বিষাদ বৃক্ষ পর্ব-৩২

0
124

#বিষাদ_বৃক্ষ
#নূপুর_ইসলাম
#পর্ব- ৩২

আমার মা আনজুম আরা। আমি তাকে আনজুম আরা হিসেবেই চিনি। লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে রুপা তালুকদারও মারা গেছে। আর মারা গেছে তার সব আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা। তার মনে তখন শুধু ঘৃণা। অন্যের উপরে তো ভালোই। এই যে নিজের শরীরটা এটার উপর, এই শরীরের ভেতর আমার অস্তিত্বের উপরে।

ইব্রাহিমের প্রস্তাব আপনি সাথে সাথে নাকচ করলেন। সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় ইসলামি শরিয়তে বিয়ে জায়েজ না। নাকচ করল আমার মাও। তিনি সোজা বললেন, — তিনি বেঁচে থাকতে আর কোন পুরুষের সঙ্গী হতে পারবেন না।

ইব্রাহিম তবুও হাল ছাড়ল না। সে দৃঢ়তার সাথে জানালো সে অপেক্ষা করবে। আপনি অমত করলেন না। কেননা আপনিও তখন চেয়েছিলেন। আনজুম, আনজুমের সন্তানের একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ হোক। আর ইব্রাহিম আপনার কাছে হীরা। এই হীরার চেয়ে ভালো আর কে হবে?

তবে এটা ইব্রাহিমের মা মানতে পারলেন না। অবশ্য তার জায়গায় কেউ’ই মানতে পারত না। তিনি এলাকায় যত গণ্যমান্য লোক আছে সবার দ্বারস্থ হলেন আর সাথে এও রটিয়ে ফেললেন, — এই মেয়ে, এই বিষাক্ত সন্তান আবসার ইচ্ছে করে তার ছেলের ঘাড়ে ফেলছেন। সে বিধবা গরীব মানুষ। তার তো কোন উপায় নেই। আপনাদের হাতে ছাড়লাম। আপনারাই ব্যবস্থা করেন।

এলাকার মানুষ এই ব্যাপারটা নিয়ে এমনিতেই চটে ছিল। তারা সুযোগ পেল আর উঠেপড়ে লাগল। নয় মারবে, নয় গ্রাম ছাড়া করবে। আপনি দিশে পেলেন না। আর তখনি আবার ইব্রাহিম এগিয়ে এলো। অবশ্য এতে তারই বেশি লাভ ছিল। সে এতটুকু ঠিকই বুঝেছিল। এই গ্রামে আনজুম কে নিয়ে সুন্দর ভাবে থাকা সম্ভব না। বরং চলে যাওয়াই ভালো। তাই অন্ধকার এক রাতে অজানা দু-টো মানুষ বেরুলো বেঁচে থাকার তাগিদে। এক জনের বেঁচে থাকা শুধু নিশ্বাস নেওয়া, আরেক জনের সব কিছুর বিনিময়ে একজনকে পাওয়া ।

তবে আসল আনজুমকে তো ইব্রাহিম দেখেই নি। সে দেখেছিল শুধু আনজুমের রুপ। আজনুম ছিল একরোখা, জেদি। সে একবার যেটা মুখ দিয়ে না করবে। সেটা না’ই। এর পরে আর কোন শব্দ নেই। তার কাছে ইব্রাহিমককে সেই যে নাকচ করেছে, তার অধ্যায় সেখানেই শেষ। এর পরে আর কিছু নেই।

তাদের নতুন জীবন শুরু হলো শহরের এক বহুতল বাড়িতে। যেটা ছিল আপনার এক বন্ধুর। এক বাড়িতে থাকলেও ইব্রাহিম আনজুমকে তো ভালোই আনজুমের ছায়াও দেখতে পারত না। তার ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙছিল। আর সব দোষ পড়ছিল ঐ যে সর্ব দোষে দোষী বিষাক্ত উঙ্কুর। সে যদি না থাকতো তো ইব্রাহিমের ধারণা, এতদিনে আনজুম সব ভুলতে পারত। তার অনুভূতি বুঝতে পারত। অবশ্য সেটা আর এখন অঙ্কুর নেই ও। সেটা তো তখন ধীরে ধীরে চারা গাছ হচ্ছে। বড় অনাদর, বড় অবহেলায়।

এক কাক ডাকা ভোরে, মায়াহীন শহরের ছোট্ট এক রুমে পৃথিবী কোমল আলোতে গা ভাসালো ছোট্ট একটা প্রাণ। যে প্রাণের কোন নাম নেই, বংশ নেই, রক্তের পরিচয় নেই। শুধু ছিল মা। যেই মা তার দিকে একবারের জন্য ফিরেও তাঁকায়নি। এই মায়াহীন শহরে যেমন ধুলোবালি গড়াগড়ি খায়। জাহিদ নামের সেই ছোট্ট ছেলেটিও গড়াগড়ি খেতে লাগলো।

