আয়ুর প্রহর পর্ব-০৭

0
2004

#আয়ুর_প্রহর
#পর্ব_০৭
#আয়িশা_নুর_তৃষ্ণা
____
ওপাশ থেকে আওয়াজ এলো,
“দরজা খুলো”!

আয়ুশের গলার আওয়াজ চিনতে পেরে দরজা খুললো প্রহর।দুদিনেই এই রাগচটা গলার আওয়াজ তার বেশ চেনা হয়ে গিয়েছে।দরজা খুলতেই আয়ুশ ভিতরে প্রবেশ করলো।প্রহরকে বললো,
–“এক গ্লাস পানি দাও তো প্রহর!”

আয়ুশের কথা শুনে প্রহর তড়িৎ গতিতে গ্লাসভর্তি পানি নিয়ে আয়ুশের সামনে ধরলো।আয়ুশ একটা চেয়ারে বসে তিন নিঃশ্বাসে পুরোটা পানি শেষ করলো।

আয়ুশের পানি খাওয়া শেষ হলে প্রহরের চোখ পড়লো আয়ুশের হাতে থাকা ব্যাগের দিকে।আয়ুশ সেটা লক্ষ্য করতেই বললো,
–“কি আছে দেখবে?”

আয়ুশের প্রশ্ন শুনে প্রহর এতোক্ষণে বুঝতে পারলো আয়ুশ তাকে তুমি করে বলছে।আয়ুশ প্রহরের আশ্চর্যান্বিত চক্ষুর দিকে তাকিয়ে তা বুঝতে পেরে প্রহরকে বললো,

–“আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই প্রহর!তুমি আমার ছোট হবে,তাই তোমাকে তুমি বলেই ডাকছি!”

আয়ুশের কথা বুঝতে পেরে প্রহর মাথা নাড়ালো। কিন্তু তাও ওর মনে খুশি যেন উথালপাথাল করছে।আয়ুশ ওকে তুমি করে ডেকেছে ভাবতেই ভালো লাগছে। আচ্ছা! শুধুমাত্র কারো মুখ থেকে তুমি ডাক শুনলেই কি এত্তো ভালো লাগে!নাকি প্রহরেরই এমন হচ্ছে শুধু!কি জানি!প্রহর শুধু জানে এই মানুষটার মুখ থেকে তুমি ডাক শুনে তার ভাল্লাগছে!

কিন্তু তার ভাবনাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না।আয়ুশ তাকে আবার ডাকলো,বললো,
–“ব্যাগে কি আছে দেখবে নাকি প্রহর?”

প্রহর কৌতুহলী হয়ে হ্যাঁ বলা মাত্রই আয়ুশ ব্যাগটা খুলল।সে ব্যাগের ভিতর থেকে বের করলো,
১ কেজি আলু,১ কেজি টমেটো,১ কেজি কালো বেগুন,১ কেজি করে রসুন,পেঁয়াজ,আদা,৫ কেজির মতো চাল,৩ কেজি ডাল,চারটা ছোট ছোট পাত্রে মরিচ গুঁড়ো হলুদ গুঁড়ো,জিরা গুঁড়ো,ধনিয়া গুঁড়ো,২ কেজি লবণ,৫ কেজি সয়াবিন তেল,দুই কেজি সরিষার তেল।সাথে দু হালি ডিম ছিল।
আয়ুশ তা খুব সন্তর্পণে ব্যাগ থেকে নামালো।

একসাথে এতগুলো বাজার দেখে প্রহর বুঝতে পারলো,সত্যি সত্যিই তার সংসার শুরু হতে যাচ্ছে।এখন থেকে তাকেও পাক্কা গৃহিণী হতে হবে।

সবকিছু খুলে রাখার পর আয়ুশ সব একে একে কিচেনে নিয়ে গেল।প্রহর ও তার সাথে হাত মিলিয়ে সব ঠিকঠাক জায়গায় রাখতে সাহায্য করলো।

সব গুছিয়ে রাখার পর প্রহর আয়ুশ কে বললো,
–“একটা কথা জিজ্ঞেস করি?”
–“করো”!
–“আপনি সারারাত কোথায় ছিলেন?”

আয়ুশ প্রহরের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।আয়ুশের চাহনি দেখে প্রহর ভাবলো আয়ুশ হয়তো তাকে আবার কথা শুনাবে। কিন্তু তার কিছুই হলো না।আয়ুশ ভ্রু কুঁচকে রেখেই বললো,
–“বাব্বাহ,এখনি পাকা গিন্নিগিরি শুরু করা দিয়েছো।বাকি দিন তো পরে আছে।”

প্রহর থতমত খেয়ে বললো,“না মানে,একটা মানুষ সারারাত বাড়ি ফেরেনি, চিন্তা হওয়ারই কথা।আমারও খুব চিন্তা হচ্ছিল”!

