বসরাই গোলাপের ঝাড় পর্ব-০৯

0
420

#বসরাই_গোলাপের_ঝাড়
#ফারহানা_কবীর_মানাল

৯.
ব্যস্ততার পথ শেষ হতে চায় না। কথাটা আনিসের বিশ্বাস হতো না। আজ সে এই কথা বিশ্বাস করল। তেঁতো গলায় বলল, “জোরে চালাতে বলছি না? কথা বললে গায়ে লাগে নাকি?”

রিকশাওয়ালা মামা আর একটু জোরে চালাতে লাগলেন। রিকশার হুড খোলা থাকার জন্য ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগছে। বাতাসের ঠান্ডা আনিসের শরীর শীতল রাখতে পারছে না তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। সে বুঝতে পারছে এটা সম্ভব নয়। অযথা দুশ্চিন্তা করছে। নাইমা কখনও এমন ঝামেলায় জড়াবে না। তাছাড়া জিনিসগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ না। তবুও সে আশঙ্কা দূর করতে পারল না। কয়েকবার শরিফা বেগমের নম্বরে কল দিলো। তিনি কল রিসিভ করছেন না। আনিস বিরক্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

নাইমা ব্যস্ততার সাথে ব্যাগ গোছাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই বাড়ি থেকে চলে যেতে হবে। কনক ভীষণ পেট পাতলা মানুষ। কথা চেপে রাখতে পারে না। এতক্ষণে নিশ্চয়ই দুলাভাইকে বলে দিয়েছে – টাকাগুলো সে দিয়েছে। আনিস খুব ঘুঘু লোক। বলার সাথে সাথেই ধরে ফেলবে। এ বাড়িতে আসার পর থেকে নাইমা তাকে অনুসরণ করছে। পরপর দু’দিন ধরাও পড়েছে। তাকে স’ন্দে’হে’র বাইরে রাখার কোন সুযোগ নেই। নাইমা শরিফা বেগমের ঘরে চলে গেল। তার হাতে টাকা-পয়সা নেই। যা ছিল সব দিয়ে দিয়েছে। মা’য়ের ব্যাগ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল। কোথায় যাবে এখনও ঠিক করেনি। তবে যেতে হবে। সাথে করে পুঁটুলিটাও নিয়ে এসেছে। পথে-ঘাটে ধরা পড়লে সমস্যা। সে যথাসম্ভব শান্ত এবং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করলো। অটোরিকশার কাছে গিয়ে ঠিকানা বলে গাড়িতে উঠে পড়লো।

আনিস যখন রিকশা থেকে নামলো ততক্ষণে শরিফা বেগম ফিরে এসেছেন। তিনি জামাইকে দেখে বিস্মিত গলায় বললেন, “একি! তুমি একা কেন? নানা ভাই আর কনক কোথায়?”

আনিস পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালের ঘাম মুছল। সরু গলায় বলল, “মার্কেটে রয়ে গেছে আম্মা। আপনার মেয়ের কোন কিছুই পছন্দ হচ্ছে না।”

“তা, তুমি ওদের রেখে চলে এলে যে? শরীর খারাপ লাগছে নাকি?”

“জ্বি আম্মা, শরীরের ভেতর ভালো লাগছে না। মাথা ধরে আছে।”

“আহা রে, ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ো বাবা। আমি চা করে আনছি। কড়া লিকারের চা পান করলে মাথা ব্যাথা কমে যাবে।”

“ব্যস্ত হবার দরকার নেই আম্মা। একটু ঘুমুতে পারলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আম্মা, নাইমা কোথায়?”

“নাইমা তো এই সময়ে পড়তে যায়। মাস্টার ঠিক করে দিয়েছি, অংক, ইংরেজি পড়াবে।”

“অনেকদিন এসেছি। কখনও খেয়াল করা হয়নি।”

“ওই মাস্টারের কিসব ঝামেলা ছিল। এতদিন পড়ায়নি। আমাকে দেখেই তো বলে দিলো- নাইমা যেন আজ থেকে পড়তে যায়।”

“আপনাকে দেখে বলে দিলো মানে?”

“কি আর বলব বাবা! মেয়েটা যা হয়েছে! দুপুরের রান্না বসিয়েছি হঠাৎ আমার কাছে এসে বলে- সবুজের মা কাকি তোমাকে ডাকছে। খুব জরুরি কথা। এক্ষুণি যেতে বলেছে। আমি ভাবলাম কি না কি হলো। রান্নাবান্না ফেলে রেখে সেই বাড়িতে ছুটলাম। গিয়ে যা শুনলাম!”