তখন ইব্রাহিম আবার আবসারের হাত ধরল। কেননা আনজুমের অবশিষ্ট কিছু যদি থাকে তা হলো আবসারের প্রতি সম্মান। আর কেউ যদি আনজুমকে গলাতে পারে তা হলো আবসার।

আবসার আনজুমের সামনে আবার প্রস্তাব রাখল। আনজুম আগের মতোই সোজা একটা শব্দ বলল। সেটা “না”। আর এই না যে কখনো হ্যাঁ হবে না, আবসার ঠিক বুঝল। বুঝলো বলেই সে ইব্রাহিমকে সব ভুলে এগুতো বলল।

আপনার জানা গল্প এখানেই শেষ। এর পর কি? আপনার মনে হয়ত এটাও আসতে পারে আমি এতকিছু কিভাবে জানলাম?

ঐ মায়াহীন শহরের ইট, সিমেন্টের বাড়িতে একটা মানুষকে কেউ চোখেই দেখত না। আর সেটা আমি। ঐ যে বলেনা দেয়ালের কান থাকে। ইব্রাহিমের ক্ষেত্রে সেই কান হয়ে গিয়ে ছিলাম আমি। তবে বোঝার মত বয়স তখন আমার ছিল না। তবে এই টুকু বুঝেছিলাম আমার মায়ের বিপদ। বড়ই বিপদ। কেননা এবার ইব্রাহিম অনুমতি চাইবে না। বাধ্য করবে।

আমার মা! সে আমাকে আদর না করুক, বুকে টেনে না নিক। মা তো মা’ই। সেই মাও তার স্নেহের পরিচয় দিলো। কিভাবে জানেন? তার জীবন দিয়ে।

আমি আমার মা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। ছোট মানুষ এতো প্যাঁচ বুঝি কোথায়? বুঝি না বলেই ধরা খেলাম। আমাকে ধরে ইব্রাহিমের কোন প্রতিক্রিয়া হলো না। ততদিনে ইব্রাহিমের অনেক বন্ধু – বান্ধব জুটেছে। তাদের কে খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল, — ছাদে গিয়ে ছুঁড়ে ফেল। এই শহরে অহরহ বাচ্চা খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ছে। এ আর নতুন কি?

ঐ যে বললাম দেয়ালের কান। এবার সেই কান হলেন আমার মা। দেখতে না পারুক। নাড়ি ছেঁড়া তো। একটু টানতো লাগবেই। যেই মুখের দিকে ফিরেও তাঁকায়নি। সেই মুখের মানুষটার ছোট্ট কোমল হাত নিজের হাতে নিয়ে পালাতে চাইলেন। তবে ঐ যে তার ভাগ্য সে তো বড়ই নির্মম। ইব্রাহিম এবারো ধরে ফেলল। ধরে আগের মতোই সুন্দর, শান্ত ভাবে শুধু বলল, — আমাকে বিয়ে করো আনজুম, তা না হলে তোমার সামনে তোমার ছেলেকে এই ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলবো।

আমার মায়ের ভেতর থেকে যে শুধু আবেগ, অনুভূতি হারিয়েছিল তা না। ভয় নামক শব্দও ছিল না। সে শুনে শুধু অল্প করে একটু হাসলো! হেসে প্রথম বার আমার মাথায় হাত বুলালো। কপালে আলতো করে স্নেহের একটা পরশ দিয়ে, চোখের পলকে আমার সামনেই টুপ করে ছাদ থেকে পড়ে গেল।

ইব্রাহিম পাগলের মত নিচে দৌড়ে গেল। আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার মায়ের রক্ত রাঙানো মুখটা আমি দেখতে চাইনি। আমার কাছে আমার মায়ের সেই হাসি মাখা মমতাটুকুই থাকুক।

তারপর কি সেইটুকু তো আপনার জানাই। অবশ্য এই গল্প ইব্রাহিম বানায়নি। বানিয়েছে তার চেলা পেলারা। ইব্রাহিমের বেশ কিছু সময় হিতাহিত জ্ঞান ছিল না। বলতে গেলে সে ছিল পাগলের মতো। আর আমি? আমার মা নেই, আমিও নেই। জীবনের মতো জীবন কেটে গেল। আল্লাহর কি কুদরত দেখুন। আমার ঘরে আবার আমার মাকেই পাঠালেন। তবে কেন তার ভাগ্যটা পরিবর্তন করলেন না। যেই বিষাদের কালিতে আমার মায়ের ভাগ্য, আমার ভাগ্যের গল্প রচিত হয়েছিল। কেন তারটাও লেখা হলো?

