স্বপ্ন জুড়ে তুমি পর্ব-৩১ এবং শেষ পর্ব

0
84

#স্বপ্ন_জুড়ে_তুমি
#পর্ব_৩১(অন্তিম পর্ব)
#সামসুন_নাহার

সময় গতিশীল। আপন গতিতে সময় চলতে থাকে।মানবজীবন কোনো কারনে জীবনে থমকে গেলেও সময় কখনো থমকে যায় না।সে কারো জন্য অপেক্ষা করে না।সে নিজ নিয়মে চলে।সবাই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে।

তেমনিভাবে সবার জীবন থেকে চলে গেছে কয়েকদিন।এই কয়েকদিনে বদলে গেছে অনেককিছু।সাইদুর রহমান সুস্থ হয়েছেন।তিনি আর আগের মত রাগ নিয়ে থাকেন না।নিজ স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন না।সবার সাথে মিলেমিশে থাকেন।

অপরদিক প্রিয়শার জীবনে কিছু পরিবর্তন এসেছে।তার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি আগের চেয়ে অনেকটা মেনে নিয়েছে তাকে।তবে প্রিয়শা আশা করে সব ঠিক হয়ে যাবে।কারন একটা সম্পর্ক চাইলেই হুট করে ঠিক হয়ে যায় না।সম্পর্কের উন্নতির জন্য সময় লাগে।তবে সময়ের গতিতে সব ঠিক হয়ে যাবে।তাহমিদের সাথেও অনেক সুখে, হাসি, আনন্দে জীবন যাচ্ছে তার।

সাইদুর রহমান আজ এসেছে প্রিয়শার শ্বশুর বাড়িতে। প্রিয়শার বিয়ের পর তেমনকরে এই বাড়ির কারো সাথে পরিচিত হওয়া যায়নি।তাই সাইদুর রহমান প্রিয়শার শ্বশুর বাড়ির লোকদের দাওয়াত দিতে এসেছেন।মেয়ে যখন বিয়ে করে ফেলেছেই এখন মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।তাছাড়া মেয়ে যখন সুখে আছে আর কি দরকার।সেদিন হাসপাতালে তিনি তাহমিদ বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তাদেরকে অপমান করার জন্য।এবং তাহমিদের বাবা-মা সেদিন বলে দিয়েছেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে।আর যেন সেই পুরনো কথা না উঠে।সেদিন সাইদুর রহমান তাহমিদের মা-বাবার দিকে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন।

সাইদুর রহমান বসে আছেন এসব ভাবছিলেন তখন ফিরোজ ইসলাম এসে সাইদুর রহমানের সামনে বসে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন,

“কি বেয়াই সাহেব কি অবস্থা আপনার।”

প্রতিউত্তরে সাইদুর রহমান হেসে বললেন,

“যাচ্ছে ভালো।আপনাদের দিন কেমন যাচ্ছে।”

“আমাদের দিন তো ফাটাফাটি যাচ্ছে। তো আজ কি মনে করে আমাদের কথা মনে পরল।”

সাইদুর রহমান কন্ঠে সামান্য নিম্নতা বজায় রেখে বললেন,

“আপনাদের সাথে তো তেমন করে পরিচয় হয়ে উঠেনি।আর আমাদের সম্পর্ক আর পাঁচজন স্বাভাবিক মানুষের মত করে শুরু হয়নি।তাই আমাদের এই আত্মীয়তার সম্পর্ককে নতুন করে শুরু করার জন্য সামান্য কিছু ব্যবস্থা করেছি।আপনাদের দাওয়াত দিতে আসলাম।আপনারা সবাই যাবেন কিন্তু।আমাদের কিছু আত্মীয় স্বজনরা আসবে। সবার সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব। যদি আগের সবকিছু ভুলে আসতেন তাহলে ভালো হতো।”

“আরে বেয়াই এতো চাপ নেওয়ার কিছু নেই আমরা সবাই যাবো।আপনি নিশ্চিন্তমনে থাকুন।পূর্বে যা হয়েছে সব ভুলে যান।নতুন করে সবকিছু শুরু হোক।

ফিরোজ ইসলামের কথায় সাইদুর রহমান তার দিকে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকালেন।কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা বেশিক্ষণ রাগ ধরে থাকতে পারেন না।তেমনিভাবে ফিরোজ ইসলাম বেশিক্ষণ কারো উপর রাগ করে থাকতে পারেন না।তাই তো তিনি সবকিছু সহজভাবে নিয়েছেন।হয়তো অন্য কেউ হলে অনেক ঝামেলা করত।কিন্তু ফিরোজ ইসলাম এসবের কিছুই করেননি।

ফিরোজ ইসলাম ও সাইদুর রহমান দুইজনেই গল্প করতে মশগুল হয়ে গেলেন।সেখানে কিছুক্ষণ পর প্রিয়শা এসে সাইদুর রহমানের উদ্দেশ্যে বলল,

