ভ্যাম্পায়ার কুইন ২ পর্ব-৫৮+৫৯

0
23

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ড্রাকুলা অনেক চালাক হলেও যদিও সে অন্যের মনের কথা না পরতে পারে তাহলে তেমন কিছু করতে পারে না। আমি ভেবেছিলাম ড্রাকুলা আমার প্রস্তাবে না করে দিবে, কিন্তু সেটা হলো না। হয়তো সে অর্থ তৈরীর ভেজালে যেতে চাই না। তাই হয়তো আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, আর আমার প্রস্তাব তার রাজ্যের জন্য অনেক সুবিধারও। কারন তার রাজ্যে তেমন নির্মাণের কোনো কর্মী নেই, বরং প্রজারা নিজেদের ঘর নিজেরা তৈরী করছে, যেটা রাজ্যের সুন্দর্য নষ্ট করছে। এক একজনের বিশ্রী রকম ঘর হচ্ছে, যেটা দেখতে একদমই মানায় না।


জেলিনার সাথে আমার চুক্তি হলো আমাদের অর্থ তাদের রাজ্যেও প্রধান অর্থ হবে, শুধু সেটার বিনিময়ে আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে নয়, বরং এই রাজ্যের পুরো এক বছরের নির্মাণ কাজ ফ্রিতে করে দিতে হবে, যেটা আমাদের রাজ্যের জন্য কিছুটা কষ্টকর হলেও আমি সেটাই রাজি আছি। কারন আমাদের রাজ্যে ডয়ারফসদের অভাব নেই। তাছাড়া এ্যালকোর্ট থেকে আরো অনেক ডয়ারফস আমাদের রাজ্যের দিকেই আসছে। তখন নির্মাণের কাজের জন্য শ্রমিকের অভাব হবে না। এখন ডয়ারফসরা এই রাজ্যে আমি দেখতে পায় নি, যেটা অনেক বড় ভুল করেছে ড্রাকুলা। যাইহোক এই রাজ্যে রানী এলিনাকেই সব হুকুম দিতে হয়, ড্রাকুলা কিছুই করে না। শুনেছি মাঝে মাঝে নাকি দুই একটা পরামর্শ দান করে শুধু। আর অন্য রাজ্যের সাথে মিটিং হলে কথা বলে, তাছাড়া প্যালেসের মধ্যেও তাকে দেখা যায় না সারাদিন।
।।
।।
যাইহোক জেলিনার সাথে আমার চুক্তি হয়ে গেলো। আর বাকি রাজ্যগুলোও পিছিয়ে থাকলো না। কারন বাকি রাজ্যগুলোকে আমি অর্থনৈতিক সাহায্য করতে চেয়েছি। প্রত্যেকটা রাজ্যকে এক মিলিয়ন টাকা আপাতোতো আমাদের রাজ্য থেকে দেওয়া হবে। যেটার ব্যবহার তারা রাজ্যে ছড়ানোর জন্য করবে। এবং বাকি অর্থ আমাদের কাছে পন্য বিক্রী করে তারা পাবে, যেটার ফলে সকল রাজ্যেরই লাভ হবে।
।।।
।।।
যাইহোক আমার প্রস্তাবে ভিঘ্ন ঘঠলো না সেটার জন্য ভালো লাগলো। আমার এই কাজে আমার বোন অনেকটা সাহায্য করেছে আমাকে। তার রাজি হওয়ার ফলে বাকি সকল রাজ্যের রাজা এবং রানীও রাজি হয়ে গেলো। আমি এখানে আসার আগে ভাবি নি তারা একটা রাউন্ড টেবিল তৈরী করেছে, যেখানে এ্যারসাকের রানী, ইগড্রোলিয়ার রাজা, হিমরারের রাজা, নতুন এজগার্ডের রানী, এবং জেলিনার রানী মেম্বার ছিলো। যেহেতু তাদের সবার সাথে চুক্তিতে এসেছি সেটার জন্য আমাদের কুইনকেও এই রাউন্ড টেবিলের সদস্য হতে হবে। আর আপাতোতো আমাদের এই ছয় রাজ্যের রাজা রানীদের মিলে যে রাউন্ড টেবিল তৈরী হলো এটাকে ড্রাকুলা নাম দিয়েছে, “টেবিল অফ সিক্স”। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও এখানে আমার কোনো জায়গা নেই, তবে আমি পরামর্শ দাতা হিসাবে আমাদের কুইনের সাথে আসতে পারবো এখানে। যেমনটা ড্রাকুলা দাড়িয়ে আছে রানী এলিনার পাশে।
।।।
।।।
আমার কাজটা শেষ হওয়ার পর আমি সাথে সাথে মার্ডিলাতে চলে আসলাম। রানীকে সেখানে ঘঠে যাওয়া জিনিসের ব্যাপারে বললাম। আপাতোতো আমাদের কুইন সেখানে ছিলো না বলে রাউন্ড মিটিং স্থগিত হয়ে গেছে, যেটা এক সপ্তাহ সময় পরে আবার বসবে। তখন আমাদের কুইনকে যেতে হবে। আপাতোতো আমি প্যালেস থেকে বের হলাম এবং আমাদের রুক ব্লাক স্মিথের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম। তাকে আমি রাজ্যের ডয়ারফসদের প্রধান করে দিয়েছি, সকল ডয়ারফসদের কাজের বিষয়টা তাকেই দেখতে হয়। ডয়ারফসদের কাজের জন্য একটা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে, যেখান থেকে তারা তাদের কাজের জন্য টাকা পায় প্রতিদিন। যে বিষয়টার জন্য তারা অধিক কাজ করতেও আগ্রহী।
.
–রুক ব্লাক স্মিথ, আমার বিশজনের মতো ভালো ডয়ারফস লাগবে, যাদের জেলিনায় পাঠাতে হবে আজই।(আমি)
.
