#হারানো_হিয়া (পর্ব ১০)
১.
স্কুল ছুটি হতেই আজ জুঁই বের হয়ে পড়ে। অন্যদিন আম্মুর জন্য অপেক্ষা করে। একসাথেই বাসায় যায়। আজ আম্মু স্কুলে আসেনি, কাল রাত থেকেই জ্বর। তূর্যও ফাঁকি দিয়েছে আজ।
জুঁই এদিক-ওদিক তাকিয়ে রিক্সা খোঁজে। ঠিক তখনই ও ইহান ভাইয়াকে দেখতে পায় সাইকেল চালিয়ে এদিকেই আসছে। ওর কাছে এসে ব্রেক চাপে, ‘জুঁই, তোমরা কবে এলে নানু বাড়ি থেকে? তোমার নানু ভালো আছে তো?’
জুঁই অবাক গলায় বলে, ‘নানু বাড়ি তো অনেক আগে গিয়েছিলাম। নানু তো ভালোই আছে। কিন্তু তোমরা তূর্যের জন্মদিনে এলে না কেন? আমি আরও ভেবেছিলাম আমার নতুন ড্রয়িংগুলো তোমাকে দেখাব। তূর্য খুব মন খারাপ করেছে।’
ইহান এবার অবাক গলায় বলে, ‘সে কী! আম্মু বলল তোমরা নাকি নানু বাড়ি গিয়েছ। তাই তো আমরা সেদিন যাইনি।’
জুঁই ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘কে বলেছে এসব উল্টোপাল্টা কথা। আমরা তো বাসায়ই ছিলাম। কোথাও যাইনি। কতক্ষণ অপেক্ষা করলাম তোমাদের জন্য।’
ইহান কিছু একটা ভাবে। কোথাও একটা ঝামেলা আছে কিছু। বাবা মারা যাবার পর ইদানিং এমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। তা না হলে দাদু বাড়ি থেকে ওদের চলে আসতে হলো এখানে। সবাই যেন ওদের তাড়িয়ে দিতে পারলেই বাঁচে।
ইহান জিজ্ঞাসু গলায় বলে, ‘তুমি বাসায় যাচ্ছ? আমি এগিয়ে দিয়ে আসতে পারি।’
জুঁই কখনও সাইকেলে ওঠেনি। কিন্তু খুব ইচ্ছে হয়। কিন্তু কখনও তেমন করে সুযোগ আসেনি। আজ আম্মু নেই। উঠবে সাইকেলে?
জুঁই দ্বিধান্বিত গলায় বলে, ‘আমি তো কখনও উঠিনি এর আগে। তুমি পারবে তো আমাকে নিয়ে চালাতে?’
ইহান হাসে, ‘আমি ছবি আঁকার পাশাপাশি সাইকেলটাও ভালো চালাতে পারি। ভয় নেই, উঠে পড়ো।’
জুঁই টের পায় ওর বুক ঢিপঢিপ করছে। একটু কসরত করে পেছনের ক্যারিয়ারে উঠে পড়তেই ইহান সাইকেলের প্যাডেলে জোরে চাপ দেয়। সাইকেলটা গড়িয়ে চলতে শুরু করতেই জুঁই একটু টাল খেয়ে নিজেকে সামলে নিতে সাইকেলের ক্যারিয়ার জোরে চেপে ধরে।
ইহান এখন বেশ সচ্ছন্দেই চালাচ্ছে। বাহ, ভারী মজা তো সাইকেলে চড়তে। ইশ, প্রতিদিন যদি চড়তে পারত!
