#অতঃপর_প্রণয়
#পর্বঃ ১৫
#জেসমিন_জেমি
ঘড়ির কাটা গিয়ে থামলো রাত ১১.৩৪ মিনিটে।
আত্মীয় স্বজন সব আজকের মতো অনুষ্ঠান শেষ করে চলে গেছে । আবরার ইলমির সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা আপাদত গোপন রাখতে বলে ছিলো তাই ইমির আবরারের কথা মতো ইলমির সাথে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা গোপন রেখে জহির মির্জাকে কল করে জানিয়েছে ইলমি আবরারের সাথে আছে, ওরা দুজন কোথায় আছে, কেনো গিয়েছে, কি করছে কিছুই বললো না ইমির। শুধু এটুকুই বাড়ীতে জানালো ইলমি আবরারের সাথে। ইলমি আবরারের সাথে শোনার পর সবাই দুশ্চিন্তা মুক্ত হলেও জহির মির্জা ভীষণ চটে আছে। কি নির্লজ্জ ছেলে ভাবা যায়? বিয়ের আগের রাতে সবার চোখ ফাকি দিয়ে হবু বউকে নিয়ে উধাও ? এ কেমন ছেলে ? অসভ্য, বর্বর এক অভদ্র এমপি। এমন নির্লজ্জ ছেলের হাতে তার মেয়েকে কখনোই দিবে না । ড্রয়িং রুমে পিনপিন নিরবতা বিরাজ করছে, জহির মির্জা গম্ভীর মুখে সোফায় বসে, আমেনা বেগম মুখভার করে স্বামীর পাশে দাঁড়ানো, আবিরা, তূর্ণা, তূর্ফা মামার দিকে তাকিয়ে আছে কি হতে চলেছে কে জানে? ইমামুল তালুকদার, হিমি বেগম, মিলিসহ অন্য সবাই ও বাড়ীতে ফিরে গেছে। শুধু ওরা তিন জনই রয়ে গেছে । বাহিরে গাড়ীর হর্ণ বেঁজে উঠতেই আমেনা বেগম পিলে চমকে উঠলেন, কাচু-মাচু মুখ করে স্বামীর দিকে চাইলেন। জহির মির্জা চটে আছে এটা আমেনা বেগম বছর টের পেয়েছে । কি হবে, কি না ভাবতেই মুখভার করে সদর দরজায় চাইলেন। হঠাৎ সদর দরজায় তাকাতেই চমকে উঠলো, যখন দেখলো আবরারের কোলে বিধ্বস্ত অচেতন ইলমিকে । আবরারের সাথে ব্যস্ত পায়ে হাঁটছে তন্ময়, ইমির ।আমেনা বেগম সব ভূলে বসলেন ছুটে আসলেন সেদিকে, হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। জহির মির্জা থমকে দাঁড়িয়ে রইলেন। আবরারের কোলে এমন একটা দিনে আদরের মেয়েটাকে এই অবস্থায় দেখবেন এটা সে কখনোই ভাবে নি বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো তার। হলুদের সাজে সুন্দর করে সাজানো মেয়েটার কপালে, হাতে ব্যান্ডেজ করা। অচেতন, বিধ্বস্ত ইলমিকে দেখে জহির মির্জা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
আমেনা বেগম ছুটে এসে মেয়ের এমন অবস্থা দেখে মূর্ছা গেলেন। হলুদ সাজে সাজানো ইলমিকে মুহর্তেই সাদা ব্যান্ডেজ , অচেতন অবস্থায় দেখে জহির মির্জা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এক-নিমিষেই রাগ হাওয়া হয়ে গেলো। এক প্রকার ছুটে চললো আবরারের সাথে আবরার ব্যস্ত পায়ে রুমের দিকে পা বাড়ালো। বেডে শুইয়ে দিতেই আমেনা বেগম বলে উঠে,,
কি হয়েছে? কি হয়েছে আম্মার?
