তুমি ছুঁয়ে দিলে এ মন পর্ব-০৩

0
34

#তুমি_ছুঁয়ে_দিলে_এ_মন

পর্ব ৩

#জান্নাতুল_মাওয়া_লিজা

বিয়ে বাড়ির একদল ছেলেমেয়ে হৈ হুল্লোড় করতে করতে ছাদে এসে পাঁচ মিনিট পরই আবার সবাই চলে গেলো। সবার হাতেই ছিলো পটকা ও আতশবাজি। দুই একটা পটকা ফাটিয়ে আর একটা বড় আতশবাজি উড়িয়ে সবাই চলে গেলো। হয়তো ছাদে বসার মতো উপযুক্ত কোনো জায়গা না পেয়ে চলে গেলো। গোটা ছাদ জুড়েই শুধু টব আর ছোটো, মাঝারি গাছ আর গাছ।
তৃষা ততক্ষণ আহনাফের বুকের খুব কাছে দাঁড়িয়ে হাত দুটো বুকের কাছাকাছি জড়ো করে রেখে গুটিসুটি হয়ে লুকিয়ে ছিলো। আর আহনাফ গোটা সময়টাই তৃষার দুই বাহুতে ধরে ছিলো। আহনাফের বড় বড় গরম নি:শ্বাস তৃষাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু তৃষার এসব কিছুই বোধ হচ্ছিলো না। কলেজের একমাত্র ক্রাশ আইকন যার মন পাওয়া সব মেয়েদেরই একমাত্র মূল লক্ষ্য সে আছে ত্রিশাকে জড়িয়ে। তবে তৃষার এ সম্পর্কে কোনো বোধই নেই। সংকোচে শরীর আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। আর লজ্জায় ওর গাল আর কান দিয়ে গরম ভাপ বেরোচ্ছিলো। মাথা, নাক আর কপাল ঘেমে সেই ঘাম চুয়ে চুয়ে গলা বেয়ে নামছিলো। ছেলে মেয়েদের দল চলে যেতেই আহনাফ ইতস্তত করে তৃষাকে ছেড়ে দিলো। আহনাফ তৃষাকে ছেড়ে দিতেই তৃষা যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো।

আহনাফ বললো,
” স্যরি তৃষা, তুমি মাইন্ড করোনি তো? আসলে কেউ দেখে ফেললে তোমার আমার নামে রটনা রটতো তাই লুকাতে হয়েছে। ছাত্রির সাথে রটনা! ইটস আ ডিজাস্টার!”

তবে তৃষা যেনো আর কোনো কথা শুনতে নারাজ, সে এখান থেকে পালাতে পারলেই বাঁচে। তাই দ্রুতবাক্যে বলে উঠলো,
” স্যার, এবার আমি যাই”
বলেই গটগট করে হেঁটে চলে যেতে উদ্যত হলো।

আহনাফের মুখে ভালোলাগা ময় হাসি। হাসিটা মুখে ধরে রেখেই সে তৃষাকে মৃদু ধমক দিয়ে বললো,
” স্টপ! এক কদম যাবে না তুমি.”

” কেনো স্যার?”

” যেতে দিবো, তবে এক শর্তে।”

কম্পিত স্বরে ত্রিশা বললো,

” শ..শ..শর্ত? ক..ক কি শর্ত স্যার?

“তোমাকে আমার হয়ে গোয়েন্দাগিরি করে জানতে হবে যে, কে বা কারা আমাকে এভাবে রেন্ডমলি ডিস্টার্ব করেই আসছে?”

তৃষা শুকিয়ে যাওয়া মুখে বললো,

“কিন্তু স্যার, আমি এসব গোয়েন্দাগিরি তো করিনি কোনোদিন”

আহনাফ বললো,
” আরে, বোকা মেয়ে! এটা খুবই সোজা একটা কাজ, তোমার ফোন নাম্বারটা আমাকে দাও, আর আমি রাতে কল দিয়ে তোমাকে সব বুঝিয়ে বলবো”

” কিন্তু স্যার, আমার তো কোনো কন্টাক্ট নাম্বার নেই”

আহনাফ ভ্রু কুঁচকে বললো,
” বললেই হলো? এই টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরিতে কারো একটা কন্টাক্ট নাম্বার নেই! এটা কি কোনো সম্ভবপর কথা?”