“কি শুনেছেন আম্মা?”

“সবুজের মা তিন দিন আগে একবার আমার কথা বলেছিল। কেমন কি আছি তাই জিজ্ঞেস করেছে। নাইমার সাথে আজ তার দেখাই হয়নি। শুধু শুধু অতটা পথ হেঁটে গেলাম। রান্নাবান্না সব বাকি।”

আনিস ভ্রু কুঁচকে ফেললো। শাশুড়ির কথাবার্তা ভালো ঠেকছে না। এই মহিলাও কনকের মতো বেশি কথা বলে। আনিস দু-হাত দিয়ে নিজের কপাল চেপে ধরলো। নরম গলায় বলল, “আমি একটু বিশ্রাম নিতে চাই।”

“হ্যাঁ বাবা যাও। তুমি শুয়ে পড়ো। আমি চা করে দিয়ে আসছি।”

আনিস ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিলো। তার মেজাজ অসম্ভব খারাপ হয়ে আছে। যেমন ভাবছে তা সত্যি হলে নাইমাকে মে’রে ফেলা ছাড়া অন্য উপায় থাকবে না। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনেক কাজ করতে হয় যা অপ্রিয়। কিছু করার নেই। নিজেকে বাঁচাতেই করতে হয়। শরিফা বেগম দ্রুত চায়ের পানি বসালেন। তাতে সামান্য আদা কুঁ’চি দিলেন। দু-কাপ চা বানাবেন। হেঁটে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। চা পান করে গোসল সেরে ফেলবেন। ততক্ষণে ভাতের চাল ফুটে যাবে। শীতের বেলা, জোহরের আজান দিলেই শেষ হয়ে যায়।

শরিফা বেগম দরজা ঠেলে ঘরের ভেতর ঢুকলেন। টেবিলের ওপর চায়ের কাপ রাখতে রাখতে বললেন, “আর কিছু লাগলে বলো। দিয়ে যাই। গোসলে যাব।”

আনিস মাথা দোলালো। তার কিছু লাগবে না। জিনিসগুলো খুঁজে দেখা জরুরি। শরিফা বেগম বাথরুমে ঢুকতেই আনিস বাইরে থেকে ছিটকিনি আটকে দিলো। ব্যস্ত পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাড়ির গেট আটকালো।

শেষ পর্যন্ত তার সন্দেহই ঠিক! পুঁটুলিটা এখানে নেই। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটা নাইমার কাজ। সে ছাড়া আর কেউই এখানে আসতে যায়নি। আনিস ভালোমতো খেয়াল করল- গোলাপের কাঁ’টায় হলুদ সুতা আটকে আছে। কাল রাতে দেখছিল- নাইমা হলুদ রঙের ওড়না পরে আছে। তার চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। শান্ত পায়ে হেঁটে গিয়ে বাথরুমের দরজা খুলে নিজের ঘরে চলে গেল।

আনিসের নার্ভ শক্ত। চরম বিপদের মুহুর্তে নিজেকে শান্ত রাখতে পারে। সে বিছানায় পিঠ এলিয়ে দিলো। এখন উত্তেজিত হবার সময় নয়। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শরিফা বেগম গোসল সেরে বের হলে নাইমার মাস্টারের ঠিকানা জানতে হবে। নিশ্চিত না হয়ে যে কোন পদক্ষেপ নেওয়া বোকামির কাজ।

শরিফা বেগম সময় নিয়ে গোসল করলেন। মোড়ক-খোলা নতুন সাবান দিয়ে গা পরিষ্কার করলেন। তিনি বের হতেই আনিস বলল, “আম্মা আপনার হাতে জাদু আছে। এক কাপ চায়ে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।”

শরিফা বেগম হাসলেন। বড় জামাই তার রান্না খুব প্রশংসা করেন। যদি ছোট মেয়েটার জন্যও এমন একজন জামাই পেতেন। তবে তিনি নিশ্চিত হতে পারতেন। আনিস গলার স্বরে মধু ঢেলে বলল, “নাইমা কোথায় পড়তে যায় আম্মা? আজকালকার দিনের কথা বলা যায় না।”

“এইতো মোড়ের মাথায়। সাদা বাড়ির ভেতর। একটা রুম নিয়ে কোচিং করায়।”

আনিস কয়েক মিনিট খুচরা আলাপ করল। তারপর বেরিয়ে গেল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারল- নাইমা পড়তে যায়নি।

প্রায় সন্ধ্যা নেমে গেছে। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে। কনক সন্ধ্যার আগ-মুহুর্তে বাড়ির ভেতর ঢুকল। শরিফা বেগম বারান্দায় বসে আছেন। তার চোখ-মুখ শুকনো। কনক বলল, “কি হয়েছে মা? তোমার এমন চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?”

“নাইমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন মাস্টার ঠিক করে দিয়েছিলাম, ভেবেছি পড়তে গেছে। কিন্তু এখনও বাড়ি ফেরেনি।”

“মাস্টারের ওখানে খোঁজ নাওনি?”

“জামাই গিয়েছিল, সেখানে পড়তে যায়নি। তোর আব্বাকে কল দিচ্ছি ধরছে না। হাবিবের মোবাইল বন্ধ। কি করব এখন?”

“চিন্তা করো না মা। ফিরে আসবে।”

মহিউদ্দিন সাহেব বাড়ির ভেতর ঢুকছিলেন। দ্রুত পায়ে হেঁটে এসে বললেন, “কি হয়েছে?”

“নাইমাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ভেবেছি পড়তে গিয়েছে, এখনও ফেরেনি।”

মহিউদ্দিন সাহেব ভাবলেশহীন গলায় বললেন, “নাইমা নববীদের বাড়িতে গিয়েছে। আমার থেকে অনুমতি নিয়েই গিয়েছে। ভেবেছি – তুমিও জানো।”

শরিফা বেগম হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। হাত মুখ ধুয়ে অজু করতে গেলেন। কনক বলল, “এদের ঢং দেখলে গা-পিত্তি জ্ব’লে যায়। রোহানের আব্বু, ঘরে চলো। তোমার জন্য টি-শার্ট কিনেছি। পছন্দ হয় কি-না দেখবে এসো।”

আনিস শান্ত পায়ে ঘরে ঢুকে গেল। এদের কিছু বুঝতে দিতে চলবে না।

নাইমা শেষ বিকেলে নববীদের বাড়িতে ঢুকছে। নববী তখন চুলার পাশে বসে আচার খাচ্ছিল। সে নাইমাকে দেখে চমকে উঠল। বিস্মিত গলায় বলল, “নাইমা তুমি এখানে? একা এসেছ?”

“হ্যাঁ ভাবী, একাই এসেছি। তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল। তাই চলে এলাম। বাবাকে বলে এসেছি। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।”

নববী উঠে এসে নাইমাকে ঘরে নিয়ে গেল। হাবিব বলল, “তুই একা এতদূর! বড় হয়ে গেছিস।”

নাইমা কোমল হাসল। ব্যাগটা সাবধানে সরিয়ে রেখে হাত-মুখ ধুয়ে নিলো। খিদেয় তার পেট চোঁ-চোঁ করছে। নববী বলল, “নাইমা দুপুরে খেয়ে এসেছ?”

“না ভাবী। না খেয়েই চলে এসেছি। দূরের পথে দেরি করতে চাইনি।”

“এতক্ষণ বলোনি কেন? তাড়াতাড়ি এসো। আমি ভাত বাড়ছি।”

খাবারের আয়োজন ভালো। হাঁসের গোশত আর সেমাই পিঠা, সাথে নারকেল, চিনি। নাইমা বেশ আয়েশ করে খাওয়া শেষ করল। নববী রান্নাঘরে ব্যস্ত হয়ে আছে। নাইমার আসা উপলক্ষে নতুন করে মুরগি জ’বা’ই করা হয়েছে। ফ্রিজ থেকে চিংড়ি মাছ বের করেছে। নববীর মা বলল, “তুমি এসে খুব ভালো করেছ মা। আমরা খুব খুশি হয়েছি।”

“একা আসতে ভয় লাগত। ভয় কে’টে গেছে। এরপর যখন মন চাইবে তখনই চলে আসবো।”

“নিশ্চয়ই আসবে মা। নিশ্চয়ই আসবে।”

নাইমা হাসলো। সরল বালিকার সিন্ধ কোমল হাসি। দেখতে ভালো লাগে। রাতের খাবারের সময়টা বেশ আনন্দ ফুর্তি করে কাটল। নববী বাবা বললেন, “মেহমান হচ্ছে বাড়ির রহমত। আসলেই ভালো খাবার-দাবার।”

হাবিব বলল, “এমনিতে আম্মা কিপ্টেমি করেন নাকি?”