আয়ুশ প্রহরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো,তারপর বললো,
“জানো,কতো বছর পরে আমার জন্য কেউ চিন্তা করলো।তুমি সবসময় এরকমই চিন্তা করো আমার জন্য!কেমন?”

প্রহর মাথা কাত করে ”আচ্ছা” বললো। কিন্তু সে এখনো ভেবে যাচ্ছে,আয়ুশ রাতে কোথায় ছিল।

একটু বাদেই আয়ুশ তার কাপড় চোপড় নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেল।আয়ুশ ঢোকার ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজ হলো।প্রহর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে কি যেন ভাবছিল।আওয়াজ হতেই সে মাথা উঁচু করে ওয়াশরুমের দিকে তাকাতেই দেখলো আয়ুশ ওয়াশরুমের দরজায় উঁকি দিচ্ছে।প্রহর কিছু জিজ্ঞেস করতেই যাবে তখনি আয়ুশ বলে উঠলো,

“চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই ম্যাডাম।আমি একটা কাজে গিয়েছিলাম।আমার কোনো মেয়েবন্ধু নেই।”
বলেই দরজা বন্ধ করে দিল।আয়ুশের কথা শুনে প্রহর খানিকটা থতমত খেলো।লোকটা কিভাবে বুঝলো,আমি এই কথাটাই ভাবছি।
পরক্ষণেই নিজের ভাবনার জন্য নিজেকে ধিক্কার দিতে গিয়েই প্রহর ভাবলো,এমন কিছু ভাবাটাও অমুলক নয়!

এদিকে আয়ুশ একবারে গোসল দিয়ে তবেই বের হলো।

ওদিকে প্রহর ততক্ষণে তাদের কিনে আনা স্টোভে ভাত বসিয়ে দিয়েছে।একসময় অনেকদিন মেসে থেকেছিল প্রহর।মেসে থাকাকালীন সময়ে বুয়া না রেখে তারা কয়েকজন রুমমেট মিলে নিজেদের মধ্যেই কাজ ভাগাভাগি করে নিতো।ওইসময়ই প্রহরের অনেক কাজ শিখা হয়ে গিয়েছে।

আয়ুশ গোসল শেষে রুমে এসে দেখলো প্রহর নেই। প্রহরকে খুঁজতে খুঁজতে রান্নাঘরের দিকে গিয়ে দেখলো প্রহর রান্নাঘরেই আছে।প্রহর স্টোভে ভাত বসিয়েছে দেখে আয়ুশ প্রহরকে হালকা করে ধমক দিয়ে বললো,
–“তোমায় রান্নাঘরে এসে রাঁধুনী সাজতে কে বলেছে শুনি!”

–“কেউ বলেনি আমায়।সকাল থেকে পেটে কিছু পড়েনি।আপনিও হয়তো কিছু খাননি।তো খেতে হবে না?”
–“তো এইজন্য রান্না করতে হবে?বাইরে থেকে এনে খেতে পারতাম।”

আয়ুশের কথা শুনে প্রহর বললো,
–“বাহিরের খাবার প্রতিদিন খেলে পেট খারাপ হবে।আমি বাবা পেট খারাপ নিয়ে বসে থাকতে পারবো না।বারবার ওয়াশরুমে আসা যাওয়া করতে পারবো না।তবে আপনার যদি বাইরের খাবার খেয়ে বারবার ওয়াশরুম ভ্রমণে যেতে ইচ্ছে হয়,আপনি বাইরের খাবার খেতে পারেন।”

প্রহরের কথা শুনে আয়ুশ ভ্রু নাচাতে নাচাতে বললো,
–“তোমার এই ওয়াশরুম ভ্রমণে আমি একা যাবো কেন?গেলে তোমাকেও সাথে নিয়ে যাবো।”

–“হুহ ,আপনার সাথে ওই খাইচ্চইরা ওয়াশরুম ভ্রমণে যেতে আমার বয়েই গেছে”! মুখ ভেঙচিয়ে বললো প্রহর।

প্রহরের কথা শুনে আয়ুশ কপাল কুঁচকে বললো,
–“হোয়াট!রাবিশ ওম্যান!এখন এইমাত্র কি ল্যাংগুয়েজ ইউজ করলে তুমি?হোয়াট ইজ খাইচ্চইরা?”

