#প্রাণপ্রিয়❤️ [পর্ব-০৬]
~আফিয়া আফরিন
আসলাম মিঞার ঘুমটা চিৎকার চেঁচামেচিতেই ভেঙ্গে গেল। সে ধরফর করে উঠে বসল। ‘চোর চোর’ এটুকু শুনতেই পাশে থাকা লাঠিটা হাতে নিয়ে যেখান থেকে আওয়াজ আসছে সেখানে দৌড়ে গেল।
যেতে যেতে উচ্চশব্দে বলে উঠলেন, ‘কেডা কেডা? কই চোর?’
এই সময় সাদাত হাসানের গলার আওয়াজ ভেসে এলো, ‘আসলাম তুমি দ্রুত দেখো আর কোন সাঙ্গপাঙ্গ আছে কিনা? একা একা নিশ্চয়ই চুরি করতে আসবে না। এটাকে আমি দেখে নিচ্ছি। ব্যাটার সাহস কত বড়! আমার বাড়িতে ঢুকে চুরি করতে।’
এটুকু বলেই তিনি সম্মুখে এগিয়ে গেলেন। আহির আর নড়াচড়ার অবকাশ পায় নাই। একদম হতবুদ্ধ হয়ে ওখানেই ঠাই দাঁড়িয়ে রয়েছে। অনিতা সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে ঘামছে। ততক্ষণে বাড়ির প্রতিটা ঘরের আলো জ্বলে উঠেছে। অনিতা কি করবে ভেবে পেল না। আহির কি এখনো ওখানেই আছে? কোনোভাবে পালাতে পারে নাই? ধরা পড়ে গেলে ভীষণ লজ্জা একটা ব্যাপার হবে দু’জনের জন্যই।
সাদাত হাসান গিয়ে আহিরকে পেছন থেকে শক্ত করে চেপে ধরলেন। আহির ছাড়া পাওয়ার জন্য বিন্দু পরিমাণ চেষ্টাও করল না। ধরা পড়ে গেছে, আর কোনো উপায় নেই।
এমন সময় আসলাম মিঞা এসে বললেন, ‘স্যার আর কাউরে তো পাইতাছি না। মনে হয় দেওয়াল টপকে পালাইছে। এখন কি করব?’
তিনি বিগড়ে যাওয়া মেজাজ নিয়ে বললেন, ‘তুমি ঘুমাও গিয়ে। তোমার কিছু করতে হবে না।’
আসলাম মিঞা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলেন। সাদাত হাসান পুনরায় বললেন, ‘যাও গিয়ে পুলিশে ফোন করো। আমি ততক্ষণই এটার পেট থেকে কথা বের করি। জানতে হবে না, কয়জন এসেছিল!’
বাবার কথা শুনে অনিতার অন্তরাত্মা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল। সে দৌড়ে এসে বাবার সামনে দাঁড়াল। অনুরোধের সুরে বলল, ‘না বাবা, পুলিশ ডেকো না।’
তিনি ব্যাপারটা অত খেয়াল করলেন না। আহিরকে টেনে নিয়ে সিঁড়ি ঘরে এসে দাঁড়ালেন। আসলাম মিঞাও আছে সাথে। এমনভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যেন চোর কোন ভাবেই পালিয়ে যেতে না পারে।
সাদাত হাসান আহিরের আপাদমস্তক পরখ করে বললেন, ‘এই চুরির লাইনে কয়দিন? দেখে তো প্রফেশনাল মনে হয় না। এ নিশ্চয়ই শিষ্য। গুরু একে ছেড়ে পালিয়েছে। বেচারা নতুন তো তাই অভিজ্ঞতা নাই। বল, কয়জন এসেছিল সাথে?’
