#একমুঠো_রোদ্দুর
#পর্বঃ২১(প্রথম অংশ)
#আদওয়া_ইবশার
কেসটার দায়িত্ব নিজ হাতে নেওয়ার জন্য এবার আর দিহানকে কোনো কসরত করতে হয়নি। সরাসরি আদালত থেকেই কেসের পূণর্তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের হাতে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারকের আদেশে অ্যাডিশনাল এসপি তাহমিদ সারোয়ার দিহান সহ মোট বারোজন তুখোড় বুদ্ধিদীপ্ত অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন টিম।দিন-রাত বেমালুম ভুলে টিমের প্রতিটা সদস্য নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছে তাদের দায়িত্ব।
গতকাল কবর থেকে শাহীন ভুঁইয়ার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।রক্তিমকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এমন জঘন্য একটা মাইন্ড গেইম খেলার সন্দেহের তালিকায় প্রথম স্থানে রেখেছে কাদের ভুঁইয়াকে।সেই সাথে কাদের ভুঁইয়া নিজেও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এমপি পদপ্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন কেসের সুষ্ঠ তদন্ত যতদিন না হচ্ছে ততদিন সাভার এক আসনের নির্বাচনী সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষিত করেছে। শহর জুড়ে আবার সকাল-বিকাল চর্চা হচ্ছে এই এক ঘটনা। কিশোর থেকে শুরু করে যুবক, বুড়ো, বন্ধুদের আড্ডার আসর থেকে শুরু করে চায়ের স্টল সব জায়গায় ঘুরেফিরে আলোচনার মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে ইদানীং রক্তিম শিকদার, কাদের ভুঁইয়া,শাহীন ভুঁইয়া কেন্দ্রিক। কেউ কেউ প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে বলছে, ঐ কাদের ভুঁইয়া নিজ স্বার্থে এর থেকেও জঘন্য অপরাধ অতীতে করেছে, সুতরাং এবার যে এমন একটা মাইন্ড গেইম সে খেলেনি এটা ভাবা বোকামি। স্বার্থসিদ্ধীর জন্য সে নিজের গায়েও নিজে কেরোসিন ঢেলে আগুন ছুড়তে দুবার ভাববেনা। এর মতো ক্রিমিনাল মাইন্ডের এমন সাইকোপ্যাথ গোটা সাভারে আর কেউ নেই। আবার কেউ কেউ কাদের ভুঁইয়ার মুখোশের আড়ালে থাকা হিংস্র রূপ সম্পর্কে জেনেও ভয়ে মুখ দিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ করছেনা। তবে দিনশেষে সবার একটাই চাওয়া, অতি শিগগিরই যেন সত্যটা সকলের সামনে আসে।
রোদ্রিকের ছোট্ট, তুলতুলে নরম ডান হাতটা শক্ত করে নিজ হাতের মুঠোয় পুড়ে ফুটপাত ঘেঁষে হেঁটে যাচ্ছে অতসী।পরনে হালকা আকাশী রঙের জামা। মাথায় মার্জিতভাবে ওড়না দিয়ে ঘোমটা টেনে রাখা।একহাতে শক্ত করে ধরে রেখেছে রোদ্রিককে, আরেক হাতে রোদ্রিকের স্কুল ব্যাগ। গতকাল হুট করে দিলশান আরা’র ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবীর স্বামী মারা যাওয়ায় সামাজিকতা রক্ষার্থে মেয়েকে শোকাহত রেখেই বাধ্য হয়ে এক রাতের জন্য ময়মনসিংহ যেতে হয়েছে। যাবার আগে অতসীর মায়ের সাথে ফোনে কথা বলে অনুরোধ করেছিল একটা রাতের জন্য যেন অতসীকে দৃষ্টির সাথে থাকার অনুমতি দেয়। এমন একটা বিপদের দিনে একমাত্র অতসী ছাড়া দিলশান আরা মেয়ে এবং নাতির দেখাশোনার জন্য বিশ্বস্ত কাউকে খোঁজে পাচ্ছিলনা।