উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব-৪৯

0
2

#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব৪৯
#আফিয়া_আফরোজ_আহি

শরৎ কালে চারপাশে কাশ ফুল ফুটে রয়েছে। সাথে আছে জুঁই, কেয়া, কাশফুল, শিউলি, জবা, কামিনি, মালতি, মলিকা, মাধবী, ছাতিম ফুল, বরই ফুল ও দোলনচাঁপা, বেলি, জারুল, নয়নতারা, ধুতরা, ঝিঙে, জয়ন্ত্রী, শ্বেতকাঝন, রাধুচূড়া, স্থলপদ্মা, বাগান বিলাস সহ নানান রকমের ফুল। শরতের প্রকৃতি বড়ই বৈচিত্র্যময়, লাবণ্যময়ী। বিকেলে ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। মনমুগ্ধ করা হাওয়া এসে ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছে ক্ষনে ক্ষনে। একটু আগে বৃষ্টি হওয়ায় ঠান্ডা পরিবেশ। একটু আকটু শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। কতোদিন পড়ে নিজের প্ৰিয় ছাদের এসেছি তার হিসেব নেই। ঘুরে ঘুরে ছাদের লাগানো গাছগুলো দেখছি। এখানে লাগানো গাছগুলোর মাঝে কয়েকটা আমার নিজ হাতে লাগানো। ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম কয়েকটা ফুল গাছ শুকিয়ে গেছে। হয়তো ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া হয়না টাই। প্রায় অনেক দিন হয়ে গেছে এ বাড়ি আসা হয়না বললেই চলে। মাঝে পরীক্ষা থাকায় দিন রাত নাওয়া খাওয়া ভুলে টেবিলে বসে বসেই কেটে যেত। কারো সাথে তেমন কথা হয়নি। সকালে উঠে পড়তে বসতাম রাতে একেবারে পড়া শেষে উঠতাম। মাঝে মাঝে তো এমনও হয়েছে পড়ার চাপে খাওয়ার কথা ভুলে বসেছি। আদ্র বেলায় বেলায় ফোন করে খবর নিতো আমি খেয়েছি কিনা? না খেলে আম্মুকে বলতো খাইয়ে দিয়ে যেতে। আদ্র কতো করে বলতো এতো প্রেসার নেওয়া কিছুই নেই। কিন্তু আমি শুনলে তো! আমাকে ফার্স্ট হতেই হবে সেটা যেভাবে হোক। তাই দিন রাত এক করে পড়েছি। পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিছুদিন। আপাতত রেজাল্ট এর অপেক্ষায় আছি। পরীক্ষা শেষে শুয়ে বসে আরুর সাথে গল্প, আম্মুর সাথে রান্না আদ্রকে জ্বালানো এই নিয়েই দিন গুলো কেটে যাচ্ছে।

আজ বহুদিন পড়ে বাড়িতে এলাম। সকাল বেলা আদ্র অফিসে যাওয়ার সময় দিয়ে গেছে। আবার যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে। বউ ছাড়া আদ্র মহাশয়ের দিন চলেই না বলতে গেলে। বিয়ের পড়ে এমন কোনো দিন যায়নি যেদিন আমি এ বাড়ি ছিলাম আর আদ্র ওবাড়ি। আমি এ বাড়িতে থাকলে উনি কোনো না কোনো বাহানায় টুপ্ করে চলে আসবে। একদিন তো এমন হয়েছে রাত তখন এগারোটার কাছাকাছি। আমি নিজের রুমে শুয়ে ফোন চালাচ্ছি এমন সময় আদ্র সাহেবের আগমন। হটাৎ এই সময় উনি! ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলাম,
“তুমি এতো রাতে? কোনো সমস্যা?”

“আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা তো তুই”

“মানে?”

“তোর জন্য বাড়িতে বসেও শান্তি নেই। রুমে ঢুকতেই রুমটা খালি খালি লাগছিলো। রুমে ঢুকতেই কারো অভিযোগের ঝুলি খোলে নি, কেউ এসে চুল গুলো এলোমেলো করে দেয়নি, রুমের সব কিছু তাঁদের জায়গায় থেকেও কি যেনো একটা নেই নেই ভাব। হাহাকারে করছিলো রুমটা। প্রতিদিন শত ক্লান্তি থাকলো তা যেন নিমিষেই হাওয়া হয়ে যেতে কিন্তু আজকে ক্লান্তিরা হাওয়া হওয়াব বদলে আরো জেঁকে বসছিলো। বারবার জানান দিচ্ছিলো রুমে জুড়ে নীরবতা, শান্ত। কেমন গুমোট পরিবেশ! আমি থাকতে পারছিলাম না। দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। অবশেষে টিকতে না পেরে চলে এলাম”