–ঠিক আছে মিনিস্টার স্যার। তবে জেলিনা রাজ্যে পাঠাতে হবে কেনো জানতে পারি?(রুক ব্লাক স্মিথ)
.
–হ্যা। জেলিনার সাথে চুক্তি হয়েছে, যেখানে আমাদের রাজ্যের মতো তাদের রাজ্যে নির্মানের কাজ করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানও তৈরী করতে হবে যেগুলো আমাদের রাজ্যে তৈরী আছে।(আমি)
.
–ঠিক আছে মিনিস্টার স্যার। আমি এখনি বিশজনকে নিয়োগ করে দিচ্ছি।(ব্লাক স্মিথ)
।।।
।।।
রুক ব্লাক স্মিথ বিশজন ডয়ারফসদের নিযুক্ত করে দিলেন। যাদেরকে আমাদের বিশপ লুইস নিয়ে গেলো টেলিপোর্ট করে জেলিনাতে। আমি গেলাম না, কারন ব্লাক স্মিথের সাথে টাকার উপরে কাজ করতে হবে। এক একটা রাজ্যে এক মিলিয়ন টাকা করে দিতে গেলে অনেক টাকা তৈরী করতে হবে আমাদের। আর টাকা তৈরীর বিষয়টা আমাদের দুজনের মধ্যে গোপন রাখতে হবে এজন্য এখানে অন্য কারো সাহায্য আমি নিতে চেয়েছিলাম না। তবে এখন এতো পরিমান টাকা তৈরীর জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হবেই। আমি আরো পাঁচজন ডয়ারফস নিয়ে আসলাম, যাদের উপরে মাইন্ড কনট্রোল স্পেল ব্যবহার করলাম। যেটার ফলে তারা আমার কনট্রোলে থাকবে যতক্ষন আমি চাইবো। এবং সেই সময়ের মধ্যে কি হবে তারা কিছুই মনে রাখবে না।
।।।
।।।
পুরো দুদিন কাজ করে আমরা আমাদের কাংখিত টাকা তৈরী করে ফেললাম। জেলিনা আমাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য নিবে না, তবে বাকি চার রাজ্যকে চার মিলিয়ন টাকা আমাদের দিতে হবে। সব টাকারই নোট তৈরী করা হয়েছে, যাতে লেনদেন এর সুবিধা হয় অনেক। টাকা তৈরী করতে তেমন সময়ের প্রয়োজন হয় না। তবে সমস্যা হয় সেটা হিসাব করতে। পুরো চার মিলিয়ন টাকার এক এক মিলিয়ন করে আমি গিয়ে এক একটা রাজ্যের প্যালেসে দিয়ে আসলাম। আমাদের কাগজের নোট টা ম্যাজিকাল। যার কারনে এটাকে ছিড়া গেলেও, আগুনে পুরানো কিংবা জ্বলে ভিজালে কিছুই হবে না।
।।।
।।।
যাইহোক আপাতোতো কাজ আমার শেষ, যেটা চেয়েছিলাম সেটাও হয়েছে। নিজেদের অর্থ সকল রাজ্যে চললে তাতে আমাদেরই লাভ হবে। রাজ্যের প্রসার হবে আমাদের সবচেয়ে বেশী। যদিও তাদের এতো সুবিধা দেওয়া ঠিক মনে হচ্ছে না। যাইহোক যা হয় সেটা দেখা যাবে।
।।
।।
দেখতে দেখতে আরো একটা মাস কেটে গেলো। এই এক মাসে আমাদের রাজ্যের চেহারা পুরো বদলে গিয়েছে, অন্য সকল রাজ্যের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কে হওয়ার ফলে আমাদের যে পন্য দরকার পরছে সেটা কিনে আনতে পারছি এখন। তাদের সাথে বানিজ্য করার ফলেই আমাদের রাজ্য আজ অনেকটা আগের পৃথিবীর মতো। যদিও এখনো পুরোপুরি হতে পারে নি, তবে সেরকম শীঘ্রই হয়ে যাবে। আমি প্রথমেই প্লান করেছিলাম আমাদের রাজ্য কিরকম হবে। সে অনুযায়ী প্রত্যেকটা ঘর সারিতে সাজানো রয়েছে, দুটো ঘর পর পর ফাকা রেখেছিলাম যেটা দিয়ে রাস্তা তৈরী হবে। এই কয়েকদিনে পুরো রাজ্য জুড়ে পাকা রাস্তা করা হয়েছে, যেগুলোতে রুক ব্লাক স্মিথের তৈরী যান চলাচল করে, যানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, যাতে সেটার মজা প্রজারাও নিতে পারে।
।।।
।।।
আমাদের সেনারও উন্নতি হয়েছে, আপাতোতো কিছু রুক বাড়িয়েছি। এ্যালকোর্ট থেকে কিছু ভাইকিংস, ভ্যালকেরী এবং কিছু বিস্টম্যানদের এনেছি যাদের আমি রাজ্যের রুক করেছি। আপাতোতো আমাদের রাজ্যে একশো রুক আছে, যাদের কাজ রাজ্যের সুরক্ষা করা। এরা যুদ্ধে সময় কখনো রাজ্যের বাইরে যাবে না। বরং রাজ্যের ভিতরে থেকে শত্রুদের হত্যা করবে।
।।।
।।।
তাছাড়া আমাদের আক্রমন সেনায় আড়াইশো নাইট আছে, যারা পাচঁ নাইট জেনারেল এর অধীনে আছে। আপাতোতো তিনজন বিশপ আছে। এছাড়াও আমাদের রাজ্যের সিমান অনেক বড় হয়েছে, সেই সাথে লোকসংখ্যাও এখন এক লক্ষের উপরে। তাদের মধ্য থেকে এক হাজার সাধারন সেনা নেওয়া হয়েছে যাদের আমি পন বানিয়েছি। একজন পনের ক্ষমতা আমি এখনি লক্ষ করি নি, তবে আমি বলতে পারি আমার থেকে ক্ষমতা পাওয়ার পর একজন পনের ক্ষমতা রানী এলিনার রাজ্যের একজন নাইটের সমান হবে।
।।।
।।।
।।।
