁড়িয়ে থেকে সবাই মিলে হ্যাপি বার্থডে গান গাইলো আর রোদেলা কেক কাটলো। বাচ্চা মেয়েটা এতেই খুশি হয়ে হাততালি দিচ্ছে বারবার। শায়লা আর রিদওয়ান আড়ষ্ঠ হয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। দু’জনে মাঝেই ভীষণ অসস্তি। রোদেলা এগিয়ে এসে দু’জনকে কেক খাইয়ে দিল। কেক খেতে খেতে রিদওয়ান দু একবার শায়লার দিকে তাকালেও শায়লা একদমই ঝিম মেরে গেছে। সে ভুলেও রিদওয়ানকে দেখলো না। শায়লার আসলে হাত পা কাঁপছে। এ কেমন ধরনের কোইন্সিডেন্স সে বুঝে পাচ্ছে না। তার পরিকল্পনা ছিলো জীবনে বিয়ে করবে না। যদি করেও কোনদিন কোন ডাক্তারকে বিয়ে করবে না। কারন তার উনিশ বছরের জীবন বড্ড কঠিন কেটেছে। মায়ের সন্মানহীন দয়ার সংসার, আত্মীয় স্বজনের গঞ্জনা, পাড়া প্রতিবেশীর সহানুভূতি, শায়লার বন্ধুবিহীন জীবন সবকিছু সয়ে সয়ে আজকের ইস্পাত কঠিন শায়লা তৈরী হয়েছে। আর এতোসবের পেছনে আছে তার ডাক্তার বাবা। কিভাবে সে কোন ডাক্তারকে জীবন সঙ্গী হিসেবে মেনে নেবে। এসব ভাবতে ভাবতে এই পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নিজেকে ভগ্নপ্রায় আবিস্কার করলো সে। পুরুষ মানুষে তার বিশ্বাস নেই ডাক্তারকে তো আরও নয়। আর যাকে বিশ্বাস করা যায় না তার সাথে পুরো জীবন কিভাবে কাটবে? এই লোকটাও নিশ্চয়ই অন্য কাউকে পছন্দ করে নয়তো ভবিষ্যতে করবে। ভাবনাগুলো ওর মাথা এলোমেলো করে দিচ্ছে। শায়লা চুপ করে বসে রইলো।
খাওয়ার সময়ও খেতে পারলোনা সে, প্লেটের ভাত নাড়লো কেবল। রিদওয়ান কোনরকমে খাবার শেষ করে উঠে গেলো। শায়লা যেন তাতে হাফ ছেড়ে বাঁচলো। সে খাওয়া শেষ করে ওয়াহেদের দিকে তাকিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাইলো-“আঙ্কেল আমি তাহলে যাই এখন।”
মুনিয়া চোখ কপালে তুলে বললো-“যাবে মানে? কোথায় যাবে?”
শায়লা মিনমিন করে জবাব দিলো-“হলে ফিরবো আপু।”
“হলে ফিরবে কেন? রিদু এসেছে ওকে সময় দাও। আফটারঅল বিয়ের পরে তোমাদের প্রথম দেখা। সকালে দুজন একসাথেই তো যেতে পারবে অযথা রাতে কেন হলে ফিরবে?”
শায়লা অসহায় বোধ করে। ওয়াহেদের দিকে তাকালো অনুমতির আসায়। ওয়াহেদ কোমল গলায় বললো-“আজ থেকে যাও মামনী। রিদওয়ানও আছে যেহেতু। কাল সকালে ওর সাথে চলে যেয়। আর এখন থেকে ছুটির দিনগুলো বাসায় চলে আসবে। একা একা হলে থাকার দরকার নেই।”
শায়লা সে কথার প্রতিউত্তর করলো না। ওয়াহেদ মালিহাকে বললো-“ওকে একটু রিদওয়ানের ঘরে দিয়ে এসো। রিদওয়ানকে বলবে আমি পাঠিয়েছি।”
শায়লা লজ্জায় এতটুকু হয়ে গেলো। এ যেন জোর করে জায়গা দখলের চেষ্টা। ও তো এমন চায়নি কখনোই। নিজেকে ভীষণ ছোট মনেহচ্ছে। কিন্তু কাকে কি বলবে? এখানে আপন কেউ তো নেই যাকে নিজের পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলবে। শায়লার পা থমকে যেতে চায়।
মালিহা রিদওয়ানের কামরার সামনে এসে দরজায় আওয়াজ করলো-“রিদওয়ান আছো?”
