#সুগন্ধি_ফুল
#পর্ব_৯
#জান্নাত_সুলতানা
-“আবরাজ!”
বিশাল সুন্দর একটা বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নেমে ফিজা আচমকাই আবরাজ কে ডাকলো। আবরাজ সাব্বির এর হাতে চাবি দিলো গাড়ির। সাব্বির সেটা নিয়ে চলে গেলো। আবরাজ ফিজার একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো। জবাবে বলে,
-“হু বলো সুগন্ধি ফুল।”
-“এইগুলোও আপনার গাড়ি?”
ফিজা বিস্ময় নিয়ে সামনে গার্ডেনে একটা ছাউনির নিচে রাখা গাড়ি গুলোর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে। চার টা গাড়ি ওখানে। ফিজা হয়তো এগুলোর নাম ও জানে না। সব গুলো গাড়ি কালো। ফিজা প্রশ্ন টা করে পরক্ষণেই সে নিজে থমথম খেলো। এটা কোনো প্রশ্ন হলো? ফিজা নিজের উপর বিরক্ত হলো। যার সম্পূর্ণ টা কালো টাকা দিয়ে ঢাকা তার নিকট চার থেকে পাঁচ টা এক্সক্লুসিভ কালো গাড়ি থাকা কোনো অশ্চর্যের ব্যাপার ই না। আবরাজ ফিজার ভাবনার মাঝে বলে উঠলো,
-“হোয়াই নট?”
-“এমনি জিজ্ঞেস করলাম।”
ফিজা নিজে কে সামলে জবাব দেয়। আবরাজ হাঁটে। ফিজার হাতে ও টান পড়ে। সদর দরজার উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরে আবরাজ বললো,
-“ভেতরে চলো। কাম।”
চমৎকার দেখতে বাড়ি টার ভেতর প্রবেশ করে ফিজা চমকালো। নয়নে নিবদ্ধ হলো চারদিকের সৌন্দর্য দেখে। ভেতর থেকে বাহিরের সব কিছু স্পষ্ট। আবরাজ ফিজার থেকে কিছু টা দূরে দাঁড়িয়ে নিজের গায়ে থাকা লম্বা কালো কোট টা খুলতে ব্যাস্ত। ফিজার সেদিকে খেয়াল নেই। আবরাজ বুঝতে পারছে ফিজা এসব দেখে শকট। আবরাজ ফিজা কে কিছু জিজ্ঞেস করবে তার আগেই কল এলো একটা। আবরাজ ফিজার দিকে তাকিয়ে ফোন টা নিয়ে বারান্দার মতো জায়গায় টা গেলো। সময় টা একদম সকাল। বাহিরের পরিবেশ অন্ধকার। কাচের দেয়ালে এর ওপাশে তুষারপাত এর ফলে সামনের বাগান টা ঢেকে গিয়েছে। আবরাজ একবার ঘাড় বাঁকিয়ে বউয়ের দিকে চাইলো। মেয়ে টা চঞ্চল। আবার কঠিন ও। আবরাজ ভাবে এসব দেখে ফিজা কি খুশি হবে? চঞ্চলতায় মেয়ে টা তাকে নিয়ে পাগলামি করবে। কিংবা জড়িয়ে ধরবে? উঁহু কঠিন ধাঁচের মেয়ে মানুষ। করবে না এমন কিছু। হয়তো খুশি টা চেপে রাখবে নিজের মধ্যে।
আবরাজ এর ভাবনার মাঝে কল কেটে আবার কল বাজে। তখন রিসিভ করতে ওপাশ থেকে সাব্বির ব্যাস্ত শুরু বলে,
-“স্যার মিস্টার জি আপনার সাথে দেখা করতে চায়।”
-“ওকে ফাইন। বিকেলে আসছি আমি।”
-“স্যার ম্যাডাম?”