আমি অবাক নেত্রে তাকিয়ে আছি আদ্রর দিকে। আমি একদিন কি এ বাড়ি এসেছি এতেই ওনার এই হাল! আদ্র হুট্ করে এগিয়ে এসে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
“তোকে ছাড়া আমার এক মুহুর্তও চলবে না রৌদ্রময়ী, এক মুহুর্তও না। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে রুমে ঢুকে আমার তোর হাসি মুখটা আমার চাই। যেই মুখশ্রী দেখে আমি আমার সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই ভুলে যেতে পারবো। সব সময়ের জন্য তোকে আমার চাই”

আমার মাথায় হাত! এই লোককে নিয়ে আমি কোথায় যাবো? আদ্রকে নিজের সাথে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে নিলাম। এই মানুষটার পা*গলমী গুলো ছাড়া অসম্পূর্ণ আমি। আবেশে দুজন দুজনকে জড়িয়ে আছি। আদ্র কিছুটা করুণ কণ্ঠে বলে উঠলো,
“আমায় কখনো ছেড়ে যাস না রৌদ্রময়ী। তুই ছেড়ে গেলে আমি যে নিঃস্ব হয়ে যাবো”

“এই দেহে প্রাণ থাকবে যতদিন তোমার রৌদ্রময়ী তোমার পাশে থাকবে ততদিন”
——-

আদ্রর করা পা*গলামি গুলো মনে করে আপন মনে হাসছিলাম। এমন সময় পাশে এসে দাঁড়ালো ইভা। ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
“এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?”

“কি খবর বনু? সুখবর আছে নাকি?”

“আমাকে তোর কি মনে হয়? সুখবরের গোডাউন? আমি সারাদিন সুখবর নিয়ে ঘুরি?”

“আরে খেপিস কেন? এমনি জিজ্ঞেস করছিলাম”

“তোর এমনির গুষ্টি কিলাই। এখন বল তোর কি খবর? বিয়ে করছিস কবে?”

বিয়ের কথা শুনে ইভার মুখে লালিমা ছড়িয়ে গেল। ওকে দেখে মনে হচ্ছে বেচারি লজ্জা পেয়েছে। লজ্জায় রাঙা মুখে বলল,
“পিয়াস বলেছে শীঘ্রই বাবা-মাকে নিয়ে আসবে”

“ভালো তো, তাড়াতাড়ি বিয়েটা কর। একটা দাওয়াত খাই”

দুজনে টুকটাক কথা বললাম কিছুক্ষন। অতঃপর সন্ধ্যা নামার আগেই নেমে এলাম।
——-

রাত দশটার কাছাকাছি। আদ্রর আসার নাম নেই। কয়েকদিন যাবত অফিসে কাজের চাপ বেড়েছে। বেচারার অবস্থা খারাপ। বাড়ি আসেও রাত করে। উৎসুক হয়ে বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি। কখন আসবে উনি? রুমে আর ভালো লাগছে না। ব্যালকনিতে পা বাড়ালাম। ব্যালকনি জুড়ে বেলি ফুলের সুবাস। আলতো হাতে ফুলগুলো ছুঁয়ে দিলাম। আমার কতো শখের, যত্নের এই ফুল গাছ গুলো। যত্নের অভাবে কেমন নেতিয়ে গেছে। বিকেলে বসে সময় নিয়ে আগাছা গুলো পরিষ্কার করে পানি দিয়েছি। এখন কিছুটা সতেজ লাগছে। ফুল গুলো ছুঁয়ে দোলনায় বসে পড়লাম। কিছুক্ষনের মাঝে দরজা খোলার শব্দ কানে ভেসে এলো। উঁকি দিতেই দৃষ্টি পড়লো ক্লান্ত আদ্রর ওপর। সকালে ইন করে যাওয়া শার্টটা কেমন কুঁচকে গেছে। ঘামে ভিজে গাঁয়ের সাথে লেপ্টে আছে। চুলগুলোও এলোমেলো। গলার টাই ঢিলে করে রাখা। গাঁয়ের কোর্ট খুলে হাতে রাখা। আদ্র হাতের কোর্ট ছুড়ে বিছানায় ফেললেন। ধুপ করে বসে পড়লেন বিছানায়। এগিয়ে গেলাম আদ্র কাছে। মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে। মানুষটার ওপর দিয়ে কাজের প্রেসার গেছে বুঝাই যাচ্ছে। আদ্র চোখ বুজে রয়েছে। কাছে গিয়ে এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে দিতে দিতে বললাম,
“আজ এতো দেরি হলো যে? বেশি ক্লান্ত লাগছে?”

