ভ্যাম্পায়ার কুইন ২ পর্ব-১৭+১৮+১৯

0
37

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার এক্সিবেশন ম্যাচ এখন শুরু হবে। রয়েল ফ্যামিলির অনেক সদস্যই উপিস্থিত আছে এখানে। আমার ক্ষমতা দেখে তাদের একজনই আমাকে তাদের রয়েল গার্ড বানিয়ে নিবেন। আর রয়েল গার্ডই রাজার কাছে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত একটা পদ। কারন আমি চেষ্টা করলে এলিট গার্ডও হতে পারবো। আর তখন আমি রাজাকে খুব সহজেই হত্যা করতে পারবো। তাছাড়া এখন আমি রাজার কাছে ঠিকই যেতে পারবো, কিন্তু তার এগারোজন এলিট গার্ড থাকার ফলে রাজাকে কিছু করার আগেই আমি মারা যাবো।
।।।
।।।
আমি অনেক অবাক হলাম। কারন আমাকে লড়তে হবে কহিলের সাথে। আমি এটা আশা করি যে আমার লড়াই কহিলের সাথে হবে। কারন আমি কহিলের ক্ষমতা অনেক আগেই দেখেছি। মারাত্মক ওর ক্ষমতা। একাই দুইহাজার লোক মেরে ফেলেছিলো। ওর সেই লড়াই দেখে বুঝেছিলাম ওর এট্রিবিউট হলো পানির। আর ও বরফের স্পেল ব্যবহার করে। সেটা অনেক মারাত্মক হয়। কারন পানিকে বরফ বানালে সেটা একটা তলোয়ারের মতোই ধারালো হয়। আর যদি বিশাল একখন্ড বরফ আমার উপরে ফেলা হয়, তাহলে তো কিছুই লাগবো না। সোজা পিষে মারা যাবো। যাইহোক আমিও প্রস্তুত হলাম। আমিও আগের মতো নাই এখন। অনেকটা শক্তিশালী হয়েছি। যদিও স্পেল ব্যবহার করতে পারি না। কিন্তু দুটো ক্ষমতা আমার রয়েছে, আর কখন সেটা কাজে দেই সেটাও আমি জানি। তাছাড়া আমার তলোয়ারের নানা ধরনের টেকনিক জানা আছে। যার জন্য আমি অনেকটা নিশ্চিত যে আমি হারবো না এখন।
.
–তাহলে তুমি ফেরত এসেছো জ্যাক।(কহিল আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–আমি আশা করি নি ঔ গুহা থেকে তুমি ফিরে আসবে, কারন আজ পর্যন্ত শুনেছি কেউ ঔ গুহা থেকে ফেরত আসে নি। আর গুহাটাও দশবছর পর পর বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়।(কহিল)
.
–আমি হয়তো ভাগ্যবান ছিলাম।(আমি)
.
–তো কোনো স্পেল কি এই কয়েকবছরে শিখেছো?(কহিল)
.
–না। আমার অস্ত্র আমার এই তলোয়ার দুটো।(আমি)
.
–তাহলে তো আমাকেও সমান ভাবে লড়তে হবে। তাহলে শুরু করি চলো।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল ম্যাজিক দিয়ে ওর হাতে বরফের তলোয়ার বানিয়ে নিলো একটা। আমিও ভিরুদাকে বের করলাম। ভিরুদা আর ভ্যালিকে নিয়ে সমস্যা হলো ভিরুদাকে আমার ডান হাতে ধরতে হয়, আর ভ্যালিকে বাম হাতে। তাছাড়া দুটো উল্টো হাতে নিলে আমার হাত জ্বলতে শুরু করে দুটোই। এবং ডান হাত দিয়ে আগুন বের হতে শুরু করে, আবার বাম হাত দিয়ে পানি বের হতে থাকে। তাই দুটোকে ঠিক ভাবেই ধরতে হয়। আর একটা তলোয়ার ব্যবহার করলে দুই হাতেরই প্রয়োজন হয় সেটা চালাতে। কিন্তু আমাকে এক হাতই ব্যবহার করতে হয়। এটার জন্য আমাকে আরেকটা তলোয়ার কিনে কাছে রাখতে হবে। অবশ্য সেটার সাইজ ছোট হলেও হবে। কহিল ওর বরফের তলোয়ার দিয়ে আমার দিকে আক্রমন করতে এগিয়ে আসছিলো অনেক স্পিডে। ওর স্পিড এতো যে আমিও ভালো করে খেয়াল করতে পারি নি। আমি ভিরুদাকে সামনে ঢালের মতো করে দাড়িয়ে ছিলাম। আর কহিল সেটাই আঘাত করলো ওর বরফের তলোয়ার দিয়ে। আঘাতটা এতো শক্তিশালী ছিলো যে আমি পিছনের দিকে ছিটকে চলে গেলাম। অনেক স্পিডেই যাচ্ছিলাম। নিজের গতি আমি ভিরুদার ব্লেড মাটিতে গেথে দিয়ে থামালাম। আমি এটা আশা করি নাই। কহিলের গায়ে এতোটা শক্তি হবে সেটা আমি বুঝতে পারি নি। কহিল আবারো আমার কাছে অনেক স্পিডে চলে আসলো এবং আবারো আমাকে আঘাত করলো। এবারও আমি পিছনে ছিটকে পরলাম। কিন্তু আমার বুকে ওর বরফের তলোয়ারের কিছুটা অংশ ঢুকে ভেঙে গেছে। আমি উঠে সেটা বের করলাম। কহিল হেসে আবারো আমাকে আঘাত করতে আসলো। কিন্তু এবার ও আর আমাকে দূরে ফেলে দিলো না। বরং আঘাত করেই যাচ্ছে। আমি ওর সব আঘাতই প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু ওর স্পিড আমার থেকে বেশী হওয়ায় আমার শরীরেও অনেকটা আঘাত লাগছে। আর তার ফলে আমার বুকের অনেকটা জায়গায় কেটে গেছে। আমি দাড়াতে পারছিলাম না আর। ওর আঘাত এতো স্পিডে আসছে যে আনার সেগুলো দেখতেই সমস্যা হচ্ছে। আমার এক হাত দিয়ে ভিরুদাকে ধরে সমস্যা হচ্ছে ওর সাথে লড়তে। যদি এখন দুইহাত দিয়ে ধরতে পারতাম তাহলে একটু ভালো হতো। আমি হাপিয়ে উঠেছি একদম। কহিল এবার একটু দূরে গিয়ে বলতে লাগলো,
.
–আমি কোনো স্পেল ব্যবহার করি নি। শুধু তলোয়ার দিয়েই লড়েছি আর তাতেই তোমার এই অবস্থা। তুমি রয়েল গার্ড কেনো? জেনারেলের ছেলে হওয়ারও অধিকার রাখো না।(কহিল)
.
–হাহাহাহা। জেনারেল এর ছেলে? আমি কখনো বলি নাই আমি জেনারেল এর ছেলে হতে চাই। আমি জানি আমার বাবা আমার জন্য মারা গেছে। যার চেহারাই আমার কখনো দেখা হয়নি সে কখনো আমার বাবা হতে পারে না। আর যদিও আমার বাবা সে হয়ে থাকে, তাহলে এই দুনিয়ার সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি সেই।(আমি হাসতে বললাম)
.
–কথাতো অনেক ভালোই বলতে পারো।(কহিল)
.
