গল্প- #জুলিয়েট
লেখনীতে #মেহরিমা_আফরিন
৬.
সকাল হয়েছে আরো কিছুক্ষণ আগে।বাড়ির সামনের জাম গাছের ডালে দু’টো পাখি পাশাপাশি বসেছিল।গলিতে ভাঙারি বেচাকেনার লোকটা গলা ছেড়ে হাঁক দিচ্ছিলো।
জেসমিন খুব ব্যস্ত পায়ে রূপসার ঘরে প্রবেশ করলেন।রূপসা খাটের উপর দুই পা তুলে নতুন বউদের মতো বসেছিল।জেসমিন তাকে তাড়া দিলেন,’রূপ! এ্যাই রূপ।তুমি এখনো রেডি হওনি?’
রূপসা চোখ তুলল,কিছুটা অলস ভঙ্গিতে।তারপর খাটের সাথে ঠেস দিয়ে বলল,’হচ্ছি।আরেকটু পর হবো না হয়।’
জেসমিন কোমরে হাত রেখে বললেন,’সে কেমন কথা?তারা একটু পরেই চলে আসবে।শাড়ি টা অন্তত পরে নাও।’
রূপসা গা ছাড়া ভঙ্গিতে উঠে দাঁড়ালো।তার শরীর টলছে।সে চলতে পারছে না ঠিকঠাক।কাল রাতে তার ঘুম হয়নি।বাবাকে সে বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলে দিয়েছে।অথচ তার ভেতর বিন্দু পরিমান বিয়ের ইচ্ছে নেই।সে এখনো জানে না পাত্র কে।জানার ইচ্ছেও হয়নি।আজ তারা বাড়ি আসছে।বাড়ি আসলেই সে তাকে দেখে নিবে।
আলমারি ঘেটে সে যেই শাড়িটা হাতে নিলো,তার রঙ কালো।জেসমিন কপাল কুঁচকে বললেন,’কালো রঙের শাড়ি পরবে তুমি?’
রূপসা মাথা নামিয়ে বলল,’হুম।’
জেসমিন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নিচে চলে গেলেন।আজ বাড়িতে পাত্রপক্ষ আসবে।আপ্যায়নের সমস্ত দায়িত্ব জেসমিনের কাঁধেই পড়েছে।সে শাড়ির আঁচলটা কোমরে গুজে সেই সকাল থেকেই রান্নার তোড়জোড় নিয়ে ব্যস্ত।রূপম কাল ব্যাগভর্তি বাজার করেছে।টাকাটা যদিও রাজিব সাহেবই দিয়েছেন।তবে নিজের হাতে না,রূপসার মাধ্যমে।
রূপম গুন গুন করতে করতে বাড়ি এলো।খাবার টেবিলের সামনে জেসমিনের সাথে দেখা হতেই সে মুখ কুঁচকালো।জেসমিন সেটা গায়ে মাখলেন না।রোজ রোজ এসব দেখতে দেখতে এখন তার সয়ে গেছে।রূপমের এমন নাক ছিটকানো তার মাঝে কোনো বিশেষ অনুভূতির সঞ্চার করে না।না রাগ,না ঘৃণা।
জেসমিন কপাল মুছে বললেন,’চেয়ারে বসো রূপম।এখনও তো নাস্তা করো নি।’
রূপম মুখ শক্ত করে বলল,’আমি নাস্তা করে এসেছি।’
‘সেকি! আমি যে এতোকিছু করলাম তোমার জন্য।’
‘তোমার বর কে খাওয়াও সব।আমি খাবো না।’
রূপম ধুপ ধাপ করে হেঁটে চলে গেল।জেসমিন কেমন কাঠের পুতুলের মতো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন।রূপম বরাবরই তার সাথে এমন কাট কাট গলায় কথা বলে।পাঁচ বছর যাবত রূপমের সাথে নমনীয় আচরণ করা স্বত্তেও রূপম তাকে মেনে নিতে পারে নি।তার ধারণা,জেসমিন তার মায়ের সংসার কেড়ে নিয়েছে।জেসমিন মাঝে মাঝে অবাক হয়।কারো সংসার কি কেউ কেড়ে নিতে পারে?সেটা কি আদৌ সম্ভব?
