প্রিয় প্রত্যয় পর্ব-১২

0
61

#প্রিয়_প্রত্যয়
#পর্ব১২
#রাউফুন

মিনহাজের যখন জ্ঞান ফিরলো তখন বেলা গড়িয়ে দুপুর বারোটা। পিটপিট করে চোখ খুলে বোঝার চেষ্টা করলো ও এখন কোথায় আছে। মস্তিষ্কে সুক্ষ্ম চাপ অনুভব করলো। মাথায় হাত রেখে উঠতে নিলে তড়িঘড়ি করে একজন মিষ্টি স্বরের মেয়ে রিনরিনে আওয়াজে শুধলো,“আরে আরে উঠবেন না স্যার, আপনার শরীর ঠিক নেই।”

মিনহাজ কোনো রকমে বললো,“আমি কোথায়?”

“আপনি হাসপাতালে৷ আপনি প্লিজ শুয়ে পড়ুন। উঠার চেষ্টা করবেন না, স্যালাইন চলছে, এখনো শেষ হয়নি!”

নার্সটির কথা শুনলো না মিনহাজ। জোরপূর্বক উঠতে নিলে একটা হাত ওকে বাঁধা দিয়ে শুইয়ে দিলো। শাসনের স্বরে বললো,“একদম উঠবেন না। শুয়ে পড়ুন!”

মিনহাজ তাকালো সামনের নারীটির দিকে। বিউটি নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে আছে মিনহাজের দিকে। মিনহাজের একটু সময় লাগলো ঘটনা মনে করতে। তখন আকস্মিকভাবে বিউটির বিয়ের খবরটা শোনার জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিলো না৷ মস্তিষ্কে কথাটা ধারণ করার জোরপূর্বক চেষ্টা চালাতে চেয়েও স্থির থাকা সম্ভব হয়নি। বক্ষে সুক্ষ্ম ব্যথায় চাপ প্রয়োগ হয়ে তৎক্ষনাৎ জ্ঞান হারায়৷ মিনি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মিনহাজ বিউটির জন্য অসুস্থ হয়েছে এই বিষয় টা থেকে অপরাধ বোধে ও হসপিটালে এখনো রয়ে গেছে। গ্রামে এই একটাই হসপিটাল ভালো। প্রাইভেট হসপিটাল। যেহেতু মফস্বল গ্রাম, প্রায় সব সুবিধায় আছে। অনেক ভালো না হলেও ভালো মোটামুটি ভালো সবকিছুই। সুপ্রিয় বিউটির মুখ দেখে তখনই বলেছিলো,“তুই কি যেতে চাস মিনহাজের সঙ্গে?”

বিউটি শুধু সুপ্রিয়র দিকে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকায়। সে তাকানোর সঙ্গে সঙ্গেই বুঝে ফেলে সুপ্রিয় বিউটি কি চাইছে। তৎক্ষণাৎ মিনহাজের সঙ্গে ওরাও হসপিটাল চলে আসে। আর জ্ঞান ফিরতেই বিউটিই প্রথমে আসে দেখা করতে। নুহাশ আর মারিয়াম বাইরে অপেক্ষা করছে। আর সুপ্রিয়ও দাঁড়িয়ে নখ কাঁটছে। ওর ভেতরে আটকে রাখা দম যেনো একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। হাসফাস করছে রীতিমতো সে। এই অস্থিরতা কেন তা সুপ্রিয় একদমই বুঝতে পারছে না তা নয়৷ একটা অজানা ভয় ভেতরে জেঁকে বসেছে৷ ভয়টা বিউটিকে ঘিরে।

বিউটি কিছু বলবে তার পূর্বেই মারিয়াম এলো দরজা ঠেলে। কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললো,“আপনি বাইরে যান। আপনার স্বামী অপেক্ষা করছে বাড়ি যাবে বলে।”

বিউটি তাকালো মারিয়ামের দিকে। শ্যামলা, ছিমছাম গড়নের একটা মেয়ে। ভীষণ স্নিগ্ধ এক মুখাবয়ব। এই মূহুর্তে মেয়েটার বিরক্ত ভরা মুখটাও যেনো জ্যোতি ছড়াচ্ছে। দেখতে ভালো লাগছে ওকে। বিউটি মিনহাজের উদ্দেশ্য বললো,“আমি রাতের খাবার নিয়ে আসবো আপনার সঙ্গে দেখা করতে। এখন যাই!”

বিউটি বিদায় নিয়ে চলে এলো। মারিয়াম মিনহাজের কাছে গিয়ে বললো,“আপনার শরীর কেমন?”

মিনহাজ ছোটো করে জবাব দিলো,“বেটার!”

