তোমাকে প্রয়োজন পর্ব-০১

0
2005

তোমাকে_প্রয়োজন
আরোশি_ইসলাম_তিশা।
পর্ব :১

” ১১ বছর পর বাড়ির বড় ছেলে আদ্রিয়ান আয়মান আদ্র বাড়ি ফিরছে।

আজকে পুরো বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। তানিশা আয়মান পুরো বাড়ি তদারকি করছেন যেন কোথায়ও কিছুর খামতি না থাকে। তার একমাত্র ছেলে এতো বছর পর দেশে ফিরছে।


” আদিয়াত আয়মান একটু চিন্তিত কারণ তাঁর সঙ্গে রাগ করেই আদ্র এতো বছরেও বাড়িতে আসেনি। পড়ালেখা শেষ হওয়ার পরেও ইংল্যান্ড থেকে সেখানেই বিজনেস শুরু করেছে। সেখানে টপ ১০ জন মধ্যে একজন আদ্রিয়ান আয়মান আদ্র।

এয়ারপোর্টে চারটা গাড়ি এসে থামলো। গাড়ি থেকে কালো পোশাক পড়া দশ জন লোক বের হলো তাদের হাতে ফুলের তোড়া।

” ১২.১৫ এয়ারপোর্টে থেকে বের হয় আসে ছয় ফুট উচ্চতার লম্বা বলিষ্ঠ দেহের যুবক গায়ে তার কালো কোর্ট ফর্সা গায়ে কালো কোর্ট দারুণ লাগছে। কালো পোশাক পড়া লোকগুলো সামনে এগিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

” আপনার গাড়ি নিয়ে বাড়িতে ফিরে যান। আমি পরে আসবো। একজন লোক বলল কিন্তু স্যার

কোন কিন্তু নয় আপনার ফিরে যান। সাবই আদ্রর রা*গ সম্পর্কে জানে তাই আর কথা বাড়ালোনা চলে গেলো।
আদ্র একটা বাইক নিয়ে বের হয়ে গেলো।

” মেঘ এই মেঘ কোথায় তুই ?
জানিস তো আজকে আদ্রর ভাইয়া বাড়ি ফিরছে সবাইকে ফুপিদের বাড়িতে যেতে হবে। না আপু আমি যাবোনা তোমরা যাও। কেন যাবিনা? দেখ মেঘ ফুপি রা*গ করবে আর তুই এতো বছরে ও-ই বাড়িতে একবার যাস নি। আজকে যদি না যাস তাহলে ফুপি ক*ষ্ট পাবে প্লিজ চল না। তুই যদি না যাস তাহলে আমি যাবো না। প্লিজ চলনা।
এবার নিরবতা ভে ঙে উঠে দাঁড়াল মেঘ। কীরে এ-তো কী ভাবছিস তুই? মেঘ হঠাৎ অনুর কথায় ধ্যান ফিরলো মেঘের। ত*প্ত নিশ্বাস ফেলে বলল আচ্ছা তুই যা আমি আসছি। তারাতাড়ি আসবি কিন্তু বলে চলে গেলো অনু

এদিকে মেঘ তো বলে দিল সে যাবে কিন্তু তার মন থেকে ভ*য় যেন কাটছে না আদ্র ভাইয়া নিশ্চয়ই এতো বছরে তাকে ভুলে গেছে ঐদিনের কথা হয়তো ভুলে

গেছে এতো বছর পর নিশ্চয়ই মনে রাখবেনা। সেটা ভেবে মেঘ রেডি হতে চলল। আজ মেঘ একটা কালো থ্রি পিছ পড়েছে সাথে হালকা লিপস্টিক আর চুড়ি কানে ঝুমকো এতেই তাকে অপ্সরীর মতো লাগছে।