অনিতা পাশেই মুখ কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ততক্ষণে উপর থেকে মা, দাদি আর দাদাভাইও নেমে এসেছে। তারা নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে কাহিনী দেখতে লাগল।
সাদাত হোসেন আরেকবার গর্জে উঠলেন, ‘এই ছেলে কথা বলে না কেন? পুলিশে দিতে হবে একে। আমরা ভালো কথা বলছি গায়ে লাগছে না। ডান্ডার বাড়ি খাইলে যদি শিক্ষা হয়।’
পুলিশের কথা শুনে আরেকবার অনিতার বুকের মধ্যে ধুকধুক করে উঠল। সে কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই আহিরের কণ্ঠস্বর ভেসে এলো। সে বিনীত ভঙ্গিতে বলছে, ‘আঙ্কেল আমি চুরি করতে আসি নাই।’
শুধু সাদাত হাসান না, সবাই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল। আসলাম মিঞা বললেন, ‘তা বাবা, ধরা পড়লে সবাই দুই চাইরডা মিছা কথা কয়। আমরা বুঝছি তুমি কি জন্য আইছো।’
আহির আবার বলল, ‘আমি সত্যিই এখানে একটা কাজে এসেছি।’
‘কাজে এসেছ? কী কাজ তাও আমাদের বাড়িতে? তুমি চেনো আমাদের বাড়ির কাউকে বা আমাদের এখানে কেউ তোমাকে চেনে? কার কাছে এসেছ?’ সাদাত হাসানের কণ্ঠে আহির আড়চোখে অনিতার দিকে তাকায়। সে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আহিরের বেশ মায়া হল। সে যদি অনিতার নামটা বলে, নির্ঘাত তার বেইজ্জতি হবে। মা বাবা, দাদা দাদি কেউ নিশ্চয়ই কটু কথা শোনাতে ছাড়বে না। আহির ভাবল, তারা যা বলবে সে মাথা পেতে নিবে। অনিতাকে দোষী করবে না। যত যাইহোক, ওনারা অনিতার মা বাবা। অনিতাকে একটা কথা বললে আহির নিশ্চয়ই বাঁধা দিতে পারবে না আবার অনিতাকে কিছু বললে সেটাও তার সহ্য হবে না। তার যে সমস্ত দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেওয়া যাক!
সে বলল, ‘আংকেল আমি আসলে আপনাদের বাড়ির কাউকে…….’
বাকি কথাটুকু শেষ করতে পারল না আহির। তার আগেই অনিতা বলে উঠল, ‘ও আমার কাছে এসেছে। আমরা দু’জন দু’জনকে চিনি।’
আহিরসহ সকলে অনিতার দিকে তাকাল। সাদাত হাসান মেয়ের দিকে এগিয়ে এলেন। কিছুটা বিস্মিত স্বরে ধমকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি চেনো ওকে? কে ও? এত রাতে তোমার কাছে কি দরকারে এসেছে?’
অনিতা পরপর কয়েকবার ফাঁকা ঢোক গিলল। আহিরের কথা তো বাসায় আগেই বলা হয়েছে, ওকে খুব শীঘ্রই বাড়িতে আনার কথাও হয়েছে। কিন্তু এভাবে, এত বাজে মাধ্যমে ওকে যে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে এটা কখনো ভাবতেও পারে নাই। আহির নিজেও অনিতার পরিস্থিতিটা বুঝতে পারল। সে ভাবতে লাগল, কী করলে বা বললে অনিতা এইরকম জিজ্ঞাসাবাদ থেকে মুক্তি পাবে!
কিছুক্ষণ ভেবে সে বলল, ‘আমি এসেছিলাম অনিতাকে একটা নোট দিতে। ওর দুইদিন পর পরীক্ষা, তাই…!’
সাদাত হাসান সরু চাহনি নিক্ষেপ করে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এত রাতে নোট দিতে এসেছ? কই তোমার হাতে তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না? কোথায় তোমার নোট?’
‘আংকেল তখন ধস্তাধস্তিতে হয়তো কোথাও পড়ে গিয়েছে।’
সাদাত হাসান একবার আহিরের দিকে তাকালেন আরেকবার নিজের মেয়ের দিকে। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘নাম কি তোমার?’
‘আহির!’
সাদাত হাসানের আর দুই দুই চার করতে সময় লাগল না। উপস্থিত সকলেই বুঝে গেল এটা কোন আহির! তিনি শান্ত কণ্ঠে বললেন, ‘তোমাকে আমি কিচ্ছু বলব না। তুমি খুব তাড়াতাড়ি তোমার মা-বাবা নিয়ে আমার বাসায় আসো। ফাইনাল কথাবার্তা তাদের সাথে বলব।’
আহির মৃদু মাথা ঝাঁকায় তারপর বলে, ‘আচ্ছা ঠিক আছে। এখন কি আমি যাব আঙ্কেল?’