“আচ্ছা, আপনি হঠাৎই ঐ আপুটার বিয়ের কথা শুনে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেন? আপনি কি ঐ আপুকে ভালোবাসতেন? ও কি আপনাকে ধোকা দিয়েছে? কিন্তু আপনার মতো এতো সুন্দর একজন মানুষকে ধোকা দিলো কিভাবে ঐ মেয়েটা? শহরের মেয়েরা বুঝি এরকম বোকা!”

“জাষ্ট কীপ ইউর মাউথ শাট! আই হ্যাভ আ’ হ্যাডেচ। ইউ হ্যাভ টু গো নাউ!”

মারিয়াম কিঞ্চিৎ নড়ে উঠলো। বিড়বিড় করে বললো,“ইংরেজি তে বলার কি আছে? বাংলায় বলা যাবে না? অবশ্য ইংরেজিও বুঝি আমি!”

“গো এওয়ে!”

কিছুটা ধমকে বললো মিনহাজ। মারিয়াম চমকে উঠে খানিক। যেতে যেতে আবারও বিড়বিড় করে,“অসুস্থ হলেও রাগ দেখি আকাশচুম্বী এখনো! এক বিন্দুও কমেনি ব্যাডার তেজ!”

নুহাশ এসে মিনহাজের সঙ্গে দেখা করলো। সে ওষুধ আনতে গেছিলো ফার্মেসীতে। আসার সময় ফ্রেশ ফল কিনতে ভুলেনি। জোরপূর্বক সে এখন মিনহাজকে সেই ফল গুলো খাওয়াচ্ছে।

পরদিন দুপুরে বিউটি নিজের হাতে রান্না করলো। রমিসা খাতুন বাঁধা দিলেও শুনলো না।

“নাতবৌ, এই মাটির চুলায় রান্না করতে তোর কষ্ট হইবো। এভাবে হাত পুড়াইয়া রান্না করতে হবে না! চেহেরা খারাপ হইবো রোদে পুড়ে রানলে!”

রিক্তা আর মুক্তা কাছেই ছিলো। মুক্তা ভেংচি কেটে বললো,“সেই তো পোড়া চেহেরায়, নতুন করে আর পুড়বে কিভাবে?”

রমিসা খাতুন গরম চোখে তাকিয়ে বললেন,“তোদের দুই বোনের আর কোনো কাম কাইজ নাই? এইখানে সারাদিন পড়ে থাকোস কেন? আমার কোনো দরকারে তো তোদের টিকিটাও দেখা যাই না। নাতবৌ আসছে থেকে এখানেই পড়ে আছিস!”

রিক্তা বললো,“আমরা তো ভাবির সঙ্গে গল্প করতেই আসি!”

“হ্যাঁ তাই তো দাদি! এভাবে বলার কি আছে? ভাবির মুখ তো পোড়ায়! সত্যি কথা বললেও দোষ! তোমার আদিখ্যেতা দেখেই তো বলতে হলো। নতুন ভাবি যেহেতু শখ করে রাধতে চাইছে রাধুক। আমরাও একটু না হয় চেখে দেখলাম ভাবির হাতের রান্না কেমন। চেহেরার মতোই বিদঘুটে নাকি আসলেই সুস্বাদু!”

রমিসা খাতুন তেড়ে গেলেন গরম খুন্তি হাতে। মুক্তার হাত ধরে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গেলেন। বললেন,
“কথা বলার চাইতে ওকে কষ্ট দিয়েই কথা বেশি বলিস মুক্তা তোরা। মুখে লাগাম টানতে না পারলে এমুখো হবি না!”

বিউটি ওষ্ঠে হাসির রেখে ফুটিয়ে সব সয়ে গেছে এতক্ষণ। সেও বাইরে বেরিয়ে এলো। মুক্তার উদ্দেশ্য বললো,“তোমাদের জন্যও তো রান্না করেছি। অবশ্যই খাবে আমার হাতের রান্না। অবশ্য আমার মুখের মতো বিদঘুটে রান্না নয়। তা না হয় খেয়েই দেখবে।”

মুক্তা মুখ ভেংচি কেটে বললো, “খেয়ে দেখার ইচ্ছে নেই৷”

বিউটি ঠোঁটের কোণায় হাসি রেখেই বললো,“বেশ! তোমার ইচ্ছে!”

খাবার রেডি করে টিফিন বক্সে ভরলো বিউটি। তখনই সুপ্রিয় এলো। বিউটিকে টিফিন বক্সে খাবার ভরতে দেখে বললো,“কার জন্য খাবার উঠাচ্ছিস!”

“মিনহাজের জন্য!”