–শুধু কথা না। এতোক্ষন তো একটু প্রাকটিস করছিলাম। আসল লড়াই তো এখন শুরু হবে।(আমি)
।।।
।।।
আমি অনেকটা রেগে গেছি। এবার আমি আমার সোর্ড টেকনিক ব্যবহার করা শুরু করলাম এক এক করে। প্রথমেই আমি ভিরুদাকে উপরের দিকে করে সোজা কহিলের দিলে তাকালাম। তারপরই টাইম আটকানোর স্পেল ব্যবহার করলাম। আসলে এটাকে সময় আটকানো বলে না। মোট কথা আমার আশে পাশে কিছু এলাকা জুড়ে সবাই প্যারালাইস হয়ে যায়। নরতে পারে না এবং কি হচ্ছে তাদের সাথে এটাও বুঝতে পারে না। এবং এটা দুই সেকেন্ডের জনই থাকে। আমি সময় নষ্ট না করে সোজা কহিলের বুকে দুটো স্লাইস দিলাম। এবং ওর পিছনে চলে গেলাম। কহিল অনেকটা অবাক হলো হঠাৎ আমাকে পিছনে আসতে দেখে। এবং বেশী অবাক হলো ওর বুকে আঘাত দেখে। ও একদম রেগে গেলো। রাগের ফলে ওর শরীরের প্রতিটা মাংসপেশী ফুলতে লাগলো, এবং ওকে পুরো ছোট দানবের মতো লাগছে এখন। ওর শরীর হিল হলো সাথে সাথে, কিন্তু ওর রাগ এখন বেরে গেছে।
.
–কতবড় সাহস তোমার আমার শরীরে আঘাত করেছো। এবার দেখাবো তোমাকে আসল পাওয়ার কাকে বলে।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল যে স্পিডে এখন নরছে তাতে ওকে দেখায় যাচ্ছে না। এটা একটা ক্ষমতা যাকে বলে আল্ট্রা স্পিড। এটা শিখতে অনেক ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়। আবার অনেকে জন্ম থেকেই শিখে যায়। কহিল আমার গলা ধরে ফেললো ওর ডান হাত দিয়ে। আমি ওকে আমার দিকে আসা খেয়ালই করি নাই। আমাকে সোজা উপরে তুলে ধরলো। আমি ওর থেকে কিছুটা লম্বা হওয়ার ফলেও ও আমাকে একদম সহজেই ওর শক্তি দিয়ে উপরে তুলে ধরলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি ওর থেকে ছুটতেই পারছি না। আমি আমার হাতের ভিরুদা দিয়ে ওকে আঘাত করতে গেলাম, কিন্তু সাথে সাথে ভিরুদাকে ধরে ফেললো ও। এবং সোজা এক ঘুষিতে সেটা দু টুকরো করে দিলো। আমার হাত থেকে ভিরুদা পরে গেলো। আমি ভ্যালিকে বের করতে চাচ্ছিলাম কিন্তু একটু আগের আঘাতে আমার ব্যাগসহ ভ্যালি দূরে পরে গিয়েছে। আমার গলা জোরে ধরায় দম ছারতে সমস্যা হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনি মারা যাবো আমি। আমি ওকে লাথি মারতে লাগলাম৷ কিন্তু কিছুতেই কাজ হলো না। আমার লাথি খেয়ে ও আরো রেগে গেলো। এবং ওর হাত থেকে ঠান্ডা বরফ বের হতে লাগলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার পুরো শরীর বরফের মধ্যে ঢেকে গেলো আমি তাকিয়ে আছি, কিন্তু বরফের মধ্যে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। বাইরে থেকে কোনো শব্দও আসছে না। ভিরুদার সাথে যা হলো সেটাই আমি অনেক অবাক। একটা ড্রাগন সোর্ড কিভাবে এতো সহজে ভেঙে যেতে পারে। তাহলে ইগড্রাসিল কোনো কাজেরই ছিলো না। আমি এখন এভাবেই মারা যাবো এটা ভেবে আমার অনেক দুঃখ লাগছে। আমি আমার হাত অনুভব করতে পারছিলাম না। কিন্তু তখনি হঠাৎ আমার ডান হাতকে আমি অনুভব করতে শুরু করলাম। আমার ডান হাত অনেকটা জ্বলে উঠলো। আর সেটা থেকে আগুন জ্বলতে শুরু করলো। আগুনের উত্ত্বাপে পুরো বরফ গলে পানি হয়ে গেলো। আমার ডান হাত দিয়ে আগুন জ্বলা সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম না আমার ডান হাত দিয়ে আগুন জ্বলেছে কিন্তু আমার ব্যান্ডেজ কাপড় এবার পুড়ে যায় নি। আমি আরো অবাক হলাম ভিরুদাকে দেখে। ওর ভাঙা টুকরো দুটোও আমার সামনে এক হয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম ইগড্রাসিলের ঘুম ভেঙে গেছে। যায়হোক আমি হাতে নিলাম ভিরুদাকে। আর সাথে সাথেই আমার ডান হাতের আগুন বারতে লাগলো, কিন্তু এই আগুন আমার পোষাকের কোনো কিছুকে পোড়াচ্ছে না। হাতে ভিরুদা নেওয়ার পর, ওর ব্লেডের মধ্যেও আগুন জ্বলতে লাগলো।
.
–এইসব কি? তুমি তো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারো। তাহলে হঠাৎ ম্যাজিক ব্যবহার করলে কিভাবে?(কহিল)
.
–এটা আমার ম্যাজিক নয়। আমার হাতে এখন ফায়ার ড্রাগন ইগড্রাসিলের তলোয়ার।(আমি)
.
–একটু আগেই এটাকে ভেঙেছি। আবার ভাঙতে সময় লাগবে না।(কহিল)
.
–চেষ্টা করেই দেখেন। আমি ধন্যবাদ দিবো আপনাকে সেটা করে ইগড্রাসিলের ঘুম ভাঙাতে, আর এখন দেখা যাবে কে কতটা শক্তশালী।(আমি)
.
–হ্যা।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল আবারো একটা ঘুসি মারলো। আমি সেটা ভিরুদার ব্লেড দিয়ে আটকালাম। এবার ভিরুদার আগুনের উত্তাপে কহিলের হাত পুরো পুড়ে গেলো। সেটাও আস্তে আস্তে হিল হতে চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু আমি আর থামলাম না। কারন বরফের বিরুদ্ধে আমার তলোয়ারের আগুন এখন কাজে দিবে। আমি দৌড়ে ওর কাছে গিয়ে ওকে আক্রমন করতে লাগলাম। প্রতিটা আক্রমনে আমার তলোয়ারের উত্তাপ আরো বেশী বারতে লাগলো। আশে পাশের জায়গার উত্তাপও বারতে লাগলো। আর ভিরুদার ব্লেডের স্পর্শ লাগলেই পুরো জায়গটা কেটে যাওয়ার সাথে সাথে পুড়ে যায়। কহিলের শরীরে হিলিং পাওয়ার আছে বলে ও টিকতে পারছে। হঠাৎ কহিল আমার বুকে ঘুসি মেরে দূরে সরিয়ে দিলো। এবং দূর থেকে বরফের কয়েকশো ধারালো ছুড়ি বানিয়ে আমার দিকে মারলো। আর তখনি ইগড্রাসিলের আগুন আমার চারিদিকে ঢাল করে দিলো। আর সেই আগুনে বরফের ছুড়িগুলো সব পুড়ে পানি হয়ে গেলো। পানি গুলো মাটিতে পড়ার আগেই উধাও হয়ে গেলো বাষ্প হয়ে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এতো উত্তাপ এখানে, আমার ডান হাত দিয়েও আগুন বের হচ্ছে। কিন্তু আমি আগুনের উত্তাপ অনুভব করছি না।
।।।
।।।