আদ্র কিছু না বলে জরিয়ে ধরলো। পর পর দুবার নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
“একটু আগে ক্লান্ত থাকলেও এখন ফ্রেশ আছি। অফিসের কাজ শেষ করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে”

আবার চোখ বুজে নিলো। আদ্র চুলগুলো এলোমেলো করছি আবার গুছিয়ে দিচ্ছি। নীরবে নিভৃতে কেটে গেল কয়েক মুহূর্ত। মৃদু কণ্ঠে বললাম,
“যাও ফ্রেশ হয়ে এসো। তারপর খাবার খাবে চলো”

আদ্র আমায় নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“আজও খাসনি?”

মাথা নেড়ে ‘না’ জানালাম। আদ্র ভ্রু কুচকে বলল,
“তোকে কতো বার বলেছি আমার আসতে দেরি হলে খেয়ে নিবি। কিন্তু কে শোনে কার কথা”

“এই বেশি কথা না বলে যাও তো। একসাথে খাবো”

আদ্র ফ্রেশ হতে চলে গেল। আমিও নিচে নেমে গেলাম। খাবার গুলো গরম করতে হবে। একটু পড়েই আদ্র নেমে এলো। দুজনে খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম। ক্লান্ত থাকায় খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেল আদ্র। আদ্র ঘুমিয়ে যেতেই চুপটি করে উঠে চলে এলাম।

নিস্তব্ধতায় ঘেরা চারপাশ। আঁধারে ঢেকে আছে ধরণী। আকাশে অল্প স্বল্প মেঘেদের আনাগোনা। থালার ন্যায় জ্বলজ্বল করছে চন্দ্র। ঘুমে বিভোর সবাই। আদ্রকে মৃদু স্বরে ডেকে উঠলাম। উনি ঘুম ঘুম কণ্ঠে উত্তর দিলো,
“ডাকছিস কেন?”

“আমার ছাদে যেতে ইচ্ছে করছে”

“এখন?”

“হ্যাঁ। চলোনা ছাদে যাই। কতদিন দুজন রাত জেগে গল্প করি না”

আদ্র হাত বাড়িয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
“এই রাতে ছাদের পে*ত্নী আছে। তুই গেলে ঘাড় মটকে দেবে। আমরা আজকে না অন্য একদিন যাবো যেদিন পে*ত্নীটা থাকবে না”

“আমি ছাদে যাবো বলেছি, যাবো”

“বায়না করে না বউ। ঘুম পাচ্ছে অন্য একদিন যাবো”

“তুমি আমায় নিয়ে যাবে নাতো? ঠিক আছে তুমি ঘুমাও। আমি একাই যাচ্ছি”

উঠতে নিলে আদ্র নিজেই উঠে বসলো।
“দিন দিন বড্ড নাছোড় বান্দা হয়ে যাচ্ছিস রৌদ্রময়ী”

বলে হাত ধরে ছাদের দিকে হাঁটা দিলো। আদ্র সাহেব যে বিরক্ত হয়েছে এটা শিওর। ওনার বিরক্তি মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছি। ছাদের দরজায় পা রাখতেই নজরে এলো ঘুটঘুটে অন্ধকার। অন্ধকারে ভালো করে কিছু দেখা যাচ্ছে না। আদ্র হাত ছেড়ে দিয়ে বলল,
“তুই এখানে দাঁড়া আমি লাইট জ্বালিয়ে আসছি”

আদ্র এগিয়ে গেল। আকস্নাৎ ছাদের লাইট জ্বলে উঠলো। সবাই একসাথে বলে উঠলো,
“হ্যাপি বার্থডে আদ্র”

আদ্র অবাক চোখে চেয়ে আছে। পিছু ঘুরে আমার দিকে তাকালো। এগিয়ে গিয়ে বললাম,
“শুভ জন্মদিন বর মশাই”