রূপম নিজের ঘরে গেল না।গেল রূপসার ঘরে।রূপসা তখন আয়নার সামনে বসা।মুখটা ভীষণ গোমড়া।মনে হচ্ছে কোনো কারণে তার মেজাজ বিগড়ে আছে।
রূপম খাটে বসে হাস্যোজ্জ্বল কন্ঠে বলল,’কিরে দিদিয়া?তুমি এমন মন মরা হয়ে আছো কেন?বরপক্ষ আসছে তোমায় দেখতে।তোমার তো খুশি হওয়া উচিত।’
রূপসা মুখ দিয়ে বিরক্তিসূচক শব্দ করলো।
‘চুপ থাক রূপম।সবসময় এসব ভালো লাগে না।’
রূপম মুখে আঙুল চাপলো।পরক্ষনেই আবার মাথা চুলকে বলল,’তোমার বর নাকি ইঞ্জিনিয়ার?যাক ভালোই হলো।বাড়িঘর সব ফ্রিতেই হয়ে যাবে।’
‘তুই একটু চুপ করবি রূপম?ভালো লাগছে না আমার।’
রূপম হাত ছড়িয়ে খাটে শুয়ে বলল,’দিদিয়া! তুমি চলে গেলে কিন্তু আমিও এই বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিবো।’
‘খুবই বাজে সিদ্ধান্ত।’
‘সে যাই হোক।’
রূপসা পেছন ফিরলো।কিছুটা বিরক্তি,কিছুটা রাগী চেহারা করে বলল,’তুই এমন কেন?কার মতো হয়েছিস তুই?মা বাবা কেউই তো এতো জেদি ছিলো না।’
রূপম শব্দ করে হাসলো।তার মুখটা হঠাৎই প্রাণবন্ত হয়ে উঠল।প্রাণখোলা হাসি মুখে ধরে রেখেই সে বলল,’আমি আমার মতো।নো কম্পেরিজন।বাই দ্য ওয়ে,তুমি কিন্তু পুরো মায়ের মতো হয়েছো।সুন্দরী রূপসী লাস্যময়ী আর ভেতরে ভেতরে চূড়ান্ত রকমের জেদি।’
রূপসার চোখ জোড়া বড় হলো আপনাআপনি।বিস্ময় জড়ানো কন্ঠে কেবল বলল,’তুই আমার জেদ সম্পর্কে জানিস?আমি বাড়ির মানুষের সামনে কখনোই সেটা প্রকাশ করি না।’
‘আমি জানি।প্রকাশ করতে হয় না দিদিয়া।তোমার আর আমার পার্থক্য এদিকেই।আমি আমার জেদ প্রকাশ করি,তুমি ভেতরে ভেতরে চেপে রাখো।দু’টোই ভয়ংকর।’
রূপসা আর কথা বাড়ালো না।সে জানে সে জেদি।যার উপর তার রাগ উঠে,তার উপর থেকে সহজে রাগ নামতে চায় না।এই যেমন শোহরাব নামক অভদ্র লোকের উপর তার মেজাজ খারাপ হয়ে আছে।সে চাইলেও তার সাথে কখনো সহজ হতে পারবে না।সে সহজ হতে চায়ও না।সহজ হতে চায় না বলেই ঐ মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরিটা সে ছেড়ে দিয়েছে।
.
.
.
.
আরিবা আর্ট খাতায় কি যেন আঁকছিলো।শোহরাব গিয়ে তার পেছনে দাঁড়ালো।মাথায় হাত রেখে বলল,’কি আরু?কি আঁকছিস?’
আরিবা এক নজর তার দিকে তাকালো।পরে আবার আর্ট পেপারে মনোনিবেশ করে বলল,’ট্রি,হাউজ,স্কাই।’
‘বাহ! ভেরি গুড।’
শোহরাব তার গা ঘেঁষে বসলো।একটু কেশে নিয়ে বলল,’আচ্ছা আরু।একটু চাচ্চুর কথা শোনো তো।’
আরিবা মাথা তুলল।কপালে ভাঁজ ফেলে বলল,’কি?’
শোহরাব প্রথমে একটু ইতস্তত করলো।তারপর একদম সহজ হয়ে বলল,’আচ্ছা আরু,তুই কি আমায় তোর রূপসা মিসের হোমওয়ার্ক খাতাটা দিতে পারবি?’
আরিবা মাথা তুলল।নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবার প্রশ্ন করল,’রূপসা মিসের খাতা?’
‘হ্যাঁ।’
‘কেন?’
শোহরাব থতমত খেলো।তাড়াহুড়ো করে বলল,’এমনিই।জাস্ট দেখার জন্য।’
আরিবা হাতে থাকা সবুজ রঙের প্যাস্টেল স্টিক টা ফেলে টেবিলের উপর থেকে একটা খাতা এনে দিলো।শোহরাব ছোঁ মেরে সেটা হাতে নিলো।কয়েকটা পাতা উল্টাতেই তার মুখে হাসি ফুটে।সে যেটা চেয়েছে,এটা এই খাতায় উপস্থিত।সে চওড়া হেসে বলল,’ধন্যবাদ চাচ্চু।চাচ্চু তোমাকে এত্তো গুলা চকলেট কিনে দিবো।’
আরিবা পুনরায় ড্রয়িং খাতায় মন দেয়।শোহরাব তার মাথায় কয়েকবার হাত বুলিয়ে আস্তে করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।তার কাজ শেষ।আপাতত কেটে পড়াই শ্রেয়।
সে ঘর থেকে বেরিয়েই নাফিস কে ফোন দিলো।তার মুখের হাসি এখনও বিরাজমান।
‘মামা! সাইন তো পেয়ে গেছি।’
‘কিভাবে পেলি?’
