দুখীফুল পর্ব-১৮

0
437

#দুখীফুল
#আফসানা_মিমি
#পর্ব_১৮

হলুদের দিন গালে হাত রেখে ফুল বসে আছে। শুভ তাকে তৈরী হতে দিচ্ছেই না। আজ নতুন আবদার জুড়ে বসেছে তার বাবুবর। আগামী দুইদিন আগে শুভ তৈরি হবে তারপর ফুল। প্রশ্ন আসে না, কেনো ফুলের বাবুবরের এমন আবদার? ফুলও প্রশ্ন করেছিল। শুভ উত্তর দিল,” আমাদের বিয়ের তিনমাস পূর্ণ হয়েছে। তুমি বলতে পারবে, ফুল! এই পর্যন্ত কতোবার স্বামীর সেবা করেছো?”
ফুল গালে হাত রেখে অবাক,সুরে প্রশ্ন করল,” স্বামী সেবা আবার কেমন? তোমার পা চেপে দিব? নাকি হাত মালিশ করব?”

শুভ অস্পষ্ট সুরে তখন বলল,” বেশি মাথায় উঠালে তো গলা চেপে ধরবে।”

ফুল শুনলো কথাটা। চোখ বড়ো করে বলল,” তুমি আমাকে খারাপ মেয়ে ভাব?”

শুভ নিজের কথা সংশোধন করে বলল,” তোমার কী ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে, ফুল?”

শুভর উচু আওয়াজ শুনে ফুল চুপ করে রইল। শুভ মুচকি হেসে ফুলের একদম কাছাকাছি এসে বলল, ” স্বামীর সেবা আমি অন্যকিছু বুঝি, বলব?”
ফুল চোখ তুলে তাকাল। শুভ পুনরায় বলল,” স্বামীর সেবা বলতে আমি বুঝি, আমার ফুল আমার আশেপাশে মৌমাছির মতো ভনভন করবে। তার চাতক দৃষ্টি জুড়ে শুভ থাকবে। শুভর সবকিছুতে তার অধিকার থাকবে। সব মানে বুঝো! মন, প্রাণ, শরীর সব।”

ফুল চোখ নামিয়ে নিল। শুভ তোয়ালে ঘাড়ে রেখে বলল,” গোসল করতে যাচ্ছি, আজ তোমার পছন্দ অনুযায়ী তৈরি হব। আলমারী থেকে তোমার যা যা পছন্দ বের করে রাখ।”

শুভ গোসল করতে চলে গেল। ফুলের আটকে রাখা নিঃশ্বাস ফেলে বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে পড়লো। বিড়বিড় করে বলল,” তুমি চিঠিতেই ভাল। একদম সভ্য ভদ্র। কিন্তু বস্তবে! একদম অসভ্য, দুষ্ট।”

নিজে নিজে কথা বলে আনমনে হেসে ফেলল ফুল। আলমারি থেকে বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবী বের করল। ফুলের লেহেঙ্গা গাঢ় হলুদ রঙের। সকালেই শাশুড়ি ঘরে রেখে গেছে। এও বলেছে, নিচে না নামতে। একেবারে তৈরি হয়ে নামতে। হলুদের স্টেজ শিউলি ফুলের গাছের নিচে করা হয়েছে।

ফুলের ভাবনার মাঝেই শুভ বেরিয়ে আসলো। তার লোমহীন উন্মুক্ত বক্ষস্থল দেখে ফুল অন্যদিকে তাকাল। শুভ গতবারের মত লজ্জা পেল না। তার লজ্জা কোথায় পালাল কে জানে! তবে ফুলকে লজ্জায় ফেলতে বেশ লাগল। বিছানার উপর সাজানো জিনিসপত্র দেখে মুচকি হাসল। একহাতে মাথার চুল মুছতে গিয়েও থেমে গেল। ফুলের মনোযোগ পেতে গলা কেশে পরিষ্কার করে নিল। ফুলের পিছনে দূরত্ব বজায় রেখে ঝুঁকে কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,” লাজুক ফুল!”