ভিরুদার ব্লেডে আগুন আরো মারাত্মক হয়ে গেলো। আমি একটা স্লাইস দিলে সেটা আগুনের মারাত্মক ব্লেড হয়ে দূরে গিয়ে লাগছে। যেহেতু আশে পাশে যত ভিআইপি লোক ছিলো তাদের জন্য অনেক গার্ড মিলে ঢাল বানিয়ে দিয়েছে, তাই তাদের কাছে কোনো কিছু যাচ্ছে না। কিন্তু ঢাল গুলোও ভেঙে যাচ্ছে আমার ফায়ার ব্লেডের স্লাইসের ফলে। এবার কহিলের ভয় আমি দেখতে পাচ্ছি। ও ভয়েই ওর সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেল ব্যবহার করলো। প্রথমেই মাটিতে হাত দিলো। আর মাটি থেকে ধারালো সোচালো তলোয়ারের মতো বরফ আমার দিকে আছিলো। কিন্তু ভিরুদার আগুনের কাছে এসে সেগুলোও পুড়ে যাচ্ছে। এরপর কহিল আমার উপরেই বিশাল বরফের টুকরো বানালো। আমি দেখতে পাচ্ছি ওর ম্যাজিক পাওয়ার শেষের দিকে। তাই এটাই ওর শেষ স্পেল হবে। এটার জন্য অনেক ম্যাজিক পাওয়ারের প্রয়োজন হয়। বরফের খন্ডটা বিশাল। আর এটাকে পুরো গলাতে গেলেও অনেকটা সময় প্রয়োজন হবে, আর তার আগেই আমার উপরে এটা এসে পরবে। কহিল বেশী দেরী করলো না। আমি ওর স্পেলটা আমার উপরে ছোড়ার আগেই ওকে আক্রমন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার আগেই ও আমার উপরে সেটা ফেলে দিলো। কিন্তু তখনি আমার পিঠ থেকে সাদা হাত বের হলো মোট বারোটা। এবং সেগুলো পুরো বরফের খন্ডটাকে ধরে ফেললো। আমি বুঝতে পারলাম এবার কি হবে। এই পুরো বরফের খন্ড এবার কহিলের দিকে নিক্ষেপ করবে। কিন্তু আমি সেটা আপাতোতো চাই না। আমি ভিরুদাকে দিয়ে একটা টেকনিক ব্যবহার করলাম। সেটার নাম হানড্রেড স্লাইস। এই টেকনিক দিয়ে একসাথে একশোটা স্লাইস দেওয়া যায়। একটু আমি দেখেছি প্রতিটা স্লাইসে ম্যাজিক স্পেলের মতো তরঙ্গ ব্লেড বের হয় ভিরুদার থেকে, আর সেটা আগুনের। তাই আমি এই টেকনিক ব্যবহার করলাম। এরফলে একসাথে একশো ফায়ার ব্লেড বের হবে। আর সেটা এই পুরো বিশাল বরফের খন্ডকে টুকরো করার জন্য যথেষ্ট হবে। আমি যেটা ভাবলাম সেটাই হলো। নিচ থেকেই একদম উপরে পুরো একশোটা ফায়ার ব্লেড তরঙ্গ গেলো। যেটা টুকরো টুকরো করে দিলো বরফের খন্ডকে। কিন্তু এটা যথেষ্ট হবে না। আমি এবার ভিরুদাকে শক্ত করে উপরের দিকে ধরলাম। উপরে যতগুলো টুকরো ছিলো, সব গুলোর দিকে লক্ষ করে, আমি ভিরুদাকে শক্ত করে ধরলাম। অবশ্য ভ্যালিকে ব্যবহার করে আমি বুঝেছি তলোয়ার ধরে শুধু কল্পনা করতে হয় কি করতে হবে, আর সেটাই হবে। যেমন ভ্যালিকে ধরে যদি আমি সুনামির চিত্র মনে মনে চিন্তা করি, তাহলে তলোয়ার থেকে পানির টর্নেডো বের হয়, যেটা অনেক ভয়ঙ্কর। তেমনি আমি এখন চিন্তা করছি বিশাল আগুনের কথা। যেটা কিনা উপরের সবগুলো পাথরের ছোট ছোট টুকরো কে পুড়িয়ে দিবে। আর ভাবার ফলে সেটাই হলো। আমার হাতের আগুন আরো বেরে গেলো। আর তাতে ভিরুদার ব্লেড থেকে বিশাল ফ্লেমথ্রোয়ার ব্যবহার হলো। যেটা অনেক উপর পর্যন্ত গেলো। আর উপরের সব বরফ গলে গেলে।
।।।
।।।
কহিল এই স্পেলটা ব্যবহার করার পরই বেহুস হয়ে গেলো। অবশ্য এক্সিবিশন ম্যাচ এরকমই হয়। কেউ হার না মানে, কিংবা নক ডাউন না হলে লড়াই চলতেই থাকবে। যদিও আমি মানুষ বলে প্রথমেই কহিল আমার উপরে একটু কম ক্ষমতা দেখিয়েছিলো। কিন্তু পরে তাকে পুরো ক্ষমতা দিয়েই লড়তে হয়েছে। অবশ্য আমি স্বিকার করছি ইগড্রাসিল না থাকলে হয়তো আমি মারা যেতাম। ওর আগুনের ফলেই আমি বেচে গিয়েছি। যাইহোক সবাই আমার লড়াই দেখে একদম অবাক হয়ে গেছে। কথা মতো আমাকে তারাই সিলেক্ট করবে। কিন্তু সমস্যা হলো সবাই হাত তুললো আমাকে তাদের গার্ড করতে। অবশ্য সেটা বেশী ভালো না। এখন রাজাই সিলেক্ট করবেন আমাকে কার গার্ড করে দিবেন। কিন্তু তার আগেই প্রিন্সেস এলিনা বলে উঠলো।
.
–মাই কিং, আমি চাচ্ছি জ্যাক আমার প্রধান রয়েল গার্ড হোক।(এলিনা)
.
–কিন্তু এলিনা তোমার তো রয়েল গার্ড একজন রয়েছে।(রাজা)
.
–মাই কিং, আমার মনে হয় আমার জন্য জ্যাকই ভালো হবে। তার কারন তো আপনি এখানেই দেখতে পেলেন।(এলিনা)
.
–হ্যা কিন্তু আমি ডিসিশন নিয়ে ফেলেছি। তোমার একজন গার্ড রয়েছে। কিন্তু তোমার ছোট বোনের রয়েল গার্ড এখনো সে পছন্দ করে নি। তাই আমি জ্যাককে থার্ড প্রিন্সেস এলিহার রয়েল গার্ড হওয়ার অনুমতি দিলাম।(রাজা)
।।।
।।।
প্রিন্সেস এলিনা রাগে প্যালেসের মধ্যে চলে গেলো। আমি একটু খুশি হলাম আমার কাজ তাহলে প্যালেসেই থাকবে। আর এলিহার গার্ড হয়েও অনেকটা কাজে দিলো। ওর সাথেও অনেক কথা বলার রয়েছে। ওর সামনেই ওর বন্ধুদের এভাবে সন্ত্রাসী বানিয়ে দিলো তাতে কিছু করলো না ও। এর জন্য ওকে তো শাস্তি দিতেই হবে। অনেকটা সময় লেগে গেলো রয়েল গার্ড অফিসিয়ালি ভাবে হতে। সন্ধার সূর্য নেমে গেছে। আর আমার আমিও চলে গেলাম হ্যারিদের সাথে কথা বলতে। ওদের সাথে আমার প্লানটা ভালোভাবে ক্লিয়ার করলাম। যেহেতু আমি এখন থেকে রয়েল গার্ড এলিহার। তাই আমি চাইলে ওর সিকিউরিটির জন্য এখন হ্যারি, লুসি এবং লুসানাকে ও নিযুক্ত করে দিতে পারবো এখন। তবে ওরা সাধারন গার্ডই থাকবে। অবশ্য ব্যাপারটা খারাপ হবে না। যেহেতু লুসানা চেহারা বদল করার স্পেল মাস্টার করেছে, তাই কেউ সন্দেহ করবেই না। আর আমাদের চেহারা তো সব সময় আটকানোই থাকবে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি হ্যারিদের সাথে কথা বলে সোজা চলে আসলাম প্যালেসে। কারন আমার এখনকার দায়িত্ব হলো প্রিন্সেস এলিহাকে সুরক্ষা রাখা। আর আমি আমার কাজ ঠিকমতো না করতে পারলে এলিট গার্ড কখনো হতে পারবো না। আমি এখনো এলিহাকে দেখি নি। এমনকি ও আমার এক্সিবেশন ম্যাচের মধ্যেও ছিলো না। ওর কি হয়েছে সেটা আমি নিজেও জানি না। আমি প্যালেসের মধ্যে আমার জন্য বরাদ্দ রাখা সেই আগের রুমে চলে আসলাম। মূলত আমাকে প্যালেসে যাতায়াতের জন্য আমি রয়েল গার্ডে যুক্ত হয়েছি। আমার প্যালেসে থাকার কোনো ইচ্ছা নাই। বরং আমি এখান থেকে বের হওয়ার চিন্তা করছি। আর সেটার রাস্তা হলো প্রিন্সেস এলিহা। সে যেখানে থাকবে