‘আরুর হোমওয়ার্কে সাইন করতো।সেখান থেকে খাতাটা নিয়ে এসেছি।’
‘সাব্বাশ!’
‘তোরা বাড়ি আসবি কখন?’
‘এই আর একটু।অপেক্ষা কর।’
শোহরাব ফোন কাটলো।তারপর শিস বাজাতে বাজাতে নিজের ঘরে চলে গেল।সে ভীষণ শান্তিপ্রিয় মানুষ,শান্তিতে থাকতেই পছন্দ করে।তবে রূপসার সম্ভবত শান্তি ভালো লাগে না।যাক গে,ভালো না লাগলে আর কি করা?সে যেমন আচরণ করবে,শোহরাব বিনিময়ে তেমনই আচরণ বাউন্স ব্যাক করবে।
নাফিস আসলো আরো আধঘন্টা পর।সাথে টুটুল,তানভীর আর পাভেল।নাফিস ঘরে ঢুকেই বলল,’কিরে?কি করছিস?’
শোহরাব চোখ তুলে তাদের সবাইকে একনজর দেখলো।তারপর গম্ভীর গলায় বলল,’দরজা টা বন্ধ করে আয়।’
তানভীর দরজা বন্ধ করেই তার পাশে গিয়ে বসলো।দুই চোখ খাঁড়া করে প্রশ্ন করলো,’তোর প্ল্যানটা কি খুলে বল তো?’
শোহরাব কলার টেনে একগাল হেসে বলল,’তেমন কিছু না।আপাতত রূপসার সাইন নকল করি।তারপর বাকিটা ভাবা যাবে।’
পাঁচ বন্ধু মিলে মহা উৎসাহে সাইন নকল করার প্রতিযোগিতায় নামলো।টুটুল মাথা চুলকে বলল,’শালা! যেই মার্কা মারা সাইন।নকল করতে জান বের হচ্ছে।’
শোহরাব শুধু অল্প করে হাসলো।কিছুটা ভাব ধরে বলল,’দেখতে হবে না কার বউ?’
নাসিফ দুই চোখ সরু করে।কিছুটা বিরক্তও হয় বোধ হয়।
‘এতো ওভার কনফিডেন্ট হওয়া ভালো না।’
শোহরাব গা ঝাড়া দিয়ে বলল,’আমি এমনই।’
রূপসার সাইন সবচেয়ে ভালো ভাবে নকল করলো পাভেল।কাজ শেষেই হাতে থাকা কাগজটা সবার সামনে তুলে ধরে বলল,’এই দেখ আমি পেরেছি।কেবল উনিশ বিশের ব্যবধান।কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।’
বাকি চারজন কাড়াকাড়ি করে কাগজটা হাতে নেয়।শোহরাবের মুখ নিমিষেই নতুন কিনে আনা বাল্বের মতো জ্বলে উঠল।আনন্দে তার দুই চোখ চিকচিক করছিল।সে পাভেলের পিঠ চাপড়ে বাহবা দিলো।
‘সাব্বাস! সেরা হয়েছে দোস্ত।’
সে কাগজ টা হাতে চেপেই আরো বেশি উদ্যেমী হয়ে বলল,’এবার একটা নকল ম্যারিজ সার্টিফিকেট বানাতে হবে।তাহলেই কাজ হয়ে যাবে।’
তানভীর ভয়ে ভয়ে বলল,’আল্লাহ জানে! আবার কি নতুন বিপদে ফেলছিস তুই আমাদের।’
শোহরাব মুখ বিকৃত করলো।কটমট করে বলল,’ধুরুহ্।কিচ্ছু হবে না।নিশ্চিন্ত থাক।’
.
.
.
.