তৎক্ষণাৎ চটে গেলো সুপ্রিয়। সে বিউটির হাত শক্ত করে ধরে বলল,“তুই কি এখনো মিনহাজের কথা ভাবছিস? যে লোক তোর জীবনের একটা কালো অধ্যায় ছিল, তাকে নিয়ে এভাবে চিন্তা করার কোনো মানে হয়? ভুলে যাস না, ও কিন্তু ওর মায়ের কথায় তোকে বিয়ের মন্ডপে ছেড়ে চলে গেছিলো। কতটা অপমানজনক ছিলো তোর জন্য–– সবকিছু ভুলে গেছিস তুই?”

বিউটি খানিক বিরক্ত হয়ে বলল, “তুমি এমন তো এমন নও সুপ্রিয় ভাই? একজন মানুষ অসুস্থ, তাকে নিয়ে চিন্তা হবে এটাই স্বাভাবিক তাই নয় কি? যেখানে মানুষ টার এই অবস্থা সম্পুর্নই আমার জন্য!”

সুপ্রিয় কপালে হাত ঠেকিয়ে বলল, “তাকে নিয়ে ভাবার তো আর কোনো দরকার দেখি না৷ সে যেহেতু কাল বাড়ি ফিরে যাবে, তাহলে নিশ্চয়ই এখন একদম ফীট আছে। তাহলে তোর আগ বাড়িয়ে তার জন্য রান্না করে নিয়ে যাওয়ার কি আছে বুঝতে পারছি না। হসপিটালে তো খাবার নিয়ে যাবে নুহাশরা। ওদের বাড়ি এসেছে মিনহাজ। ওঁদেরও দায়িত্ব আছে।”

বিউটি ভ্রুকুটি করে বললো,“তুমি এমন রিয়্যাক্ট কেন করছো? একজন অসুস্থ ব্যাক্তিকে দেখতে যাবো সেখানে খালি হাতে যাবো? একটা মানবিকতা তো থেকেই যায়!”

“তোর এতো চিন্তা কেন? সে তো তোর জন্য পর পুরুষ এখন! আর ঘনঘন দেখতে যাওয়ারও তো প্রয়োজন নেই। তোর চিন্তায় কি সে সুস্থ হয়ে যাবে চট করে?”

“লোকটা সত্যিই আমার চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু, কেননা সে আমার জন্য অসুস্থ হয়েছে। এর জন্য কেবলই আমি দায়ী।”

“তুই থাক ঐ লোকটা নিয়ে, আমি গেলাম।”

গটগট করে হেঁটে রুমে চলে গেলো সুপ্রিয়। বিউটি ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো অনিমেষ। বেশি কিছু না ভেবে চলে গেলো হসপিটালের উদ্দ্যেশ্যে। তার চেহারায় স্থির বিষণ্ণতা, শুষ্ক হাসি।

বিউটি মিনহাজকে নিজের রান্না করা খাবার বেড়ে দিলো। না চাইতেও মিনহাজকে সেসব খেতে হলো। কারণ হসপিটালের খাবার জঘন্য। মারিয়ামরা আজ এখনো আসেনি। হইতো কোনো সমস্যা হয়েছে। খিদের তোড়ে সে চুপচাপ খাবার খেলো।

মিনহাজ সন্তঃর্পণে বললো,“রান্নাটা অনেক মজা! বিশ্বাস করুন আমি এতো মজার খাবার অনেক দিন খাইনি। শেষ বার আপনার হাতেই এমন সুস্বাদু খাবার খেয়েছিলাম। মনে আছে আছে আরনাজ…আপনার কাছে আমার আবদার…..!”

বিউটি অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো। অত্যন্ত অস্বস্তিতে ভেতরটা কেমন যেনো করছিলো। মিনহাজ বুঝলো সে এখন ভুল কথা বলে ফেলেছে। বিব্রতকর একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো মূহুর্তের মধ্যে। খুকখুক করে কেশে উঠলো সে। বিউটি ছুটে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলো। মিনহাজ পানি খেয়ে বললো,“আসলে ঐ কথা গুলো ভুলতে কষ্ট হয় তো তাই… আর কি! কিছু মনে করবেন না আরনাজ,প্লিজ!”

বিউটি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “আমি দুঃখিত! আমার দ্বারা যদি কোনো কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আমায় ক্ষমা করবেন। আমি কখনোই কারোর দুঃখ কষ্টের কারণ হতে চাইনি।”

“আমি একটা সময় মাকে ঠিকই মানিয়ে নিতাম। আমার জন্য কি একটু অপেক্ষা করা যেতো না আরনাজ?”