এখন থেকে আমাকেও সেখানেই থাকতে হবে। সে যদি প্যালেসে থাকে, তাহলে আমাকেও থাকতে হবে। আমাকে শুধু এখন তাকে প্যালেসের বাইরে নিতে হবে। কিন্তু সেটা কিভাবে বুঝতে পারছি না। এখন আমার মাথায় বরাবরের মতোই দুটো প্লান আসছে, এক হলো প্রিন্সেস এলিহাকে এই ক্যাপিটালের কারো সাথে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা কিংবা আমাকেই প্রিন্সেস এলিহাকে বিয়ে করা। অবশ্য রয়েল গার্ড হিসাবে আমার যোগ্যটা হয়েছে যেকোনো প্রিন্সেসকে বিবাহ করার। কিন্তু আমি চাচ্ছি না। মূলত আমাকে এমন কাউকে খুজতে হবে যাকে প্রিন্সেস এলিহা ভালোবাসবে। আমার মাথায় এখন শুধু হ্যারির কথায় আসছে। তারপরও প্রিন্সেস এর সাথে কথা বলতে হবে, যাতে করে তার মনের মধ্যে কেউ আছে কিনা, সেটা জানতে পারি। আমি বসে পরলাম বিছানায়। টেবিলের উপরে আমার নতুন রয়েল গার্ডের ইউনিফর্ম রয়েছে। অনেক ভারী একটা আর্মার। যেটা আমার দ্বারা পরা সম্ভব নয়। আমি এভাবেই স্বাভাবিক আছি। তবে জামাকাপড়ের কিছু উন্নতি করতেই হবে। ইগড্রাসিলের থেকেও আমি কিছু শুনি নি এখনো। তাই দুইহাতের ব্যান্ডেজ কাপড় খুলে ফেললাম। বাম হাতে তো নীল কালারে ভ্যালি রয়েছে। কিন্তু ডান হাতে ইগড্রাসিলের গায়ের রং পুরো লাল হয়ে গেছে। এখন একদমই দেখে বোঝা যাচ্ছে যে এটা ইগড্রাসিল। কিন্তু গুহার থেকে এখন সাইজে অনেক ছোট। ইগড্রাসিল বলতে লাগলো,
.
–কি বাছা কেমন আছো? অনেক বছর হয়ে গেছে।(ইগড্রাসিল)
.
–……(আমি হঠাৎ ওর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। আমার হাতের মধ্যে থেকে নারাচরা করছে ওর ছবি এবং কথা বলছে)
.
–কি হলো ভয় পেয়ে গেলে নাকি।(ইগড্রাসিল)
.
–না হঠাৎ চমকে উঠেছি। তো কখন জাগলেন(আমি)
.
–তুমি করেই বলো সেটা সুট করে। আমি তো জেগেছি যখন তুমি আমার শরীরটাকে ভেঙে ফেললে।(ইগড্রাসিল)
.
–আমি ভাঙি নি। আপনার তলোয়ারই দুর্বল ছিলো, তাই ভেঙে গেছে।(আমি)
.
–হুহ। জ্যাক তুমি ঔ ইগোকে ব্যবহার না করে আমাকে করলেই দেখতে এক আঘাতেই জিতে যেতে।(ভ্যালি)
.
–জ্যাক তুমি এইটা বইলো না যে তুমি এই ভাবকন্যার অস্ত্রও পেয়েছো?(ইগড্রাসিল)
.
–হ্যা। কিন্তু ভ্যালি তুমি ওকে ইগো ডাকছো কেনো? আর ইগো, সরি ইগড্রাসিল তুমি ওকে ভাবকন্যা ডাকছো কেনো?(আমি)
.
–আমাদের পুরো ড্রাগন গোত্রের মধ্যে সবচেয়ে রাগী এবং ইগোওয়ালা ড্রাগনই হলো এই মিস্টার ইগো, তাই তার নাম ইগো।(ভ্যালি)
.
–আর উনি হলেন সবচেয়ে ভাবওয়ালী ড্রাগন, তাই ওনার নাম ভাবকন্যা।(ইগড্রাসিল)
.
–ও বেশ ভালো নিক নেম তো।(আমি)
.
–বাই দ্যা ওয়ে জ্যাক ওকে এখনো অনেক হট এবং সেক্সি লাগছে।(আমার কানে ফিসফিসিয়ে বললো ইগড্রাসিল)
.
–জ্যাকের কানে ফিসফিসিয়ে বলে লাভ নাই। সেটা আমিও শুনতে পারি।(ভ্যালি)
।।।
।।।
ভ্যালির কথা শুনে ইগড্রাসিল লজ্জা পেয়ে গেলো। আর শুরু হলো দুজনের ঝগড়া। ওদের অবস্থা দেখে বুঝলাম দুজনে দুজনকেই ভালোবাসে। কিন্তু সমস্যা হলো একজন আগুন আরেকজন পানি, তাই তাদের মাঝে দূরত্ব রয়েছে। কিন্তু দুজনের কেউই সেই দূরত্ব পার করতে চাচ্ছে না। আমি ওদের ঝগড়া শুনতে শুনতেই ঘুমিয়ে গেলাম। আমি অপেক্ষায় আছি ওদের দুজনের এক হওয়ার। কারন হয়তো সেদিন আমিও ওদের দুজনকেই দুই হাত দিয়ে ব্যবহার করতে পারবো। আগুন এবং পানির কম্বো এট্যাক আসলেই মারাত্মক হবে।
।।।
।।।
পরের দিন ঘুম থেকে উঠলাম। হাতের ব্যান্ডেজ গুলো ভালো করে লাগিয়ে নিলাম। দুজনকে ঘুমাচ্ছে এখনো। মনে হচ্ছে অনেকরাত পর্যন্ত ঝগড়া করেছে। আবার বলা যায় না, আমার ঘুমের মধ্যে দুজনে প্রেমও করতে পারে। সে যাই করুক। আমি চলে গেলাম খাবার খেতে। লজিকাল ভাবে আমি জেনারেলের সন্তান। আর সে নিজেই রাজার ছোট ভাই। রাজা নিজে একজন ভ্যাম্পায়ার কিন্তু জেনারেল একজন হাফ ডিম্যান। অবশ্য আমাদের দুনিয়াটাই আজব। যদিও জেনারেল হাফ ডিম্যান, তারপরও আমি ডিম্যান হয়নি। বরং আমি সাধারন মানুষ হয়ে জন্মেছি। আমার আম্মা হয়তো মানুষ। কারন সন্তানেরা পিতা কিংবা মাতার গোত্রই অর্জন করে। যদি দুটো ভিন্ন গোত্রের বাবা এবং মাতা হয়, তাহলে সন্তান যেকোনো দুটোর একটা অর্জন করবে। দুটো একইসাথে করলে সে অনেক স্পেশাল হয়। আর জেনারেল এবং রাজার সাথেও সেটা হয়েছে। হয়তো তাদের মাতা এবং পিতার মধ্যে একজন ভ্যাম্পায়ার এবং একজন হাফ ডিম্যান ছিলো। যায়হোক আমি এসেছি প্যালেসের উপরে নাস্তা করতে। অবশ্য এটা আমার দায়িত্ব রয়েল গার্ড হিসাবে নয়, বরং জেনারেল এর সন্তান হিসাবে। আমাকে একদম সৎ হওয়ার ভান করতে হবে এখন থেকে। কারন আমি জানি রাজার এলিট গার্ডদের কখনো চোখে দেখা যায় না। তারা দূর থেকে খুব কড়া নজর রাখে প্যালেসে। তারা এতো মারাত্মক যে যদি আমি কোনো খারাপ কাজ করার চিন্তা করি প্যালেসে, তাহলে সাথে সাথেই আমার মাথা গলা থেকে আলাদা হয়ে যাবে। আমি সেই রিক্স নিতে চাই না। আমাকেও প্রথমে তাদের মতো শক্তিশালী হতে হবে। আর তারপর এলিট গার্ডে ঢুকতে হবে। আমি প্যালেসের উপরে এসেছি সবার সাথে নাস্তা করতে। অবশ্য এটা দরকার রয়েল গার্ড হিসাবে জরুরী একটা কাজ। আমি যতটা সম্ভব নিয়ম মানার চেষ্টা করবো। বাকিটা পরে দেখা যাবে। আমি খাবার খাওয়ার রুমে ঢুকে অনেকটা অবাক হয়েছি। কারন বিশাল একটা টেবিল রয়েছে, আর অনেকগুলো চেয়ারও রয়েছে। রাজার সারি পুরো আলাদা সবার থেকে। সে একপাশে একাই বসে। আর বাকি পাশে সবাই বসে। আমাকে বসতে হবে প্রিন্সেস এলিহার পাশে কারন আমি তার রয়েল গার্ড। এলিহাকে আমি প্যালেসে মনে হয় আজই দেখতে পেলাম। ও একটা চেয়ারে বসে আছে। রাজা এখনো আসে নি এখানে, তাই সবাই অপেক্ষা করছে। প্যালেসের নিয়মই হলো রাজা আগে না খেলে বাকি কেউ খেতে পারবে না। আমি প্রিন্সেস এলিহার পাশে বসলাম একটা চেয়ারে।
.