আয়ুশের প্রথম কথা শুনে মন খারাপ করলে শেষোক্ত কথাটা শুনে প্রহর হেসে ফেললো।আয়ুশ প্রহরের হাসি দেখে আবার বললো,
–“রাবিশ!কোনো হাসির কথা বলেছি আমি?”
–“এই মিস্টার !আপনি এতো রাবিশ রাবিশ করেন কেন? অবশ্য তাতে আমার ভালোই লাগে।রাবরি পায়েসের মতো লাগে।”

প্রহর এভাবে কথা বলছে দেখে আয়ুশ অবাক হয়ে গেল।সে তো মেয়েটাকে শান্ত ভেবেছিল। কিন্তু এখন তো হিতে বিপরীত বেরোচ্ছে।তবে মেয়েটা এইভাবে নিজের আনন্দ খুঁজে নিচ্ছে,হাসছে তা দেখতে মন্দ লাগছে না আয়ুশের।

আয়ুশ প্রহর কে রান্নাঘর থেকে সরে যেতে বললে,প্রহর মানা করে দিল।বললো, রান্নাবান্না মেয়েদের কাজ। কিন্তু আয়ুশ ও ছাড় দেয়ার পাত্র নয়।সে খুব ভালো রান্নাবান্না পারে‌।কোনো কাজই ছোট নয়,এই শিক্ষাটা সে ছোটকালেই পেয়েছিল। এইজন্যই সব শিখে রেখেছে সে।তাই প্রহর কে বলছে রান্নাঘর থেকে চলে যেতে। কিন্তু প্রহর যেতেই চাইছে না।তাই আয়ুশ প্রহরের পিছনে দাঁড়িয়ে রইলো।

হঠাৎ কিছু একটা ভেবে আয়ুশ প্রহরকে জিজ্ঞেস করল,“হেই,তোমার বয়স কত ?”

প্রহর স্টোভের দিক থেকে মাথা ঘুরিয়ে পিছনে তাকিয়ে বললো,
–“বয়স জানতে চাইছেন হঠাৎ?বিয়ের সময় দেখেননি?”
–“না!তখন এতোকিছু খেয়াল করিনি।এখন বলো,তোমার বয়স কত?”

প্রহর মুখ ফিরিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই!জানেন না?”
–“জানি, কিন্তু তুমি তোমারটা বলো।”
–“আমিও তো মেয়েই।আমি কেন বলবো?”
–“আমি কি একবারো বলেছি প্রহর,যে তুমি ছেলে?বয়সটা তো বলো!অন্য কেউ তো জিজ্ঞেস করছে না আর।আমিই তো জানতে চাচ্ছি!”

প্রহর অন্যদিকে তাকিয়েই আয়ুশ কে বললো,
–“আপনাকে বলবো কেন?আপনি কে?”
প্রহরের কথা শুনে আয়ুশ প্রহরের কাঁধ ধরে নিজের দিকে প্রহরকে ঘুরিয়ে একটা আঙুল দিয়ে প্রহরের নাকের ডগা আলতো করে ছুঁয়ে বললো,
–“আমাকে বলবে,কারণ আমি তোমার স্বামী।”

আয়ুশের কথা শুনে প্রহর খানিকটা লাজুক হয়ে বললো,
–“আমার বয়স ১৮ বছর”!

মুহুর্তেই আয়ুশের কন্ঠস্বর পাল্টে গেল।সে প্রহরকে ধমক দিয়ে বলে উঠলো,
–“বাচ্চা মেয়ে!এতটুকু বয়সে এসেছে রান্নাবান্না করতে।যাও পড়তে বসো গিয়ে। এক্ষুনি যাও।”

প্রহর আয়ুশের সামনে একটু এগিয়ে বললো,
–“আমাকে আপনার কোন দিক দিয়ে বাচ্চা মনে হয়।চলনে নাকি বলনে? বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু।আর আমি শিশুর খাতা পেরিয়ে এসেছি।এখন আমি….!
–“কি তুমি!”
–“কিছুনা !এখন আপনি যাবেন নাকি আমি চামচ গরম করে আপনার পিঠে লাগাবো!”

“আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি”।বলেই রুমে চলে গেল আয়ুশ।অন্য কেউ হলে এতোক্ষণে তার মেজাজ তুঙ্গে উঠে যেতো। কিন্তু আশ্চর্য এই মেয়েটার সাথে তার রুড ব্যাবহার করতে মন চাচ্ছে না।এইযে এখন প্রহর তাকে রান্নাঘর থেকে ফিরিয়ে দিলো,তার মোটেও খারাপ লাগছে না।মেয়েটার সামনে পরাজয় স্বীকার করতে তার কেমন যেন ভালোই লাগছে।

এই সে লাজকন্যা,এই ভীতু,এই উড়নচণ্ডী,এই আবার পাক্কা গিন্নি,এক মেয়ের কত রুপ!একেবারে পাঁচমিশালী মেয়েটা! ভাবতে ভাবতে মুচকি হাসতে লাগলো আয়ুশ।পরক্ষণে তার সম্ভিত ফিরতেই অবাক হলো আয়ুশ। আশ্চর্য!এই মেয়েটার কথা এতো ভাবছে কেন সে?