আপাতোতো আমার কাজ হলো পন বারানোর। রাজ্যে আমি দশ হাজারের বেশী পন রাখবো, যারা যুদ্ধ করবে। এবং নাইট পরিস্থিতি খারাপ হলে এগিয়ে যাবে। যদইহোক বেশ কিছুদিন হলো আমি একজনের ক্ষমতা অনুভব করতে পারছি এন্জেল ফর্মে আসার পর থেকে। তার ম্যাজিক পাওয়ারও অনেক পরিচিত। আমাদের রাজ্যের আরেকটা বিশপ বানানো যাবে তাকে, তবে সমস্যা হলো তার ম্যাজিক পাওয়ার আসছে মাটির নিচ থেকে, মানে সে আন্ডারওয়ার্ল্ডে থাকে। আমার আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাওয়া সুবিধার মনে হচ্ছে না। তারপরও অনেক কৌতহল বারছে। তাই আমি দেরী করলাম না। আমার এন্জেল ফর্মে আমি যে কোনো ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করে সেটার কাছেই সরাসরি পৌছে যেতে পারি। তাই দেরী করলাম না। যেখান থেকে আমি সেই ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করতে ছিলাম ঠিক সেখানে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। টেলিপোর্ট হয়ে সোজা একটা বিশাল বড় রুমের মধ্যে আসলাম। যেখানে চারপাশে মশাল জ্বলছে। মশালের আলোতে বিশাল রুম আলোকিত হয়ে আছে। আমি চারপাশ লক্ষ করতে লাগলাম। অনেক সুন্দর করে রুমটা বানানো হয়েছে। হয়তো এটা কোনো প্যালেসের কক্ষ হবে। আমার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো। তবে আপাতোতো বাইরে যেতে হলো না। কারন একদম মাঝখানে একটা ছোট পানির পুকুর রয়েছে, প্রথমে পানির পুকুর ভাবলেও পরে দেখতে পেলাম সেটা রক্তের পুকুর। যার মাঝখানে অনেকগুলো মেয়ে রয়েছে। সবাইকে গোল করে রাখা হয়েছে, যেখানে সবার হাত এবং পা কে একধরনের ম্যাজিকাল শিকল দিয়ে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। আর আরেকটা মেয়েকে আলাদা ভাবে সবার থেকে উপরে এবং একদম মাঝখানে রাখা হয়েছে, যার পুরো শরীরই শিকল দিয়ে বাধা। এখানে পুরো আঠারো জনের মতো মেয়ে হবে, যারা এক একজন এক এক গোত্রের। দুজন এন্জেল রয়েছে তাদের মধ্যে, তাছাড়া বাকি সবাই সাকুবিচ এবং ডেভিল। মাঝখানের মেয়েটাকে ভালো করে লক্ষ করে দেখলাম সে জেসি।
।।।
।।।
কিন্তু তাদের এরূপ অবস্থা কেনো সেটা আমি বলতে পারি না। আমি এর আগেও জেসির গলায় একটা শিকল লক্ষ করেছিলাম, যেটার উপরে তেমন গুরুত্ব দেই নাই। তবে এখন এদেরকে দেখে মনে হচ্ছে, এখানের সবাইকে ডেভিল কিং এই শিকল গুলোর মাধ্যমেই কনট্রোল করে। আমি এন্জেল ফর্মে থাকায় আমি এসবকে এখন স্পর্শ করতে পারবো না। কারন এগুলো আমও এভাবে স্পর্শ করলে এখানের সবাই অনেক গুরুতর ভাবে লাইটনিং এর শক খাবে।
।।।
।।।
এই চেইন স্পেলের সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারনা আছে। এটাকে ডেভিল কিংরা ব্যবহার করতো কাউকে তার গোলাম করার জন্য। যেটা বিশেষ করে আগের সকল ডেভিল কিং মহিলাদের উপরে ব্যবহার করতো। একবার গলায় শিকল দিতে পারলেই সারা জীবনের জন্য সে ডেভিল কিং এর গোলাম হয়ে যাবে। আর এইখানে যে বিষয়টা হচ্ছে সেটা খুব সাংঘাতিক।
।।।
।।।
এই ছোট রক্তের পুকুরটাকে বলা হয় ব্লাড রিচুয়াল। যেটা দ্বারা ডেভিল কিং এর স্ত্রী নির্বাচন করা হয়। যাকে মাঝখানে রাখা হবে, সে আশেপাশের সকল মেয়ের লাইফ এনার্জি শোষন করবে। এতে করে চারপাশে থাকা সবাই মারা গিয়ে অত্যাধুনিক ক্ষমতা অর্জন করবে মাঝের জন। এটা অনেক পুরাতন এবং ভয়ানক পদ্ধতি। এটা দ্বারা ডেভিল কিং কি করতে চাচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। সে কি জেসিকে তার স্ত্রী বানাবে? কিন্তু সে যে স্পেল ব্যবহার করছে এটা অনেক ভয়ংকর। এটা সম্পূর্ণ হলে জেসি মারাও যেতে পারে, যেটা আমি কখনো হতে দিতে পারবো না। আমি এন্জেল ফর্মে কিছু করতে পারবো না। আর মানুষের ফর্মে যদি এই ব্লাডের মধ্যে পা দেই, তাহলে আমার শরীর থেকেও এনার্জি বের হয়ে জেসির কাছে চলে যাবে। এবং কিছুক্ষনের মধ্যে আমি মারা যাবো। তাই যা করতে হবে ভেবেচিন্তে করতে হবে।
।।।
।।।
আমি আমার মানুষের ফর্মে চলে আসলাম। এবং আমার পিছন থেকে গডহ্যান্ড বের করলাম। পুরো একশো হাত বের করলাম, এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করলাম। এখন একশো হাত নিয়ন্ত্রন করতে পারি সহজেই, তবে এর বেশী নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। আমি এই গডহ্যান্ডের পুরো ব্যবহার এখনো জানি না। তবে চেক করে দেখা যাক এটা কি এই চেইনগুলোকে ভাঙতে পারে কিনা। আমার গডহ্যান্ড দিয়ে আমি প্রথমে জেসির চেইনে ধরে টান ছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো সেটাকে ছিড়ার। তবে সেটা হলো না। এতো শক্ত শিকল গুলো যে গড্যান্ডের শক্তিতেও কাজ হবে না। আমি এরপর আমার হাতে এক্সোভিলিরা নিলাম। যেটা দিয়ে শিকল গুলোকে কাটার উদ্দেশ্য ছিলো। মেয়ে গুলো একটা স্লিপিং স্পেলের মধ্যে আছে। যার জন্য তারা ঘুমাচ্ছে। তাই কোনো চিন্তার বিষয় হবে বলে মনে হয় না। তবে হঠাৎ ই পিছন থেকে আওয়াজ হলো,
.