–এতো লোক থাকতে শেষ মেষ তোমাকেই আমার গার্ড হতে হবে?(এলিহা)
.
–আমি তো এটা ঠিক করি নি। কিং নিজেই তো সেটা সিদ্ধান্ত নিলেন প্রিন্সেস।(আমি)
.
–জানো কালকে আমার এলিনা আমাকে কতটা বকেছে, ওর কথা শুনে তো মনে হলো ও চাচ্ছিলো ওর গার্ড তুমি হও।(এলিহা)
.
–কিন্তু প্রিন্সেস তাতে তো আমার কিংবা আপনার কোনো ভুল দেখতে পাচ্ছি না।(আমি)
।।।
।।।
আমরা আর কোনো কথা বললাম না। রাজা চলে এসেছে। সকলে উঠে সম্মান দিলো। প্রিন্সেস এলিনা এখনো আসে নি এখানে নাস্তা করতে। তার রয়েল গার্ড আখিল গেলো তাকে ডাক দিতে। এই সুযোগে আমি এখানের সবাইকে চিনে নিলাম। মূলত এখানে রাজার কিছু আত্মীয় রয়েছে, যাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করলাম না। কিন্তু যাদের মনে রাখা জরুরী তাদেরই মনে রাখলাম। প্রিন্সেস এলিনাও আসলো। তবে সে এসে সোজা আমার পাশের চেয়ারে বসে পরলো। আখিলকেও তার পাশে বসতে হলো। অবশ্য আমার প্রিন্সেস এলিনার থেকে একটু সাবধান থাকতে হবে। তার ভাবগতি আমি প্রথম দিন থেকেই খারাপ লক্ষ করেছি। হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছে আমাকে, কিন্তু বলতে পারছে না। যাই বলুক না কেনো? আমার কাজ আমাকে পূরন করতে হবে এখানে। নাস্তা করার পর আমি প্রিন্সেস এলিহার সাথে প্যালেসের নিচে নেমে গেলাম। প্যালেসের নিচে তলোয়ার প্রাকটিস করার একটা জায়গা আছে, সেখানে চলে গেলো সে। আমাকেও তার সাথে সাথে যেতে হলো।
.
–আমি শুনেছি তুমি তলোয়ারের অনেক টেকনিক ব্যবহার করতে পারো। অবশ্য আমি কালকে শুনেছিলাম একটা এক্সিবেশন ম্যাচ হবে, কিন্তু তুমি যে এসেছো সেটা আমি জানি না।(এলিহা)
.
–ও।(আমি)
.
–আমি শুনেছিলাম তুমি একটা গুহার মধ্যে আটকা পরেছিলে। কিন্তু আমি জানতাম তুমি ফিরে আসবে।(এলিহা)
.
–ধন্যবাদ আমার প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য।(আমি)
.
–আমার উপরে কি রেগে আছো?(এলিহা)
.
–কি বলছেন প্রিন্সেস? আমি কিভাবে আপনার উপরে রাগ করে থাকবো?(আমি)
.
–না তোমাদের সবার থেকে যে আমার পরিচয় গোপন রেখেছিলাম সেটার জন্য।(এলিহা)
.
–না আপনার পারশোনাল বিষয় ছিলো সেটা তাই গোপন রেখেছেন, তাতে আমার রাগ করার তো কোনো প্রশ্ন উঠে না।(আমি)
.
–তাহলে এভাবে আপনি আপনি করে কথা বলতেছো কেনো? এখানে তো কেউ নেই।(এলিহা)
.
–না প্রিন্সেস। আপনাকে আপনি না বললে অপমান করা হবে। আর সেটার জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হবে। আমি চাই না সেটা হোক।(আমি)
.
–হ্যারি, লুসি এবং লুসানার সাথে দেখা হয়েছে?(এলিহা)
.
–না। তারা তো রাজ্যের সন্ত্রাসী এখন। তাদের সাথে আমার কেনো দেখা হবে।(আমি)
.
–দেখো আমি জানি তুমি রেগে আছো আমার উপরে। কিন্তু সত্যি বলতে এতে আমার কোনো কিছু করার নাই। আমি যতই আমার বাবাকে বুঝিয়েছি যে ওরা তিনজন আমার বন্ধ। ওরা আমাকে আক্রমন করে নি। তারপরও বাবা আমার কোনো কথা শুনেন নি।(এলিহা)
.
–দেখুন আপনি কোনো কিছু ভাববেন না। আমার হ্যারি, লুসি এবং লুসানার উপরে বিশ্বাস আছে, ওদের কিছুই হয় নি। এবং খুব ভালোই আছে ওরা।(আমি)
.
–এটাই কামনা করি। কিন্তু আমার নিজের প্রতিই দুঃখ লাগছে। আমি আমার বাবার সামনে কিছু বলতে পারি না কারন আমি দুর্বল আমার বাকি দুই বোনদের থেকে। এরজন্য আমি জেনারেলকে বলে মিলিটারিতে ঢুকেছিলাম যাতে শক্তিশালী হতে পারি। কিন্তু আমার বাবার আদেশে আমাকে আবার প্যালেসেই চলে আসতে হয়।
.
