উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব-৩৪

0
6

#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব৩৪
#আফিয়া_আফরোজ_আহি

(প্রাপ্ত বয়স্ক এবং মুক্তমনাদের জন্য উ’ন্মুক্ত)

হাল্কা মেঘাচ্ছন্ন আকাশে মেঘের মাঝে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। প্রতিদিনের ন্যায় আজ সূর্যের প্রখরতা নেই। নৌকা ছুটে চলেছে এদিক থেকে সেদিক। পুরো বিল জুড়ে চক্কর দিচ্ছে। পানিতে পা ভিজিয়ে কোলে এক গুচ্ছ শাপলা নিয়ে বসে সময় আর পরিবেশ দুটোই উপভোগ করছি। আদ্র ভাই আমার কিছু সুন্দর ছবি আর ভিডিও করে দিয়েছে। মাঝিকে দিয়ে দুজন কিছু কাপল ফটোও তুলে নিয়েছি। ঘোরাঘুরি শেষে নৌকা থেকে নামার সময়ও আদ্র ভাই কোলে তুলে নামিয়েছে। আর আমি লজ্জায় তার বুকে মুখ গুঁজে দিয়েছি। আশেপাশে মানুষের অভাব নেই উনার লজ্জা না থাকলেও আমার তো আছে। দুজন হাতে হাতে রেখে হাটছি হটাৎ চোখ পড়লো পাশে এক দোলনাতে। বায়না ধরলাম দোলনায় চড়বো। আদ্র ভাই সেখানে নিয়ে গেলেন। আমি দোলনায় বসেছি উনি পিছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছেন। খোলা চুলে দোলনায় বসার অনুভূতিই আলাদা। হটাৎ ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। আচমকা বৃষ্টি আশায় দুজনেই কিছুটা ভিজে গেলাম। আদ্র ভাই তাড়া দিয়ে বলল,
“গাড়িতে চল, এখানে থাকলে ভিজে যাবো”

“আরে একটু আকটু ভিজলে কিছু হবে না”

“এটা বাড়ির পাশের জায়গা না যে ভিজে বাড়ি গিয়ে চেঞ্জ করে নিবি। ভিজা শরীরে পড়ে ঠান্ডা লেগে যাবে”

আমি মুখ ফুলিয়ে বললাম,
“আজকে একটু ভিজি না, প্লিজ”

আদ্র ভাই কিছু বলল না। আরো কিছুক্ষন দোল খেয়ে নামলাম। এখনো বৃষ্টি পড়ছে তবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। আদ্র ভাইয়ের হাত জড়িয়ে ধরে দুজন বৃষ্টির মাঝে হেটে চলেছি। কিছুদূর যেতেই শুনশান রাস্তা। পুরো রাস্তায় কোনো মানুষ নেই। উনার হাত ছেড়ে দিয়ে দুহাত মেলে দিলাম। দুহাত মেলে দিয়ে ঘুরছি আর বৃষ্টিকে গাঁয়ে মাখছি। বৃষ্টিতে ভেজার ফলে শাড়ি একদম গাঁয়ের সাথে মিশে আছে। সাদা শাড়ি হওয়ায় পেট পিঠ অনেকটাই বোঝা যাচ্ছে। আমার থেকেই একটু দূরে দাঁড়িয়ে আদ্র ভাই গাছের সাথে হেলান দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।উনার চাহনি কেমন বেসামাল। আমার সেদিকে ধ্যান নেই। আমি আছি বৃষ্টিতে মগ্ন। আবেশে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো মেখে চলেছি শরীরে। আদ্র ভাই একটু একটু করে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। একসময় একদম সামনে এসে দাঁড়ালেন। আচমকা উনাকে এতটা সামনে দেখে ভরকে গেলাম। আদ্র ভাই কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। উনার দৃষ্টিতে মাদকতা। অতঃপর হাত বাড়িয়ে মুখের ওপরে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে কানের পিছনে গুঁজে দিলেন। ওনার ছোয়ার শিউরে উঠলাম। উনি নেশালো চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তার চাহনিতে যে ধ্বংস নিশ্চিত। আদ্র ভাই একটু একটু করে এগিয়ে আসছে আমার দিকে। আমি তার বুকে হাত রেখে বাধা দিলাম। তাতেও যেন কাজ হলো না। মৃদু কণ্ঠে বলে উঠলাম,
“আদ্র ভাই..”