যদিও ইতি শিকদার মঞ্জিলেই আছে। তবে সে নিজেই মা এবং ভাইয়ের শোকে কাতর। নিজের মেয়েটাকেও দেখে রাখার মানসিকতায় নেই সে। তাই বাধ্য হয়ে একদিনের জন্য অতসীকেই রেখে গেছে মেয়ের পাশে। বলে গিয়েছে লাশ মাটি দেওয়া হয়ে গেলেই ওনি যত দ্রুত সম্ভব শিকদার মঞ্জিলে চলে আসবে। মায়ের বয়সী মানুষটার কথা যেমন অতসী অমান্য করেনি, তেমন অতসীর মা’ও বাঁধা দেয়নি মেয়েকে। কাকডাকা ভোরেই ছুটে এসেছিল শিকদার মঞ্জিলে।এসেই নিজ হাতে রোদ্রিককে খাইয়ে স্কুল ড্রেসে রেডি করিয়ে ছুটেছে স্কুলের উদ্দেশ্যে।রোদ্রিকের স্কুল মর্নিং শিফটে। ক্লাস শুরু সাতটায়। ইতিমধ্যে ছয়টা চল্লিশ মিনিট বেজে গেছে। কলনীর ভিতরের রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে অনেকদিন যাবৎ। টুকটাক রিকশা, সিএনজি চললেও বড়ো গাড়ি যাওয়া-আসা একটু রিস্কি হয়ে যায়। সেজন্যই বাধ্য হয়ে রাস্তার মাথায় রোদ্রিকের হাত ধরে গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছে অতসী।খুব বেশি হলে পায়ে হেঁটে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে মেইন রাস্তায় পৌঁছাতে। ঐ রাস্তার অপজিটেই রোদ্রিকের স্কুল। কিন্তু এই পাঁচ মিনিটের রাস্তাটাই যেন শেষ হতে চাচ্ছেনা রোদ্রিকের খামখেয়ালির জন্য। ছেলেটা এক কদম আগাচ্ছে তো হুট করেই কিছু একটা দেখে থেমে যাচ্ছে। আঙুল উঠিয়ে ইশারায় এটা ওটা দেখিয়ে অতসীর কাছে জানতে চাচ্ছে, এটা কি ওটা কি।
“রোদ্রিক, বাবা স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে তো! তুমি না গুড বয়! দুষ্টুমি না করে তাড়াতাড়ি হাঁটো। স্কুলে গিয়েই অনেক গুলো চকলেট কিনে দিব তোমাকে।”
রোদ্রিকের স্কুল ব্যাগ ধরে রাখা হাতেই মাথার ওড়নাটা টেনে ঠিক করতে করতে কথা গুলো বলে অতসী। বিপরীতে মাথা নাড়ে রোদ্রিক। বলে ওঠে,
“আমি চকলেট খাইনা। পাপ্পা বলেছে চকলেট পঁচা জিনিস। এটা খেলে আমার কিউট কিউট দাঁত গুলো পোকা খেয়ে ফেলবে। তুমি আমাকে পঁচা জিনিস কিনে দিবে কেন?”
ফুস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে অতসী অসহায় সুরে বলে,
“থাক বাবা, চকলেট কিনে দিবনা। কিন্তু হাঁটতে হবে তো!স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে না? সময় মতো না যেতে পারলে পুরো ক্লাসে কিন্তু মিস কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখবে।”
“আমাকে কান ধরিয়ে রাখলে পাপ্পাকে বলে মিসকে বকা খাওয়াব আমি।”