-“নিয়ে যাব সাথে করে।”
সাব্বির আর কিছু বলার আগে কল কাটে আবরাজ। এরপর ফিজার কাছে গেলো। ফিজা তখন সোফা বসে ঘুমিয়ে। আবরাজ থতমত খেলো। এতো অল্প সময়ে একটা মানুষ কিভাবে ঘুমতে পারে? তাও আবার বসে! অবশ্যই পারে। ফিজা নামের এই রমণীর দ্বারা অসম্ভব কোনো কিছু নয়। আবরাজ ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়ে। এরপর ফিজা কে আলগোছে কোলে তুলে রুমে গেলো। বাড়ি টা একতলা। দুই দিক থেকে কাচের দেয়াল আর দুই পাশে রুম।
রুমে এসে আবরাজ ফিজা কে শুইয়ে দিলো। নিজে কে কোনো রকম সামলে পোশাক পরিবর্তন করলো। তারপর কক্ষ থেকে বেরিয়ে এলো। ফোন হাতে কল করে কারোর সাথে কথা বললো। এরপর সোফায় বসে ল্যাপটপে কিছু করতে লাগলো। মিনিট পাঁচ পরে কলিং বেল বাজলো। আবরাজ উঠে গিয়ে গেইট খুলে। বাহিরে দু’জন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। বয়স বোঝার উপায় নেই। বিদেশিদের এই এক সমস্যা। তবে এতে আবরাজ এর কোনো সমস্যা নেই। বয়স যা হয় হউক। এতে তার কি! আবরাজ মহিলা গুলোর দিকে একপলক তাকিয়ে ফিরে এলো আবার। তাদের ড্রেসআপ দেখে বোঝা যাচ্ছে তারা সার্ভেন্ট। আবরাজ ইংরেজিতে ঘরঘর করে কিছু বলে রুমে চলে গেলো।
সময় টা দুপুর নয়। তবে অনেক বেলা হয়েছে। ফ্লাইট থেকে নেমে তারা সকালের নাশতা করে নিয়েছিলো। এখন আর খাবার এর তাড়া নেই। আবরাজ এসে ফিজার পেছনে শুইয়ে পড়লো। কিছু সময় এক দৃষ্টিতে বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে আনমনে জড়িয়ে ধরলো। সাথে সাথে ফিজা নড়েচড়ে উঠলো। এবং চক্ষুদ্বয় মেলে আবরাজ এর দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। ঘুমের ফলে লাল হয়ে আছে চোখ। কাঁচা ঘুম টা ভেঙে গিয়েছে বিধায় আবরাজ এর খারাপ লাগলো। ফিজা সাথে সাথে বলে উঠলো,
-“লিভ মি।”
-“জান আমার। একবার সুযোগ দিয়ে দেখো। দুঃখ তোমার আশেপাশে ঘেঁষতে পারবে না।
যতো দ্রুত চোখ মেলে তাকিয়ে ছিলো ফিজা। তার চেয়ে দিগুণ দ্রুত সময় এর মধ্যে চোখ আবার বন্ধ করে নিলো। তার আদৌও এই কথার বিপরীতে কি বলা উচিৎ মাথায় আসছে না। আচমকাই ঘুম ভেঙেছে। তারমধ্যে আবরাজ এর এরূপ কথা। মেয়ে টা কি রিয়াকশন দিবে ভেবে পাচ্ছে না। উলটো দিকে পিঠ করে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
-“আপনি আগে কত নারী ছুঁয়েছেন। আমাকে বোকা মনে হয়।”
-“কত নারীর শরীর ছুঁয়েছি। ছুঁই না।”
-“ছুঁতে কতক্ষণ? আপনার সম্পর্কে আমার ভালোই ধারণা হয়েছে।”
আবরাজ কিছু বললো না। মুখ গুঁজে ফিজার চুলের ভাঁজে। মেয়ে টার ওভার কোট এর ভেতর দিয়ে পেটে হাত রাখে। গেঞ্জির উপরে। তাও ফিজার শরীরে ঠান্ডা একটা আভাস পেলো। মোচড়ামুচড়ি করতে শুরু করলো। আবরাজ চেপে ধরে রইলো বউ কে নিজের সাথে। এরপর গম্ভীর স্বরে বলে উঠলো,
-“বিকেলে বেরুচ্ছি আমরা। এখন ঘুমুতে দাও। রাতে ফিরতে লেইট হবে।”
-“ঘুমান না আপনি। আমাকে ছাড়ুন।”
-“ডোন্ট ডিসটার্ব।”
আবরাজ শান্ত স্বরে বলে। ফিজা আশ্চর্য হয়। অদ্ভুত। ডিসটার্ব করছে তাকে অথচ ভাব এমন করছে মনে হচ্ছে সে তাকে করছে। ফিজা দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
-“আমাকে ডিসটার্ব করছেন আপনি।”
আর উত্তর আসে না। ফিজা কতক্ষণ অপেক্ষা করে বুঝতে পারে আবরাজ ঘুমিয়ে পড়েছে। তাই সে নিজেও চুপ করে শুয়ে রইলো।
————
-“নাইটক্লাব!”
গাড়িতে বসে থেকে অবাক হয়ে বলে ফিজা। আবরাজ এর সাথে রয়েছে আরো একটা গাড়ি। সেটা থেকে সাব্বির সহ আরো দু’জন গার্ড বেরিয়ে এসে আবরাজ এর থেকে দূরত্ব রেখে পেছনে দাঁড়াল। আবরাজ গাড়ি থেকে নামতে নামতে ফিজা কে উদ্দেশ্য করে বললো,
-“কাম হেয়ার।”
-“কেনো যাব এখানে আমরা?”