–আমার রাজ্যে, আমার সিংহাসনে এবং আমার হবু স্ত্রী কাছে কি করা হচ্ছে?(পিছন থেকে আওয়াজ আসলো)
।।।
।।।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখতে পেলাম সেটা ডেভিল কিং নিজে দাড়িয়ে আছে। তার মাথায়ও একটা হুড, যার কারনে তার চেহারা দেখা যাচ্ছে না। মূলত তার চেহারা আমি আগের বারও তার সাথে লড়ার সময় দেখতে পায় নি। মুখের জায়গায় একদম কালো, মনে হয় না তার কোনো চেহারা আছে। যায়হোক ডেভিল কিং এর হাতে দ্যা ব্লাক সোর্ড দেখতে পেলাম। যেটা অনেকটা ভয়ানক ব্যাপার। সেটার একটা স্পর্শ এবং আমি সোজা সেই তলোয়ারের ভিতরে চলে যাবো বলে মনে হচ্ছে। তারপরও একটা রিক্স নেওয়া যায়। দ্যা ব্লাক সোর্ড কি করতে পারে সেটা তো দেখা যাবে। আমি আমার এন্জেল ফর্মে চলে আসলাম। ডেভিল কিং এর সাথপ এন্জেল কিং এর ফর্মেই লড়তে হবে, তাহলে আমার কিছুটা এডভান্টেজ থাকতে পারে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫৯
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি ডেভিল কিং কে দেখতে পেয়ে কিছুটা ভয় পেয়েছি। কারন তার হাতে রয়েছে দ্যা ব্লাক সোর্ড। যেটা আগের দুনিয়ার অল ব্লাক ন্যাকরো সোর্ডের সামান্য ব্লেড দিয়ে তৈরী। যদিও সেটার মাঝে ব্লাক ড্রাগনেরও ক্ষমতা আছে। তবে আমার চিন্তা ন্যাকরো সোর্ডের জন্য হচ্ছে। যেটা যেকোনো জিনিসকে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিতে পারে। অবশ্য আমি এখনে সিওর না এটাকে পুরোপুরি ডেভিল কিং নিয়ন্ত্রন করতে পারে কিনা, তবে আগের দুনিয়ায় ন্যাকরো সোর্ডকে কেউ নিজ ইচ্ছায় নিয়ন্ত্রন করতে পারতো না। বরং সেই ন্যাকরো সোর্ডই ব্যবহারকারীকে নিয়ন্ত্রন করতো। তবে যেহেতু ন্যাকরো সোর্ডের সামান্য ছোট একটা ব্লেডে তৈরী এটা তাই মনে হয় না সেই সমস্যা হবে। যাইহোক ডেভিল কিং আমার সাথে কথা বলতে লাগলো।
.
–তাহলে জ্যাক দ্যা গ্রেট এখন তার ফর্ম গুলো নিয়ন্ত্রন করতে পারে।(ডেভিল কিং)
.
–আমার ফর্ম গুলো সম্পর্কে আপনি জানেন কিভাবে?(আমি)
.
–আমি জানি কিভাবে সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো আমার রাজ্যে, আমার প্যালেসে কি করছেন?(ডেভিল কিং)
.
–এই একটু ঘুরতে এসেছিলাম। তবে আসার পরে কিছু ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখে ফেললাম।(আমি)
.
–ও আমি চাচ্ছিলাম আপনার সাথে দেখা করতে, কিন্তু দেখুন ভাগ্য কত সহায় আমার। আপনি নিজেই চলে আসলেন আমার কাছে।(ডেভিল কিং)
.
–হ্যা সেটা ঠিক। আমারও নতুন আন্ডারওয়ার্ল্ড দেখার অনেক ইচ্ছা ছিলো।(আমি)
.
–হ্যা প্রথমে আপনার গডহ্যান্ডের ক্ষমতা আমার করে নিবো, তারপর আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্যালেসের উপরে আপনাকে ঝুলিয়ে রাখবো, তখন মন মতো দেখতে পারবেন এই জায়গাকে।(ডেভিল কিং)
.