উনি আমার ঠোঁটের ওপর হাতে দিয়ে বলল,
“হুস, কোনো কথা না”

চুপ করে গেলাম। আদ্র ভাই আমার গালে হাত রেখে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। ওনাকে এতটা কাছে আসতে দেখে চোখ বুজে নিলাম। উনার শ্বাস আমার মুখের ওপর পড়ছে। দুজনের অবস্থান খুবই কাছাকাছি। হৃদপিন্ড অসম্ভব বেগে লাফাচ্ছে। শ্বাস প্রশ্বাস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে কেউ হৃদপিন্ডে হাতুড়ি পেটা করছে। আদ্র ভাই হুট্ করে অধরে অধরে মিলিয়ে দিলেন। হতবাক, হতোভম্ব হয়ে গেলাম। আদ্র ভাইয়ের বিচরণ পুরো ওষ্ঠ জুড়ে। নিজেকে সামলাতে না পেরে আদ্র ভাইয়ের বুকের কাছটার শার্ট খামচে ধরলাম। আদ্র ভাইকে দেখে মনে হচ্ছে উনি নেশায় মত্ত হয়ে গেছে। কোনো হুস নেই তার। পা*গলের মতো আধিপত্য বিস্তার করছে অধর জুড়ে। এমন সময় বজ্রপাত হলো। ভয় পায়ে ওনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। এতক্ষনে আদ্র ভাই হুসে ফিরলেন। নিজেকে সামলে আমায় শক্ত করে নিজের সাথে চেপে ধরলেন। কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,
“সরি বলবো না কারণ আমি আমার অধিকার নিয়ে তোকে স্পর্শ করেছি। তোর ওপর আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে”

ফের বললেন,
“এখানে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ানো যাবে না। চল দেখি আশেপাশে কোনো বাড়ি বা দোকান আছে কিনা?”

আমায় আগলে নিয়ে হাঁটা দিলেন সামনের দিকে। একটু এগোতেই একটা দোকান পড়লো। দোকানের পাশে একটা বাড়ি। দেখে মনে হচ্ছে যাদের দোকান তাদেরই বাড়ি। দুজন যেয়ে দোকানের ছাউনির নিচে দাঁড়ালাম। এখানেও বৃষ্টির ঝাপ্টা আসছে। এতক্ষন ভিজায় ঠান্ডা লাগছে। শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে। ঠান্ডার তোপে কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে গেল। আদ্র ভাই বিষয়টা খেয়াল করে জিজ্ঞেস করলো,
“ঠান্ডা লাগছে?”

কাঁপতে কাঁপতে জবাব দিলাম,
“হু”

উনি আশেপাশে কিছু খুঁজলেন তবে পেলেন না। তাই আমায় নিজের সাথে চেপে ধরলেন। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এখন ঝুম বৃষ্টিতে রূপ নিয়েছে। দুজন দুজনকে জড়িয়ে আছি এমন সময় বাড়ির ভিতর থেকে ছাতা হাতে এক পুরুষ বেরিয়ে এলো। আমাদের দেখে কাছে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
“আপনারা কারা?”

আদ্র ভাই উত্তর দিলো,
“আমরা ঢাকা থেকে এসেছিলাম শাপলা বিল দেখতে। হটাৎ বৃষ্টি চলে আশায় এখানে এসে দাঁড়িয়েছি”

“এখানে এভাবে ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে থাকলে তো দুজন অসুস্থ্ হয়ে যাবেন। আপনারা আমার সাথে আমার বাসায় আসেন”

“না সমস্যা নেই। আমরা এখানেই ঠিক আছি”

“আরে চিন্তা করবেন না। এখানে আমার পরিবার আছে। আপনারা ভিতরে আসতে পারেন”

আদ্র ভাই না করতে যেয়েও আমার দিকে তাকিয়ে না করললো না । লোকটা বাড়ির ভিতরে যাওয়া শুরু করলেন। আমরাও তার পিছু পিছু যাচ্ছি। হটাৎ লোকটা থেমে জিজ্ঞেস করলো,
“সাথের মেয়েটা কে হয়? বোন নাকি প্রেমিকা”

কথাটা বলে লোকটা ফিচলে হাসলো। আদ্র ভাই আমায় নিজের আরো একটু কাছে নিয়ে বলল,
“বউ”

আবার লোকটার মুখে ফুটে উঠলো বিস্তর হাসি। আদ্র ভাইয়ের মুখে ‘বউ’ ডাকটা শুনলেই যেন মনটা জুড়িয়ে যায়। আদ্র ভাই ফের বলল,
“মিসেসের শখ শাপলা বিল ঘুরবে তাই এতো দূর আসা”

“বউ মানুষ আবদার আর কার কাছে করবে বলো? আর জামাই হিসেবে তোমারই তো দায়িত্ব তার শখ পূরণ করা”

“হ্যাঁ। তাইতো নিয়ে এলাম”

বাড়ির ভিতর ঢুকেই লোকটা হাক ছাড়লেন,
“গিন্নি!ও গিন্নি! কই তুমি? দেখো কারা এসেছে?”