ভীষণ উৎফুল্ল চিত্তে কথাটা বলে অতসীর হাত ছাড়িয়ে হুট করে হাঁটা রেখে দৌড়ানো শুরু করে রোদ্রিক।ছেলেটা এভাবে দৌড়ে যদি আচমকা কোনো রিকশা বা সিএনজির সামনে পরে যায়! ভয়ে,আতঙ্কে চেঁচিয়ে ওঠে অতসী। নিজেও এক প্রকার দৌড়ানো শুরু করে দস্যি ছেলের পিছন পিছন। অনবরত আতঙ্কিত স্বরে থামতে বলে। কিন্তু রোদ্রিক থামবে দূরের কথা, উল্টো দ্বিগুণ গতিতে দৌড় শুরু করে। অতসীর এবার ভয়ে কান্না পেয়ে যাচ্ছে। না পারছে ছেলেটাকে থামাতে আর না পারছে ঐ এতোটুকু একটা ছেলের সাথে সমান তালে দৌড়াতে। অবশ্য সে এতো বড়ো একটা মেয়ে হয়ে পাবলিক প্লেসে দৌড়াবেই বা কিভাবে?এরপরও মোটামুটি দৌড়ানোর ভঙ্গিতেই প্রাণপণে ছুটছে। ছুটতে ছুটতে একটা সময় মূল রাস্তায় উঠে যায় রোদ্রিক। রাস্তার দুই পাশ থেকেই অনবরত গাড়ি আসা-যাওয়া করছে। আতঙ্কে নীল হয়ে ওঠে অতসীর মুখটা।বরফের ন্যায় জমে যায় পা জোড়া। আসন্ন বিপদের শঙ্কায় দুচোখ বন্ধ করে সর্ব শক্তিতে চিল্লিয়ে ওঠে,
“রোদ্রিক!!” পরপর একদম নিরবে কেটে যায় কিছুটা মুহূর্ত। মাত্রাতিরিক্ত গতিতে ছুটছে অতসীর হৃদকম্পন। চোখ বন্ধ করেই হা করে বড়ো বড়ো নিঃশ্বাস নিচ্ছে।গোলাপী ওষ্ঠ যুগল সবুজ কচি পাতার মতো কাঁপছে তিরতির করে। সাহস হচ্ছেনা চোখ মেলে তাকাতে। মন বলছে দুচোখের পল্লব আলগা করলেই বীভৎস কিছুর সাক্ষী হতে হবে। হঠাৎ গাড়ির হর্ন ছাপিয়ে খুব কাছ থেকে বাচ্চা সুরে খিলখিল হাসির শব্দ শুনে এক মুহূর্তের জন্য থমকায় অতসী। মন-মস্তিষ্কে চলা ভাবনা গুলো এলোমেলো হয় ভীষণ। ক্লান্ত-শ্রান্ত নার্ভ এতো কাছ থেকে হাসির আওয়াজ শুনেও বুঝতে অক্ষম হয় স্বরটা আসলে তার খুব পরিচিত।
“আশ্চর্য! আপনি কী ধ্যান করার জন্য আর জায়গা খোঁজে না পেয়ে এই পাবলিক রোডে ধ্যানে মজেছেন?”
বাচ্চা সুরের হাসির সাথে এবার প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষালী কন্ঠের কথায় কিছুটা ধাতস্থ হয় অতসী। চট করে বন্ধ চোখ দুটো মেলে সামনে তাকাতেই থমথম খেয়ে যায়। দেখতে পায় আগাগোড়া ফর্মাল স্যুটবুটে বেশ পরিপাটি একজন সুদর্শন যুবক গম্ভীর মুখে বাচ্চা কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে। কালো সানগ্লাসের আড়ালে ডাকা যুবকের চোখ দুটো দেখতে না পেলেও তার শক্ত চোয়াল দেখে অতসীর বুঝতে বাকী নেই মানুষটা ভারী বিরক্ত তার এহেন বোকামি কান্ডে। অন্যদিকে কোলে থাকা সদ্যি রোদ্রিক যেন তাকে নাজেহাল করতে পেরে ভীষণ আমুদে আছে।এখনো দন্তপাটি বের করে খিলখিলিয়ে হেসেই যাচ্ছে। অতসীকে ধাতস্থ হতে না দিয়েই যুবকটা কন্ঠে অল্প ধমকের আভাস নিয়ে বলে ওঠে,
“সামান্য একটা বাচ্চা সামলাতে না পারলে তার দায়িত্ব কেন নিবেন? এখানে যদি সময় মতো আমি উপস্থিত না থাকতাম তবে কত বড়ো একটা বিপদ হতে পারতো ভেবে দেখেছেন?কো-ইন্সিড্যান্স কখনো বলে-কয়ে আসে? আজ যদি ভালো মন্দ কিছু একটা হয়ে যেতো তবে তো কেউ রোদ্রিকের বাচ্চা স্বভাবটাকে দোষতনা। বলতো সবটাই আপনার দোষ।মানে মিনিমাম কমনসেন্স নেই আপনার হ্যাঁ? মুখে তো সবসময় খই ফুটে, তবে ঘটে বুদ্ধির এতো অভাব কেন? বাপ-মা কী শুধু লবন খাইয়ে বড়ো করছে?শাকপাতা খাননা কিছু?”