ফুলের মনে হল কেউ তার শরীরে একশো কেজি বরফ ঢেলে দিয়েছে। শরীরে শিহরণ বয়ে গেছে শুভর ডাকে। ফুল নড়েচড়ে সরে যেতে চাইলে শুভ আটকাল। ফুলের হাতে তোয়ালে ধরিয়ে দিয়ে সামনে এসে দাঁড়াল। ফুলের চঞ্চল দৃষ্টি শুভর বক্ষ ছাড়া সবদিকেই বিচরণ করছে। আকর্ষণীয় সুদর্শন পুরুষ নয় শুভ তবুও লাজরাখা চোখ শুভর দিকে তাকাচ্ছে না। শুভ বলল,” স্বামীর সেবার মধ্যে একটি হল, স্বামী গোসল সেড়ে আসলে মাথা মুছে দেয়া। দাও তো আমার ভেজা চুলগুলো মুছে দাও।”

ফুল আঙুল ফোটাচ্ছে, পায়ের আঙুল মাটিতে বিঁধে দিচ্ছে। ফুলকে অপ্রস্তুত হতে দেখে শুভ মজা পেল। ফুলের দিকে মাথা নুয়ে দিল। নিশপিশ করতে করতে ফুল মাথার চুল মোছা শুরু করল। তার দৃষ্টি ভুলেও শুভর দিকে পড়ছে না। শুভ ভীষণ মজা পাচ্ছে। ফুলকে আরেকটু লজ্জায় ফেলতে শুভ দুষ্ট বুদ্ধি আটলো শুভ। আহ করে শব্দ করে উঠল সে। ফুল সরি সরি বলে শুভর সিল্ক চুলে হাত বুলাতে থাকল। তার চোখে মুখে ভয়। শুভ দাড়িয়ে গেলে অসাবধানতা বশত ফুলের হাত শুভর উন্মুক্ত বক্ষস্থলে লাগল। ফুল চোখ বড়ো করে সেদিকেই তাকিয়ে রইল। লোমহীন বক্ষে কিছু একটা আছে। ফুলকে ডাকছে। ফুল ক্রমশ এগিয়ে আসতে নিয়েও চোখ ফিরিয়ে নিল। চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই শুভ ফুলকে দুই হাত কোমরে চেপে আটকে নিল। এবার ফুলের হাতজোড়া শুভর বুকে রাখা। ফুল চোখ বন্ধ করে নিল। শুভ হেসে বলে উঠল,” তুমি দেখছি আমাকে ভয় পাও, ফুল!”

ফুল তাকাল শুভর হাসিমাখা মুখটার দিকে,” ভয়ংকর কাণ্ড করলে ভয় পাব না,বুঝি!”

” পৃথিবীতে তুমিই প্রথম স্ত্রী যার স্বামীর আদর ভয়ংকর লাগে।”

ফুল লজ্জায় নুইয়ে পড়ল। মাথা ঠেকালো শুভর উন্মুক্ত বক্ষস্থলে। শুভ ফুলের মাথায় ঠোট ছুঁয়ে বলল,” কয়েকদিন পর আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ব। আমি চাই,ছুটির দিনগুলো তোমার সাথে সময় কাটিয়ে দিতে।”

ফুল চুপচাপ শুনে গেল। শুভ ফুলের মাথায় থুতনি রেখে বলল,” আজ আমার সামনে তৈরি হবে, ফুল?”

ফুল মাথা তুলে তাকাল। শুভ ফুলের গালে হাত ছুঁয়ে দিতে থাকল। আবেশে তার চোখজোড়া বন্ধ হয়ে আসছে। ফুল নিজেকে সামলে নিয়ে শুভর বাহু থেকে সরে এল। দরজা খুলে শুভকে তাড়া দিয়ে বলল,” তুমি তৈরি হও। আমি লেহেঙ্গা পরে আসছি। এবার কিন্তু আমাকে সাহায্য করতে হবে।”

শুভ হেসে বলল,” যথা আজ্ঞা মহারাণী!”

লেহেঙ্গার ওড়না শুভই গুছিয়ে দিল। আজ মায়ের কাজটা করতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। শুভর ইচ্ছে করছে, ফুলকে তার মা যেভাবে সাজিয়ে দেয় সেভাবে সাজিয়ে দিতে। শুভ নিজের ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখল নিজেদের একান্ত সময়ের জন্য। ফুল হালকা গহনা পরতে চাচ্ছিল। শুভ সহজ করে দিল। হাতে কাঁচা গোলাপের মালা প্যাঁচিয়ে দিল আর কপালে টিকলি। কানে গতকাল ফুলের শাশুড়ি পরিয়ে দেয়া কানের দুল। চুলগুলো পিঠে ছড়িয়ে দিয়েছে। ফুল একদম তৈরি। শুভ বুকে হাত রেখে ফুলের উদ্দেশে বলল,” ম’রে যাব!”