খুব বেশি সময় লাগে না বাসায় পৌঁছাতে। সাইকেল থামতেই জুঁই নেমে দাঁড়ায়। তারপর কৃতজ্ঞ গলায় বলে, ‘থ্যাংকিউ ভাইয়া। উপরে আসো, আমার ড্রয়িংগুলো তোমাকে দেখাই।’
ইহান মাথা নাড়ে, ‘আজ যাই, আরেকদিন আসব।’
ইহানের কেন জানি মনে হচ্ছে ওদের বাসায় যাওয়া এখন ঠিক হবে না। কোথাও একটা ঘাপলা আছে।
ইহান সাইকেল ঘুরিয়ে চলে যায়। জুঁই সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।
বাসায় ফিরে দেখে আম্মু একটা কাঁথা দিয়ে শুয়ে আছে। ওকে দেখে দুর্বল গলায় বলে, ‘জুঁই এসেছিস? হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে নে।’
তূর্য আগ্রহের গলায় বলে, ‘আপু, বাবা আজ বিরিয়ানি নিয়ে এসেছে। আম্মু তো অসুখ, তাই।’
বিরিয়ানি তূর্যের খুব পছন্দ। জুঁই খাওয়ার সময় তূর্যকেও একটু দেয় খেতে।
খাওয়া শেষ করে জুঁই আম্মুর পাশে বসে কপালে হাত রাখে। নাফিসা মেয়ের হাত চেপে ধরে বলে, ‘আসতে অসুবিধে হয়নি তো?’
জুঁই মাথা নাড়ে। উচ্ছ্বসিত গলায় বলে, ‘একদমই না। ইহান ভাইয়ার সাইকেলে করে এসেছি।’
নাফিসা ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘কেন? তোর রিক্সা ভাড়া ছিল না? ওই ছেলেকে তুই কোথায় পেলি?’
জুঁই সব খুলে বলে। তারপর অনুযোগের গলায় বলে, ‘জানো আম্মু, কে যেন ওদের বলেছে আমরা নাকি নানুর বাড়ি গিয়েছি। তাই সেদিন তূর্যের জন্মদিনে আসেনি।’
নাফিসা কষ্ট করে উঠে বসে। তারপর কঠিন গলায় বলে, ‘তুই আর কোনোদিন ওই ছেলের সাইকেলে চড়বি না, কথাও বলবি না।’
জুঁই অবাক গলায় বলে, ‘কেন আম্মু?’
নাফিসা রাগী গলায় বলে, ‘আমি না করেছি তাই।’
জুঁই অসহায় গলায় বলে, ‘কিন্তু আম্মু, ভাইয়া তো ভালো। আমার ড্রয়িংগুলো দেখে দেবে বলেছে।’
নাফিসা আর সহ্য করতে পারে না, ঠাস করে একটা চড় লাগিয়ে দেয়। চিৎকার করে বলে, ‘ভালো খারাপ বুঝি না। তুই ওর সঙ্গে মিশবি না।’
জুঁই টের পায় ওর গাল জ্বালা করছে। চোখ দুটো জলে ভরে উঠছে। আম্মু ওকে মারল!
এদিকে ইহান বাসায় পৌঁছেই মন খারাপ গলায় বলে, ‘জানো মা, তূর্যরা নাকি সেদিন নানুবাড়ি যায়নি। এখানেই ছিল।’
মীরা ইহানের জন্য খাবার গরম করছিল। ও ভ্রু কুঁচকে তাকায়, ‘কে বলল তোকে?’
ইহান স্কুলের ইউনিফর্ম খুলতে খুলতে বলে, ‘জুঁই বলল। উলটো ও জিজ্ঞেস করল আমরা কেন তূর্যের জন্মদিনে যাইনি।’
মীরা থমকায়। সেদিন সকালে সুমন নিজে ওকে ফোন করে বলেছিল ওরা নানুর বাড়ি যাচ্ছে। জন্মদিনে ওরা থাকছে না। সেদিন কেকও বানাবে বলেছিল। তাহলে কি ওরা সেদিন যায়নি? বিদ্যুৎ চমকের মতো মীরার একটা কথা মনে হয়, আচ্ছা, কোনো কারণে সুমনই হয়তো চায়নি যে ওদের বাসায় বারে বারে ও যাক? ভাবনাটা ভাবতেই মীরা কেঁপে ওঠে। আহারে, সুমন বেচারাকে শুধু শুধু ও বিপদে ফেলে দিয়েছে। নাহ, এরপর দেখা হলে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
এরপর হঠাৎই একদিন সুমনের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে এই এলাকার একটা ব্যাংকে দেখা হয়ে যায়। সুমন একটু থতমত খেয়ে যায়। মীরা অবশ্য দ্বিধাহীন হাসি হাসে। এগিয়ে গিয়ে বলে, ‘কী রে, তুই এখানে কী করিস?’
