প্রেম প্রতীক্ষার রঙ পর্ব-১১

0
61

#প্রেম_প্রতীক্ষার_রঙ
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-১১

রোদ্দুর যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। ঘরটাতে আচমকা যেন নিস্তব্ধতা নেমে এল। মায়ের মুখ থেকে মুনার নাম শুনে সে কয়েক মুহূর্তের জন্য হতবাক হয়ে গেল। হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলো যেন হঠাৎই আরও তীব্র হয়ে উঠল।
সবকিছু ভুলে এগিয়ে যাওয়ার কথা যখন ভাবল
তখন মা আবার মুনার কথা তুলছে? রোদ্দুর কিছুটা উত্তেজিত আর বিভ্রান্ত হয়ে বলল,
— মা, তুমি কী এসব কী বলছো?
রিমু বেগম ভ্রু কুঁচকে ফেললেন,
— তুইই তো বললি মেয়ে দেখতে। আমার পছন্দমতো। সেটাই আমি তোকে জানালাম। মেয়েটা যেমন মিষ্টি তেমনি গুণবতী। শিক্ষিত, শালীন, আর মানানসই। তাছাড়া ও তো আমাদের পরিবারেরও চেনা৷ প্রেমঘটিত ব্যাপারও নেই, আমি জানি।
রোদ্দুর মায়ের কথা শুনে অবাক হলেও বুঝতে দিল না। মায়ের হাত মুঠোয় ধরে দৃঢ় কন্ঠে বলল,
— তুমি যেরকম মেয়ে আনবে আমি তাকেই বিয়ে করব। তবুও দয়া করে তোমার মিষ্টি, গুণবতী মুনার নাম আমার সামনে বলো না। আমি এই নামটি শুনতে চাই না।

রিমু বেগম অবাক হলেন ভীষণ। কিছুক্ষণ চুপ থেকে রোদ্দুরের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকালেন। ছেলের উদ্বিগ্নতা আর চাপা রাগ রেখে তিনি কিছু একটা আন্দাজ করলেন। ছেলের মুখের কথা আর চোখের ভাষা মেলানোর চেষ্টা করলেন। এরপর কয়েক মুহূর্ত নীরব থেকে সন্দেহজনক অথচ গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
— পছন্দ করিস মেয়েটাকে?
রোদ্দুর থমথমে দৃষ্টিতে তাকাল। কিছুটা লজ্জাও পেল। মায়ের কাছে সরাসরি মনের কথা বলতে পারে না সে রাহার মতো। কিন্তু মাকে মিথ্যেও বলে না কখনো। অথচ মা বুঝে ফেলল ওকে? রোদ্দুর বিস্মিত হলো। লুকাতে চাইল না আর। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মায়ের প্রশ্নের জবাব দিল ছোট্ট করে,
— উমম… ভালোবাসি।
রিমু বেগমের ঠোঁটের কোণে এক টুকরো মুচকি হাসি ফুটল,
— কত দিনের?
— বছর খানেকের।
— কীভাবে কী?
রোদ্দুর সবকিছু খুলে বলল মাকে। প্রথম পরিচয়, ঝগড়া, ভালোলাগা, ভালোবাসার সূচনা, বারবার তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে প্রত্যাখান, অভিমান সবকিছু। ছেলের স্বীকারোক্তি পেয়ে রিমু বেগম অবাক হলেন৷ হিসাব মিলছে না তার। ভালোবাসাটা কী তাহলে এক তরফা?
পরক্ষণেই কড়া স্বরে বললেন,
— আগে তো বলিসনি।
— মুনতাহা তো আমায় ভালোবাসে না।
রিমু বেগম কপালে ভাঁজ ফেলে বললেন,
— আমার এত ভালো ছেলেকে ওর পছন্দ নয়?
খারাপ ব্যবহার করেছিস নাকি ওর সঙ্গে?
— না।
— তাহলে?
— আমি সত্যিই জানি না মা ওর সমস্যা কী!
রিমু বেগম ভাবুক গলায় বললেন,
— তুই কখনো জানতে চেয়েছিস ও কেন এমন আচরণ করে?
রোদ্দুর হতাশ কণ্ঠে বলল,
— বহুবার। কিন্ত খোলাসা করে ও আমাকে কিছুই বলেনি।
রিমু বেগম হাল ছাড়লেন না। একবার যখন পজেটিভ সাইন পেয়েছেন ছেলের থেকে তো এর শেষ দেখে তিনি ছাড়বেন। এমন স্বরেই তিনি ধীরে ধীরে বললেন,
— মেয়েটা মুখচোরা আমি জানি। খোলাসা করে যখন কিছু বলেনি, এমন তো হতেই পারে যে
ও তোকে ভালোবাসে। কিন্তু বলে না। নয় কী?