“আব্বু তুমি বাসা থেকে অনেক আগেই বেড়িয়েছ।এখানে আসার তো বেশি সময় হয়নি।তাহলে এতক্ষণ কই ছিলে।আম্মু ওইদিকে চিন্তা করছে।আম্মুকে তো বলেও আসোনি।”

প্রিয়শার কথা শুনে সাইদুর রহমান হেসে বললেন,

“একটা কাজে গিয়েছিলাম।”

“কি কাজ।”

“আয়শার কাছে গিয়েছিলাম।ওর সাথেও তো আমি ভুল করেছি।ওর সাথেও আমি খারাপ ব্যবহার করেছি।সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে গিয়েছিলাম।তাকেও নিমন্ত্রণ করে আসলাম।মেয়েটা ভালো তাই আসতে রাজি হলো।অথচ আমি..।”

সাইদুর রহমানকে কথার মাঝখানে থামিয়ে প্রিয়শা হেসে বলল,

“পুরনো কথা বাদ দাএ আব্বু।সবকিছু নতুন করে শুরু হয়েছে আর আমরা পুরনো কথা না বলি।”

প্রিয়শা থেমে আবার তার দুই আব্বুর উদ্দেশ্যে বলল,

“তোমরা গল্প করো আমি তোমাদের জন্য চা নিয়ে আসি।”

——————-
“কি করো বরমশাই।”

“অফিসে এসে মানুষ কি করে ম্যাডাম।কাজ করতেছি।”

প্রিয়শার কথার প্রেক্ষিতে তাহমিদ প্রিয়শাকে কিছু না বলায় প্রিয়শা ক্ষানিকটা মন খারাপ করে বলল,

“ওহ।আচ্ছা ঠিক আছে।”

তাহমিদ বোধহয় বুঝল তার প্রিয় রাগ করেছে।তাহমিদ হালকা মুচকি হাসল।হেসে প্রিয়শার উদ্দেশ্যে বলল,

“আমার প্রিয় অর্ধাঙ্গিনী কি করছে।”

প্রিয়শা কিছুক্ষণ আগের মন খারাপের জন্য বলল,

“কিছু না।রাখছি এখন।”

তাহমিদ হেসে আবার বলল,

“আমার জীবন সঙ্গিনী রাগ করেছে।”

প্রিয়শা কপট রাগ দেখিয়ে বলল,

“না আমি রাগ করিনি।আমি আবার রাগ করতে পারি।”

প্রিয়শার এমন কথা শুনে তাহমিদ উচ্চস্বরে হেসে উঠল।ফোনের ওপাশ থেকে প্রিয়শা চোখ বুজে অনুভব করল তাহমিদের সেই মনোমুগ্ধকর হাসি। তাহমিদ হাসি থামিয়ে অনুরোধের সুরে বলল,

“কি করলে আপনার রাগ ভাঙ্গবে বেগম সাহেবা।আপনার রাগ ভাঙ্গাতে এই বান্দার জান হাজির।আপনি শুধু মুখ দিতে উচ্চারণ করে দেখুন বেগম।”

তাহমিদের কথা শুনে প্রিয়শা হেসে আদেশ বাণীর সুরে বলল,

“জান দিতে হবে না জাঁহাপনা।আপনি শুধু রাতে তাড়াতাড়ি আসবেন তাহলে এই বেগম খুশি হয়ে যাবে।”

“জো হুকুম বেগম সাহেবা।এই বান্দা আপনাকে অনেক অনেক ভালোবাসে।”

“আমিও।”

তাহমিদ দুষ্টুমির কন্ঠের রেশ ধরে বলল,

“কি তুমিও কি।”

প্রিয়শা লজ্জা পেল।প্রিয়শা এখন তাহমিদের কথায় যখন তখন লজ্জা পায়।প্রিয়শার রোগে পেয়েছে তাহমিদের কথা শুনে লজ্জা পাওয়ার। প্রিয়শার ভাবনার মাঝেই তাহমিদ বলল,

“কি হলো বলো।”

প্রিয়শা লজ্জায় লাল হয়ে বলল,

“ভালোবাসি।”
——————-
রাত বারোটা। নিষুতি রাত। চারদিকে ঝিঝি পোকার ডাক।মাঝেমধ্যে গাড়ির শব্দ ভেসে আসছে।সবাই ঘুমিয়ে পরেছে।প্রিয়শাদের রুমের ভেতরের কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না।তাহমিদ ভয়ে ভয়ে আস্তে করে রুমের ভেতর ঢুকল।ভেতরে ঢুকে দেখল প্রিয়শা ঘুমিয়ে গেছে।তাহমিদ হাফ ছেড়ে বাঁচলেও একেবারে ভয় থেকে নিস্তার পেলো না।তাহমিদ প্রিয়শাকে বলেছিল তাড়াতাড়ি বাড়ি আসবে।কিন্তু কাজের জন্য আসতে পারেনি।নিশ্চয় এখন প্রিয়শা অনেক রেগে আছে।এখন তাহমিদকে কি বলবে সেটা তাহমিদ জানে না।