সত্য লুকাতে ইমির বললো,,
পরে গিয়ে কপালে, হাতে আঘাত পেয়েছে আম্মা।
আমেনা বেগম আহাজারি করে কেদে উঠলো।
-ইলমি কপালে তেমন একটা আঘাত পায়নি, ডক্টর বলেছে এটা দু একদিনের মাঝেই ঠিক হয়ে যাবে, তবে হাতের ক্ষতটা বেশ গভীর, কাটা স্থানে গাছের গোড়ালী থেকে সুরু কাঠ ডুকে গিয়েছে এরজন্য বেশ গভীর ক্ষত হয়েছে। ঘা শুকাতে বেশ সময় লাগবে, দিনে ১বার ড্রেসিং করে নতুন ব্যান্ডেজ ও করতে হবে, ১ সপ্তাহ হাত ভেজানো যাবে না পানির ছিঁটা পড়লে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। কিছু মেডিসিন প্রেসক্রাইভ করে দিয়েছে। ডক্টর বলেছে, তেমন ভয়ের কিছু নেই , অতিরিক্ত ভয়ের কারনে সেন্সলেশ হয়ে গিয়েছিলো।
——————-
জহির মির্জা মেয়ের পাশে গিয়ে বসলেন, ইমির তাকে সবটা বুঝিয়ে বলেছে সবটা শুনে মেয়ের জন্য চিন্তায় ভেঙে পড়লো। তখনকার কথা মনে পড়তেই ভিতরটা কেঁপে উঠলো। সঠিক সময়ে যদি আবরার না যেতো? তখন কি হতো ? নাহ, সবটা ভাবতে পাড়লো না সে। মেয়ের চিন্তায় ভেঙে পড়লেন, কিছুক্ষণ মেয়ের পাশে বসে রইলেন, কপালে চুমু খেয়ে উঠে গেলেন। ইলমিকে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে ইলমি এখন গভীর ঘুমে বিভর। জহির মির্জা রুম থেকে বের হতে গিয়ে আবরারের সামনে পড়তেই আবরারকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। ছেলেটা না থাকলে তার মেয়েটার কি হতো আজ ? কে বা কারা এই কাজটা করেছে বা করতে চেয়েছে তার কিছুই জানে না জহির মির্জা। বেশ কিছুক্ষণ পরে আবরারকে ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে গটগট পায়ে রুমের দিকে চলে গেলেন। আবরার বেশ নিরব, প্রতিদিনের তুলনায় মুখটা আরো বেশি গম্ভির বাহিরটা দেখে বুঝা সম্ভব না কি চলছে তার মনে। আমেনা বেগম শাড়ীর আঁচলে চোখ মুছে মেয়েটার কপালে হাত রাখলেন। আজ এমন একটা খুশির দিনে মেয়েটাকে এমন অবস্থায় দেখবেন সে কখনো ভাবে নি কখনোই না।
—————-
আবিরার মাথায় অনেক গুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে৷ কিছু প্রশ্নের জবাব সে খুজে বেড়াচ্ছে, হঠাৎ দরজায় তাকাতেই দেখলো তার ভাইজানকে , দরজায় এসে দাড়িয়েছে পরপর ভালো ভাবে খেয়াল করলো, দেখলো আবরার এখানে নেই। আবিরা বেশ অবাক হলো। হুট করে কোথায় বা চলে গেলো? আবিরা ব্যস্ত পায়ে রুম থেকে ছুটে নিচে আসতেই দেখলো আবরার গাড়ী নিয়ে বের হয়ে গেলো। কি হয়েছিলো ইলমির সাথে? কোথায় ছিলো ইলমি? যদি ভাইজানের সাথেই থাকবে তাহলে এই আঘাত গুলো? কি হচ্ছে কিছুই বুঝলো না। এতো রাতে এমন রেগে মেগে কোথায়ই বা গেলো তার ভাইজান এসব ভাবতে ভাবতে সিঁড়ির দিকে যেতেই ফোন বেঁজে উঠলো,,