তিনি একবার হাতঘড়িতে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বললেন, ‘চলে যাও। এখানে থেকে তো আর তোমার কোনো কাজ নেই।’
আহির আর দাঁড়াল না, কোন কথাও বলল না। দ্রুত হেঁটে বেরিয়ে গেল। তিনি মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তুমি ঘরে চলো।’
ঘরে গিয়ে অনিতার সাথে আর কোন কথা হলো না। তবে রাতটা তাকে থাকতে দেওয়া হলো তার মায়ের সাথে। মা নিশ্চয়ই কিছু না কিছু বলবে এখন! অনিতা অবশ্য সে সুযোগ দিল না। ঘুমানোর ভান ধরে পড়ে রইল। সকালে উঠেও কাউকে কিছু বলার সুযোগ দিল না। একটা বই সামনে নিয়ে জোরে জোরে পড়া শুরু করে দিল। মায়ের এতদিন অভিযোগ ছিল, পাশের বাড়ির মেয়েটা কত জোরে আওয়াজ করে পড়ে। আর তুই যে কী পড়িস তা নিজেও জানিস না। সকাল রুবি এসে এককাপ চা দিয়ে বললেন, ‘নাটক কম কর। তোর বাবা এখনো ভয়ঙ্কর রেগে আছেন। ওত রাতে ওকে আসতে বলতে হবে কেনো? দিনের বেলা এসে দেখা করা যেত না? হয়েছে একদম বিশ্বসেরা প্রেমিক পুরুষ। প্রেমিকাকে না দেখলে তার ঘুম উধাও হয়ে যায়। যত্তসব, আর কী যে দেখতে হবে কে জানে?’
অনিতার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রুবি বকবক করে চলে গেলেন। অনিতা হাপ ছেড়ে বাঁচল। আহিরের সাথে আর কথা হয় নাই। কী অবস্থা? আবার কী রাগ করল? এইবার রাগ করলে অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু হবে না, অনিতারও কিছু বলার থাকবে না। সে ভয়ে ভয়ে আহিরকে ফোন করল। আহির তৎক্ষণাৎ ফোন রিসিভ করে উৎকণ্ঠা নিয়ে বলল, ‘তুমি ঠিক আছো? কেউ কিছু বলেছে কি?’
অনিতা ভেবেছিল আহির হয়ত রাগ করবে। তা করার বদলে আরো উল্টো খোঁজখবর নিচ্ছে। এইজন্যই হয়ত অনিতা তাকে এত ভালোবাসে!
.
বাড়ির সবাই একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন, অনিতার বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে ওই ছেলেটার পরিবারের সাথে কথা বলে। আজকালকার যুগের ছেলেমেয়ে, তাদের কাছে সময়-অসময়ে দেখা করাটা হয়ত ডালভাত। কিন্তু সবাই তো এটা ভালো চোখে দেখবে না। এই একটা বিষয়ের সাথে অনেক মানুষের মান সম্মান জড়িয়ে আছে।
অনিতা, সাদাত হাসানের একমাত্র মেয়ে। ইচ্ছে আছে, মেয়েকে সুপাত্রস্থ করবেন। ছেলেটাকে দেখে তখন খারাপ মনে হয় নাই। বরং চেহারার মাঝে ভদ্র ভদ্র ভাবে আছে। তবুও পরিবার পরিবেশ দেখতে হবে, শিক্ষা-দীক্ষা দেখতে হবে।
আলোচ্য ঘটনাটা অনুর কানে এসেও পৌঁছেছে। সে কিছুক্ষণ হেসে দৃশ্যটা অবলোকন করার চেষ্টা করল। বেচারা আহির! হবু শ্বশুরবাড়ির মানুষের কাছে প্রথমেই চোর উপাধি পেয়ে বসে রইল। অবশ্য চোর বললেও ভুল হবেনা, বাড়ির সবচেয়ে দামি জিনিস অর্থাৎ বাড়ির মেয়েটাকে নিয়েই তো বসে আছে। সে অনিতাকে ফোন করল। অনিতা ফোন রিসিভ করতেই বলল, ‘কী খবর জুলিয়েট? আপনার রোমিও নাকি প্রেম করতে এসে ধরা পড়েছিল? আজকাল এসবই হচ্ছে তাই না?’
‘তুমি আর ফাজলামি করো না প্লিজ। মা তো আমাকে কথা শোনাতে ছাড়ে নাই। দাদিও দেখি সারাদিন বিয়ে বিয়ে করে মাথা খাচ্ছে। কি এমন করেছি?’
‘তারা কতকাল আগের মানুষ! তাদের কাছে এইটুকুই অনেক বেশি। শোন, আহির কে ওর মা-বাবার সাথে কথা বলতে বল। তুই তো বললি, ওর দিক থেকে কোন সমস্যা নাই। তাহলে? তোর কি সমস্যা? বিয়েটা করে ফেল। যখন সময় হাতে থাকে তখন সে সময়টা কাজে লাগানো উচিত।’
অনিতা মিনমিন করে বলল, ‘কিন্তু বিয়ে-শাদী খুব প্যারার ব্যাপার।’
অনু বোধহয় হালকা চালে হাসল। বলল, ‘এখন তো প্যারা মনে হবেই। আমি বলছি, বিয়েটা একবার করে ফেল। তোরই তো পছন্দের মানুষ, ভালোবাসার মানুষ; সমস্যা হবে কেন? তোকে সব সময় ভরসা দিবে, পাশে থাকবে।’
‘এখন যেরকম আছে, বিয়ের পর যদি চেঞ্জ হয়ে যায়?’
