এলো প্রেমের মৌসুম পর্ব-২৩

0
2

#এলো_প্রেমের_মৌসুম
#লেখনীতে – #Kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ২৩

সম্প্রতি শেষ হওয়ার সেমিস্টার এক্সামের রেজাল্ট দিয়েছে, নিহানের সাহায্যে এবার অন্যান্যবারের তুলনায় ভালো ফলাফল করেছে মেঘ। অনার্স জীবনে এবারই ওর সর্বোচ্চ সিজিপিএ এসেছে, মেঘ তো বেজায় খুশি। আরিশের রেজাল্ট বরাবরের মতো টপই এসেছে কিন্তু মেঘের এতো আনন্দ দেখে মেজাজ গরম হচ্ছে ওর। রেজাল্ট চেক করার পর ক্যান্টিনে বসেছে ওরা চারজন, মেঘ তো তিশার কাছে নিহানের খুব প্রশংসা করছে। আরিশ কফি খাচ্ছে আর মেঘের কথায় বিরক্ত হচ্ছে। অয়ন আরিশের মুখটা দেখে আস্তে আস্তে প্রশ্ন করলো…

‘ মুখ এরকম করে রেখেছিস কেনো?’

আরিশ মেঘের দিকে ইশারা করে বললো…

‘ ও কি করছে দেখছিস না? আমি এখানে আছি দেখি আর উনি আরেকজনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ!’

‘ আহা, এতো জে’লা’সি ভালো নয় আরিশ। নিহান ওকে অনেক হেল্প করেছে, আমি নিজেও দেখেছি। ছেলেটা এই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য ‘

ভ্রু কুঁচকে তাকালো আরিশ…

‘ তুই আমার বন্ধু না নিহানের?’

‘ আরে বাবা আমি তোরই বন্ধু, তাই বলে কি অন্য ক্লাসমেটের প্রশংসা করতে পারবো না? অদ্ভুত!’

একে মেঘ, তার ওপর আবার অয়নের কথা শুনে মেজাজ দ্বিগুণ খারাপ হচ্ছে। এরই মধ্যে হুট করে মেঘ উঠে যাওয়ার জন্যে উদ্যত হতেই আরিশ ওর হাত টেনে ধরলো…

‘ লাফাতে লাফাতে কোথায় ছুটছো?’

‘ নিহানকে ধন্যবাদ দিতে যাচ্ছি ‘

‘ দরকার নেই, চুপ করে বসে থাকো ‘

‘ নিহানের সাহায্যের জন্যেই তো ভালো ফলাফল এলো, অকৃতজ্ঞের মতো একটা ধন্যবাদও জানাবো না?’

‘ ও কি তোমার ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় পড়িয়েছে তোমায়? নাকি তোমাদের মধ্যে এমন কোনো শর্ত ছিলো যে রেজাল্ট ভালো করলে তোমার ওকে থ্যাংকস বলতেই হবে?’

‘ তোমার আবার কি হলো! সামান্য একটা থ্যাংকস বলা নিয়ে এতো কাহিনী করছো কেনো?’

‘ যাবে না মানে যাবে না ‘

‘ তুমি কি আমাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছো আরিশ? আমি কিন্তু তোমার কোনো বিষয়ে কিছু বলিনা, তাহলে আমি কার সাথে কথা বলবো না বলবো সেটা নিয়ে তোমার এতো সমস্যা কেনো?’

‘ আমার কোনো প্রবলেম নেই ‘

‘ তাহলে? তাছাড়া নিহান আমাদের ক্লাসমেট, একই ক্লাসে থাকার সুবাদে কি কথাও বলা যাবেনা?’

‘ ফাইন, যা খুশি করো। আমি আর কিছুই বলবো না ‘

মেঘের হাত ছেড়ে ওখান থেকে উঠে চলে গেলো আরিশ, মাঝে মাঝে ওর এই অস্বাভাবিক আচরণ মেঘকে চিন্তায় ফেলে দেয়। মেঘ চেয়ারে বসলো মেঘ…

‘ আমি এমন কি বললাম যে এইভাবে উঠে চলে গেলো? আচ্ছা অয়ন আমি দোষের কি বললাম এখানে যে তোমার বন্ধু এভাবে রিয়েক্ট করলো?’