তৃষা আবার কেঁদে দিলো, ও যে কি একটা ফ্যামিলিতে থাকে এটা দুনিয়ার কেউই মূলত জানে না। সবাই ওকে ভাবে বড়লোকের মেয়ে। ভাবে, না জানি কত বিলাসীতা আর সুখ ভোগে কাটে জীবন, কিন্তু বাস্তবে ওর একটা বাটন ফোনও নেই, এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। লজ্জায় কাউকে বলবার জো নেই, আর বললেও ওকেই অপমানিত হতে হয়।

এবারে ওর কান্না দেখে আহনাফ ধমকের সুরে বললো,

” বেশ মেয়ে তো! অনেক ভালো কান্না করতে পারো। কথায় কথায় কান্না করো? কান্নার অলিম্পিয়াড়ে গেলে তো একেবারে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসবে দেখা যাচ্ছে”

তৃষা কান্নারত স্বরে ঢোক গিলতে গিলতে বললো,

” স্যরি স্যার…স্যার আমি.. স্যার আমি… যাবো না ওখানে”

ওর একথা শুনে আহনাফ হেসেই দিলো,

” ডোন্ট ওরি, তোমাকে পাঠাবো না কান্নার অলিম্পিয়াডে”
বোকা মেয়ে! বাস্তবে কান্নার অলিম্পিয়াড বলতে যে কিছু নেই তা এই মেয়ে জানে না! তৃষা আবার লজ্জা পাবে বলে আর সে খোলাসা করলো না তৃষার সামনে।

বরঞ্চ সে এবারে অনুনয়ের স্বরে বললো,

” আসলে তৃষা আই নিড ইউর হেল্প! কলেজের কিছু মেয়ে এমনভাবে আমার পেছনে পড়েছে যে, ওরা আমাকে ডুবিয়েই ছাড়বে, আমি স্ক্যান্ডাল চাই না, তাই নিজেকে এসন ইঁচড়ে পাকা মেয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে তোমার হেল্প চাচ্ছি, সো প্লিজ..”

” আচ্ছা স্যার, আমি একা এসব পারবোনা, যদি আমি বিষয়টা আমার বান্ধবী রাত্রি, স্নিগ্ধা আর তৃণার কাছে শেয়ার করি?”

আহনাফ বললো,
” না, প্লিজ, আর কাউকেই বলা ঠিক হবে না, তুমি একাই এটা করবে প্লিজ”

” কিন্তু আমি কিভাবে স্যার?”

” হ্যাঁ, তুমিই পারবে, আমি আগামীকাল কলেজ ছুটির পর সব বলছি কেমন? ছুটির পর অফিসে এসো। ”

” আচ্ছা স্যার ”
বলেই ত্রিশা এক দৌড়ে নিচে চলে গেলো।

এতক্ষণে সে যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। অন্য মেয়েদের বহু পছন্দের হিরো হলেও ত্রিশার কাছে সে মোটেও তেমন কিছু না? আসলে কাউকেই ত্রিশার চোখে সেরকম লাগেনি কোনোদিন।

“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি” কথাটা ত্রিশার ক্ষেত্রে একেবারে খাপে খাপে মিলে গেছে।
আসলে ত্রিশার পৃথিবীটা নিরস আর গদ্যময় হয়ে গিয়েছে!

.
.

বিয়ে বাড়িতে এতক্ষণে ত্রিশার অন্য সকল বান্ধবী এসে হাজির। রাত্রি মূলত ক্লাশের সবাইকেই দাওয়াত করেছিলো। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান রাতে হওয়ায় কিছু মেয়ে আসতে পারেনি। ত্রিশার বাবা জামিল শেখকে রাত্রির বাবা বিশেষভাবে দাওয়াত না করলে ত্রিশাও অবশ্য আসতে পারতো না। জামিল ব্যবসার কাজে ইটালিতে থাকায় সে উপস্থিত থাকতে পারেনি। ত্রিশাকে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করায় শুধু ত্রিশাকে আসার অনুমতি দিয়েছে।

ত্রিশার বান্ধবী স্নিগ্ধা ও তৃণা ত্রিশাকে দেখা মাত্রই উল্লাস করে উঠলো। কারন ওরা ভেবেছিলো ত্রিশা আসতেই পারবে না। আর ত্রিশা না আসলে ওদের এই বিয়ের আনন্দ উৎসব সব অসম্পূর্ণ মনে হতো।

স্নিগ্ধা ত্রিশার গায়ে নতুন লেহেঙ্গা দেখে বললো,

” বান্ধবী রে, তুই এত সুন্দর! তা এই লেহেঙ্গা না পড়লে বুঝতেই পারতাম না! দারুন মানিয়েছে! ”

জবাবে ত্রিশা শুধু মুচকি হেসে বললো, ” রাত্রি দিয়েছে”

তৃণা বললো,

“নজর না লাগে! এই লেহেঙ্গা পড়ে আমার সাধারন সিন্ডেরেলা বান্ধবী, প্রিন্সেস সিন্ডেরেলা হয়ে গিয়েছে, আর প্রিন্সেসের কি থাকে?”

