#অপ্রিয়_তুমি
#পর্ব৬
#আফিয়া_আফরোজ_আহি
মাঝে কেটে গেল দুটো দিন। উৎসা এই দুদিন স্কুলে যায়নি। উজ্জ্বল সাহেব মেয়েকে যেতে দেয়নি। এমনকি বাড়ির বাহিরেও বের হতে দেয়নি। তিন দিনের মাথায় উৎসা স্কুলে এসেছে। ওকে দেখে তানজিলা দৌড়ে এলো। কাছে এসে জড়িয়ে ধরে বলল,
“দোস্ত তুই সুস্থ আছিস? এই দুদিন এলিনা যে?”
উৎসা হেসে বলল,
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আব্বু আসতে দেয় নি রে! বলেছে একদম সুস্থ না হাওয়া অবধি বাড়ির বাহিরে কোথাও যাওয়ার নিষেধ”
“ও আচ্ছা”
উৎসা উৎসুক হয়ে পুরো ক্লাসে নজর বুলালো। কাউকে খুঁজছে হয়তো। কাঙ্খিত মানুষটাকে খুঁজে না পেয়ে শেষে জিজ্ঞেস করেই বসলো,
“শাওন কই রে। ওকে তো দেখছি না”
তানজিলা শুকনো ঢোক গিললো। অতঃপর উৎসাকে নিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে মাঠের এক কোনায় এলো। ফিসফিসিয়ে বলল,
“তুই তো সেদিন অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলি তাই কিছুই জানিস না”
উৎসা কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
“কেন কি হয়েছে?”
তানজিলা বলা শুরু করলো,
“সেদিন তোকে বাসায় দিয়ে মিনিট দশের মাঝে মেহরাব ভাই মাঠে আসে। আমাদের ভয়ে একপাশে জড়ো হয়ে থাকতে দেখে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। অতঃপর গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
“আমি যেটা জিজ্ঞেস করবো তার সোজা উত্তর দিবে। নাহয় একেক টার বাড়িতে এমন বিচার দিবো বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে যাবে”
আমরা ভাইয়ার কথায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সবার মুখেই ভীতি। ভাইয়া ফের জিজ্ঞেস করলো,
“উৎসা কি ছেলেটাকে পছন্দ করে?”
আমরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি। মেহরাব ভাই ধমক দিয়ে বলল,
“সত্যি কথা বলবে মিথ্যা বললে খবর আছে”
শান্তা মিন মিনে করে বলল,
“না ভাইয়া। উৎসা ওকে বন্ধু হিসেবেই দেখে। ও আসতে চাইছিলো না। আমরাই ওকে জোর করে এখানে নিয়ে এসেছি। এতে ওর কোনো দোষ নেই”
মেহরাব ভাই বিড়বিড় করে বলল,
“তাহলে এ যাত্রায় বেঁচে গেল”
এরপর আমাদের উদ্দেশ্যে বলল,
“এরপর এই সব বিষয়ে ওকে জোর করলে তোমাদের খবর আছে। এখন সুর সুর করে সবাই বাড়ি চলে যাবে। কাউকে যেন এদিক ওদিক বা দেখি”
সবাই মাথা নেড়ে সায় জানালো। আমরা চলে আসতে নিবো এমন সময় পিছন থেকে বলে উঠলো,
“এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যাও”
সেদিন আমরা চলে এসেছিলাম পরের দিন স্কুলে এসে শুনি শাওন হসপিটালে ভর্তি। ওর অবস্থা অনেকটাই খারাপ”
তানজিলা থামলো। উৎসার গাঁয়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। এই সামান্য একটা কারণে মেহরাব ছেলেটাকে এভাবে মা*রতে পারলো? একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে পছন্দ করতেই পারে এখানে দোষের তো কিছু নেই। তাই বলে এভাবে আঘাত করবে? উৎসার মনে মেহরাবের প্রতি ক্ষো*ভ জন্ম নিলো। ছাড়বে না ও মেহরাব কে? মেহরাকে জবাব দিতে হবে ও কেন শাওন কে মে*রে*ছে? শাওন ওর কি ক্ষতি করেছে? যার জন্য ছেলেটাকে এভাবে মে*রে*ছে?
সেদিন বিকেলে মেহরাব সেই মাঠেই বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো। উৎসা আর তানজিলা কোচিং শেষ করে ওই রাস্তা দিয়েই বাড়ি যাচ্ছিলো। মাঠে মেহরাবকে দেখে উৎসার মাথা গরম হয়ে গেল। এগিয়ে যেতে নিলো কাছে। তানজিলা ওর হাত ধরে আটকে দিয়ে বলল,
“কোথায় যাচ্ছিস?”