তাহমিদ কোনো শব্দ না করে ফ্রেশ হয়ে আসল।ফ্রেশ হয়ে প্রিয়শার মাথার কাছে বসে প্রিয়শার কপালে গাঢ় করে চুমু খেল।প্রিয়শা জেগেই ছিল।প্রিয়শা এক হাত দিয়ে তাহমিদকে সরিয়ে দিল।প্রিয়শার এমন কান্ডে তাহমিদ হাসল।হেসে বলল,

“রাগ করে না সোনা।কাজের চাপ বেশি ছিল তাই আসতে পারিনি।আর জানাতেও পারিনি।”

প্রিয়শা চোখ বন্ধ রেখেই বলল,

“আমাকে কেন বলছ।আমি তোমার কি হই।আমাকে কেন বলতে হবে।সরো এখান থেকে আলগা পিরিত দেখাতে লাগবে না।লাগবে না তোমার আলগা পিরিত। হু!”

প্রিয়শার কথা শুনে তাহমিদ হেসে কন্ঠে গম্ভীরতা বজায় রেখে বলল,

“এই মেয়ে আমি তোমার স্যার হই।এভাবে কথা বলবে না।সম্মান দিয়ে কথা বলো।”

প্রিয়শা মুখ ভেংচি কেটে বলল,

“কিসের স্যার।তো এত রাতে ছাত্রীর রুমে কি করছেন।লজ্জা লাগল না ছাত্রীর রুমে আসতে।নির্লজ্জ স্যার।”

প্রিয়শার কথা শুনে তাহমিদ থতমত খেল।নিজের কথার জালে নিজেই জড়িয়ে গেল।কিন্তু সে দমে যাওয়ার পাত্র নয়।তাহমিদ আবার বলল,

“প্রিয়শা তুমি ভুলে গেছ শর্তের কথা।আমার দেওয়া এখনো দুইটা শর্ত বাকি আছে।সেই শর্ত অনুযায়ী তুমি এখন উঠো।”

“মানবো না তোমার শর্ত যা করার আছে করো।”

তাহমিদ কি করবে ভেবে পেল না।কিছুক্ষণ পর তাহমিদ প্রিয়শাকে বসিয়ে দিয়ে নিজের বুকে প্রিয়শার মাথা রেখে বলল,

“ওহে অভিমানীনি তোমার অভিমান আর করো না দীর্ঘ। তোমার মুখে শুধু সুন্দর হাসি মানায়।তোমার মুখে রাগ মানায় না।তুমি তো চেয়েও পারবে না আমার থেকে মুখ লুকিয়ে থাকতে। তাই মিথ্যে অভিমানের অভিনয় করতে হবে না প্রিয়।কারন এই প্রিয় তার তাহমিদকে ভালোবাসে।”

তাহমিদের এমন আবেগঘন আদুরে কথা শুনে প্রিয়শা হেসে ফেলল।তাহমিদ হালকা হেসে প্রিয়শার হাতের উপর চুমু খেয়ে বলল,

“আজ জ্যোৎস্না রাতে তুমি কি যেতে চাও আমার সাথে।ওই রাস্তায় যেখানে আমাদের স্বপ্নগুলো দানা বেঁধেছিল।যেখান শুধু থাকবে আমি, তুমি, জ্যোৎস্না রাত ও আমাদের ভালোবাসা ও স্বপ্ন।”

তাহমিদের কথা শুনে প্রিয়শা হেসে বলল,

“স্বপ্নের গভীর থেকে আমি অনুভব করতে চাই।তোমার হাত ধরে সব স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।তুমি বিনা আমার স্বপ্ন পূরন হবে না।”

প্রিয়শার কথা শুনে তাহমিদ হাসল।সাথে তাহমিদের সাথে তাল মিলিয়ে প্রিয়শা হাসল।এ হাসি সুখের পরম আনন্দের হাসি।”

——————-
প্রিয়শার পরনে লাল,খয়েরী, সোনালি রঙের মিশ্রনের শাড়ি।যেটা পছন্দ করে এনেছিল প্রিয়শার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। কোমর সমান চুলগুলো পুরো পিঠ জুড়ে বিরাজমান। আর চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে চুলে অবস্থান করছে বেলি ফুল।যেটা তাহমিদ এনেছে প্রিয়শার জন্য।প্রিয়শার মুখে হাসি লেপ্টে আছে।আজ কতদিনের স্বপ্ন পূরন হবে।আজ তার মনের পুরুষের সাথে তার আরেকটা স্বপ্ন পূরন হবে।