আমি যতদিন বেঁচে ছিলাম, আমার বিষাদ বৃক্ষের কালো ছায়া তার উপরে পড়তে দেইনি। কিন্তু আপনার ছায়ায় গেলেই তা পড়বে। ভালো ভাবেই পড়বে। যে গ্রামের মানুষ আমার মাকে, আমাকে গ্রহন করেনি। আমি জানি তাকেও ভালোভাবে করবেনা। আর ইব্রাহিম? সে হচ্ছে এই বিষাদ বৃক্ষের উপর গনগনে লাল সূর্য।
আমি জানি সময়ের চাকা ঘুরে গেছে, সম্পর্ক ঘুরে গেছে। তবে মানুষ কিন্তু ঘুরে না। না ঘুরে, তার না পাওয়া জিনিসের প্রতি আর্কষণ।

ঐ যে বললাম উপায়হীন। আমার সামনে আর কোন রাস্তা নেই। তাই এখন আমার মেয়ের দায়িত্ব আপনার উপরে ছাড়লাম। আমি জানি অলি আবসার তার দায়িত্ব কখনো হেলাফেলা করে না। কখনো না। ভালো থাকবেন। আশা করি বাবা, মা ছাড়া এই দুঃখিনী মেয়েটার পাশে দাঁড়াবেন।

ইতি
এক হতভাগ্য পিতা জাহিদ

আবসার এক ধ্যানে অনেকক্ষণ বাহিরে তাকিয়ে রইল। তার চোখে পানি। সে ফেরানোর কোন চেষ্টা করল না। যখন থেকে এই চিঠি হাতে পেয়েছে। কি যন্ত্রণা। সে সেই পানি নিয়েই শান্ত ভাবে বলল, — যদি আগে এই চিঠি আমার হাতে পড়তো। আমি এক ভুল কখনো দ্বিতীয় বার করতাম না। আনজুমকে এনেছিলাম, আনতারাকে এই গ্রামে কখনো আনতাম না। আমি ভেবেছিলাম তার একটা শক্ত আশ্রয় দরকার। যেটা আনজুমকে দিতে পারিনি সেটা দেব আনতারাকে। কিন্তু এখানে তো আশ্রয় না, বরং মৃত্যু। এই মৃত্যুর দুয়ারে আনজুমকেও আমি এনেছিলাম, আনতারাকেও আমিই আনলাম।

— এমন কিছু না দাদাভাই।

— তাহলে কি? আমাকে বলবে? এটাতো কোন না পাওয়া ভালোবাসার গল্প না। ইব্রাহিমের এক জীবন গেছে আনজুমের হাহাকারে। সেই হাহাকার থেকেই আনতারাকে সে আনজুম ভাবছে। আর ভাবছে বলেই সে আনতারাকে ধ্বংস করতে চাইছে। করতে চাইছে তার সুখে থাকার সব কারণকে। সে আনজুমকে নিয়ে সুখে থাকতে পারিনি। এখন আনজুমও পারবে না।

— এমন কিছুই হবে না?

— কেন?

রমিজ কথা বলল না। তার দৃষ্টি নিচের দিকে। আবসার কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপর সব সময়ের মতো শান্ত ভাবে বলল, — আমার হাতে চিঠি আসার আগে, এই চিঠি গেছে আরেক জনের কাছে। সে সুন্দর ভাবে লেখা নকল করে কি সুন্দর উপস্থাপন করেছে। আর আমার গুষ্টিতে এরকম আজব আজব দক্ষতা একজনেই আছে। সেটা কে রমিজ?

রমিজ এবারো কথা বলল না। তবে তার চিবুক আরো নিচু হলো।

— রমিজ! আমি যা জিজ্ঞেস করার একবারই করব। তাই মৌন থেকে আমার ধৈর্য্যর পরীক্ষা নেবে না। আজাদ কি আনতারাকে আগে থেকেই চিনতো?

রমিজ হালকা করে মাথা নাড়লো।
— কিভাবে?

— ছোট ভাই শহরে গিয়ে দেখেছিল।

— দেখেছিল তো আমাকে বলেনি কেন?

— তখন সে কিছু জানতো না। সে স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ের প্রস্তাব রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু খোঁজ খবর করতে গিয়ে এসব বেরিয়েছে। তাছাড়া ছোট ভাবির বাবা তাকে বিয়ে দেবে না। ভাইয়ের আগে অনেকেই প্রস্তাব রেখেছিল।

— তাই এই নোংরা রাস্তা নিয়েছো?