“গু*ন্ডাটার কাছে। কি ভেবেছে উনি? ওনার যা ইচ্ছে তাই করবে? সব ওনার মর্জি মতোই চলবে? মানুষের অনুভূতির কোনো দাম নেই ওনার কাছে? উনি কিভাবে পারলেন শাওন কে এভাবে মা*রতে? ছেলেটার যদি উল্টোপাল্টা কিছু হয়ে যেত তাহলে? ওনাকে আমার প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। আমাকে শাসন করার জন্য আমার বাবা-মা ওনাকে রাখেনি। আমার বাবা-মা, ভাই আছে আমাকে শাসন করার জন্য”
“তুই যাস না ইয়ার। ওখানে কতো মানুষ দেখেছিস?”
“আমি যাবো মানে যাবোই। তুই আমার হাত ছাড়”
তানজিলার হাত ঝাড়া দিয়ে এগিয়ে গেল উৎসা। মেহরাবের কাছে যেয়ে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলো ওর গালে। মেহরাব সহ সকলে চমকে উঠলো। উৎসা রেগে রণ মূর্তি রূপ ধারণ করেছে। মেহরাব কোনো কথা বলল না। আর না কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলো। চুপচাপ তাকিয়ে উৎসার কাণ্ড দেখতে থাকলো। পাশে থাকা একটা ছেলে এগিয়ে আসতে নিলে ওকে হাতের ইশারায় বাঁধা দিলো। ও দেখতে চায় উৎসা কি করছে চাচ্ছে। উৎসা মেহরাবের শার্টেরের কলার ধরে রাগী কণ্ঠে বলে উঠলো,
“কি পেয়েছেন কি আপনি? আমার বাবা-মা আমার দায়িত্ব সব আপনার হাতে তুলে দিয়েছে? নাকি আমাকে দেখে রাখতে আপনাকে অপয়েন্ট করা হয়েছে? সমস্যা কি আপনার? কাল ওকে থা*প্প*ড় দিয়েছেন অতটুকু কি এনাফ ছিল না। ছেলেটাকে এতটা মা*রা*র কি দরকার ছিলো। আমি আপনাকে কিছু বলেছি? বলেছি ওকে মা*র*তে? আপনি কেন ওকে মে*রে*ছেন? আপনার অনুভূতি অনুভূতি? আর বাকিদের টা ছেলে খেলা? একটা মানুষ অপর একজন মানুষকে পছন্দ করতেই পারে এতে দোষের তো কিছু নেই? ও বাড়াবাড়ি করলে আমি আমার বাবা-মা কে জানাবো বা আমার ভাইকে জানাবো। আপনি এতে হস্তক্ষেপ করার কে? শুধু মাত্র আমার ভাইয়ের বন্ধু। আমার কেউ না। যদিও ধরে নেই ও ভুল করেছে তাই বলে এভাবে মা*র*বেন? কি হলো কথা বলছেন না কেন? উত্তর নেই?”
“বলা শেষ? নাকি এখনো বাকি আছে?”
“আমি আমার প্রশ্নের উত্তর চাই”
মেহরাবের ঘাড়ত্যাড়া উত্তর,
“এই মেহরাব মির্জা কাউকে কৈফিয়ত দেয় না, আর না দিবে। এখন ভালোয় ভালোয় বাড়ি যাও নাহয় তোমার ভাইকে জানাতে আমার সময় লাগবে না যে তার বোন পড়তে গিয়ে প্রেম করে বেড়ায়”
উৎসা প্রতি উত্তর করলো,
“কি জানাবেন? জানান। আমি তো ওর সাথে প্ৰেম করতে যাই নি যে আমি ভয় পাবো। ভয় পাওয়ার মেয়ে আমি না, তাই ভয় যদি দেখাতেই হয় তাহলে অন্য কাউকে দেখান আমাকে না, বুঝেছেন?”
মেহরাবের শান্ত কণ্ঠ,
“এখন বাসায় যাও”
উৎসা এখনো রাগে ফোঁস ফোঁস করছে। ইচ্ছে করছে মেহরাব কে খুন করে ফেলতে। রাগে নাকের পাটা ফুলে আছে, মুখশ্রী রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। উৎসা ফোঁস ফোঁস করতে করতে মেহরাবের সামনে থেকে চলে আসতে নিলো। আসার সময় জোরে বলে এলো,
“আস্ত এক গু*ন্ডা”
মেহরাব শুনলো তবে প্রতিউত্তর করলো না। মেহরাবের সকল বন্ধু অবাক হলো। একটা পুঁচকে মেয়ে এসে মেহরাবকে থা*প্প*ড় মারলো, তার কলার ধরে এতো কথা শুনালো তাও ও এতো শান্ত কিভাবে? এতক্ষনে তো লঙ্কা কাণ্ড বাধিয়ে ফেলার কথা। কিন্তু তেমন কিছু হলো না দেখে সবাই অবাক হলো। অবাক হয়ে তাকালো মেহরাবের দিকে। ওর ভাব ভঙ্গি একদম স্বাভাবিক। একটু আগে যে এতো কিছু ঘটে গেছে কে বলবে?