বিউটি ঠোঁট চেপে ধরলো। জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিজেকে ধাতস্থ করে বললো,“আপনারা চলে যাওয়ার পর সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছিলো। পরিস্থিতি সম্পুর্ন ভিন্ন ছিলো, যার দরুণ কেউ কোনো কথা বলার বা শোনাত মতো অবস্থায় ছিলাম না। শুধু বলবো, বয়্যজ্যষ্ঠ মানুষগুলোর কথা ফেলার ক্ষমতা আমার বা সুপ্রিয় ভাই কারোরই ছিলো না।”

মিনহাজ গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, “আপনার সঙ্গে দূরত্ব সইতে না পেরে শহর ছেড়ে এখানে এলাম, আর এখানেও এসেও সেই আপনাকেই…।”

বিউটি থমকে গেল। তার গলায় যেন কথা আটকে গেল। মিনহাজ ভাঙা, অথচ তীব্র ব্যথিত কন্ঠে বলল, “আপনার জীবনটা সুন্দর হোক। আমি হয়তো আপনার জন্য কিছু করতে পারিনি সেদিন, কিন্তু আপনি যাকে পেয়েছেন তাকে নিয়ে ভালো থাকুন। আমি কখনোই সেখানে তৃতীয় ব্যাক্তি হিসেবে থাকবো না।”

বিউটি বলল,”আপনি… আমাকে ভুলে যেতে পারবেন না, মিনহাজ? আমাকে মনে রাখলে আপনার শুধুই কষ্ট বাড়বে। তার চেয়ে এটাই ভালো হবে আপনি আমাকে ভুলে যান, নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবুন।”

কাষ্ঠ হাসলো মিনহাজ। সোজা হয়ে বসতে বসতে ক্ষীন রূঢ়ভাবে বললো,
“ভুলে যাবো? কেন ভুলে যাবো? এই কথা বলার তো অধিকার নেই আপনার! আমার জীবন, আমি কাকে আমার জীবনে স্মৃতি করে রাখবো, কাকে মনে রাখবো তা সম্পুর্ন অধিকার আমার আছে। আপনার কোন অধিকার নেই, আমাকে আপনাকে ভুলতে বলার। সেই অধিকার তো আমি আপনাকে দিইনি আর না দেবো। কিছু মানুষের স্মৃতি মনে শেকড়ের মতো গেঁড়ে বসে। আপনার সেই মুখ, আপনার সেই সাদামাটা অথচ দীপ্তিময় হাসি…প্রথম দেখা, প্রথম প্রেম, প্রথম অনুভূতি, প্রথম বার কারোর মায়ায় আঁটকে যাওয়া, সবকিছু এখনো কতটা তাজা জানেন?”

শেষ কথা গুলো বলার সময় মিনহাজের গলা ভারী হয়ে এল।

বিউটি চোখ বন্ধ করে এবার দৃঢ়তার সঙ্গে বলল, “আপনি জানেন, আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। আমাদের জীবনের সব কিছুই আলাদা।”

“জানি। তাই দূরত্ব রেখেছি,রাখবো। আপনার অ-সুখের কারণ আমি হবো না আরনাজ। আশা করি এইটুকু ভরসা আপনার আছে আমার উপর!”

বিউটি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। তার চোখে একটুকরো জল চিকচিক করে উঠল। মিনহাজ মৃদু হাসল। বলল, “আপনার চোখে পানি মানায় না। আমি জানি, এই চোখের পানিটা আত্মগ্লানির। হইতো আপনার মনে হচ্ছে আমার অসুস্থতা, আমার দহণ সবকিছুই আপনাকে ঘিরে, কিন্তু এটা একদমই নয়। এটা হওয়ার ই ছিলো। বিধির লিখন কি খন্ডানো যাবে? শুনুন, এখনকার আপনি সম্পুর্ণ একজন নতুন মানুষে, হইতো সেই নতুন মানুষটার জীবনের প্রতিনিধি। সুপ্রিয় একজন ভালো মানুষ। তাকে নিয়ে ভালো থাকবেন এটাই কামনা করছি!”

বিউটি কিছু বললো না। মিনহাজের থেকে বিদায় নিয়ে যখন ফিরলো তখন দেখলো সুপ্রিয় কোথাও নেই। যখন শুধালো রমিসা খাতুনকে তখন তিনি বললেন সুপ্রিয়র হঠাৎই জরুরি তলব পড়েছে শহর থেকে তাই সে চলে গেছে। অত্যন্ত ভারাক্রান্ত লাগছিলো বৃদ্ধাকে। রহমান আলীও বেজার মুখে চেয়ারে বসে আছে। বিউটির কেমন যেমন ব্যাপারটা ভালো লাগলো না। হঠাৎই কি হলো মানুষ টার? রাগ করে চলে গেলো নাকি? তবুও যাওয়ার আগে একটা বার ফোন করে জানাতে পারতো সে চলে যাচ্ছে। সবার থেকে বিদায় নিয়ে বিউটিও সেদিনই শহরে ফিরে এলো। তবে সুপ্রিয়দের বাড়ি না গিয়ে নিজের বাড়ি ফিরে গেলো।

#চলবে