— না। ভাই ছোট ভাবিকে ধীরে ধীরে রাজি করাতে চেয়েছিল। এর মধ্যে ভাবির বাবা অসুস্থ হওয়ার সব গরমিল হয়ে গেছে। তার মধ্যে এই চিঠি। আপনার হাতে পড়লে, আপনি কখনো ভাইয়ের ব্যাপারে ভাবতেন না। আপনার সব ধ্যান থাকতো ভাবির উপরে।

— তোমার কি ধারণা এখন নেই?

— ভাই ভাবিকে ছাড়বে না। তাছাড়া ভাবির পেছনে অনেক লোক লেগেছিল। ভাই এরকম না করলেও আপনি তাকে কোথাও নিতে পারতেন না। এক থাপ্পড়েই মুস্তফা দমে যাবে, এটা ভাবলেন কিভাবে?

— আমার এতো কিছু ভাবার তো দরকার নেই রমিজ। তুমি শুধু তোমার আজাদ ভাইকে বলে দিও। আনতারার কিছু হলে আমি তাকে ছাড়বো না।

— ভাবির কিছুই হবে না। শুধু আপনি আপনার মুখটা বন্ধ রাখেন।

আবসার ভ্রু কুঁচকে তাঁকালো। রমিজ আগের মতোই মাথা নিচু করে বলল, — ছোট ভাবিকে যে যাই বলুক। সে একমাত্র বিশ্বাস করবে আপনাকে। আপনি সত্যটা না বললেই তো হয়।

— মিথ্যা কখনো ভালো বয়ে আনে না।

— ভালোর জন্য কখনো কখনো মিথ্যা সত্যের চেয়েও খাঁটি হয়।

আবসার নিশ্চুপ তাঁকিয়ে রইল। রমিজ এবার চোখ তুলে তাঁকিয়ে বলল, — অনেক তো অন্যের জন্য ভাবলেন। এবার একবার নিজের মানুষদের জন্য ভাবুন দাদা ভাই। ইব্রাহিম আমাদের কেউ না। আপনারও না।

শবনম আনতারার রুমে এসে উঁকি দিলো। আনতারা শুয়ে আছে। নির্বিকার ভাবে, দৃষ্টি বাহিরে। কি হয়েছিল, কি হয়েছে সে আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছে না। আসাদ কিছুক্ষণ আগে এলো থানা থেকে। শবনম আজাদ ভাইয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে শুধু বলল, — আনতারার কাছে যাও। ওর খেয়াল রেখো। আর ওকে একদম একা ছাড়বে না।

শবনম সেটা না বললেও রাখতো। কোন জনমের কোন কাহিনী তা ভেবে বর্তমান নষ্টের কোন মানে হয়। সে এগিয়ে গেল। সে এসেছে আনতারা খেয়ালও করেনি। মেয়েটি লড়ছে এখন নিজের অস্তিত্বের সাথে।

সে এগিয়ে গিয়ে আনতারার মাথায় হাত রাখল। আনতারা না নড়লো, না কিছু বলল। আগের মতোই বাহিরে তাঁকিয়ে রইল।

শবনম বড় একটা শ্বাস ফেললো। কোন পাপের শাস্তি পাচ্ছে এই মেয়েটা। যে তিন পেরি চলে গেলেও শাস্তির শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। এতো শক্তি বুঝি এই দেহের রক্তের। যে রক্তের কাছে মানুষ্যত্ব হেরে যায়।

তখনি তাদের শাশুড়ির চিৎকার শোনা গেল। তারা দু- জনেই চমকে উঠল। হন্তদন্ত হয়ে শবনম দৌড়ে গেল। শবনমের পিছু পিছু আনতারাও উঠল তবে ধীরে ধীরে।

বিথী ভেতর থেকে দরজা লাগিয়েছে। মুর্শিদা পাগলের মতো বিলাপ পারছে। পুরোনো দরজা আসাদ, রমিজ দু-জনে এক সাথে শরীর দিয়ে ধাক্কা দিতেই খুলে গেছে। খুলতেই আসাদ দৌড়ে গিয়ে দিলো ঠাঁটিয়ে এক চড় লাগিয়ে। বাড়ির সবার নাটক দেখতে দেখতে সে ক্লান্ত।

বিথী টু শব্দও করল না। মুর্শিদা দৌড়ে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরল। মুর্শিদার শরীর থরথর করে কাঁপছে। তার এতো আদরের মেয়ে। আরেকটু দেরি হলেই কি হতো। ভাগ্যিস বাড়ি ভরা মানুষ। দরজা লাগাতেই চোখে পড়েছে।

চলবে……