মনশহরে তোমার নিমন্ত্রণ পর্ব-০১

0
52

#মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ
#সূচনা_পর্ব
মুশফিকা রহমান মৈথি

পাড়ার একমাত্র গু’ন্ডা এবং বিশ্ব ল’ম্প’ট ছেলেটিকে নিজের হবু বরের বেশে দেখে আক্কেলগুড়ুম হলো ঐন্দ্রিলার। সৈয়দ মাহাবুল হক অভ্র, তাদের বাড়ির ঠিক পাশের অট্টালিকারুপী ভবণের বড় পুত্র। যাদের কোনো এক পূর্বপুরুষ নাকি জমিদার ছিলো। অথচ পৃথিবীর খারাপ যত বিশেষণ আছে সবকিছু এই ছেলেটির সাথে যায়, অভদ্র, বে’য়া’দব, গু’ন্ডা; সবকিছু। পূর্বপুরুষ বেঁচে থাকলে নিশ্চিত দ্বিতীয় দফা আত্ম’হু’তি দিতেন। একেই বিয়ের কথায় ঐন্দ্রিলার মাথার তাপমাত্রা বাড়া ছিলো। অভ্রকে দেখে সেই তাপমাত্রা পারদ স্থানাঙ্ক ছাড়িয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গের আকার নিলো। এই মহাবাদর ছেলেটার সাথে নাকি তার বিয়ে হবে? আর ঐন্দ্রিলার মা সাবেরা খানম মহা আনন্দে তাকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। মা যদি জানতো এই ছেলের আসল রুপ তাহলে সেই মিষ্টিতে মরিচ বাঁটা মিশিয়ে দিত। ঐন্দ্রিলা অভ্রের দিক তাকালো। শ্যামমুখশ্রীর পোঁড়া ঠোঁটে একচিলতে ফিচেল হাসি। যা দেখে গা রি রি করে উঠলো রাগে। মহাবাদরটা এই সব ইচ্ছেকৃতভাবে করছে। এই সব তার কুটনৈতিক বুদ্ধির সাজানো জাল। কিন্তু কেনো সেই রহস্য, বুঝে উঠতে পারছে না ঐন্দ্রিলা। এদিকে সাবেরা খানম মুখ থেকে যেনো চিনি গলে পড়ছে,
“বাবা তুমি তো মিষ্টি খেলেই না!”

আহা কি আদর! নিজের মেয়েকে তার দুআনা দিতে এই মহিলার ভীষণ কার্পণ্য। অথচ এই গু’ন্ডা, আস্ত খ’বি’সের জন্য কি মায়া! এই তো গত সপ্তাহের কথা, ঐন্দ্রিলার ক্লাস শেষ হলো ভরদুপুরে। জাহান্নামের মতো দগ্ধময় দুপুরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে কলেজ গেট অবধি হেটে আসতে হলো তাকে। সূর্য্যিমামা পন করেছেন তিনি এই গ্রীষ্মকালটা পৃথিবীর ইতিহাসে আগুণের ফুলকি দিয়ে লিখে রাখবেন। বাতাসের ছিটেফোঁটা নেই। এদিকে ক্যাম্পাসের ভেতর রিক্সা প্রবেশ নিষিদ্ধ। নতুন আইন হয়েছে কলেজ গেটে বেরিয়ে কোনো সিলবিহীন যান প্রবেশ করবে না। ফলে এই দাবদাহ সহ্য করে হেটে এলো ঐন্দ্রিলা। গেটের কাছে দাঁড়াতেই দেখলো মানুষের জটলা। একেবারে পিপীলিকা মতো তারা গিজগিজ করছে। ঐন্দ্রিলার কৌতূহল হলো। কৌতূহলের বশীভূত হয়ে সেও ভিড় ঠেলে গিয়ে দেখলো ওমা! বদের হাড়ি অভ্র একটি ছেলেকে বেরহমের মত মারছে। আর কি বিশ্রী মুখের ভাষা!
“আজ তোর প্রেম ভুত পা’ছা দিয়ে বের করবো”