–আপনার চিন্তা ভাবনা অনেক দূর পর্যন্ত। যাইহোক আমার একটা প্রশ্ন আছে?(আমি)
।।।
।।।
আমি ডেভিল কিং এর একদম সামনে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। এবং একটা ঘুষি দিলাম ডেভিল কিং এর বুকে। যে ঘুষিটা খাওয়ার পর সে কয়েকটা দেওয়াল ভেঙে অনেক দূরে গিয়ে পরলো। তবে উঠে সে আবার আমার দিকেই হেটে হেটে আস্তে লাগলো,
.
–বলতে হবে ঘুষিতে অনেক জোড় ছিলো। তবে এরকম ঘুষিতে আমার কিছুই হবে না। তো কি প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন, করুন। আমি আবার কাউকে হত্যা করার আগে তার মনের সব প্রশ্নের উত্তরই দিয়ে দেই।(ডেভিল কিং)
.
–আপনি নিশ্চয় আগের দুনিয়া সম্পর্কে জানেন তাই না। তাছাড়া নিশ্চয় আমার সত্ত্বা গুলো সম্পর্কেও আপনার ধারনা আছে।(আমি)
.
–হ্যা।(ডেভিল কিং)
.
–আমার ডেভিল সত্ত্বার ছোট একটা অংশ যে কিনা আলাদা একটা ফর্মেই আছে, সে আমাকে বলেছিলো এই দুনিয়ার যে ডেভিল কিং তার কাছে আমার পুরো ডেভিল সত্ত্বাটা আছে। তবে আমার মনে হচ্ছে না আপনার ভিতরে আমার ডেভিল সত্ত্বা। বরং আপনি নিজেই আমার ডেভিল সত্ত্বা।(আমি)
.
–হাহাহাহাহা। বলতে হবে এই দুনিয়াতে আসার পর থেকে অনেক বুদ্ধিমান হয়ে গেছো।(ডেভিল কিং)
।।।
।।।
ডেভিল কিং আর কিছু না বলে আমার মুখের উপরে একটা ঘুষি মারতে গেলো, তবে আমার স্পিড বেশী হওয়ায় আমি এক ঘুষিতে ডেভিল কিংকে আবারো দূরে পাঠিয়ে দিলাম। এবার আগের থেকেও বেশী জোরে ঘুষি দিয়েছি, যেটার কারনে ডেভিল কিং পুরো প্যালেসের বাইরে গিয়ে পরলো। তবে এবার সাথে সাথে আমার সামনে টেলিপোর্ট হয়ে আসলো। এবং আমার পেটে একটা ঘুষি দিলো, যেটা অনেক মারাত্মক ছিলো। আমি আমার জায়গা থেকে সরি নি, তবে আমার মুখ দিয়ে একটা ঘুষিতে রক্ত বের হওয়া শুরু করলো।
।।।।
।।।।
আমি যেহেতু এন্জেল ফর্মে ছিলাম তাই আঘাতটা সাথে সাথে হিল হয়ে গেলো। আমি এখনো আমার পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করি নি। ডেভিল কিং কে যতটা শক্তিশালী ভেবেছিলাম ততটা শক্তিশালী
সে না। তার কারনও আমি বুঝতে পেরেছি। আমি এবার আমার আল্ট্রা স্পিডে ডেভিল কিং কে ঘুষি এবং লাথি মারতে শুরু করলাম। যেটার একটার আঘাত খেলে পুরো একটা পর্বত গায়েব হয়ে যাবে। আমার ঘুষি এবং লাথি গুলো আমি ডেভিল কিং এর প্রতিটা অস্থিতে মেরেছি, যার ফলে সে ফ্লোরে পরে গেলো। তার সবগুলো পেশী কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমি জানি সেগুলো খুব তারাতারি ঠিক হয়ে যাবে। আর এজন্য আমারও সময় নষ্ট করার যাবে না। আমি ভাবলাম এই সুযোগে পুরো ডেভিল কিং কেই শেষ করে ফেলি, কারন তার অবস্থা এখন অনেকটা খারাপ।
।।।
।।।
ডেভিল কিং আমার আঘাতের ফলে নরতেও পারছে না। যেটা আমার জন্য অনেক ভালো সুযোগ তাকে শেষ করে, আমার ডেভিল সত্ত্বাকে আমার শরীরে নেওয়া। তবে যদিও আমার এন্জেল ফর্মের ক্ষমতা ডেভিল কিং এর থেকে অনেক বেশী তারপরও আমি বুঝতে পারছি না এতো সহজে হারার কথা নয় ডেভিল কিং এর। সে এখনো আমার বিরুদ্ধে ব্লাক সোর্ড ব্যবহার করে নি। সেটা করলে হয়তো অনেকটা আলাদা রিসাল্ট হতো। আমি ডেভিল কিং কে শেষ করার জন্য তার বুকের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তার হৃদপিন্ড বের করলাম। এটা খেলেই নাকি ডেভিল সত্ত্বার ক্ষমতা আমার মাঝে চলে আসবে। যদিও আমি চাচ্ছিলাম না ডেভিল পাওয়ারটা। তবে সেটাও আমার দরকার। একবার ডেভিল পাওয়ারটা আমার মাঝে চলে আসলে তখন এই দুনিয়াতে আমারই রাজ চলবে।
।।।
।।।
আমি ডেভিল কিং এর হৃদপিন্ড বের করলাম। যেটা একদম কালো রক্তে ভরপুর। এটা দেখার পরই বমি করতে মন চাচ্ছে আমার। কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলাম আমি সেটার দিকে। আর ভাবতে লাগলাম, একটা ডেভিল কিং কে হত্যা করা কি এতো সহজ?
।।।।।
।।।।।
তখনি আমার হাতের হৃদপিন্ড আবারো ডেভিল কিং এর বুকের মধ্যে চলে গেলো। এবং আমি অনুভব করতে পারলাম আমার শরীরের ম্যাজিক পাওয়ার আস্তে আস্তে করে সব হারিয়ে যাচ্ছে। ডেভিল কিং এর দিকে তাকিয়ে লক্ষ করলাম সে মুচকি মুচকি হাসছে।
.