‘ বুঝলে মেঘনা, আরিশের বোধহয় অভিমান হয়েছে। আসলে নিহানের সঙ্গে তুমি কথা বলো এটা না ওর একদমই সহ্য হয় না ‘

তিশা মেঘকে ঠ্যালা দিয়ে বললো…

‘ বাব্বাহ! দেখেছিস মেঘনা, তোর বর কতো জেলাস ফিল করে। ইশ, কি রোমান্টিক ব্যাপার’

‘ আরে নাহ, আরিশ এরকম ছেলে না। ওইদিন তো আমি নিজেই নিহানের সামনে আমাদের বিয়ের কথাটা বললাম, আরিশও আমার সঙ্গে ছিলো ‘

‘ তবুও, ছেলে মানুষ একটু আধটু বিষয়েও জেলাস ফিল করতে শুরু করে। আজকাল ছেলেরা তার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে এতো পজেসিভ হয় সেখানে তুই তো ওর বউ ‘

তিশার কথা শুনে বিষয়টা একটু ভেবে দেখলো মেঘ, সত্যিই তো! একমাত্র নিহানের কথা উঠলেই আরিশ এমন বিরক্তি প্রকাশ করে, ছেলেটা এতো জেলাস ফিল করে? আজ এভাবে উঠে গেলো মানে বেশ অভিমান করেছে, মেঘের নিজেরই খারাপ লাগলো। ওভাবে আরিশকে কথাগুলো বলা ঠিক হয়নি! ক্যান্টিন থেকে উঠে মেঘ আরিশকে খুঁজতে চলে গেলো…আরিশকে খুঁজতে খুঁজতে তিনতলায় এসে খুঁজে পেলো, কোনো এক সিনিয়রের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলো ও। মেঘ দ্রুত পায়ে হেঁটে এসে আরিশের সামনে দাঁড়ায়, আরিশ পাশ কাটিয়ে চলে আসতে গেলে মেঘ আবারো ওকে আটকে দাঁড়ায়…

‘ কি সমস্যা? বারবার রাস্তা ব্লক করছো কেনো?’

‘ তোমাকে উ’ত্য’ক্ত করার চেষ্টা করছি ‘

‘ বিরক্ত করো না মেঘনা, যাও এখান থেকে ‘

‘ তুমি কোথায় যাবে?’

‘ যেখানে আমার মন চায়, তোমার তাতে কি?’

আরিশ লম্বা লম্বা পা ফেলে হেঁটে যাচ্ছে, মেঘ ওর পাশে পাশে হাঁটার চেষ্টা করছে…

‘ আস্তে আস্তে যাও না, তোমার মতো ওরকম লম্বা পা তো আমার নেই। অতো দ্রুত যেতে পারিনা ‘

‘ আসছো কেনো আমার সঙ্গে?’

সিঁড়িতে নামার সময় আবারো মেঘ আরিশের সামনে এসে দাঁড়াতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে পড়ে যেতে যাচ্ছিলো, আরিশ দ্রুত ধরে ফেলে। ভয় পেয়ে আরিশকে জড়িয়ে ধরে মেঘ…

‘ এখনই মাথাটা বোধহয় ফেঁটে যেতো! থ্যাংক ইউ’

মেঘকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে রাগী কণ্ঠে আরিশ বলে উঠলো…

‘ এখান থেকে এখন পড়ে গেলে খুব ভালো হতো না? ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই আমি?’

আরিশের ধমক শুনে থতমত খেয়ে উঠলো মেঘ, আমতা আমতা করে বললো…

‘ এরপর থেকে সিড়ি দিয়ে চলার সময় বিশেষ খেয়াল রাখবো আর তোমার রাগ হবে এমন কাজ আমি আর কখনও করবো না, প্রমিজ!’

আরিশ একনজর শুধু মেঘের দিকে তাকালো, বেচারি অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে আছে কিন্তু আরিশ ওকে ইগনোর করে চলে গেলো। মন খারাপ হয়ে গেলো মেঘের, আরিশের এতো অভিমান মানতে কষ্ট হচ্ছে ওর! নিচতলায় আসার পরই নিহানের সঙ্গে দেখা হলো…

‘ হেই আরিশ, কনগ্রাচুলেশন! তোকে বিট করা হয়তো আমার দ্বারা সম্ভব হবেনা ‘

আরিশ এই কথার কোনো উত্তর দিলো না, কিছু একটা ভেবে হুট করে বলে বসলো…

‘ থ্যাংক ইউ ‘

অবাক হলো নিহান…

‘ আমায় ধন্যবাদ কেনো বলছিস?’

‘ আমার ওয়াইফের পক্ষ থেকে বলছি, তোর হেল্পের জন্যে ওর ভালো মার্কস এসেছে এবার ‘

‘ আমার ওয়াইফ? বাহ! এতো পজেসিভনেস?’

‘ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নাকি?’

