মুগ্ধতায় তুমি আমি পর্ব-১৫ এবং শেষ পর্ব

0
15

#মুগ্ধতায়_তুমি_আমি
লেখিকা: #ইয়ানূর_মাশিয়াত
#পর্ব_১৫ (শেষ পর্ব)

ক্যানটনের জুরিখ শহরে এখন বসন্তকাল চলছে। এখন এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত এখানে সাধারণ একটা ব্যাপার। তবে তাপমাত্রা আরামদায়ক যা পর্যটনের জন্য খুব ভালো একটা সময়। পর্বতগুলির তুষার গলে গেছে। পাহাড়গুলিতে সবুজের ঢাল উপভোগ করা যায়। কিন্তু এ সময়টায় এখানে পর্যটকদের ভিড় কম থাকে। আর কিছুদিন পরই শুরু তবে তাদের ভীড় যখন গ্রীষ্ম আসবে। এই অসম্ভব সুন্দর জুরিখ শহরে দেখতে দেখতেই কেটে গেলো চারটি বছর। চোখের পলকেই সময়গুলো চলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন আরশের সাথে আমার বিয়ে হলো। কিন্তু না সময়ের স্রোতে তার সাথে কেটে গেছে সাতটি বছর। জেনিসা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। জেনিফারের বয়স পাঁচ। নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে সে। জেনিফার, জেনিসা, এবং আমাদের মা বাবাকে নিয়েই আমাদের ছোট সুখের সংসার। খুব হাসি খুশি আনন্দে মেয়েদের সাথে সময় কাটছে আমাদের। সেদিন জেনিসার দাদি মা’রা যাওয়ার খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম আমরা। সেটা ওর দাদির বাপের বাড়ি। জেনিসার দাদা সেদিন ওকে বুকে জড়িয়ে খুব কেঁদেছিলেন। বুড়ো লোকটার জন্য আমার খুব মায়া লেগেছিল। ছেলের কবর সুইজারল্যান্ড, স্ত্রীর কবর বাংলাদেশে আর তাকে পাড়ি জমাতে হয়েছে কানাডায়! অনেক ভে’ঙে পড়েছিলেন তিনি। আরশ তাকে অনেক শান্তনা দিয়েছিলেন সেদিন। ভদ্রলোক ওইদিন একটা অনুরোধ করেছিলেন আরশকে যে জেনিসাকে যেন কিছুদিন পর পর ওনার সাথে কথা বলতে দেওয়া হয়। অনেক কাকুতি করে বলেছিলেন উনি কখনো জেনিসাকে বলবেন না সত্য সম্পর্কে। আরশ রাজি হয়েছিলেন। এরপর থেকে জেনিসা প্রায় ওনার সাথে কথা বলতো। জেনিসা জানে উনি আমার শ্বশুরের এক বন্ধু। ওনারও জেনিসার মতো একটা নাতনি ছিলো কিন্তু সে মা’রা গেছে। জেনিসাকে ওনার কাছে নিজের নাতনির মতো মনে হয় তাই তিনি ওকে এতো পছন্দ করেন। কিন্তু আফসোস গতবছর উনিও না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন। তার সমাধি কানাডাকে। উনি মা’রা যাওয়ার পর জোহানের দেওয়া স্ট্যাটমেন্টসহ কাগজপত্রগুলো পুড়িয়ে ফেলেন আরশ। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ওগুলো পু’ড়াচ্ছিলেন কেন। উনি তখন বলেছিলেন, এগুলো হচ্ছে কালসাপ। থাকলেই যেকোনো সময় জেনিসার সামনে চলে আসতে পারে। তাই পু’ড়িয়ে দিচ্ছি। এতো দিন এগুলোকে আমার বোঝা বোঝা লাগতো। আজ একটু হালকা লাগছে। প্রমাণ থাকলেই ঝামেলা বাড়বে।