‘তুই হতে দিবি না। তুই তো জানিস ওকে, অনেকদিন ধরে চিনিস। ওর স্বভাব চরিত্র কিংবা অভ্যাস সম্পর্কে তোর ভালো করেই জানা আছে। তুই সেসব কেন চেঞ্জ হতে দিবি? একদম টাইট করে আঁচলের সাথে ওকে সহ ওর পুরো টাকে বেঁধে রাখবি শক্ত করে।’
অনিতা তবুও নিজেকে বুঝ দিতে পারল না। একটা দ্বিধায় ভুগছিল। আহিরের উপর তার বিশ্বাস আছে। কিন্তু এই কথা ও তো সত্যি যে মানুষের মন পরিবর্তন হতে বিন্দু পরিমাণ সময়ও লাগে না। যদি তার সাথে এমনটা হয়? সে কখনো আহিরের পরিবর্তন মেনে নিতে পারবে না।
একটা মানুষকে ভালোবাসলো, নিজের মন তার হাতে ন্যস্ত করল—এরপর যদি সেই মানুষটাকে অন্য রূপে দেখতে হয়, তবে সে সারাজীবনের জন্য নিজের কাছে ছোটো হয়ে যাবে। বিশ্বাসের কাছে হেরে যাবে নির্মমভাবে।
অনিতা এই মুহূর্তে ফুপির সঙ্গ অনুভব করল। সে এখানে থাকলে ভালো হতো। এইরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি তাকে একলা হতে হত না। অনিতা কিছুক্ষণ হাবিজাবি ভাবল। তারপর ছুট্টে মায়ের কাছে গেল।
.
অনু ভার্সিটি থেকে বাড়ি না এসে টুকটাক কেনাকাটার উদ্দেশ্য শপিংয়ে গিয়েছিল। ফেরার পথে হঠাৎ বৃষ্টি। এমন বৃষ্টি যে সামনের দিকে পা ফেলার উপায় নেই। আর রাস্তাঘাটে একটা রিকশাও দেখা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ওখানেই অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘক্ষণ। সময়টা গ্রীষ্মকাল, সাধারণত এই সময়ে বৃষ্টি হয় না। আজ’ও এমনকি এখনও কাঠফাঁটা রোদ। এরইমধ্যে কী তুখোড় বৃষ্টি।
প্রকৃতিতে হয়, অথচ মানুষের জীবনে এইরকম দু’টো দিক কখনোই একসাথে দেখা যায় না। হয় ভালো, আর না হয় মন্দ। অনু ভীষণ সন্তর্পণে একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করল। এই শহরের আনাচে-কানাচে ঘোরাঘুরি করে প্রতিনিয়ত অথচ সেই মানুষটার আর দেখাই পেল না। কতগুলো দিন কেটে গেল…. কতগুলো বছর পেরিয়ে গেল! থেকে থেকে খুব জানতে ইচ্ছে করে, কেমন আছে সে? বিয়েশাদী করেছে? সংসার করছে নিশ্চয়ই। আর অনু? সে নিজের জীবনটা অপেক্ষাতেই কাটিয়ে দিল। ওইতো সে একসময় বলেছিল, ‘যাইহোক না কেন, আমি তোমাকে ছাড়ব না। তোমার হয়েই থাকব! তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে তো?’
অল্পবয়স ছিল তখন। কথা দিয়ে ফেলেছিল। সেই কথার খেলাপ তো সে করতে পারবে না, তাই সবার বিপক্ষে গিয়ে সেই অপেক্ষাই করছে আজও। কে জানে, কবে এই অপেক্ষার প্রতীক্ষা শেষ হবে?
.
অনু বাড়ি ফিরল কাকভেজা হয়ে। বৃষ্টির গতি কমছে আবার বাড়ছে। কোনো ঠিকঠিকানা নেই, বাড়িতে কাজ আছে অনেক। তাই একটা রিকশা পেতেই তাতে চেপে চলে এলো। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে হাতের ব্যাগগুলো নিচে রেখে দরজায় চাবি ঘোড়াল। ঠিক এমনসময় পেছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে উচ্ছ্বাসের সহিত বলে উঠল, ‘ফুপিইইই!’
.
.
.
চলবে….
[কার্টেসি ছাড়া কপি করা নিষেধ]
শব্দ সংখ্যা— ১৬৪৪