কি নোংরা ভাষা! তাও একটি কলেজ গেটের সামনে। সর্বোপরি ঐন্দ্রিলার কলেজ গেটের সামনে। ঐন্দ্রিলা খেয়াল করে দেখলো ছেলেটি তার কলেজের জুনিয়র। অনার্সে পড়ে সে। ছেলেটিকে বেশ ক বার দেখেছে সে। দু এক বার কথাও হয়েছে। অভ্র তাকে এমন নির্দয়ের মত মা’র’ছে কেন? মৌন থাকার স্বভাব মোটেই নেই ঐন্দ্রিলার। উপরন্তু অভ্রকে দেখলে এতোটা রাগ উঠে যে একদফা ঝগড়া না করলেই নয়। হনহন করে গেলো সে। অভ্র ঘুষি মা’র’তেই যাবে হাত ধরলো ঐন্দ্রিলা। অভ্রের শ্যাম মুখখান ইস্পাতের মত কঠিন, চোখজোড়া রাগে আগুন ছাড়ছে। তবুও ঐন্দ্রিলা তার সামনে দেওয়ালের মত দাঁড়ালো। কারণ এই ছয় ফুট লম্বার নব্বই কেজি ওজনের পুরুষটির শক্তির কাছে এই রোগাপটকা ছেলেটি সামান্য ধুলিকণা। বলা তো যায় না, ম’রে ট’রে গেলে? অভ্র আহত সিংহের মত গর্জন করে বললো,
“হাত ছাড় ঐন্দ্রিলা।“
“ছাড়বো না, মা’ম’দোবাজী পেয়েছিস তুই? মা’রা’মা’রি করছিস কেনো এখানে?”
“কেনো? এই জায়গা কি তোর কেনা?”
“তর্ক করবি না অভ্র। ছাড় ওকে”

অভ্র ছাড়লো না। বরং ঐন্দ্রিলার ধরা হাতেই ঘুষি মারলো। ঐন্দ্রিলা যেন একটা পালক। তার পুরো শরীর দুলে গেলো অভ্রের কাজে। তবুও ছেলেটি থামার নাম নেই। কি বজ্জাত! ঐন্দ্রিলাও দমে যাবার পাত্রী নয়। যতই হোক। সেই এই কলেজের মাস্টার্সের স্টুডেন্ট। কলেজে তার সম্মান আছে। তার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়রকে তার পাড়ার ছেলে মারবে এ তো হতে দেওয়া যাবে না। ফলে ঐন্দ্রিলা অভ্রের হাত থেকে জোর পূর্বক জুনিয়র ছেলেটিকে সরালো। আর সপাৎ করে অভ্রের গালে বসিয়ে দিলো একটি চ’ড়। আকস্মিক কান্ডে অভ্র হতবাক চোখে তাকালো। তার চোখে মুখে স্তব্ধতা। ঐন্দ্রিলা বাঘিনীর মত হুংকার ছেড়ে বললো,
“ফাজলামির লিমিট আছে, গু’ন্ডামি দেখালে পাড়ায় দেখা এখানে না। এটা আমার কলেজ”

ঐন্দ্রিলার ক্রোধিত মুখখানা লাল হয়ে আছে। অভ্র কিছুসময় চেয়ে রইলো। তারপর মা’র’তে উদ্ধত হলো ছেলেটিকে। ছেলেটি ভয়ে ঐন্দ্রিলার পেছনে লুকালো। ফলে সামনে এসে পড়লো ঐন্দ্রিলা স্বয়ং। ঘু’ষিটা ঠিক ঐন্দ্রিলার নাক বরাবর এসে থেমে গেলো। ঐন্দ্রিলার নিঃশ্বাস আটকে যাবার যোগাড়। সাংঘাতিক ব্যাপার। অভ্র থেমে গেলো কিন্তু রাগ দমলো না। হিসহিসিয়ে বললো,
“এক মাঘে শীত যায় না”