আদ্র আমার মুখের দিকে একবার তাকালো। অতঃপর সবার দিকে দৃষ্টি দিলো। একে একে সবাই আদ্রকে উইশ করলো। বাড়ির সবাই ছাদে উপস্থিত। সবার মাঝে ফুফা, ফুপ্পি, আরুও আছি। ছাদটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। বেলুন, ফুল, মোমবাতি দিয়ে পুরো ছাদে ডেকোরেশন করা হয়েছে। ছাদের মাঝে একটা টেবিল রাখা। টেবিলের ওপর কেক। সবাই এগিয়ে গেল সেদিকে। আদ্র কেকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে তবে কাটছে না। তাকাতেই ইশারায় কাছে ডাকলো। পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই আমায় ইশারা করলো ওনার হাতের ওপর হাত রাখতে। দুজন মিলে একসাথে কেক কাটলাম। একে একে সবাই কে কেক খাইয়ে দিলো। কেক কাঁটা শেষে বড়রা চলে গেল। রয়ে গেছি আমরা। আদ্র সবার দিকে তাকিয়ে বলল,
“আজকে যে আমার বার্থডে আমি নিজেই তো ভুলে গেছি। তোমাদের মনে ছিলো কিভাবে?”

মাঝ থেকে ইভা বলল,
“আমরাও ভুলে গিয়েছিলাম। মনে রেখেছে তোমার বউ”

আদ্র আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে সুধালো,
“এই জন্যই বুঝি এতো ভুজং ভাজুং বুঝিয়ে আমায় ছাদে আনা?”

আমি দাঁত কেলিয়ে হেসে দিলাম। ইভা ফের বলল,
“এগুলো সব তোমার বউয়েরই প্ল্যান ছিলো”

ইভাকে চোখ রাঙানি দিলাম। কিন্তু ও শুনলে তো! গড় গড় করে সব বলে দিলো। এই মেয়েকে নিয়ে পারি না। ওর সব গড় গড় করে না বললে পেটের ভাত হজম হয় না। সবাই আদ্রকে কিছু না কিছু গিফট দিয়েছে। বাদ রয়ে গেছি আমি। কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে সবাই নিচে নেমে গেল। রাত অনেক হয়েছে। সকালে সবারই উঠতে হবে।

ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছি দুজনে। আদ্র পিছন থেকে জড়িয়ে রেখেছে আমায়। কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,
“ধন্যবাদ বউ এতো কিছুর জন্য। কিন্তু আমার গিফট কোথায়?”

পিছিনে ঘুরে আদ্রর গলা জড়িয়ে ধরে বললাম,
“গিফট চাই?”

“হ্যাঁ”

“কিন্তু আমার কাছে যে গিফট নাই। আমি তো কোনো গিফটই কিনি’নি”

“এটা বললে তো হবে না। আমার গিফট চাই চাই”

“ঠিক আছে দিচ্ছি। চোখ বন্ধ করো”

আদ্র চোখ বন্ধ করলো। উনার হাত নিয়ে পেটের ওপর রাখলাম। আদ্র ফট করে চোখ মেলে তাকালো। উনার চাহনিতে অবিশ্বাস। অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে ইশারায় সুধালো। এগিয়ে গিয়ে কানে কানে ফিসফিস করে বললাম,
“তোমার পুচকু রৌদ্রময়ী আসছে বর মশাই”

আদ্র সেকেন্ড দুই স্টেচু হয়ে ছিলো। মনে হয় শক পেয়েছে। অতঃপর হুট্ করে জড়িয়ে ধরলো। কিছুক্ষণ জড়িয়ে রেখে নিজেকে সামলে নিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বলল,
“তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ রৌদ্রময়ী। আমার অসম্পূর্ণ জীবনে এসে পরিপূর্ণ করে তোলার জন্য। আমার জীবনের সেরা উপহার দেওয়ার জন্য। আমায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতির সাথে পরিচয় করানোর জন্য। আজ আমি অনেক খুশি, অনেক। তোকে নিয়ে যতো বলবো ততো কম পড়ে যাবে। ভালোবাসি রৌদ্রময়ী”

বলতে বলতে আদ্র চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। কণ্ঠটাও কেমন কাঁপছে। উনি যে ভীষণ খুশি হয়েছে এটা ওনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আদ্রর চোখে মুখে উচ্ছাস ভেসে উঠেছে।
“আমিও”

আদ্র কপালে ভাজ ফেলে জিজ্ঞেস করলো,
“আমিও কি?

আদ্রর চোখের চোখ রেখে ফিসফিস করে বললাম,
“ভালোবাসি”

#চলবে?