স্নিগ্ধা টেনে টেনে বলে উঠলো,

” সুন্দর জুতা, আর কি?”

বলতেই তৃণা এক জোড়া গ্লাস হিল ত্রিশার সামনে তুলে ধরে বললো,

” সারপ্রাইজ! ”

খুশিতে তৃষার চোখে পানি চলে এলো। ছলোছলো চোখে বললো,

” এত সুন্দর জুতো!”

তৃণা ফিসফিসেয়ে বললো, ” বহুদিন ছেঁড়া জুতো পড়েছিস, এবার একটা ভালো পড়! যা আর পায়ের জুতাটা ডাস্টবিনে ফেলে আয়”

কৃতজ্ঞতায় মাথা নত হয়ে এলো ত্রিশার। এই বান্ধবীরা ওর জন্য বহুত করে! এরকম বান্ধবী কেউ অনেক পূণ্য করলেই পায়!

আগেও ওরা জামা, জুতা গিফট করেছে অনেক। আর এবার বিয়ে উপলক্ষে! তাছাড়া ছোটোখাটো এটা ওটা প্রায়সময় ই গিফট করে।

আসলে এই বান্ধবিরা সাহায্য, সহযোগীতা না করলে ত্রিশার আর পড়ালেখাই করা হতো না। ত্রিশার যে রকম পারিবারিক অবস্থা, তাতে এই বান্ধবীদের মানসিক সাপোর্ট না পেলে ত্রিশার পড়াশুনা চালানো সম্ভব হতো না। রাত্রির মতো স্নিগ্ধা ও তৃণা ধনী পরিবারের না হলেও তিনজনেই ওকে সমানভাবে সাহায্য করে এসেছে।

তিন তলায় একটা নির্জন কক্ষে গিয়ে ওরা ত্রিশাকে হিল পড়ার ট্রায়াল দিলো।

স্নিগ্ধা হেসে বললো,

” দেখিস বান্ধবী, হিল পড়ে আবার কারো উপর হুমড়ি খেয়ে পড়িস না?”

তৃণা বললো,

” হুউম, স্নিগ্ধা তো আহনাফ স্যারের উপর পড়তে চাইলো, বেচারি! আহনাফ স্যার যেনো ম্যাথ ছাড়া আর কিছুই বুঝে না, উলটো বলে দিলো আমাকে পেতে চাইলে কসের বিপরীত যে সেক সেটা পেতে হবে!”

সিগ্ধা বললো,

” আহনাফ স্যারকে পেতে গিয়ে আমি যদি সেক ও পাই, তাও খুশি, পরে তাকে নিয়ে গোটা ত্রিকোনোমিতি চ্যাপ্টার কমপ্লিট করবো”

বলতেই সবাই হো হো করে হেসে দিলো।
.
.
.

রাত্রে খাওয়া সেরে আমন্ত্রিত অতিথিরা চলে একে একে চলে যাচ্ছিলো। ওদিকে জীবনে এই প্রথম বিয়ে দেখলো ত্রিশা। তাই সে রত্নাকে বিদায় দেওয়া পর্যন্ত গোটা অনুষ্ঠান মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলো। কাঁদতে কাঁদতে যখন রত্নার বিদায় হচ্ছিলো, তখন ত্রিশাও সে কান্না দেখে ফুঁপিয়ে কান্না করতে শুরু করলো। কনে বিদায়ের পর আর মাত্র হাতে হাতেগোনা কয়েকজনই যেতে বাকি। তার মধ্যে ত্রিশাও একজন। তৃণা ও স্নিগ্ধার বাড়ি একদিকে তাই তারা দুজন একসাথেই চলে গিয়েছে। রাত্রি ত্রিশাকে বেশকরে থেকে যেতে বললো, তবে এতক্ষণ ত্রিশার এটা খেয়াল ছিলো না যে, দাদী বলে দিয়েছিলো যেনো সে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে। ত্রিশা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত বারোটা বেজে গেছে। সর্বনাশ! এখন কি হবে? দাদী তো আজ আর আস্ত রাখবে না। ভয়ে ত্রিশার হাত পা ঠকঠক করে কাঁপতে লাগলো।

ওদিকে রাত্রি ত্রিশাকে অভয় দিয়ে বললো,

” আজ আর যেতে হবে না, তোর বাবাকে আমি বলেছিলাম সেদিন যে, তুই এখানে একটা রাত থাকবি, তোর বাবা রাজি হয়েছিলো, সো আজ আর যাওয়ার কথা মুখেও আনবি না। ”

ত্রিশা কাঁপতে কাঁপতে বললো,
” দ..দাদী!”