ফিজা গাড়িতে বসে থেকে গম্ভীর স্বরে জিজ্ঞেস করলো। সামনে বসা ড্রাইভার। জার্মানির স্থানীয় লোক। বাংলা সহ তিনি আরো কয়েকটা ভাষা জানেন। তিনি যথেষ্ট অবাক হলো। আবরাজ এর সাথে তিনি শুরু থেকে রয়েছে। আবরাজ এর সাথে এভাবে কাউ কে কথা বলতে দেখে নি। আর না আবরাজ কারোর সাথে এতো ভালো করে কথা বলে। আবরাজ ঘড়ি দেখতে দেখতে শান্ত স্বরে জানালো,
-“একটা মিটিং রয়েছে। এক ঘন্টার মধ্যে চলে যাব।”
-“আপনি যান।”
মেয়ে টা সোজা নাকচ করলো। আবরাজ না শুনতে নারাজ। বউ কে সে একা বাহিরে রেখে কোথাও যাবে না। সাথে করে নিয়ে যাবে। তাই নাছোড়বান্দা সে ঝট করে বউ কে গাড়ির ভেতর থেকে কোলে তুলে নিলো। ফিজা চমকালো। হতভম্ব হয়ে আবরাজ এর গলা জড়িয়ে ধরলো। আবরাজ সামনে হাঁটে। গার্ড তাদের পেছনে। তীব্র গানের শব্দ সাথে মানুষের হেলদোল দেখে ফিজার অন্তর কাপে। এসবে সে অভ্যস্ত নয়। আগে কখনোই এসবে যাওয়া হয় নি। তবুও ভয় প্রকাশ করলো না। আবরাজ একটা রুমে ফিজা কে রেখে দু’জন গার্ড কে পাহারায় রেখে সাব্বির কে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। ফিজা কিছু জিজ্ঞেস করা তো দূর নিজে কে ধাতস্থ করার আগেই আবরাজ বেরিয়ে গেলো। ফিজা আর কি করবে বসে রইলো সেখানে। এক সেট সোফা সহ একটা বেড রয়েছে। সুন্দর একটা গোছানো রুম। বেশ দেখতে। এখানে কি আবরাজ রোজ আসে? এলেও বা কেনো আসে? ফিজার হঠাৎ মনে পড়লো কিসের মিটিং করতে আবরাজ ক্লাবে আসে? ফিজা গলার মাফলার টা ভালো করে পেঁচিয়ে নিলো। কাঁধ ব্যাগ থেকে লাল রঙের একটা লিপস্টিক বের করে ঠোঁটে দিলো। কালো একটা চশমা বের করে পড়ে নিলো। লম্বা কালো ওভার কোটে ঢাকা শরীর। চুল গুলো উপরে ঝুঁটি বাঁধা। নিজে কে সম্পূর্ণ পরিপাটি করে ফিজা দরজায় এলো। গার্ড তাকে দেখে মাথা নিচু করে দরজায় দু’জন দু’দিক থেকে হাত বাড়ালো।
-“আই ওয়ান্ট টু মিট আবরাজ খান ইমিডিয়েটলি।”
-“ইম্পসিবল ম্যাম।”
ফিজা একজন গার্ড এর শার্ট এর পকেট থেকে কলম নিয়ে সেটা দিয়ে নিজের হাতে নিডল টা বসিয়ে দিলো। দু’জন গার্ড আকস্মিক ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। সাথে ভয়ে একে-অপরের দিকে তাকিয়ে কিছু বলার আগে ফিজা বলে উঠলো,
-“নাউ ইউর ডিসিশন। ডোন্ট টেক মি, ওর নট!”
কি করবে একে-অপরের দিকে বারকয়েক দেখাদেখি করে ফিজা কে নিয়ে যাবে বলে সমর্থন করলো। দু’জন গার্ড এর মধ্যে একজন ফিজার পেছনে আরকজন ফিজার সামনে। তারা যে রুমে ছিলো সেখান থেকে বেরিয়ে করিডর দিয়ে সামনে একটু এগুনোর পর একটা ভিআইপি রুমের সামনে এসে দাঁড়ালো। সেখানে দাঁড়িয়ে একজন গার্ড একটা রিমোট টিপতে সেকেন্ড সময় ব্যবধানে সাব্বির বেরিয়ে এলো। এবং ফিজা কে দেখে অবাক হলো। তবে তারচেয়ে ও বেশি চমকেছে ফিজার হাতে রক্ত দেখে। সাব্বির আতংকিত স্বরে বলে উঠলো,
-“ম্যাডাম! ব্লাড। হাউ ডিড ইট হ্যাপেন?”