হ্যাঁ আম্মা।
————
ঠিক আছে আম্মা। ইলমি একদম সুস্থ। চিন্তা করো না ইলমি ঠিক আছে। কান্না করো না। হ্যাঁ, হ্যাঁ ইলমি এখন ওর রুমে রেস্ট নিচ্ছে, ঘুমাচ্ছে। পরে কথা বলছি। বলেই কলটা কেটে দিলো, হাউমাউ করে কাঁদছেন আছমা বেগম। মেয়েটার খবর পেতেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। দুশ্চিন্তায় পাগলের মতো লাগাতার মেয়েটাকে কল করে যাচ্ছিলো ইলমির খোঁজ পেতে।
———————
তন্ময়ের বাড়ী লোক সবাই চলে গেছে। তন্ময় এখনো এ বাড়ীতেই কেননা ও ইমিরের সাথে ছিলো, তন্ময় ছেলেটা ভীষন ভালো। দেখতে ফর্সা, সরু পাতলা চিকন গড়নের । মাস্টার্স শেষ করে জবের প্রিপ্রারেশন নিচ্ছে। কারো বিপদে নিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া তন্ময়ের স্বভাব। তন্ময়ের এবার বিদায়ের পালা এবার ওকে ফিরতে হবে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে নিজের বাইকে উঠে বসতেই তূর্ফা বাড়ীর ভিতর থেকে দৌঁড়ে এসে বাইকে সামনে এসে দাঁড়ায়। তন্ময় ভ্রু নাড়িয়ে তূর্ফার দিকে তাকিয়ে বলে,
কি সমস্যা ম্যাডাম? আমার মতো খারাপ ছেলের বাইকের সামনে এসে দাঁড়ালেন যে?
তূর্ফা অপ্রস্তুত হয়ে মাথা নিচু করে ফেললো, তখন লোকটাকে অনেক গুলো কথা শুনিয়ে ফেলেছিলো অথচ লোকটা তো তার উপকার ই করতে এসেছিলো, কত বড় স্টুপিড সে, যে উপকার করলো তাকে কতগুলো কথা শুনিয়ে ফেললো। গিল্টি ফিল হচ্ছে তূর্ফার নিজের কাছেই কেমন একটা লাগছে, মাথা নিচু রেখেই মিনমিনে গলায় বললো,,
সরি।
তন্ময় মুচকি হাসলো কিছু বললো না তূর্ফা মাথা উঁচু করে ধীরকন্ঠে বললো,
কাল আসছেন তো?
তন্ময় এবার বহু কষ্টে হাসি আটকে বললো,
আমার মতো ছেলেদের জন্য মেয়েরা শান্তিতে বিয়েতে এটেন্ড করতে পারে না, তাই,,,
কথা শেষ করতে না দিয়ে তূর্ফা বোকা বোকা মুখ করে চোয়াল ঝুলিয়ে বলে উঠে,,
সরি বললাম তো,,,
তন্ময় হাসলো, বললো,
আচ্ছাহ।
-কি আচ্ছা?
এই যে সরি বললেন। সেটাই আচ্ছা।
– দেখুন সব ভূল আপনার কাউকে আগ বাড়িয়ে উপকার করতে গেলেন কেনো? তার জন্যই তো কথা গুলো শুনতে হলো তাই না?
উমম, মস্ত বড় ভূল করে ফেলেছি।
– হুম, এরপর থেকে এমন ভূল করবেন না বুঝলেন? আর উপকার করতে গিয়ে নিজের ফোনটাও কাউকে দিয়ে বসে থাকবেন না যেনো?