ফুল ধ্যাৎ বলে শুভকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। শুভ বের হল, পাঁচ ছয় মিনিট পর। ফুলের জন্য ছোট্ট চিঠি লেখে।

———-

আদিল এখনো ঘরের মধ্যে। শুভ বউয়ের পিছু পিছু ঘরে। সুইটি খানম একা হাতে মেহমানদের দেখছেন। হলুদ যার যার বাড়িতেই হবে। অত দূরে যাতায়াতেরও ব্যপার আছে। সাগরিকার এতে কোনো সমস্যা নেই। ফুল নিচে নামছিল তখনই শাশুড়ির সামনে পড়ে। ফুলকে দেখে তার শাশুড়ির সমস্ত ক্লান্ত যেনো উধাও হয়ে গেল। ফুলকে ধরে আত্মীয়দের সামনে নিয়ে বলল,” আমার মেয়েটাকে কী মিষ্টি লাগছে, দেখেন বুবু!”

সবাই ফুলের প্রশংসা করল। প্রিয়াও ঘর থেকে বের হয়ে আসলো। সে জরজেটের হলুদ রঙের শাড়ি পরেছে। চুলগুলো কার্ল করে সামনে এনেছে। ব্লাউজের গলা এতোই বড়ো করে বানিয়েছে যে, বুকের অনেকাংশই উন্মুক্ত হয়ে আছে। শুভ ফুলের পিছনেই ছিল। সে জানে, অনেকেই তাকে বউ পাগল বলবে কিন্তু কেউ তো জানে না, শুভ নিজের জন্য ফুলের পাশে থাকছে।

সুইটি খানমই প্রিয়ার কাজটা সহজ করে দিল। এতক্ষণ
ফুলের জন্য শুভর কাছে যেতে পারেনি। দুই একটা কথা বলবে সেই সুযোগও দেয়নি। প্রিয়া আশেপাশে তাকিয়ে শুভর গা ঘেঁষে দাঁড়ালো। বুকের আঁচল আরেকটু নিচে নামিয়ে বলল,” দেখো তো শুভ ভাইয়া, আমাকে কেমন লাগছে?”

শুভ বিরক্তির সুরে বলল,” বিষধর নাগিন লাগছে।”

প্রিয়ার হাসিমাখা মুখটা নিমিষেই ভোঁতা হয়ে গেল। শুভ কথা শেষ করে আর দাঁড়ালো না। হনহনিয়ে বাহিরে চলে গেল। আদিল আসছে না দেখে ফুলের শাশুড়ি ফুলকে উপরে পাঠাল। শুভ সেই যে রাগ করে বাহিরে গেল আসলো না। ফুল লেহেঙ্গা দুই হাতে তুলে সিঁড়ি ডিঙিয়ে উপরে উঠল। আদিলের ফ্ল্যাটে এসে দরজায় দুই তিনবার কড়াঘাত করল। আদিল খুলল সময় নিয়ে। মুখটা শুঁকনো মনে হচ্ছে। ফুলকে দেখে দরজা ছেড়ে নিজের ঘরে গেল। শুভকে বিছানার উপর শোয়া অবস্থায় দেখে ভ্রু যুগল কুঁচকে নিল,” তোমাকে না বাহিরে চলে যেতে দেখলাম! উপরে কীভাবে আসলে?”
শুভ দুষ্ট সুরে পালটা প্রশ্ন করল,” স্বামীর উপর নজর রাখা হচ্ছে, হুম হুম!”

ফুল ভেংচি কে’টে বলল,” নজর না ছাই।”
ফুল আদিলের দিকে তাকিয়ে বুঝল মন খারাপ।বিছানায় বসে জিজ্ঞেস করল,” মা ডাকছে, ভাইয়া। সবাই অপেক্ষা করছে।”

আদিলের উত্তর শুভ দিল,” ভাইয়া, ব্যাচেলর জীবনটাকে মিস করছে, তাই কিছুসময় মৌনব্রতে বসেছে। সময় হলে নিচে যাবে।”

ফুল অবাক হল। বিয়ের পর কী এজন্য শুভও ফুলকে মেনে নিতে পারছিল না, মনে প্রশ্ন জাগলো। আদিল শুভর দিকে বালিশ ছুঁড়ে বলল,” ওর কথা বিশ্বাস করো না, ফুল। বাবার কথা খুব মনে পড়েছে। বাবা থাকলে সবকিছু তিনিই সামলে নিতেন। আমার উপর কোনো চাপ ফেলতেন না। এই দেখো, আজ দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছি না।”

ফুলের বেশ মন খারাপ হল। বাবার আদর সে কখনোই বুঝেনি। সবসময় ঝাঁটার বাড়ি খেয়েছে। আদিলকে কীভাবে বুঝাবে সেই জ্ঞানও তার নেই। আদিল বুঝলো তার জন্য মেয়েটার মন খারাপ হয়ে গেছে। সে কিছু বলবে তার আগেই ফুল বলতে শুরু করল,” জন্ম ও মৃত্যু উপরওয়ালার হাতে। শুনেছি, মৃত্যু তারই হয় যে মাবুদের প্রিয় হয়। বাবার হায়াত এতটুকুই ছিল, ভাইয়া। আপনি আমি আমরা বড়োজোর দুই হাত তুলে উনার জন্য দোয়া করতে পারি। মন খারাপ করবেন না, ভাইয়া।”