রোদ্দুরের এসব অর্থহীন কথায় বিরক্ত লাগল। কম দিন তো আর চেনে না মুনাকে। মা সত্যিই বিশ্বাস করে মুনা তাকে ভালোবাসে? হাস্যকর। রোদ্দুর উঠে ব্যলকনিতে চলে এলো। রাগ, জেদ, অপমান, কষ্ট সব মিলিয়ে অদ্ভুত অনুভূতি হলো। তেঁতো ঠেকল সবকিছু। ঘরে ফিরে গেল আবার। গিয়ে অসহায়ের মতো মাকে বলল,
— ও যদি আমায় ভালোইবাসতো তাহলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যেত না। মা, আমি অনেক চেষ্টা করে দেখেছি। আর সম্ভব নয় আমার দ্বারা।
রিমু বেগম এরপরেও দৃঢ় কণ্ঠে বললেন,
— ভালো যখন বেসেছিস তখন সম্ভব করতেই হবে। তোর বাবা নয়তো তার পছন্দের কোনো মেয়েকে তোর সাথে জুড়ে দেবে। আর সেই মেয়ে যে কীরকম হতে পারে তা তুই ভালোই বুঝিস। আমি অন্তত অতিরিক্ত মর্ডান, ওয়েস্টার্ন পরা কোনো মেয়েকে বাড়ির বউ হিসেবে দেখতে চাই না।
রোদ্দুর বিরক্ত হয়ে বলল,
–ওকে ডান। কাকে আমার গলায় ঝুলাবে সেসব তোমাদের ব্যাপার। কিন্তু আর যাইহোক, মুনতাহার কথা বাদ দাও।
রিমু বেগম রুষ্ট গলায় বললেন,
— কেন?
রোদ্দুর ক্যাটকেটে স্বরে বলল,
— ও অকারণে আমাকে অপমান করেছে। কেন করেছে সেই প্রশ্ন করো না। জবাব দিতে পারব না। কিন্তু ওর এই অপমান আমি ভুলব না। এসবের পর ওর সাথে আমার যেটুকু সম্পর্ক ছিল, তাও শেষ। এবার তুমি ওর প্রসঙ্গের ইতি টানলে খুশি হব।

রোদ্দুর মনেপ্রাণে জানে, সে কোনোভাবেই মুনাকে ভুলতে পারবে না। অথচ মুনাকে সে আর সহ্যও করতে পারছে না। প্রতিবার সে মুনার কাছ থেকে যে অপমান পায়, সেটাই শুধু ওর হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে। আর আজ যেভাবে অপমানিত হয়েছে তাতে ওর পুরো হৃদয়টাই মরে গেছে।