‘ না না, আসলে তোকে দেখে বোঝা যায়নি কখনো যে তুই কোনো মেয়ের বিষয়ে এতোটা সিরিয়াস হতে পারিস ‘

আরিশের মন মেজাজ এমনিই খারাপ হয়ে আছে, ও আর কিছু না বলে চলে যেতে যাচ্ছিলো তখনই নিহান বলে উঠলো…

‘ জানিস আরিশ, যদি সেদিন মেঘনা তোদের বিয়ের কথাটা রিভিল না করতো তাহলে আমি ওকে প্রোপোজ করতাম। আসলে আমি সেই প্ল্যান করেই এসেছিলাম, কিন্তু সব বিগড়ে গেলো ‘

থেমে গেলো আরিশ, ঘুরে তাকালো নিহানের দিকে…

‘ প্রোপোজ?’

‘ হুমম! আই রিয়েলি লাইক হার। কিন্তু তোর ভাগ্য ভালো তাই তুই ওকে পেয়ে গেলি। সুখে রাখিস ওকে, মেয়েটা কিন্তু অনেক অনেক ভালো ‘

রাগে ভেতরটা যেনো ঝলসে যাচ্ছে আরিশের, ও এগিয়ে এলো নিহানের কাছে। ওর কাধে হাত রেখে হিমশীতল কণ্ঠে বললো…

‘আজ যেটা বললি সেটা যেনো তোর শেষবারের মতো বলা হয়, মেঘনা সম্পর্কিত কথা আমি আর তোর মুখ থেকে শুনতে চাইনা’
______________________________________

শাশুড়ির সঙ্গে রান্নাঘরে ডিনার বানাচ্ছিলো মেঘ, বারবার ফোন চালু করে সময় দেখছে ও। এতো দেরি হয়ে গেছে কিন্তু আরিশ এখনও বাড়ি ফেরেনি। আজ সারাদিন একটাও কথা হয়নি ওর সঙ্গে, ছেলেটার অভিমান কিভাবে ভাঙাবে এই ভাবনায় মশগুল ছিলো মেঘ তখনই ওর শাশুড়ি বলে উঠলেন…

‘ মেঘনা, বলছি আনিশার কি হয়েছে কিছু জানো?’

‘ কোন ব্যাপারে আম্মু?’

‘ আমি নিজেই বুঝতে পারছি না, দিনরাত কেমন মনমরা হয়ে পড়ে থাকে। ইদানিং কিসব দুঃখের গান শুনছে। আমি জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলছে না ‘

মেঘ ঘটনাটা বুঝতে পেরে রেহানা বেগমকে বললেন…

‘ ওর টিনএজ চলছে তো, এ সময় মেয়েদের মুড সুইং হয়। হয়তো ওরও তাই হচ্ছে ‘

‘ হতে পারে তাও তুমি একটু কথা বলে দেখো তো, এখন তো যুগ বদলেছে। কম বয়সেই মেয়েদের মনে অনেককিছু চলে, কিন্তু প্রকাশ না করলে বুঝবো কিভাবে!’

‘আপনি চিন্তা করবেন না আম্মু, আমি ওর সঙ্গে কথা বলবো ‘

রান্নাবান্না শেষে ননদের রুমে এসে মেঘ দেখলো ননদ তার বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে! পাশেই ফোনে গান বাজছে…

” ভালোবাসি হয়নি বলা তবুও ভালোবাসি
পাশাপাশি হয়নি চলা তবুও পাশাপাশি ”

মেঘ কিছুক্ষণ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে ভেতরে ঢুকে বললো…

‘ এ কি অবস্থা! ঐভাবে শুয়ে আছো কেনো? সোজা হয়ে শোও আনিশা ‘

মাথা তুলে তাকালো আনিশা…

‘ ভাবী! আমার মন ভেঙে গেছে ‘

মেঘ এসে টেনে আনিশাকে উঠিয়ে বসালো, তারপর নিজেও ওর পাশে বসে ফোনের গানটা বন্ধ করে বললো…

‘ বুঝতে পারছি তো, কিন্তু তুমি এরকম করলে কিভাবে হবে বলো? তোমাকে তো শক্ত হতে হবে, নতুন করে সব শুরু করতে হবে ‘

‘ কিভাবে সম্ভব ভাবী? একটা বছর ধরে আমি অয়ন ভাইয়াকে পছন্দ করি, কিন্তু বলতেই পারলাম না ‘

‘ হয়তো ভাগ্যে তোমাদের জুটি লিখা ছিলো না ‘

‘ তুমি ভাগ্যে বিশ্বাস করো? ‘

‘ অবশ্যই! তাকদীরে না থাকলে সেই জিনিস তুমি যতোই পাওয়ার চেষ্টা করো না কেনো পাবে না, তুমি যা চাও আল্লাহ হয়তো তার থেকেও ভালো কিছু তোমার জন্যে লিখে রেখেছে। এসব ভেবে এতো মন খারাপ করলে হবে নাকি হুমম?’