আমি আর কিছু বলি নি সেদিন। এভাবেই চলে যাচ্ছে আমাদের দিনগুলো। এখানে ছোটখাটো একটা বাড়িতে আমরা থাকি। বাড়ির সামনেই একটা বাগান আছে। এই মুহূর্তে সেই বাগানে বসে চা খাচ্ছেন আর গল্প করছেন আমার শ্বশুর শাশুড়ি আর আমার মা। একটু দূরেই জেনিসা আর জেনিফার ফুল দিয়ে খেলছে। আর আমি দোতালার বারান্দায় ধোঁয়া ওঠা কফি হাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের দেখছি। কফিতে চুমুক বসাতে বসাতে দেখলাম জেনিসা একটা ফুল নিয়ে জেনিফারের কানে গুঁজে দিলো। ফুলটার নাম জানা নেই আমার। জেনিফারও তার দেখাদেখি একটা ফুল তুলে জেনিসাকে ঝুঁকতে বললো। জেনিসা একটু ঝুকলো। জেনিফার সেটা জেনিসার কানে গুঁজে দিলো ঠিক কিন্তু ফুলটা পড়ে গেলো। জেনিসা ফুলটাকে তুলে নিজেই নিজের কানে গুঁজে নিলো। এরপর জেনিফারকে কোলে তুলে নিলো। আমি ওদের কান্ড দেখে হেসে ফেললাম। এমন সময় অনুভব করলাম আমাকে পিছন থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে কেউ। আমি স্মিত হাসলাম। মানুষটা আমার খুব পরিচিত। আরশ আমার গালে একটা চুমু খেয়ে বললেন, হাসছো কেন একা একা?

আমি বললাম, আপনার মেয়েদের কান্ড দেখে হাসছি।

আমার মেয়েরা আবার কি করেছে?

ফুল নিয়ে খেলছে। একজন আরেকজনের কানে ফুল গুঁজে দিচ্ছে।

এখন তো খেলছে আর ক’দিন পর মা’রামা’রি করবে তখন?

আমার মেয়েরা কখনো মা’রামা’রি করে নি আজ পর্যন্ত। দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে। ওদের বন্ডিং খুব ভালো। তাই আরশের কথায় রা’গ হলো আমার। আমার সহজ সরল মেয়েদের মধ্যে মা’রামা’রি দেখতে চান উনি? আমি ওনাকে ভেঙচি দিয়ে ঘরে চলে গেলাম। খাটের উপর বসতে বসতে ওনাকে বললাম, আমার মেয়েরা একে অপরকে কত ভালোবাসে আপনার কোন আইডিয়া আছে? ওরা নিজেদের মধ্যে মা’রামা’রি করবে কেন?

আরশ বললেন, তোমার তিন নাম্বার মেয়ের জন্য মা’রামা’রি করবে। দেখো কোলে নেওয়ার জন্য দুজনে কি অবস্থা করে।

ওনার কথায় চমকে উঠলাম আমি। আমি প্রেগন্যান্ট উনি জেনে ফেলেছেন? স্মিত হাসলাম আমি। তাকে বললাম, কিভাবে জানলেন?

উনি এসে আমার পাশে বসলেন। বললেন, আপনার হাব ভাব দেখে ম্যাডাম।

বলে উনি আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন। আমি ওনার চুলে হাত বোলাতে থাকলাম। গত কয়েকদিন ধরেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না আমার। খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ। এ মাসে পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়েছি রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। ওনাকে আমি বলেই দিতাম কিন্তু উনি আগে জেনে ফেলেছেন। উনি আমার কোলে চোখ বন্ধ করেই শুয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। আমি ওনাকে দেখছি। উনি হঠাৎ চোখ খুলে তাকালেন। আমি হাসলাম। উনিও হাসলেন। বললেন, এভাবে তাকাচ্ছো কেন? গিলে ফেলবে আমাকে?

আমি আমার দুহাত দিয়ে ওনার দু গাল চেপে ধরলাম। বললাম, হ্যাঁ গিলে ফেলবো। আপনি এতো ভালো কেন আরশ? আপনাকে যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই আমি। আমার জীবনে আপনি আপনার মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়েছেন আরশ। আমি এই মুগ্ধতা নিয়েই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।

আরশ এবার উঠে বসলেন। আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললেন, সেইম টু ইউ।

আমি চুপ করেই রইলাম। আরশ আবার বললেন, আমার জীবনটাকে এতো সুন্দর করে তোলার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মৌ।

আমি ওনার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। উনি স্মিত হাসলেন। এরপর বললেন, তোমার জীবনে যেমন আমি মুগ্ধতা ছড়িয়েছি আমার জীবনেও ঠিক তেমনই মুগ্ধতা ছড়িয়েছ তুমি। এই মুগ্ধতা আমাদের দুজনের। মুগ্ধতায় তুমি আমি মৌ!

ওনার কথায় অনেক প্রশান্তি পেলাম।

.