_________

পরদিন রিমু বেগম মুনার বাড়িতে গিয়ে উঠলেন। নিপা তাকে দেখে কিছুটা অবাক হলেন। রিমু বেগমকে বাড়িতে এভাবে আসতে দেখে তার মনে কৌতূহল আর চিন্তা একসঙ্গে দেখা দিল। রিমু বেগমকে বসতে দিয়ে বললেন,
— কেমন আছেন ?
— ভালো আছি৷
রিমু বেগম হালকা হাসি দিয়ে বললেন,
–মুনার এক্সিডেন্ট হয়েছে শুনে দেখতে এলাম।
এখন কেমন আছে?
নিপা সৌজন্য বজায় রেখে বলল,
— ভালো আছে। এবার অনেকদিন পরে এলেন।
— সময় হয় না কোথাও যাওয়ার।
— আজ অনেকক্ষণ বসবেন কিন্তু। চা করছি…
রিমু বেগম সরাসরি বললেন,
— এক কাপ খাওয়াই যায়। তোমার হাতের চায়ের স্বাদ এখনো ভুলিনি।
নিপা খুশি হয়ে গেল। রিমু বেগম জিজ্ঞেস করলেন,
— মুনা কোথায়?
— ঘরেই আছে। যান আপনি। আমি চা-টা করে
নিয়ে আসি।
মুনা উদাস হয়ে ঘরে বসে বই পড়ছিল, যখন রিমু বেগম তার ঘরে ঢুকলেন। তাকে দেখে মুনা চমকে উঠল। মুখে স্পষ্ট অস্বস্তি।। রিমু বেগম মৃদু হেসে শান্ত কণ্ঠে বললেন,
— কেমন আছো এখন মা?
মুনা বিস্মিত হয়ে বলল,
— আন্টি, আপনি? হঠাৎ? আমি তো কালই পড়াতে যেতাম রাহাকে। বসুন, বসুন।
মুনা অস্থির ভঙ্গিতে উঠে পড়ল৷ রিমু বেগম বসলেন। ধীর গলায় বললেন,
— অস্থির হয়ো না৷ দুটো দিন রেস্ট করো। আমি তোমার সাথে কিছু কথা বলতে এসেছি রোদ্দুরের ব্যাপারে। আমার কাছে এসে বসো।
মুনার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। কী বলবেন তিনি? রোদ্দুর কিছু বলেছে? এবার কি স্বামীর মতো তিনিও অপমান করবেন? মুনা ভেতরে ভেতরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল। রিমু বেগমের এই রুপ সে কখনো দেখতে চায় না৷ ও গিয়ে বসল রিমু বেগমের সামনে। কিন্তু মুনার ভাবনা ভুল প্রমাণিত হলো। রিমু বেগম মুনার দিকে তাকিয়ে আচমকা সরাসরি বললেন,
— তুমি কি জানো, রোদ্দুর তোমাকে কতটা ভালোবাসে?
মুনা মাথা নিচু করে ফেলল। ভয় হলো। আমতাআমতা করে বলল,
— এসব কী বলছেন আন্টি….
রিমু বেগম মৃদু কণ্ঠে বললেন ওকে,
— সব জানি আমি। তাই যা জিজ্ঞেস করব ঠিক উত্তর দেবে। কিছু লুকাবে না। মায়ের মতো হই তোমার, মিথ্যে বলো না। রোদ্দুরকে কি তুমি ভালোবাসো না?
মুনা চুপ করে রইল। উত্তর জানা কিন্তু দিতে পারল না। রিমু বেগম স্নেহের সুরে বললেন,
— তুমি যদি রোদ্দুরকে ভালোবাসো, তাহলে বাকি সব কিছু আমি দেখব।
মুনা এবার মিথ্যে বলতে পারল না। সংকোচ নিয়ে মৃদু কাঁপা কণ্ঠে বলল,
— ভালোবাসি আন্টি। কিন্তু ভালোবাসলে সবাইকে পেতে হবে এমন নিয়ম নেই তো!
— ছেড়ে দিতে হবে এমন নিয়মই বা কোথায়?
মুনা চট করে তাকাল,
— সূর্যের দিকে তাকালে তার কিছু হবে না কিন্তু ঝলসে যাব আমি।
— ভালোবাসলে সব জয় করে নিতে হয়। ভয়ে পিছিয়ে থাকতে হয় না।
— জয় করার সামর্থ্য আমার নেই।
— রোদ্দুর অন্য কাউকে বিয়ে করলে তুমি খুশি হবে?
রিমু বেগম মুনার হাত ধরে বললেন,
— আমি ওর মা, আর আমার সন্তানের সুখই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মুনার অনুভূতি অন্যরকম। রিমু বেগমকে মায়ের মতো মনে হলো ওর। আশ্বস্ত হলো ভীষণ। আবেগাপ্লুত হয়ে বলে ফেলল,
— আংকেল আগেই আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, রোদ্দুরকে ভালবাসা আমার জন্য মানে অপমান সহ্য করা আন্টি।
রিমু বেগম যেন সবটা বুঝতে পারছিলেন। ইনামুল সাহেবের অহংকারের কথা তারও জানা ছিল। তার অপমানের কারণেই মুনা বারবার অস্বীকার করেছে রোদ্দুরকে। নিজের স্বামীকে তার চেয়ে ভালো আর
কে চেনে? রিমু বেগম ঠিক করলেন ইনামুল সাহেবের সঙ্গে এবার একটা হ্যাস্তন্যাস্ত করেই ছাড়বেন।
রিমু বেগম মুনার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলেন, মেয়েটা আসলেই রোদ্দুরকে ভালবাসে কিন্তু বলতে পারে না। তিনি জানেন, এটা শুধু মুনার দোষ নয়। রোদ্দুরেরও নয়। ও তো বেচারা কিছু না জেনে কষ্ট পাচ্ছেমে, ভুল বুঝে বসে আছে। তিনি মুনার
হাতে নিজের হাত রাখলেন,
— তুমি যা করেছো, তা তোমার দিক থেকে সঠিক ছিল। কিন্তু রোদ্দুর এসব জানে না। ও প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে তুমি ওকে দূরে সরিয়ে দিয়েছো বলে, অপমান করেছ বলে।
মুনা দ্বিধান্বিত গলায় বলল,
— তার জন্য আমি লজ্জিত আন্টি।
কিন্তু আন্টি, আমার বিয়ের কথা অনেকটাই পাকাপাকি! ভাইয়া এসব জানলে কষ্ট পাবে।
রিমু বেগম মুনার হাত শক্ত করে ধরে বললেন,
— আমি কথা বলব ওর বাবার সাথে। আমার ছেলেকে আর দুঃখ দিও না।