পাশাপাশি হাঁটছে তাহমিদ ও প্রিয়শা।দুইজনের মুখেই হাসি বিরাজমান। হাঁটতে হাঁটতে তাহমিদ থেমে গেল।প্রিয়শা ভ্রু কুচকে তাহমিদের দিকে তাকালো। তাহমিদ হেসে পিছন থেকে সাদা ও লাল গোলাপ বের করে প্রিয়শার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

“অনেক হয়েছে অনেক কথা বলা।
এবার নাহয় শুধু সংক্ষেপে বলি আমার মনের কথা।
ভালোবাসি ভালোবাসি।”

প্রিয়শা তাহমিদের হাত থেকে ফুল নিয়ে বলল,

“আর কোনো বাধা না।এবার আমরা স্বপ্নের পথে হাঁটবো দুজনা।”

তাহমিদ প্রিয়শার কপালে চুম্বন দিয়ে জড়িয়ে ধরল।প্রিয়শাও জড়িয়ে ধরল তাহমিদকে।এই জড়িয়ে ধরা পরম আবেশের। এই খানে যেন সব সুখ লুকিয়ে আছে।এই ভালোবাসা, ভালোলাগা যেন শেষ হওয়ার না।এই আনন্দ ক্ষণে ক্ষণে আরো আনন্দিত করে।এই ভালোবাসা পুরণ করতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।তাই তো প্রিয় মানুষের সাথে স্বপ্ন পূরন করতে পারছে।এই পরম সুখের মুহূর্ত যেন শেষ না হয় এটাই ইচ্ছে।

——————-
অন্ধকার রুমে ছেলেটি একা বসে আছে।হাতে তার একটা মেয়ের ছবি।যে ছবির সাথে ছেলেটি কথা বলেই যাচ্ছে।অন্ধকারে মেয়েটির ছবি দেখা যাচ্ছে না তবুও ছেলেটি কথা বলেই যাচ্ছে।ছেলেটির ভেতরে তার ভালোবাসা না পাওয়ার কষ্ট তাকে কুড়েকুড়ে খাচ্ছে।সে তো মেয়েটিকে ছোট থেকেই ভালোবেসেছিল।ছেলেটির স্বপ্ন জুড়ে শুধুই মেয়েটি ছিল কিন্তু ভাগ্যের কি লীলাখেলা মেয়েটির স্বপ্ন জুড়ে অন্য কারো বাস ছিল।

আরহান নিজের অবস্থানে বসে থেকেই বাইরে তাকিয়ে দেখল আজ জ্যোৎস্না রাত।আরহান তো স্বপ্ন দেখেছিল এইরকম জ্যোৎস্না রাতে সে প্রিয়শার সাথে জ্যোৎস্না রাত বিলাস করবে।কিন্তু আজ এই জ্যোৎস্না রাতে প্রিয়শা আজ অন্য কারো স্ত্রী। অন্যকারো ভালোবাসা। আজ সে অন্যকারোর সাথে হয়তো জ্যোৎস্না উপভোগ করে।আরহান জানতেও পারল না প্রিয়শা হয়তো না প্রিয়শা তার ভালোবাসার মানুষের সাথে জ্যোৎস্না বিলাস উপভোগ করছে।

আরহানের চোখে বিন্দু বিন্দু জল।এই জল নিজের ভালোবাসা হারানোর জল।এই কষ্ট কাউকে দেখানো সম্ভব না।এই কষ্ট দেখলে হয়তো সান্ত্বনা দিতে পারবে কিন্তু আরহানের কষ্ট দূর করতে পারবে না।আরহান প্রিয়শার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকল।প্রিয়শার ছবি দেখলে কিংবা প্রিয়শার কথা মনে পরলে তাহমিদের হৃদয় ধ্বক করে উঠে।বুকের মধ্যে দ্রিমদ্রিম শব্দ বেড়ে যায়।কিছুক্ষণ পর আরহান ছবিতে একটা চুমু খেয়ে বিড়বিড় করে নিজ মনে বলতে লাগল,

“প্রিয় আমার #স্বপ্ন_জুড়ে_তুমি ছিলে আর তুমিই থাকবে সবসময়। তোমার জায়গা কেউ নিতে পারবে না।তোমাকে একপাক্ষিক ভালোবেসে গেছি সেই ছোটবেলা থেকে।তোমাকে পরবর্তীতেও ভালোবেসে যাব।তুমি আমার স্বপ্ন জুড়ে ছিলে আর থাকবে।ভালোবাসি তোমাকে প্রিয়।”

আরহান লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলল।আবার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকল,

“সবশেষে এটাই বলব,তুমি যেখানে থেকো না কেন ভালো থেকো।ভালো থেকো প্রিয়।”

“#সমাপ্ত”