জনসম্মুখে এভাবে একটা যুবক একটা যুবতী মেয়েকে ধমকাচ্ছে, বিষয়টা ভাবতেই কেমন লজ্জায় মাথা কাটা যায়। সেখানে অতসী এমন একটা লজ্জাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে কী আর স্বাভাবিক থাকতে পারে? লজ্জা,অপমান, আতঙ্ক আর রাগের সংমিশ্রণে ভীষণ বাজে পরিস্থিতিতে ফেঁসে গেছে অতসী। আপনাতেই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরে। মাথার ভিতর সবটা কেমন ফাঁকা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পায়ের নিচে তার কিচ্ছু নেই।এই বুঝি এতো এতো লজ্জা, অপমান আর আতঙ্কের ভারে সে লুটিয়ে পরবে মাটিতে। অতসীর এই বেহাল দশা দেখে যুবকটার একটুও মায়া হয়না। উল্টো তার চোখে পানি দেখে আগের থেকেও দ্বিগুণ রাগ নিয়ে ধমকে ওঠে,
“এই কান্না থামান। কাঁদছেন কেন আপনি হ্যাঁ? মেরেছি আপনাকে? না কি অন্যায়ভাবে টিজ করেছি? হাদার মতো কাজ করবেন আবার কেউ কিছু বলতেও পারবেনা? আপনাদের মেয়েদের চোখের পানি এতো স্বস্তা কেন শুনি? একটু কিছু হতে না হতেই ফ্যাচফ্যাচ করে কান্না জুড়ে দেয়। যত্তসব ড্রামাবাজ পাবলিক।”
“আহ দিহান!বাদ দাও না এবার। দেখছো মেয়েটা এমনিতেই ভয় পেয়ে আছে, তার উপর তুমি এভাবে ধমকাচ্ছো তো কাঁদবেনা? তোমার এমন আচরণ কিন্তু মোটেও ঠিক হচ্ছেনা।”
অতসীর সামনে দন্ডায়মান দাঁড়িয়ে থাকা এই বর্বর অফিসারের ঠিক ডান পাশেই যে অত্যন্ত সুশ্রী, আধুনিকা এক রমনী শুরু থেকেই উপস্থিত ছিল ব্যাপারটা একদম খেয়ালে ছিলনা তার। এই এতোক্ষণে মেয়েটার গলার আওয়াজ শুনে পূর্ণ নজরে সেদিকে ফিরে তাকায় অতসী। চোখ দুটো যেন তার ঐ অত্যধিক রূপবতী, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা রুচিশীল মেয়েটার অনিন্দ সুন্দর মুখেই আটকে যায়। বড়ো বিস্ময় নিয়ে শুধু দেখেই যায় সৃষ্টিকর্তার অপরুপ এক সৃষ্টি। মুখ জোরে ভারী কোনো প্রসাদনীর প্রলেপ নেই। একদম সাদামাটা। তবুও গাল দুটো কেমন গোলাপী আভা ছড়াচ্ছে! ঘোলাটে চোখের মণিতে মনে হচ্ছে কোনো এক জাদুমন্ত্রের বাস। যে জাদুবলে ঐ চোখে তাকালেই যে কারো সর্বনাশ হওয়া আবশ্যক। কমলার কুয়ার ন্যায় ঠোঁট দুটোই মনে হচ্ছে একটু স্পর্শ করলেই রক্ত গড়িয়ে পরবে। আচ্ছা, এই এমন ঐশ্বর্গীক সৌন্দর্যের অধিকারীনিদের জন্যই কী কবি গুরু বলেছিল, “রূপ তোমার মাধুরী ছড়ায়েছে চতুর্দিকে, সবারে করেছে মাতোয়ারা!” অতসীর এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ যখন ঐ চরণটুকু লিখেছিল, তখন বোধহয় এমন এক ঐশ্বরিক সৌন্দর্যের কোনো অধিকারীকে কল্পনা করেই লিখেছিল।
“হাই! আ’ম মিলি, ফরেনসিক অ্যান্ট্রোপলজিস্ট।
আপাতত কাজের সূত্রে এই তার ছেঁড়া পাবলিকটাকে বগলদাবা করে ঘুরছি। তাই বলে আবার আমাকে পাগল ভেবোনা কিন্তু! আমি ভীষণ ভালো মেয়ে। এভাবে হুটহাট কারো সাথে ক্যাটক্যাট করিনা।”
চমৎকার হেসে অতসীর দিকে তাকিয়ে নিজে থেকেই পরিচিত হয় মিলি। শেষের কথাটুকু দিহানের দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমির ছলে বলে। দিহানের দিকে ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে এক পলক তাকিয়ে ফের মিলি নামের মেয়েটার দিকে তাকায় অতসী। ছোট্ট একটা ঢোক গিলে অপমান হজম করে নেবার মতো অল্প ভাব এনে জোরপূর্বক হাসে। মুখে বলেনা কিছুই। মিলি ঠোঁট কামড়ে কতক্ষণ আতসীকে পরখ করে ভ্রু বাঁকিয়ে বলে ওঠে,
“আরে ইয়ার, আমি কী তোমাকে বকেছি? এই ক্যাটক্যাটে অফিসারের প্রতি রাগ হয়ে কী এখন তুমি আমার সাথে কথা বলবেনা? আগ বাড়িয়ে তোমার সাথে পরিচিত হতে চাচ্ছি, আর তুমি কী না কথায় বলছোনা! ইট’স নট ফেয়ার।”
চলবে…