–হাহাহাহা। এতো সহজ ভাবে ডেভিল কিং কে হারানো যায় না।(ডেভিল কিং)
.
–আমি জানতাম দ্যা ব্লাক সোর্ড।(আমি)
।।।
।।।
ডেভিল কিং এর পুরো ডান হাতে দ্যা ব্লাক সোর্ড এবজোর্ব হয়ে গেছে, যেটা তার শরীরকে অসম্ভব আকারের ক্ষমতা দান করেছে। আর তার শরীরের সাথে আমার স্পর্শ হওয়ার ফলে আমার ম্যাজিক পাওয়ার সে এবজোর্ব করে নিচ্ছে। যেটা তাকে আরো শক্তিশালী করে দিয়েছে।
.
–তুমি ঠিকই ধারনা করেছো জ্যাক। আমি তোমার শরীরে থাকা সেই ডেভিল সত্ত্বা। তবে একটা জিনিস ভুল ভেবেছো, আমি তোমার ডেভিল সত্ত্বা নই। বরং তোমার আগে যে ডেভিল কিং ছিলো সাটান ক্রস, আমি তার ডেভিল সত্ত্বা। এক হিসাবে বলতে পারো আমি নিজেই সাটান ক্রস।(ডেভিল কিং)
.
–আমি এরকম জিনিস ভেবেছিলাম। সাটান ক্রস মারা যাওয়ার আগে একটা স্পেল ব্যবহার করেছিলো, কেউ জানে না সেটা কিসের স্পেল ছিলো, কেউ ধারনা করে সেটা নতুন ডেভিল কিং নির্বাচনের, আবার কেউ ধারনা করে সেটা দুনিয়া ধ্বংসের। তবে সেটা আসলেই একটা মেমোরী রেইনকার্নেশন স্পেল ছিলো। যেটা দ্বারা একজন আরেকজনের শরীরে সত্ত্বার রূপে বাস করে।(আমি)
.
–আমাকে যখন আমার নিজের কন্যা সহ সকল মনস্টার মিলে ধোকা দিলো তখনি আমি এই স্পেল ব্যবহার করি, যেটার ফলে পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ড তৈরী করার পরে সেটার মধ্যে আমার মেমোরী বা স্মৃতি রয়ে যায়। এবং যখন তুমি ডেভিল কিং হলে আন্ডারওয়ার্ল্ডে এসে, তখন তোমার শরীরের মধ্য যে ডেভিল সত্ত্বা ছিলো, সেটার জায়গা আমি নিয়ে নেই। অবশ্য আমার প্লান ছিলো তোমার শরীর কে আমার নিজের করে নেওয়া। তবে তোমার শরীরের মাঝে এই এন্জেল সত্ত্বাটা সেটা হতে দেই নি। তারজন্য আমাকে প্লান দুই ব্যবহার করতে হয়েছে।(ডেভিল কিং)
.
–এখন সবকিছু আমার মাথায় ক্লিয়ার। আপনি আমার শরীর নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না, এটা ভালো করেই জানতেন। এজন্য আপনি আমার বোনকে ব্যবহার করেছেন। যার দ্বারা আপনি এই নতুন দুনিয়া তৈরী করেছেন। এবং এখানে নিজের শরীরকে মুক্ত করেছেন।(আমি)
.
–একটা লেগেসি তৈরী অনেক পূর্বে, দুজন সন্তান জন্ম নিবে, যারা একসাথে ডেভিল এবং এন্জেল দুটোর রক্ত বহন করবে তাদের শরীরে। একজন হবে কন্যা এবং একজন হবে পুত্র। দুজনে মিলে দুনিয়াকে পাল্টে দিবে এবং তখন তৈরী হবে নতুন একটা দুনিয়া। প্রথমে আমি এই লেগেসি বুঝতে পারি নি। তবে আমার মৃত্যুর পরে আমি অনেক ডেভিল এর শরীরে গিয়ে এটা নিয়ে রিচার্জ করেছি। এবং শেষমেষে আমি পেয়ে যায় এর অর্থ।(ডেভিল কিং)
.
–যেটা হলো দুনিয়াকে ধ্বংস করে আবার তৈরী করা। এবং সেই প্রত্র এবং কন্যা হলাম আমরা দুই ভাই বোন।(আমি)
.