আমার প্রেগন্যান্সির খবর পেয়ে বাড়ির সবাই বেশ খুশি হলো। জেনিসা আর জেনিফার তো খুশিতে পুরোই গদগদ। আরশ যেমনটা বলেছিলেন ঠিক তেমনটাই হলো।বাবুকে কোলে নেওয়া নিয়ে জেনিসা আর জেনিফারের মধ্যে কথা কা’টাকা’টি হলো। জেনিসা বলছে জেনিফার নিজেই তো ছোট মানুষ ও বাবুকে কিভাবে কোলে নিবে? অন্যদিকে জেনিফার বলছে ও নিতে পারবে। ও অনেক স্ট্রং। এ নিয়ে জেনিফার রা’গ করলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই দু বোন ঠিক হয়ে গেলো। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলো যে তারা বাবুকে পালাক্রমে কোলে নিবে। কিছুক্ষণ জেনিসার কাছে থাকবে কিছুক্ষণ জেনিফারের কাছে। তাদের ঝামেলা মিটিয়ে দিলো তাদের দাদু নানুরা। যখন দুজনে মিলে গেলো তখন তারা বাবুর নাম কি রাখবে তা নিয়ে আলোচনা করতে লাগলো।

রাতের খাবার খেয়ে দুইবোন ঘুমাতে গেলো। জেনিফার এক বছর হলো আমার সাথে ঘুমায় না। সে নানু আর জেনিসা আপুর সাথে ঘুমায়। তাদের সাথে থাকতে তার অনেক ভালো লাগে। আমিও বাঁধা দেই নি। বড় হচ্ছে বিছানা তো আলাদা করতেই হবে এখনই যেহেতু ও চাচ্ছে সেহেতু আমি আর কথা বাড়াই নি। জেনিসা আমাকে বললো, মম এবার কিন্তু একটা ছেলে বাবু আনবা। আমাদের একটা ভাই আনবে এবার।

জেনিফার বললো, আপু যা বলেছে তা।

জেনিসাকে আমি বললাম, এটা তো আমার হাতে না মা। আল্লাহ যা দিবেন তাই তো মেনে নিতে হবে। তোমার কি বোন ভালো লাগে না?

জেনিসা বললো, তা না। কিন্তু আমাদের একটা ভাই নেই তো। প্লিজ একটা ভাই নিয়ে এসো।

জেনিফার বললো, আপুর কথা ঠিক। আপু যা বলবে তা।

জেনিফার গিরগিটির মতো রঙ বদলায়। একটু আগেই বাবু কোলে নেওয়ার জন্য আপুর সাথে ঝগড়া করলো কিন্তু এখন! এখন সে বোন ভক্ত হয়ে গেছে। আপু যা বলবে তাই হবে! এই মেয়েটা আমার ভীষণ দুষ্টু। আমি ওদের কথার উত্তরে বললাম, ঠিক আছে সেটা তখন দেখা যাবে। এখন ঘুমাও। আর কথা বলো না। নানু ঘুমিয়ে গেছে দেখেছো? তোমরা কথা বললে নানুর ডিস্টার্ব হবে ঘুমে। তাই লক্ষী বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে পড়ো তো দুজনে।

ওরা শুয়ে পড়লো। আমি ওদের রুমের লাইট অফ করে নিজেদের ঘরে চলে গেলাম। আরশ বারান্দার বেতের চেয়ারে বসে বই পড়ছেন। আমি তার পাশে গিয়ে বসলাম। উনি আমার দিকে একবার তাকিয়ে ফের বই পড়ায় মনোযোগ দিলেন। আমি তাকে বললাম, বই তো অনেক পড়েছেন। আসুন না আজকে আমরা সারারাত গল্প করি। বিয়ের পর কখনো আমরা সারারাত জেগে গল্প করি নি। আমার খুব শখ আপনার সাথে সারারাত জেগে গল্প করবো।

কথাগুলো বলে অধীর আগ্রহে তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম আমি। উনি বললেন, সারারাত আপনি জেগে থাকেন আর আপনার শরীর খারাপ হোক এরপর আমার বাবুটা কষ্ট পাক। এই তো আপনার প্ল্যান তাই না? আপনি নির্দয় মা হলেও আমি এমন নির্দয় বাবা নই।

আমার মুখের হাসি গায়েব হয়ে গেলো। ওনাকে বললাম, একদিন গল্প করলে কিছু হবে না।

উনি হাতের বইটা বন্ধ করে ফেললেন সেটা হাতে ঘরের ভিতর যেতে যেতে বললেন, অনেক কিছু হবে। ঘুমাতে চলো।