সেদিনের পর থেকে উৎসা আরো বেশি মেহরাবকে দেখতে পারে না। মেহরাব যেন ওর চোখের বিষ হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। মেহরাব সারাদিন এলাকায় মারামারি, গু*ন্ডা গিরি করে বেড়াত। পুরো এলাকা যেন ওর আয়ত্তে চলতো। মেহরাবের এই স্বভাব গুলো উৎসার একদম পছন্দ না। সেই থেকে পার্মানেন্টলি “অপ্রিয়”নামটা মেহরাবের হলো।
—————
উৎসা বেরিয়ে এলো অতীতের পাতা থেকে। ঘড়ির কাটায় আটটা বাজে। এতক্ষন হয়ে গেল আর কেউ ওকে একটা ডাকও দিলো না? এতটাই পর হয়ে গেছে উৎসা তাদের কাছে? নাকের পাটা ফুলিয়ে বলল,
“যেখানে আমায় পাত্তাই দেওয়া হয়না সেখানে আর আসবো না”
অতঃপর আবার ডুব দিলো অতীতের পাতায়। দিন পনেরো লেগেছিলো শাওনের ঠিক হতে। সুস্থ হয়ে ক্লাসে এসেই সোজা উৎসার কাছে এসেছে। এক প্রকার পায়ে পড়ে বলেছিলো,
“উৎসা বইন আমার। তুই আমার বইন লাগিস। আমি তোকে বোনের চোখে দেখি। বইন আমায় মাফ করে দে আমি আর এই জীবনে তোকে উল্টোপাল্টা কিছু বলবো না। তুই আমার বইন লাগিস, একদম আপন বোন”
উৎসা বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো। হঠাৎ শাওনের কথা শুনে ওর দিকে তাকালো। উৎসার এক বান্ধবী বলেই বসলো,
“দুই সপ্তাহ আগেই না বলেছিলি ওকে পছন্দ করিস, ভালোবাসিস? তাহলে আজ উল্টো সুর গাইছিস কাহিনী কি?”
শাওন মিনিমিনে স্বরে বলল,
“তখন আমার মতিভ্রম হয়েছিলো তাই বলেছিলাম। এখন সজ্ঞানে বলছি উৎসা আমার বোন, ওকে আমি বোনের নজরেই দেখি”
উৎসা বাদে বাকিরা হেসে দিলো। উৎসা ওদের হাসি দেখে বিরক্ত হলো। শাওন যে কথা গুলো এমনি এমনি বলছে না সেটা উৎসা ভালো করেই জানে। এসব নিশ্চই মেহরাবের শিখিয়ে দেওয়া বুলি। উৎসা মুখ খুলল,
“ঠিক আছে এখন তুই যা”
শাওন চলে গেল। সবাই উৎসার দিকে তাকালো। হঠাৎ সবাই একসাথে ওর দিকে তাকানোতে বেচারি ভরকে গেল। শান্তা বাকিদের উদ্দেশ্যে বলল,
“কিছু বুঝতে পারছিস তোরা?”
সবাই তাল মিলিয়ে বলল,
“কিছু না অনেক কিছুই বুঝতে পারছি”
উৎসা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
“কি বুঝেছিস? আমায়ও বল। আমিও শুনি”
“তোকে বললে ওভার রিয়াক্ট করবি”
“করবো না তোরা বল”
শান্তা ইনিয়ে বিনিয়ে বলল,
“মেহরাব ভাই তোকে পছন্দ করে বা ভালোবাসে”
উৎসা তড়িৎ গতিতে বলে উঠলো,
“কি? মাথা ঠিক আছে তোদের? মেহরাব ভাই? আমায় ভালোবাসে? তোদের মাথা গেছে”
সবাই একসাথে বলল,
“আমাদেরও তাই মনে হচ্ছে”
উৎসা বুকে হাত গুঁজে প্রশ্ন করলো,
“এমনটা মনে হওয়ার কারণ?”