–হ্যা। আমার দুটো প্লান ছিলো। আমি একটা ডেভিল এর শরীরে একদিনের বেশী থাকতে পারতাম না। কারন তাদের শরীর আমার জন্য পারফেক্ট ছিলো না। আমার অতি শীঘ্রই একটা ডেভিল কিং দরকার ছিলো, যার শরীরকে আমি নিজের করতে পারবো। কিন্তু কোনো ডেভিল কিং ই হাজার বছরের মধ্যে জন্ম নিলো না। তখন হঠাৎ আমি মনস্টার ওয়ার্ল্ডে অনুভব করলাম দুটি শক্তিশালী ম্যাজিক পাওয়ার, যেটার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম লেগেসির দুই বাচ্চা জন্ম নিয়েছি। আমি প্রথমে ধারনা করি নি, ডেভিল কিং সেই পুত্রটা হবে। তারপরও আমি আমার কিছুটা ক্ষমতা আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে মনস্টার ওয়ার্ল্ডে তখন তোমার সৎ মায়ের কাছে পাঠায়, যার ফলে তার মাঝে লোভের জন্ম নেই, এবং সে তোমার বাবাকে কনট্রোল করে ফেলে, এবং আমার ক্ষমতার ফলে পুরো রাজ্য ঝুড়ে তখন ডেভিল কিং এর ভয় দেখা যায়। আর যেহেতু তুমি ডেভিল কিং হবে, তাই তোমাকে হত্যার ব্যবস্থা নেই তোমার বাবা। যেটা অনেক মজার ছিলো দেখতে। এরপর আরো কতকিছু হয়ে গেলো। তোমার আম্মা মারা গেলো ঠিক তোমার বাবা হাতেই, তোমাকে সুরক্ষা করতে গিয়ে সে নিজের জীবন দিয়ে দিলো। তখনো আমি আন্ডারওয়ার্ল্ডে বন্ধী ছিলাম, নাহলে তোমার শরীরকে আমি নিজের করে নিতে পারতাম, কিন্তু তার আগেই তোমাকে তোমার আম্মা মারা যাওয়ার আগে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেই, যেখানে আমি তোমার খোজ করতে পারি নি। তবে একটা জিনিস খুব ইন্টারেস্টিং ছিলো। তোমার বোন যখন কিছুটা বড় হয় তখন একদিন আন্ডারওয়ার্ল্ডের গেইট খুলে দেই। আমি নিজেও অবাক ছিলাম, রাজা ছাড়া কেউ কোনোদিন আন্ডারওয়ার্ল্ডের গেইট খুলতে পারে না। কিন্তু সে আলাদা ছিলো। ঠিক তখনি আমার সাথে যোগাযোগ হয় তোমার বোনের সাথে। তোমার বোনের একটাই ইচ্ছা ছিলো, সেটা হলো একটা সুন্দর জায়গায় সে এবং তার ভাই একসাথে যেনো থাকতে পারে। তখন তাকে আমি আশা দিলাম তার ইচ্ছা আমি পূরণ করবো। আর আমি তার শরীরকে তখন তখন আমার নিজের কনট্রোলে করে নিলাম। তার শরীরেও এন্জেল সত্ত্বা ছিলো একটা, যেটার কারনে সপ্তাহে একবারই আমি তার শরীরকে ব্যবহার করতে পারতাম। যেটা আমার জন্য অনেক ছিলো। আমি কারো শরীরে না ঢোকা ছাড়া কিছুই করতে পারতাম না। যদিও তোমার বোনের শরীরে ঢুকলে আমি সেটা নিয়ন্ত্রন করতে পারতাম না পুরোপুরি, বরং তার চেতনা এতো শক্তিশালী ছিলো যে সেটা নিয়ন্ত্রন করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। এজন্য আমি তার সাহায্য নিতে শুরু করলাম। সে সকল প্রকার তথ্য জোগাড় করতে শুরু করলো আমার আদেশ মতো। আমি তাকে যা বলতাম সেটাই করতে শুরু করো। এবং শেষমেষে আমাদের এই নতুন দুনিয়া। তার সাথে থেকে আমি তাকে নিজের করে নিয়েছি, এজন্য আমি সারাজীবনের জন্য তাকে এখন নিজের করতে চাই। এই রিচুয়াল এর পরে আমি এবং জেসি সারাজীবনের জন্য এক হয়ে যাবো।(ডেভিল কিং)
।।
।।
ডেভিল কিং এর কথা গুলো শুধু বকবক মনে হলো আমার কাছে। যদিও একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি এই সব কয়টা বছর আমার বোনটা অনেক দুঃখে ছিলো। এমন দুঃখ যেটা সে তার ভাইকে পাওয়ার পরও বলতে পারে নি। আমি চাই না আমার বোনকে আরো কোনো দুংখ দিতে। তাই ডেভিল কিং সাটান ক্রসের দিন শেষ করতে হবে।
.
–তোমার তোমার বোনকে, যে এই নতুন দুনিয়া তৈরী করেছে, যেখানে আমাকে অন্য কারো শরীরে ঢোকার প্রয়োজন হয় না বরং আমার সত্ত্বা এই দুনিয়াতে নতুন জীবন পেয়েছে, এখন আমার নিজেরই শরীর রয়েছে, তবে এটা এখনো সম্পূর্ন নয়। আমি তোমার বোনকে বিবাহ করবো। যার থেকে আমাদের বাচ্চা হবে, আর সেই বাচ্চার শরীরে আমি প্রবেশ করে তার শরীরকে নিজের করে নিবো, যেমনটা তুমি এই দুনিয়ার একটা শরীর নিজের করেছো।(ডেভিল কিং)
.