কথাটা তখন আমলে না আনলেও আজ খুব ঘুরপাক খাচ্ছে। ব্যাটা চ’ড় খেয়ে বিয়ে করার বাতিক তুললো কেনো? যার অগণিত প্রেমিকা সে বিয়ে করবে কথাটাও খটকা লাগছে। ঐন্দ্রিলার চিন্তার মেঘে ছেদ পড়লো, যখন অভ্রের মা কানন বেগম মৃদু কন্ঠে বললো,
“আপা, ওরা একটু একারা একারা কথা বলুক। যদিও কেউ কারোর অপিরিচিত নয়। তবুও বিয়েশাদী তো। সেন্সিটিভ বিষয়”

ঐন্দ্রিলা মায়ের দিকে তাকালো। চোখে ইশারা করলো, “মানা করো”। ওমা মহিলা দাঁত বের করে বললেন,
“নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই?”

ঐন্দ্রিলার বিশ্বাস হচ্ছে না, এই মহিলা তার মা ই তো? নাকি মায়ের মুখোশধারী অন্য কেউ! ঐন্দ্রিলা এবার বাবার দিকে চাইলো। ওমা সে তো তার দিকেই তাকাচ্ছে না। গপাগপ মিষ্টি খাওয়ার তালেই আছে! ফলে একরমক ধরে বেঁধে তাদের একাকী কথার বলার জন্য ছাদে পাঠানো হলো।

তেজী সূর্যের তেজ এখন কমেছে অনেকটাই। কমলা রঙ্গে আলোকিত ধরনী। ছাদে মিষ্টি গন্ধ মম করছে। কামিনী ফুলগুলো গতরাতে ফুটেছে মনে হয়। অভ্র গিয়ে দাঁড়ালো কাঠগোলাপ গাছটি সামনে। একহাত পকেটে আরেক হাত দিয়ে চুল টেনে পেছনে নিলো। ঐন্দ্রিলা চোখজোড়া ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে তার দিকে। অভ্র কাঠগোলাপ গাছটা নাড়াচড়া করতে করতেই শুধালো,
“বলে ফেল কি বলবি”
“মতলব কি তোর?’

কোনো ভনীতা ছাড়াই প্রশ্ন ছুড়লো ঐন্দ্রিলা। অভ্র এবার তাকালো তার দিক। দৃষ্টি গাঢ়, সহাস্য। নির্লজ্জের মত পালটা প্রশ্ন করলো,
“আমার আবার কি মতলব হবে?”
“আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছিস কেনো তুই? মেয়ের কি অভাব?”
“অভাব নেই, তবে আমি একটু উচ্চশিক্ষিত মেয়ে চাচ্ছিলাম। এই দেখনা, তুই একজন মাস্টার্স পড়ুইয়া ছাত্রী আর আমি অনার্স পাশ একজন ব্যাবসায়ী। তুই আমার থেকে উচ্চশিক্ষিত। বউ উচ্চশিক্ষিত হলে ছেলেমেয়েরাও উচ্চশিক্ষিত হবার সম্ভাবনা আছে।“
“মাস্টার্স পাশ মেয়ের কি দেশে আকাল?”
“না তো, দেশে তোর আকাল। তাই আমি তোকে বিয়ে করতে চাচ্ছি। হরহামেশা রাস্তার মধ্যে সৈয়দ মাহাবুল হক অভ্রকে থাপ্পড় মারার সাহস তো আর সব মেয়েরা করে না।“

বলেই নিঃশব্দে হাসলো অভ্র। ঐন্দ্রিলার টনক নড়ে গেলো, সাথে সাথে শুধালো,
“তুই ওই থাপ্পড়ের জন্য আমাকে বিয়ে করছিস? বদলা নিচ্ছিস আমার সাথে”

অভ্র উত্তর দিলো না, গুনগুন করে গাইলো,
“জীবনে কী পাবো না
ভুলেছি সে ভাবনা
সামনে যা দেখি, জানি না সে কি
আসল কি নকল সোনা”