সুমন হাসার চেষ্টা করে, ‘এই একটা চেক জমা দিতে এসেছিলাম। তুই?
মীরা মাথা নাড়ে, তারপর বলে, ‘একটা একাউন্ট খুলতে এসেছিলাম।আমার হাসব্যান্ড ওয়াহিদের অফিস থেকে কিছু দেনাপাওনা আছে। মোটামুটি বড়ো একটা এমাউন্ট। সামনের মাসেই পেয়ে যাব। আচ্ছা, তুই তো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, আমাকে এই এলাকায় একটা বাড়ি করে দে।’
সুমন এবার অস্বস্তি নিয়ে বলে, ‘জমি কিনে বাড়ি করা তো অনেক ঝামেলার ব্যাপার। তারচেয়ে তুই একটা ফ্ল্যাট কিনতে পারিস। এদিকে এখন কম টাকায় ভালো ফ্ল্যাট পাওয়া যায়, ঝামেলাও কম।’
মীরা হেসে বলে, ‘আমার জন্য আর ঝামেলা পোহাতে চাস না, তাই না?’
সুমন আমতাআমতা করে বলে, ‘আরে না। তুই সত্যিই বাড়ি বানাতে চাইলে আমি সব করে দেব নে।’
মীরার খুব মায়া হয়। সুমনের পক্ষে ইচ্ছে করলেই আগেরমতো ওর অদ্ভুত আবদার মেনে নেওয়া সম্ভব না। তিক্ত এই সত্যটার মুখোমুখি হতেও বুঝি ওর ভয়।
মীরা জিজ্ঞাসু গলায় বলে, ‘চল, একটু বাইরে গিয়ে বসি। চা খাব। তোর সঙ্গে জরুরি কথা আছে।’
সুমন মাথা নেড়ে বলে, ‘আচ্ছ চল।’
ব্যাংকের বাইরেই বড়ো একটা অশ্বত্থ গাছের নিচে চায়ের দোকান। খালি দেখে একটা বেঞ্চিতে বসে পড়ে ওরা। দু’কাপ দুধ চায়ের অর্ডার দেয় সুমন।
চা আসতেই মীরা আরাম করে চায়ে চুমুক দেয়। তারপর স্বাভাবিক গলায় বলে, ‘সেদিন ইহানের সঙ্গে জুঁইয়ের দেখা হয়েছিল। বলল তোরা নাকি সেদিন ময়মনসিংহ যাসনি। বাসায়ই ছিলি। আমরা কেন যাইনি তাই নিয়ে অভিযোগ করল।’
সুমন সবে চায়ে চুমুক দিচ্ছিল। নাফিসার কথায় হাত চলকে গরম চা প্যান্টের ওপর পড়ে যায়। দ্রুত সামলে নিয়ে বলে, ‘আর বলিস না। হঠাৎ করেই যাওয়া ক্যান্সেল হলো।’
মীরা হাসে, ‘তুই মিথ্যাও ঠিক করে বলতে পারিস না। ভুলটা আমারই। তোদের বাসায় যাওয়া আমার উচিত হয়নি। পুরনো সম্পর্ক অনেকটা জং ধরা লোহার মতো। জং ধরা লোহায় কেটে গেলে টিটেনাস হবার ভয় থাকে। পুরনো সম্পর্কটাও এমন বিষাক্ত। তুই ভয় পাস না, আমি আর তোদের বাসায় যাব না।’
সুমন মাথা নিচু করে চুপ করে বসে থাকে। আর যে বলার কিছু নেই।
মীরা নরম গলায় বলে, ‘তুই শুধু শুধু কষ্ট পাস না। আমরা এখন জীবনের যে বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছি সেখানে পেছনে ঘুরে তাকানোর সুযোগ নেই। তুই যা করেছিস ঠিক করেছিস। তবে একটা অনুরোধ, যদি কখনও খুব বিপদে পড়ে যাই, তোকে ফোন দিলে ধরিস।’
সুমন হাহাকার করা গলায় বলে, ‘মীরা, তুই ফোন দিস। তোর কখনও বিপদ হোক তা চাই না। কিন্তু এটা মনে রাখিস সেদিন আমি দূরে থাকব না, তোর বিপদে আমাকে কাছেই পাবি।’
মীরা নরম চোখে তাকায়। সুমনের মুখটা সেই আগের সময়ের মতো কেমন শুদ্ধ আলো ছড়াচ্ছে।
২.