মেঘের কথা শুনে আনিশা মুখ গোমড়া করে বললো…

‘ ঠিকই বলেছো! তাই হবে হয়তো ‘

‘ তাহলে? আবার আগের মত স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করো, জানো আম্মু তোমার এই অবস্থা দেখে চিন্তিত?’

‘ তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছে নাকি? তুমি আবার কিছু বলোনি তো ভাবী?’

‘ একদমই না!’

ভাবীর সঙ্গে কিছুক্ষণ মন খুলে কথা বললো আনিশা, কিছু নিয়ে চিন্তায় থাকা অবস্থায় মেঘের সঙ্গে কথা বললেই যেনো আনিশার অর্ধেক চিন্তা দূর হয়ে যায় কারণ মেঘের পরামর্শ যুক্তিসঙ্গত মনে হয় ওর। ডিনারের পর বিছানায় হেলান দিয়ে বসে ল্যাপটপে কিছু করার চেষ্টা করছিল আরিশ কিন্তু মনোযোগ দিতে পারছে না। বারবার নিহানের কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে! নিজের ওপর নিজেরই বিরক্ত লাগছে আরিশের, এদিকে জানালা আটকাতে এসে মেঘ খেয়াল করলো বৃষ্টি পড়ছে। বিকেলেই আকাশে মেঘ করেছিলো, এখন বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি দেখেই মেঘের মনে পড়লো আরিশের তো বৃষ্টি পছন্দ তাহলে ওর মন ভালো করার মতো কিছু করা যাক? মেঘ ওর কাছে ছুটে এসে বললো…

‘ আরিশ, বৃষ্টি হচ্ছে!’

‘ তো?’

‘ চলো ভিজি!’

বিস্মিত নজরে তাকালো আরিশ, মেঘ স্বেচ্ছায় বৃষ্টিতে ভিজতে চাইছে?

‘ হোয়াট!’

‘ চলো ছাদে যাই, নাহলে বৃষ্টির বেগ কমে যাবে ‘

‘ এক মিনিট! তুমি না বলেছিলো অনেক বছর তুমি বৃষ্টি গায়ে লাগাওনি, তাহলে এই রাতের বেলা হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেজার ভুত মাথায় উঠলো কেনো?’

‘ তুমি বলেছিলে বৃষ্টিতে ভেজার মজাই আলাদা, তোমার তো বৃষ্টি ভালো লাগে তাইনা? চলো দুজনে একসঙ্গে ভিজি ‘

‘ তোমার যেটা ভালো লাগেনা সেটা জোর করে করার প্রয়োজন নেই ‘

‘ কে বললো জোর করে করছি? আমি মন থেকেই করছি, এসো না!’

মেঘ আরিশের হাত ধরে টানাটানি করতে শুরু করলো, এক পর্যায়ে আরিশ উল্টে ওর হাত টেনে ওকে বিছানায় ফেলে দিলো। মেঘের দিকে উবু হয়ে প্রশ্ন করলো…

‘ ডু ইউ লাইক মি?’

এতদিন পর হঠাৎ আরিশের মাথায় এমন প্রশ্ন কেনো এলো বুঝলো না মেঘ, কিন্তু এ মুহূর্তে ওকে দেখে মেঘের তেমন সুবিধা লাগছে না। মনে হচ্ছে যেনো কোনো একটা বিষয় নিয়ে সে ভীষণ বিরক্ত! চোখমুখে রাগের ছাপও স্পষ্ট, মাঝে মাঝে ওর ঘন নিঃশ্বাস এসে মেঘের মুখে পড়ছে। আরিশকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে মেঘ নিজেকে স্বাভাবিক রেখেই উত্তর দিলো…

‘ এটা আবার কেমন প্রশ্ন আরিশ! অফ কোর্স আই লাইক ইউ ‘

‘ কতোটা?’

‘ পরিমাণ করবো কিভাবে?’

‘ নিহানের থেকেও বেশি পছন্দ করো আমায়?’

‘ আরিশ! কি বলছো তুমি! কোথায় তুমি আর কোথায় নিহান! তুমি আমার হাসবেন্ড আর আমি…’

পুরো কথা শেষ করতে পারলো না মেঘ তার আগেই তিনটা চমৎকার শব্দ বলে ওকে চমকে দিলো আরিশ…

‘ আই লাভ ইউ!’

চলবে…

[ভুলত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন…!!]