অভ্রের কান আরোও বিষ ধরিয়ে দিলো ঐন্দ্রিলার শরীরে, রাগে রীতিমত কাঁপছে সে। এই অসভ্য বাদরটাকে সে কখনোই বিয়ে করবে না। সদর্পে বলল,
“তোর ভাবনায় গুড়েবালি”

বলেই হনহন করে নেমে এলো সে। অভ্র নামল কিছুক্ষণ পর। কিন্তু ঐন্দ্রিলা জানতো না বসার ঘরে তার জন্য বিশেষ সারপ্রাইজ আছে। কানন বেগম সুন্দর তাকে চুমু টুমু খেয়ে হাতে আংটি পড়িয়ে দিলেন। বিয়ের কথা পাকাপাকি, আগামী শুক্রবার বিয়ে।

****

বিয়ে মেয়েদের জীবনের অত্যন্ত বিশেষ ঘটনা। হাজারো পরিকল্পনা থাকে বিয়ে নিয়ে। সেই বিয়ের স্বপ্ন এভাবে চুর্নবিচূর্ণ হতে দেখা মহাপাপ। ঐন্দ্রিলাও সেই পাপ করবে না। সে রুখে দাঁড়াবে। হনহন করে মায়ের সামনে দাঁড়ালো সে। কঠিন স্বরে বললো,
“আমি বিয়ে করবো না মা, তুমি মানা করে দাও”

সাবেরা খানম তখন কেবল রান্নার জন্য আলু কাটছিলেন। ঘুরে একবার তাকালেন ঐন্দ্রিলার দিকে। তারপর একদম তাকে উপেক্ষা করে বললেন,
“ও”
“শুধু ও?”
“আর কি বলবো?”

মায়ের এমন বেপরোয়া ব্যাবহারে আহত হলো ঐন্দ্রিলা। ছুটে গেলো বাবার কাছে। সালাম সাহেব মানে ঐন্দ্রিলার পিতা তখন পত্রিকাইয় মুখ ডুবিয়ে আছেন। সকাল সকাল দেশের গালমন্দ না করলে বাঙ্গালীর কি পেট ভরে? সালাম সাহেবও তাই করলেন,
“দেশটা উচ্ছঙ্গে গেছে”
“বাবা আমি বিয়ে করবো না”

ঐন্দ্রিলার কড়া কথায় মুখ তুলে চাইলেন তিনি। ফিক করে হেসে বললেন,
“আমাকে বলছো কেনো মা? প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাও। আমি তো শুধু সাইন প্রদান করা রাষ্ট্রপতি”
“গিয়েছিলাম, তোমার বউ পাত্তা দেই নি”

ঐন্দ্রিলার কথায় অমায়িক হাসি দিলেন তিনি। তারপর সহাস্য কন্ঠে বললেন,
“তাহলে বিলটা পাশ হবে না”
“তুমি বোঝাও তাকে”
“শোন আমার শ্রদ্ধেয়ভাষণ মাতা একটা কথা বলেছিলো, শোন বগা যেই মাইয়্যা নয় মাস কষ্ট কইরা তোর বাচ্চা পয়দা করছে সেই মাইয়্যার উপরে কতা কবি না। তাইলেই সংসারে শান্তি থাকবে। আমি আম্মার কথা এই পয়ত্রিশ বছরে অমান্য করি নাই। আজও অপারগ”

সালাম সাহেব অতিমাত্রায় পত্নীভক্ত মানুষ। সে বউ এর সিদ্ধান্তের উপর কথা বলে না। আজও বলবে না। ফলে রাগে গজরাতে গজরাতে বেরিয়ে গেলো ঐন্দ্রিলা। যাবার সময় বলে গেলো,
“যতক্ষণ বিয়ে ভাঙ্গবে না, আমি খাবো না”