ঘড়িতে রাত আটটা বাজে প্রায়। মাহিন উত্তেজনায় ঠিক করে চেয়ারে বসতেও পারছে না। কদিন আগেই ময়মনসিংহ শহরে বাসস্ট্যান্ডের পাশেই বড়ো একটা ডেন্টাল চেম্বার নিয়েছে। বসে বসে আর সময় কাটছিল না। আর দাঁতের কাজগুলো প্রাকটিসে না রাখলে ভুলেই যাবে। সেজন্যই এই চেম্বারটা নেওয়া। ছোট চাচা অবশ্য বিরক্ত হয়েছিলেন। আমেরিকা রেখে এই ময়মনসিংহের মতো শহরে পড়ে থাকা পাগলামি। কিন্তু চাচা এটা বুঝতে চাননি আমেরিকায় ওর দমবন্ধ হয়ে আসে। বিটু অবশ্য খুব খুশি। ও-ই ছোটাছুটি করে এই জায়গাটার ব্যবস্থা করেছে। এখনও তেমন একটা রোগী হয় না। তবে একটা সময় হবে এ বিশ্বাস আছে।
মাহিন ঘড়ির দিকে তাকায়। আটটা বেজে গেছে। নিউইয়র্কে এখন সকাল নয়টা বাজে। আজ ন্যান্সি ফোন দেবার কথা। সেজন্যই ও রোগী না থাকলেও আজ চেম্বারে বসে আছে। অবশ্য আরও একটা কারণ আছে।
ফোনটা বাজতেই মাহিনের বুক কেঁপে ওঠে। দ্রুত হাতে ভিডিয়ো কলটা ধরে। ওপাশে কচি একটা হাসি মুখ ভেসে ওঠে, ‘পাপা, হাউ আর ইউ?’
এক মাথা কালো চুল, বড়ো বড়ো চোখ দুটোতে শৈশবের সারল্য। মেয়েটা একদম ওর চেহারা পেয়েছে। মাহিন টের পায় চোখ ভিজে যাচ্ছে। ও ভাঙা গলায় বলে, ‘ভালো আছি মা। তুই কেমন আছিস?’
ন্যান্সি ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে বলে, ‘আমি ভালো। কিন্তু তুমি ভালো থাকলে কাঁদছ কেন?’
মাহিন টের পায় বুক ভেঙে কান্না আসছে। নিজেকে কষে ধমক দেয়। মেয়ের সামনে কান্না করার কোনো মানে নেই। ও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, ‘এটা আমার নতুন ওয়ার্কিং প্লেস। আর এটা আমার একদম নিজের চেম্বার। দেখবি?’