–এখন যেহেতু আমি আপনার রয়েল গার্ড। তাই আপনার ট্রেনিং এর সকল দায়িত্ব এখন আমার। চলুন আপনার ট্রেনিং শুরু করা যাক।(আমি)
।।।।
।।।।
।।।।
আমি এলিহাকে ট্রেনিং দিতে লাগলাম। মূলত আমি তলোয়ার ধরার কৌশল ওর থেকেই শিখেছি। আর এখন ওকেই আমার শিখাতে হবে। অবশ্য আমার জানা অনেক টেকনিক রয়েছে, যেটা আস্তে আস্তে ওকে শিখাতে হবে। আমাকে সারাদিনই প্যালেসের মধ্যে থাকতে হলো। কারন প্রিন্সেস এলিহা আমাকে পুরো প্যালেসে ঘুরিয়ে দেখালো দিনভর। রাতের সময় আমি আমার রুমের মধ্যে চলে আসলাম। অবশ্য সারাদিনে প্যালেসে হাটাচলা করে অনেক তথ্য আমি যোগাড় করতে পেরেছি। রাতের এই সময়টা সেটা ঠিকই কাজে দিবে। সন্ধার পর থেকে লাইব্রেরীতে কেউই ঢুকে না। অবশ্য সেটাই আমার সময় লাইব্রেরীতে ঢোকার। প্রিন্সেস এলিহার রুমে আমি এই পুরো প্যালেসের একটা ম্যাপ পেয়েছি, যেখানে সকল গুপ্ত জায়গার কথাও উল্লেখ রয়েছে। আমি লাইব্রেরীতে ঢুকার পর। একদম কোনার একটা বুক স্লেফের কাছে চলে গেলাম। সেখানে উপরের তাকের পাঁচ,দশ এবং পনেরো নং বইগুলো একসাথে টান দিলেই একটা গোপন রাস্তা খুলে যাবে পাশ দিয়ে। যেটার ভিতর আমাকে ঢুকতে হবে। ম্যাপে এটা সরাসরি উল্লেখ ছিলো। আমি জানি না কয়জন এটার সম্পর্কে জানে, কিন্তু আশা করবো এলিহা বাদে আর কেউ না জানুক। একটা সিড়ি চলে গেছে নিচে। নিচে সেটা দিয়ে নামার পর সামনের দিকে একটা রাস্তা চলে গেছে। যেটা দিয়ে আগানোর পর উপরের দিকে আবার সিড়ি যাচ্ছে। আমি সেটা দিয়ে আবারো চলতে লাগলাম। অবশ্য সবকিছু অন্ধকার, তাই হাতে একটা ম্যাজিকাল টর্চ আমি লাইব্রেরী থেকে নিয়ে এসেছি। সিড়ি দিয়ে সোজা আমি একটা পানিবিহীন কুয়ার মধ্য দিয়ে উঠলাম। জায়গাটা জনশূন্য দুটো চাদের আলোতে বুঝতে পারলাম আমি ভুতুরে একটা জায়গায় উঠেছি। এটা প্যালেসের অনেকটা ডান পাশের জায়গা। এখানে রয়েল ফ্যামিলির মৃত শরীর পুতে রাখা হয়। তাই রাতের সময় জায়গাটা ভুতুরে হয়ে যায়। তাদের মৃত শরীর থেকে মাঝে মাঝে কিছু ম্যাজিক পাওয়ার বের হয় এবং সেটা তাদের পূর্বের শরীরের আকার ধারন করে। সবাই সেটাকে ভূতই বলে থাকে। অবশ্য আমি সেটা দেখতে চাই না। তাই দৌড়ে বের হয়ে গেলাম আমি। আমার এখন যেতে হবে হ্যারিদের কাছে। আজকে ব্লাক ড্রাগনের একটা মিশন রয়েছে। শহরের কালো ধনীদের বাসায় আমাদের আক্রমন হবে আজ রাতে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১৯
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
প্যালেস থেকে খুব সাবধানেই আমি বের হয়েছি। লাইব্রেরীর গুপ্ত রাস্তাটা ভালোই কাজে দিয়েছে। আজকে আমাদের টার্গেট হলো ক্যাপিটালের সবচেয়ে ধনী যারা খারাপ উপায়ে অর্থ উপার্জন করেছেন তাদের গুপ্ত ভাবে হত্যা করা। আমি সাধারনত কাউকে কিছু বলি নি। ওদের সাথে দেখা করেই ওদেরকে বলতে হবে প্লান সম্পর্কে। আমি সোজা গুপ্ত রাস্তা থেকে উঠে হ্যারিদের কাছে চলে গেলাম। ওদের শহরে এখন চলতে কোনো সমস্যা হয় না তেমন। যখন বের হয় তখন লুসানার স্পেলের মাধ্যমে চেহারা বদলে বের হয়। আমি ওদের গোপন ঘরের মধ্যে ঢুকে গেলাম। জায়গাটা অনেক সুন্দর করে বানানো। আমি শুনেছি এটা ওদেরকে একলোক দিয়েছিলো থাকার জন্য। কিন্তু লোকটা কে সেটা কেউই জানে না। আমি ভিতরে গিয়ে কথা বলতে লাগলাম।
.
–তারাতারি রেডি হয়ে যাও। আমরা মিশনে যাবো।(আমি)
.
–কিসের মিশন?(লুসি)
.
–ক্যাপিটালের কিছু খারাপ লোকদের হান্ট করবো যারা গরীবদের লুটে খাচ্ছে।(আমি)
.
–প্লান আছে তোমার কাছে? এবং কাদেরকে আক্রমন করবো সেটা সঠিক জানো?(লুসানা)
.
–হ্যা। সব তথ্য আমার কাছে আছে এবং প্লানও আমি বানিয়ে নিয়েছি, কিন্তু সবার আগে নিজেদের চেহারা কাপড় দিয়ে ভালো করে ডাকো, যাতে কেউ কাছ থেকে দেখলেও চিন্তে না পারে।(আমি)
.
–হ্যা আমি আমাদের চারজনের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট একটা ড্রেস বানিয়েছি যেটা পরলে কেউই আমাদের চিনতে পারবে না।(লুসি)
.
–ওয়াও।(আমি)
।।।।।
।।।।।
সকলেই ড্রেস পরে নিলাম। কালো একটা ড্রেস। মাথায় হুডও আছে বড় যেটা চেহারা অনেকটা ডেকে রাখে। তারপরও কাপড় দিয়ে মাস্ক বানিয়ে পড়তে হবে আমাদের। আমার মাস্ক আছে বলে আর পড়তে হবে না অবশ্য এখন মাস্কের অভ্যাস হয়ে গেছে আমার। হাত ঢাকার ফলে মাস্কটাও পরা অভ্যাস হয়ে গেছে আমার। যাইহোক আমরা সকলে রেডি হয়ে চলে গেলাম।
.
–আজকে আমাদের টার্গেট হলো রাজবংশেরই পাঁচ পরিবার। অবশ্য পরিবারের কোনো সদস্যদের আমরা কিছু করবো না। শুধু পরিবারের প্রধান যে তাদেরকেই হত্যা করবো।(আমি)
.
–এটা কি ভালো বুদ্ধি হবে? তুমি তো বললে ধনী ব্যক্তিদের বাসায় হামলা করবো। কিন্তু রাজবংশের লোক হবে সেটা তো বলো নি আগে?(হ্যারি)
.
–দেখো যেই পাঁচজনকে আমি টার্গেট করেছি তারা ক্যাপিটালের পাঁচ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের প্রধান। শহরের সকল ছোট বড় ব্যবসায়ীকে ভ্যাট দিতে হয় তাকে, তাছাড়া কেউ কোনো পন্য বেচাকেনা করতে পারবে না ক্যাপিটাল থেকে। আর বর্তমানে তার ভ্যাট চারগুন বারিয়ে দিয়েছে। তাদের জন্য শহরের অনেক গরীব লোকেরা না খেয়ে মরছে। এখন যদি আমরা তাদেরকে হত্যা করতে পারি, তাহলেই আমাদের নাম ছড়াবে।(আমি)
.
–ও আমি বুঝেছি তোমার প্লান।(হ্যারি)
.
–আমি কাউকে ক্ষমা করবো না যারা গরীব নিষ্পাপের উপরে ঝুলুম করবে। সে রাজা হোক আর জেনারেল। সবাইকে আমি শাস্তি দিবো।(আমি)
.