–সব আশা সব সময় সম্পূর্ন হয় না।(আমি)
।।
।।
আমি এতোক্ষন এন্জেল ফর্মে ছিলাম। কিন্তু ডেভিল কিং এর কথা তালে তালে আমি আমার মানুষের ফর্মে চলে এসেছি। সে কথায় এতো বিজি ছিলো সেটা খেয়ালই করে নি। এই সুযোগে আমি গডহ্যান্ডের আরেকটা ক্ষমতা আবিষ্কার করেছি, যেটা হলো স্পেল ক্যান্সেলেশন। অনেক ভয়ানক একটা ক্ষমতা, যেটা দিয়ে যেকোনো স্পেল কিংবা ম্যাজিক পাওয়ার ক্যান্সেল করে দেওয়া যায়। আর আমার পিছন থেকে একটা গডহ্যান্ডের হাত বের করে আমি সেটা দিয়ে ডেভিল কিং এর ব্লাড রিচুয়াল এর স্পেল ক্যান্সেল করে দিলাম। যেটার ফলে বাকি মেয়েদের এনার্জি আর জেসির মধ্যে যাচ্ছে না। ডেভিল কিং এটা খেয়াল করে নি। তবে আমি জানি সে আমার উপরে হামলা করবে এখন। তার একমাত্র চিন্তা আমাকে এবজোর্ব করা। আমাকে যদি সে এবজোর্ব করতে পারে তাহলো গডহ্যান্ডের ক্ষমতা তার হয়ে যাবে। আর মানুষের ফর্মে সেটা অনেক ভয়ানক আমার জন্য।
।।।
।।।
ডেভিল কিং এর ব্লাক সোর্ড তার ডানহাতে এবজোর্ব হয়ে আছে, যার ফলে তার ডান হাতের স্পর্শ আমার শরীরে লাগলে আমি উধাও হয়ে যাবো। আমার এন্জেল ফর্ম শক্তিশালী হওয়ার ফলে শুধু আমার ম্যাজিক পাওয়ার হারিয়েছে, তবে মানুষের ফর্মে স্পর্শ লাগলে আমার পুরো শরীর ব্লাক সোর্ডের মাঝে এবজোর্ব হয়ে যাবে। যেটা অনেক মারাত্মক। তাই সময় নষ্ট করা যাবে না এখন আর। আমার যেটা দরকার ছিলো সেটা আমি পেয়ে গেছি, বাকিটুকু হলো এখান থেকে বের হওয়া।
।।।
।।।
ডেভিল কিং এর ডান হাতে এতোক্ষন তলোয়ারটা এবজোর্ব হয়ে থাকলেও, এখন সেটা তার হাতে চলে এসেছে, যেটা দিয়ে সে স্লাইস করতে যাবে আমাকে, গডহ্যান্ডের স্পেল ক্যান্সেলেশন ক্ষমার সাথে আমি আরেকটা ক্ষমতা পেয়েছি যেটা হলো ফরসাইট। এই ক্ষমতা একদম আমার আগের দুনিয়ার আম্মার মতোই, তবে এটা দ্বারা আমি ত্রিশ সেকেন্ড ভবিষ্যতে দেখতে পায়, আর আমার আম্মা অনেক বছর ভবিষ্যতেও দেখতে পারতেন। তবে ত্রিশ সেকেন্ড অনেক বেশী সময়। যার দ্বারা আমি ডেভিল কিং এর পরবর্তী পদক্ষেপ দেখতে পেলাম। সে সোজা আমার বুক বরাবর দুটো স্লাইস দিবে, স্লাইসটা এতো তারাতারি হবে যে আমি বুঝতেই পারবো না। আর আমার বুকে দুটো আঘাত লাগার পরে আমি আস্তে আস্তে তলোয়ারের মাঝে ঢুকে যাবো।
।।।
।।।
ব্যাপারটা অনেক বাজে দিকে যাচ্ছে। তবে এভাবে আবদ্ধ থাকলে হবে না। এতোক্ষনে আমার গডহ্যান্ড সবার গলার চেইনও ক্যান্সেল করে দিয়েছে। দুনিয়াতে এমন কোনো স্পেল নেই যেটা এখন আমার গডহ্যান্ড ক্যান্সেল করতে পারবে না। তবে সমস্যা হলো আমাকে গডহ্যান্ডগুলো দিয়ে স্পর্শ করতে হবে সেটালে ক্যান্সেল করার জন্য। আমি এবার সাথে সাথে আমার সকল গডহ্যান্ড পিছন থেকে বের করলাম। এবং সবগুলো মেয়ের শরীরে স্পর্শ করলাম সে দিয়ে। ডেভিল কিং এর স্লাইসটা অনেক মারাত্মক হবে, যেটার একটায় আমার গলা কেটে দিতে পারবে। ফরসাইট ক্ষমতা শুধু আমাকে এক রকম ভবিষ্যতে ত্রিশ সেকেন্ড সামনে দেখাচ্ছে না, বরং আমি কোন পদক্ষেপ নিলে কেমন ভবিষ্যত হবে সেটাও দেখাচ্ছে। অবশ্য এটা একটা চিটিং ক্ষমতা, এটা কারো কাছে না থাকায় ভালো। তবে যেহেতু আমার কাছে আছে তাই এটাকে ব্যবহার করায় ভালো। আমি দাড়িয়ে থাকলাম না। আমার হাতে এক্সোভিলিরা নিয়ে নিলাম। এবং আমার সামনে একটা পোর্টাল তৈরী করলাম। সেই পোর্টাল গিয়ে বের হয়েছে ঠিক ডেভিল কিং পাশ দিয়ে। ডেভিল কিং এর দুটো স্লাইস আমার দিকেই আসছিলো, তবে সেটা পোর্টাল দিয়ে ঢুকে আবার তার পাশ দিয়েই বের হয়ে গেলো। সে এটা তারাতারিই লক্ষ করলো, এবং দূরে সরে গেলো,
.
–তাহলে তোমার কাছে এখনো এক্সোনিয়া আছে, একমাত্র তলোয়ার যেটা ডেভিলদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী কাজ করে।(ডেভিল কিং)
.
–হ্যা। তবে আমি এটাকে আরো আপডেট করেছি।(আমি)
।।।
।।।
ডেভিল কিং স্লাইসটা একটু সরে নিজের তলোয়ারে এবজোর্ব করে নিলো। আমি এই সুযোগে সব গুলো মেয়েকে ধরে ফেললাম আমার গডহ্যান্ড দিয়ে, যেহেতু আমি রিচুয়াল স্পেল ক্যান্সেল করেছি তাই এখন কোনো সমস্যা হবে না। আমি একটা পোর্টাল তৈরী করলাম আমার সামনে। এবং সাথে সাথে আমার জেট ক্ষমতা ব্যবহার করলাম। অনেকদিন হলো এটা ব্যবহার করা হয় না। তাই পুরো স্পিডে আমি পোর্টালে এগিয়ে গেলাম। আমি আর দেরী না করে সোজা পোর্টালের মধ্যে ঢুকে গেলাম। সাথে করে সব মেয়েগুলোও চলে আসলে। ডেভিল কিং হয়তো এটা আশা করে নি আমার থেকে। যায় হোক আমি আপাতোতো খুশি যে জেসিকে নিয়ে আসতে পেরেছি।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।