দরজা খুলে গেলো। রিদওয়ান দাঁড়িয়ে আছে সামনে। গায়ে নরমাল গেন্জি আর ট্রাউজার, হাতে তোয়ালে। সম্ভবত গোসল করেছে মাত্র। শায়লাকে দেখে থতমত খেয়ে বললো-“হ্যা ভাবি, কিছু বলবে?”
“বাবা ওকে পাঠালো। আজ এখানে থাকবে।”
রিদওয়ান না বুঝে হা করে তাকিয়ে আছে। মালিহা এবার হাসলো-“ওকে রুমে ঢুকতে দাও। তোমার বউ তোমার সাথেই তো থাকবে নাকি?”
রিদওয়ান এর খুব ইচ্ছে করছে মেয়েটার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিতে। এমনিতেই বিয়েটা তার কাছে ছেলেখেলা মনে হয়েছে। তারপর আজ এই মেয়েকে দেখে মেজাজের দফারফা হয়েছে। এরকম আকস্মিক ঘটনা কেন তার সাথেই ঘটে? এই মেয়েটাকেই কেন তার বউ হতে হবে? বউয়ের চেহারা না দেখার এই হলো কুফল। রিদওয়ান অনেক কষ্টে নিজের রাগ সামলে নিলো। দাঁতে দাঁত চেপে শায়লার দিকে তাকালো একবার। হুট করে গতদিন শায়লার বলা কথাগুলো মনে পড়লো। কি যেন বলেছিল মেয়েটা? ‘ছেলে ডাক্তার মানেই এক একটা বড় লুচু। চোদ্দটা প্রেম চোদ্দটা বিয়ে না করলে হয় না এদের। আই জাস্ট হেইট ডাক্তার।’
শায়লার কথাগুলো মনে পড়তেই পৈশাচিক একটা হাসি ফিরে এলো ওর মুখে৷ এতো তাড়াতাড়ি কাউকে এইরকম জব্দ করার সুযোগ পাবে ভাবেনি একদমই। ও সাথে সাথে দরজা থেকে সরে দাঁড়ায়-“হ্যা ভাবি। বউ আমার আমার সাথেই তো থাকবে।”
দেবরের কান্ড দেখে মালিহা হেসে দিলো, শায়লাকে নিয়ে ঘরে ঢুকলো-“সেদিন বিয়েই করতে চাইছিলে না আর আজ আমার বউ? নট ব্যাড দেবরজি। তুমি দেখি ছুপা রুস্তম। এই নাও তোমার বউ। আমি গেলাম।”
মালিহা চলে গেলে রিদওয়ান দরজা বন্ধ করে দিয়ে পিছু ফিরলো। শায়লা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে একবার দেখে মাথাটা ভালো করে মুছে তোয়ালে মেলে দিতে বারান্দায় গেলো রিদওয়ান। ফিরে এসে শায়লাকে একই জায়গায় দাঁড়ানো পেলো। ওর প্রচন্ড হাসি পেলো শায়লার অবস্থা দেখে। মুখটা গম্ভীর করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সময় নিয়ে চুল আচরালো। আড়চোখে কয়েকবার দেখে নিলো। ও আসলো কিভাবে কথা শুরু করবে তাই বুঝতে পারছে না।
এদিকে শায়লার বুক ধুকপুক করছে। রিদওয়ানের দরজা বন্ধ করার শব্দটা কানে আসতেই ওর শরীর কেঁপে উঠলো ভীষণ ভাবে। এখন কি হবে? ছেলেটা কি অপমান করবে ওকে? সেদিন ভীষণ উল্টো পাল্টা বকেছিল সে তার শোধ তুলবে নাতো? ভয়ে কুকরে গেলো শায়লা। মাথা নিচু করে থাকলেও রিদওয়ান এর নড়াচড়া টের পাচ্ছে সে। এখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে তাকেই যে দেখছে সেটাও পরিস্কার বুঝতে পারছে। এ কেমন পরিস্থিতিতে পড়লো সে? এই অপরিচিত বাড়ির অপরিচিত ঘরে একজন অপরিচিত মানুষের সাথে দাঁড়িয়ে আছে অথচ মানুষটা নাকি তার স্বামী। এরকম আজব ঘটনা আসলে মেয়েদের সাথেই ঘটতে পারে। শায়লা কিছুক্ষণ আগের কথাবার্তা মনে করলো। কি যেন বলছিল সবাই? ছেলেটা বিয়েতে রাজি ছিলো না? তারমানে নিশ্চয়ই কোন সম্পর্ক ছিলো। শায়লা তাচ্ছিল্য ভরে হাসলো মনে মনে।
“আজ কি আমাদের বাসর রাত? উমমম বিয়ের পর প্রথম দেখা, সেই হিসেবে তো বাসর রাতই হওয়ার কথা। তাই না শায়লা?”