ফোনের কথা উঠতেই তন্ময় চকিতে পকেটে হাত দিলো। উহু ফোনটা পকেটে নেই। ভ্রু কুচকাতেই তূর্ফা হেঁসে উঠলো ফোন বের করে তন্ময়ের দিকে এগিয়ে ধরে বললো,
তিন্নী আপুকে দিতে চেয়েছিলাম আপু বললো আপনাকে দিতে, তখন থেকে আপনাকে খোঁজলাম কিন্তু কোথায় পেলাম না। তিন্নী আপুরাও চলে গেছে তাই আর আপুর কাছেও দিতে পারি নি।
তন্ময় ফোনটা নিয়ে পকেটে পুরে বললো,,
আচ্ছা।
তূর্ফা ফট করে বলে উঠে,,
তূর্ফা: কি আচ্ছা?
তন্ময়: কিছু না।
তূর্ফা: কাল আসছেন?
তন্ময়: উমম,, কেউ একজন কি চাচ্ছে, কাল আসি? ভ্রু নাচিয়ে বলেই ঠোঁট চেঁপে হাসলো।
তূর্ফা বললো,
কখনো না। কেউ একজন কেনো চাইতে যাবে? আজব। আপনি আসবেন নাকি আসবেন না আপনার ইচ্ছা। বলেই বাড়ীর দিকে পা বাড়ালো তন্ময় হাসলো, ভীষণ সুন্দর সেই হাসি,
তূর্ফার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
কেউ যখন চাইছে, আসবো। কাল দেখা হবে।
তূর্ফা পিছনে ফিরলো না, তন্ময়ের কথা শুনে হেসে উঠলো। কি অদ্ভুত, কিছু সময় পূর্বে যাকে বিরক্ত লাগছিলো তাকেই কি না ঘটা করে কাল আসতে বললো। অপরিচিত একটা লোক, কিছু সময়ের ব্যবধানে কেমন পরিচিত হয়ে উঠলো, যেনো কত দিনের পরিচয়। যেনো বছরের পর বছর লোকটার সাথে যোগাযোগ। কি অদ্ভুত! তূর্ফা বেশ অবাক হলো, এতোটা ইজি ভাবে কথা কখনো কারো সাথে বলেছে বলে মনে পড়ছে না তার।
——————-
ঘড়িতে ১২.৩০।
এবার আবিরাদের চলে যাওয়ার পালা। ওরা হলো বরপক্ষ ওরা কেনো কনের বাড়ীতে থাকবে? প্রশ্নই আসে না। আবির এসেছে আবিরাদের নিতে আবিরা মামিমার থেকে বিদায় নিয়ে ইলমির রুম হয়ে ঘুরে আসলো। তারপর রুম থেকে বের হতেই ইমিরের সামনে গিয়ে পড়লো। সবে মাত্র শাওয়ার নিয়েছে বোধহয়, কুঁকড়া চুল গুলো ভেজা থাকায় লেপ্টে আছে। পড়নে টাওজার আর গেঞ্জি। বেশ সতেজ লাগছে লোকটাকে একটু আগেও লোকটাকে কেমন লাগছিলো যেনো। হাত দিয়ে চুল ঝাড়া দিতেই চোখ মুখে পানি ছিটকে পড়লো আবিরা , আবিরা হকচকিয়ে উঠলো, ইমির গম্ভীর স্বরে বলে,,
আবির এসে গেছে?