–হ্যা আমরাও তোমার সাথে আছি।(হ্যারি)
।।।।
।।।।
আমরা চারজন একসাথেই পাঁচজনের বাসায় হামলা করবো। এতে ধরা খাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকবে। মূলত আজ রাতের পর থেকে আমাদের নাম চারিদিকে ছরাবে। আমি যেটা ভাবতেছি সেটা হলো যদিও আমরা তাদের হত্যা করে ফেলি, কিন্তু তাতে আমাদের নাম ছরাবে না। তার জন্য সবচেয়ে ভালো পন্থা আমাদের অবলম্বন করতে হবে। আমি এই পাচজনকে টার্গেট করতাম না। মূলত আজ প্রসাদে প্রিন্সেস এলিহার সাথে ঘোরার ফলে আমি তাদের দুজনের কথাবার্তা শুনেছি। দুজনের কথাবার্তায় যেটা শুনেছিলাম সেটা হলো, তারা পাঁচটা মেয়েকে কিডন্যাপ করেছে। আর তাদের রেপ করার জন্য তারা পাচজন একজায়গায় মিলিত হবে। অবশ্য তারা কোথায় যাবে এটাও আমি শুনতে পেয়েছিলাম। পাচজনের মধ্যে একজনের নাম হলো ড্রুস। আজকে ড্রুসের বাসায় কেউ নাই। তাই তারা সবাই সেখানে জড়ো হবে। অবশ্য এগুলো আমি হ্যারিদের বলি নাই এখনো। ওরা পরিস্থিতি দেখলেই বুঝে যাবে। আমি চাইনা ওরা ভাবুক আমার স্বার্থের জন্য আমি ওদের মারতে চাচ্ছি। বরং ওরা দেখে বুঝবে ওরা অনেক বড় পাপ করেছে, যেটায় ওদের মৃত্যু হবেই।
।।।।
।।।।
আমরা চারজন ড্রুসের বাসার সামনে চলে গেলাম। বাসার পাশে থাকা একটা গাছের ডালে আমরা চারজন বসে আছি। ভিতরে অনেক গার্ড রয়েছে। যেহেতু শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ড্রুস তাই তার বাসার সিকিউরিটি একটু বেশীই হবে। আর তাছাড়া আজকে তার বাসায় আরো চারজন ধনী ব্যক্তি রয়েছে। অবশ্য পাঁচজনই ক্যাপিটালের মধ্যে খারাপ লোক। তবে ওদের থেকে আরো খারাপ লোক রয়েছে। আমরা সিকিউরিটির ফলে সোজা ভিতরে ঢুকতে পারবো না।
.
–জ্যাক, এখানে তো অনেক সিকিউরিটি, ঢুকবো কিভাবে?(হ্যারি)
.
–সেটা আমার উপরে ছেড়ে দাও।(আমি)
.
–কি প্লান তোমার?(লুসি)
.
–প্রথমত হ্যারি এখানে একদম ছোট একটা স্প্লোশন স্পেল ব্যবহার করবে, যেটা একদম ছোট হবে। সেটা চেক করতে এখানে অনেক গার্ডই চলে আসবে। আর সেই সুযোগে হ্যারি আর আমি পাশ দিয়ে চলে যাবো ভিতরে ঢুকতে।(আমি)
.
–তাহলে আমরা কি করবো?(লুসি)
.
–তোমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ থাকবে। রোড সার্কাজের নাম তো শুনেছো?(আমি)
.
–হ্যা।(লুসি)
.
–তোমরা দুজনে এখানে ছোট ছোট ট্রিকস দেখাবে ম্যাজিকের। আর আমার মতে, তারা প্রথমে একটু সন্দেহ করবে, কিন্তু অনেকক্ষন দাড়িয়ে দেখবে। আর তাদের সময় বেশী লাগলে ভিতর থেকে আরো গার্ড বের হবে বাইরে চেক করতে। আর সেই সুযোগে আমরা ভিতরে ঢুকবো।(আমি)
.
–ওয়াও। পারফেক্ট প্লান।(হ্যারি)
.
–কিন্তু ওরা যদি আক্রমন করে আমাদের।(লুসি)
.
–আমার মতে করবে না। যতক্ষন পর্যন্ত চালাকি না করো। শুধু সার্কাস দেখাতে থাকবে একটু।(আমি)
.
–ওকে চেষ্টা করবো।(লুসানা)
।।।
।।।
হ্যারির স্পেলের পরেই কিছু গার্ড আসলো। অবশ্য আমরা ছিলাম ঔ লোকটার জায়গার বাইরে। তাই এখানে কোনো সমস্যা হবে না। লুসি এবং লুসানা ওদের ম্যাজিক ট্রিকস দেখাতে লাগলো। আর আমরা সেই সুযোগে পাশ দিয়ে দেওয়াল টপকিয়ে ভিতরে চলে গেলাম। কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম ভিতর থেকে আবার আরেকদল বাইরে যাওয়ার জন্য। যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হলো। কিছু সংখ্যক বের হলো আবারো। আমরা সেই সুযোগে বাসার মধ্যে ঢুকে পরলাম। হ্যারি আর আমি খুব সাবধানে যেতে লাগলাম। অবশ্য ভিতরে দুইজন গার্ডের সাথে দেখা হলো, যাদের দুইজনকেই হ্যারি ওর ম্যাজিক দিয়ে ব্লাস্ট করতে চেয়েছিলো, কিন্তু আমি আমার সোর্ড টেকনিকের মাধ্যমে তাদের বেহুস করে দিলাম। অবশ্য এরপর আমাদের আর কোনো সমস্যা হলো না। আমরা খুব সহজেই সেই পাঁচজনের কক্ষে ঢুকে পরলাম। ভিতরে যেটা দেখতে পেলাম সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমরা। মূলত তাদের খুজতে খুজতে আমাদেরকে এই বাসার মাটির নিচের রুমে প্রবেশ করতে হয়। সুন্দর একটা আন্ডারগ্রাউন্ড রুম বানিয়ে রেখেছে এখানে। বাইরে অনেকগুলো তালা এবং সিল করার কাগজ ছিলো, যেগুলো খোলাই ছিলো। ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলাম অনেকগুলো মৃত শরীর দড়ি দিয়ে বাধা এবং সেগুলো চেইন দিয়ে বাধা রয়েছে। শরীরকে একটা বিশেষ পলিথিন দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে যারজন্য একটা দিয়েও গন্ধ বের হচ্ছে না। পচেও যায় নি একদম। কিন্তু আমি তাদের শরীর থেকে কোনোরকম ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাচ্ছি না। অবশ্য ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাওয়া আমার একটা ক্ষমতা। জিনিসটা অনেক রেয়ার। সবাই এটা পারে না। আর সবচেয়ে অবাক হলাম জীবিত পাঁচটা মেয়েদের দেখে। তারা প্রায় অর্ধ উলঙ্গ রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে তাদের রক্ত বের হচ্ছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাদের কামড় দেওয়া হয়েছে। এবং তার ফলে শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। আমি আশা করছিলাম আমরা সময় মতো পৌছে যাবো। অবশ্য সেটাও হয়েছে মেয়েগুলোকে দড়ি দিয়ে শুধু হাত পিছনে বেধে রাখা হয়েছে। লোকগুলো একপাশে বসে মদপান করছে। আর গল্প করছে মেয়েগুলোর সাথে কিভাবে মজা করবে আজকে। আমি তাদের এই রুম দেখে বুঝতে পারলাম তারা শহরের সুন্দরী মেয়েদেরকে জোর করে তুলে আনে এবং তাদেরকে রেপ করে মেরে এই রুমে ঝুলিয়ে রাখে। লাশের সংখ্যা হিসাব করতে গেলে এখানে আশিটার উপরে হবে। জিনিসটা আমার দ্বারা আর দেখা গেলো না আমি একদম রেগে গেলাম। মূলত হ্যারি প্রথমে আক্রমন করতে চাচ্ছিলো। কিন্তু আমার রাগ এতোটা বেরে গেলো যে আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না। কেউ এখনো আমাদের দুজনকে লক্ষ করে নি। কারন আমরা ভিতরে এসে কোনো শব্দ করি নি এখনো। মেয়েগুলোর জন্য আমার অনেক দুঃখ হচ্ছে। কত নিষ্পাপ মেয়ের জীবন এই পশুরা নিয়েছে। আমি এটা দেখবো সেটা কখনো আশা করি নি। রাগে আমার হাত মুঠো হয়ে গেলো। ডান হাতে আগুন জ্বলতে লাগলো আমার। আমি জানি ভিরুদাকে হাতে নিলে এই আগুন বেরে যাবে। তাছাড়া আমি এখন এখানে আগুন লাগাতে চাই না। অনেক নিষ্পাপ শরীর আছে এখানে যাদেরকে মাটির মধ্যে জায়গা দিতে হবে।
।।।।
।।।।
বেশী রাগের ফলে আমার পিঠ থেকে কখন হাত বের হলো আমি নিজেই লক্ষ করি নি। অবশ্য বরাবরের মতো এবারো এটা আমার নিয়ন্ত্রনে নেই। পাঁচটা হাত হঠাৎ তলোয়ারের রূপ নিয়ে নিলো। আর সেই পাঁচটা লোকের দিকে আক্রমন করলো। লোকগুলো এদিকে ফেরার সময়ও পাইনি। আর সোজা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে গেলো। আর সেটা তাদেরকে সোজা দেওয়ালে গেথে দিলো। অবশ্য আবারো হাতের রূপ নিয়ে আমার পাশে চলে আসলো। কিন্তু তলোয়ার পাঁচটা তাদের পিঠের মধ্যেই রয়ে গেলো। তলোয়ারগুলো একদম সাদা। আমি একরকম ম্যাজিক আগে কখনো দেখি নি। তলোয়ারগুলো অনেকটা পাখির ডানার মতো দেখা যাচ্ছে। লোকগুলো নেশার মধ্যে থাকলেও জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিলো, তাই ক্ষমা চাচ্ছিলো আমাদের কাছে। কিন্তু এবার আর আমাকে কিছু করতে হলো না। হ্যারি সোজা ওদের পাঁচজনের মাথায় ছোট একটা স্প্লোশন স্পেল ব্যবহার করলো। সাথে সাথে ওদের পাঁচজনের মাথা ব্লাস্ট হয়ে গেলো।
.