তানজিলা বলল,
“দেখ শাওন ঐদিন তোকে প্রপোজ কড়ায় মেহরাব ভাই কেমন রিয়াক্ট করেছে। বেচারাকে দিয়ে তোকে বোন ডাকিয়ে ছেড়েছে। ঐদিন তুই ভাইয়াকে তার বন্ধুদের সামনে থা*প্প*ড় দেওয়ার পরও তোকে উল্টো কিছু বলেনি। শানন্ত কণ্ঠে শুধু বাড়ি যেতে বলেছে। এ ছাড়াও সব সময় তোর আগে পিছনে লেগে থাকে। আরো বিষয় আছে। এগুলো দেখেই আমাদের মনে হচ্ছে মেহরাব ভাই তোকে ভালোবাসে”
উৎসা কপালে ভাজ ফেলল। প্রশ্ন করলো,
“উনি কখন আমার পিছনে লেগে থাকে”
“তুই খেয়াল করিস নি তবে আমরা করেছি। মাঝে মাঝেই মেহরাব ভাইকে তোর আশেপাশে দেখা যায়। সবই কি কাকতালীয়? নাকি এর পিছনে অন্য কাহিনী আছে?”
“আমি অতো কিছু জানি না। তবে এটা জানি মেহরাব ভাই আর যাই হোক আমায় ভালোবাসতে পারেন না”
“তুই মানতে না চাইলে আর….”
“চুপ! ওই অ*সভ্য লোকটাকে নিয়ে আর একটা কোlথাও বলবি না। ওনাকে আমার সহ্য হয় না। ওনার টপিক এখানেই বন্ধ কর”
————
কেউ যেন ডাকছে উৎসার নাম ধরে। হ্যাঁ! উৎসার আম্মু তনয়া বেগম ওকে ডাকছে। কিন্তু ও জবাব দিলো না। জবাব দিবেই বা কেন? তারা তাদের মেয়ে জামাইকে নিয়েই থাক। মেয়েকে দিয়ে কি করবে? যাবে না উৎসা। একই ভঙ্গিতে বসে রইলো ব্যালকনিতে।
মেহরাব উৎসাকে খুঁজতে খুঁজতে ওর রুমে এসেছে। মেয়েটাকে সেই কখন থেকে ডাকছে তবুও কোনো সাড়া শব্দ নেই। গেল কোথায়? ব্যালকনিতে ম্যাডাম কে ফুরফুরে মেজাজে বসে থাকতে দেখে বলল,
“তোমাকে আম্মু সেই কখন থেকে ডাকছে শুনতে পাচ্ছ না?”
“আমাকে দিয়ে কি কাজ তাদের? তাদের গিয়ে বলুন মেয়ে জামাইকে আদর করে খাওয়াতে। আমার খবর না নিলেও হবে”
মেহরাব বুঝলো বউ তার অভিমান করেছে। তাই উৎসাকে জ্বালাতে বলল,
“আমার শাশুড়ি বুঝে গেছে যে তাদের ঘাড়ত্যাড়া মেয়েকে একদিন সামলে আমার অবস্থা কাহিল তাই আদর যত্ন করছে। তুমি বুঝতে পারছো তোমার মতো মহা ঝামেলার হাত থেকে আমি তাদের মুক্তি পাইয়ে দিয়েছি? তারা আমায় আদর করবে না তো কাকে করবে? তোমায়?”
উৎসা নাক টানলো। কান্না পাচ্ছে তার। ওকে ঝামেলা বলল মেহরাব? ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকে বলল,
“আপনাকে কে বলেছে মহা ঝামেলা কাঁধে নিতে? আমি বলেছি? নিয়েছেন কেন?”
মেহরাব হুট্ করে কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল,
“ভালোবাসি যে! ঝামেলা কাঁধে না নিয়ে উপায় আছে?”
ফিসফিসিয়ে বলায় উৎসা বুঝতে পারলো না। বুঝতে না পেরে বলল,
“কি বললেন?”
“কিছু না খেতে চলো”
উৎসা মেহরাবকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিলো। বিরক্তিকর কণ্ঠে বলল,
“সমস্যা কি আপনার? খালি কাছে আসার বাহানা খোঁজেন। লুচু লোক একটা”
“শুরু করবো নাকি?”
“কি?”
“লুচু গিরি”
উৎসা এক ঝটকায় বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। মেহরাব কথা ঘুরিয়ে ফেলল। বলল,
“তুমি খেতে যাবে নাকি না?”
উৎসার ত্যাড়া জবাব,
“যাবো না”
মেহরাব হুট্ করে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলো ওকে। উৎসা নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে মেহরাবের গলা জড়িয়ে ধরলো।
“কোলে তুললেন কেন? নামান, নামান বলছি”
মেহরাব সামনের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল,
“তোমার মতো ঘাড়ত্যাড়া মেয়েকে কি করে সোজা করতে হয় সেটা এই মেহরাব মির্জা ভালো করেই জানা আছে”
#চলবে?