সীমাহীন পর্ব-৪+৫

0
5

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ৪
আরাধ্যা দরজা খুলে দেখলো,
আরিয়ান বাইরে দাড়িয়ে আছে।
আরিয়ান কে দেখে সে দরজা টা বন্ধ করে দিতে চাইলেই,
আরিয়ান জোর করে রুমে ডুকে দরজা টা লক করে দেয়।
আরিয়ানঃ Im really very sorry….. আমার ভুল হয়ে গেছে খুব। আমাকে ক্ষমা করা যায় না? প্লিইইইজজ।
তুমি যা বলবে আমি তাই করবো আরু,
এটা বলেই হাতের প্যাকেট টা খাটের উপরে রেখে, কান ধরে উঠ বস করতে থাকলো আরিয়ান।
আরুউউউ তুমি না বলা পর্যন্ত আজ আমি থামবো না, আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে কথা টা বলল আরিয়ান।
চুপ করে আছে আরাধ্যা। কি বলবে ভেবেই পাচ্ছে না।মানুষ টা এমন কেন?
কিছুক্ষণ আগেই এতো কথা শুনিছে। আর এখন ওর কাছে ক্ষমা চাচ্ছে।
দশ মিনিট পর আরাধ্যা বলল, হইছে আর লাগবে না উঠেন এবার।
আরিয়ানঃ খুব সরিইইইইইইই। দেখো তোমার জন্য কি এনেছি।
আরাধ্যাঃ এক বক্স কিটকাট চকোলেট? আমার জন্য?
আরিয়ানঃ হুম,
শুধু তোমারি জন্য।
আরাধ্যা একটা চকোলেট নিয়ে খেতে শুরু করে।
আরিয়ান ভাবতে একটু আগেই যে এতো কিছু হয়েছিল সব ভুলে গেল মেয়েটা।
ও এমন কেন?কখনও কি বুঝবে না আমার মনের কথা টা।
আরাধ্যার ডাকে ঘোর কাটে আরিয়ানের।
আরাধ্যাঃ স্যার কি ভাবছেন এতো?
আরিয়ানঃ কই কিছু না তো।
আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে আরিয়ান।
আরাধ্যাঃ কি হইছে? হাসতেছেন কেন?রাগী লুক দিয়ে আরিয়ান এর দিকে তাকিয়ে বলে।
আরিয়ানঃ নিজের দিকে দেখ একবার।কি করছ মুখের, হাতের।মনে হচ্ছে কোনো বাচ্চা চকোলেট খাইছে।আবারও হাসতে থাকে আরিয়ান।
আরাধ্যা হাত দিয়ে মুখ মোছার চেষ্টা করে, উল্টো আরও চকোলেট ওর হাত থেকে মুখে লেগে যায়।
আরিয়ানঃ এদিকে আসো।
তোমার দ্বারা সম্ভব হবে ।
আরিয়ান আলতো করে আরাধ্যার ঠোঁট মুছে দেয়।
ওর ঠোঁটে লেগে থাকা চকোলেট টুকু নিজের মুখে দেয়।
আরাধ্যাঃ কি করছেন কি?
আরিয়ানঃ উফফফফ সরি,
আমি হাত ধুয়ে আসি।
ওয়াসরুমে গিয়ে আরিয়ান নিজের মাথা নিজে এক বাড়ি দিয়ে বলে, কি যে করছিলাম আমি?
ইসসসসস।
কি করছিল স্যার?
যাই করুক আমার কি?আমাকে এক বক্স কিটকাট তো দিছে।মনে মনে বলতে থাকে আরু।
আরিয়ান ওয়াসরুম থেকে বের হল।
আরিয়ানঃ তোমার জন্য আরেকটা জিনিস আছে।
আরুঃ কি?
আরিয়ান একটা বক্স সামনে দিয়ে বলে এটা।
.
.
.
আরাধ্যা বক্স টা খুলে চমকে যায়।
এটা? তাহলে তখন এমন করলেন কেন স্যার?
চলবে……..