আবিরা মাথা নেড়ে হ্যাঁ বোঝায়, ইমির ঠোঁট নাড়িয়ে ওহ শব্দ করে উঠে৷ আবিরা আচ্ছা যাই বলেই হাটতে লাগে কিছুক্ষণ পরে টের পায় ইমির ও তার সাথে হাঁটছে পাঁশে তাকাতেই দেখলো দু হাত টাওজারের পকেটে পুরে থমথমে মুখে ওর সাথেই আসছে, আবিরা একটু ধীরে হাঁটলো, দু পা পিছনে পড়তেই হাত দিয়ে দুজনের উচ্চতা মাপার চেষ্টা করলো, ইমির ভ্রু কুচকে চাইতেই আবিরা হাত নামিয়ে মাথা নিচু করে হাঁটতে লাগলো যেনো সে কিছুই বুঝে না, আর না জানে। আবিরার এমন হাব-ভাব দেখে ইমির সামনে ফিরে ঠোঁট কামড়ে হেসে উঠলো। আবিরা, তূর্ফা, তূর্ণা গাড়ীতে উঠে বসতেই। ইমির গম্ভির-স্বরে সাবধানতার সাথে আবিরকে বললো,
সাবধানে যাবি।
আবির- হুম।
ইমির আবিরার দিকে এক পলক চেয়ে চোখ ফিরিয়ে বললো, পৌঁছে টেক্সট বা কল করবি।
কথাটা আবিরকে বললেও উদ্দেশ্য যেনো অন্য কাউকে করা , কিন্তু যে মানুষটাকে উদ্দেশ্য করলো সেই মানুষটা বুঝলো বলে মনে হলো না। তার বোঝার কথাও না। যে মানুষটা টেক্সট পেয়ে বিরক্ত হয় সে মানুষটা নিজ থেজে টেক্সট করতে বলবে এটা কেউ কখনো ভাববে? কখনো কল্পনা করবে? কখনোই না। তেমনি আবিরাও ভাবলো না।
————–
আবিরা, তূর্ফা পিছনে বসেছে, আবির ড্রাইভ করছে পাশেই তূর্ণা বসেছে। বসেছে বললে ভূল হবে, আবিরা আর তূর্ফা জোড় করে বসিয়েছে। তূর্ণা মনে মনে বাদর দুটোকে ইচ্ছা মতো বকে যাচ্ছে। সবসময় শুধু বাঁদরামো, এই লোকটার পাঁশে বসিয়ে ওদের কি লাভ টা হলো ? সেই তো তূর্ণা লোকটার সামনে মিছে বিড়াল হয়ে আছে। প্রচুর গরম ঘেঁমে নেয়ে তূর্ণার বাজে অবস্থা। অথচ মুখ ফুটে লোকটাকে বলতে পারছে না এসিটা অন করতে। আচ্ছা লোকটার সামনে তূর্ণা কি বাক শক্তির হাড়িয়ে ফেলে? এক হাতে মোটা ফ্রেমের চশমা ঠিক করে পিছনে ফিরলো, দুই বাদরই ঘুমিয়ে গেছে৷ ফুস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে গাড়ীর সীটে হেলান দিয়ে গরমে উশখুশ করতে লাগলো , আবির একমনে ড্রাইভ করছিলো। তূর্ণা কে অনেকক্ষণ যাবৎ উশখুশ করতে দেখে বলে,,
কি হয়েছে? এনি প্রবলেম?
তূর্ণা চশমাটা হাতে নিয়ে মাথা নেড়ে বলে,,
উহু।
আবির ভ্রু কুচকালো, তূর্ণার দিকে তাকাতেই বুঝলো, এসিটা অন করে দিলো। তারপর বললো,
ঘুম পেয়েছে?
তূর্ণা কিছু বললো না মাথা নাড়লো শুধু, আবির তূর্ণার হাত থেকে চশমাটা সামনে রেখে বললো,
ঘুমান, তূর্ণা চুপচাপ সীটে হেলান দিলো ভীষণ রাত হয়েছে। ঘুমে দু চোখ খুলে রাখা দায় হয়ে উঠেছিলো, চোখ বুজতেই ঘুমিয়েও পড়লো। আবির আড়-চোখে ঘুমন্ত তূর্ণাকে দেখলো,
মেয়েটা একটু বেশিই কিউট। ফর্সা, লম্বাটে নাক। গোলগোল চোখ-জোড়া ভীষণ সুন্দর । তবে ওই সুন্দর চোখ জোড়া সব সময় চশমার আড়ালে লুকানো থাকে। চাইলেই কেউ ওই সুন্দর চোখ জোড়ার সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবে না।
চলবে,,,,,,,,
(ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)