আমি উঠলাম না। সেভাবেই বসে রইলাম। উনি আবার আমার কাছে আসলেন। বললেন, জেদ করো না মৌ। ভিতরে আসো।

আমি কিছু বললাম না। সেভাবেই চুপচাপ বসে রইলাম। উনি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এরপর বললেন, এই বুড়ো বয়সে এমন পাগলামি ভালো দেখায় না মৌ।

আমি বিস্মিত হলাম। এই বয়সে বুড়ো হয়ে গেলাম আমি? আমি ওনাকে বললাম, আপনি বুড়ো বললেন কাকে?

উনি বললেন, নিজেকে।

আমি ওনার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম, বয়স কত আপনার?

ফরটি ওয়ান।

এইজন্যই তো এমন। আনরোমান্টিক বুড়ো!

বলেই ওনাকে মুখ ভেঙচি দিয়ে ঘরে চলে গেলাম আমি। বিছানা ঠিক করে শুয়ে পড়লাম। উনিও এলেন। আমার পাশে শুয়ে পড়লেন। আমাকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন। আমার কপালে চুমু খেয়ে বললেন, আসলেই বুড়ো হয়ে গেছি মৌ। চুলে পাক ধরেছে।

আমি চুপ থাকলাম। উনি আবার বললেন, এই আনরোমান্টিক বুড়োকে নিয়েই তোমার জীবন কাটাতে হবে।

আমি হেসে ফেললাম। বললাম, আচ্ছা কাটাবো। তার আগে বলুন আমাকে ভালোবাসেন। আপনি আমাকে ভালোবাসেন কখনো বলেন নি। আজ বলে ফেলুন আমার খুব শুনতে ইচ্ছে করছে। না বললে কিন্তু বাপ মেয়েদের রেখে সত্যি সত্যি রা’গ করে বাংলাদেশে চলে যাবো আমি।

উনি হেসে ফেললেন। বললেন, ভালোবাসা কি বলার জিনিস? আমার ভালোবাসা তুমি অনুভব করো নি মৌ?

করেছি তো। কিন্তু আমি শুনতে চাই।

এটা কোনো শোনানোর জিনিস নয় মৌ। ভালোবাসা অনুভব করতে হয়। কারো মুখ থেকে ভালোবাসি শুনলেই ভালোবাসা হয়ে যায় না।

আমি কিছু বললাম না ওনার কাছ থেকে সরে যেতে চাইলাম। উনি শক্ত করে চেপে ধরলেন আমাকে। বললেন, এমন করছো কেন? রাত বিরাতে কি পাগলামি শুরু করেছো? আচ্ছা যাও বলছি।

আমি শান্ত হলাম। কিছুক্ষণ উনি সেভাবেই চুপ করে শুয়ে থাকলেন। তাই আমি আবার সরে আসতে চাইলাম। এরপর উনি হাসতে হাসতে বললেন, বলছি তো একটু সময় দাও।

আমি বললাম, না আপনাকে আমি আর বিশ্বাস করি না। সরুন আপনি আমার কাছ থেকে।

উনি এবার আমাকে একদম জাপ্টে ধরে কপালে চুমু খেয়ে বললেন, ভালোবাসি মৌ।

একেবারে শান্ত হয়ে গেলাম আমি। হৃদয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে এই মুহূর্তে। ওনার এতটুকু কথায় যে কতটা খুশি হয়েছি আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আমিও তাকে বললাম, আমিও ভালোবাসি।

আরশ বললেন, কাকে?

আপনাকে।

উনি বললেন, ঠিক আছে।এখন শান্ত হয়েছো না? এখন ঘুমাও। নাহলে শরীর খারাপ করবে।

আমি ওনার বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নিলাম। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। আমার সুখের ঠিকানা তো এটাই। এই মানুষটাকে আমি ভালোবাসি। এই মানুষটার সাথেই বাকিটা পথ চলতে চাই। প্রথম ভালোবাসা আমাকে ক্ষ’তবিক্ষ’ত করলেও উনি আমাকে পূর্ণতা দিয়েছেন। আমার এই সুন্দর পরিবারটাকে ঘিরেই বেঁচে থাকতে চাই আমি। সারা পৃথিবীকে জানাতে চাই আরশের সাথে সুখে আছি আমি। ভালো আছি আমি তার সাথে।💖

সমাপ্ত