–এরকম হিংস্র পশুদের জন্য এটাই প্রাপ্ত শাস্তি যারা নিষ্পাপ মেয়েদেরকে রেপ করে হত্যা করে।(হ্যারি)
.
–হ্যা সেটা ঠিক।(আমি)
.
–তো এখন কি করবে?(হ্যারি)
.
–আমাদের একটা কাজ হয়েছে, কিন্তু বাকি কাজ রয়েছে এখনো।(আমি)
.
–কি কাজ?(হ্যারি)
.
–দেখতে থাকো শুধু।(আমি)
।।।
।।।
আমার হাতগুলো আবার নিজেদের ইচ্ছামতো চলছে। এগুলোকে হাত বলাও আজব লাগে আমার কাছে। কারন কারো তো আর অসংখ্য হাত থাকে না। যায়হোক হাতগুলো মেয়েদের মাথার উপরে হাত দিলো। যেপাচটা জীবিত ছিলো তাদের মাথায় হাত দিলো। তারা অনেকটা আহত। তাই আমার হাতের স্পর্শ পেয়ে সাথে সাথে হিল হয়ে গেলো। যত দিন যাচ্ছে এই হিলিং পাওয়ারের ক্ষমতাও বেড়ে চলেছে। আগে কিছুটা সময় লাগতো। তবে এখন খুব শীঘ্রই হিল হয়ে যায়। মেয়েগুলো কেদে দিলো আমাদের দেখে। এটা দুঃখের কাদা না। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের সাথে তেমন কিছু হবে যেমনটা এখানে থাকা বাকি লাশগুলোর সাথে হয়েছে। আমি হ্যারিকে বললাম মেয়েগুলোকে সাবধানে বের করে দিতে। কারন আমাকে এখানে কিছু করতে হবে। অবশ্য এখানে কাল মিলিটারি আসবে। আর তারা সব শরীরের জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিবে। ব্যবস্থা না নিলে তাদের ব্যবস্থা তো ব্লাক ড্রাগন ঠিকই নিবে। যাইহোক আমি দেওয়ালে একটা সঠিক মেসেজ লিখে দিলাম
মেসেজটা এরকম,
।।।
।।।
“” যারা অসহায় গরীবদের হক নষ্ট করবে তাদেরকে ব্লাক ড্রাগন আর্মি শাস্তি দিবে। আর সেই শাস্তি হবে মৃত্যদন্ড। আর এটাই সেটার নমুনা। পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সম্রাট যারা অসৎ পথে অর্থ এবং নিষ্পাপ মেয়েদের তুলে এনে তাদের রেপ এবং হত্যা করেছেন। তাদের এই শাস্তির জন্য তাদের মৃত্য হয়েছে। মিলিটারী এসব আইন দেখছে না। তাই তাদের সাবধান করে দিচ্ছি আইন ঠিকমতো কাজে লাগান। নাহলে পরের শাস্তি আপনাদেরও হতে পারে।””
।।।
।।।
অবশ্য আমি জানি মিলিটারি ধামাচাপা দিয়ে দিবে বিষয় টা। জনগন জানবে না এটার সম্পর্কে। কিন্তু সেটার জন্যও আমার কাছে ভালো একটা প্লান আছে। অবশ্য সেটার জন্য একটু কষ্ট করতে হবে আমাকে। আমি এই ড্রুসলোকটার অফিস রুমে চলে আসলাম। লোকটা বাসার মধ্যেই অফিস খুলে রেখেছে। আমি একটা কাগজ নিলাম। এবং সেখানে একটা উইল লিখে রাখলাম।
।।।
।।।
উইল অনুযায়ী লোকটার যেভাবেই মৃত্যু হোক না কেনো, তার সকল অর্থ গরীবদের মাঝে দিয়ে দেওয়া হবে। অবশ্য এটা আমাকে বাকি চারজনের অফিসে ঢুকেও করতে হবে। আমি ড্রুসের বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। দূর থেকে আমার ইশারা দেখে লুসি এবং লুসানা ও চলে আসলো। গার্ড গুলোও বলদ ছিলো, তারা সার্কাস দেখছিলো গার্ড না দিয়ে। অবশ্য রয়েল গার্ড ছিলো না আজকে। রয়েল গার্ড থাকলো এতো সহজ হতো না। আমি তিনজনকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলাম। ওরা আবার ওদের গোপন বাসায় চলে যাবে। কিন্তু আমাকে বাকি চারজনের অফিসে ডুকে উইল করতে হবে। অবশ্য উইল জিনিসটা খুবই মারাত্মকভাবে মানা হয় আমাদের রাজ্যে। সেটা যেরকমই হোক না কেনো। রাজার সর্বোচ্চ নিয়মের মধ্যে এটা একটা। এটা রাজার পরিবার থেকে শুরু করে সবাইকেই মানতে হবে। কেউ এটার অমান্য করলে তার মৃত্যু হবেই। এখন উইলের তারিখ হিসাবে উইল পরিবর্তন হয়। প্রতিটা রাজবংশের লোকেদের কাছেই উইলের কাগজ থাকে, যাতে তারা মৃত্যুর আগে নিজেদের ইচ্ছা লিখে যেতে পারে। আর তার মৃত্যুর পরে একদম ঠিক তাই করা হবে। আর আমি তো একসাথে সবার অর্থ হাতে হাতে নিয়ে বিলাতে পারবো না। এটাই সবচেয়ে সহজ রাস্তা হবে যাদের অর্থ তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।।।।
।।।।
।।।।
আমার পুরো কাজ শেষ করে আমি ফিরে আসলাম। অবশ্য একা থাকলে এই গুপ্ত কাজগুলো অনেক সহজ হয়। বাকি চারজনের বাসায় যেহেতু তাদের মালিক ছিলো না তাই সকল গার্ড ঘুমাচ্ছিলো। আর তাদের মাঝ থেকে অফিসে যেতে আমার কোনো সমস্যা হয় নি। মূলত অনেকটা সময় আমার লেগেছে। আর আমাকে প্যালেসেও যেতে হবে। প্যালেসে না থাকলে অনেকে সন্দেহ করবে আমার উপরেই। তাই দেরী করা যাবে না। আমি সোজা প্যালেসে চলে গেলাম আবার সেই গুপ্ত রাস্তা দিয়ে। জানি না কালকে কি হবে। কিন্তু অপেক্ষা করছি কালকের জন্য।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।