শুভ শোয়া থেকে উঠে বসে সেই কখন।হা করে ফুলের কথা শুনেছে।আদিল ফুলের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে বলল,” যাক, আমার গাধা ভাইয়ের কপালে ভালো কেউই জুটেছে।”
ফুল লজ্জা পেল। মিনমিন সুরে বলল,” এভাবে বলে না,ভাইয়া।”

আদিল ও শুভ দুজনই হেসে ফেলল।

————-

হলুদের অনুষ্ঠান খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হল। সারাটা সময় ফুল শুভর আশেপাশেই ছিল। শুভর মায়ের মুখ থকে হাসি সরছেই না। আগামীকাল উনার আরো একজন মেয়ে আসবে। এরপরই উনার পরিবার পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।

আদিলকে হলুদ মাখানোর সময় শুভ ফুলের হাত ধরে এগিয়ে গেল। বড়ো ভাইকে সারা মুখে হলুদ মাখিয়ে দিয়ে আনন্দ করল। ফুল সবটাই উপভোগ করছে। এর আগে কখনোই বিয়ে দেখা হয়নি। তার নিকটতম এমন কোনো আত্মীয়ও নেই। যারা ছিল, ফিরোজের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেছে। শুভ সুযোগ বুঝে ফুলের কানে ফিসফিস করে বলল,” আমার ঘরে তোমার জন্য একটা চিঠি রাখা আছে।”

ফুলের চোখজোড়ায় আনন্দ ভর করল। সে প্রফুল্লচিত্তে ছুটে গেল ঘরের দিকে। নিচে সবাই আনন্দ করতে ব্যস্ত। ফুল এতোটাই খুশি ছিল যে, বাড়িতে কেউ নেই তা ভুলে গেল। শুভর ঘর থেকে চিঠি নিয়ে নিজের ঘরে চলে আসলো। চিঠি খুলে পড়তে শুরু করল,

প্রিয় হলুদ ফুল,

যার পিঠে দুটো ডানা লাগালেই মনে হয় পরী হয়ে যাবে। হলদে পরী। অবশ্য এখন ডানাহীনা পরী বললেও পরীরা লজ্জা পাবে। কেননা তুমি আমার দেখা শ্রেষ্ঠ হলদে পরী।

আজ একটা দুষ্ট কথা বলতে এলাম। তোমার বা পাশের কেমড়ের দুই ইঞ্চি নিচে গাঢ় তিল আছে। আমার ইচ্ছে করছিল, একটু ছুঁয়ে দিতে কিন্তু তুমি লজ্জা পাবে তাই নিজের ইচ্ছেকে কোরবানি দিয়ে দিলাম। পরেরবার সুযোগ পেলে শুধু ছুঁয়ে নয় ভয়ংকর কাজ করব।

এই এই একদম ব’ক’বে না। আমি সবার কাছে ভদ্র বাচ্চা থাকলেও তোমার কাছে ঠোঁটকাটা শুভ থাকতে চাই। তোমার সামনে আমার মনে যা আমিও তাই।

একটা আবদার ছিল, মানবে? আজ রাতে আমার ঘরে ঘুমাবে? প্রমিজ করছি, সেদিনের মতো ভুল কিছু করব না। ইদানীং রাতে ঘুম হয় না। ভাবলাম, বউকে পাহারাদার বানাই। কী, আমায় পাহারা দিয়ে রাখবে?

ইতি
ফুলের ভীতুবর

ফুল হাসতে হাসতে শুয়ে পড়লো। চিঠি জায়গামতো রেখে নিচে নেমে আসলো। সে ভেবে নিল,কিছু সময় শুভর আশেপাশে যাবে না। যেনো শুভ বুঝে, ফুল রাগ করে আছে। তার বাবু বরের সাথে এইটুকু দুষ্ট কাজ করতেই পারে। যেমনটা শুভ করে থাকে তার সাথে!

খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে সবাই ক্লান্ত শরীরে বরাদ্দকৃত ঘরে চলে গেল। প্রিয়া ঝটপট কাপড় পাল্টে উপরে চলে আসলো। সে সকলের অগোচরে শুভর ঘরে গিয়ে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে রইল। তার পরিকল্পনা খুবই কুৎসিত। শুভ ঘরে আসলেই কাজ শুরু করবে।

চলবে……………..