“অবশ্যই করে। তোমার আম্মার দু-পদের তরকারি রান্না করতে কষ্ট হয়।”

সবাই শব্দ করে হেসে উঠল। নববীও হাসছে। বহুদিন বাদে সে প্রাণ খুলে হাসলো। হাবিব সেদিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। এই মুখে হাসি দেখতে ভালো লাগে। রাতে খাবার পর নাইমা নববীর ঘরে গেল। হাবিব তখন বিছানায় বসে আছে। নাইমা বলল, “তোমাদের সাথে কিছু কথা আছে। কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয়।”

“কি এমন কথা?”

নাইমা দরজা আটকে দিয়ে বিছানায় বসল। ওড়নার নিচ থেকে পুঁটুলিটা বের করে বলল, “এটা বসরাই গোপালের ঝাড়ের ভেতর পেয়েছি। মাটির নিচে লুকানো ছিল। যতদূর মনে হয় দুলাভাই এটা লুকিয়ে রেখেছিলেন।”

হাবিব বিস্মিত গলায় বলল, “তুই কিভাবে জানলি? কে বলেছে?”

“কেউ বলেনি ভাইয়া। জানোই তো- আমি ভোররাতে উঠে পড়াশোনা করি। সেদিনও উঠেছিলাম। দেখলাম- আমাদের বাড়ির সামনে একটা ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। দুলাভাই এক লোকের সাথে কথা বলেছে। লোকটা আমায় দেখেই ট্রাক নিয়ে চলে গেল। দুলাভাই বাড়ির ভেতর চলে এলেন। গতকাল রাতেও দেখেছি তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে গোপালের ঝাড়ের দিকে যাচ্ছেন। আব্বা এসে পড়ায় আমাকে ফিরে আসতে হয়েছিল।”

“এতে কি প্রমাণ হয়?”

“জানি না ভাইয়া। এটা খুলে দেখলে বোঝা যাবে। তাছাড়া মিলাদের দিনও খেয়াল করেছি উনি গোলাপের ঝাড়ের কাছে বসে ছিলেন। বাচ্চারা গেলে রাগারাগি করছিলেন।”

হাবিব পুঁটুলি খুলল। তারা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। নববী বলল, “এগুলো কি সব সোনার আংটি?”

“শুধু সোনার আংটি নয়। কিছু দামী পাথরও আছে। উজ্জ্বল কাচগুলোকে দেখে হীরক মনে হচ্ছে।”

নববী বিস্মিত গলায় বলল,“দুলাভাই এসব লুকিয়ে রাখবে কেন?”

হাবিব বলল, “মনে হচ্ছে এগুলো চোরাই মাল। অথবা অবৈধ। সেজন্য লুকিয়ে রেখেছে।”

“ভাইয়া, আমরা এখন কি করব?”

“খুব ভালো কাজ করেছিস নাইমা। আপাতত দু-একদিন চুপচাপ থাকব। লোকটাকে হাতে নাতে ধরতে চাই। সরাসরি পুলিশকে জানালে স্বীকার করতে চাইবে না। আমার এক বন্ধু পুলিশে চাকরি করে। ওকে বলব।”

“যা করার সাবধানে করতে হবে। দুলাভাই বুঝে যাবেন এটা আমাদের বাড়ির কারোর কাজ। তিনি নাইমাকে সন্দেহ করতে পারেন।”

“কিছুদিনের জন্য নাইমা এখানে থাকবে। আমি বাড়িতে ফিরে যাব। পরিস্থিতি জানতে চাই।”

তারা তিনজন মিলে দীর্ঘ সময় ধরে নানান পরিকল্পনা করল। নববীর ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। এ আবার কোন নতুন বিপদ!

মহিউদ্দিন সাহেব খাবার সময় আংটিটা বের করলেন। বললেন, “সোহেলের ক’ব’রের কাছে কুড়িয়ে পেয়েছি। তোমাদের কারো?”

আনিস সরু চোখে তাকালো। নরম গলায় বলল, “আব্বা, এটা আমার এক বন্ধুর। আমার কাছে রাখতে দিয়েছিল।”

“এভাবেই আমানতের জিনিস রাখো? আমি বাদে অন্য কেউ পেলে তখন কি করতে?”

আনিস মাথা নিচু করে ফেলল। রাগে তার শরীর জ্ব’লে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে এদের গোটা পরিবারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে।

চলবে