পরপরই কঠিন দৃষ্টিতে গার্ডদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো। গার্ড দু’জন মাথা নিচু করে নিলো। ভেতর থেকে দু’জন এর কথা শোনা যাচ্ছে। একটা আবরাজ। আরেকটা মধ্যবয়স্ক লোকের হবে। ফিজা সাব্বির কে ডিঙিয়ে রুমের ভেতর চলে গেলো।
-“আমি আপনার মেয়ে কে বিয়ে করবো কোনো দিন বলি নি। আশা করি নেক্সট টাইম এসব বলে আমাকে অকোয়ার্ড ফিল করাবেন না।”
আবরাজ সোফায় বসে আছে। পায়ের উপর পা তুলে। পুরুষ টার হাতে ওয়াইন এর গ্লাস। লাল তরল পানির দিকে তাকিয়ে উপরোক্ত কথা টা বলে। সামনে বসা ধপধপে সুন্দর এক অর্ধবয়স্ক পুরুষ। চুল দাড়ি আধাপাকা। চমৎকার দেখতে পুরুষ টা গম্ভীর স্বরে বলে উঠলেন,
-“তৃণা তোমাকে চায় আবরাজ।”
-“নাউ আই এম ম্যারিড। সো আপনার মেয়ের চাওয়া টা ভিত্তিহীন।”
-“আমি তোমার মামা। ডিভোর্স দাও মেয়ে টাকে। আমার পরে তুমি রাজত্ব করবে জি গ্রুপে।”
আবরাজ হাসে। তাকে লোভ দেখাচ্ছে! এতোদিনেও মিস্টার জি আবরাজ খান কে চিনতে পারে নি ভেবে আবরাজ বাঁকা হাসলো। আবরাজ খান কে চিনা সহজ নয়। সম্ভব ও নয়। আবরাজ এর ডান পায়ের উপর থাকা বাঁ পা টা নাড়ে আবরাজ। এরপর বলে উঠলো,
-“থ্রি ইয়ার্স, থ্রি ইয়ার্স হ্যাভ নট চেঞ্জ’ড এন্ড উইল নট চেঞ্জ ইন দ্যা ফিউচার।”
ফিজা যেন এসব দেখে বাকরূদ্ধ। তৃণার বাবা এটা। আবরাজ এর মামা? কই এতোদিন তো জেনে এসছে আবরাজ এর মা ইলা বেগম একাই। উনার আর কোনো ভাইবোন নেই। তাহলে ইনি কে?
ফিজা কিছু বলার আগেই আবরাজ সোফা ছাড়লো। ত্বরিত গতিতে এসে মেয়ে টাকে কাঁধে তুলে নিলো। লম্বা লম্বা কদম ফেলে আগের কক্ষে ফিরে এলো। ফিজা এলোপাথাড়ি আবরাজ এর পিঠে কিল-ঘুষি মেরে চলছে। আবরাজ ধপাস করে ফিজা কে নরম তুলতুলে গদিতে ফেলতে ফিজা চোখ-মুখ কুঁচকে নিলো। আবরাজ নিজের গলা থেকে টাই খুলতে ব্যাস্ত হাত। ব্যাস্ত স্বরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
-“বলে ছিলাম এখানে থাকার জন্য। তারপরও কেনো ওই জানোয়ার টার সামনে ধেইধেই করে চলে গেলে?”
-“আপনার মামা লাগে উনি?”
ফিজা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করলো। একটু ও ভয় নেই মেয়ে টার। আবরাজ মেয়ে টার চোখে ভয় দেখতে চায়। অগত্যা সেই মোতাবেক এগিয়ে এলো। ফিজা পিছিয়ে যায়।
আবরাজ শার্ট এর বোতাম খুলে। বলে,
-“তোমাকে এসব জানতে হবে না।
টপিক চেঞ্জ নাউ। আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছো তুমি।”
বলেই ফিজার একদম কাছে চলে গেলো। আর হাত ধরতে গিয়ে নজরে এলো ফিজা মুঠো করে হাতে লিপস্টিক নিয়ে রেখেছে। আবরাজ অবাক হয়ে মেয়ে টার মুখের দিকে তাকালো। ফিজা বাঁকা হাসলো। হাত টা চোখের সামনে ধরে উলটে পালটে দেখতে দেখতে রসাত্মক স্বরে বলে উঠলো,
-“সরি টু সে, নিজে কে আঘাত করার মতো বোকা মেয়ে আমি নই।”
#চলবে…..
[বড়ো পর্ব। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]