চিন্তায় নিমগ্ন শায়লা চমকে উঠলো। রিদওয়ানের মুখপানে চেয়ে বোঝার চেষ্টা করলো সে কি মজা করছে কিনা। কিন্তু বুঝতে ব্যর্থ হলো। সে কথা না বলে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো।
“কি যেন বলেছিলেন আপনি? ডাক্তাররা লুচু হয়। ডাক্তারদের একমাত্র কাজ প্রেম করা নয়তো বিয়ে করা। তাইতো?”
শায়লা তবুও চুপ। রিদওয়ান একপা দুপা করে শায়লার সামনে এসে দাঁড়ায়-“এখন আপনি কি করবেন শায়লা? আপনার বর একজন ডাক্তার তারমানে একজন লুচুও বটে। কি করবেন শায়লা? বাসরঘর ছেড়ে পালাবেন?”
শায়লা চুপ। ওর হাত পা কাঁপছে। রিদওয়ান এমন উল্টো পাল্টা কেন বলছে? সে উল্টো পাল্টা বকেছে বলে শোধ তুলছে? রিদওয়ান আরও একটু এগিয়ে এসে শায়লার কানে ফিসফিস করলো-“এখন যদি আপনাকে চুমু দেই তাহলেও কি আমাকে লুচু বলবেন? বউকে চুমু দিলে চরিত্রহীন বলা যায়?”
শায়লার গালে রক্ত জমে, নাকের ডগা চেরির মতো হয়ে যায়। ঘামার্ত কপাল জানান দিচ্ছে ও কতটা নার্ভাস। রিদওয়ানের বেশ মজা লাগছে শায়লার নাস্তানাবুদ অবস্থা। সেদিন শায়লার কথাগুলো শুনে ওর নিজেরও কি তেমন অবস্থা ছিলোনা? সেকথা মনে আসতেই হেসে বিছানায় গড়িয়ে পড়ে-“শুধু চুমু কেন আপনার সাথে আরও অনেক কিছু করলেও কেউ আমাকে কিছুই বলবে না। এটা কি বুঝতে পারছেন?”
শায়লা বারবার শ্বাস ফেলে। ভীষণ অস্থির লাগে তার। ছেলেটা কেন বারবার এসব বলছে? রিদওয়ান আরও কিছুটা সময় চুপচাপ শায়লাকে দেখলো। বুঝতে পারছে শায়লার মুখে বোমা ফেললেও আজ কথা বের হবে না। এমন বেকায়দায় পড়েছে মেয়েটা। রিদওয়ান বিরক্তি নিয়ে বললো-“না জেনে কারো সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত না। হয়তো কোন একজন ডাক্তার নিয়ে আপনার বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে তারমানে এই না যে সব ডাক্তার খারাপ। আপনার মতো ভাবলে আমিও বলতে পারি মেয়ে মাত্রই স্বার্থপর, বিশ্বাসঘাতক। কিন্তু আমি কি তা বলছি?”
শায়লা চমকে তাকালো রিদওয়ানের দিকে-“তারমানে আপনার জীবনে কেউ ছিলো? কোন মেয়ে? বিয়েতে রাজি ছিলেন না এই কারনে? আমি তাহলে ঠিকই ভেবেছিলাম?”
রিদওয়ান আকাশ থেকে পড়ে-“আজব! আপনি কি ভেবেছিলেন তার আমি কি করে জানবো?”