শাড়ি পরিহিত মধ্যে বয়সী এক নারী ছুটে এলেন। হাত শাড়ির আঁচলে মুছতে মুছতে বলল,
“কারা আসছে?”

“এইযে দেখো এনারা। ঢাকা থেকে ঘুরতে এসে বৃষ্টির জন্য আটকে গেছে। এনাদের নিয়ে ভিতরে বসাও। আমি একটু পাশের বাড়ি থেকে আসি”

লোকটা চলে গেল। আন্টিটা আমাদের বলল,
“বাবা তোমরা ভিতরে এসো। ঠান্ডা লেগে যাবে”

দুজন ভিতরে গেলাম। আমাদের একটা রুমে বসতে দিলো।
“তোমরা বসো আমি আমার মেয়েকে দিয়ে তোমাদের জন্য কাপড় আর গামছা পাঠাচ্ছি”

আন্টি তাড়াহুড়ো করে চলে গেল। একটু পড়েই একটা মেয়ে হাতে করে কাপড় আর গামছা নিয়ে এলো। আদ্র ভাই ওর থেকে কাপড় নিয়ে বিছানায় রেখে গামছা হাতে নিলো। আমি হাঁচি দিয়ে উঠলাম। মেয়েটা কেমন চোখে আদ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে বয়স এগারো বা বারোর কাছাকাছি হবে। আদ্র ভাই গামছা নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এলেন। এদিকে আমি একের পড় এক হাঁচি দিয়েই চলেছি। আমার চুল মুছে দিতে শুরু করলো। চুল মুছতে মুছতে বলল,
“এই জন্যই বলছিলাম বৃষ্টিতে ভিজিস না। কে শোনে কার কথা। এখন ঠান্ডা লাগলো তো?”

আমায় বকছে আর চুল মুছে দিচ্ছেন। মেয়েটা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এখনো আদ্র ভাইকে দেখছে। উনি আমার চুল সুন্দর করে মুছে দিয়ে বলল,
“যা কাপড় চেঞ্জ করে আয়”

আমি কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলাম। দরজা লাগাবো তার আগে শুনতে পেলাম মেয়েটা আদ্র ভাইকে জিজ্ঞেস করছে,
“ভাইয়া এটা কি আপনার বোন?”

আমি দরজা দিয়ে মাথা বের করে ওদের কথা শুনছি। আদ্র ভাই একবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
“বোন না বউ”

মুহূর্তে মেয়েটার মুখ বেজার হয়ে গেল। মুখ ভার করে মেয়েটা সেখান থেকে চলে গেল। আমি মিটিমিটি হাসতে হাসতে দরজা আটকে দিলাম। এই পিচ্চি মেয়েটাও কিনা আমার জামাইয়ের দিকে নজর দিচ্ছে ভাবা যায়? ড্রেস চেঞ্জ করব খেয়াল করলাম এখানে শাড়ি আর পেটিকোট। ব্লাউজ নেই। ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পড়বো কি করে? সময় গড়িয়ে যাচ্ছে আমি বের হচ্ছি না। আদ্র ভাই দরজায় নক করে বলল,
“কিরে বের হচ্ছিস না কেন? কোনো প্রব্লেম?”

“না”

কোনো উপায় না পেয়ে ব্লাউজ ছাড়া গ্রাম্য ভাবে শাড়ি জড়িয়ে নিলাম। হাত গুলো দেখা যাচ্ছে। লজ্জা লাগছে। এই ভাবে কি করে উনার সামনে যেয়ে দাঁড়াবো।
“কিরে সারাদিন ওয়াশরুমে থাকার প্লেন করছিস নাকি?”

দরজা খুলে টিপ টিপ পায়ে বেরিয়ে এলাম। আদ্র ভাই আমার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। ঘটনা বুঝতে পেরে বলল,
“বোকা মেয়ে। আমি অন্য কেউ নাকি? আমি তোর বর। আমার সমানে লজ্জা কিসের?”