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ৫
আরাধ্যা বক্স টা খুলে দেখলো একটা খুব সুন্দর মোবাইল সেট।
সে চোখ বড় বড় করে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে।
আরিয়ানঃ আমি জানি আমি হ্যান্ডসাম, তাই বলে আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকবে নাকি?
চোখ মারলো আরাধ্যা কে।
আরাধ্যা একটা ভেংচি দিল।
.
.
আরাধ্যাঃ সকালেই তো আমার ফোন টা ভেংগে ফেললেন।
বলেছিলেন যেন কেউ আমাকে ফোন না দেয়।
আর এখন আরার আরেকটা দিলেন যে?
শুধুই টাকা গুলো নষ্ট করলেন।
আরিয়ানঃ আমার টাকা আমি যে ভাবে ইচ্ছে শেষ করবো।
তুমি শুন,
ফোন আবার দিলাম, তার মানে এটা নয় যে যা ইচ্ছে করবে।
কোনো ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখলে খুব খারাপ হবে কিন্তু।
ওকে?
আরাধ্যা মাথা নাড়লো।
আরিয়ান নিজের রুমে চলে গেল।
.
.
.
ইসসসস মা কখন আমাকে আরুর কাছে যেতে বলল।
ভুলেই গেছি। নিজেই নিজের মাথায় একটা বাড়ি দিয়ে কথা টা বলল রিধি।
.
.
.
ফোন টা খুলে দেখছে আরু।ওয়াও বেশ সুন্দর তো। স্যারের ফোন কাভার এর সাথে মেচিং ফোন কাভার ওর। স্যারের টা তে দেখলাম king লেখা। আমার টা তে Queen….
নিজে নিজে কথা গুলো বলছিল আরাধ্যা।
.
.
.
উপসসস কি দারুণ ফোন টা আরুউউউউউউ।কে দিল রে?
আরাধ্যার রুমে ডুকতে ডুকতে রিধি কথা টা বলল।
আরুঃ কে দিবে আর। স্যার দিয়েছে।
রিধিঃ আশ্চর্য লুক নিয়ে বলল ভাইয়া?????
কিন্তু সকালেই তো তোর ফোন ভেংগে ফেলছিল ভাইয়া। তাহলে এখন আবার আরেক টা দিল যে?
কি জানি আমিও তাই ভাবতেছি। চিন্তিত মুডে কথা টা বলে আরাধ্যা।
আরুঃ বাদ দে তো। আমাকে চকোলেট দিছে দেখ।
রিধিঃ আমাকে তো কেউ আজকাল মনেই রাখে না।
আরুঃ কি যে বলিস না,
তুই আমার বেস্টু। যা আধা তোর আধা আমার। ওকে?
রিধিঃ উম্মম্মম্মাহ বেবি।
আচ্ছা একটা কথা বলি? সত্যি বলবি তো?
আরুঃ একদম।
রিধিঃ ভাইয়া কে তুই স্যার বলিস কেন?
আরুঃ ওমাহ,
স্যারই তো বলল বলতে। ওই দিন ভাইয়া বলে ডাকছি আর জোরে একটা ধমক দিছে আমাকে।
আর বলছে, যেন কখনও ভাইয়া না বলি। উনি যে আমাকে মাঝে মাঝে পড়া দেখিয়ে দে। যেন ওনাকে স্যার বলে ডাকি। আর কখনও ভাইয়া ডাকলে বলছে থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবে।
রিধিঃ ওওওও তো ইয়ে বাত হে? সাব সামাজ মে আয়া। ( একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে)
আরুঃ কি বুঝলি?
রিধিঃ ওসব তুই বুঝবি না।এ জন্যই ভাইয়া তোকে পিচ্ছি বলে।
এই তোর বয়স কত জানি?
আরুঃ ১৭।
রিধিঃ তাও পিচ্ছিই রয়ে গেলি।
আরুঃ একটা কথা শুনবি?
রিধিঃ বল।
আরুঃ আমাকে না,
আকাশ লাভ লেটার দিছে।
এক মাস থেকে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে আমি পাত্তা দি নাই।
আজকে মিতুর হাতে আমার জন্য একটা লাভ লেটার দিছে।
আমাকে মনে হয় অনেক ভালোবাসে।
.
.
.
রুম থেকে বের হয়ে নিচে যাচ্ছিল আরিয়ান। লাভ লেটার কথা টা শুনে দাঁড়িয়ে গেল,
এরপর সবই শুনলো।
রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে যেন।ইচ্ছে হচ্ছে আরাধ্যা কে গিয়ে কষিয়ে দুই থাপ্পড় দিতে। তার ভালোবাসা বুঝলো না? অন্যের লাভ লেটারে গলে গেল?
আরাধ্যার রুমের দিকে পা বাড়ালো আরিয়ান। আজ এর সমাধান করেই ছাড়বে সে।
চলবে………..