মুনা চুপ হয়ে গেল। কী ঘটবে? কী হবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। নিপা তখনই চা-নাস্তা নিয়ে এলো। কথাবার্তা গড়াল অন্যদিকে।

_________

রোদ্দুর যখন মায়ের কাছ থেকে সবকিছু শুনল তখন বাবার উপর তিক্ততা বাড়ল ওর। রাগে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। ইনামুল সাহেব অফিস থেকে ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। রোদ্দুর তার ঘরে ঢুকে শান্ত গলায় বলল,
— বাবা, আমার তোমার সাথে জরুরি কথা আছে।
ইনামুল সাহেব ছেলের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন, যেন বুঝতে চাইছেন কী নিয়ে কথা হবে। রোদ্দুর কোনো রাখঢাক না করেই বলল,
— আমি মুনতাহাকে বিয়ে করতে চাই।
কথাটা শুনে ইনামুল সাহেব কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন। যেন মুনতাহা কে মনে করার চেষ্টা করছেন!
— কে মুনতাহা?
— রাহার টিচার, মুনা।
ইনামুল সাহেব বসা থেকে লাফিয়ে উঠলেন,
— তুমি কি পাগল হয়েছ রোদ্দুর?
রোদ্দুর দৃঢ়চিত্তে উত্তর দিল,
— আমি পাগল হইনি। আমি ওকে ভালোবাসি, তাই আমি ওকেই বিয়ে করতে চাই।
ইনামুল সাহেব রাগে গর্জে উঠলেন,
— কিন্তু আমি তা চাই না। চলাফেরা করো কতগুলো খ্যাত, বস্তির সাথে৷ ওদের থেকেই এগুলো শিখেছ না? তুমি আমার ছেলে, নজর থাকবে উপরে উঠার। তা নয়, দিনদিন অধপতন হচ্ছে তোমার।
রোদ্দুর ভাষা খুঁজে পেল না কিছু বলার। রাগ সামলে তীক্ষ্ণস্বরে বলল,
— সেজন্যই কিছুটা মনুষ্যত্ব এখনো বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি। তোমার মতো সব হারিয়ে ফেলিনি।
গর্জে উঠলেন ইনামুল সাহেব,
— বেয়াদব! মুখে মুখে তর্ক শিখেছ? এক চড়ে সোজা করে দেব। তুমি আমার সম্মান ডুবিয়ে ফকিন্নি জাতের একটা মেয়ে বিয়ে করবে? আর ভাবছ আমি তাতে সায় দেব? কখনোই না!
রোদ্দুরের গা জ্বলে উঠল। কিন্তু শান্ত থাকার চেষ্টা করল। নিজের রাগ সামলানোর চেষ্টা করে বলল,
— হ্যাঁ, করব। তুমি শুধু নিজের সম্মান নিয়ে চিন্তিত একজন স্বার্থপর মানুষ যে শুধু টাকা চেনো। কিন্তু আমি তোমাকে বলতে চাই, মুনা একমাত্র মানুষ যাকে আমি ভালোবাসি, যাকে আমি সারাজীবন পাশে চাই। তোমার সো কল্ড সম্মানের জন্য ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়ার মতো মহান পুত্র নই আমি।
ইনামুল সাহেবের রাগ ক্রমশ বাড়ছিল। তিনি চিৎকার করে বললেন,
— আমি কোনোভাবেই এ বিয়ে মেনে নেব না।
তুমি যদি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে চাও, তাহলে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাও!
রোদ্দুর কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর গভীর শ্বাস নিয়ে বলল,
— যদি এটাই তোমার সিদ্ধান্ত হয়, তবে আমি চলে যাব।
এই কথা বলে রোদ্দুর উঠে দাঁড়াল। ইনামুল সাহেব কিছু বললেন না, তবে তার মুখ কঠোর হয়ে রইল। রোদ্দুর তার ছেলে এটা বিশ্বাসই হচ্ছে না। রিমু বেগম সব শুনছিলেন, কিন্তু এই মুহূর্তে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করলেন।

________

চলবে…