*****

শান্ত লাইব্রেরি। মাথার উপর ঘুরছে আদিম যুগের ফ্যান। ঘটঘট শব্দ হচ্ছে। এর মাঝেও পড়ছে শিক্ষার্থীরা। কেউ বা ঘুমাচ্ছে। কলেজের এই জায়গাটি সবচেয়ে ঠান্ডা। ঐন্দ্রিলাও এখানে বসে আছে। ক্লাস শেষ। কিন্তু বাড়ি যাবে না। মাকে একটু মজা দেখানো উচিত। তার সামনে অধৈর্য্য হয়ে বসে আছে পিউ। ঐন্দ্রিলার জন্য সেও বাড়ি যেতে পারছে না। পা নাড়াতে নাড়াতে শুধালো,
“আর কতক্ষণ বসে থাকবি?”
“যতক্ষণ আমার আম্মা ফোন না দিচ্ছে। আর পাঁচমিনিট বয়। এখনি ফোন আসলো বলে”

আসলেই ফোন এলো। ঐন্দ্রিলা ভাবলো এবার ঝোপ বুঝে কোঁপ মারবে। কিন্তু ফোন ধরা মাত্র সাবেরা বললেন,
“অভ্র তোমাকে নিতে গেছে, ছেলেটাকে অপেক্ষা করাবে না”

বলেই ফট করে ফোন কেটে দিলো সে। ঐন্দ্রিলা কিছুসময় বেকুবের মত চেয়ে রইলো। পিউ বললো,
“কি বলছে আন্টি?”
“ওই বাদরটা আমাকে নিতে এসেছে। চট করে দৌড়ে যেয়ে দেখতো ব্যাটা আসলেই এসেছে কি না?”
“এতোদূর যাব?”

পিউ এর কুথানি সহ্য হলো না ঐন্দ্রিলার। এর মাঝেই একটি ম্যাসেজ এলো,
“পাঁচ মিনিটে বের হ। আমি গেটের সামনে বাইকে বসে আছি”

বুঝতে বাকি রইলো না, হাড়বজ্জাত ছেলেটি চলে এসেছে। ঐন্দ্রিলাও কম নয় সে যাবে না। থাকুক রোদে বসে। এই কলেজের দারোয়ান আইডি কার্ড ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের ঢুকতে দেয় না। ওই বেয়াদবটাকে তো দিবেই না। থাকুক ওখানে, রোদে বসে বসে শুটকি মাছ হোক। পিউকে বললো,
“তুই বাড়ি যা। আমি পড়ে যাব”
“অভ্র কিন্তু আরেকটা কান্ড করবে”
“ছাতার মাথা করবে। কোথার হনু সে, কলেজেই ঢুকতে পারবে না”

পিউ কথা বাড়ালো না। এই মেয়ের সাথে কথা বলা মানে অরণ্যেরোদন। সে বাড়ি যাবে এখন।

******

লাইব্রেরি থেকে ঐন্দ্রিলা বের হলো পাক্কা দু ঘন্টা পর। দুপুরের সূর্য তখন ঝিমিয়ে গেছে। অভ্রব্যাটা নিশ্চয়ই বিরক্ত হয়ে চলে গেছে। মনে মনে চাপা আনন্দটা বারে বারে হুল্লোড় করছে। আহ! পাড়ায় যেয়ে ওর পচকানো মুখটা দেখতে পারলেই শান্তি। ইতোমধ্যে কিছু জুনিয়র ছেলে-মেয়ের সাথে দেখা হলো। তাদের সাথে কথাই বলছিলো। অমনি কেউ তার কোমর চেপে ধরল। হঠাৎ স্পর্শে ভ্যাবাচেকা খেলো ঐন্দ্রিলা। পাশে তাকাতে আরোও একবার টাস্কি খেলো। অভ্র কলেজের ভেতর ঢুকেছে? কি করে? তার বিস্ময় চরম শিখরে পৌছে গেলো যখন সকলের সামনে বেপরোয়ার মতো টুপ করে তার গালে চুমু খেলো অভ্র……………

চলবে