শায়লা রেগে গেলো-“বেশি চালাকি করবেন না। সত্যি করে বলুন তো, আপনার রিলেশন আছে কিনা।”
“আশ্চর্য! আমার রিলেশন আছে কিনা তা আপনাকে বলতে যাব কেন? আর থাকলেই বা, তাতে আপনার কি কাজ?”
“তাতে আমার কিছু না। আমি শুধু দাদাজানকে বললো, ঠিক এই কারণে বিয়ে করতে চাইনি আমি, ডাক্তার ফাক্তার তো আরও না।”
শায়লা দাঁতে দাঁত চেপে কথাগুলো বলতেই রিদওয়ান লাফিয়ে উঠলো-“আমিও এই কারণেই বিয়ে করতে চাইনি। আপনার মতো মেয়েকে তো আরও না।”
“আমার মতো মেয়ে মানে?”
“আপনার মতো বেয়াদব মাথামোটা মেয়েকে।”
শায়লা অবাকের চুড়ান্ত-“আমি বেয়াদব মাথামোটা!”
রিদওয়ান মাথা নাড়ে-“অবশ্যই।”
“আপনি জানেন আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেরিট লিষ্টে প্রথম বিশ জনের মধ্যে ছিলাম।”
“রিয়েলি? এইজন্য বুঝি অনার্স পড়ছেন?” রিদওয়ান ব্যঙ্গ করলো। শায়লা লাল চোখে রিদওয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। ওকে দেখে মনেহচ্ছে সুযোগ পেলেই রিদওয়ানকে ভস্ম করে দেবে। রিদওয়ান ওর দৃষ্টিতে পাত্তা না দিয়ে চোখ নাচায়-“এভাবে কি দেখছেন? চোখ দিয়ে ভয় দেখালেই আমি ভয় পেয়ে আপনার কথা মেনে নেব এমন ভাববেন না। তাছাড়া যদি মেনেও নেই আপনি মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলেন তবুও আপনার মাথামোটা বিশেষন সরাব না। যে একজনকে দিয়ে গোটা ডাক্তার সমাজকে জাজ করে সে আসলে মাথামোটাই।”
শায়লা হুট করে হেসে দিলো-“আপনিও তো তাই করছেন। একটা মেয়ের জন্য গোটা নারী জাতিকে স্বার্থপর বিশ্বাসঘাতক বলছেন।”
রিদওয়ান হাসলো না। তার বিরক্ত লাগছে। মেয়েটা ভীষণ চতুর সন্দেহ নেই। কথার খেলায় পারদর্শী। কোথায় যেন পড়েছিল, চতুর মেয়েদের সাথে সংসার টিকিয়ে রাখা কঠিন। এরা সংসারটাকে সংসার কম যুদ্ধের ময়দান বেশি ভাবে। রিদওয়ান মোবাইলে সময় দেখে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো-“কাল সকালে হাসপাতালে ডিউটি আছে আমার তাই এখন আর জেগে থাকতে পারছি না। আপনি চাইলে এখানে ঘুমাতে পারেন নয়তো বসে থাকুন সারারাত। তার আগে প্লিজ বাতিটা বন্ধ করে দেবেন। ভয় লাগলে ড্রিম লাইট জ্বালিয়ে দেবেন। বাম দিকের কোনটা ড্রিম লাইটের সুইচ।”
আচমকা রিদওয়ান এর হার মেনে নেওয়া ঠিক হজম হলো না শায়লার। তাকিয়ে দেখলো রিদওয়ান পাশ ফিরে শুয়েছে। কথা বাড়ায় না শায়লা। বাতি বন্ধ করে এসে বিছানার এক কোনে বসলো। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে এই অদ্ভুত পরিস্থিতি অবলোকন করলো মনে মনে। একদিন আচমকা এক অচেনা পুরুষের সাথে থাকতে শুরু করার নামই কি বিয়ে? সৃষ্টির আদিকাল থেকেই তো এই রেওয়াজ চলে আসছে। শায়লা আবারও রিদওয়ান এর দিকে তাকালো। ডিম লাইটের আলোয় রিদওয়ানকে ঘুমাতে দেখলো। আচ্ছা, রিদওয়ান কেন এতো স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিল তাকে? সেও তো অচেনা রিদওয়ান এর কাছে?
চলবে—-
©Farhana_Yesmin