ওপাশ থেকে ন্যান্সি উচ্ছ্বসিত গলায় বলে, ‘হ্যাঁ পাপা দেখব।’
এই সময়টার জন্যই মাহিন অপেক্ষা করছিল। ও ব্যাক ক্যামেরাটা চালু করে প্রথমে পুরো চেম্বারটা দেখায়। তারপর বাইরে এসে চেম্বারের উপরের দিকে ধরতেই ন্যান্সি চিৎকার করে বলে, ‘ইজ ইট মাই নেম?’
মাহিন বোকার মতো হাসে, ‘হ্যাঁ মা, আমার চেম্বারের নাম দিয়েছি “ন্যান্সি ডেন্টাল কেয়ার”।’
ন্যান্সি হাত তালি দিয়ে বলে, ‘পাপা, ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং। আমার এখুনি তোমার এই চেম্বার দেখতে আসতে ইচ্ছে করছে।’
মাহিন গাঢ় গলায় বলে, ‘চলে আয় মা। আমারও যে তোকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে।’
ন্যান্সি চিন্তিত গলায় বলে, ‘মাম্মিকে বলেছিলাম। মাম্মি রাজি হয়নি। রাগ করেছে। পাপা, আমি আঠারো হলেই তোমার সঙ্গে দেখা করতে চলে আসব।’
মাহিন টের পায় বুকের ভেতর দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। নিজের আত্মজার সঙ্গে দেখা হতে এখনও অনেক সময় বাকি। তা হোক। কিন্তু মেয়েটা যে ওকে দেখতে চায়, এটাই অনেক পাওয়া। এইটুকু আশা নিয়েই ও বেঁচে থাকবে, ন্যান্সি ফিরে আসবে।
বাড়ি ফিরে খাওয়া শেষে ছোট চাচা রুমে আসেন। সাথে চাচিও। নিশ্চয়ই কিছু বলবেন। মাহিন অপেক্ষা করে।
একটা সময় ছোট চাচা গলা খাঁকারি দিয়ে বলে, ‘তুমি যদি শেষ পর্যন্ত এখানেই থেকে যেতে চাও তাইলে বিয়ে করো। এভাবে একা থাকা ঠিক না। আমি মেয়ে দেখা শুরু করি।’
মাহিন গম্ভীরমুখে বলে, ‘আমি আর বিয়ে করব না চাচা।’
এবার ছোট চাচি বুঝিয়ে বলার ভঙ্গিতে বলেন, ‘আমাদের বয়স হয়েছে। তোমারও কম হলো না। অসুখের সময় একটা মানুষ পাশে থাকাও তো দরকার। তোমার চাচা ভালোর জন্যই বলেছে।’
মাহিন চুপ করে থাকে। একটা সময় আর কথা এগোয় না। ওনারা চলে যান। মাহিন বাতি নিভিয়ে বিছানায় উঠে বসে। হঠাৎ করেই মনে হয় চারদিকে এক অসীম শূন্যতা। কেউ নেই ওকে মনে করবার। ওহ, একজন আছে, নাফিসা।
কী মনে হতে ও চেম্বারের একটা ছবি পাঠিয়ে মেসেজ দেয়, ‘শেষ পর্যন্ত ময়মনসিংহেই থেকে যাবার জন্য মনস্থির করলাম। এখানে বাস স্ট্যাডের সঙ্গে মেডিকেল কলেজের উল্টো পাশেই চেম্বার। মেয়ের নামেই, ন্যান্সি ডেন্টাল কেয়ার। দাঁতের অসুখ করলে এসো।’
মেসেজ পাঠিয়ে বসে থাকে মাহিন। একটা সময় মেসেজটা ‘সিন’ হয়। মাহিন আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকে উত্তরের প্রত্যাশায়। কিন্তু নাফিসা কোনো কিছুই লিখে না। মাহিন অপেক্ষা করে বসেই থাকে। রাত বাড়ে, নিঝুম নিস্তব্ধতায় ডুবে যায় শহর।
(চলবে)
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর