#গল্পঃঅবৈধ_বাচ্চা
#পর্ব_৩য়
#লেখক_আরিয়ান
আম্মা তখন ডাক দিয়ে আমাকে বলল আরিয়ান আমার শরীরটা বেশি একটা ভালো লাগতেছে না তোর ডাক্তার আঙ্কেল কে একটু কল দিবি?
।
।
।
আমি আর দেরি না করে ডাক্তার আঙ্কেলকে কল দিলাম আর সাথে সাথে ডাক্তার আংকেল আমাদের বাড়িতে উপস্থিত হলেন। আমার আম্মার আবার একটু হার্টের সমস্যা আছে। মাঝেমধ্যেই প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তার আঙ্কেল দেখে আমাকে বেশি টেনশন করবেন না সব সময় হাসিখুশি থাকবেন ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
আম্মা তখনই বলে উঠলেন এখন তো আমার হাসি খুশি থাকার দিন যেহেতু আমার একটা নাতি আসছে আমাদের বাড়িতে। এই দিনটার আশা অনেক দিন থেকে করতেছিলাম। আল্লাহ আমাদের মুখের দিকে তাকিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমত আমি শেষ বয়সে আমার নাতির মুখটা দেখে যেতে পারবো।
তখন ডাক্তার আঙ্কেল বললেন এটা তো সুখের সংবাদ।
তো ভাবি আমার মিষ্টি কোথায়? তখনই আমাকে বললেন আরিয়ান তুই দ্রুত ফ্রিজ থেকে মিষ্টি নিয়ে এসে তোর ডাক্তার আঙ্কেলকে দে।
আমি আর দেরি করলাম না ডাক্তার আংকেলকে ফ্রিজ থেকে মিষ্টি এনে তাকে দিলাম।
!
!
!!!
এরই মধ্যে ভাইদের রুম থেকে অনেক ঝগড়া শোনা যাচ্ছে। ভাইয়া অনেক চিৎকার করতেছে। তখনই আমি তাদের রুমে গেলাম আর ভাইয়াকে বললাম মা অনেক অসুস্থ তুমি দ্রুত বাহিরে আসো। ভাই আমার কথা শুনে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে আম্মার কাছে চলে আসলেন।
তখনই আমাকে বলেন কি হয়েছে আম্মা তোমার?
আমার তখন বলেন খুশিতে নিজেকে আর সামলাতে পারছি না।
তখনই আমাকে বলেন কি এমন খুশি হয়েছে তোমরা সেটা বলবে তো? কেন তুই জানোস না কি হয়েছে আমাদের বাড়িতে?
তখনই ভাইয়া বললেন না তোমার মুখ থেকে শুনতে চাচ্ছি।
দেখো পা*গল ছেলের কান্ড দেখো তুই তো বাবা হতে চলেছিস আর আমি দাদি। কেউ আমাকে আর বলবেনা তোর বৌমার কেন বাচ্চা হয় না। সত্যিই আমি অনেক খুশি বাবা। এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম আমি।
ভাইয়া তখনই কিছু বলতে যাবে হয়তো বা মায়ের কথা শুনে সে আর কিছু বলল না। নিরবে মায়ের শুনে তার ভেতরটা ফেটে উঠতে লাগলো।
আর আমি আরিয়ান আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম ভাই যখন মায়ের রুমে আসলো। কারণ সত্য কথাটা যদি মা কে বলে দেয়।এই সন্তানের বাবা সে না!!!
ভাইয়া আবারো কিছু বলতে যাবে তখনই বাবা মায়ের রুমে চলে আসলো। বাবাই একই কথা বলতে লাগলো আজকের দিনটার জন্য অনেক অপেক্ষা করছিলাম।
একটা নাতির জন্য কত মানুষের কথা শুনেছি।
আল্লাহ ঠিক আমাদের কথাটা শুনেছেন।
ভাইয়া মনে মনে রেগে ফায়ার হচ্ছেন, কিন্তু প্রকাশ করছেন না আবার কিছু বলতে যাবেন তখনি?!
চলবে?