“তাও আমার সরম লাগছে”

“সরম গরম ভাত দিয়ে খেয়ে ফেল। তাহলেই আর সরম লাগবে না। এখন সর আমিও চেঞ্জ করবো”

আমি সরে দাঁড়ালাম। উনি ভিতরে ঢুকে গেলেন। কিছুক্ষন পড়ে বেরিয়ে এলেন। উনাকে দেখে খিলখিল করে হেসে উঠলাম। আদ্র ভাইয়ের পরনে লুঙ্গি। এই প্রথম আদ্র ভাইকে লুঙ্গি পড়া দেখলাম। এমনি বাসায় শর্ট পড়েই ঘুরে বেড়ায়। আমার হাসি থামাথামির নাম নেই। আদ্র ভাই কাছে এসে হাতে গামছা ধরিয়ে দিয়ে বলল,
“হাহা হিহি পড়ে করিস। আগে আমার চুল গুলো মুছে দে”

উনি বিছানায় বসে পড়লেন। নাহলে যেই লম্বু আমি উনার নাগালই পাবো না। আমি সযত্নে উনার চুল গুলো মুছে দিচ্ছি। আদ্র ভাই আচমকা কোমর জড়িয়ে ধরলেন। উনার স্পর্শ পেয়ে চমকে গেলাম। শিরদাড়া বেয়ে শিহরণ ছেয়ে গেল। চুল মোছা শেষ ছেড়ে দিলেন। আমাদের ভেজা কাপড় মেলে দিয়ে এলেন বাহিরে। একটু পড়েই দরজায় নক হলো। আদ্র ভাই যেয়ে দরজা খুলে দিলেন। আন্টি হাতে দুগ্লাস দুধ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হাসি মুখে ভিতরে ঢুকে বলল,
“তোমাদের জন্য গরম দুধ নিয়ে এলাম। দুজন খেয়ে নাও। ভালো লাগবে”

আদ্র ভাই মুখে হাসি টেনে বললেন,
“এসবের কি দরকার ছিলো আন্টি”

“লজ্জা পেয়ো না বাবা। তোমরা এখন আমাদের বাড়ির মেহমান তোমাদের খেয়াল রাখা আমাদের দায়িত্ব। খেয়ে নেও”

আন্টি চলে গেলেন। দুজন দুধ খেয়ে বসে আছি। বাহিরে এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। একটু পর পর জানালা দিয়ে বাচ্চা মেয়েটা এসে উঁকি দিচ্ছে। ওর যে আদ্র ভাইকে পছন্দ হয়েছে এটা বোঝাই যাচ্ছে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলাম।
——

সকালে গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে। এতক্ষনে বৃষ্টিও থেমে গেছে। যেতে চাইলে আন্টি আঙ্কেল আটকে দিলেন। দুপুরের খাবার না খেয়ে যেতে দিবেন না। দুজন একদম রেডি হয়ে বসে রয়েছি। খাবারের জন্য ডাক পড়তেই চলে গেলাম খেতে। আমি আর আদ্র ভাই পাশাপাশি বসে খাচ্ছি। আন্টি আন্তরিকতার সহিত এটা ওটা এগিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের অপর পাশে বসা মেয়েটা এখনো আদ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওর ভাবনা বাদ দিয়ে খাওয়ায় মন দিলাম। খাওয়া শেষ করে একটু রেস্ট নিয়ে দুজন বেরিয়ে এলাম। ওনারাও আমাদের বিদায় দিতে রাস্তা পর্যন্ত এলেন। আন্টি আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন,
“হটাৎ করে অতিথি হয়ে এলে তাই ঠিক ঠাক আপ্পায়ন করতে পারলাম না। মনে কিছু নিও না”

“এভাবে বলছেন আন্টি? উল্টো আমরা এসে আপনাদের বিড়ম্বনায় ফেলে দিলাম”

“সমস্যা নেই। আবার এসো”

আমি যেয়ে আদ্র ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালাম। আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে বলল,
“মাশাআল্লাহ দুজনকে একসাথে অনেক সুন্দর লাগছে। এভাবেই দুজন একসাথে থেকো দোয়া রইল”

“আপনারাও ভালো থাকবেন”

পিচ্চি মেয়েটা এখনো আদ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। সেটা দেখে উনি এগিয়ে যেয়ে মেয়েটার মাথায় হাতে বুলিয়ে দিয়ে বলল,
“ভালো থেকো পিচ্চি। আর সব সময় বাবা-মার কথা শুনে চলবে। মন দিয়ে পড়াশোনা কোরো”

মেয়েটা মাথায় নেড়ে সায় জানালো। ওকে দেখে মনে হচ্ছে এক্ষুনি কেঁদে দিবে। তাঁদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। পিছনে রয়ে গেল আচমকা পরিচয় হওয়ার কিছু কাছের মানুষ। কিছু সুন্দর মুহুর্ত।

#চলবে?