” চারদিকে আলো ঝলমল করছে। বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। সবাই আদ্র জন্য অপেক্ষা করছে । হঠাৎ আলো নিভে গেলো ভ*য়ে মেঘ কিছু টা ভ*রকে গেলো সে সবসময় অন্ধকারে ভ*য় পায়। একটু পর লাইট জ্বলে উঠল। আদ্র দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে তানিশা বেগম এতো বছর পর তার ছেলেকে দেখে কান্না করে দিলেন। আদিয়াত আয়মান দূরে দাড়িয়ে আছে তিনি তার ছেলের সামনে যেতে ই*ত*স্তত বোধ করছেন। কাজের লোকেরা ফুল দিয়ে আদ্রকে বরন করে নিচ্ছে চারিদিকে মেহমানরা সবাই তাকিয়ে আছে আদ্রর দিকে আর মেয়েরা তো মনে হচ্ছে যেন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। মেঘ কিছু টা দূরে দাড়িয়ে ছিল সামনে থাকা ছয় ফুট উচ্চতার বলিষ্ঠ দেহের মানুষ টা কে চিন্তে অসুবিধা হচ্ছে আগে থেকে আরো ফর্সা, ঠোঁট গোলাপি চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা হাতে ব্যান্ডের ঘড়ি দেখতে অসম্ভব সুন্দর । মেঘ না চাইতে তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । এদিকে তানিশা আয়মানের কান্না যেন থামছে না ও মম আর কতো কাঁদবে। আমার ভালো লাগছে ছাড়ো প্লিজ। আমি ক্লান্ত । হুম যা উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়। আদ্র উপরে যেতে নিয়ে থমকে যায় দূরে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে একপলক তাকিয়ে সিড়ি দিয়ে হনহন করে চলে যায়।

এদিকে সব মেহমানদের আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত আদিয়াত আয়মান। মেঘ আর অনু বসে আছে। তানিশা আয়মান মেহমানদের নিয়ে এতো ব্যস্ত ছিলেন যে মেঘ এসেছে খেয়াল করেনি মেঘ কে দেখে তানিশা এগিয়ে আসলে ফুপি কে দেখে মেঘ অনু দাড়িয়ে গেল কেমন আছে জিজ্ঞেস করল তানিশা মেঘের কপালে চুমু দিয়ে বলল এতো দিন পর তোর ফুপির কথা মনে পড়ল। মেঘ হাসি দিয়ে বলল না ফুপি তোমার কথা তো আমার সবসময় মনে পরে এজন্য বুঝি এতো বছর আসিস নি ফুপির কাছে আর ভাই জানের আজকে সময় হলো না পার্টিতে আসতে। যানতো ফুপি বাবা কতো ব্যস্ত হুম এতই ব্যস্ত যে তার একমাত্র ভাগিনা দেশে ফিরল তিনে আসতে পারলেননা আর ভাবি তো অসুস্থ তাই জোড় করলাম না। এখন কেমন আছেন তিনি হুম ফুপি ভালো । অনু মেঘ তোরা বস আমি তোদের খাবার টা নিয়ে আসি না ফুপি পরে খাবো। আচ্ছা। শুন আজকে কিন্তু তোদের ছাড়ছি না তোরা আজকে এইখানে থাকবি আমি ভাই জান কে বলে রেখেছি না ফুপি আমরা চলে যাবো মেঘ
না মেঘ এতোদিন পর এসেছিস আজকে ছাড়বো না তোদের এদিকে মেঘ কিছুটা চিন্তিত কী বলবে তার ফুপিকে! ফ্রেশ হয়ে নিচে নামছে আদ্র কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আদিয়াত আয়মান। মেঘের ঘায়ে অনু পানি ফেলে দিয়েছে তাই ওয়াশ রুমে যাচ্ছে মেঘ কিন্তু পা পিছলে পরে যেতে নিল আদ্র এসে দরে নিল বলিষ্ঠ দেহের মানুষ টা তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেঘ ও তার দিকে তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে হঠাৎ কিছু একটা পড়ার শব্দ পেয়ে হুশ আসলো আদ্রর আচমকা মেঘ কে ছেড়ে দিল মেঘ নিচে পরে গিয়ে কিছু টা ব্য*থা পেল। তানিশা আয়মান এগিয়ে এসে মেঘ কে দরে উঠালেন ও মেঘ সাবধানে হাঁটবি তো দেখছিস কীভাবে পরে গেলি আর আদ্র তুই ওকে ধরে আবার ফেল কেন দিলি। মম এই মেয়েটা কে? ও তোর ছোট মামার মেয়ে মেঘ ভুলে গেছিশ।ছোটবেলায় তোরা একসাথে কতো ঝ*গ*ড়া করতি মম প্লিজ তখন কার সাথে কী করেছি কিছু মনে নেই আমার আর এই মেয়ে তুমি কী ঠিক মতো হাটেতে পারোনা। মেঘ রা*গে গ*জ*গজ করছে তাকে ধরতেই বা বলল কে ছাড়তে বা বলল কে ছেড়েই যদি দিবি তাহলে ধরতে কেন গেলো নিচে পরে তার কমড় শেষ। বাঁ*দর, হনুমান মনে মনে বিড়বিড় করে বলছে মেঘ এই মেয়ে কী বলছি শুনছো না হঠাৎ আদ্রর কথায় হুশ ফিরে মেঘের মন মনে আর কয়কটা ব*কা দেয় মেঘ

চলবে……