পাত্র পক্ষ এসেছে একটু আগে।রূপসা খুব সুন্দর করে আচঁল দিয়ে ঘোমটা টেনে তাদের সামনে গেল।তার হাতে চায়ের ট্রে।মাথা নুয়ানো মাটির দিকে।
ছেলের বাড়ি থেকে মোট পাঁচজন এসেছে।ছেলে,ছেলের মা,ছেলের বাবা,ছেলের বোন আর বোনের স্বামী।রূপসা কেবল তাদের পা দেখলো।মুখ আর দেখা হলো না।সে ছোট ছোট কদমে তাদের দিকে এগিয়ে এসে চায়ের কাপ গুলো এগিয়ে দিলো।
ছেলের নাম সাইফ।একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে।এখন একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে।ছেলের বাবা ব্যবসায়ী।শহরে বেশ কয়েকটা দোকান আছে।একটা ব্রিক ফিল্ড আছে।বলা যায় বেশ ধনাঢ্য পরিবার।
রূপসা সবাইকে চা দিয়ে রাজিব সাহেবের পাশাপাশি গিয়ে বসলো।এর মাঝে একবার সাইফের সাথে তার চোখাচোখি হয়েছিল।সে নিজেই চোখ সরিয়ে নিয়েছে।
রূপসা বসে বসেই কতোক্ষণ দুই হাত কচলায়।একটা বিষয় তার ভালো লাগে নি।যদিও এমনটা হওয়া উচিত না,তবুও।সাইফ ছেলেটা যেন কেমন।মানে কেমন যে অদ্ভুত।তার চুল গুলো তেল দেওয়া।একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তার এই বেশভূঁষা রূপসা কে হতাশ করলো।
টেবিলে চা বাদে আরো খাবার রাখা ছিলো।জেসমিন পিঠা বানিয়েছিলো।সাথে মোয়া,চানাচুর,বিস্কুট,আপেল,কমলা সবকিছুই ছিলো।সাইফ সব গুলোই একটু একটু করে খেল।
রূপসা আড়চোখে তার কার্যকলাপ দেখে।সে চানাচুর খাচ্ছে অদ্ভুত ভাবে,কেমন যেন মুরগির মতো করে।রূপসা ছোট ছোট চোখে তার দিকে তাকালো।
সে এক আঙুলে চানাচুর তুলে তুলে খাচ্ছে।রূপসার সেই দৃশ্য দেখেই কান্না পেল।এমন করে কেউ খায়?এতো বিচ্ছিরি দেখাচ্ছে!সে মুখ কুঁচকে শুধু তার খাওয়ার ধরণই দেখলো।
রাজিব সাহেব আর সাইফের মা বাবা নিজেদের ভেতর কথা বলছিলেন।রূপম ছিলো ঘরের আরেক পাশে।পায়ের উপর পা তুলে সে আরাম করে বিস্কুট চিবুচ্ছিল।রূপসার সাথে শুধু তার একবার চোখাচোখি হলো।
সাইফ চানাচুর খাওয়া শেষে পাটিসাপটার প্লেট টা হাতে নিলো।হাতে নিয়েই এক হাত দিয়ে কান চুলকে নিল।রূপসার দম বন্ধ হয়ে এলো তক্ষুনি।মনে হলো আরেকটু হলে সে এদিকেই বমি করে দিবে।এতো নোংরা কেন এই ছেলে?ইসসস!
সে কাঁদো কাঁদো হয়ে রূপমের দিকে তাকায়।রূপম ততক্ষণে নাকে হাত চেপেছে।তার এসবে সবসময়ই সমস্যা হয়।তার শুচিবায়ু আছে।তার নাকে সারাক্ষণই এটা সেটার গন্ধ লাগে।
সাইফ কান চুলকানোর পর নাকের ভেতর এক আঙুল চালায়।রূপসা আর রূপম সেই কুৎসিত দৃশ্য থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য দুই চোখ বন্ধ করে নিলো।রূপসার সত্যি সত্যি বাচ্চাদের মতো ঠোঁট ভেঙে কান্না এলো।এটা কার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তার?সে তো দুই দিনও এই লোকের ঘর করতে পারবে না।
সাইফ নাক থেকে আঙুল বের করে পাটিসাপটার দিকে হাত বাড়ায়।রূপম তড়াক করে উঠে দাঁড়িয়ে আতঙ্কিত স্বরে বলল,’ভাইয়া!!’
সাইফ থামলো।অবাক স্বরে বলল,’জ্বী?’
‘হাত ধুবেন না ভাইয়া?’
রূপমের কন্ঠে আতঙ্ক।মানুষ যে এমন খাচ্চর হতে পারে,সেটা তার কল্পনাতীত।রূপসা মাথা নামিয়ে দুই ঠোঁট চেপে ধরে সামান্য হাসলো।
সাইফ বোকা হেসে বলল,’হ্যাঁ হ্যাঁ।অবশ্যই।ওয়াশরুম কোথায়?’
রূপম তাকে ওয়াশরুম পর্যন্ত রাস্তা দেখালো।ফিরে এসে রূপসার কানের কাছে গিয়ে একেবারে নিচু স্বরে ফিসফিস করলো,’দিদিয়া রে! কাম সেরেছে।আস্ত খবিশ একটা! গায়ে গন্ধ।গোসল করে না বারো দিন।তোর কপাল পুড়লো বলে।’
চলবে-