রাত্রি আবার বললো,
” তোতলাস নাতো! আমি বললাম, কেউ কিছু বলবে না তোকে, তুই একটা রাত এখানে নিশ্চিন্তে থেকে যা, তাছাড়া এত রাতে তুই কোনো গাড়িও পাবিনা”

রাত্রি আর বেশি কথা বলতে পারলো না। কারন ওদিকে সবাই ওকে ডাকছিলো। রাত্রি একাই অনেক কাজের দায়িত্ব নিয়েছিলো। কনের একমাত্র বোন বলে কথা।

রাত্রি চলে যেতেই ত্রিশা ওর সৎ দাদী শাকিলা শেখের কথা ভেবে ভয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে একাই বাইরে পা বাড়ালো।

সে জানে যে, এত রাতে কোনো গাড়ি পাবে না, তাই ভাবলো আজ হেঁটেই বাসায় যাবে সে। রাস্তা তো চেনাই। যদিও এলাকার মোড় পর্যন্ত যেতেই ওর ভুল ভাঙ্গলো। সেখানে একগাদা রাতজাগা ক্ষুধার্ত কুকুরের ঘেউঘেউ শুনেই ভয়ে ওর অন্তরাত্মা অসাড় হয়ে আসতে লাগলো। পথে পড়ে থাকা একটা লাঠি নিজের হাতে উঠিয়ে সে নিজের মনকে বললো, ” চলরে, চল, আজ ভয়কে করতে হবে জয়” কিন্তু কুকুরগুলোকে ক্রস করে সামনে এগিয়ে যেতেই আরেক ভয় এসে হানা দিলো। ক্ষূধার্থ কুকুরের চেয়েও ভয়ঙ্কর হলো খারাপ মানুষ। মোড় পার হয়ে সামনে যেতেই সেখানে বসে জু’য়া খেলতে দেখা যায় একদল লোককে। তারা কি জানি কি খাচ্ছিলো আর হো হো করে হেসে উঠছিলো। ত্রিশা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সবাই একযোগে ত্রিশার পানে তাকালো। ত্রিশা দ্রুত পা চালালো। কয়েক সেকেন্ড পরেই বুঝলো যে, ঐ জুয়াড়ির দলের দুইজন ওকে পেছন থেকে ডাকছে। ত্রিশা এবারে দৌড়াতে শুরু করলো। কিন্তু ভারি লেহেঙ্গা আর উঁচু হিল পড়ে দৌড়ানো এত সহজ ছিলো না। তবুও শরীরের যত শক্তি ছিলো সব একযোগ করে দৌড়াতে শুরু করলো। কারন সে পেছন থেকে ওদের কয়েকজনের পায়ের আওয়াজ পাচ্ছিলো। ত্রিশা তাই প্রাণপনে দৌড়াতে শুরু করলো। পেছনের মানুষগুলো ওকে প্রায় ধরেই ফেলেছে। ওরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে ত্রিশাকে আর থামতে বলছে। একজন যা বলছে তা ত্রিশা স্পষ্ট শুনতে পেলো,
” থামরে, থাম! সুন্দরীরে থাম! ম্যালা ট্যাকা দিমু। বহুত আদর সোহাগ দিমু, থামরে”

একথা শুনে ভয়ের জম যেনো এসে ত্রিশার কলিজা ধরে টান দিলো।

এমন সময় একটা বাইক ত্রিশার সামনে দিয়ে আসছিলো। তাতে হেলমেট পরিহিত এক লোক। ত্রিশা যেনো অভয় পেলো। সত্যি সত্যি সেই বাইক সামনে আসতেই পেছন পেছন আসা সব বাজে লোক ভূত দেখার মতো উলটো দিকে ভোঁ দৌড় দিলো। বাইক ত্রিশার ঠিক পাশেই থেমে গেলো। ত্রিশা ক্লান্ত হয়ে ধপ করে মাটিতে বসে পড়লো। বাইকে কে আছে? আর তাকে দেখে বাজে লোকগুলো সব কেনো দৌড়ে পালালো সে চিন্তা ত্রিশার ঠিক মাথায় এলো না। মাথাটা যেনো অন্ত:সার শূণ্য হয়ে আছে।

একি! বাইকের উপর থেকে হেলমেট খুলতে খুলতে নামলো আহনাফ স্যার। প্রচন্ড জেদি, তেজি আহনাফ একসময় এক দাপুটে রাজনৈতিক নেতা ছিলো। আজ সরকারি চাকুরী করলেও তার সে দাপট এখনো অক্ষূন্ন আছে বলেই বখাটের দল তাকে দেখে পগার পার হয়েছে।

(চলবে)