আর অন্যদিকে প্রহর ভাবছে,

“লোকটা এমন কেন?সবসময় হাসিমুখে থাকলে কি এমন হয়।একবার কি সুন্দর করে হেসে কথা বলে,কি মিষ্টি করে কথা বলে।পরক্ষণেই রুপ পাল্টিয়ে ধমক দিয়ে ফেলে। বহুরূপী একটা!না না! বহুরূপী শব্দটা তো কমন।উনি আমার রুপপল্টিবাজ একটা”!

১ ঘন্টা পর প্রহরের রান্নাবান্না শেষ হলো।আয়ুশ যা এনেছে তা দিয়েই হালকা পাতলা কিছু রান্না করেছে।
ধোয়া উঠা গরম ভাত,ডিম দিয়ে আলুভাজি,ফুলকপি,বেগুন আর টমেটো দিয়ে সবজি,পেঁয়াজ-মরিচ আর মশলা দিয়ে ডিম ভাজা,ডালের তরতরি।মোদ্দাকথা আয়ুশের আনা বাজার দিয়ে যা যা পারে,সব রেঁধেছে প্রহর।
খুব যত্ন দিয়ে রেঁধেছে সে।

দু’জনে একসাথেই খেতে বসলো।অবশ্য প্রহর ভেবেছিল আয়ুশকে খাওয়া শেষ হওয়ার পর নিজে খাবে। কিন্তু আয়ুশই বলেছে একসাথে খেয়ে ফেলতে।
খাওয়া শেষে আয়ুশ প্রহরের রান্নার প্রশংসা করলো।ভালোই রেঁধেছে মেয়েটা।একটু প্রশংসা করলে ক্ষতি কি!

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দুপুরে কি রান্না করবে চিন্তা করছিল তারা। তক্ষুণি বাসার কলিংবেল বাজলো।কে যেন এসেছে।আয়ুশ প্রহর দু জনে একসাথেই উঠতে গিয়েছিল। কিন্তু আয়ুশ প্রহরকে ইশারায় বসতে বলে নিজেই উঠে গেল।
“বাড়িওয়ালা এসেছিল।দুপুরে আর রাতে উনাদের বাসায় খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে গেলো।ভালোই হয়েছে,দুইবেলার রান্নাবান্নার ঝামেলা চুকে গেল” দরজা লাগিয়ে ভিতরে আসতে আসতে বলতে লাগলো আয়ুশ!

আয়ুশের কথা শুনে প্রহর দাঁড়িয়ে বললো,
–“হঠাৎ!তাও দুইবেলা দাওয়াত দিলেন কেন?”
–“উনার মেয়েকে আজ পাকা দেখা দেখতে আসবে। সব ঠিকঠাক থাকলে পরশু এংগেজমেন্ট।তাই বললেন আর কি!উনার কোনো ছেলে নেই। ফ্রি থাকলে আগামীকাল আমাকে যেতে বললেন।”

“ওহ আচ্ছা” বলে প্রহর ফের সোফায় বসে পড়লো।
আয়ুশ বললো,
“তো দুপুর হতে তো বাকি আছে।আমরা যোহরের পর যাবো।আমি ঘুমাবো একটু। কিন্তু তুমি এতোক্ষণ কি করবে ?ঘুমাবে”
–“দিনের বেলা আমার ঘুম পায় না।কখনোই ঘুমাতে পারি না।যা ঘুম হবে রাতে।”

আয়ুশ প্রহরের দিকে খানিকটা ঝুঁকে বললো,
–“কিন্তু তুমি তো সারারাত ঘুমাওনি!”
প্রহর চমকে উঠে বলল,
–“আপনি কি করে বুঝলেন?”
–“চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে ”!
–“ও আচ্ছা!”
–“হ্যাঁ!এখন একটু ঘুমিয়ে নাও!”
প্রহর ভাসা ভাসা চোখে বলল,
–“আমি সত্যিই দিনের বেলায় ঘুমোতে পারি না।”
প্রহরের কথা শুনে আয়ুশ বললো,“সামনে থেকে দিনেই ঘুমানোর অভ্যাস….”
তারপর..
হঠাৎ করেই বাক্যালাপে আটকে গেল আয়ুশ!ছিহ!কি অধঃপতন হয়েছে তার।কি বলতে যাচ্ছিলো সে!😩

চলবে।